২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত মাহাবুবুর রশিদের বৃদ্ধ মা-বাবা ছেলের হত্যাকারীদের ফাঁসির রায় কার্যকরের অপেক্ষায় আছেন।
রবিবার কুষ্টিয়ার খোকসার জয়ন্তী হাজরা ইউনিয়নের ফুলবাড়ীর বাড়িতেই ছিলেন নিহত মাহাবুবুরের বৃদ্ধ মা হাসিনা বেগম (৭৫) ও বাবা হারুন অর রশিদ (৮৫) দম্পতি।
আরও পড়ুন: ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ১৯তম বার্ষিকী আজ
বৃদ্ধ মা-বাবার চোখে ছেলের স্মৃতি এখনো অমলীন হয়ে রয়েছে। ছেলের নিহত হবার খবর মায়ের বুক কেঁপে উঠেছিল। ছেলের শোকে পাথর হয়ে গিয়েছিলেন বাবা। আজও সে অস্থিরতা কাটেনি। ছেলের হত্যাকারীদের শাস্তি ফাঁসির রায় বাস্তবায়ন হলে হয়তো কষ্ট কিছুটা হলেও কমবে।
মাহাবুবুর রশিদ সংসারের একমাত্র উপার্জকারী ছিলেন। তার অবর্তমানে হারুন অর রশিদের দুঃখ ১২ মাস ধরেই। বার্ধক্যজনিত রোগের কারণে মাসে ১৫-১৬ হাজার টাকার ওষুধ লাগে।
মেয়ের পাঠানো টাকা ও বাড়িতে গাভীর দুধ বিক্রি করে তাদের সংসার চলে। এ টাকারই একটা অংশ জমিয়ে ছেলে মাহাবুবুর রশিদের শাহাদাতবার্ষিকী পালন করে থাকেন।
ছেলের তৈরী করা ঘরই তাদের শেষ আশ্রয় হয়েছে। মাঝে মাঝেই মন চাইলে ছেলের কবরের পাশে কিছু সময় দাঁড়িয়ে থাকেন। আর আল্লাহর কাছে রায় বাস্তবায়নের কামলা করেন। কে কি লিখে তাদের বিপদে ফেলেন এই ভয়ে সাংবাদিক দেখলে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেন।
আরও পড়ুন: ২১ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের জন্য বিএনপি-জামায়াত সরকার দায়ী: প্রধানমন্ত্রী
কেমন আছেন জানতে চাইলে বৃদ্ধ হারুন অর রশিদ বলেন, অনেক দিন হয়েছে কিন্তু খুনিদের শাস্তি বাস্তবায়ন হলো না। তবুও মরার আগে খুনিদের ফাঁসির রায় বাস্তবায়ন দেখতে চান।
রায় বাস্তবায়নে বিলম্ব বিষয়ে তিনি বলেন, তার শ্রষ্টাই ছেলের খুনিদের বিচারের রায় কার্যকর করবেন। শৈশবের স্কুলের পাশে শায়িত ছেলে মাহাবুবুর রশিদের সমাধির অসমাপ্ত কাজ শেষ করার দাবি জানান তিনি।