সারাদেশ
ববিতে ছাত্রলীগের নেত্রীকে পুলিশে দিল ছাত্রদল
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) নিষিদ্ধ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের এক নেত্রীকে পুলিশে সোপর্দ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেট সংলগ্ন এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক টিকলি শরিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি খুলনা মহানগর শাখা ছাত্রলীগের উপ-ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক এবং বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন বলে জানা গেছে।
ক্যাম্পাস সূত্রে আরও জানা যায়, জুলাই অভ্যুত্থানে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।
আরও পড়ুন: কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তন
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের দাবি, টিকলি শরিফ নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের হয়ে ক্যাম্পাসে গোপনে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাচ্ছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে ছাত্রদলের কয়েকজন সদস্য তাকে আটকের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের উপস্থিতিতে তাকে পুলিশে হস্তান্তর করেন।
এ সময় তার সঙ্গে থাকা একই বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের দুই শিক্ষার্থী—মামুন ও তরিকুলকেও আটক করা হয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত টিকলি বলেন, ‘আমার কালকে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা। আমি লাইব্রেরিতে পড়ছিলাম। সন্ধ্যায় বাইরে বের হলে আমার জুনিয়রদের সঙ্গে দেখা হয়, আমরা চা খেতে গেলে সেখান থেকে আমাদের আটক করা হয়।’
নিষিদ্ধ সংগঠনের কার্যক্রম নিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রেক্ষাপটে যে কেউ ভালোবাসা থেকে সংগঠনের কাজ করতে পারে।’
আরও পড়ুন: জাবিতে ‘হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের’ পরিচয়ধারী এক ভুয়া শিক্ষার্থী আটক
ছাত্রদলের সাবেক সদস্য মিনহাজুল ইসলাম বলেন, ‘খুলনা মহানগর ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক এবং বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কর্মী ক্যাম্পাসে এসে গোপন কার্যক্রম চালাচ্ছেন বলে খবর পাই। আমার জুনিয়ররা তাকে দেখতে পেয়ে জানালে তাকে আটক করে প্রক্টর ম্যামের মাধ্যমে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করি আমরা।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সোনিয়া খান সনি বলেন, ‘কিছু শিক্ষার্থী আমাকে বিষয়টি জানানোর পর আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলে অভিযুক্তদের হস্তান্তর করি। পুলিশ আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।’
২৫৭ দিন আগে
অটোরিকশা চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত ২
পাবনার ঈশ্বরদীতে অটোরিকশা চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুজনের নিহতের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাত ৯ টার দিকে উপজেলার পাকশী রেলওয়ের এমএস কলোনির ৯ নাম্বার বিল্ডিংয়ে এ ঘটনা ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেছেন পাকশী পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর শাখিউল আজম।
আরও পড়ুন: কচুয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দুই ভাইয়ের মৃত্যু
নিহতরা হলেন— পাকশী ইউনিয়নের হঠাৎপাড়া এলাকার ফজল মাতব্বরের ছেলে আয়নুল মাতব্বর (৪৫) ও এমএস কলোনির দুলাল মিয়ার স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৩৬)।
ইন্সপেক্টর শাখিউল আজম বলেন, ‘আয়নুল মাতব্বর অটোরিকশা চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। পরে তাকে বাঁচাতে গিয়ে ফাতেমা বেগমও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। এতে দুজনেই প্রাণ হারান।’
এই ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন তিনি।
২৫৭ দিন আগে
ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দামের বাড়িতে ‘অগ্নিসংযোগ’
নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের বাড়ির একটি খড়ের ঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। তবে ঘরটি মূল বাড়ির সীমানার বাইরে হওয়ায় তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (১৫ এপ্রিল) গভীর রাতে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ সাতখামার এলাকায় সাদ্দামের গ্রামের বাড়ির প্রাচীর সংলগ্ন একটি খড়ের ঘরে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট।
তবে কারা আগুন দিয়েছে—তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি বাড়ির সদস্যরা। ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকেও আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে কোনো কারণ জানাতে পারেনি।
বোদা ফায়ার সার্ভিস অফিস জানায়, বাড়ির প্রাচীর সংলগ্ন একটি খড় ও খড়ি রাখার ঘরে অগ্নিকাণ্ডের খবর শুনে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ৩০ ফিট দৈর্ঘ্য ও ১০ ফিট প্রস্থের টিনশেডের ঘরটিতে খড় ও খড়ি রাখা ছিল। মধ্যরাতে ওই ঘরে আগুন দেখতে পেয়ে প্রতিবেশী ও স্থানীয়রা ছুটে আসেন এবং আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে এবং ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হয়।
সাদ্দাম হোসেনের মা আনোয়ারা বেগম বলেন, ‘মধ্যরাতে কে বা কারা আমাদের খড়ের ঘরে আগুন দেয়। প্রতিবেশীরা আগুন দেখতে পেয়ে চিৎকার করে। আশপাশের লোকজন ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। পরে সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। সময়মতো তারা না আসলে আগুন আমাদের থাকার ঘরেও লাগত।’
তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী ৩ বছর ধরে বিছানায় পড়ে রয়েছেন। আমরা এখন খুবই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমরা চাই, প্রশাসন এই ঘটনা তদন্ত করে কারা আগুন দিয়েছে তা খুঁজে বের করে শাস্তির ব্যবস্থা করুক।’
বোদা ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর রায়হান ইসলাম বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে আমাদের দুটি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে ১ লাখ টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে হিসাব করেছি। তবে আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।’
আটোয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম সরকার বলেন, এ বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। কে বা কারা আগুন দিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গত ৫ আগস্ট নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেন বিক্ষুব্ধরা। এ সময় তাদের কাছে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটপাট করা হয় বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল।
২৫৭ দিন আগে
ভুট্টাখেতে শিশুর ঝলসানো বিবস্ত্র লাশ, ধর্ষণ সন্দেহ পুলিশের
পাবনার চাটমোহর থেকে নাটোরের বড়াইগ্রামের এক প্রবাসীর ৭ বছরের শিশুকন্যার বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় লাশের মুখমণ্ডল অ্যাসিডে ঝলসানো ছিল। শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করে অ্যাসিডে মুখ ঝলসে লাশ ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে সন্দেহ প্রকাশ করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চাটমোহর উপজেলার কাটাখালী ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের একটি ভুট্টাখেত থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত শিশুটি বড়াইগ্রাম উপজেলার গারফা উত্তরপাড়া গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী জাহেরুল ইসলামের মেয়ে। স্থানীয় মাদরাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল সে।
আরও পড়ুন: কিশোরীকে ‘ধর্ষণের পর হত্যা, নানা-নানীকে কুপিয়ে জখম
পুলিশ জানায়, পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে গতকাল (সোমবার) শিশুটি বেড়াতে বের হয়। পাশেই দাদিবাড়ি গিয়ে তার সেমাই খাওয়ার কথা ছিল বলে জানান পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু বিকাল হয়ে গেলেও দুই বাড়ির কোথাও সে না গেলে স্বজনরা খোঁজাখুজি শুরু করেন। তবে কাল তাকে খুঁজে পায়নি কেউ। এরপর আজ (মঙ্গলবার) সকাল ১০টার দিকে বাড়ি থেকে কয়েক শ’ গজ দূরে চাটমোহর উপজেলার কাটাখালী ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের একটি ভুট্টাখেতে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। প্রথমে তারা শিশুটির পরিবারে খবর দেন, এরপর পুলিশকে অবহিত করেন।
