সারাদেশ
চুয়াডাঙ্গায় পৃথক ধর্ষণ মামলায় দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর ও আলমডাঙ্গা উপজেলায় দুটি ধর্ষণ মামলায় দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিতরা হলেন— আলমডাঙ্গা উপজেলার বারাদি গ্রামের নাজমুল হক (৩৩) ও জীবননগর উপজেলার মিনাজপুর গ্রামের আব্দুল খালেক (৫৫)। রায় ঘোষণার পর দণ্ডিতদের পুলিশ পাহারায় আদালত থেকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর এমএম শাহাজাহান মুকুল বলেন, ‘সাক্ষ্য-প্রমাণ পর্যালোচনা করে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় পৃথকভাবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দিয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষ মনে করে, এই রায় সমাজে অপরাধ প্রবণতা হ্রাসে ভূমিকা রাখবে।’
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে নিয়োগ পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে ভুয়া পরীক্ষার্থী আটক, কারাদণ্ড
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর আসামি নাজমুল হক তার বন্ধুর ১৩ বছর বয়সী কিশোরী বোনকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এতে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে ওই বছরের ১৯ ডিসেম্বর আলমডাঙ্গা থানায় ধর্ষণ মামলা করেন।
আলমডাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. খসরু আলম তদন্ত শেষে আসামি নাজমুলের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ২৬ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
এছাড়া, ২০১৫ সালের ৮ জুন আসিম আব্দুল খালেক তার ভায়রা ভাইয়ের ৬ বছর বয়সী মেয়ে শিশুকে ধর্ষণ করেন। ওই ঘটনায় শিশুর বাবা বাদী হয়ে ৯ জুন জীবননগর থানায় ধর্ষণের মামলা করেন।
জীবননগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আকরাম হোসেন তদন্ত শেষে ৩১ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
১৮৭ দিন আগে
রাইস কুকারে রান্নার সময় বিদ্যুতায়িত হয়ে মা-মেয়ে নিহত
মাগুরায় রাইস কুকারে ভাত রান্নার সময় বিদ্যুতায়িত হয়ে মা-মেয়ে নিহত হয়েছেন।
বুধবার (২৫ জুন) সকাল ৮টার দিকে মাগুরা সদরের টিলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধূ শিমুল বেগম ওই গ্রামের আব্দুল আওয়ালের স্ত্রী ও তাদের আট মাসের কোলের শিশু আলীশা।
মাগুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আয়ুব আলী জানান, রাইস কুকারে ভাত রান্না করার সময় অসাবধানবশত বিদ্যুতায়িত হন গৃহবধূ শিমুল বেগম ও তার মেয়ে আলীশা। দুর্ঘটনার সময় শিশুটি তার মায়ের কোলো থাকায় দুজনেই বিদ্যুতায়িত হন। এরপর স্থানীয়রা তাদের মাগুরা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষণা করেন।
এ বাপারে মাগুরা থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: বিদ্যুতায়িত হয়ে পঞ্চগড়ের তিনজন নিহত
১৮৭ দিন আগে
যশোরে ৫টি স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ১
যশোরে স্বর্ণের বার পাচারের অভিযোগে ময়নাল মোল্লা (৩৫) নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। এ সময় তার কাছে থাকা পাঁচটি স্বর্ণের বার জব্দের দাবি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বুধবার (২৫ জুন) ভোরে যশোর সদরের ঝুমঝুমপুর এলাকা থেকে তাকে আটক করে যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের একটি দল। এ সময় তার ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোনও জব্দ করা হয়।
আটক ময়নাল মোল্লা ঢাকার মিরপুরের উত্তর সিটি করপোরেশনে ৯ নম্বর কোর্টবাড়ী এলাকার আজগর মোল্লার ছেলে।
বিজিবি জানায়, আটক ব্যক্তির জুতার সোলের ভেতরে বিশেষভাবে লুকানো ছিল স্বর্ণের বারগুলো। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ময়নাল মোল্লা জানিয়েছেন, ঢাকার গাবতলী এলাকার চোরাকারবারীদের কাছ থেকে স্বর্ণ সংগ্রহ করে সাতক্ষীরা হয়ে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ওইসব স্বর্ণ।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাট সীমান্তে ১ কোটি টাকা মূল্যের স্বর্ণের বার উদ্ধার
যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী জানান, জব্দ করা স্বর্ণের ওজন ৫৮৫.৫৪ গ্রাম, যার আনুমানিক মূল্য ৮৬ লাখ ৭৭ হাজার ৭০২ টাকা। এ ছাড়া মোবাইলসহ মোট জব্দ করা সম্পদের মূল্য প্রায় ৮৭ লাখ ৭ হাজার ৭০২ টাকা।
