সারাদেশ
মানিকগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতার খামার থেকে গরু লুটের অভিযোগ
মানিকগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতা মো. উজ্জল হোসেনের খামার থেকে গরু লুট করার ঘটনা ঘটেছে। অস্ত্রের মুখে তার খামার থেকে পাঁচটি গরু লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
বুধবার (১৩ আগস্ট) ভোর ৪টার দিকে মানিকগঞ্জ পৌরসভার নয়াকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। উজ্জল হোসেন পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। ওই এলাকায় তার একটি ডেইরি ফার্ম রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ফার্মের কর্মচারীরা জানান, ১০-১৫ জনের একটি সশস্ত্র দল পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ফার্মে হানা দেয়। এ সময় তারা ফার্মের তিন কর্মচারী লিটন, শ্যাম মিয়া ও মুকুলকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রাখে এবং সবুজ রঙের একটি বড় পিকআপে করে পাঁচটি গরু নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্রের সন্ধান দিলে মিলবে পুরস্কার
ভুক্তভোগী উজ্জল হোসেন জানান, খামারের পাশেই তার বসতবাড়ি। ঘটনার সময় একটি বকনা বাছুর আতঙ্কিত হয়ে তার বাড়ির উঠানে গিয়ে চিৎকার শুরু করলে পরিবারের সদস্যদের ঘুম ভাঙে। ঘর থেকে বের হয়ে তারা খামারের দিকে ছুটে আসেন এবং লুটকারীদের গাড়িটি শহরের দিকে চলে যেতে দেখেন। কিন্তু লুটকারীদের হাতে পিস্তল ও অন্যান্য অস্ত্র থাকায় কেউ কিছু করার সাহস পাননি।
ঘটনার পরপরই মানিকগঞ্জ সদর থানায় অবহিত করা হয়। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আমান উল্লাহ জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
ওসি আরও জানান, এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং চোরচক্রকে শনাক্ত করতে আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।
১৩৮ দিন আগে
তিস্তার পানি ফের বিপৎসীমার ওপরে, লালমনিরহাট ও নীলফামারীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
ভারী বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি আবারও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
বুধবার (১৩ আগস্ট) সকাল ৯টায় দিকে তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ২২ মিটার, যা বিপদসীমার চেয়ে ৭ সেন্টিমিটার ওপরে।এর আগে, গত ৩ আগস্ট তিস্তার পানি এই পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপসহকারী প্রকৌশলী (পানি শাখা) তহিদুল ইসলাম বলেন, ‘উজানের ভারীবর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে তিস্তার পানি বাড়ছে। নিম্নাঞ্চল ও চরগ্রামগুলো ইতোমধ্যেই তলিয়ে গেছে। আমরা আশঙ্কা করছি, সন্ধ্যার মধ্যে পানি আরও বাড়তে পারে।’
তিনি আরও জানান, পানির গতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিস্তা ব্যারেজের সবকটি জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে পাউবোর ডালিয়া বিভাগের পানি পরিমাপক নূরুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাত থেকে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে। আজ (বুধবার) সকাল ৬টা থেকে ডালিয়া পয়েন্টে ৫২ দশমিক ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তিস্তার পানি। এই পয়েন্টে বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার। পানির গতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: তিস্তার পানি বিপৎসীমার নিচে, তবে নিম্নাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা
এ কারণে সতর্কাবস্থায় থেকে সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন বলেও জানিয়েছেন পাউবোর কর্মকর্তারা।
১৩৮ দিন আগে
সিলেটে রায়হান হত্যা: জামিনে মুক্ত প্রধান আসামি এসআই আকবর
সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনের পর নিহত রায়হান আহমদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি উপপরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন হাইকোর্ট থেকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তী জামিন পেয়েছেন।
রোববার (১০ আগস্ট) সকালে জামিন পাওয়ার পর ওইদিন সন্ধ্যায় তিনি সিলেট মেট্রোপলিটন কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। সোমবার (১১ আগস্ট) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ওই কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক।
তিনি বলেন, ‘উচ্চ আদালত থেকে নিম্ন আদালত হয়ে জামিনের কাগজ গতকাল (রোববার) আমাদের কাছে পৌঁছায়। পরে আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকেলেই এসআই আকবরকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যার দিকে তিনি সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে বেরিয়ে যান।’