খবর পেয়ে নাটোর ও পাবনা জেলা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় শিশুটির মুখমণ্ডল অ্যাসিডে ঝলসানো এবং শরীর বিবস্ত্র ছিল। পরে পুলিশ আলামত সংগ্রহ করে লাশটি পাবনা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
প্রতক্ষ্যদর্শী ও শিশুটির প্রতিবেশী এমদাদুল হক বলেন, এলাকার কৃষকরা খেতে কাজ করতে গিয়ে প্রথম তার লাশ দেখতে পায়। পরে পরিবারে খবর দিলে আমরা সেখানে যাই। কিছুক্ষণ পর পুলিশ এসে লাশ নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, তার মুখের পুরোটাই পোড়া ছিল। গায়ে কোনো কাপড় ছিল না। আমাদেরও ধারণা, তাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে পাষণ্ড দুর্বৃত্তরা। লাশের মুখ যাতে চেনা না যায়, তার জন্য অ্যাসিড দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে শিশু ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড
বড়াইগ্রাম উপজেলার চান্দাই ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহনাজ পারভীন বলেন, ‘শিশুটিকে ধর্ষণের পর নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।’
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘শিশুটির বাড়ি বড়াইগ্রাম উপজেলায় (নাটোর) হলেও লাশটি উপজেলার সীমান্তবর্তী পাবনার চাটমোহর এলাকায় পাওয়া গেছে। ফলে সংঘটিত অপরাধটির মামলা চাটমোহর থানায় লিপিবদ্ধ হবে। তবে দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ যথাযথ দায়িত্ব পালন করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে দুর্বৃত্তদের অনুসন্ধানে পুলিশের তদন্ত দল মাঠে নেমেছে। প্রাথমিকভাবে শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তবে প্রকৃত কারণ লাশের ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।’
২৫৭ দিন আগে
সিলেটে ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল অপর ট্রাকের চালক-হেলপারের
সিলেটে এক ট্রাকের চাপায় আরেক ট্রাকের চালক ও হেলপার নিহত হয়েছেন।
জেলার মোগলাবাজার থানার পারাইরচক এলাকায় সোমবার (১৪ মার্চ) রাত ১১টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন—ট্রাক চালক শাহীন মিয়া (৫০) ও হেলপার কামাল মিয়া (৪৫)।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কের পারাইরচক এলাকায় চাকা পাংচার হয়ে একটি ট্রাক বিকল অবস্থায় সড়কের একপাশে দাঁড় করানো ছিল। ওই ট্রাকের চালক ও হেলপার বিকল ট্রাকটি মেরামত করার চেষ্টা করছিলেন। এ সময় শ্রীরামপুর থেকে পারাইরচকের দিকে আসা পাথরবোঝাই অন্য একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন।
ওসি জানান, লাশদুটি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে ট্রাকটি জব্দ করা গেলেও চালক পালিয়ে গেছেন।
২৫৭ দিন আগে
লালমনিরহাটে চার দিনব্যাপী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু
লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ীতে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষে আবহমান গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিযোগিতাটি উপভোগ করতে এদিন বিভিন্ন বয়সী হাজার হাজার নারী-পুরুষ জড়ো হয়।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকালে বড়বাড়ি শহীদ আবুল কাশেম মহাবিদ্যালয় মাঠে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই ঘোড়দৌড়ের উদ্বোধন করেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু।
এর আগে বিকালে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২-এর আনন্দ শোভাযাত্রা শেষে পান্তাভাত দিয়ে সবাইকে আপ্যায়ন করা হয়।
চার দিনের এ প্রতিযোগিতা শেষে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী ঘোড়ার মালিকদেরকে পুরস্কৃত করা হবে।
আরও পড়ুন: নববর্ষ ১৪৩২: পরিবর্তন ও নতুনত্বের আবহ
ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা ও মেলা উপভোগ করতে লালমনিরহাট জেলাসহ পার্শ্ববর্তী জেলা ও উপজেলা থেকে হাজার হাজার মানুষ মাঠে উপস্থিত হয় এদিন। এছাড়াও ভিড় করেন শিশু-কিশোর, নারী-পুরুষসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। অনেকে আবার ঘোড়াদৌড় দেখতে আগের দিনই স্থানীয় আত্মীয়-স্বজন এবং খেলার মাঠে এসে বসে থাকেন।
উৎসবমুখর পরিবেশে ঘোড়ার দৌড় ও সওয়ারিদের রণকৌশল উপভোগ করতে মাঠের চতুরদিকে হাজির হয় হাজার হাজার দর্শনার্থী। প্রথম দিন ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় ৩২টি ঘোড়া অংশ নেয়। গ্রাম-বাংলার হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী এ প্রতিযোগিতা দেখে মুগ্ধ হয়েছেন আগত দর্শকরা।
এসব সাওয়ারিদের মধ্যে সবার নজর ছিল সর্বকনিষ্ঠ ১২ বছরের হালিমা বেগমের ওপর। চারজনের ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় হালিমা প্রথম স্থান অধিকার করে নজরও কারেন সবার।
ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী হালিমা বেগম বলেন, আমি নাটোর থেকে বাবার সঙ্গে এই ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে এসেছি এবং এখানে খেলায় অংশ নিয়ে প্রথম স্থানও অধিকার করিছি। এখানে এই প্রতিযোগিতা খুবই আকর্ষণীয় এবং হাজার হাজার দর্শক হয় বাবার মুখে শুনেছি। এখানে এসে এর সত্যতা পেলাম।
ঘোড়াদৌড় দেখতে আসা সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি কালীগঞ্জ উপজেলা থেকে ঘোড়াদৌড় দেখতে এসেছি। প্রতি বছর এখানে ঘোড়াদৌড় অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আমি প্রতি বছর এখানকার ঘোড়াদৌড় দেখতে আসি। এবছরও এসেছি। আমি চাই প্রতি বছর যেন এখানে ঘোড়াদৌড় ও গ্রামীণ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এমন আয়োজনে হাজারো দর্শকের উপস্থিতিতে আবেগ আপ্লুত হয়েছি।
আরও পড়ুন: নববর্ষ উদ্যাপনে কোনো নিরাপত্তা হুমকি নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
২৫৮ দিন আগে
নিখোঁজের একদিন পর পুকুর থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার
চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার নিখোঁজের একদিন পর ফারহান নামে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উপজেলার সূচীপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
স্বজনরা জানায়, রবিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুর ১২টা থেকে স্থানীয় মান্নান চৌধুরীর শিশু ছেলে ফারহান (৬) হঠাৎ নিখোঁজ হয়। এরপর ফারহানের খোঁজ পেতে পরিবার ও এলাকাবাসী মাইকিং ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চালায়।
অবশেষে, সোমবার (১৪ এপ্রিল) বিকালে পাশের বাড়ির পুকুরে শিশুটির মৃতদেহ ভেসে উঠে। শিশু ফারহানের মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করছে শাহরাস্তি থানা পুলিশ।
শাহরাস্তি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার জানান, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।
২৫৮ দিন আগে
মধুখালীতে ট্রাক দুর্ঘটনায় চালক-হেলপার নিহত
ফরিদপুরের মধুখালীতে তরমুজবোঝাই ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে গাছে ধাক্কা লেগে চালক ও ট্রাকের সহকারী নিহত হয়েছেন। এসময় ট্রাকটি উল্টে খাদে পড়ে যায়।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকালে উপজেলার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের বাগাট ইউনিয়নের ঘোপঘাট এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— ট্রাকচালক মো. ইদ্রিস আলী(৩০) যশোরের কেশবপুর উপজেলার হাবাসপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং ট্রাকের সহকারী মো. ফয়সাল খান (২৫) একই উপজেলার মধ্যপুল গ্রামের বাসিন্দা।
জানা গেছে, খুলনা থেকে ঢাকা অভিমুখে যাওয়া একটি তরমুজ বোঝাই ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের একটি গাছের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা খায়। সংঘর্ষের পর ট্রাকটি গাছের সঙ্গে আটকে যায় এবং চালক ও সহকারী দুজনেই গাড়ির ভেতরে আটকা পড়েন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় লাটাহাম্বারের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
