বাংলাদেশ
আঞ্চলিক সম্পর্ক জোরদারে মিয়ানমারের সমর্থনের প্রত্যাশা রাষ্ট্রপতির
আগামী সেপ্টেম্বরে বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনের (বিমসটেক) সভাপতির দায়িত্ব নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এ কারণে আঞ্চলিক সম্পর্ক জোরদারে মিয়ানমারের সমর্থন ও সহযোগিতার প্রত্যাশা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বাংলাদেশে মিয়ানমারের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত কিয়াও সোয়ে মোয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে তার পরিচয়পত্র পেশ করার সময় এ প্রত্যাশা তুলে ধরেন রাষ্ট্রপতি।
এসময় মিয়ানমারের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে গার্ড অব অনার দেয় প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের একটি চৌকস দল।
মিয়ানমারের নতুন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, মিয়ানমার বাংলাদেশের সবচেয়ে কাছের প্রতিবেশী।
বাংলাদেশ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেয় বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি।
তিনি আরও বলেন, যদিও সরকার মানবিক কারণে মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে তবে এটি বর্তমানে বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সমস্যা দাঁড়িয়েছে।
জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষ যেন নিরাপদে ও মর্যাদার সঙ্গে তাদের মাতৃভূমিতে ফিরে যেতে পারে এমন পরিবেশ মিয়ানমার তৈরি করবে বলে আশা ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন নতুন রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগগুলো অনুসন্ধানে কাজ করার আহ্বান জানান।
আগামী সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ বিমসটেকের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বিমসটেককে শক্তিশালী করতে বাংলাদেশ মিয়ানমারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে।
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, বাংলাদেশ আসিয়ানের ডায়লগ পার্টনার হতে চায়। এ ব্যাপারে মিয়ানমারের সমর্থন ও সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন তিনি।
সাক্ষাৎকালে মিয়ানমারের নতুন রাষ্ট্রদূত দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন।
তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত মানুষের কারণে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানে কাজ করছে তার দেশ।
এ বিষয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগের কথা সরকারকে জানাবেন এবং সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেবেন বলে জানান মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত।
সাক্ষাৎকালে আরও ছিলেন রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিবরা।
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মধ্যেও বাণিজ্য সহযোগিতার প্রশংসা রাষ্ট্রপতির
৫৪৩ দিন আগে
বাংলাদেশ-স্পেনের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
পারস্পরিক সহযোগিতা ও সুবিধা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ ও স্পেনের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘আমরা বাংলাদেশ ও স্পেনের মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে চাই।’
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) গণভবনে স্পেনের রাষ্ট্রদূত গাব্রিয়েল মারিয়া সিস্তিয়াগা ওচোয়া দে চিনচেত্রুর সঙ্গে বৈঠককালে প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এম নাঈমুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন।
প্রেস সচিব জানান, বর্তমানে স্পেন বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করে জানিয়ে সিমেন্ট খাতে স্প্যানিশ বিনিয়োগের কথাও উল্লেখ করেন স্পেনের রাষ্ট্রদূত।
আরও পড়ুন: দুই দেশের অর্থনীতিতেই অবদান রাখছেন ওমানে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশে স্পেনের বিনিয়োগ আরও বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে রাষ্ট্রদূতকে আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। এসময় তিনি সারা দেশে প্রায় ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জন্য তার সরকারের প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্পেনের বিনিয়োগকারীরাও এই অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগ করতে পারে। আমরা স্পেন থেকে আরও বিনিয়োগ দেখতে চাই।’
