বাংলাদেশ
ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় দেড় লাখ ইউরো দিচ্ছে আইরিশ এইড
বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় ১ লাখ ৪৮ হাজার ১৭০ ইউরো বরাদ্দের অনুমোদন দিয়েছে আইরিশ এইড। আয়ারল্যান্ডের সিভিল সোসাইটি পার্টনারশিপের (আইসিএসপি) অ্যাকিউট ক্রাইসিস স্ট্রিমের (এসিএস) আওতায় প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে এই তহবিল সরবরাহ করা হবে।
গত ২৬ মে বাংলাদেশে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে উপকূলীয় জেলাগুলোর প্রায় ৪৬ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে ৩৩ লাখ মানুষ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ১ লাখ ৭৩ হাজার ৮৬৬টি ঘরবাড়ি আংশিক বা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। তীব্র পানি সংকট, খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা, বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও বিপর্যস্ত যোগাযোগ সেবার সঙ্গে লড়াই করছে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীগুলো।
আরও পড়ুন: ‘রিমালের’ তাণ্ডবে বাগেরহাটে ৫ লাখ মানুষ আক্রান্ত
আইরিশ এইডের অর্থায়নে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের বাস্তবায়নে ১ জুলাই থেকে ১ নভেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত ভোলা ও বরগুনা জেলার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ৮০০ পরিবারের প্রায় ৩ হাজার ৪৪০ জনকে প্রয়োজনীয় পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) সেবা দেওয়া হবে। নিরাপদ পানীয় জলের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা, স্যানিটেশন সুবিধা পুনরুদ্ধার করা এবং স্বাস্থ্যবিধি সামগ্রী বিতরণ করা এই হস্তক্ষেপের লক্ষ্য।
বৈশ্বিক সংকটে আইরিশ সহায়তার প্রতিশ্রুতি
আয়ারল্যান্ডের সিভিল সোসাইটি পার্টনারশিপ ফর এ বেটার ওয়ার্ল্ড (আইসিএসপি) বিশ্বব্যাপী দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তা সরবরাহে আইরিশ নাগরিক সমাজ সংস্থাগুলোর একটি ৫ বছরের তহবিল উদ্যোগ (২০২৩-২০২৭)। আইসিএসপি ৪টি তহবিল প্রবাহকে অন্তর্ভুক্ত করে- দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন, দীর্ঘস্থায়ী মানবিক সংকট, তীব্র মানবিক সংকট ও বৈশ্বিক নাগরিকত্ব শিক্ষা। ২০২৪ সালে, জলবায়ু অর্থায়নে ৯.৯ মিলিয়ন ইউরোসহ ১০টি আইরিশ এনজিওকে প্রায় ১০০ মিলিয়ন ইউরো দিয়েছে আইসিএসপি।
বাংলাদেশের জন্য অব্যাহত সমর্থন
রোহিঙ্গা শরণার্থী অনুপ্রবেশসহ একাধিক মানবিক সংকট মোকাবিলা করেছে বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ড ২০১৯ সাল থেকে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় ইউএনএইচসিআরকে ৬.৫ মিলিয়ন ইউরো দিয়েছে, যা শরণার্থী ও স্থানীয় সম্প্রদায় উভয়কেই উপকৃত করেছে।
২০২৩ সালে, কক্সবাজারে রেজিলেন্স-বিল্ডিং কর্মসূচিতে পুষ্টি ও দুর্যোগ ঝুঁকি কমানোর উদ্যোগে ১৫ লাখ ৬১ হাজার ৫০৮ ইউরো দেয় কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড। যা ২০২৪ সালে বেড়ে ১৭ লাখ ৪ হাজার ইউরোতে দাঁড়ায়।
২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে আয়ারল্যান্ডের বৈদেশিক নীতির অগ্রাধিকারগুলোর পাশাপাশি লিঙ্গ সমতা প্রচার, মানবিক চাহিদা হ্রাস এবং সুশাসনকে উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে কাজ করে আসছে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল আয়ারল্যান্ড।
আরও পড়ুন: ঢাকায় প্রথম অনারারি কনস্যুলেট উদ্বোধন করলেন আইরিশ মন্ত্রী সাইমন কোভেনি
৫৪৯ দিন আগে
জনগণের প্রত্যাশাকে গুরুত্ব দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে সরকার: ইআরডিএফবির আয়োজনে মোমেন
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সমন্বয়ে গঠিত গবেষণাভিত্তিক সংগঠন এডুকেশন, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (ইআরডিএফবি) আয়োজনে ‘আওয়ামী লীগের সফল এবং গৌরবময় পথচলার ৭৫ বছর’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ জুন) সকাল টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে আয়োজিত সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য ও ইআরডিএফবি'র সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন এবং মূল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা।
এছাড়াও উক্ত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল খান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আলম খান এবং রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সেলিনা আখতার।
