রাজনীতি
সংরক্ষিত নারী আসনে আ.লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ-জমা শুরু মঙ্গলবার
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে যারা মনোনয়ন পেতে চান তাদের ৬ থেকে ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমা দিতে বলা হয়েছে।
রবিবার(৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টার মধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ফরম সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন।
এতে আরও বলা হয়, প্রার্থীদের ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের প্রশাসনিক বিভাগ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: সন্ত্রাস-জালিয়াতি ও দেশবিরোধী অপপ্রচারই বিএনপির রাজনীতির উপাদান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের মনোনয়ন ফরম বিতরণ করা হবে এবং তৃতীয় তলায় রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা যাবে।
সব বিভাগের ফরম অফিসের নিচতলায় জমা দিতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নিজে বা তার উপযুক্ত প্রতিনিধির মাধ্যমে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে বলা হয়েছে এবং অতিরিক্ত লোকসমাগম না করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির কালো পতাকা মিছিল অবৈধ: ওবায়দুল কাদের
৬৯৩ দিন আগে
আ.লীগ সরকারই ব্যবসায়িক সিন্ডিকেট তৈরি করেছে: বিএনপি নেতা ফারুক
সরকার নিজেই একটি ব্যবসায়িক সিন্ডিকেট তৈরি করেছে এবং সেই সিন্ডিকেটই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও সংসদের সাবেক চিফ হুইপ জয়নাল আবদীন ফারুক।
তিনি বলেন, ‘হায়, আওয়ামী লীগ... তারা ঔদ্ধত্যের সঙ্গে কথা বলে... তাদের কোনো লজ্জা নেই। তারা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের কথা বললেও আড়ালে একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে।’
এক মানববন্ধনে বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট যে টাকা আয় করে, তার একটা অংশ সরকার পায়।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সিন্ডিকেটের সেই টাকা দিয়ে আপনারা (আওয়ামী লীগ নেতারা) মালয়েশিয়া, কানাডা, ব্যাংকক, সিঙ্গাপুরে ঘরবাড়ি নির্মাণ করে ব্যবসা করবেন, অথচ বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষ এক কেজি তো দূরের কথা, একটা ডিম, এক কেজি মাংস কিনেওও খেতে পারবেন না। তবুও তারা (সরকার) ঔদ্ধত্য দেখাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: হুমকি সত্ত্বেও বিএনপি আন্দোলন চালিয়ে যাবে: জয়নুল আবেদিন ফারুক
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ গ্রেপ্তার বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে 'স্বাধীনতা অধিকার আন্দোলন'।
জাতীয় সংসদে সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ফারুক বলেন, যারা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ ও মানুষকে শান্তিতে ঘুমানোর সুযোগ দিতে পারছে না এবং যারা মেগা প্রকল্পের নামে ও উন্নয়নের নামে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করছে, তাদের লজ্জিত হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, 'আপনাদের (আওয়ামী লীগ নেতাদের) মুখ বন্ধ রাখা উচিত। অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত। কারণ এটা জনগণের সরকার নয় এবং জনগণের ভোটে সরকার গঠিত হয়নি।’
আরও পড়ুন: প্রিপেইড গ্যাস মিটারের ভাড়া দ্বিগুণ করার সিন্ধান্তের নিন্দা বিএনপির
আওয়ামী লীগের পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে যাওয়ায় বিএনপিকে ছোট করে কোনো মন্তব্য না করতে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান ফারুক।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দুর্বল ভাববেন না। আমরা সৎ হিসেবে শক্তিশালী এবং অতীতে আমরা সততার সঙ্গে সরকার পরিচালনা করেছি।’
ফারুক বলেন, যদিও আমাদের দলের নেতাকর্মীরা কঠিন সময় পার করছে, তবুও সরকারের পতন নিশ্চিত করতে আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে চলমান আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
আরও পড়ুন:৭ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে রুশ রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যের নিন্দা বিএনপির
৬৯৫ দিন আগে
