বাংলাদেশ
১৮ জেলায় ২০ লাখ মানুষ বন্যাদুর্গত: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
নতুন করে আরও তিন জেলায় বন্যা ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানালেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান। এর আগে শনিবার ১৫ জেলায় বন্যার কথা জানিয়েছিলেন তিনি।
রবিবার (৭ জুলাই) সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত জেলার সংখ্যা ১৮টি। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ। বন্যাদুর্গতদের জন্য প্রায় তিন হাজার আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৪০ হাজার লোক আশ্রয় নিয়েছে। বন্যার্তদের চিকিৎসার জন্য ৬১৯টি মেডিকেল টিম তৈরি করা হয়েছে।'
আরও পড়ুন: সব মন্ত্রণালয়ের ক্ষতিগ্রস্তের তালিকা ৯ জুন চূড়ান্ত করব: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
তিনি আরও জানান, ‘সম্প্রতি উজান থেকে নেমে আসা পানি এবং ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী গত একনেক মিটিংয়ে সম্ভাব্য বন্যা মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে সবাইকে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। সে অনুযায়ী বন্যা মোকাবিলায় সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।’
এছাড়াও বন্যাদুর্গত জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল মিটিংয়ের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সিলেট এলাকায় প্রথম দফা বন্যার সময় সেখানে পরিদর্শন করতে গিয়েছি। বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোতে ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হচ্ছে।’
মহিববুর রহমান আরও জানান, ‘দুর্গতদের প্রয়োজনীয় সহায়তার লক্ষ্যে এ পর্যন্ত ১৮ জেলায় ২১ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন চাল, নগদ ৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকা, ৬৫ হাজার ৫০০ প্যাকেট শুকনো ও অন্যান্য খাবার, গো-খাদ্য বাবদ ৪০ লাখ টাকা এবং শিশু খাদ্যের জন্য ৪০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’
এছাড়াও সিলেট-৩, সুনামগঞ্জ-১ ও মৌলভীবাজার-২ সংসদীয় আসনে ২ হাজার ৫০০ প্যাকেট শুকনো ও অন্যান্য খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমালে ২০ জেলায় ৬৮৮০ কোটি টাকার ক্ষতি: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
৫৩৯ দিন আগে
কোটাবিরোধী আন্দোলন অযৌক্তিক, বিষয়টি বিচারাধীন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
সরকারি চাকরিতে কোটাবিরোধী আন্দোলনকে অযৌক্তিক বলে উড়িয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এটি বিচারাধীন বিষয়।
তিনি বলেন, ‘পড়াশোনার সময় নষ্ট করে আজকে আন্দোলনের নামে যা করা হচ্ছে, তার কোনো যৌক্তিকতা আছে বলে আমি মনে করি না।’
রবিবার (৭ জুলাই) যুব মহিলা লীগের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
২০০২ সালের ৬ জুলাই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুব মহিলা লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: আমরা একসময় চাঁদে যাব, এখন থেকে প্রস্তুতি নিতে হবে: শিশুদের প্রধানমন্ত্রী