উক্ত আলোচনা সভায় উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইআরডিএফবি’র সিনিয়র সভাপতি ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল জব্বার খাঁন।
আব্দুল মোমেন বলেন, আওয়ামী লীগের সফল ও গৌরবময় এই ৭৫ বছরের ইতিহাসে ৪৩ বছর নেতৃত্ব দিচ্ছেন শেখ হাসিনা। তিনি জনগণের প্রত্যাশাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দক্ষতার সঙ্গে রাষ্ট্র পরিচালনা করে আসছেন। তার যাদুকরী নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের তালিকায় নিম্ন আয়ের দেশ থেকে বেরিয়ে বাংলাদেশ নিম্ন-মধ্য আয়ের দেশে জায়গা করে নিয়েছে আরও আগেই।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বড় প্রকল্পগুলোর উদ্যোগ নিয়েছে এই সরকার, বাস্তবায়নও প্রতিনিয়ত দৃশ্যমান হতে চলেছে।
অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা বলেন, একটি দেশের উন্নয়নের অন্যতম পূর্বশর্ত স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ, যা বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের ৭৫ বছরের দীর্ঘ এই সফল ও গৌরবময় পথচলার মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের অন্যতম কেন্দ্র। এখানে রয়েছে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল, তৈরি করা হচ্ছে হাইটেক পার্ক। আমাদের রয়েছে পদ্মাসেতৃ, কর্নফুলী টানেল, মেট্রোরেলসহ আরও অনেক কিছু।
অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ৩০ লাখ শহীদের প্রাণ, লাখ লাখ মা-বোনের অশ্রু, সম্ভ্রম ও রক্তের বিনিময়ে জন্ম নেওয়া এই বাংলাদেশকে আজকের অবস্থানে আসতে অতিক্রম করতে হয়েছে হাজারো প্রতিবন্ধকতা। আওয়ামী লীগের সফল ও গৌরবময় ৭৫ বছরের সুদক্ষ নেতৃত্বে যুদ্ধবিধ্বস্ত, প্রায় সর্বক্ষেত্রে অবকাঠামোবিহীন সেদিনের সেই সদ্যোজাত জাতির অর্জনের পরিসংখ্যানও অপ্রতুল নয়। বিএনপির শাসনামলে দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ আজ শিক্ষা-দিক্ষা, জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সমৃদ্ধ ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে।
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ, আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা একে অপরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। দৃঢ়তার সঙ্গেই বলতে পারি, একে অপরের পরিপূরক। একটিকে ছাড়া অপরটি অকল্পনীয়। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে বাংলাদেশের যে গৌরবময় অর্জন তা অবর্ণনীয়।
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় সেমিনারের শুরুতে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. আবদুল জব্বার খাঁন।
৫৪৯ দিন আগে
জাতিসংঘ পুলিশের কাজে অর্থবহ অবদান রাখার প্রতিশ্রুতি-প্রস্তুতি পুনর্ব্যক্ত বাংলাদেশের
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জাতিসংঘ পুলিশের কাজে অর্থবহ অবদান রাখতে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি ও প্রস্তুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে জাতিসংঘ পুলিশ প্রধানদের চতুর্থ সম্মেলনে (ইউএনকপস ২০২৪) তিনি প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
‘শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অভিনব কৌশল ও সম্ভাব্য সংঘাতের ক্ষেত্র’ শীর্ষক সম্মেলনের প্রধান সেশনে প্রথম বক্তা হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
প্রদত্ত বক্তব্যে বর্তমান পরিস্থিতি ও প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে প্রাসঙ্গিক ও নির্দিষ্ট লক্ষ্যভিত্তিক বিশেষায়িত পুলিশিং বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
শান্তিরক্ষা কার্যক্রম চলমান দেশগুলোর আইন ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত সংস্থাগুলোর দক্ষতাবৃদ্ধির ওপরও জোর দেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাপী সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহত কমাতে দ্রুত পদক্ষেপের আহ্বান জাতিসংঘের
এছাড়াও তিনি শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের শেষান্তে, সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের শান্তিরক্ষায় নিজস্ব স্বক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতা দেওয়ার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নারী পুলিশ সদস্য পাঠানো বৃদ্ধিতে বাংলাদেশের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে নানা প্রকার অপপ্রচার রোধে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত ব্যবস্থায় বাংলাদেশের অবদান তুলে ধরেন। পাশাপাশি, শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারের গুরুত্ব বর্ণনা করে এ ধরনের প্রযুক্তির দায়িত্বশীল ব্যবহারের বিষয়ে জোর দেন।