আটক করা যশোর সদর থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম চলছে বলেও জানান তিনি।
১৮৭ দিন আগে
যশোর আদালতে মামলার নথি থেকে এজাহারের কপি গায়েব
যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের একটি বিচারাধীন মামলার নথি থেকে এজাহারের কপি রহস্যজনকভাবে গায়েব হয়ে গেছে। আদালতের নথি থেকে গুরুত্বপূর্ণ এই কাগজ হারিয়ে যাওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আমলে নিয়ে মামলার বেঞ্চ সহকারী হুমায়ুন কবির ও আসামিপক্ষের আইনজীবী আহসান হাবিব মুকুলকে শোকজ করেছেন বিচারক। তাদের তিন কার্যদিবসের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যাখা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়, ঘটনাটি ঘটে গত ২২ জুন যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে। ওই দিন মামলাটির (এসসি-১৬৬৯/২০১৮) সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য নির্ধারিত ছিল। আদালতে আসামি, রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ও আসামিপক্ষের আইনজীবী—সবাই উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষ্যগ্রহণ চলাকালে বিচারক মো. সালেহুজ্জামান মামলার নথি পর্যবেক্ষণ করে দেখতে পান, নথিতে মামলার এজাহারের কপি নেই। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি আদালতের বেঞ্চ সহকারীকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি জানান, সাক্ষ্য গ্রহণের আগে আইনজীবী আহসান হাবিব মুকুল তার কাছ থেকে নথি নিয়ে গিয়েছিলেন এবং এজাহার দেখে প্রয়োজনীয় তথ্য লিখে নিয়েছিলেন। এরপর তিনি আবার নথি বিচারকের কাছে জমা দেন।
এরপর এজলাসেই বিচারক আইনজীবীর কাছে জিজ্ঞাসা করলে তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে মন্তব্য করেন। ফলে বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। জেলা আইনজীবী সমিতির নেতারাসহ সিনিয়র আইনজীবীরা এজলাসে হাজির হন। একপর্যায় বিচারক ওই দুইজনকে শোকজ করে আগামী ১৩ আগস্ট মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
বেঞ্চ সহকারী হুমায়ুন কবির বলেন, ‘বিচারক এজলাসে ওঠার আগে আইনজীবী মামলার নথি নিয়েছিলেন। পরে ফেরত দেন। আমি নিজে নথিতে কোনো হেরফের করিনি। আইনজীবী কিংবা আইনজীবীর সহকারীর মাধ্যমে এই ঘটনা ঘটতে পারে।’
আরও পড়ুন: খুলনায় অস্ত্র-গুলি ও ইয়াবাসহ আটক ৫
অন্যদিকে, আইনজীবী আহসান হাবিব মুকুল জানান, তিনি নথি নিয়েছিলেন ঠিকই, তবে বিচারক এজলাসে চলে আসায় তা যথাযথভাবে বেঞ্চ সহকারীর কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন। তিনি আসামির চালান কপি থেকে তথ্য নিয়েছেন। এজাহার সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলেও দাবি করেন।
যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এ গফুর বলেন, ‘ঘটনাটি আমাদের নজরে এসেছে। একজন আইনজীবী এমন কাজ করতে পারেন না। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করছি।’
আদালত ও আইনজীবী সমিতি সূত্র আরও জানায়, আদালতে থাকা মামলার মুল কপি থেকে মামলার এজাহারের কপি সরিয়ে নিয়ে বাড়তি সুবিধা নেওয়ার সুযোগ নেই। এ ছাড়া এজাহার কপি হারিয়ে গেলেও মামলার বিচারের ক্ষেত্রে প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ ওই মামলার এজাহারের ফটোকপি রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলির কাছে সংরক্ষিত থাকে। এর বাইরেও অনেক মাধ্যমে মামলার এজাহারের কপি পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
তবে, মুল নথিতে এজাহারের কপি না থাকাটা সমীচীন নয়। এ বিষয়টি অবশ্যই খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে জানায় সূত্র।
১৮৭ দিন আগে
স্কুলে যাওয়ার পথই হলো বাবা-মেয়ের শেষ যাত্রা