স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা থেকে উন্নীত হওয়ার পরও বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য স্পেনের রাষ্ট্রদূতকে এসময় অনুরোধ করেন তিনি।
বৈঠকে জানা গেছে, সেপ্টেম্বরে দুই দেশের মধ্যে একটি অংশীদারত্ব চুক্তির জন্য আলোচনা শুরু হবে।
বর্তমানে ৬০ হাজার বাংলাদেশি স্পেনে বসবাস করছেন। প্রধানমন্ত্রী তথ্যপ্রযুক্তি খাতে আরও বাংলাদেশিকে স্পেনে কর্মসংস্থানের জন্য রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ জানান।
বৈঠকে বাংলাদেশের বাজেটের ভূয়সী প্রশংসা করেন স্পেনের রাষ্ট্রদূত। তিনি শিক্ষা ও সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সরকারের মনোযোগের কথাও উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: ২০৩৫ সালের মধ্যে হাইড্রোজেন থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চায় বাংলাদেশ: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
রাষ্ট্রদূত গাব্রিয়েল বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে আপনার আগ্রহ এবং বরাদ্দ আমাদের দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’
আসন্ন দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে আমন্ত্রণের জন্য প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ও মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এসময় উপস্থিত ছিলেন।
৫৪৩ দিন আগে
কোটা বাতিলের দাবিতে বাকৃবি শিক্ষার্থীদের ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুর সোয়া ১টার দিকে জব্বারের মোড়-সংলগ্ন এলাকা অবরোধ করে এ বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। এসময় রেলপথ দিয়ে আটকে পড়া যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
জানা গেছে, এখন পর্যন্ত ঢাকা-মময়মনসিংহ রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলন: তৃতীয় দিনের মতো শিক্ষার্থীদের শাহবাগ অবরোধ
বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থী মো. ইরান মিয়া বলেন, ‘হাইকোর্ট শুনানি পিছিয়ে সারা দেশের ছাত্রসমাজের রক্তে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। খুব দ্রুত এই মামলার নিষ্পত্তি না হলে ছাত্রসমাজ দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে। সংবিধান অনুযায়ী সুযোগের সমতা না দেওয়া হলে ছাত্রসমাজ ছেড়ে কথা বলবে না।’
কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী মো. হাসিবুল হাসান বলেন, ‘বর্তমান সরকারের অগ্রযাত্রায় বৈষম্য থাকা কখনোই উচিত নয়। এতে করে মেধাবীদের যথাযথ মূল্যায়ন করা সম্ভব হবে না। প্রধানমন্ত্রী ২০১৮ সালে মেধাবীদের মূল্যায়ন বুঝতে পেরেই জাতীয় সংসদে কোটা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছিলেন। আবার সেই কোটা পদ্ধতি পুনর্বহালের রায় তরুণ সমাজের মেধাকে হত্যা করার শামিল।’
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ৬ বিচারপতির বেঞ্চ সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখার আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: কোটা বাতিলের দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ ববি শিক্ষার্থীদের
৫৪৩ দিন আগে
দুই দেশের অর্থনীতিতেই অবদান রাখছেন ওমানে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওমানে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকদের প্রশংসা করে বলেছেন, তারা দু'দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখছে।
তিনি বলেন, ‘আপনাদের অর্থনীতিতে যেমন বাংলাদেশি শ্রমিকদের অবদান রয়েছে, তেমনি বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও অবদান রয়েছে। উভয় অর্থনীতিই শ্রমশক্তির সুফল পাচ্ছে।’
বাংলাদেশে নিযুক্ত ওমানের রাষ্ট্রদূত আবদুল গাফফার বিন আবদুল করিম আল-বুলুশি বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এম নাঈমুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
পশ্চিম এশিয়ার দেশটিতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের পারফরম্যান্সের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একমত পোষণ করেন ওমানের রাষ্ট্রদূত।
তিনি বলেন, ‘এটা সত্য এবং তারা উভয় অর্থনীতির জন্য কাজ করছে।’
