বাংলাদেশ
সংখ্যালঘুদের বিপদে না ফেলতে সরকারের প্রতি আহ্বান মির্জা ফখরুলের
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যরা যাতে কোনো ধরনের হয়রানি বা ভোগান্তির শিকার না হন, সে বিষয়ে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রায় ৫০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির বিএনপিতে যোগদান অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হাতে ফুল দিয়ে দলে যোগ দেন।
এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পরিষ্কার করে সরকারকে বলতে চাই, বিশেষ করে সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উদ্দেশে- আমরা দেখতে চাই না যে, আপনারা আমাদের সংখ্যালঘু মানুষদের কোনো রকম বিপদের মধ্যে ফেলছেন বা কোনো রকম সমস্যা তৈরি করছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমার কাছে অনেক খবর আসে। দয়া করে এই সম্প্রদায়ের মানুষদেরকে কখনো হয়রানি করবেন না। তারা আমাদের সদস্য, আমাদের ভাই, আমরা তাঁদের পাশে আছি এবং সমস্ত শক্তি নিয়ে থাকব।’
নতুন সদস্যদের স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা নিশ্চিত থাকতে পারেন এখন থেকে। আপনারা আমাদের বন্ধু। আমরা আপনাদের পাশে আছি।’
জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বাইরের কিছু কিছু মানুষ, কিছু দেশ, কিছু মিডিয়া (গণমাধ্যম), তারা বাংলাদেশের ব্যাপারে একটা মিথ্যা প্রচারণা করার চেষ্টা করছে। আমরা এ ধারণা পাল্টে দিতে চাই।’
বিএনপির আদর্শ প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, ‘আমাদের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ২০১৬ সালে তিনি একটা কর্মসূচি দিয়েছিলেন, অর্থাৎ ২০৩০ সালে বাংলাদেশকে আমরা কেমন দেখতে চাই, তার ওপর তিনি প্রস্তাব দিয়েছিলেন অনেকগুলো। তার মধ্যে একটা প্রস্তাব ছিল যে বাংলাদেশকে তিনি একটা রেইনবো স্টেট হিসেবে দেখতে চান। অর্থাৎ রংধনু একটা রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চান। রংধনু যেখানে অনেক রং থাকে একসাথে মিলে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন যে দুর্গা পূজায় এবং তার আগের দুর্গাপূজতেও আমাদের বিএনপির নেতা-কর্মীরা আপনাদের প্রতিটি পূজা মণ্ডপে আপনাদের কাছে গেছে এবং আপনাদের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। আমার নিজের এলাকা ঠাকুরগাঁও এলাকায় সেথানে ২৬৫টি পূজা মণ্ডপ আছে সেখানে তাদের সঙ্গে আমাদের নেতা-কর্মীরা আমরা পূজার যে আনন্দ সেটাকে ভাগ করে নিয়েছি।’
৬৯ দিন আগে
প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য পাসপোর্ট ফি কমানো হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
প্রবাসী শ্রমিক তথা রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের জন্য পাসপোর্ট ফি কমানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকালে বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, প্রবাসীরা আমাদের অর্থনীতির প্রাণ। তাই তাদের জন্য পাসপোর্ট ফি যৌক্তিক পর্যায়ে কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রবাসীরা সাধারণত বাংলাদেশ বিমানে আসা-যাওয়ার চেষ্টা করেন। কেননা, বিমানে তাদের ভাষা বুঝতে সহজ হয় ও দেশি খাবার খেতে পারে। সেজন্য বিমানের সার্ভিসের মান আমরা বাড়ানোর চেষ্টা করছি।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন লাগার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, এ বিষয়ে গতকাল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে একটা বৈঠক হয়েছে। সেখানে স্বরাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। কী কারণে দুর্ঘটনা হলো সেটা তারা তদন্ত করে দেখবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করবে।
নির্বাচন নিয়ে সংশয় বা চ্যালেঞ্জ রয়েছে কিনা- এ প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, এ বিষয়ে কোনো সংশয় নেই, তবে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আর এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে যা আগে কখনো ছিল না। তাছাড়া গত তিন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যারা দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের এ নির্বাচনে যথাসম্ভব দূরে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।