৭ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে রুশ রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যের নিন্দা বিএনপির
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ম্যানতিতস্কির বক্তব্যকে অনাকাঙ্ক্ষিত বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি। এই বক্তব্যের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক অনুভূতিতে আঘাত করা হয়েছে বলে মনে করে দলটি।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিবৃতিতে এই প্রতিক্রিয়া জানানো হয়।
বাংলাদেশের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শনের জন্য রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।
এতে বলা হয়, ‘আমরা লক্ষ্য করেছি যে, রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ম্যানতিতস্কি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাশিয়ার ভূমিকা নিয়ে বিএনপির বক্তব্যকে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর বলে মন্তব্য করেছেন। নির্বাচনে ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পড়েছে এবং অধিকাংশ মানুষ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছেন বলেই বাংলাদেশের জনগণ (বর্তমান) সরকারকে নির্বাচিত করেছে বলেও দাবি করেন তিনি।’
রুশ হাইকমিশনারের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়, 'আমরা বলতে চাই, তার (রাষ্ট্রদূতের) অযাচিত, অগ্রহণযোগ্য ও আওয়ামীপন্থী বক্তব্য বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক অনুভূতিতে আঘাত করেছে।’
এতে আরও বলা হয়, আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নন এমন সব বাংলাদেশি নাগরিক তাদের অধিকার ও স্বাধীনতা হারিয়ে নিজ দেশেই পরাধীন হয়ে পড়েছেন। তিনি বলেন, 'গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতি, দুঃশাসন ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ বৈষম্য, অবিচার ও নিপীড়নের শিকার হয়েছে।’
আরও পড়ুন: রাজধানীতে পুলিশি বাধায় পণ্ড বিএনপির কালো পতাকা মিছিল
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের জনগণ ও গণতান্ত্রিক বিশ্বের আশা-আকাঙ্ক্ষা অভিন্ন। ‘সেই অভিন্ন লক্ষ্য হচ্ছে একটি নির্বাচিত ও জবাবদিহিমূলক সরকারের মাধ্যমে বাংলাদেশে গণতন্ত্র, সুশাসন, মানবাধিকার ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা।’
দলটি বলেছে, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী জনগণ আশা করে যে, রাশিয়া, ভারত, চীন বা অন্য কোনো দেশ জনগণের প্রবল ইচ্ছার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গণবিরোধী ও ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা সরকারের দুঃশাসনকে অযাচিতভাবে সমর্থন করবে না।
বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিনের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের কথা তুলে ধরে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বিএনপি বিশ্বাস করে, দুই দেশের জনগণের মধ্যে বন্ধুত্বের সেতুবন্ধন গড়ে তোলার মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি কূটনৈতিক সাফল্য নিহিত। এজন্য বিএনপি রাশিয়াকে বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, স্বাধীনতার দৃঢ় সংকল্প ও মহান ত্যাগের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শনের আহ্বান জানাচ্ছে।’
এর আগে বুধবার (৩১ জানুয়ারি) ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ম্যানতিতস্কি বলেছেন, আওয়ামী লীগের নতুন সরকার গঠনে রাশিয়ার ভূমিকা নিয়ে বিএনপির অভিযোগ 'বিভ্রান্তিকর বা মিথ্যা'।
আরও পড়ুন: প্রিপেইড গ্যাস মিটারের ভাড়া দ্বিগুণ করার সিন্ধান্তের নিন্দা বিএনপির
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার বাংলাদেশের সরকার নয়, ভারত, চীন ও রাশিয়ার সরকার বলে বিরোধী দল যে বক্তব্য দিয়েছে তা কারো বিশ্বাস করা উচিত নয়।
বিবৃতিতে বিএনপি বলেছে, জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা ও তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।
দলটির দাবি, জাতিকে ধোঁকা দিতে এবং শেখ হাসিনার অসাংবিধানিক, ফ্যাসিবাদী ও কর্তৃত্ববাদী শাসন এবং তার অনুগত প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের অবৈধ ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে সহায়তার জন্য গত ৭ জানুয়ারি প্রহসনের ডামি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