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের সাম্প্রতিক রায়ের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, উচ্চ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা ঠিক নয় এবং এটি বিচারাধীন বিষয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'যদি হাইকোর্ট কোনো বিষয়ে রায় দেন, তাহলে সেটার যেকোনো পরিবর্তন আবার হাইকোর্ট থেকে আসতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার এর আগে ২০১৮ সালে কোটা ব্যবস্থা বাতিল করেছিল কিন্তু গত কয়েক বছরে বিভিন্ন জেলার, প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ এমনকি নারীরাও চাকরি পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অতীতে কোটা পদ্ধতির কারণে বিপুল সংখ্যক মেয়ে চাকরি পেত, গত কয়েক বছরে মেয়েদের সে সুযোগ মেলেনি।
কোটাবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া মেয়েদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘এখানে আমার একটা প্রশ্ন আছে। এর আগে যারা (২০১৮) আন্দোলনে যোগ দিয়েছিল তাদের মধ্যে কতজন (মেয়ে) পিএসসি পরীক্ষায় বসেছিল এবং তাদের মধ্যে কতজন উত্তীর্ণ হয়েছিল, তার হিসাব বের করা দরকার।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মেয়েদের আগে প্রমাণ করতে হবে যে তাদের মধ্যে আরও বেশি সংখ্যক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে।
সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহার অনুযায়ী সরকার সবার জন্য পেনশন স্কিম চালু করেছে।
নিরাপদ বার্ধক্য জীবনের জন্য সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় যোগ দিতে যুব মহিলা লীগসহ সব রাজনীতিবিদদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, 'যদি তারা যোগ দেয় তাহলে তাদের অন্যদের ওপর নির্ভর করতে হবে না এবং বৃদ্ধ বয়সে সন্তানদের বোঝা হতে হবে না।’
যুব মহিলা লীগ প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে আসছে বলে উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালের পর থেকে জনগণ পরপর আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে। তাই আমরা বারবার ক্ষমতায় এসেছি। আমরা নারীর ক্ষমতায়নসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে উঁচু অবস্থানে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভোট কারচুপির জন্য খালেদা জিয়াকে জনগণ দুইবার ক্ষমতাচ্যুত করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়া গর্বের সঙ্গে বলেছিলেন যে তিনি ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছিলেন। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ ভোট চোরদের বহিষ্কার করেছে। ১৯৯৬ সালের ৩০ মার্চের মাত্র দেড় মাসের মধ্যে তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণ ভোট কারচুপির ষড়যন্ত্র মেনে না নেওয়ায় বিএনপিকে আবারও (২০০৬ সালে) ক্ষমতা থেকে উৎখাত করা হয় এবং নির্বাচন (২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারির নির্বাচন) বানচাল হয়।
বিএনপি সরকারের দুঃশাসনকে জনগণের সামনে তুলে ধরার পাশাপাশি দেশে যাতে তাদের অপশাসন আবার ফিরে আসতে না পারে সেজন্য যুব মহিলা লীগের নেতাকর্মীদের আরও সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি।
আরও পড়ুন: টুঙ্গিপাড়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে 'বঙ্গবন্ধু কর্নার' উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
৫৪০ দিন আগে
৪৮ ঘণ্টায় ৩৫ শিশু নিখোঁজের তথ্য গুজব: ডিএমপি
