সারাদেশ
দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে চাঁদপুর বাজারে ইলিশের আমদানি বেড়েছে
দুমাসের সরকারি নিষেধাজ্ঞার পর চাঁদপুর বাজারে ইলিশের আমদানি বেড়েছে। একইসঙ্গে দামও কমেছে কেজি প্রতি ৫০০-৬০০ টাকা। বুধবার দেখা গেছে আমদানি করা ইলিশের বড় বড় স্তূপ।
মাছ ঘাট ঘুরে দেখা যায়, মাছ ঘাটে (চাঁদপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে) দৈনিক প্রায় ৫০ মণ ইলিশ আমদানি হচ্ছে। এসব ইলিশ আড়তের সামনেই পৃথক স্তূপে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।
ঘাটের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, গত কয়েকদিন ধরে পিকআপ ও ট্রাক করে দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা হাতিয়া, ভোলা, সন্দ্বীপ, চরফেশন থেকে দৈনিক ৪০-৫০ মণ করে ইলশ আসছে।
তারা আরও জানান, তবে নিষেধাজ্ঞার পর এই ঘাটে এখনও কোনো ট্রলার আসেনি। কারণ, প্রতি ট্রলারে ১৫০-২০০ মণ মাছ আসে। এছাড়া তিনদিন আমদানি বেশি হওয়ায় দাম কমতির দিকে।
শহরের নতুন বাজার, পাল বাজার, ওয়ারলেস বাজার, পুরানবাজার ও বাবুরহাট বাজারে গিয়ে দামের এ কমতি লক্ষ্য করা গেছে। প্রতি এক কেজি ইলিশ যেখানে বিক্রি হতো ৩ হাজার টাকায়, সেটা এখন বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ টাকায়।
৭০০/৮০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হতো কেজিতে ২ হাজার ৩০০ টাকা, এখন সেই মাছ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকায়।
শহরের ব্যস্ততম মাছ বাজার বিপনী বাগ মাছ বাজারে গিয়ে দেখা গেছে—এক কেজির পদ্মার ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৩০০ বা ২ হাজার ৫০০টাকায়। আগে যা বিক্রি হতো ৩ হাজার বা ৩ হাজার ২০০ টাকায়। ৬০০/৭০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৫৫০ টাকা। আগে বিক্রি হচ্ছিলো ২ হাজার ২০০-২ হাজার ৩০০ টাকায়।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় বৈশাখে ইলিশ বিক্রিতে ভাটা, হতাশ ব্যবসায়ীরা
এদিকে ছোট মাপের ইলিশ বিক্রি হেচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা কেজিতে। দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলার ইলিশের দাম আরও কম।
এক কেজি ওজনের ইলিশ ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা। দুটায় এক কেজি হয় এমন ইলিশ কেজি ৮০০-৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে এসব মাছের স্বাদ কম।
জেলার মৎস্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, মাহবুবে রশিদসহ অন্যরা বলছেন, আগামী জুলাই, আগষ্ট ও সেপ্টেম্বরে ইলিশ মাছ ভরপুর পাওয়া যাবে। জেলেরাও এমনটাই আশা প্রকাশ করছেন।
ইলিশ ব্যবসায়ীদের নেতা/সভাপতি শবেবরাত সরকার ইউএনবিকে বলেন, ‘সামনে জুন-জুলাই বৃষ্টি বাড়বে, নদ-নদীতে পানিও বাড়বে, স্রোত বাড়বে, তখন ইলিশের আমদানিও বেশি হবে।
২২৮ দিন আগে
রৌমারী সীমান্তে বজ্রপাতে বিজিবি সদস্য নিহত
কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্তে টহলরত অবস্থায় বজ্রপাতে এক বিজিবি সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরও চারজন। আহতদের মধ্যে তিনজন বিজিবি সদস্য এবং একজন আনসার সদস্য রয়েছেন।
বুধবার (১৪ মে) দিবাগত রাত ১টায় উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের কাউনিয়ারচর-খেতারচর সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বিজিবি সদস্য রিয়াদ হোসেন (৩২) জামালপুর ৩৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের দাঁতভাঙ্গা বিওপির সিপাহি।
আহতরা হলেন— বিজিবি সদস্য হাবিলদার জসিম (৫২), সিপাহি নাদিম (২৮), সিপাহি শাহীন (২৮) ও আনসার সদস্য ফেরদৌস হোসেন (৩৬)।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিজিবি দাঁতভাঙ্গা ক্যাম্পের কমান্ডার সুবেদার ফরিদ।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, ওই রাতে রৌমারী সীমান্তের আন্তর্জাতিক সীমানা মেইন পিলার ১০৫৪ এলাকার কাছে কাউনিয়ারচর-খেতারচর এলাকায় টহলে ছিলেন একদল বিজিবির সদস্য। এ সময় হঠাৎ শুরু হওয়া বজ্রপাতে একজন আনসার ও চারজন বিজিবির সদস্য গুরুতর আহত হন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইয়ে বজ্রপাতে ছেলের মৃত্যু, আহত মা