নির্বাচন নিয়ে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করে বিএনপি উল্লেখ করে, বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দেশ, সাতটি খ্যাতনামা আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং বিভিন্ন বিদেশি পর্যবেক্ষক বলেছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হয়নি।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘৭ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ না হওয়ায় একটি নতুন ও অর্থবহ নির্বাচন অনুষ্ঠান এখন বাংলাদেশের জনগণের গণদাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই গণতন্ত্রপন্থী সব রাজনৈতিক দলকে সঙ্গে নিয়ে যুগপৎ আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণের বঞ্চিত ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি।’
আরও পড়ুন: হুমকি সত্ত্বেও বিএনপি আন্দোলন চালিয়ে যাবে: জয়নুল আবেদিন ফারুক
৬৯৬ দিন আগে
হুমকি সত্ত্বেও বিএনপি আন্দোলন চালিয়ে যাবে: জয়নুল আবেদিন ফারুক
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নুল আবেদিন ফারুক বলেছেন, ভোটারদের ম্যান্ডেট ছাড়াই ক্ষমতায় থাকা বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারকে দেশের জনগণ রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে সমুচিত জবাব দেবে।
তিনি বলেন, ‘আপনারা (আওয়ামী লীগ) গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছেন। আপনারা ৭ জানুয়ারি ভোটবিহীন ডামি নির্বাচনের আয়োজন করেছেন। নির্বাচনের আগেও আপনারা অনেক হুমকি দিয়েছেন, এখনও আমাদের হুমকি দিচ্ছেন।’
এক মানববন্ধনে ফারুক বলেন, জনগণের ভোটাধিকার ফিরে না আসা পর্যন্ত সমমনা বিরোধী দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে তাদের দল রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, 'আপনারা (সরকার) বিএনপিকে দমন করতে পারবেন না, আমাদের নেতাকর্মীদের কারাগারে আটকে রেখে নির্যাতনমূলক কর্মকাণ্ড ও মামলায় জড়িয়েও দমাতে পারবেন না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ভোট বিহীন গঠিত সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করতে আন্দোলন জোরদার করা হবে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ গ্রেপ্তারকৃত বিরোধী দলের নেতাদের মুক্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী নবীন দল এ মানববন্ধনের আয়োজন করে
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশকে (টিআইবি) বিএনপির এজেন্ট বলায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সমালোচনা করেন ফারুক।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদের উদ্বোধনের দিন বিএনপির কালো পতাকা মিছিল
বিএনপির এই নেতা বলেন, 'আমার আশঙ্কা, আপনারা কিছুদিন পর সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাককেও (আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য) বিএনপির এজেন্ট হিসেবে অভিহিত করবেন।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নিজেকে গণতন্ত্রপন্থী ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হিসেবে দাবি করলেও এই দলটি গণতন্ত্রের চর্চা করে না, বরং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী।
সংসদের সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ফারুক বলেন, সরকার রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে সাময়িক সময়ের জন্য দমন করতে পারে। ‘পৃথিবীর ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, স্বৈরাচারী সরকার পুলিশকে ব্যবহার করে দীর্ঘদিন গণতান্ত্রিক শক্তিকে দমন করতে পারেনি।’
যেসব সমালোচক বিএনপির সাংগঠনিক সক্ষমতা নিয়ে কথা বলেছেন তাদের কঠোর সমালোচনা করে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের শক্তি পরীক্ষা করতে পুলিশ ছাড়াই বিরোধী দলের মুখোমুখি হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, দেশের ৪১ হাজার বন্দির ধারণ ক্ষমতার কারাগারগুলোতে এখন এক লাখের বেশি মানুষকে বন্দী করে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে পুলিশি বাধায় পণ্ড বিএনপির কালো পতাকা মিছিল