প্রতিদিনের মতোই আজও মেয়েকে স্কুলে পৌঁছে দিতে বের হয়েছিলেন বাবা। কিন্তু কেউ জানত না, এদিন সকালেই শেষ হবে তাদের জীবনের পথচলা। ঠাকুরগাঁওয়ে বাসের ধাক্কায় থ্রি-হুইলার উল্টে প্রাণ হারালেন বাবা আশরাফুল ইসলাম (৫০) ও তার নবম শ্রেণিপড়ুয়া মেয়ে রুবাইয়া খাতুন (১৫)।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড় মহাসড়কের ভুল্লী থানার অন্তর্গত খোশবাজার মাদরাসার কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আশরাফুল ও তার মেয়ে রুবাইয়া ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার খুষ্ঠি পোস্ট অফিসপাড়া এলাকার বাসিন্দা। রুবাইয়া বোদা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন। তার বাবা আশরাফুল পেশায় একজন থ্রি-হুইলার (স্থানীয়ভাবে পরিচিত ‘পাগলু’) চালক ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, আশরাফুল প্রতিদিন সকালে তার মেয়েকে নিজেই থ্রি-হুইলারে করে স্কুলে পৌঁছে দিতেন, এরপর ওই গাড়ি নিয়ে বের হতেন জীবিকার সন্ধানে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ (মঙ্গলবার) সকালে বাবা আশরাফুল তার মেয়েকে নিয়ে থ্রি-হুইলারযোগে স্কুলের উদ্দেশে বের হন। পথে খোশবাজার এলাকার মাদরাসার কাছে পৌঁছালে পেছন থেকে একটি দ্রুতগতির কোচ তাদের বহনকারী থ্রি-হুইলারটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে থ্রি-হুইলারটি উল্টে গেলে ঘটনাস্থলেই মারা যান চালক আশরাফুল। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তার মেয়ে রুবাইয়াকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে সেও প্রাণ হারায়।
এ বিষয়ে ভুল্লী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। ঘাতক বাসটিকে জব্দ করা গেলেও চালক ও তার সহকারী পালিয়ে গেছেন। তাদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
১৮৮ দিন আগে
কুষ্টিয়ায় বিলুপ্ত প্রজাতির ৬৭ কচ্ছপ উদ্ধার
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় র্যাবের অভিযানে বিলুপ্তপ্রায় কড়িকাইট্টা প্রজাতির ৬৭টি কচ্ছপ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (২৩ জুন) দুপুরে উপজেলার সাতবাড়িয়া বাজার থেকে এগুলো উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-১২, সিপিসি-১ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুদীপ্ত সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের সাতবাড়িয়া বাজারে এক ব্যক্তি বিলুপ্তপ্রায় কচ্ছপ বিক্রি করছেন জানতে পারি। এরপর র্যাবের একটি দল ক্রেতা সেজে বাজারে অভিযান চালিয়ে ১১টি বড় ও ৫৬টি ছোট কড়িকাইট্টা প্রজাতির কচ্ছপ উদ্ধার করে।
এর পরপরই উদ্ধার হওয়া কচ্ছপগুলো ভেড়ামারা বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করার পর বিকালে উন্মুক্ত জলাশয়ে অবমুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতের চেন্নাইতে বিরল কচ্ছপ বাঁচাতে পাহারায় স্থানীয়রা
সুদীপ্ত সরকার জানান, দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে একত্র করে একই এলাকার মহিবুল ইসলামের ছেলে মাহি (২০) কচ্ছপগুলোকে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করছিল।
পরে বিক্রেতার কাছ থেকে কচ্ছপগুলো উদ্ধার করে বন বিভাগের কাছে হস্তান্তার করা হয়েছে।
ভেড়ামারা উপজেলা বন কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিভাগীয় বন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে আমরা কচ্ছপগুলোকে উন্মুক্ত জলাশয়ে অবমুক্ত করেছি। ’
১৮৮ দিন আগে
সিলেটে তুলে নিয়ে প্রাইভেটকারে গৃহ পরিচারিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ
সিলেটে এক গৃহ পরিচারিকাকে প্রাইভেটকারে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনায় ধর্ষণকারীর সঙ্গে জড়িত অপর এক নারী সহযোগিসহ চার জনের নামে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) দক্ষিণ সুরমা থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
রবিবার (২২ জুন) রাতে অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এসএমপির দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান।
তিনি জানান, ২১ জুন রাতে চারজনকে অভিযুক্ত করে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ওই নারী।
অভিযুক্তরা হলেন— সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার নভাগ কামালবাজার গ্রামের বাসিন্দা। একই গ্রামের মতিউর রহমান নাজমুল, ফাহিম, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর মাহমুদা বেগম।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জের হতদরিদ্র পরিবারের পাঁচ সন্তানের জননী ওই নারী। স্বামী পঙ্গু হওয়ার কারণে মাহমুদার সঙ্গে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার একই বাসায় গৃহ পরিচারিকার কাজ করতেন তিনি।