এই সম্মেলন চলাকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, গাম্বিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদৌলে সানিয়াং, জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ফর পিস অপারেশনস জ্যঁ পিয়েরে লাখোয়া ও আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ফর অপারেশনাল সাপোর্ট অতুল খারে’র সঙ্গে ৩টি আলাদা দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেলদের সঙ্গে বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিত্য নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রস্তুতি ও সক্ষমতার বিষয়টি তুলে ধরেন।
এছাড়া জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ বাড়ানো ও জাতিসংঘের সঙ্গে অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির নানা ক্ষেত্র আলোচনায় উঠে আসে।
আরও পড়ুন: শরণার্থীদের পুনর্বাসনে পৃষ্ঠপোষক দেশগুলোর সহায়তা প্রয়োজন: জাতিসংঘ মহাসচিব
এসময় উভয় আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের পেশাদারিত্ব ও অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশ হতে আরও শান্তিরক্ষী পাঠানোর অনুরোধ জানান।
গাম্বিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে গাম্বিয়ার অংশগ্রহণে বাংলাদেশ সহযোগিতা প্রদান করায় ধন্যবাদ জানান।
এছাড়াও ওই বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু ও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ ও গাম্বিয়ার পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ২৬-২৭ জুন ২ দিনব্যাপী জাতিসংঘ পুলিশ প্রধানদের চতুর্থ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত, বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক কামরুল আহসান ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের ২০২৫-২০২৭ মেয়াদের নির্বাচনে বাংলাদেশের বিজয়
৫৪৯ দিন আগে
আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তি পেয়েছে বাংলাদেশ
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণের তৃতীয় কিস্তি হিসেবে বৃহস্পতিবার ১১৫ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক ইউএনবিকে বলেন, ‘আইএমএফ ছাড়াও আমরা কোরিয়া, আইবিআরডি, আইডিবি ইত্যাদি অন্যান্য উৎস থেকেও প্রায় ৯০ কোটি ডলার পেয়েছি। ফলে মোট রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬০০ কোটি ডলারেরও বেশি। চূড়ান্ত পরিমাণ শুক্রবার জানা যাবে।’
এর আগে ২৪ জুন আইএমএফের নির্বাহী বোর্ড ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের তৃতীয় কিস্তি ছাড়ের অনুমোদন দেয়।
২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি ঋণ প্যাকেজের প্রথম কিস্তি অনুমোদন করে আইএমএফ। ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ৪৪ কোটি ৭৮ লাখ ডলার গ্রহণ করে। আইএমএফের ঋণের পুরো অর্থ ২০২৬ সাল পর্যন্ত সাড়ে ৩ বছরে ৭ কিস্তিতে বাংলাদেশকে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: আইএমএফ থেকে ঋণের তৃতীয় কিস্তি ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার জুন মাসেই পাওয়া যাবে: অর্থমন্ত্রী
৫৪৯ দিন আগে
কোরিয়া বাংলাদেশের চমৎকার উন্নয়ন অংশীদার : প্রধানমন্ত্রী
দক্ষিণ কোরিয়াকে বাংলাদেশের অসাধারণ উন্নয়ন ও বিনিয়োগ অংশীদার হিসেবে অভিহিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কোরিয়া এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক ইয়ুন-এর চেয়ারম্যান ও সিইও হি সাং বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংসদ ভবনে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এবিএম সরওয়ার-ই-আলম সরকার সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
শেখ হাসিনা কোরিয়া সরকারের সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। কোরিয়া সরকারের সহযোগিতার পরিমাণ বিগত পাঁচ বছরে প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৬ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের কালুরঘাট পয়েন্টে কর্ণফুলী নদীর ওপর যৌথ রেল ও সড়ক সেতু নির্মাণে অর্থায়নের চুক্তি সইয়ের জন্য ইউনকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, 'এই সেতু নিশ্চয়ই চট্টগ্রাম শহরের যানজট কমাবে এবং দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং বিশেষ করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জন্য মাতারবাড়ি (সোনাদিয়া) গভীর সমুদ্রবন্দরের জন্য একটি প্রশস্ত করিডোর তৈরি করবে।’
তিনি বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য প্রকল্পে সহজ শর্তে অর্থায়নের জন্য তাদের ধন্যবাদ জানান।
প্রধানমন্ত্রী তার দু'বার কোরিয়া সফরের কথাও স্মরণ করেন।