ব্রিফিংয়ে প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়নবিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ এনডিসি, আইজিপি বাহারুল আলম বিপিএম, বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী এনডিসি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
৬৯ দিন আগে
বিমানবন্দরের ই-গেট খুব তাড়াতাড়ি খুলে দেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
খুবই তাড়াতাড়ি, আগামী দু-চার দিনের মধ্যে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ই-গেট খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সোমবার (২০ অক্টোবর) সচিবালয়ে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে উপদেষ্টা এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা খুবই তাড়াতাড়ি বিমানবন্দরে এই গেট খুলে দেব, পাসপোর্ট দেখিয়েই যাতে যাত্রীরা ঢুকে যেতে পারে। আমরা বলে দিয়েছি, ই-পাসপোর্ট বা ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট এই ডিসেম্বরের মধ্যে মোটামুটি বিদেশেরগুলো করে দেব।’
বিমানবন্দরের ই-গেট কবে নাগাদ খুলে দেওয়া হবে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘ই-গেট ইনস্টল হয়ে গেছে, হয়তো দু-চার দিনের মধ্যেই আমরা খুলে দেব।’
এ সপ্তাহের মধ্যে খুলে দেওয়া হবে কিনা- এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘মোটামুটি, তবে এক্সাক্টলি বলতে পারব না। তবে পাসপোর্টের ডিজি থাকলে বলতে পারতেন।’
কয়েক বছর আগে ই-গেট স্থাপনের সময় বিমানবন্দরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, অল্প সময়ে কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়াই যাত্রী নিজে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে পারবেন। অর্থাৎ, ই-পাসপোর্ট নিয়ে যখন ই-পাসপোর্টধারী ই-গেটের কাছে যাবেন, তখন একটি নির্দিষ্ট স্থানে ই-পাসপোর্টটি রাখলে সঙ্গে সঙ্গে গেট খুলে যাবে। নির্দিষ্ট নিয়মে গেটের নিচে দাঁড়ানোর পর ক্যামেরা ছবি তুলে নেবে। এরপর সব ঠিকঠাক থাকলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই যাত্রী ইমিগ্রেশন পেরিয়ে যেতে পারবেন।
যাত্রীদের অভিযোগ, এখন বিমানবন্দরের কোনো ই-গেট সচল নেই। যাত্রীরা এর সুফল পাচ্ছেন না। উল্টো ইমিগ্রেশনের লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
৬৯ দিন আগে
কর্মচারীদের কাজ মূল্যায়নের নতুন পদ্ধতি বাস্তবায়নে পরিপত্র জারি
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সরকারি কাজের জবাবদিহিতা, দক্ষতা ও জনকল্যাণ নিশ্চিতে প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের মূল্যায়নের নতুন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে।
এ জন্য বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির (এপিএ) পরিবর্তে নতুন সরকারি কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ পদ্ধতি (জিপিএমএস) চালু হচ্ছে।
সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে নির্ধারিত নির্দেশিকা অনুসরণ করে নিজ নিজ জিপিএমএস প্রস্তুত করে নির্ধারিত সফটওয়্যারে জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
রোববার (১৯ অক্টোবর) এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
পরিপত্রে জানানো হয়, ২০১৪-১৫ অর্থবছর থেকে প্রচলিত এপিএ ব্যবস্থার পরিবর্তে নতুন এই জিপিএমএস পদ্ধতি উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদিত হয়েছে। সংস্কার ও জনসেবার অগ্রাধিকার বিবেচনায় সরকারি কার্যক্রমকে আরও বাস্তবমুখী, সহজীকৃত ও গতিশীল করাই এর মূল লক্ষ্য।
এতে বলা হয়েছে, জিপিএমএস-এর আওতায় প্রত্যেক মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও অধীন সংস্থাকে তিন বছর মেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। সেই পরিকল্পনার আলোকে প্রতি অর্থবছরে বার্ষিক কর্মসম্পাদন পরিকল্পনা তৈরি করা হবে এবং অর্থবছর শেষে প্রতিটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে কৌশলগত প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।