গত বুধবার (১৮ জুন) কাজ শেষে ভাড়া বাসায় ফেরার পথে অন্য একটি বাসায় কাজের কথা বলে মাহমুদা অপর তিন ব্যক্তির সঙ্গে ভুক্তভোগী নারীকে তুলে দেন প্রাইভেট কারে।
পুলিশ আরও জানায়, প্রাইভেটকারের ভেতরই ওই নারীকে আপক্তিকর প্রস্তাবসহ তার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে জোর-পূর্বক কয়েক দফা শ্লীলতাহানী ঘটায় ওই তিন আরোহী। প্রায় ঘণ্টা খানেক প্রাইভেটকার চালিয়ে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাথরুমের পাশে ওই নারীকে জোরপূর্বক নামানো হয়।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
এরপর, দুই সহযোগীকে পাহারায় রেখে আবু সালমান ওরফে আবুল ওই নারীকে হত্যার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেন।
এক পর্যায়ে পাহারায় থাকা অপর দুজন ফের ধর্ষণের চেষ্টা করলে ওই নারী কান্নাকাটি, চিৎকার শুরু করলে নারীকে বিদ্যালয়ের বাথরুমের পাশে ফেলে রেখে আবু সালমান ওরফে আবুল তার সহযোগীদের নিয়ে চলে যান।
পরে বাসায় ফিরে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয় লোকজনকে ধর্ষণের ঘটনাটি অবহিত করেন ভুক্তভোগী নারী।
এরপর, শুক্রবার (২০ জুন) সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিজ সেন্টারে চিকিৎসার জন্য তাকে ভর্তি করান পরিবারের লোকজন।
চিকিৎসা গ্রহণ ও ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর শনিবার হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দিলে ওই দিনই থানায় অভিযোগ করেন ওই নারী।
ওসি মিজানুর রহমান জানান, অভিযোগে একাধিক ব্যক্তির নাম থাকায় তদন্তে সম্পৃক্ততা পেলে পরবর্তীতে থানায় মামলা রুজু করা হবে।
১৮৯ দিন আগে
দাফনের আগে জানা গেল ‘মৃত ব্যক্তি’ জীবিত
সিলেটে এক ব্যক্তিকে দাফনের আগমুহূর্তে জানা গেছে যে তিনি জীবিত; হাসপাতাল থেকে যে লাশ নিয়ে আসা হয়েছে সেটি তার নয়। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
রবিবার (২২ জুন) সকালে সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার ৬ নম্বর সুলতানপুর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগ্রাম (এতিছানগর) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
যে ব্যাক্তির দাফন নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে তার নাম সাবু আহমদ। তিনি জকিগঞ্জ জেলার বাসিন্দা।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, শনিবার (২১ জুন) রাতে ফেসবুকে ছবি দেখে সাবুর ছোট ভাই বাবুল আহমদ জানতে পারেন, তার ভাইয়ের লাশ জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে। এরপর ভাইয়ের লাশ মনে করে অজ্ঞাতনামা ওই লাশ বাড়িতে নিয়ে আসেন বাবুল। এরপর তিনি লাশের দাফন ও কবর খোড়ার ঠিক আগমুহূর্তে জানতে পারেন সাবু জীবিত আছেন।
বাবুল বলেন, আমার বড় ভাই সাবু একজন মানসিক রোগী। গত এক সপ্তাহ ধরে তাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে রাতে (শনিবার) ফেসবুকে ছবি দেখে মনে হয়েছিল সে মারা গেছে। তাই আমরা হাসপাতালে গিয়ে লাশটি নিয়ে এসে দাফনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম।ৎ
আরও পড়ুন: মৌলভীবাজারে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে যুবক নিহত
তিনি বলেন, তবে শনিবার দিবাগত গভীর রাতে আমাদের এক পরিচিতজন জানান, আমার ভাই বেঁচে আছেন এবং স্থানীয় গঙ্গাজল বাজারে আছেন।
তিনি আরও জানান, ভাই জীবিত আছেন জানতে পেরে তিনি হাসপাতালে ওই লাশটি ফেরত দিতে চান। তবে জকিগঞ্জ জামায়াতে ইসলামীর যুব বিভাগের নেতা মিজানুর রহমানের অনুরোধে সেটি দাফনের জন্য নিয়ে আসেন।
জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম মুন্না বলেন, ‘একজন অজ্ঞাত-পরিচয়ের লোক চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা গেছেন। পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আগেই ওই ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাড়িতে নিয়ে লাশের দাফন-কাফন ও কবর খোঁড়ার ঠিক আগমুহূর্তে মৃত সাবু আহমদ জীবিত আছেন বলে আমরা শুনেছি।
এদিকে, জানাজার ইমাম মাওলানা জালাল উদ্দিন জানান, রবিবার বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় এতিছানগর জামে মসজিদে জানাজা শেষে বাবুর বাজার-সংলগ্ন কবরস্থানে লাশটি দাফন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