তিনি আরও জানান, এর আগে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন এসআই আকবর। গত ফেব্রুয়ারি মাসে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর কার্যক্রম শুরু হলে ২৫ মার্চ তাকে সেখানে আনা হয়। জামিনে মুক্তির আগ পর্যন্ত আকবর এই কারাগারেই ছিলেন।
এদিকে, আকবরের জামিনের খবর পেয়ে নিহত রায়হানের মা হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘এখন এই আসামি দেশ ত্যাগ করতে পারেন। তার জামিনে আমরা হতাশ হয়েছি।’
রায়হানের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে এবং রায় ঘোষণার প্রস্তুতি চলছিল। তবে প্রধান আসামির জামিন পাওয়ায় তার দ্রুত দেশ ত্যাগের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।
মামলার অন্য আসামি আশেক এলাহীও কয়েক দিনের মধ্যে জামিন পেতে পারেন বলে জানা গেছে। বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছেন, তাদের মধ্যে একজন আমেরিকায়, একজন ফ্রান্সে এবং দুইজন মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থান করছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে রায়হান হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
২০২০ সালের ১০ অক্টোবর গভীর রাতে নগরীর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে রায়হান আহমদকে নির্যাতন করা হয়। পরদিন (১১ অক্টোবর) তিনি মারা যান। পরিবারের অভিযোগ, পুলিশের নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছিল। এ ঘটনার পর পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগে মামলা করেন রায়হানের স্ত্রী।
পরে ১২ অক্টোবর এসআই আকবর হোসেনসহ চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়। এরপর পুলিশি হেফাজত থেকে কনস্টেবল হারুনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এসআই আকবরকে ৯ নভেম্বর সিলেটের কানাইঘাট সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২০২১ সালের ৫ মে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পিবিআই। সেখানে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে (৩২) প্রধান আসামি হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়।
অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আশেক এলাহী (৪৩), কনস্টেবল মো. হারুন অর রশিদ (৩২), টিটু চন্দ্র দাস (৩৮), এসআই মো. হাসান উদ্দিন (৩২) ও এসআই আকবরের আত্মীয় এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সংবাদকর্মী আবদুল্লাহ আল নোমান (৩২)।
১৪০ দিন আগে
‘চেতনানাশক বিস্কুট’ খাইয়ে ইজিবাইক ছিনতাই, চক্রের ৭ সদস্য গ্রেপ্তার
মুন্সীগঞ্জে চেতনানাশক মিশিয়ে ইজিবাইক চালককে অজ্ঞান কিংবা হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাইকারী একটি আন্তজেলা চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। অভিযানে ছিনতাই করা ছয়টি ইজিবাইক, দুটি চেসিস, একটি ওয়্যারলেস সেট ও চেতনানাশক মেশানো বিস্কুট জব্দ করা হয়েছে।
সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার এসব তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দীর্ঘদিন ধরে চক্রটি যাত্রীবেশে মুন্সীগঞ্জসহ আশপাশের জেলায় ইজিবাইক চালকদের বিভিন্ন অজুহাতে নির্জন স্থানে নিয়ে চেতনানাশক মিশ্রিত খাবার বা পানীয় খাইয়ে অজ্ঞান বা হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাই করছিল। পরে ইজিবাইকগুলো গ্যারেজে নিয়ে চেসিস আলাদা করে রং পরিবর্তন করে বিক্রি করত।
সর্বশেষ গত ২ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে সিরাজদিখানের নোয়াপাড়া এলাকায় ইজিবাইক চালক মালয় শেখকে চেতনানাশক মাখানো বিস্কুট খাইয়ে অজ্ঞান করে ইজিবাইক ছিনতাই করে চক্রের তিন সদস্য। ঘটনার পর ডিবি পুলিশের একটি চৌকস দল অভিযান চালায়। রবিবার বিকালে শ্রীনগরের পাটাভোগ ফেরিঘাট আন্ডারপাস এলাকা থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে চেতনানাশক মাখানো বিস্কুট ও ওয়্যারলেস সেট জব্দ করা হয়।
পরবর্তীতে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মুন্সীগঞ্জ ও আশপাশের এলাকা থেকে আরও তিনজনকে এবং কেরাণীগঞ্জ থেকে গ্যারেজ মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে ‘ছিনতাইকারীর’ ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল আরেক ছিনতাইকারীর
সেখান থেকে ছিনতাই করা দুটি ইজিবাইক ও দুটি চেসিস জব্দ করা হয়। পরে কেরাণীগঞ্জের একটি গ্যারেজ থেকে আরও চারটি ইজিবাইক জব্দ করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন— রুবেল ওরফে আব্দুল্লাহ (৩২), মো. জামাল হোসেন (৪০), ইমরান হোসেন ওরফে মোফাজ্জল (৪৫), মো. হৃদয় শেখ (২৫), পলাশ পাঠান (৩৫), মো. বিধান (৪৭) ও মো. সুমন (৩৮)।