আহতদের উদ্ধার করে তাৎক্ষণিকভাবে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক রিয়াদ হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি চারজনের মধ্যে দুইজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। অপর দুইজন রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. নবিউল ইসলাম বলেন, ‘বজ্রপাতে মৃত অবস্থায় এক বিজিবি সদস্যকে হাসপাতালে আনা হয়। গুরুতর আহত আরও দুজন বিজিবি সদস্যের অবস্থার অবনতি হলে তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। বাকিদের রৌমারী হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রৌমারী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লুৎফর রহমান। তিনি জানান, সীমান্তে টহল দেয়ার সময় বজ্রপাতের শিকার হয়ে এক বিজিবির সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। আরও ৪ জন আহত অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
২২৮ দিন আগে
সিলেট সীমান্তে পুশ-ইন হওয়া ১৬ জনের পরিচয় মিলেছে
সিলেটের কানাইঘাট সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পুশ-ইন হওয়া ১৬ জনের পরিচয় মিলেছে। পরিচয় শনাক্তের পর তাদেরকে কানাইঘাট থানায় হস্তান্তর করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বিজিবি সূত্র থেকে জানা যায়, প্রায় এক যুগের বেশি সময় ধরে তারা ভারতে বসবাস করতেন। পুশ-ইন হওয়া ওই ১৬ জনের মধ্যে ১২ জনই নয়াদিল্লির একটি ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করতেন। এ ছাড়া, একজন খাসিয়ার একটি রেস্টুরেন্টে এবং অন্য আরেকজন সেখানে একটি বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতেন।
পুশ-ইন হওয়া ব্যক্তিরা হলেন— বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ থানার ডেপুয়ারপার গ্রামের আলী খান (২৪), একই থানার বাইজরা গ্রামের রহিম আলী (৩৫), আফসানা আক্তার (১৯), কুড়িগ্রাম জেলার কচাকাটা থানার বালারহাট গ্রামের জয়নাল মন্ডল ও তার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৫৫), একই জেলার ফুলবাড়িয়া থানার পূর্ব ধনিয়াম গ্রামের মো. জকুরুল (৬০) ও তার স্ত্রী লাইলী বেগম (৪৬), তাদের ছেলে মো. নয়ন (২৫), মো. মিলন (১৪), একই গ্রামের নুর ইসলাম (৩০), তার ছেলে মো. মমিন (৬), শরিফা বেগম (১৭), মরিয়ম বেগম (২৫), একই থানার আজ-অটোয়ারী গ্রামের মৃত জিতেশের ছেলে শ্রী মিলন (৩৪) ও তার স্ত্রী ফুলমতি (২২) এবং তাদের সন্তান শ্রী মিতুন (৪)।
আরও পড়ুন: বিএসএফের পুশ-ইন, সিলেট সীমান্তে নারী-শিশুসহ আটক ১৬
এর আগে, বুধবার (১৪ মে) সকালে কানাইঘাট সীমান্ত দিয়ে নারী ও শিশুসহ ১৬ জনকে বাংলাদেশে পুশ-ইন করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। খবর পেয়ে সীমান্তবর্তী সুরমা বাজার থেকে তাদের আটক করে বিজিবি। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তাদের পরিচয় পাওয়া যায়।
আটক ব্যক্তিরা জানান, প্রায় ১০ দিন আগে ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনী (সিআইডি) ইটভাটা সংলগ্ন কলোনিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। পরে কানাইঘাট সীমান্ত দিয়ে তাদের বাংলাদেশে পুশ-ইন করে বিএসএফ।
কানাইঘাট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সায়েম জানান, আটকদের থানায় হস্তান্তর করেছে বিজিবি। এখন তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২২৮ দিন আগে
চুয়াডাঙ্গায় ধান শুকাতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে গৃহবধূর মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় বাড়ির ছাদে ধান শুকাতে গিয়ে পড়ে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন নাসিমা খাতুন নামে এক গৃহবধূ।