আরও পড়ুন: আমরা আমাদের দরজা বন্ধ রাখতে পারি না: ভারতকে ট্রানজিট দেওয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ওমান দীর্ঘদিন ধরে ৭ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে এবং বর্তমানে দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি অর্জনের প্রত্যাশা করছে।
তিনি বলেন, ‘আগামী দিনে জিডিপি প্রবৃদ্ধি দ্বিগুণ হতে পারে।’
এলডিসি থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের সময় ওমানের সহায়তার বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়।
বাংলাদেশিদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধের বিষয়ে রাষ্ট্রদূত জানান, ওমানে প্রায় ১০ লাখ বাংলাদেশি কাজ করছেন।
তিনি বলেন, 'এটা (বিধিনিষেধ) সুনির্দিষ্ট করে বাংলাদেশের জন্য নির্ধারণ করা হয়নি। চাহিদা নির্ধারণের জন্য আমরা পর্যায়ক্রমে শ্রমবাজার পর্যালোচনা করি। সেই পর্যালোচনার ভিত্তিতে আমরা অনেক সময় যেসব দেশে জনবল বেশি, সেসব দেশ থেকে শ্রমিক নেওয়া স্থগিত করি। স্থগিতাদেশ শিথিল করার জন্য আপনাকে পরবর্তী পর্যালোচনা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।’
বাংলাদেশের ওপর কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে- বিষয়টি যে এমন নয় তা স্পষ্ট করেন তিনি।
'কিন্তু বাস্তবে ব্যাপারটা এমন ছিল না। জনশক্তি ভিসা ছাড়া ফ্যামিলি ভিসা ও ট্যুরিস্ট ভিসাসহ অন্য সব ভিসা দেওয়া হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশিদের জন্য বর্তমানে ১০টি ক্যাটাগরিতে ওমানের ভিসার দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে তার সরকারের কাছে চিঠি পাঠানোর পরামর্শ দেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, এটি তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বাংলাদেশের পক্ষে আলোচনা করতে সহায়তা করবে।
তিনি বলেন, 'আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করেছি, যাতে শিগগিরই ওয়ার্কিং ভিসা চালু করা যায়।’
সার আমদানি ইস্যুতে রাষ্ট্রদূত বলেন, তার সরকার এ বিষয়ে সরকারের সঙ্গে সরকারের আলোচনা করার প্রস্তাব করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার প্রস্তাবটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং জানুয়ারিতে পুনঃনির্বাচিত হওয়ায় তাকে অভিনন্দন জানান রাষ্ট্রদূত।
তিনি আরও বলেন, হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উত্তরণ করলে ভালো হবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আপনাকে নিয়ে গর্ব করতেন।’
রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীকে একটি ওমানি নৌকার রেপ্লিকা উপহার দেন।
সেখানে লেখা ছিল, 'দৃঢ়তা ও সাহসিকতার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর মশাল বহনকারী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ওমানের রাষ্ট্রদূত আব্দুল গাফফার আলবুলুশির পিক্ষ থেকে অভিনন্দন।’
বৈঠকে অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ২০৩৫ সালের মধ্যে হাইড্রোজেন থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চায় বাংলাদেশ: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
৫৪৩ দিন আগে
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে উৎসব মুখর পরিবেশে জাতিসংঘে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের অংশ গ্রহণে বাংলা নববর্ষ (১৪৩১) উদযাপন করা হয়েছে।
মিশনটিতে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে মিলনায়তনকে আবহমান বাঙালির সংস্কৃতির নানা উপাদানে সাজিয়ে তোলা হয়। ঢাক-ঢোল-একতারা, পালতোলা নৌকা, ডালা-কুলা, তালপাতার পাখা, নকশী কাঁথা, মাটির পুতুল, মাটির থালা-বাসন, কাঁচের চুড়ি, আলপনা ও নানা বর্ণের ব্যানার-ফ্যাস্টুন-বেলুনে বর্ণিল হয়ে ওঠে বঙ্গবন্ধু মিলনায়তন।
জাতিসংঘে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের স্থায়ী মিশনগুলোর স্থায়ী প্রতিনিধি, কনসাল জেনারেল, জ্যৈষ্ঠ কূটনীতিক, জাতিসংঘের কর্মকর্তা ও তাদের স্ত্রী এই বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: নববর্ষ বরণে দেশের সবচেয়ে বড় আলপনা উৎসব ‘আল্পনায় বৈশাখ ১৪৩১’
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল মুহিতের স্ত্রী রুবি পারভিন। তিনি তার বক্তব্যে বিদেশি অতিথিদের সামনে বাংলা নববর্ষের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও মঙ্গল শোভাযাত্রার বিরবণ তুলে ধরেন।