তিনি অভিযোগ করেন, সরকারবিরোধী আন্দোলন ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিরোধী দলের যোগ্য নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করে কারাগারে নির্যাতন চালাচ্ছে।
গণ অধিকার পরিষদের নেতারা কারাগারে কীভাবে নিষ্ঠুর নির্যাতন ও বৈদ্যুতিক শকের শিকার হয়েছেন তার বর্ণনা দেন নুর।
তিনি বলেন, 'তারা (কারা কর্তৃপক্ষ) বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নখ উপড়ে দিয়েছে এবং হাড়গোড় ভেঙে দিয়েছে। কোনো সভ্য দেশে এমন ঘটনা ঘটতে পারে, এটা ভাবতেও খুব কষ্ট হয়।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর মতো বিরোধী দলের জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদদের আদালত জামিন না দেওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেন নুর।
তিনি বলেন, অবিলম্বে সকল রাজবন্দির মুক্তি এবং তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
জনগণের প্রতি অবিচার না করতে পুলিশ ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার আহ্বান জানান নুর।
আরও পড়ুন: প্রিপেইড গ্যাস মিটারের ভাড়া দ্বিগুণ করার সিন্ধান্তের নিন্দা বিএনপির
৬৯৭ দিন আগে
প্রিপেইড গ্যাস মিটারের ভাড়া দ্বিগুণ করার সিন্ধান্তের নিন্দা বিএনপির
আবাসিক প্রিপেইড গ্যাস মিটারের ভাড়া দ্বিগুণ করার সরকারি সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক ও গণবিরোধী আখ্যায়িত করে নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে নয়া পল্টনের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই নিন্দা জানায় দলটি।
সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয় যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘প্রিপেইড মিটারের ভাড়া রাতারাতি ১০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০০ টাকা করা হয়েছে। বলা হচ্ছে- মিটার পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের খরচ সমন্বয় করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ এটিকে অযৌক্তিক পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেন দলটির এই নেতা।
আরও পড়ুন: বিএনপির গয়েশ্বরের অভিযোগ নাকোচ করলেন রুশ রাষ্ট্রদূত
রিজভী বলেন, এমন এক সময়ে এই ভাড়া বাড়ানো হলো, যখন আবাসিক পর্যায়ে গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়েছে।
তিনি বলেন, বাড়িগুলোতে দিনরাত অধিকাংশ সময় গ্যাস সরবরাহ থাকে না, কিন্তু 'অবৈধ সরকার' গ্যাস ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে নানা কৌশল অবলম্বন করে টাকা আদায় করছে।
তিনি বলেন, গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত না করে মিটারের ভাড়া(হঠাৎ করে ভাড়া বাড়ানো) দ্বিগুণ করা এবং সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগের মধ্যে ফেলে দেওয়া সরকারের গণবিরোধী মনোভাবেরই বহিঃপ্রকাশ। আমি বিএনপির পক্ষ থেকে এই গণবিরোধী সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সম্প্রতি রাষ্ট্রায়ত্ত গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলো কোনো ধরনের আগাম নোটিশ ছাড়াই প্রিপেইড মিটারের ভাড়া ১০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০০ টাকা করেছে।
সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড জানায়, মিটার স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণের ব্যয় সমন্বয়ের সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মিটারের ভাড়া বাড়ানো হয়েছে।
রিজভী বলেন, জনগণের কাছে কোনো জবাবদিহিতা না থাকায় সরকার জনগণের অর্থ লুটপাট করছে।
তিনি আরও বলেন, ‘তারা (সরকার) জানে যে তাদের জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে না এবং তাদের অন্য নির্বাচন বা কোনও নির্বাচনে জনগণের কাছে যেতে হবে না। কারণ তারা বন্দুক এবং রাষ্ট্রের সমস্ত মাধ্যম ব্যবহার করে জনগণকে বশীভূত করে। তাই তারা জনবিরোধী নীতি গ্রহণ করতে পারে এবং তাদের খেয়ালখুশি অনুযায়ী তা বাস্তবায়ন করতে পারে।’
আরও পড়ুন: বিএনপির কালো পতাকা মিছিল অবৈধ: ওবায়দুল কাদের
তিনি অভিযোগ করেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন এবং ৭ জানুয়ারি সরকারের নির্বাচনী 'সার্কাস' নীরবে প্রত্যক্ষ করায় আবাসিক প্রিপেইড গ্যাস মিটারের ভাড়া বাড়িয়ে সরকার জনগণকে শাস্তি দিয়েছে।