অর্থবছর শেষে জিপিএমএস-এর সার্বিক মূল্যায়ন উপদেষ্টা পরিষদ বা মন্ত্রিসভা কমিটি থেকে অনুমোদিত হবে। এ কার্যক্রম বাস্তবায়নের সুবিধার্থে কাজের ধরন অনুযায়ী মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে সাতটি গুচ্ছ বা ক্লাস্টারে ভাগ করা হয়েছে।
নতুন পদ্ধতির আওতায় প্রতিটি মন্ত্রণালয়কে সরকারের উন্নয়ন অগ্রাধিকার, কর্মবণ্টন কাঠামো (অ্যালোকেশন অব বিজনেস) এবং বাজেট কাঠামোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জিপিএমএস প্রণয়ন করতে হবে। এতে চারটি কর্মসম্পাদন ক্ষেত্র নির্ধারণ করে সেই অনুযায়ী কার্যক্রম ও লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করতে হবে।
৬৯ দিন আগে
কার্গো ভিলেজের আগুনে ১ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি: ইএবি
রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রাথমিকভাবে ১ বিলিয়ন ডলার বা প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে ‘এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’ (ইএবি)।
সোমবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ইএবি সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘এই অগ্নিকাণ্ড শুধু আর্থিক ক্ষতি নয়, বরং বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকেও মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন করেছে। নিরাপত্তাজনিত অব্যবস্থাপনার দায় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (সিএএবি), কাস্টম হাউস এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস—কেউই এড়াতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘কার্গো ভিলেজের মালিক সিএএবি, কাস্টমস তত্ত্বাবধায়ক, আর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস হ্যান্ডলিং এজেন্ট হিসেবে দায়িত্বে থাকলেও কেউই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি। এই ব্যর্থতাই আজকের ভয়াবহ বিপর্যয়ের কারণ।’
কার্গো ভিলেজে বহু বছর ধরে খোলা আকাশের নিচে পণ্য রাখা হয়। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নেই এবং চুরির ঘটনাও ঘটে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটি শুধু ব্যবসায়িক ক্ষতির কারণ নয়, বরং আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে।’
হাতেম আরও বলেন, ‘একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় অটো ফায়ার ডিটেকশন ও প্রটেকশন সিস্টেম না থাকা, ফায়ার সার্ভিসের বিলম্বে পৌঁছানো এবং আগুনের দ্রুত বিস্তার—সবই প্রশাসনিক ব্যর্থতার প্রমাণ।’
তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘এই অগ্নিকাণ্ড কি কেবলই দুর্ঘটনা, নাকি পরিকল্পিত? দায় কার, তা জনগণ জানতে চায়। সরকারকে অবিলম্বে স্বচ্ছ তদন্ত শুরু করতে হবে।’
ইএবি সভাপতি বলেন, ‘সম্প্রতি আশুলিয়া, মিরপুর, চট্টগ্রাম ইপিজেড ও ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাগুলো শিল্পখাতে চরম উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এই ধারাবাহিকতা উদ্বেগজনক এবং আমাদের রপ্তানিকারকদের নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে ফেলছে।’
ইএবির তথ্য অনুযায়ী, কার্গো ভিলেজ তৈরি পোশাক, চামড়া, ওষুধ, হিমায়িত খাদ্য, কৃষিপণ্য, ফলমূল, ইলেকট্রনিক্স ও বিভিন্ন পচনশীল পণ্য রপ্তানিকারকদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র।
আগুনে পোশাক শিল্প, ফার্মাসিউটিক্যালস ও কৃষিপণ্যের উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অংশ পুড়ে যাওয়ায় ওষুধ শিল্পে কাঁচামাল সংরক্ষণের সংকট দেখা দিয়েছে।
তার আশঙ্কা, এই ঘটনায় রপ্তানি আদেশ বিলম্বিত হওয়ায় ক্রেতাদের আস্থা কমবে, বাজার হারানোর ঝুঁকি তৈরি হবে এবং আন্তর্জাতিক চুক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
ইএবি মনে করে, সরকার ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কমিশন গঠন জরুরি। এই কমিশন কেবল দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটন করবে না, বরং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা প্রতিরোধে কার্যকর নিরাপত্তা নীতি প্রণয়ন করবে।
সংবাদ সম্মেলনে বিকেএমইএ, বিজিএমইএ, বিটিএমএ, বিজিএপিএমইএ, লেদার অ্যান্ড লেদার গুডস, ফ্রোজেন ফুড, ফার্মাসিউটিক্যালস, প্লাস্টিক, জুয়েলারি, হস্তশিল্প, ফলমূল ও শাকসবজি রফতানিকারক সংগঠনের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