এ সময় তিনি বাংলার অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজব্যবস্থা ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার ওপর আলোকপাত করেন, যেখানে সব ধর্ম, বর্ণ ও গোত্রের মানুষ সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করে। এই চেতনা ও সম্প্রীতিই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম অনুপ্রেরণা বলে তিনি উল্লেখ করেন।
নাচ, গান ও আবৃতির সমন্বয়ে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ছিল অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ। নিউ ইয়র্কস্থ বাংলাদেশ একাডেমি অব ফাইন আর্টসের শিল্পী ও স্থায়ী মিশনের কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের বিভিন্ন পরিবেশনায় অংশ নেন।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শেষে অতিথিদেরকে পিঠা-পুলি, নাড়ু, মুড়ি-মুড়কি, সাজ-বাতাসা, পায়েস, চটপটি, ফুচকা, মিষ্টিসহ নানা ধরনের ঐতিহ্যবাহী বাঙ্গালি খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। বাঙ্গালি সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও রসনার এক অপূর্ব উপস্থাপন করা হয় এই বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে।
আরও পড়ুন: রমনা বটমূলে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ছায়ানটের জমকালো পহেলা বৈশাখ উদযাপন
৫৪৩ দিন আগে
কোটা আন্দোলন: তৃতীয় দিনের মতো শিক্ষার্থীদের শাহবাগ অবরোধ
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহালে হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তৃতীয় দিনের মতো রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বেলা পৌনে ১২টার দিকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে তারা।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে জড়ো হতে থাকে। এরপর তারা মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস ঘুরে শাহবাগ মোড়ে সমাবেশে যোগ দেয়।
কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, সমাবেশে যোগ দিতে মাস্টারদা সূর্যসেন হল থেকে বের হওয়ার সময় তাদের অংশগ্রহণ ঠেকাতে গেটে তালা লাগিয়ে দেয় হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় শিক্ষার্থীদের মূল মিছিলটি সূর্যসেন হলে গিয়ে তালা ভেঙে শিক্ষার্থীদের মুক্ত করে।
আরও পড়ুন: কোটা পদ্ধতি বাতিল চেয়ে বাকৃবি শিক্ষার্থীদের রেলপথ অবরোধ
সমাবেশে আন্দোলনকারীরা দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, প্রয়োজনে রক্ত ঝরাবেন তবু তারা তাদের দাবি আদায় করবেন।
এর আগে মঙ্গলবার ও বুধবার কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে রাজধানীর প্রধান প্রধান মহাসড়ক ও মোড় অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা।
এদিকে আজ (৪ জুলাই) সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলকে ‘অবৈধ’ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
আরও পড়ুন: কোটা বাতিলের দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ ববি শিক্ষার্থীদের
৫৪৩ দিন আগে
কোটা বাতিলের দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ ববি শিক্ষার্থীদের
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীরা ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছে।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট সংলগ্ন মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা। এ সময় দুই পাশে শত শত যানবাহন আটকে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলন: তৃতীয় দিনের মতো শিক্ষার্থীদের শাহবাগ অবরোধ
অবরোধে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় কোটা পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কোনো বৈষম্য চলবে না। তাই আমরা প্রতিবন্ধী ও অনগ্রসর জাতিগোষ্ঠীর কোটা বাদে সব কোটা বাতিলের দাবি জানাচ্ছি। এছাড়া এ দুটি কোটা কোনো প্রার্থী একবারের বেশি ব্যবহার করতে পারবেন না।’
তারা আরও বলেন, যদি কোটা পদ্ধতি বাতিল না হয় তবে সাধারণ শিক্ষার্থীরা যোগ্য চাকরি থেকে বঞ্চিত হবেন। তাই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে অবিলম্বে কোটা পদ্ধতি বাতিল করতে হবে।
বরিশাল নগর পুলিশের বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রহমান মুকুল বলেন, মহাসড়কে অবরোধ চলছে। ঘটনাস্থলে আমরা আছি।