শনিবার (৬ জুলাই) সকাল থেকে ‘৪৮ ঘণ্টায় ৩৫ শিশু নিখোঁজ’ এমন একটি পোস্ট দেখা যেতে থাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ ও ব্যক্তিগত আইডিতে।
পোস্টগুলোতে বলা হয়, ‘ব্রেকিং নিউজ, গত ৪৮ ঘণ্টায় ঢাকা ও চট্টগ্রামে ৩৫ শিশু নিখোঁজ হয়েছে।’
ফেসবুকে ব্যাপকভাবে এই তথ্য ছড়িয়ে পড়লে অভিভাবকরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
এই অভিযোগকে 'ভিত্তিহীন গুজব' বলে উড়িয়ে দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
ডিএমপি জানায়, তদন্তে দেখা গেছে একের পর এক শিশু নিখোঁজ হওয়ার এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। নিখোঁজ হিসেবে যাদের পোস্ট করা হয়েছিল তাদের অনেককে পরে পাওয়া গেছে। আবার পাওয়া গেলেও তা আর জানানো হয় না।
আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমরা এ ধরনের কোনো তথ্য পাইনি।’
একই বক্তব্য দেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর আলমও।
এ প্রসঙ্গে ডিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) খন্দকার মহিদ উদ্দিন বলেন, ‘৪৮ ঘণ্টায় ৩৫ শিশু নিখোঁজ হয়েছে এমন কোনো তথ্য ডিএমপির কাছে নেই।’
তিনি আরও জানান, গত ৪ থেকে ৬ মে পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টায় বিভিন্নভাবে শিশু নিখোঁজের ঘটনায় বিভিন্ন থানায় ৩৩টি জিডি করা হয়েছে। জুন মাসে, ৪ থেকে ৬ তারিখ পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টায় ৩৬টি জিডি করা হয়েছে। একইভাবে, ৪ থেকে ৬ জুলাই ৭২ ঘণ্টায় ৩২টি জিডি করা হয়।
ডিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হওয়া ‘৪৮ ঘণ্টায় ৩৫ শিশু নিখোঁজ হয়েছে’ এমন তথ্য সঠিক নয়।
এছাড়া নিখোঁজ হওয়ার শিশুদের পরবর্তীতে সন্ধান পাওয়া গিয়েছে বলেও জানান তিনি।
৫৪০ দিন আগে
কসমস ফাউন্ডেশনের প্রিন্সিপাল রিসার্চ ফেলো হলেন আসাদ-উল ইকবাল লতিফ
কসমস ফাউন্ডেশনের প্রিন্সিপাল রিসার্চ ফেলো হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সিঙ্গাপুরের ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক আসাদ-উল-ইকবাল লতিফ।
১৯৫৭ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন লতিফ। তার একাডেমিক ও পেশাগত জীবন বর্ণাঢ্য।
কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ইংরেজিতে অনার্সসহ স্নাতক এবং শেভেনিং স্কলার হিসেবে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে মাস্টার অব লেটারস ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।
এছাড়াও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুলব্রাইট ভিজিটিং স্কলার এবং হনুলুলুর ইস্ট-ওয়েস্ট সেন্টারে জেফারসন ফেলো হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
আরও পড়ুন: তুর্কি দূতাবাস-গ্যালারি কসমস আয়োজিত 'স্মাইলস অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড: অ্যান আর্টিস্টিক সেলিব্রেশন’
লতিফের সাংবাদিকতা জীবন শুরু হয় কলকাতার দ্য স্টেটসম্যানে। পাঁচ বছর সেখানে কাজ করার পর ১৯৮৪ সালে সিঙ্গাপুরে পাড়ি জমান তিনি। সেখানে দ্য বিজনেস টাইমস ও দ্য স্ট্রেইটস টাইমসে কাজ করেন। পরে তিনি ইনস্টিটিউট অব সাউথইস্ট এশিয়ান স্টাডিজের ভিজিটিং রিসার্চ ফেলো এবং ইনস্টিটিউট অব পলিসি স্টাডিজের ৫০ খণ্ডের সিঙ্গাপুর ক্রনিকলস সিরিজের সহসাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ওপর বেশ কয়েকটি আলোচিত বইয়ের লেখক লতিফ। যার মধ্যে রয়েছে- ‘বিটুইন রাইজিং পাওয়ারস: চায়না, সিঙ্গাপুর অ্যান্ড ইন্ডিয়া’, ‘থ্রি সাইডস ইন সার্চ অব এ ট্রায়াঙ্গল: সিঙ্গাপুর-আমেরিকা-ইন্ডিয়া রিলেশনস’ এবং ‘ইন্ডিয়া ইন দ্য মেকিং অব সিঙ্গাপুর’।
