স্বাস্থ্যখাত সংস্কারসহ ৫ দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে ইন্টার্ন চিকিৎসক কাউন্সিলের আহ্বানে এ কর্মসূচি শুরু করেন তারা।
চমেক হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক জোবায়ের আহমদ বলেন, ‘সকাল থেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা কর্মবিরতি পালন করছেন। অন্যান্য মেডিকেল কলেজের মতো এই আন্দোলন চলছে। দাবি আদায়ের জন্য কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হলো। আজ মানববন্ধন শেষে আমরা অধ্যক্ষ ও পরিচালক বরাবরে স্মারকলিপি দেব।’
আরও পড়ুন: শাটডাউনের তৃতীয় দিনে অচল শেবাচিম ক্যাম্পাস
এ দাবিতে রবিবার সকাল ৮টা থেকে হাসপাতালের সব ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রয়েছেন তারা। এতে ব্যাহত হচ্ছে ভর্তি রোগীদের চিকিৎসা সেবা।
তবে আন্দোলনের আওতামুক্ত রয়েছে জরুরি বিভাগ, অপারেশন সেবা ও বর্হিবিভাগ।
স্বাস্থ্য খাতকে নাট্যমঞ্চের রঙ্গশালায় পরিণত করা হয়েছে উল্লেখ করে ইন্টার্ন চিকিৎসক কাউন্সিলের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ৯০তম বারের মতো হাইকোর্ট রায় পেছানোর মাধ্যমে স্বাস্থ্য খাতকে নাট্যমঞ্চের রঙ্গশালায় পরিণত করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
ইন্টার্ন চিকিৎসকদের এ কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা জানিয়েছে মেডিকেল কলেজের সব বর্ষের শিক্ষার্থীরা। বর্জন করেছেন ক্লাস ও পরীক্ষা।
আন্দোলনকারীরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে তারা এসব দাবি সরকারের কাছে জানিয়ে আসলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে যে কেউ চিকিৎসক পদবি ব্যবহার করে অপচিকিৎসা করছেন। এতে মূল চিকিৎসকরা হেনস্থার শিকার হচ্ছেন।
আরও পড়ুন: সোমবার রাত ৮টা পর্যন্ত চিকিৎসকদের শাটডাউন স্থগিত
একই সঙ্গে বিসিএসে বয়সসীমা ৩৪ বছর করাসহ চিকিৎসক সংকট কাটাতে জরুরি ভিত্তিতে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন তারা। দাবি মানা না হলে কর্মবিরতি চলমান রাখাসহ কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।