পুলিশ সুপার মুহম্মদ শামসুল আলম বলেন, ‘গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক হত্যা, ছিনতাই ও ডাকাতির মামলা রয়েছে। এই চক্রের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
১৪০ দিন আগে
টানা পঞ্চম দিনের মতো ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ, যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে
স্বাস্থ্যখাতের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া ও বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শেবাচিম) চিকিৎসা সেবা আধুনিকায়নসহ ৩ দফা দাবীতে টানা পঞ্চম দিনের মতো ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।
সোমবার (১১ আগস্ট) বেলা ১২টার দিকে বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালে এই অবরোধ শুরু হয়। এতে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলার যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
টানা ১৬ দিন ধরে চলা এই আন্দোলন কর্মসূচির আওতায় আজ পঞ্চম দিনের মতো ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করা হল। এর আগের চার দিনও বেলা সাড়ে ১১টা থেকে প্রায় সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৭ ঘন্টা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ, ৬ জেলায় যান চলাচল বন্ধ
সরেজমিনে দেখা যায়, ছাত্র জনতার ব্যানারে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। সড়ক অবরোধ করে বিভিন্ন শ্লোগান দিচ্ছেলেন আন্দোলনকারীরা। ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ থাকলেও তাদের কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। সড়ক বন্ধ থাকায় অবরোধস্থলের দু’দিকে যাত্রীবাহী বাসসহ শত শত যানবাহন আটকা পড়েছে। দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ।
রাজধানী ঢাকার সঙ্গে বরিশালের কিছু অংশসহ পিরোজপুর, বরগুনা, ভোলা, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী ও পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটার সবরকম যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বরিশাল বিমান বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম সিকদার জানান, সমস্যা সমাধানে আলোচনা চলছে। আশাকরি দ্রুত অবরোধ উঠে যাবে। এদিকে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার প্রতিশ্রুতি ছাড়া আন্দোলন প্রত্যাহার হবেনা বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
১৪০ দিন আগে
চাঁদপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
চাঁদপুর সদর উপজেলায় বেপরোয়া গতির মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় রুবেল হোসেন শিশির (১৮) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন।
রবিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে চাঁদপুর সদর উপজেলার বাবুরহাট-পেন্নাই সড়কের কাছে ময়দান খোলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রুবেল ৩ নম্বর কল্যাণপুর ইউনিয়নের আমানুল্লাহপুর গ্রামের দিঘিরপাড় এলাকার নজরুল ইসলাম স্বপনের ছেলে।
নিহতের স্বজনরা জানান, রুবেল সম্প্রতি বাবুরহাট স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেছেন। গতকাল (রবিবার) নানার কাছ থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এই দুর্ঘটনার শিকার হয়। এই ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল (রবিবার) দুপুরে রুবেল তার নানার মোটরসাইকেলে করে সদরের লালদিয়া এলাকা থেকে বাবুরহাট যাওয়ার পথে হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ডাববোঝাই ভ্যানের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা খেলে তিনি ছিটকে পড়ে যান। মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার তীব্রতায় তার মস্তিষ্ক বের হয়ে আসে।
দীর্ঘ সময় রাস্তার পাশে রুবেলের মরদেহ পড়ে থাকলেও স্থানীয়রা কেউ তাকে হাসপাতালে নিতে সাহস পাননি।
পরে এক সিএনজি অটোরিকশাচালক মানবিক কারণে তাকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।
আরও পড়ুন: দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে বাসের ধাক্কায় নিহত ১
এরপর চিকিৎসক ডা. মাহমুদুল হাসান সুমন জানান, হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই রুবেলের মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে স্বজনরা হাসপাতালে গিয়ে আহাজারি শুরু করেন।
চাঁদপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ মহসিন বলেন, ‘হাসপাতালে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।’