২০১০ সালের সফরটি তিনি আন্তরিকভাবে স্মরণ করেন। তিনি সেসময় কোরিযা প্রজাতন্ত্রকে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত একটি 'বিশেষ বন্ধু' বলে অভিহিত করেছিলেন।
আরও পড়ুন: পরিবেশের স্বার্থে রাসেলস ভাইপার সাপ না মারার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
কোরিয়া এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও সিইও হি সাং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে সাক্ষাৎ করতে পেরে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ঢাকায় তার সফল সফরে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি তার এই সফরকে সবচেয়ে ফলপ্রসূ হিসেবে বিবেচনা করেন কারণ তিনি বাংলাদেশের চলমান প্রধান উন্নয়ন যাত্রা প্রত্যক্ষ করেন।
কোরিয়ান এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও সিইও বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান জিডিপি, চলমান উন্নয়ন পরিক্রমা এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের গুরুত্ব তুলে ধরেন। কোভিড-১৯ করোনাভাইরাস মহামারিসহ চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা হয়েছে।
তিনি দারিদ্র্য বিমোচন এবং ২০২৬ সালের মধ্যে এলডিসি থেকে সম্পূর্ণরূপে উত্তরণে শেখ হাসিনার প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
ইয়ুন বাংলাদেশে কোরিয়ার বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং উভয় দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক সম্ভাবনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে কারিকুলামে আধুনিক প্রযুক্তির জ্ঞান আনা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধিদল ইডিসিএফ (ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন ফান্ড) এবং ইডিপিএফ (ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট প্রমোশন ফান্ড)’র আওতায় ২০২৩ থেকে ২০২৭ সালের মধ্যে উন্নয়ন প্রকল্প ও কর্মসূচিতে বাংলাদেশকে ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থায়নে সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
তারা বাংলাদেশে দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নে সহযোগিতা ও অর্থায়নের বিষয়েও আগ্রহ প্রকাশ করেন।
ইয়ুন এই সহযোগিতার পারস্পরিক সুবিধার কথা তুলে ধরে বলেন, মানব মূলধন হিসেবে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক যুবক রয়েছে। অন্যদিকে কোরিয়ান প্রজাতন্ত্র তার ক্রমবর্ধমান বয়স্ক জনসংখ্যার কারণে ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, উভয় দেশ এই চ্যালেঞ্জটি কাটিয়ে উঠতে একে অপরের পরিপূরক হতে পারে। যেটি সর্বোপরি উভয় দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সহায়তা করে। এই সহযোগিতার সম্ভাব্য ফলাফল সম্পর্কে শ্রোতাদের মধ্যে ইতিবাচকতার অনুভূতি সৃষ্টি করে।
ইয়ুন বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়ন ও জোরদারে তার গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন। যে প্রস্তাবটি শেখ হাসিনা উষ্ণভাবে গ্রহণ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের সাইড লাইনে তার সঙ্গে তার বৈঠকের কথা স্মরণ করেন।
তিনি দু'দেশের জনগণের জন্য একটি প্রতিশ্রুতিশীল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্ক সম্প্রসারণ ও গভীর করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব বলেন, উভয় পক্ষ পারস্পরিক সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের প্রত্যাশায় ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে বৈঠক শেষ করেন।
অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান, মুখ্য সচিব মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং ইআরডি সচিব মো.শাহরিয়ার কাদের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর ঋণ পরিশোধ বাবদ ৩১৫ কোটি টাকার চেক গ্রহণ করলেন প্রধানমন্ত্রী
৫৪৯ দিন আগে
অ্যানিমেশন ফিল্ম ‘খোকা’ প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠিত
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শৈশব-কৈশোরকে প্রাধান্য দিয়ে নির্মিত ৯৬ মিনিটের অ্যানিমেশন ফিল্ম ‘খোকা’র প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর স্টার সিনেপ্লেক্সে এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ‘মোবাইল গেইম ও অ্যাপ্লিকেশনের দক্ষতা উন্নয়ন’ প্রকল্পের উদ্যোগে ১১ পর্বের এই অ্যানিমেশন সিরিজ নির্মাণ করা হয়। ১১ পর্বের সিরিজটিকে একসঙ্গে করে অ্যানিমেশন ফিল্ম হিসেবে প্রদর্শন করা হয়।
