জেলা সদরের চৌফলদন্ডী এলাকায় নদীতে দুপুরে চালানো প্রথম অভিযানে ১৪ লাখ ইয়াবাসহ আটক করা হয় ‘ইয়াবা ডন’ জহিরুল ইসলাম ফারুককে। তার দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী চালানো হয় পরবর্তী দুই অভিযান।
বিকাল ৫টার দিকে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়ায় ফারুকের বাড়িতে পরিচালিত দ্বিতীয় অভিযানে মাটির নিচ থেকে পাওয়া যায় দুটি বস্তায় থাকা ইয়াবা বিক্রির এক কোটি ৭০ লাখ ৬৫ হাজার ৫০০ টাকা।
পরবর্তীতে তৃতীয় দফায় রাত ৯টার দিকে ফারুকের চাচা শ্বশুর ছৈয়দ আহমদের বাসায় অভিযান চালিয়ে আরও তিন লাখ ৭৫ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে নৌকা থেকে ৭ বস্তা ইয়াবা উদ্ধার, আটক ২
টেকনাফে ১৫ কোটি ৬০ লাখ টাকার ইয়াবা উদ্ধার
ইয়াবা আত্মসাৎ: সীতাকুণ্ড থানার এসআই, কনস্টেবল প্রত্যাহার
জব্দ করা ইয়াবাগুলোর আনুমানিক মূল্য ৫৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ফারুকের ইয়াবা কারবারের সাথে কয়েকজন জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় কিছু বিত্তশালী ব্যক্তির জড়িত থাকার অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।
কক্সবাজার পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান বলেন, ‘১৪ লাখ ইয়াবাসহ আটক জহিরুল ইসলাম ফারুককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তার বাড়িতে ইয়াবা বিক্রির বিপুল পরিমাণ টাকা রাখার কথা স্বীকার করেন তিনি। তার দেয়া তথ্যমতে অভিযান চালিয়ে তার বাড়ি থেকে দুটি বস্তাভর্তি টাকা উদ্ধার করা হয়। গণনা করে দুই বস্তায় এক কোটি ৭০ লাখ ৬৫ হাজার ৫০০ টাকা পাওয়া গেছে।’
আরও পড়ুন: টেকনাফে আড়াই কোটি টাকার ইয়াবার চালান জব্দ
চট্টগ্রামে ১.৪৬ লাখ ইয়াবাসহ তিন যুবক আটক
কৌশলে হাতে ইয়াবা দিয়ে স্ত্রীকে পুলিশে ধরিয়ে দেন স্বামী!
মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে কক্সবাজার সদরের চৌফলদন্ডী ব্রিজ এলাকা থেকে ১৪ লাখ ইয়াবাসহ ফারুকের পাশাপাশি আটক করা হয় নুরুল ইসলাম বাবু নামে একজনকে। পরে এ ঘটনায় জড়িত আরও দুজন মো. আলী ও শেখ আবদুল্লাহকে আটক করা হয়।
ইয়াবা এবং টাকা উদ্ধারের ঘটনায় আটক এ চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
পুলিশ সুপার আরও জানান, ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত অনেক গডফাদারের নাম পাওয়া গেছে। তালিকার বাইরেও অনেক নতুন ব্যবসায়ীদের নাম পাওয়া যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: টেকনাফে ২.৮ লাখ ইয়াবাসহ মিয়ানমারের ৭ নাগরিক আটক