৬৯ দিন আগে
ভোটের মাঠে ৮ দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রাখার প্রস্তাব বিবেচনা করবে ইসি
আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাঁচ দিনের পরিবর্তে ভোটের আগে ও পরে মোট আট দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েনের প্রস্তাব বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব আখতার আহমেদ।
সোমবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রস্তুতিমূলক বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা ভোটের মাঠে মূলত পাঁচ দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রাখি। এবার আট দিন রাখার প্রস্তাব এসেছে— নির্বাচনের আগে তিন দিন, নির্বাচনের দিন এবং নির্বাচন-পরবর্তী চার দিন। এটি আমরা পরীক্ষা করে দেখব।’
আখতার আহমেদ জানান, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ সেনা সদস্য মাঠে থাকবে। এছাড়া নির্বাচনে প্রায় দেড় লাখ পুলিশ সদস্য এবং ৫ থেকে ৬ লাখ আনসার-ভিডিপি সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনী বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য মাঠে কাজ করবে। তবে আরপিও সংশোধনের পর বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নির্ধারিত হবে।
এর আগে, আজ সকালে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে ইসি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন এতে সভাপতিত্ব করেন।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীসহ সশস্ত্র বাহিনীর বিভাগ; স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ; পুলিশ সদর দপ্তর; বিজিবি, র্যাব, কোস্টগার্ড, আনসার-ভিডিপি, ডিএজিএফআই, এনএসআই, এনটিএমসি, বিশেষ শাখা (এসবি) ও সিআইডিসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
ইসি সচিব বলেন, বৈঠকে মূলত কয়েকটি বিষয়ে আলোচনা হয়— এর মধ্যে ছিল ভোটকেন্দ্র ও কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা, মাঠ পর্যায়ের বাহিনীর সমন্বয়, অবৈধ অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, বৈধ অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি পর্যবেক্ষণ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া তথ্য ও প্রচারণা প্রতিরোধ, বিদেশি সাংবাদিক, পর্যবেক্ষক ও মনিটরিং সংস্থাগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ইত্যাদি।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনী প্রচারণার সময় সাধারণ নাগরিকদের ড্রোন ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে। তবে প্রয়োজনে নিরাপত্তা রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ড্রোন ব্যবহার করতে পারবে।
নির্বাচন আয়োজনের পরিবেশ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আখতার আহমেদ বলেন, “অবশ্যই নির্বাচন-উপযোগী পরিবেশ বিদ্যমান আছে। সেই পরিবেশকে আরও সুদৃঢ় করতেই আজকের আলোচনা, এবং এটি চলমান থাকবে,” বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
৭০ দিন আগে
জবি শিক্ষার্থী খুন: বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কার্যক্রম স্থগিত ও দুই দিনের শোক ঘোষণা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসেন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আগামী ২২ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের সব কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে দুই দিনের শোক পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষক, ছাত্রনেতা ও সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এক ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২১ ও ২২ অক্টোবর দুই দিন শোক পালন করা হবে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত থাকবে, তবে নিয়মিত ক্লাস চলবে।
প্রথম দিন শোক সভা এবং দ্বিতীয় দিন বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে শোকর্যালি করা হবে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের সব আয়োজন ও আনুষ্ঠানিকতা স্থগিত থাকবে।
৭০ দিন আগে
মিরপুরে আগুনে নিহত ১৬ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর
রাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়িতে পোশাক কারখানা ও কেমিক্যাল গোডাউনে আগুনে নিহত ১৬ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
রোববার(১৯ অক্টোবর) রাত সোয়া ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গ থেকে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তরে প্রক্রিয়া শুরু হয়। রাত সাড়ে ১২টার দিকে হস্তান্তর শেষ হয়।
রূপনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান জানান, রাতে মালিবাগ সিআইডি ফরেনসিক থেকে নিহত ১৬ জনের ডিএনএ নমুনা তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে স্বজনদের খবর দেওয়া হলে তারা ঢামেক হাসপাতালের মর্গে গেলে মরদেহগুলো হস্তান্তর করা হয়।
দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে দাফনের জন্য ২৫ হাজার টাকা করে অনুদান দিয়েছে ঢাকা জেলা প্রশাসন। তেজগাঁও উন্নয়ন সার্কেল প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন এই অনুদান স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেন।
নিহতরা হলেন— বরগুনা জেলার বামনা উপজেলার মৃত ওমর ফারুকের মেয়ে মাহিরা আক্তার(১৪), ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলা দলিগর নগর গ্রামের ওয়াজি উল্লাহের মেয়ে নার্গিস আক্তার(১৮), শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী এলাকার মিজানুর রহমানের সন্তান মো. ছানোয়ার হোসেন (২৫), গাইবান্ধা সদর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের আমিনুল ইসলামের সন্তান নূরে আলম সরকার (২৩), বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার দাড়ি কাটা গ্রামের মৃত মজিবুর রহমানের সন্তান আল মামুন (৩৮), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর থানার তিলকনগর গ্রামের নজু মিয়ার সন্তান রবিউল ইসলাম রবিন (২০), সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার গোল্লা রাজাপুর গ্রামের রতন মিয়ার মেয়ে ফারজানা আক্তার (১৫),বরগুনা সদর উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের মনিরুল ইসলামের ছেলে খালিদ হাসান সাব্বির (২৯), নাটোরের সিংড়া উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে আব্দুল আলিম (১৪), নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার নুরুল্লা গ্রামের সবুজ মিয়ার ছেলে জয় মিয়া (২০), নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার সাউথখালী গ্রামের নয়ন মিয়ার মেয়ে আসমা আক্তার (১৩), নেত্রকোনার মদন উপজেলার কদমশ্রী গ্রামে সনু মিয়ার মেয়ে মুনা আক্তার সামিয়া(১৬), লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার পশ্চিম নওদাবাস গ্রামের আব্দুল মান্নানের মেয়ে মৌসুমী খাতুন (২২), শরিয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর গ্রামের মুছা দেওয়ানের মেয়ে মুক্তা বেগম(৩৬), নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার জয়পুর গ্রামের জজ মিয়ার ছেলে তোফায়েল আহমেদ (১৮) ও কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার পান্টি গ্রামের নাজমুল ইসলাম রিয়াজ (৪০)।
গত বুধবার (১৫ অক্টোবর) ৬টি মরদেহের ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয় ও পরের দিন আরও ১০টি মরদেহের ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বেলা পৌনে ১২টার দিকে ওই পোশাক কারখানা এবং একটি রাসায়নিকের গুদামে আগুন লাগে। এতে ১৬ জন নিহত হন।
৭০ দিন আগে
দ্বিতীয়বারের মতো মালাক্কা আন্তর্জাতিক হালাল ফেস্টিভালে বাংলাদেশ
দ্বিতীয়বারের মতো মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত ‘মালাক্কা আন্তর্জাতিক হালাল ফেস্টিভাল ২০২৫’-এ অংশগ্রহণ করেছে বাংলাদেশ।
মালয়েশিয়ার ঐতিহাসিক মালাক্কা প্রদেশে অবস্থিত মালাক্কা ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড সেন্টারে (এমআইটিসি) ১৬ থেকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত চার দিনব্যাপী আয়োজিত এ উৎসবে খাদ্য ও পানীয়, হালাল ফ্যাশন, হালাল ট্যুরিজমসহ মোট ৯টি ক্লাস্টারে ৪০০টি বুথের মাধ্যমে বাংলাদেশ, কোরিয়া, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, চীন, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, তাইওয়ান ও মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের ৮টি দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে।
মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মালাক্কা প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএবি দাতুক সেরি উতামা এবি রউফ বিন ইউসুহ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আয়োজকদের আমন্ত্রণে উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মনজুরুল করিম খান চৌধুরী।
অনুষ্ঠান শেষে অন্যান্য স্টলের পাশাপাশি বাংলাদেশের স্টল পরিদর্শন করেন মালাক্কা প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও অন্যান্য অতিথিরা। এ সময় হাইকমিশনার তাদের স্বাগত জানান এবং বাংলাদেশের বুথে প্রদর্শিত রপ্তানিযোগ্য পণ্য যেমন- তৈরিপোশাক, পাটজাত পণ্য, সিরামিকস, ওষুধসামগ্রী, চামড়াজাত পণ্য, প্লাস্টিক সামগ্রী, খাদ্য ও পানীয় সম্পর্কে অবহিত করেন।
তিনি হালাল বাণিজ্য সম্প্রসারণে মালাক্কা প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন এবং ভবিষ্যতে আরও বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানকে এই মেলায় অংশগ্রহণের জন্য উৎসাহিত করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ হাইকমিশন কুয়ালালামপুরসহ অন্যান্য প্রদেশে বিভিন্ন বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণ এবং বাজার সম্প্রসারণে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
এই মেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে রাজধানী কুয়ালালামপুর ছাড়াও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে বাংলাদেশের পণ্যের বাজার তৈরির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ হাইকমিশনের বুথে রপ্তানিযোগ্য পণ্যের পাশাপাশি আগামী ডিসেম্বর মাসে ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য ‘গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো ২০২৫’-এর প্রচারণা, রপ্তানি, বিনিয়োগ ও পর্যটন বিষয়ক প্রকাশনা বিতরণ এবং তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
মেলার শেষ দিনে আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ হাইকমিশনকে সফল অংশগ্রহণের জন্য সনদপত্র ও সম্মাননা স্মারক প্রদান করে।
৭০ দিন আগে
ব্যাংকের ঋণ অবলোপনের ৩০ কার্যদিবস আগে গ্রাহককে নোটিশ দিতে হবে
ঋণ অবলোপন নীতিমালায় গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী এনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন নিয়মে, কোনো খেলাপি ঋণ ব্যালান্স শিট থেকে বাদ দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট ঋণগ্রহীতাকে অন্তত ৩০ কার্যদিবস আগে লিখিতভাবে জানানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
রোববার (১৯ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, দীর্ঘ সময় অনাদায়ী অবস্থায় থাকা অবলোপনকৃত ঋণ ব্যাংকের স্থিতিপত্রে প্রদর্শনের কারণে আর্থিক প্রতিবেদন অপ্রয়োজনীয়ভাবে বড় হয়ে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ব্যাংকিং নীতির অংশ হিসেবে, একটানা দুই বছর মন্দ বা ক্ষতিজনক শ্রেণিতে থাকা ঋণ অবলোপনের সুযোগ রাখা হয়েছে।
অবলোপন করা হলেও ঋণগ্রহীতা তার ঋণের সম্পূর্ণ দায় পরিশোধ না করা পর্যন্ত যথানিয়মে খেলাপি ঋণগ্রহীতা হিসেবে চিহ্নিত থাকবেন। তাই কোনো ঋণ অবলোপন করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট গ্রাহককে অবহিত করার আবশ্যকতা থাকায় এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অবলোপনের আগে সংশ্লিষ্ট ঋণগ্রহীতাকে অন্তত ৩০ কর্মদিবস আগে লিখিতভাবে নোটিশ দিতে হবে।
এ ছাড়া ব্যাংকগুলো তাদের নিজস্ব নীতিমালা অনুযায়ী অবলোপনকৃত ঋণ আদায়ের বিপরীতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নগদ প্রণোদনা দিতে পারবে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে। তবে কোনো ব্যাংকের এ সংক্রান্ত নীতিমালা না থাকলে, তা পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনক্রমে প্রণয়ন করতে হবে।
ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে উল্লেখ করে সকল তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৭০ দিন আগে