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহার মিয়া ইউএনবিকে জানান, পরিবারের অনুরোধে ময়নাতদন্ত ছাড়াই শেষ বিকালে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
১৪০ দিন আগে
রংপুরে জামাই-শ্বশুর হত্যায় ৭০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা, মহাসড়কে লাশ রেখে বিক্ষোভ
রংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে জামাই-শ্বশুর নিহতের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৭০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ ছাড়া এই ঘটনার বিচার দাবিতে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কে লাশ রেখে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী।
রবিবার (১০ আগস্ট) তারাগঞ্জ থানায় মামলা করেন নিহত রূপলালের স্ত্রী। এরপর সন্ধ্যার দিকে তার লাশ নিয়ে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কে বিক্ষোভ করা হয়।
এর আগে শনিবার রাতে তারাগঞ্জ উপজেলার বুড়িরহাট বটতলায় ভ্যান চুরির অভিযোগে গণপিটুনিতে ঘনীরমপুর গ্রামের রূপলাল দাস (৪০) ও তার ভাগনি জামাই প্রদীপ দাস (৩৫) নিহত হয়েছেন।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাতে রূপলাল তার মেয়ের জন্য পাত্র দেখতে ভাগনি জামাই প্রদীপকে সঙ্গে নিয়ে ভ্যানে করে ঘনীরমপুর গ্রামে যান।
তারাগঞ্জ-কাজিরহাট সড়কের বটতলায় পৌঁছালে স্থানীয়রা তাদের ভ্যানচোর সন্দেহে আটক করেন। একপর্যায়ে প্রদীপ লালের কালো ব্যাগ তল্লাশি করা হলে ‘স্পিড ক্যানের’ বোতলে দুর্গন্ধযুক্ত পানীয় এবং কিছু ওষুধ পাওয়া যায়। বোতলের ঢাকনা খোলার পর দুর্গন্ধে বুড়িরহাট এলাকার মেহেদী হাসানসহ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। এতে সন্দেহ বাড়লে রূপলাল ও প্রদীপকে বেধড়ক মারধর করে গুরুতর আহত করেন স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন: গাজীপুরের সাংবাদিক তুহিন হত্যা মামলার ৭ আসামির ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
একপর্যায়ে রুপলাল ও প্রদীপের কান দিয়ে রক্ত পড়তে শুরু করে। তাদের তারাগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক রূপলালকে মৃত ঘোষণা করেন এবং প্রদীপ লালকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির জন্য পাঠান। সেখানে প্রদীপ লাল ভোর ৪টায় মারা যান।
এ বিষয়ে তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ ফারুক বলেন, ‘নিহত রূপলালের স্ত্রী ভারতী রানী বাদী হয়ে বিকেলে ৫০০ থেকে ৭০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেছেন। তদন্ত কার্যক্রম চলছে। কিছু আলামত পেয়েছি, সেগুলো যাছাই-বাছাই চলছে।’
১৪০ দিন আগে
দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে বাসের ধাক্কায় নিহত ১
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পেছনে দ্রুতগামী একটি বাসের ধাক্কায় একজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও সাতজন।
রবিবার (১০ আগস্ট) রাত পৌনে ১০টার দিকে উপজেলার নিমতলা স্টেশনের সামনে ঢাকামুখী হাইওয়ে লেনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।
আহতদের মধ্যে রউনত (১৯), মোহাম্মদ লুৎফর (৬০) এবং রায়হান (২৫)-এর অবস্থা গুরুতর।
আরও পড়ুন: পীরগঞ্জে দাঁড়িয়ে থাকা ভেকু মেশিনে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় দুইজন নিহত
স্থানীয়রা জানান, হানিফ পরিবহনের একটি বাস দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দিলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
মুন্সীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম জানান, শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
এ বিষয়ে হাসাড়া হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী জানান, দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি রেকারের মাধ্যমে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ কারণে সাময়িকভাবে যান চলাচল বিঘ্নিত হলেও পরে স্বাভাবিক হয়।
১৪০ দিন আগে
বরিশালে স্বাস্থ্যখাত সংস্কার আন্দোলনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ দেশের স্বাস্থ্যখাত সংস্কারের আন্দোলনে অংশ নেওয়া দুই শিক্ষার্থী গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া মহিউদ্দিন রনিসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।