তার সাংস্কৃতিক কাজের মধ্যে রয়েছে 'সেলিব্রেটিং ইউরোপ: অ্যান এশিয়ান জার্নি' ও 'ইরোস: রুমিনেশনস অন লাভ ইন প্রোস অ্যান্ড ভার্স'।
সম্প্রতি ‘দুই বাংলা’র সাংস্কৃতিক অখণ্ডতা নিয়ে একটি বইয়ের পাণ্ডুলিপি শেষ করেছেন তিনি। বইটিতে আন্তর্জাতিক সীমান্তের দু'পাশে সমসাময়িক বাঙালি জীবনের অভিন্ন ঐতিহ্যের সন্ধান করা হয়েছে।
এছাড়াও বইটিতে বাংলার নবজাগরণ, জসীমউদ্দীনের প্রেমগাঁথা, বাংলার দুর্ভিক্ষ, কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজের প্রাতিষ্ঠানিক বাঙালিত্ব, শহরের স্টেটসম্যান হাউসের বাঙালি সংস্কৃতি এবং অমর্ত্য সেনের বাংলার প্রভাব উঠে এসেছে।
ফেলো হিসেবে লতিফের মূল্যবান অন্তর্দৃষ্টি এবং অবদানের প্রত্যাশায় কসমস ফাউন্ডেশন।
আরও পড়ুন: গ্যালারি অন হুইলস: ইউনেস্কোর ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় রিকশা পেইন্টারদের কসমস ফাউন্ডেশনের সংবর্ধনা
কসমস ফাউন্ডেশন সম্পর্কে
কসমস গ্রুপের একটি মানবকল্যাণমূলক শাখা কসমস ফাউন্ডেশন, যা একটি ট্রাস্ট হিসেবে নিবন্ধিত। কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি ও নীতিগত সমাধান দেওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নত ভবিষ্যত নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে এই ট্রাস্ট।
এছাড়াও বাংলাদেশের শিল্পকলা আবিষ্কার, সংরক্ষণ ও বিশ্বব্যাপী দর্শকদের সামনে তুলে ধরছে এই ফাউন্ডেশন।
ফাউন্ডেশনের অধীনে রয়েছে কসমস গ্রুপের ফ্ল্যাগশিপ কিউরেটরিয়াল স্পেস, গ্যালারি কসমস ও প্রিন্টমেকিং স্টুডিও অ্যাটেলিয়ার ৭১।
এই ফাউন্ডেশনের লক্ষ্য স্থানীয় দর্শকের পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী শিল্প ও বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদকে ছড়িয়ে দেওয়া। এর মাধ্যমে যেন অতীতকে আলোকিত করা, বর্তমানকে যাচাইবাছাই করা ও ভবিষ্যতের কল্পনা করা যায়।
আরও পড়ুন: ব্যাংকিং খাতে সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে থ্যালেসের সঙ্গে কসমস গ্রুপের সেমিনার
৫৪০ দিন আগে
সম্ভাব্য যানজট এড়াতে হাতে সময় নিয়ে বের হওয়ার পরামর্শ ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগের
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ রবিবার সড়কে নানা কর্মসূচির কারণে সম্ভাব্য বিঘ্ন এড়াতে কিছু এলাকায় বাসিন্দাদের সময় নিয়ে দ্রুত বের হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
রবিবার সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব রথযাত্রা উপলক্ষে রাজধানীতে একটি শোভাযাত্রা বের হবে এবং ঢাকার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করবে।
তাছাড়া চলমান কিছু গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান ও চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনের কারণে নগরবাসী যানজটের সম্মুখীন হতে পারেন।
এজন্য রমনা, মতিঝিল ও ওয়ারী এলাকার বাসিন্দাদের সময় নিয়ে রাস্তায় বের হতে অনুরোধ জানিয়েছে ট্রাফিক বিভাগ।
৫৪০ দিন আগে
চবি ক্যাম্পাস এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য জব্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ আটক ৩০