আরও পড়ুন: কোটা বাতিলের দাবিতে ববি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ
৫৪৩ দিন আগে
সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা: হাইকোর্টের রায় বহাল
সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ৬ বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পাশাপাশি রাষ্ট্রপক্ষকে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে নিয়মিত লিভ-টু-আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করতে বলেছেন সর্বোচ্চ আদালত।
গত ৫ জুন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে ৪ জুলাই শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির দিন ধার্য করেন।
আবেদনকারীর প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবী মো. জহিরুল ইসলাম বিদেশে থাকা জ্যৈষ্ঠ আইনজীবী মনসুরুল হকের অনুপস্থিতির কারণে একদিনের বিলম্বের অনুরোধ করার পরে আবেদনটি স্থগিত করা হয়।
আরও পড়ুন: কোটা পদ্ধতি বাতিল চেয়ে বাকৃবি শিক্ষার্থীদের রেলপথ অবরোধ
এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর জারি করা এক পরিপত্রের মাধ্যমে সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করা হয়। এতে বলা হয়, ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেডের সরকারি চাকরিতে সব ধরনের কোটা বাদ দিয়ে নিয়োগ হবে সম্পূর্ণ মেধাভিত্তিক।
২০১৮ সালে বিলুপ্তির আগে সরকারি চাকরিতে প্রায় ৫৬ শতাংশ চাকরি বিভিন্ন কোটার জন্য সংরক্ষিত ছিল। সবচেয়ে বড় কোটা ৩০ শতাংশ ছিল মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতি-নাতনিদের জন্য। উপরন্তু, নারীদের জন্য ১০ শতাংশ এবং অনুন্নত জেলার প্রার্থীদের জন্য আরও ১০ শতাংশ কোটা ছিল। ৫ শতাংশ পদ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সদস্যদের জন্য এবং ১ শতাংশ প্রতিবন্ধীদের জন্য সংরক্ষিত ছিল।
প্রায় ৬ বছর পর গত ৫ জুন মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের জন্য নির্ধারিত ৩০ শতাংশ কোটা বাতিল অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: কোটাবিরোধী আন্দোলন: দ্বিতীয় দিনের মতো শাহবাগ অবরোধ
৫৪৩ দিন আগে
চীন-বাংলাদেশের আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদারে শেখ হাসিনার আসন্ন সফর: রাষ্ট্রদূত
ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন চীন সফরকে দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা আরও গভীর করা, উন্নয়ন কৌশলের সমন্বয় জোরদার করা, ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্ব সংহত করা এবং চীনের জাতীয় পুনরুজ্জীবনের স্বপ্ন ও বাংলাদেশের রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ হিসেবে দেখছে চীন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সম্পর্কে দৃঢ় প্রাণশক্তি, গতিশীলতা এবং উন্নয়নের সম্ভাবনা রয়েছে। এ বিষয়ে দুই দেশের জনগণেরই ব্যাপক সমর্থন রয়েছে এবং শক্তিশালী ও দৃঢ় উন্নয়নের গতি বজায় থাকবে বলে আশা রয়েছে।’
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত ডিক্যাব টকে রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, অবকাঠামো, ডিজিটাল ইকোনমি, ক্লিন এনার্জি, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, সংস্কৃতি এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছে চীন।
আরও পড়ুন: চীনের স্বপ্ন ও সোনার বাংলা পরস্পর সম্পর্কযুক্ত: লিউ জিয়ানচাও
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন সফরের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে সমন্বয় ও সহযোগিতা আরও বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত।
এছাড়াও এ সফর যৌথভাবে উন্নয়নশীল দেশগুলোর বৈধ অধিকার ও স্বার্থ এবং আন্তর্জাতিক স্বচ্ছতা ও ন্যায়বিচার সমুন্নত রাখবে বলে মনে করেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ব্রিকসের অংশীদার দেশ হতে বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে চীন। বাংলাদেশ শিগগিরই ব্রিকসের সদস্য হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের মানবিক চেতনার ভূয়সী প্রশংসা করে চীন। চীন যুদ্ধবিরতি ও সংলাপের জন্য মিয়ানমার সংঘাতে জড়িত সব পক্ষকে সক্রিয়ভাবে চাপ দিচ্ছে। এভাবে দেশটি শরণার্থীদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের পথ প্রশস্ত করছে বলে জানান রাষ্ট্রদূত।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে চীনের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