খবর পেয়ে মধুখালী ফায়ার সার্ভিস, মাগুরা ফায়ার সার্ভিস ও করিমপুর হাইওয়ে থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। প্রায় দুই ঘণ্টা যৌথ উদ্ধার অভিযানের পর দু’জনকে গাড়ি থেকে বের করা হয়। ঘটনাস্থলেই সহকারীর মৃত্যু হয় এবং গুরুতর আহত অবস্থায় চালককে মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মধুখালী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রাশেদুল আলম জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মধুখালী ও মাগুরা ফায়ার সার্ভিস ও হাইওয়ে পুলিশের সহায়তায় উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
করিমপুর হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আনোয়ার হোসেন জানান, নিহতদের লাশ মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে এবং পুলিশ প্রহরায় আছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে। দুর্ঘটনার পর প্রায় এক ঘণ্টা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। পরে উদ্ধার কাজ শেষে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
২৫৮ দিন আগে
চট্টগ্রামের সিআরবি মালিপাড়া বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে
চট্টগ্রামের কোতোয়ালির সিআরবি মালিপাড়া বস্তিতে আগুন লেগে অন্তত ২০টি ঘর পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৫টায় এ আগুনের সূত্রপাত ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন নগরীর আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার খলিলুর রহমান।
স্খানীয়রা জানায়, আগুনের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একাধিক গাড়ি ঘটনাস্থলে আসলেও ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ার কারণে মূল আগুনস্থলে পৌঁছাতে চরম বেগ পেতে হয়।
আরও পড়ুন: শোভাযাত্রার আগেই মোটিফে আগুন দেওয়া দুষ্কৃতকারীরা গ্রেফতার হবে: ডিএমপি কমিশনার
একই সঙ্গে তীব্র বাতাসের কারণে আগুন ভয়ংকর রুপ নেয়। ফলে আগুনের লেলিহান শিখা আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে বস্তির ২০টি ঘর পুড়ে গিয়ে বহুনিম্ন আয়ের মানুষ নিঃস্ব হয়ে গেছেন।
বস্তির বাসিন্দারা ঘুমন্ত অবস্থায় থাকায় ঘর থেকে কোনো আসবাবপত্রই বের করতে পারেননি।
ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার খলিলুর রহমান জানান, গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে। তবে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনার পর হয়তো জানা যাবে কীভাবে আগুন লেগেছে।
এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।
২৫৮ দিন আগে
সালিশে জরিমানার টাকা না দেওয়ায় দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০
সালিশে জরিমানার টাকা না দেয়াকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের মধ্যে তিন ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়েছে। এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের বিরামপুর গ্রামের খাল পাড় ও পীরবাড়ি এলাকার মধ্যে এ সংঘর্ষে ঘটনা ঘটে। এ সময় বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, লুডু খেলা নিয়ে বিরামপুর বাজারে ওই গ্রামের পীরবাড়ি এলাকার জুয়েলের সঙ্গে খালপাড় এলাকার হাদিস মিয়ার ঝগড়া হয়। এতে জুয়েল আহত হয়। পরে বিষয়টি স্থানীয়রা সালিশের মাধ্যমে সমাধান করে। শালিসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ১০ এপ্রিল হাদিস মিয়া জরিমানার এক লাখ ২০ হাজার টাকা জুয়েলকে দেওয়ার কথা। তবে তা না দেওয়ায় রবিবার রাতে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা হয়। এ সময় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ নিয়ে সোমবার সকালে পীরবাড়ি এলাকার পক্ষে হুমায়ুনের নেতৃত্বে ও খালপাড়ের পক্ষের আনিছ মেম্বার ও সাচ্ছু মিয়ার নেতৃত্বে দুপক্ষ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে ফের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল ছুঁড়া হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত ও বেশ কয়েকটি বাড়িঘর-দোকানপাটে ভাঙচুর চালানো হয়।
আরও পড়ুন: সালিশে নারী নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল, ২ ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় আটজনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’
২৫৮ দিন আগে