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য সেবনরত অবস্থায় ৩০ জন শিক্ষার্থী ও বহিরাগতকে আটক করা হয়েছে।
তাদের কাছ থেকে গাঁজা ও বিভিন্ন মাদকদ্রব্য, মাদক গ্রহণের বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। অভিযানে ১১টি মোবাইল, ২৮টি মোটরসাইকেল ও ২টি প্রাইভেটকারও জব্দ করেছে কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (৬ জুলাই) বিকাল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি।
আটকদের মধ্যে ৮ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বাকিরা বহিরাগত এবং এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রক্টরিয়াল বডি।
আরও পড়ুন: ভোট কেন্দ্র দখলের অভিযোগে চবি ছাত্রলীগের ২৩ জনকে শোকজ
সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মাদকদ্রব্য পাওয়া গেছে তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী একাডেমিক শাস্তির আওতায় আনা হবে। আর বহিরাগতদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযানের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর লিটন মিত্র বলেন, ‘আমরা বায়োলজিকাল ফ্যাকাল্টির পুকুর পাড়, সেন্ট্রাল ফিল্ড, বঙ্গবন্ধু হলের পেছনে, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ঝুপড়ি, উন্মুক্ত মঞ্চ ও এরকম নীরব-নির্জন বিভিন্ন জায়গা থেকে মাদকবসেবনরত অবস্থায় বহিরাগত ও আমাদের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আটক করি। পরে তাদের কাছ থেকে আইডি কার্ড ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। আর বহিরাগতদের মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রায় ৩০ জনের অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থী ও বহিরাগতদেরকে উচ্ছৃঙ্খল অবস্থায় আটক করা হয়। পরে তাদের মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। আমরা বহিরাগত বা মাদক, এসবের বিরুদ্ধে কিছুতেই ছাড় দেব না।’
আরও পড়ুন: চবিতে বহিরাগতদের বিরুদ্ধে অভিযান, ৩০ মোটরসাইকেল জব্দ
৫৪০ দিন আগে
এমপি আনোয়ারুল আজিম হত্যার নেপথ্যে দলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি: মেয়ে ডরিন
কলকাতায় খুন হওয়া ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম ওরফে আনার রাজনৈতিক কারণে খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন মেয়ে অভিযোগ করেছেন মুনতারিন ফেরদৌস ডরিন।
শনিবার(৬ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে কলকাতায় বাবার হত্যাকাণ্ড নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই অভিযোগ করেন।
ডরিন বলেন, ‘অবশ্যই আমার বাবা হত্যার পেছনে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক দলের কোন্দল আছে। তা না হলে তারা (তার বাবার দল অর্থাৎ আওয়ামী লীগের গ্রেপ্তারকৃত সন্দেহভাজন) কেন এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত হবে! তারা সব জানত। এমনকি তারা আমাকে সান্ত্বনা দিতেও এসেছিল!’
আরও পড়ুন: এমপি আনার হত্যা: দুই আসামি ৬ দিনের রিমান্ডে
কেন তাঁকে জানানো হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
ডরিন আরও বলেন, 'এরপর আমি সাংবাদিক ভাইদের বলি, আমার বাবা নিখোঁজ, দয়া করে তাকে খুঁজে বের করুন। সাহায্য চাইতে ডিবিপ্রধান, ডিবি পুলিশের কাছে গিয়েছি। তারপরও তাদের (সন্দেহভাজনরা) কেন আমাকে জানায়নি বা কেন পুলিশের কাছে সাহায্য চায়নি?’
