রবিবার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন সদর উপজেলার বোয়ালি ইউনিয়নের নশরতপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের মেয়ে গৃহবধু শামছুন্নাহার বেগম তারা।
আরও পড়ুন: টেকনাফে আড়াই কোটি টাকার ইয়াবার চালান জব্দ
তিনি এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে এর প্রতিকার ও দোষী জিহাদুল ইসলাম জনির শাস্তি দাবি করেন।
হয়রানির শিকার শামছুন্নাহার বেগম তার লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, ২০১৮ সালের ২মে পরিচয়ের সূত্র ধরে পারিবারিকভাবে গাইবান্ধা পৌর এলাকার পলাশপাড়ার বাবু মিয়ার ছেলে জিহাদুল ইসলাম জনির সাথে যৌতুক না নেয়ার শর্তে ৪ লাখ টাকা দেনমোহরে তার বিয়ে হয়।
আরও পড়ুন: টেকনাফে ২.৮ লাখ ইয়াবাসহ মিয়ানমারের ৭ নাগরিক আটক
বিয়ের পর থেকে স্বামী জনি ৪ লাখ যৌতুক দাবি করে। এতে অস্বীকৃতি জানালে শামছুন্নাহার ওপর নেমে আসে অমানুষিক নির্যাতন। উপরন্তু জনি যৌতুক না পেলে তার সাথে সংসার করতে অস্বীকৃতি জানায়। এ নিয়ে পারিবারিকভাবে বিষয়টি মীমাংসা না হওয়ায় ২০১৮ সালের ১৬ জুলাই ঢাকা সাভারের চিফ জুডিশিয়াল ও আমলী আদালতে একটি যৌতুক মামলা দায়ের করেন শামছুন্নাহার তারা। মামলা করায় জনির পরিবারের লোকজন শামছুন্নাহারের বাবা বাড়িতে হামলা করে। এ নিয়ে তারার মা সদর থানায় একটি জিডি করেন।
আরও পড়ুন: পুলিশি হয়রানির প্রতিবাদে কুড়িগ্রামে কৃষকের সংবাদ সম্মেলন
কিন্তু মামলা মীমাংসার কথা বলে চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি স্বামী জনি তাকে গাইবান্ধা শহরে ডেকে নেয়। এ সময় জনি পৌরপার্কে সুকৌশলে হাওয়াই মিঠাইয়ের ভেতর ইয়াবা রেখে তা শামছুন্নাহার বেগম তারার হাতে ধরিয়ে দিয়ে সটকে পড়ে। পরে ডিবি পুলিশ তাকে ২-৩ পিস ইয়াবাসহ আটক করে। এব্যাপারে মাদক মামলায় তিনি একমাস জেল খেটে জামিনে মুক্তি পান।
আরও পড়ুন: উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ: পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন
ভুক্তভোগী শামছুন্নাহার বলেন, জামিন নিয়ে ফিরে আসার পর পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তারা তাকে জানায় তার স্বামী জনি, তার প্রথম স্ত্রী মনিষা বেগম, তার বোন হাসনা বেগম ও তার স্বামী মিলন মিয়া, শ্যালক পিন্টু মিয়া মিলে তাকে কৌশলে ইয়াবা দিয়ে মাদক মামলায় ফাঁসিয়েছে। তাই তিনি এই ঘটনার সাথে জড়িত সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
আরও পড়ুন: ১২ দিনেও মেয়ের সন্ধান না পাওয়ায় পরিবারের সংবাদ সম্মেলন
সংবাদ সম্মেলনে শামছুন্নাহার বেগম তারার মা নুরজাহান বেগম উপস্থিত ছিলেন।