ডলার সংকট এরই মধ্যে রপ্তানি প্রবৃদ্ধিকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করেছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করে তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতে নগদ প্রণোদনা না দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন বিএনপির এই যুগ্ম-মহাসচিব।
তিনি বলেন, ক্রেতাদের কাছ থেকে তৈরি পোশাকের অর্ডার ইতোমধ্যে অর্ধেকে নেমে এসেছে। চামড়া, পাটজাত পণ্য ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্যে নগদ প্রণোদনাও অনেক কমানো হয়েছে। তাই এসব পণ্যের রপ্তানি মারাত্মকভাবে কমে যাবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকার তথাকথিত উন্নয়ন ও মেগা প্রকল্পের নামে লুটপাট অব্যাহত রাখতে রপ্তানি খাত থেকে অর্থ কাটছাঁট করছে।
নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে 'অব্যাহতভাবে বিচার বিভাগীয় হয়রানি ও সম্ভাব্য কারাগারে আটকানো' নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ২৪২ জন বিশ্ব নেতার খোলা চিঠিকে খাটো করে দেখার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সমালোচনা করেন তিনি।
আরও পড়ুন: সন্ত্রাস-জালিয়াতি ও দেশবিরোধী অপপ্রচারই বিএনপির রাজনীতির উপাদান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দুর্নীতির ধারণা সূচক (সিপিআই) নিয়ে টিআইবির প্রতিবেদনকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যা দেওয়ায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরেরওসমালোচনা করেন রিজভী।
রিজভী বলেন, 'গতকাল (বুধবার) ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দুর্নীতি সারা বিশ্বে আছে, কিন্তু শুধু বাংলাদেশকেই কলঙ্কিত করা হয়। আমরা বলতে পারি সারা বিশ্বে কমবেশি দুর্নীতি থাকতে পারে, কিন্তু আওয়ামী কায়দায় দুর্নীতির কলঙ্ক পৃথিবীর আর কোথাও আছে কি না তা আমরা জানি না।’
৬৯৮ দিন আগে
বিএনপির কালো পতাকা মিছিল অবৈধ: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির কালো পতাকা মিছিল অবৈধ। অনুমতি ছাড়া রাজপথে ফ্রি স্টাইল কর্মসূচি সরকার মেনে নেবে না।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পুলিশ অনুমতি দেয়নি। অনুমতি ছাড়া ফ্রি স্টাইল কর্মসূচির সুযোগ নেই। অনুমতি নিবে না, রাস্তায় ফ্রি স্টাইল কর্মসূচি করবে আর আমরা মেনে নিব তা মনে করার কোনো কারণ নেই।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের কোনো কার্যকারিতা বাস্তবে নেই : ওবায়দুল কাদের
ওবায়দুল কাদের বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেউ ত্রুটিপূর্ণ বলেনি। নির্বাচনের ফলাফলের পর যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ কয়েকজন মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
সর্বশেষ সংসদ অধিবেশনে মার্কিন রাষ্ট্রদূত প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত উপস্থিত ছিলেন। সংসদের প্রথম অধিবেশনেও যুক্তরাষ্ট্রের উপস্থিতি লক্ষ্য করি। এর মানে কি দাঁড়ায়? আমাদের নির্বাচন ত্রুটিপূর্ণ বলেনি। সবাই একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ দেখিয়েছে।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তিনি বলেন, সরকার শুধু কথা নয়, কাজও করে যাচ্ছে। সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে দৃশ্যত পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনীয় নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে দিয়েছেন। সে অনুসারে কাজও শুরু করে দিয়েছে। তবে রাতারাতি নিয়ন্ত্রণ হয়ে যাবে না। সরকার শুধু কথা বলছে এমন নয়। সরকার অ্যাকশনে আছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক বক্তব্য নিয়ে অস্বস্তিতে নেই আ.লীগ: ওবায়দুল কাদের
মন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যারা আইন ভঙ্গ করবে তারা যেই হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ সময় সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রসঙ্গে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, পরীক্ষিত ও ত্যাগীদের গুরুত্ব ও অগ্রাধিকার দেবে আওয়ামী লীগ।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা জিএম কাদেরের সংসদের কার্যকারিতা নিয়ে বক্তব্যের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, পার্লামেন্ট ফাংশনাল না হলে তিনি কেন এলেন?