তিনি আরও বলেন, তথ্য গোপন করা হয়েছে, যা একটি অপরাধ। আপনারা জানেন যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি দল ঝিনাইদহ গিয়ে তিনটি মোবাইল উদ্ধারে কাজ করে। মোবাইল তিনটি কিন্তু তারা পায়নি। প্রমাণ লোপাটও অপরাধ। তিনি বলেন, আমি চাই প্রতিটি অপরাধের শাস্তি হোক।
ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের স্থানীয় দুই নেতাকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে তিনি বলেন, পর্যাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে স্থানীয় দুই আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এমনকি প্রধান সন্দেহভাজন খুনি শিমুল ভূঁইয়াকে গ্যাস বাবুর বিষয়ে ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেওয়া হয়েছে। গ্যাস বাবু ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন এবং সাইদুল করিম মিন্টুর চাচার নাম প্রকাশ করেছেন। অবশ্য তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে কারণ তারা পরস্পর সম্পর্কিত। আমি বিশ্বাস করি, এই তদন্ত সাপেক্ষে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
গত ১২ মে এমপি আনার ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। পশ্চিমবঙ্গের বড়ানগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাসায় ওঠেন তিনি। পরদিন ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে যান। এরপর থেকে আনোয়ারুল আজিম রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন।
বাসা থেকে বের হওয়ার পাঁচ দিন পর ১৮ মে বন্ধু গোপাল বিশ্বাস বরানগর থানায় আনোয়ারুল আজিমের নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেন। গত ২২ মে কলকাতার নিউ টাউন এলাকার সঞ্জীবা গার্ডেন নামে একটি আবাসিক ভবনের ফ্ল্যাটে আনোয়ারুল আজিমকে হত্যা করা হয়েছে বলে হঠাৎ খবর ছড়িয়ে পড়ে। ফ্ল্যাটের ভিতরে রক্তের চিহ্ন পাওয়া গেলেও লাশ পাওয়া যায়নি।আরও পড়ুন:এমপি আনার হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৭ আসামিই গ্রেপ্তার: ডিবিপ্রধান
৫৪০ দিন আগে
রপ্তানি তথ্যে অসঙ্গতির জন্য এনবিআর ও ইপিবিকে দায়ী করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
দেশের রপ্তানি আয়ের হিসাব থেকে শত শত কোটি ডলারের তথ্য মুছে ফেলার ব্যাখ্যায় বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, রপ্তানি তথ্যের হিসাবে অসঙ্গতির জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) দায়ী।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভেরিফিকেশন সিস্টেমে গত দুই অর্থবছরে ২০ মাসে আনুমানিক ২৩ বিলিয়ন ডলারের গরমিল পাওয়া গেছে।
সরকারকে দেওয়া এক আনুষ্ঠানিক চিঠিতে এ ব্যাখ্যা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বলা হয়েছে, এই বিশাল ঘাটতির সঙ্গে দেশের বিভিন্ন আর্থিক পরিসংখ্যান উল্টে গেছে।
আরও পড়ুন: সদ্যসমাপ্ত অর্থবছরে ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স পেয়েছে বাংলাদেশ
রপ্তানি কমে যাওয়ায় চলতি হিসাব উদ্বৃত্ত থেকে ঘাটতিতে চলে গেছে। আর রপ্তানির বিপরীতে রেমিট্যান্স আসার লক্ষ্যমাত্রা কমে যাওয়ায় রাজস্ব খাতে ঘাটতি থেকে উদ্বৃত্ত হয়েছে।
ওই চিঠিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, এক বৈঠকে এনবিআরের প্রতিনিধি ইতোমধ্যে তাদের পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়েছেন। সেখানে তিনি জানান, একই পণ্য রপ্তানির জন্য একাধিক রপ্তানি হিসাব রয়েছে, যা সার্ভারে নতুন করে ইনপুট দেওয়া হয়েছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংক তফসিলি ব্যাংকের শাখা থেকে রপ্তানি আয়ের তথ্য সংগ্রহ করে। ফলে ডাটা ও প্রকৃত রপ্তানির মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য নেই।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংগ্রহ করা এবং ইপিবি প্রকাশিত রপ্তানি তথ্যের মধ্যে অসঙ্গতির কারণ চিহ্নিত করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বলেছে, একই রপ্তানি তথ্য এবং পণ্যের এইচএস কোড একাধিকবার ইনপুট করা হয়েছে।