সকালে অ্যানিমেশন ফিল্ম ‘খোকা’র প্রিমিয়ার শো পথ শিশু ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে উপভোগ করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, সারা বিশ্বের প্রত্যেকটা সেক্টরকে ডিজার্ভ করছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, এআই এক্সপার্ট ও টুল ব্যবহার করে ভবিষ্যতে অ্যানিমেশন শিল্পের সম্প্রসারণের জন্য একটি বড় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের তরুণ-তরুণীদের মেধাকে কাজে লাগিয়ে ফিউচার ক্রিয়েটিভ ইকোনোমি গড়ে তোলার লক্ষ্যে দেশে আরও ৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অত্যাধুনিক অ্যানিমেশন ল্যাব স্থাপন করা হবে বলে তিনি জানান।
দিনব্যাপী সিরিজটি মোট ৫টি প্রদর্শনী আয়োজিত হচ্ছে। প্রদর্শনীগুলো যথাক্রমে বেলা পৌনে ১১টা, দুপুর দেড়টা, বিকাল পৌনে ৪টা, বিকাল ৫টা ৪০ মিনিট এবং সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিট।
আরও পড়ুন: ইসরোর সঙ্গে যৌথভাবে ছোট স্যাটেলাইট তৈরি করবে বাংলাদেশ: পলক
অ্যানিমেশন সিরিজটি উপভোগ শেষে প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন এবং উন্নত আধুনিক সোনার বাংলা গড়ার ভিত্তি রচনা করে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর দুরন্ত কৈশোর, সংগ্রামী ছাত্রজীবনকে আমরা শিশু-কিশোরদের প্রিয় মাধ্যম অ্যানিমেশনে তুলে ধরেছি।
শেখ মুজিবুর রহমান প্রত্যন্ত অঞ্চল টুঙ্গিপাড়া গ্রাম থেকে কীভাবে বড় হয়ে আস্তে আস্তে খোকা থেকে মুজিব, মুজিব থেকে মুজিব ভাই, মুজিব ভাই থেকে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির পিতায় পরিণত হলেন এবং বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সংগ্রাম, ত্যাগ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধারাবাহিক নেতৃত্বকে এই অ্যানিমেশনের মাধ্যমে সহজ-সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি এবং শিল্পের সমন্বয়ে সৃজনশীল তরুণ প্রজন্ম গড়ে তুলতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ কাজ করছে। মোবাইল গেইম ও অ্যাপ্লিকেশন প্রকল্পের আওতায় প্রায় ২৮ হাজার মোবাইল অ্যাপ এবং গেইম ডেভেলপার তৈরি করেছি। এছাড়া দেশের ৩২টি বিশ্ববিদ্যালয় ও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে মোবাইল অ্যাপস এবং গেমিং ল্যাব, ৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাপ-গেইম টেস্টিং সেন্টার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অত্যাধুনিক শেখ রাসেল অ্যানিমেশন স্টুডিও স্থাপন করা হয়েছে।
পলক বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে সারাবিশ্বে অ্যানিমেশন শিল্পের বাজার দাঁড়াবে প্রায় ৬০০ বিলিয়ন ডলার। সেখানে দেশের মেধাবী তরুণরা যাতে অবদান রাখতে পারে তার জন্য আমরা ফিউচার অ্যানিমেটর্স অ্যান্ড ক্রিয়েটিভ ইকোনমি (ফেস অব স্মার্ট বাংলাদেশ) প্রকল্প গ্রহণ করছি।
তিনি বলেন, এই প্রকল্পের আওতায় ফ্রান্সের সঙ্গে যৌথ সহায়তায় পরিবেশ এবং জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় সচেতনতা তৈরির জন্য ‘সং অব ঝিনুক’ এবং বাংলাদেশ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংগ্রামী জীবনকে তুলে ধরার জন্য ‘দি স্ট্রাগল’ নামে অ্যানিমেশন মুভি তৈরি করা হবে।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে সমতার বিশ্ব গড়ে তোলা সম্ভব: প্রতিমন্ত্রী পলক
উল্লেখ্য, দেশের জনসাধারণ ও নতুন প্রজন্মকে মানবিক হতে ও দেশপ্রেমের প্রতি উদ্বুদ্ধ করতে অ্যানিমেটেড সিরিজটি বিশেষ অবদান রাখবে। দেশীয় অ্যানিমেটর দ্বারা বানানো অ্যানিমেশনের মাধ্যমে তৈরি হওয়ায় সব বয়সী দর্শকেরা সহজেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শৈশব-কৈশরের জীবনী সম্পর্কে সহজে জানতে পারবেন।
‘মোবাইল গেইম ও অ্যাপ্লিকেশনের দক্ষতা উন্নয়ন’ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনের তত্ত্বাবধানে নির্মিত এই সিরিজটির পরিচালনায় ছিলেন প্রোল্যান্সার স্টুডিও’র সোহেল মোহাম্মদ রানা। প্রযোজকের দায়িত্বে ছিলেন এম ই চৌধুরী শামীম। নির্বাহী প্রযোজকের দায়িত্বে ছিলেন শেখ অলিদুর রহমান হীরা ও দিলারা আফরোজ খান রুপা।
এই সিরিজে স্ক্রিপ্টের দায়িত্বে ছিলেন বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত নাট্য রচয়িতা ও নাট্য ব্যক্তিত্ব মাসুম রেজা, রতন সিদ্দিকি, আহমেদ সাদ রিজভী, শেখ সাদি, মিথুন হাসান প্রমুখ।
ভয়েস ডিরেকশনের দায়িত্বে ছিলেন রফিকুল সেলিম। লিড ক্যারেক্টার ডিজাইনার ছিলেন যাওয়াদ মাহমুদ। সিরিজটি তৈরি করেছে টিম অ্যাসোসিয়েট, মার্স সল্যুশন, ম্যাজিক ইমেজ ও প্রোল্যান্সার স্টুডিও।
আরও পড়ুন: ইন্টারনেটের জনপ্রিয় ছোট ছোট প্যাকেজের পক্ষে পলক
৫৪৯ দিন আগে
ডিক্যাব সদস্যদের সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনের মতবিনিময়
ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিক্যাব) সদস্যদের নিয়ে ভারত সরকারের আয়োজিত একটি বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় হাইকমিশনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) ঢাকার ভারতের হাইকমিশনে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
চলতি বছরের মে মাসে ডিক্যাবের ২০ জন সদস্য সপ্তাহব্যাপী বিশেষ প্রশিক্ষণের প্রথম ব্যাচ হিসেবে ভারত সফর করেছেন।
মতবিনিময় অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা যৌথ ইতিহাস ও সংস্কৃতির ভিত্তিতে ভারত ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে গড়ে ওঠা বন্ধুত্বের বন্ধনকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: দেশের স্বার্থ রক্ষা করেই ভারতের সঙ্গে সমঝোতা সই-নবায়ন করা হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি উল্লেখ করেন, গণমাধ্যম একটি সেতু হিসেবে কাজ করে, যা আমাদের জনগণকে সংযুক্ত করে, সংলাপকে সহজতর করে এবং বোঝাপড়ার উন্নয়ন ঘটায়।
হাইকমিশনার আমাদের দুই দেশের গণমাধ্যমের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পৃক্ততার গুরুত্ব এবং আমাদের যৌথ মূল্যবোধ ও আকাঙ্ক্ষার প্রতিনিধিত্বকারী ভারত-বাংলাদেশ অংশীদারত্বের ক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক আখ্যান রচনায় গণমাধ্যমের অবদানের ওপর জোর দেন।
অনুষ্ঠানে ডিক্যাব সদস্যরা তাদের ভারত সফরের অভিজ্ঞতা এবং ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের সাম্প্রতিক অগ্রগতি সম্পর্কে নিজেদের উপলব্ধি ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে সফরটির ইতিবাচক ভূমিকা হিসেবে উল্লেখ করেন।
ডিক্যাব সদস্যদের নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বহুমুখী সক্ষমতা-বিনির্মাণ বিষয়ক বিনিময় কার্যক্রমের দীর্ঘকালীন ঐতিহ্যের অংশ।
আরও পড়ুন: এমপি আনার হত্যা: দুই আসামি ৬ দিনের রিমান্ডে
৫৪৯ দিন আগে
টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন বর্তমান সরকারের অঙ্গীকার: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন সরকারের অঙ্গীকার এবং জাতীয় এসডিজি যোগাযোগ কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা এ অঙ্গীকারের বহিঃপ্রকাশ।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে 'ইউনাইটেড ইন প্রোগ্রেস: শেয়ারিং ন্যাশনাল এসডিজিস কমিউনিকেশনস স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড অ্যাকশন প্ল্যান ২০২৪-২০৩০' শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে জাতিসংঘ প্রকল্প সেবাসমূহের কার্যালয়ের (ইউএনওপিএস) সহযোগিতায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক ইউনিট।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ধারণা ও দর্শন হচ্ছে, শুধু উন্নয়ন নয়, উন্নয়ন হতে হবে টেকসই এবং সুষম। কারণ উন্নয়ন যদি টেকসই ও সুষম না হয় তাহলে তা সত্যিকার অর্থে কাজে আসে না। টেকসই ও সুষম উন্নয়ন সমাজে পরিবর্তন আনতে পারে।
মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনাসহ জাতীয় পরিকল্পনা কাঠামোতে এসডিজির লক্ষ্যমাত্রাগুলোকে একীভূত করা হয়েছে। এটি শুধুমাত্র একটি নীতিগত সিদ্ধান্ত নয়, এটি টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের প্রতি সরকারের অঙ্গীকারের প্রমাণ।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, এসডিজি বাস্তবায়নের বর্তমান প্রেক্ষাপটে জাতীয় এসডিজি যোগাযোগ কৌশল এবং কর্মপরিকল্পনা তৈরির উদ্যোগ সময়োপযোগী এবং গুরুত্বপূর্ণ। এই কৌশল এসডিজির লক্ষ্যমাত্রাগুলো স্থানীয় পর্যায়ে সম্পৃক্ত করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। এটি প্রতিটি নাগরিককে তাদের অবস্থান নির্বিশেষে উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সচেতন ও সম্পৃক্ত করবে। এটি কাউকে পেছনে না রাখার জন্য সরকারের অঙ্গীকারের বহিঃপ্রকাশ।
তিনি বলেন, জাতীয় এসডিজি যোগাযোগ কৌশল বাস্তবায়নে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এ মন্ত্রণালয় সরকারের নীতি এবং জনগণের বোঝাপড়া ও অংশগ্রহণের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে। মন্ত্রণালয়ের সম্পদ, নেটওয়ার্ক এবং প্ল্যাটফর্মগুলো কাজে লাগিয়ে এসডিজির বার্তাগুলো নগর কেন্দ্র থেকে প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত দেশের প্রতিটি কোণায় পৌঁছানো নিশ্চিত করতে চাই। এসডিজি এজেন্ডার সাফল্য জনগণের সচেতনতা ও অংশগ্রহণের ওপর অনেকাংশে নির্ভর করে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, টেকসই উন্নয়নের ভিত্তি হলো একজন সচেতন এবং নিযুক্ত নাগরিক। যখন মানুষ এসডিজির তাৎপর্য এবং সেগুলো অর্জনে তাদের ভূমিকা বুঝতে পারে, তখন তারা উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সক্রিয় অংশগ্রহণকারী হয়ে ওঠে।