স্পিকারকে ধন্যবাদ জানাতে গিয়ে তিনি যা বলেছেন মনে হয় তুলকালাম কাণ্ড ঘটাবেন। নিয়ম লঙ্ঘন করে তিনি কথা বলেছেন। উনার কথা বলার যথেষ্ট সুযোগ ছিল সামনে।
আরও পড়ুন: ভোটাররা বিএনপিকে বর্জন করেছে: ওবায়দুল কাদের
৬৯৮ দিন আগে
সন্ত্রাস-জালিয়াতি ও দেশবিরোধী অপপ্রচারই বিএনপির রাজনীতির উপাদান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির রাজনীতির ভিত্তি ৩টি। সন্ত্রাস-খুন, জালিয়াতি, বিদেশে অপপ্রচার।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে ‘১৯৯৪ সালে লালবাগে ৭ হত্যাকাণ্ড’ স্মরণে রাজধানীর লালবাগের নবাবগঞ্জ পার্ক মাঠে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আয়োজনে আলোচনা সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, আসলে বিএনপি-জামায়াত খুনি চক্র। তারা হত্যার রাজনীতিটাই করে। আজ যারা বিএনপির বড় বড় নেতা মির্জা ফখরুল সাহেব, রিজভী সাহেব সবাই বিএনপি ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলানোর আগে অন্য দল করত। জিয়াউর রহমান মানুষের লাশের উপর দাঁড়িয়েই বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিল। সুতরাং সেই হত্যা-খুন সন্ত্রাসের রাজনীতি থেকে তারা বেরিয়ে আসতে পারে নাই।
তিনি আরও বলেন, ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে বিএনপি যেভাবে আগুনসন্ত্রাস চালিয়েছে, ২৮ অক্টোবর সমাবেশের নামে একজন পুলিশ সদস্যকে যেভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে- এটি মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনীর অনুকরণে তারা পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালিয়ে আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সসহ হাসপাতালের ১৯টি গাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা করেছে যা দেশের ইতিহাসে ঘটেনি।
আরও পড়ুন: ইউনূসকে নিয়ে ওয়াশিংটন পোস্টে বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়েছে, বিবৃতি নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জালিয়াতি করতে গিয়ে বিএনপি মার্কিন প্রেসিডেন্টের ভুয়া উপদেষ্টাও বানিয়েছিল উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রথমে দেখা গেল সে ইংরেজি ছাড়া কিছুই বলতে পারে না পরে দেখা গেল যে গড়গড়িয়ে বাংলা কয়।
আপনাদের মনে আছে যে, কংগ্রেসম্যানদের সই জাল করেছিল বিএনপি এবং ভারতের মন্ত্রী অমিত শাহ'র সঙ্গে কথা হয়েছে বলে একটা ভুয়া অডিও ছেড়েছিল তারা।
মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনে বিএনপি ভরাডুবি নিশ্চিত বুঝেই অংশ নেয়নি এবং নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অনেক চেষ্টা করেছে কিন্তু পারে নাই। এই নির্বাচনকে বৈধতা না দেওয়ার জন্য, সরকারকে বৈধতা না দেওয়ার জন্য বিদেশিদের কাছে চিঠি লিখেছে। কিন্তু পৃথিবীর সমস্ত রাষ্ট্র নতুন নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, বহু রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছে। আর দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির বক্তৃতা শুনতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইইউ, ফ্রান্স, জার্মানি, চীন, ভারত, রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতসহ ৮০ জন ডিপ্লোম্যাট উপস্থিত ছিলেন।
বক্তব্যের শুরুতে মন্ত্রী ১৯৯৪ সালের ৩১ জানুয়ারি শহীদ শাহ আলম, হাফিজ উদ্দীন, দেলওয়ার হোসেন, আনসারউল্লা গাজী, আনোয়ার হোসেন আনু, নজরুল ইসলাম ও মোহাম্মদ ইউনুসের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