পণ্যের কাটিং, মেকিং ও ট্রিমিংয়ের ক্ষেত্রে শুধু ম্যানুফ্যাকচারিং চার্জ দিতে হয়। তবে কাপড়সহ সব অংশের হিসাব রেখেছে ইপিবি। ইপিবি অনেক সময় নমুনা পণ্যের দামও ইনপুট করেছে, যা নমুনা পণ্যের মূল্য হিসেবে আসার কথা নয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নেট আন্তর্জাতিক রিজার্ভ ১৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল
৫৪০ দিন আগে
অপপ্রচারকারীদের বিপক্ষে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের শক্ত অবস্থান নিতে হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
মিথ্যাচার ও অপপ্রচারকারীদের বিপক্ষে চলচ্চিত্রের শিল্পী, পরিচালক, প্রযোজকসহ সংশ্লিষ্টদের শক্ত অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
শনিবার (৬ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর সার্কিট হাউজ রোডের তথ্য ভবন মিলনায়তনে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পূর্ণদৈর্ঘ্য ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘শিল্পী সমাজ, নাগরিক সমাজ ও ক্রিয়েটিভ ইন্ডাস্ট্রির সবাই অসত্যগুলোর প্রতিবাদ করুন। সরকার কোনো ভুল সিদ্ধান্ত নিলে, সরকারের কোনো ব্যর্থতা-বিচ্যুতি থাকলে অবশ্যই আপনারা তুলে ধরবেন, সমালোচনা করবেন, বিরোধিতা করবেন। কিন্তু যারা মিথ্যা কথা বলে, অর্ধসত্য বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করবে তাদের বিরুদ্ধে আপনারা প্রতিবাদ করুন।’
আরও পড়ুন: গণমাধ্যমকে দেশ-জনগণের স্বার্থে দাঁড়ানোর আহ্বান তথ্য প্রতিমন্ত্রীর
তিনি বলেন, ‘তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে সব বিষয়ে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের সঠিক তথ্য দেওয়া হবে। অপপ্রচারকারীদের তাদের বিপক্ষে আপনারা শক্ত অবস্থান নেবেন।’
চলচ্চিত্র নির্মাণে অনুদান প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নে প্রণোদনা দিতে চান। অনুদানের চলচ্চিত্র বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আমরা আরও স্বচ্ছতা ও বস্তুনিষ্ঠতা নিশ্চিত করতে চাই। এ জন্য বাছাই প্রক্রিয়া আরও উন্নত করা হবে, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, অনুদানের চলচ্চিত্র নিয়ে একটি চলচ্চিত্র উৎসব করা যায় কি না সেটিও বিবেচনা করা হবে। যে প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে, এটা সংশ্লিষ্টদের একটা সক্ষমতার স্বীকৃতি। অনুদানের চলচ্চিত্রগুলো নির্মাণ হয়ে গেলে সেগুলো নিয়ে একটি অ্যাওয়ার্ডের ব্যবস্থা করা যায় কি না সেটিও সরকার বিবেচনা করবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে বিশ্বে প্রতিনিধিত্ব করা, তুলে ধরা এবং ব্র্যান্ডিং করার জন্য চলচ্চিত্র খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য চলচ্চিত্রকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যেতে আরও মনোযোগ দিতে আলাদা বিভাগ বা কাউন্সিল করার বিষয়টি সরকার ভেবে দেখবে। একইসঙ্গে নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, পশ্চিমবঙ্গ এমনকি পাকিস্তানের চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট বাজার আমরা ধরতে চাই।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২০টি পূর্ণদৈর্ঘ্য ও ৬টি স্বল্পদৈর্ঘ্যসহ মোট ২৬টি চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য মোট ১৫ কোটি ২০ লাখ টাকা অনুদান প্রদানের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শাখায় ২টি, শিশুতোষ শাখায় ২টি, প্রামাণ্যচিত্র শাখায় ২টি এবং সাধারণ শাখায় ১৪টি চলচ্চিত্র নির্মাণে অনুদান দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শাখায় ২টি, শিশুতোষ শাখায় ১টি এবং সাধারণ শাখায় ৩টি চলচ্চিত্র নির্মাণে অনুদান দেওয়া হয়েছে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. কাউসার আহাম্মদ।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিন, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি কাজী হায়াৎ, সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদের আহ্বায়ক খোরশেদ আলম খসরু, চলচ্চিত্র অনুদান কমিটির সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন, চলচ্চিত্র ও ফটোগ্রাফি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া, অনুদান কমিটির সদস্য ও চলচ্চিত্র নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী, চলচ্চিত্র অনুদানের স্ক্রিপ্ট বাছাই কমিটির সদস্য ও চলচ্চিত্র নির্মাতা মুশফিকুর রহমান গুলজার এবং স্ক্রিপ্ট বাছাই কমিটির সদস্য ও চলচ্চিত্র নির্মাতা ফাল্গুনী হামিদ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: ভারতের সঙ্গে সমঝোতা নিয়ে অপপ্রচারে লিপ্ত বিএনপি-জামায়াত: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