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকায় বসে আমরা যা আলোচনা করি এবং যোগাযোগের যে পদ্ধতির কথা ভাবি সেটি গ্রামাঞ্চলে কার্যকর নাও হতে পারে। তাই স্থানীয় প্রাসঙ্গিকতা বোঝা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর ভিত্তিতেই আমাদের যোগাযোগ কৌশল নির্ধারণ করতে হবে। তাহলে সেটি সমাজে পরিবর্তন আনতে পারবে।’
তিনি আরও বলেন, উদ্দিষ্ট ব্যক্তির নিকট বার্তা পৌঁছে দেওয়া তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অন্যতম দায়িত্ব। এক্ষেত্রে জাতীয় এসডিজি যোগাযোগ কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে এই মন্ত্রণালয় সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবে। তবে এসডিজি বাস্তবায়নে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সরকারি-বেসরকারি খাত, উন্নয়ন সহযোগী, বিদেশী বন্ধু সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) সম্পর্কিত প্রথম জাতীয় কমিউনিকেশনস স্ট্রাটেজি অ্যান্ড অ্যাকশন প্ল্যান ২০২৪-২০৩০ এর চূড়ান্ত খসড়া উপস্থাপন করা হয়। এটি উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক অতিরিক্ত সচিব মো. মনিরুল ইসলাম এবং জাতিসংঘ প্রকল্প সেবাসমূহের কার্যালয়ের (ইউএনওপিএস) এসডিজি কমিউনিকেশনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নুসরাত আমিন।
সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন জাতিসংঘ প্রকল্প সেবাসমূহ কার্যালয়ের কান্ট্রি ম্যানেজার সুধীর মুরলীধরন।
অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আখতার হোসেন, পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সচিব) ড. মো. কাউসার আহমেদ এবং বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস।
৫৪৯ দিন আগে
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাজারমুখী দক্ষ জনশক্তি প্রস্তুত করতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন দেশের উচ্চশিক্ষা পর্যায়ের ৯০ ভাগ শিক্ষার্থীই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এইসব শিক্ষার্থীদের বিশ্ববাজারের চাহিদা উপযোগী আর দক্ষ করে গড়ে তোলার মাধ্যমে উৎপাদনশীল অর্থনীতি তৈরির লক্ষ্যে কাজ করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মার্তৃভাষা ইনস্টিস্টিউটে ‘স্মার্ট অর্থনীতি বিনির্মাণে স্মার্ট শিক্ষা ও কর্মসংস্থান’ শীর্ষক এক প্যানেল আলোচনায় এমন মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই), তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সহযোগিতায় এই প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক উজ্জ্বল অনু চৌধুরী এবং এটুআই-এর পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী সম্পাদিত ‘Blended Learning in Smart Education: Perspectives from South Asia’ শীর্ষক প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
প্যানেল আলোচনায় শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, উচ্চশিক্ষায় গতানুগতিক শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। এই অবস্থার পরিবর্তন করে বিশেষায়িত দক্ষতা প্রদান করতে হবে। শিক্ষার্থীরা যেন তাদের অর্জিত জ্ঞান বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করতে পারে সেই লক্ষ্যে শিক্ষাকে বাস্তব জীবনে প্রয়োগে শিক্ষাক্রমের রূপান্তর করা হচ্ছে। একইভাবে শিক্ষকদেরও প্রশিক্ষিত করা হচ্ছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মতে শিক্ষাব্যবস্থাকে এমনভাবে রূপান্তর করতে হবে, যাতে বিশ্ববাজারের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ জনশক্তি প্রস্তুত করা সম্ভব হয়।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের কর্মযোগ্যতা বৃদ্ধির আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর
তিনি আরও বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ক্ষেত্রে শিক্ষা, অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের মধ্যে সমন্বয় নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, একাডেমিয়া এবং ইন্ড্রাস্ট্রিকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এতে করে বিশ্ববাজারের চাহিদা উপযোগী করে স্মার্ট বাংলাদেশের অর্থনীতি বিনির্মাণে দক্ষ জনবল প্রস্তুত করা যাবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের মানসিক পরিবর্তনটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আজকে একজন শিক্ষার্থী যা শিখছে ভবিষ্যতে তার প্রয়োজন নাও হতে পারে। ভবিষ্যতে নতুন যা আসবে তা শেখার মানসিকতা থাকতে হবে।