রবিবার (১০ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজ ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে গুরুতর পাঁচজনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান, রাফি, সিফাত ও সুহানের নাম জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নগরীর নথুল্লাবাদ এলাকায় চলমান স্বাস্থ্যখাত সংস্কার আন্দোলনের ১৪তম দিনে বিকালে দুই গ্রুপের মধ্যে সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্ব ও ধূমপান নিয়ে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন। আহতদের মধ্যে মহিউদ্দিন রনিও রয়েছেন। সংঘর্ষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নারী নেত্রীরাও জড়িত ছিলেন।
এ ঘটনার পর দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সেনা সদস্যরা লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে এ নিয়ে ক্ষোভ রয়ে যায়।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নের দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ, জনভোগান্তি
শিক্ষার্থীরা জানান, আন্দোলনের ক্ষতি ঠেকাতে রাতেই বিএম কলেজ ক্যাম্পাসে সমঝোতার উদ্যোগ নেওয়া হয়। সমঝোতা বৈঠকেই হাতাহাতি থেকে ফের সংঘর্ষে জড়ায় দুই পক্ষ। এতে মহিউদ্দিন রনিসহ উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হন।
মহিউদ্দিন রনির অভিযোগ, স্বাস্থ্যখাত সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলন ভেঙে দিতে তাদের ওপর একটি পক্ষ হামলা করেছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বরিশাল জেলার সাবেক আহ্বায়ক সাব্বির হোসেন বলেন, ‘নথুল্লাবাদের মারামারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএম কলেজে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। মূলত সিনিয়র-জুনিয়র বিষয় থেকেই উত্তেজনার সূত্রপাত। গুরুতর আহত পাঁচজন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।’
শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মশিউল মুনীর জানান, আহতদের মধ্যে আশঙ্কাজনক কেউ নেই।
আরও পড়ুন: ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ, ৬ জেলায় যান চলাচল বন্ধ
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, ঘটনাটি বিএম কলেজ ক্যাম্পাসে ঘটেছে। পুলিশ সেখানে প্রবেশের অনুমতি না থাকায় ভেতরে ঢোকেনি। তবে হাসপাতাল ও ক্যাম্পাস এলাকায় খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। বিস্তারিত পরে জানা যাবে বলেও তিনি জানান।
১৪০ দিন আগে
দেবিদ্বারে সেতু ভাঙা, কাঠের পাটাতন বিছিয়ে ৭ গ্রামের চলাচল
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের একটি ভাঙা সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে সাতটি গ্রামের মানুষ। সেতুটির অবস্থা এতটাই খারাপ, যে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন গ্রামবাসী, কারণ এটিই তাদের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম।
মোহনপুর ইউনিয়নের এই ভাঙা সেতুটি সংযোগ করেছে কুরুইন, মোহনপুর, ছোটনা, দিঘীরপাড়, বিহারমণ্ডল, নোয়াপাড়া ও বুড়িচংয়ের আবিদপুর গ্রামকে। প্রায় দুই মাস ধরে সেতুটির বেহাল অবস্থার কারণে চলাচলে সমস্যায় পড়েছে তারা।
মোহনপুর-ছোটনা গ্রাম দিয়ে প্রবাহিত দোয়াইর খালের উপর ১৯৯২ সালে সেতুটি নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। দীর্ঘ ৩৩ বছরেও কোনো সংস্কার না করায় সেতুটির এ অবস্থা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সেতুর মাঝ বরাবর ভেঙে বেরিয়ে পড়েছে লোহার রড, হয়েছে বড় আকারের গর্ত। চলাচলের জন্য ভাঙা স্থানে কাঠের পাটাতন বিছিয়ে রাখা হয়েছে। সেতুর নিচের অংশের পলেস্তরা খসে পড়ছে। ভারী কোনো যানবাহন উঠলেই সেতুটি কেঁপে ওঠে। সরজমিনে গিয়ে এসব চিত্র দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: জামালগঞ্জে পরিত্যক্ত সেতু দিয়ে ঝুঁকিতে চলাচল, দুর্ভোগে ৩৫ গ্রামের মানুষ
ছোটনা গ্রামের কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থী ইউসুফ ও মোহনপুর গ্রামের মাসুদ রানা বলেন, এ সেতু দিয়ে চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ। প্রতিদিন অসংখ্য ছোট যানবাহন ও লোকজন পারাপার হয়। সেতুটি পার হয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যখন বিদ্যালয়ে যায়, ভয় লাগে। যেকোনো মুহূর্তে প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে।
মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য কামাল হোসেন বলেন, কিছুদিন আগে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি আমাকে জানিয়েছিলেন। ব্যক্তি উদ্যোগে সংস্কার করার চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু সেতুটি পুরাতন হওয়ায় সংস্কার করেও কাজ হবে না।
দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চন্দ্র সরকার বলেন, এই সেতুটি নতুন করে নির্মাণের জন্য আমাদের হাতে কোনো প্রকল্প নেই। তবে কয়েক দিনের মধ্যে কিছু অংশ মেরামত করে দেওয়া হবে।
১৪০ দিন আগে