মৃতরা হলেন-উপজেলার সনগাঁও গ্রামের হাফিজুল ইসলামের স্ত্রী মিনা বেগম (৩৫) ও হাফিজুলের বড়ভাই হাজিরুলের স্ত্রী পশিনা বেগম।
এ সময় ওই পরিবারের আক্রান্ত আরও তিনজনকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন-মৃত মিনা বেগমের মেয়ে তানজিনা আক্তার, শাশুড়ি হাজেরা খাতুন ও আলেয়া আক্তার।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, শুক্রবার রাতে মিনা বেগম হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন ও কিছুক্ষণের মধ্যে মারা যান। পরদিন শনিবার রাতে পশিনা বেগম অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে স্বজনরা বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেলে পরদিন রবিবার তিনিও মারা যান। এরপর ওই পরিবারের আরও তিনজন একে একে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদেরকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন ডাক্তার মো. মাহফুজার রহমান সরকার জানান, তিনি খবর পাওয়ার পর চিকিৎসকদের একটি প্রতিনিধ দল ওই গ্রামে পাঠিয়েছেন। কী কারণে তারা মারা গেছেন তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে কিনা এ ধরনের প্রমাণ তারা পাননি।
হাসপাতালে ভর্তি অসুস্থ তিনজন বর্তমানে ভালো আছেন জানিয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি অনুসন্ধানের জন্য ঢাকা রোগতত্ত্ব ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের একটি প্রতিনিধি দল সোমবার ঠাকুরগাঁওয়ের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একই পরিবারের ৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।