ইয়াও বলেন, ‘বহুপাক্ষিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে চীন প্রস্তুত রয়েছে। পাশাপাশি যৌথভাবে উন্নয়নশীল দেশগুলোর বৈধ অধিকার ও স্বার্থ রক্ষা এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার উন্নয়নে কাজ করতে আগ্রহী চীন।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ও চীন একই ধরনের মূল্যবোধ, জাতীয় স্বপ্ন এবং উন্নয়ন পথের অংশীদার।
রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন বাংলাদেশের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পাঁচটি মূলনীতি এগিয়ে নিতে, পারস্পরিক আস্থা সংহত করতে, চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ককে পারস্পরিক শ্রদ্ধার মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে লাভজনক সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত।
প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন সফরের মাধ্যমে উভয় পক্ষ বাস্তবসম্মত সহযোগিতায় নতুন সাফল্য অর্জন করবে যা দুই দেশের জনগণের জন্য অধিকতর সুবিধা বয়ে আনবে বলে জানান তিনি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এটা প্রমাণিত যে, চীন বাংলাদেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অংশীদার এবং সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধু।’
বাংলাদেশের আধুনিকায়নের অগ্রযাত্রা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) বাংলাদেশের রূপকল্প ২০৪১ এবং স্বপ্নের 'সোনার বাংলা' গড়তে অনেকটা ভূমিকা রাখবে।
ইয়াও ওয়েন আরও বলেন, ‘চীন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম বিদেশি বিনিয়োগের উৎস। বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা কোনো রাজনৈতিক বন্ধন বা বিশেষ সুবিধার দাবিতে গড়ে উঠেনি। বাংলাদেশ বিআরআইতে যোগ দেওয়ার পর গত আট বছরে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জিত হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ডিক্যাব সভাপতি নুরুল ইসলাম হাসিব ও সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরের অপেক্ষায় আছি : চীনের মন্ত্রী
৫৪৩ দিন আগে
কলড্রপের কারণে গ্রামীণফোনকে বিটিআরসির শোকজ, জরিমানা হতে পারে ৩০০ কোটি টাকা
অতিরিক্ত কলড্রপের কারণে গ্রামীণফোনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে না পারলে ৩০০ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানার মুখে পড়তে পারে টেলিকম অপারেটরটি।
সোমবার (১ জুলাই) গ্রামীণফোনকে এই নোটিশ দেওয়া হয়।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে আয়োজিত জিপিটি প্ল্যাটফর্ম ‘জি-ব্রেইন’ এর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক৷
পলক বলেন, ‘আমরা শোকজ করেছি প্রথমে গ্রামীণফোনকে। অন্যগুলোর এনাইলাইসিস চলছে। তারা যদি সঠিকভাবে কারণ ব্যাখ্যা দিতে পারে তাহলে এইবারের মতো তারা মাফ পাবে। আর যদি কারণ ব্যাখ্যা সঠিকভাবে না দিতে পারে তাহলে তো ১ কোটি হতে ৩০০ কোটি পর্যন্ত বিটিআরসি ফাইন করতে পারে।’
আরও পড়ুন: ইসরোর সঙ্গে যৌথভাবে ছোট স্যাটেলাইট তৈরি করবে বাংলাদেশ: পলক
তিনি বলেন, ‘৩০ তারিখের মিটিংয়ে টেস্ট ড্রাইভের প্রাথমিক রিপোর্ট নিয়ে আমরা ৪টি মোবাইল অপারেটরকে ব্যাখ্যা দিতে বলেছি।’
ভয়েস কল, ডেটা ও নেটওয়ার্কের কাভারেজ -এই ৩ মূল বিভাগে মোবাইল ফোন অপারেটরদের সেবার মান যাচাই করা হয়। আর এটি যাচাই করতে ‘কোয়ালিটি অব সার্ভিস ড্রাইভ টেস্ট’ চালায় বিটিআরসি।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ড্রাইভ টেস্টে গ্রামীণফোনের ভয়েস এবং ডেটা দুটিই কাঙ্খিত মানে পাওয়া যায়নি। বিটিআরসি এর কারণ জানতে চেয়েছে। ‘যেকোনো অপারেটরই সেবার কাঙ্খিত মান ঠিক না রাখতে পারলে ব্যবস্থা নেবে বিটিআরসি। গ্রাহকদের কোনো ভোগান্তি গ্রহণযোগ্য নয়।’
কোয়ালিটি অব সার্ভিস (কিউওএস) নীতিমালা অনুযায়ী, ভয়েস কলের ক্ষেত্রে অন্যতম ইস্যু কলড্রপের ক্ষেত্রে এটি ২ শতাংশ পর্যন্ত হওয়ার সুযোগ আছে। আর কল সেটআপের জন্যে বিটিআরসি নির্ধারিত সময় বেঁধে দেওয়া আছে ৭ সেকেন্ড। আর এখানে ফোরজি প্রযুক্তির ইন্টারনেটে ডাউনলোডের সর্বনিন্ম গতি ৭ এমবিপিএস হতে হবে।
আরও পড়ুন: ইন্টারনেটের জনপ্রিয় ছোট ছোট প্যাকেজের পক্ষে পলক
৫৪৩ দিন আগে