বুধবার (১৪ মে) দুপুরে উপজেলার নতুন বাস্তুপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত নাসিমা খাতুন (৫০) ওই গ্রামের স্কুলপাড়ার বাসিন্দা ফইম উদ্দিনের স্ত্রী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ (বুধবার) সকালে একতলা বাড়ির ছাদে ধান শুকানোর সময় হঠাৎ পা ফসকে নিচে পড়ে যান নাসিমা। এ সময় শব্দ শুনে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. শাপলা খাতুন বলেন, ‘হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি।’
২২৮ দিন আগে
বিএসএফের পুশ-ইন, সিলেট সীমান্তে নারী-শিশুসহ আটক ১৬
সিলেটের কানাইঘাট সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় নারী ও শিশুসহ ১৬ জনকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
কাল ৮টার দিকে বিজিবির ১৯ ব্যাটালিয়নের একটি টহল দল কানাইঘাটের আটগ্রাম সীমান্ত থেকে তাদের আটক করে।
আটকদের মধ্যে আটজন পুরুষ, ছয় জন নারী ও দুইজন শিশু রয়েছে।
বিজিবি জানিয়েছে, তারা সবাই দীর্ঘদিন ধরে ভারতের অভ্যন্তরে অবৈধভাবে বসবাস করছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সীমান্ত এলাকায় নজরদারি জোরদার করা হলে আটগ্রাম সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের সময় তাদের আটক করা হয়।
বিজিবি সূত্র জানায়, আটকরা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে ভারতে বসবাস করছিলেন। এরপর আজ (বুধবার) সকালে বিএসএফ তাদের পুশ-ইন করে।
আরও পড়ুন: সীমান্তে ভারতের পুশ-ইন: সরকারের নীরবতায় ক্ষোভ ঝাড়লেন রিজভী
বিষয়টি নিশ্চিত করে কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আলম বলেন, ‘বিভিন্ন বয়সী নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ১৬ জনকে বাংলাদেশে পুশব্যাক করা হয়েছে। তারা বাগেরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলার বাসিন্দা বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।’
তিনি আরও জানান, বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে, তবে এখনো তারা বিজিবির হেফাজতেই রয়েছেন।
বিজিবি ১৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জুবায়ের আনোয়ার বলেন, ‘আটকদের পরিচয় নিশ্চিত করার কাজ চলছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইনি প্রক্রিয়ায় তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবির টহল কার্যক্রম আরও জোরদার করা হয়েছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
২২৯ দিন আগে
চুয়াডাঙ্গায় আবারও তাপমাত্রা ঊর্ধ্বমুখী, তাপদাহে হাঁসফাঁস জনজীবন
চুয়াডাঙ্গায় টানা এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলমান তাপপ্রবাহ জনজীবন বিপর্যস্ত করে তুলেছে। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা গত ছয় দিন ধরে এ জেলাতেই রেকর্ড হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বুধবার (১৪ মে) বিকাল ৩টায় জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৩৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৪২ শতাংশ।
এর আগের দিনগুলোতেও তাপমাত্রা ছিল প্রায় একই রকম। মঙ্গলবার ৩৮.৭, সোমবার ৩৮.৮, রবিবার ৪১.৮ এবং শনিবার জেলায় এই মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
প্রায় ৪০ ডিগ্রি ছুঁই ছুঁই এই গরমে জনজীবন নাকাল হয়ে পড়েছে। মে মাসের শুরু থেকেই সূর্যের তীব্রতা বাড়তে থাকায় চুয়াডাঙ্গার মানুষ রীতিমতো হাঁসফাঁস করছে। চলমান এই তাপপ্রবাহে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ, রিকশাচালক, ভ্যানচালক ও কৃষিকাজে নিয়োজিতরা। দিনে রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে।