প্যানেল আলোচনায় সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, একাডেমিয়া এবং ইন্ড্রাস্ট্রির প্রতিনিধি দক্ষতা ও কর্মসংস্থানের সঙ্গে শিক্ষার সমন্বয় সাধনের উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।
এটুআই-এর পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরীর সঞ্চালনায় প্যানেল আলোচনায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা এবং উন্নয়ন) অধ্যাপক ড. এ কিউ এম শফিউল আজম ‘স্মার্ট অর্থনীতির জন্য শিক্ষা’ বিষয়ক উপস্থাপনা তুলে ধরেন।
আলোচনায় অন্যদের মধ্যে ছিলেন- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান, স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজেস লিমিটেডের হেড অব এইচআর, মো. আমিনুল ইসলাম খান, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম, বিডিজবস-এর সিইও ও প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম মাশরুর। এসময় সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, একাডেমিয়া ও ইন্ড্রাস্ট্রির প্রতিনিধি এবং গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাস্তবমুখী হওয়ায় নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে গ্রামের অভিভাবকরা খুশি: শিক্ষামন্ত্রী
৫৪৯ দিন আগে
এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ডিএসসিসির ১১ স্থাপনাকে ৯৫ হাজার টাকা জরিমানা
এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ১১টি স্থাপনাকে ৯৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ ও এডিস মশার প্রজননস্থল নিধনে করপোরেশন পরিচালিত ৬টি ভ্রাম্যমাণ আদালত এই জরিমানা করে।
অভিযানে সর্বমোট ৪৪৯টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করা হয়। এ সময় ১১টি বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় ১০ মামলায় সর্বমোট ৯৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
ডিএসসিসির বাসাবো ও শাফিয়া এলাকার আশপাশ, নিউ পল্টন লাইন, ইরাকি গোরস্তান সংলগ্ন মাঠ, উত্তর যাত্রাবাড়ীর ডেমরা সড়ক ও বালুর মাঠ, দাসপাড়ার ১ ও ২ নম্বর রোড, বাসাবো দক্ষিণ গাঁও, যাত্রাবাড়ীর কোনাবাড়ি, মেরাজনগর এ ও বি ব্লক এলাকায় এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়।
দুই নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদ ১ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসাবো এবং শাফিয়া পল্লী ও আশপাশ এলাকায় ১১৮টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ৩টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ৩টি মামলায় ৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
তিন নম্বর অঞ্চলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. দেলোয়ার হোসেন ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের নিউ পল্টন লাইন ইরাকি গোরস্তান সংলগ্ন মাঠ এলাকায় ৬৪টি স্থাপনা ও বাসাবাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন। আদালত এ সময় ১টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
পাঁচ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী নাহিদ ইভা ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর যাত্রাবাড়ীর ডেমরা সড়ক, বালুর মাঠ এলাকায় ৪৩টি বাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করে ২টি স্থাপনায় লার্ভা পাওয়ায় ২ মামলায় ১২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
সাত অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিলুর রহমান ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের দাসপাড়ার ১ ও ২ নম্বর রোড, বাসাবো দক্ষিণ গাঁও এলাকায় ৮৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ৩টি স্থাপনায় লার্ভা পাওয়ায় ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। তাছাড়া আদালত আরও ১০টি বাড়িতে সামান্য পরিমাণে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় সংশ্লিষ্ট বাড়ির মালিকদের সতর্ক করেন।
নয় নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খৃষ্টফার হিমেল বিছিল ৬৪ নম্বর ওয়ার্ডের যাত্রাবাড়ীর কোনাবাড়ি এলাকায় ১০৪টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ১টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ১টি মামলায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
দশ নম্বর অঞ্চলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়াছিন ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেরাজনগর এ ও বি ব্লক এলাকায় ৩৫টি স্থাপনা ও বাসাবাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন।
৫৪৯ দিন আগে