নিখোঁজের ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও খুলনার তিন নারী চিকিৎসকসহ নিখোঁজ চার চিকিৎসকের। এ ঘটনয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) নীরব ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যরা।
সোমবার (২১ আগস্ট) দুপুরে খুলনা বিএমএ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য চিকিৎসকদের পরিবারের সদস্যরা এ অভিযোগ করেন। এ সময় তারা তাদের ছেলে-মেয়েদের দ্রুত খুঁজে বের করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের সদস্যরা জানান, তারা ঢাকায় সিআইডি সদর দপ্তরে গেলেও তারা কোথায় আছেন এবং কেন তাদের আটক করা হয়েছে সে বিষয়ে কর্মকর্তারা কোনো তথ্য দেননি।
আরও পড়ুন: প্রশ্ন ফাঁস: খুলনার থ্রি ডক্টরস কোচিং সেন্টার এর মালিক আটক
এদিকে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের খুলনা জেলা শাখার সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক ডা. মেহেদী নেওয়াজ খুলনা পুলিশ কমিশনারকে চিঠি লিখে নিখোঁজ চিকিৎসকদের বিষয়ে তথ্য চেয়েছেন।
গত শুক্রবার (১৮ আগস্ট) খুলনা জেলার চার চিকিৎসক ডা. লুইস, ডা. তিশা, ডা. শর্মিষ্ঠা ও ডা. লামিয়া নিখোঁজ হন।
গত ১৯ আগস্ট মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে 'থ্রি ডক্টরস' কোচিং সেন্টারের মালিক ড. ইউনুস খান তারিমকে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় নিয়ে যায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
প্রশ্ন ফাঁসের জন্য দায়ী গ্রুপের সঙ্গে নিখোঁজ চিকিৎসকরা জড়িত বলে সন্দেহ করা হলেও তাদের বাবা-মা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।