আলমডাঙ্গা শহরের বাসিন্দা নাজমুল হক শাওন বলেন, ‘রাস্তায় বের হলেই মনে হয় শরীর পুড়ে যাচ্ছে। এই গরমে নিঃশ্বাসও নিতে কষ্ট হচ্ছে।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালপাড়ার বাসিন্দা সাকিব আলী বলেন, ‘গত কয়েকদিনে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা আমাদের এখানেই। চলাচলে খুব কষ্ট হচ্ছে। এখনই যদি বৃষ্টি না হয়, তাহলে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়বে।’
আরও পড়ুন: সারা দেশে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর
চুয়াডাঙ্গার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. আওলিয়ার রহমান জানান, তাপ্রবাহের কারণে হিটস্ট্রোক ও পানিশূন্যতায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা সবাইকে প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হওয়ার এবং দিনে অন্তত ৩-৪ লিটার পানি পান করার পরামর্শ দিচ্ছি।’
স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, অতিরিক্ত গরমে হিটস্ট্রোক, পানিশূন্যতা, রক্তচাপ কমে যাওয়া ইত্যাদি স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। এ অবস্থায় সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
তবে এই গরমের মাঝে স্বস্তির কথা জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান। তিনি বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন জায়গায় ইতোমধ্যে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। চুয়াডাঙ্গায়ও দুয়েক দিনের মধ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।’
২২৯ দিন আগে
ময়মনসিংহে রেলওয়ের জমিতে থাকা শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
ময়মনসিংহ শহরের সানকিপাড়া রেলগেট এলাকায় রেলওয়ের জমি দখল করে গড়ে ওঠা শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (১৪ মে) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযানটি পরিচালিত হয়।
এ সময় নগরীর সানকিপাড়া রেলগেইটের সামনে দুপাশে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা বাজার ও দোকানপাটসহ রেলওয়ে স্টেশনের আশপাশের এলাকায় থাকা অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন রেলওয়ের ঢাকা বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন মাহমুদ। তার সঙ্গে ছিলেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শফিকুল ইসলাম, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর কমান্ড্যান্ট মো. সিরাজুল ইসলাম, আনসার প্লাটুন কমান্ডার রবিউল হাসান ও সেনা কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: অবৈধ দখল-দূষণের কবলে ফেনীর ২৪৪ নদী ও খাল
উচ্ছেদ চলাকালে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, এই উচ্ছেদ অভিযানে তাদের পথে বসার উপক্রম হয়েছে। তাদের স্থানান্তর বা বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না করে উচ্ছেদ করায় তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এ বিষয়ে সরকারের সহযোগিতাও কামনা করেছেন তারা।
রেলওয়ের বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে একটি প্রভাবশালী মহল রেলওয়ের জমি অবৈধভাবে দখল করে সাধারণ ব্যবসায়ীদের কাছে ভাড়া দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিল। ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন বেআইনিভাবে এসব জমি লিজ দিয়েছে যা তাদের কোনো এখতিয়ারেই পড়ে না।’
তিনি বলেন, ‘সানকিপাড়া বাজার কয়েক যুগ ধরে বেআইনিভাবে লিজ দিয়ে আসছে সিটি করপোরেশন। ভবিষ্যতে এসব জমি নিয়মতান্ত্রিকভাবে টেন্ডারের মাধ্যমে লিজ দেওয়া হবে।’ আগের ব্যবসায়ীরাও এতে অংশ নিতে পারবেন বলে জানান তিনি।
অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যহত থাকবে বলেও জানান নাসির উদ্দিন মাহমুদ।
আরও পড়ুন: ঢামেকের অভিযানে অবৈধ ২১ হুইলচেয়ার জব্দ
রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘উচ্ছেদ অভিযানের শুরুতে ব্যবসায়ীদের বাধায় কিছু সময় কার্যক্রম স্থগিত রাখতে হয়। পরে বিভাগীয় কমিশনার ও সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো. মোখতার আহমদের সুপারিশে দুপুর ১টার দিকে অভিযান স্থগিত করা হয়।’ এ বিষয়ে বুধবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
২২৯ দিন আগে
গোবিন্দগঞ্জে জমি নিয়ে সংর্ঘষে নিহত ১, আহত ১৩
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুপক্ষের সংর্ঘষে আব্দুল মজিদ (৬৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৩ জন।
বুধবার (১৪ মে) দুপুরে এই ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুল মজিদ উপজেলার কাটাবাড়ী ইউনিয়নের পলুপাড়া গ্রামের মৃত কছিল উদ্দীনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, পলুপাড়া গ্রামের আমিরুলের সঙ্গে এক বিঘা জমি নিয়ে মজিদের দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব ছিল। আজ (বুধবার) দুপুরে আমিরুল, পল্লব, জুনায়েদসহ আরও কয়েকজন মজিদের জমির ধান কাটতে গেলে তিনি ধান কাটতে বাধা দেন। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে সংর্ঘষ হলে আব্দুল মজিদসহ ১৩ জন আহত হন। আহতদের হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মজিদকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কালবৈশাখীতে গাছের ডাল পড়ে র্যাব সদস্য নিহত
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে। প্রায় এক বিঘা জমির ধান কাটা নিয়ে এই দ্বন্দ্ব। এ ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন।’
২২৯ দিন আগে
জুয়ার আসরে বিজিবি সদস্য, ‘পুলিশের তাড়া খেয়ে’ নিহত
গোপালগঞ্জে হাফিজুর রহমান রিপন (৪৫) নামে সাবেক এক বিজিবি সদস্যের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৪ মে) দুপুরে সদর উপজেলার কলপুর গ্রামের বিল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
হাফিজুর রহমান রিপনের বাড়ি কলপুর গ্রামে। তার লাশ উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহতের স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম জানান, মঙ্গলবার দুপুরের খাওয়া শেষে বাড়ি থেকে বের হন হাফিজুর। রাতে বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। আজ (বুধবার) সকালে স্থানীয়রা তার লাশ পড়ে থাকতে দেখে পরিবার ও বৌলতলী পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে খবর দেন। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির মো. সাজেদুর রহমান বলেন, ‘মঙ্গলবার দিবাগত রাতে কলপুর এলাকায় একটি জুয়ার আসরে পুলিশ হানা দেয়। ওই আসরে সাবেক বিজিবি সদস্য হাফিজুর রহমান রিপনও ছিলেন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা বিভিন্ন দিক ছুটে পালান। তারপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।’
আরও পড়ুন: কালবৈশাখীতে গাছের ডাল পড়ে র্যাব সদস্য নিহত
২২৯ দিন আগে
নড়াইলে কৃষককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
নড়াইলের লোহাগড়ায় খাজা মোল্যা (৪৫) নামে এক কৃষককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে। বুধবার (১৪ মে) উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের কুমারডাঙ্গায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত খাজা মোল্যা ইতনা ইউনিয়নের কুমারডাঙ্গা পার ঈশাখালি গ্রামের লবা মোল্যার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার সকালে কৃষক খাজা মোল্যা নিজ বাড়ি থেকে চা পানের উদ্দেশে কুমারডাঙ্গা বাজারে যান। সেখানে দুর্বৃত্তরা ধারাল অস্ত্রসহ খাজা মোল্যাকে ঘিরে ফেলে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইয়ে বজ্রপাতে ছেলের মৃত্যু, আহত মা
পরে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তাকে জখম করে। উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুর রহমান বলেন, ‘নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।’
২২৯ দিন আগে