তিনি আরও বলেন, ‘আমি থানার ওসি সাহেবের সঙ্গে কথা বলে মানবিক দিক বিবেচনা করে লাশের জানাজা পড়াই এবং দাফনের জন্য বলি।’
এ বিষয়ে জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শেখ মো. আব্দুল আহাদ বলেন, ‘অজ্ঞাত পরিচয়ে চিকিৎসাধীন ওই ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করার পর আমরা নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় লাশ সিলেটে পাঠানোর উদ্যোগ নেই। ঠিক তখনই তার ভাই ও আত্মীয়স্বজন পরিচয়ে লোকজন এসে লাশটি নিয়ে যান। এখন শুনছি ওই ব্যক্তি নাকি তাদের কেউ নন।’
১৮৯ দিন আগে
ময়মনসিংহে তিন যানের সংঘর্ষে ২ জন নিহত
ময়মনসিংহের তারাকান্দায় বাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও পিকআপ ভ্যানের ত্রিমুখী সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১০ জন।
রবিবার (২২ জুন) দুপুর ১২টার দিকে ময়মনসিংহ-শেরপুর অঞ্চলিক সড়কের বাগুন্দা নামক স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শেরপুর হতে ঢাকাগামী জি কে পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা অটোরিকশা ও পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষ হলে এই ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে দুজন নিহত হন।
খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতাল ও স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
নিহতরা সিএনজির যাত্রী বলে জানা গেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
এ ঘটনায় শেরপর-ময়মনসিংহ অঞ্চলিক সড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে।
তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) টিপু সুলতান জানান, পুলিশ লাশদুটি উদ্ধার করেছে। এ ছাড়া দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িগুলোও জব্দ করা হয়েছে। তবে সব চালক পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
১৯০ দিন আগে
চট্টগ্রামে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
চট্টগ্রামের মিরসরাই ও পটিয়া উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় চালক ও সহকারীসহ তিনজন হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৪ জন।
রবিবার (২২ জুন) সকালে এই দুর্ঘটনাগুলো ঘটে।
এর মধ্যে মিরসরাইয়ে ড্রামট্রাক ও চলন্ত লরির ধাক্কায় ২ জন এবং পটিয়া বাইপাস সড়কের বৈলতলী রোড ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় একজন নিহত ও ৪ জন আহত হন বলে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
মিরসরাইয়ের দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন— ড্রামট্রাক চালক মো. ফারুক হোসেন (৩৯)। তিনি খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার বসু মিয়া পাড়ার আব্দুল মান্নানের ছেলে। তার সঙ্গে প্রাণ হারিয়েছেন চালকের সহকারী রবিউল ইসলাম (৩৫)। তিনি টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার উপজেলার চকতৈল এলাকার আনোয়ারুল ইসলামের ছেলে।
এ বিষয়ে জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বোরহান উদ্দিন বলেন, সকালে রবিবার সকাল ৮টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাইয়ের ঠাকুরদিঘি বাজারের উত্তর পাশে ঢাকামুখী লেনে দ্রুত গতির ড্রামট্রাকটি ওভারটেক করার সময় কন্টেইনারবাহী চলন্ত লরির পেছনে ধাক্কা দেয়। এ সময় ট্রাকের সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই চালক ও তার সহকারী নিহত হন।
আরও পড়ুন: নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জন নিহত
এসআই আরও জানান, তাদের লাশদুটি ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গাড়িগুলো পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্যদিকে, আজ ভোরে পটিয়া বাইপাস সড়কের বৈলতলী রোড এলাকায় শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস ও মাছবাহী একটি ট্রাকের সংঘর্ষে ট্রাকচালক মোহাম্মদ মোরশেদ (২৪) নিহত হয়েছেন।
পটিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন জানান, শ্যামলী পরিবহনের বাসটি চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবান যাচ্ছিল। এ সময় ট্রাকটির সঙ্গে সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলেই নিহত হন ট্রাকের চালক। এ ঘটনায় আরও ৪ জন আহতও হয়েছেন।
১৯০ দিন আগে