তথ্যের সততা নিশ্চিতের অঙ্গীকার করতে হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
৫৪০ দিন আগে
ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াড-২০২৩ এর গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত
আইটেসারেক্ট টেকনোলজির উদ্যোগে ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াড-২০২৩ এর সমাপণী ও গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৬ জুলাই) দুপুর ১২টায় ঢাকার শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল, শিল্পকলা ও গণিত (STEAM) বিষয়ে শিক্ষার্থীদের ব্যতিক্রমী ও উদ্ভাবনী প্রতিভা প্রদর্শনের জন্য এই জমকালো অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
আরও পড়ুন: ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াডের উদ্বোধন করবেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী এবং ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াডের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ডা. দীপু মনি। সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াডের আহ্বায়ক ও প্রধান উপদেষ্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন।
সকাল ৯টা থেকে কুইজ ও প্রজেক্ট প্রদর্শনী শুরু হয় এবং দুপুর ১২টা থেকে সমাপণী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আয়োজকরা জানান, এ অলিম্পিয়াড়ে ৬টি ভিন্ন ভিন্ন লেভেলের শিক্ষার্থীরা মোট ৮টি বিভাগে কোনো রেজিস্ট্রেশন ফি ছাড়াই অংশ নেন। সারা বাংলাদেশে ৩১০টি স্কুল, ৬১টি বিশ্ববিদ্যালয়, ১৩২টি কলেজ, ২২টি পলিটেকনিক প্রতিষ্ঠান এবং ২৫টি মাদ্রাসা থেকে কুইজ ও প্রজেক্টে নিবন্ধিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৫৭ হাজার ৯৭৬ জন। এর মধ্যে কুইজে নিবন্ধন সংখ্যা ছিল ৫৫৭৪৯। প্রজেক্টের জন্য নিবন্ধন সংখ্যা ছিল ২২২৭ এবং ৫৩ জন মেন্টর ও বিচারক হিসেবে কাজ করেছেন।
এ ছাড়া সারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৩০টি ক্লাব, ২৯০ জন ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর এবং ৪৭০২ জন ভলেন্টিয়ার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এ অলিম্পিয়াডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ইয়াং শেফ অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশ থেকে অংশগ্রহণ করছে স্বরূপ কুমার
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ সানজিদা খানম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ এস এম মাসুদ কামাল, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সত্যপ্রসাদ মজুমদার, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, আইসিটি বিভাগের সচিব শামসুল আরেফিন, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসের (বেসিস) প্রেসিডেন্ট রাসেল টি আহমেদ, এডিএন গ্রুপের চেয়ারম্যান আসিফ মাহমুদ, আইসিটি বিভাগের মহাপরিচালক মোস্তফা কামাল এবং প্রাইম ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিইও হাসান ও রশিদ।
সমাপনী অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মাঝে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াডের উপদেষ্টা ও বুয়েটের প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খান, অলিম্পিয়াডের উপদেষ্টা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবোটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল ও ই-জেনারেশন পিএলসির চেয়ারম্যান শামিম আহসান।
আরও পড়ুন: ঢাকা মহিলা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াড বুটক্যাম্প অনুষ্টিত
৫৪০ দিন আগে