তিনি বলেন, ১৯৯৪ সালে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ঢাকা এবং চট্টগ্রামে আমরা বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছিলাম। এটি তারা মেনে নিতে পারে নাই। নির্বাচনের পরের দিন এই হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এরপরেও দমিত হয়নি বরং এই খুনি চক্রকে রুখে দাঁড়িয়েছিল। সেই বিজয়ের যাত্রাপথ বেয়ে ১৯৯৬ সালে ২১ বছর পর প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত এবং বিমসটেক মহাসচিবের সাক্ষাৎ
টিআইবি'র অভ্যন্তরে দুর্নীতি আছে কি না পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা দরকার
দুর্নীতি সূচকে দেশের অবস্থান প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বলেন, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) অভ্যন্তরে কোনো দুর্নীতি আছে কি না সেটা পরীক্ষা নিরীক্ষা করা দরকার।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশে একটি ভালো নির্বাচন হয়েছে এবং সেই নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সরকারকে পুরো পৃথিবী অভিনন্দন জানিয়েছে। পৃথিবীর সমস্ত রাষ্ট্র নতুন সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কাজ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছে। এটাকে খাটো করার জন্য কিছু একটা বলতে হবে। সেজন্য ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের দুর্নীতি সূচকে না-কি দুই ধাপ নেমে গেছে বাংলাদেশ।
তিনি আরও বলেন, এখন টিআইবির অভ্যন্তরে কোনো দুর্নীতি আছে কি না সেটা পরীক্ষা নিরীক্ষা করা দরকার। এভাবে একপেশে রিপোর্ট দিয়ে সরকারকে খাটো করা যাবে না।
বাংলাদেশে কিছু প্রতিষ্ঠান আছে তারা অন্যদের ক্রীড়নক হিসেবে কাজ করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা যেখান থেকে ফান্ড পায়, যেভাবে প্রেসক্রিপশন দেয় সেভাবেই কাজ করে। তবে এ ধরণের সংগঠন থাকুক আমরা চাই।
আমরা মনে করি সিভিল সোসাইটি সংস্থাগুলো সরকারের ভুলত্রুটি তুলে ধরতে পারে, সেজন্য এ ধরণের প্রতিষ্ঠান থাকা ভালো। কিন্তু সেই প্রতিষ্ঠান যখন এক চোখা হয়ে যায়, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বিএনপির রাজনৈতিক নেতাদের মতো কথা বলে, রিজভী আহমেদের কথা আর টিআইবির বক্তব্য যখন মিলে যায় তখন বোঝা যায়, ‘ডাল মে কুচ কালা হ্যায়।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক-বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে প্রত্যেক দেশই আগ্রহী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৬৯৮ দিন আগে
রাজধানীতে পুলিশি বাধায় পণ্ড বিএনপির কালো পতাকা মিছিল
রাজপথের কর্মসূচির অনুমোদন না থাকায় মঙ্গলবার দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশনের দিন রাজধানীর সাতটি পয়েন্টে বিএনপিকে মিছিল বের করতে দেয়নি পুলিশ।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবিতে আজ (মঙ্গলবার) রাজধানীসহ সারাদেশে কালো পতাকা নিয়ে মিছিল করার কথা ছিল বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর।
অবৈধ ডামি সংসদ বাতিলের দাবিতে রাজধানীর পীরজঙ্গী মাজার, যাত্রাবাড়ীর কদমতলী বাস স্টেশন, নিউমার্কেট ও দয়াগঞ্জ মোড়ের সামনে কালো পতাকা মিছিল বের করার কথা ছিল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির। আর ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি শাহজাদপুরের সুবাস্তু নজর ভ্যালি শপিং মলের সামনে থেকে, উত্তরা সেকশন-১২ কবরস্থান ও মিরপুর-৬-এর একটি মসজিদের কাছে থেকে কালো পতাকা মিছিল করার কথা ছিল।
বিএনপির নেতাকর্মীরা কালো পতাকা নিয়ে সাতটি স্পটে জড়ো হতে শুরু করলেও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এই কর্মসূচির অনুমতি না থাকায় পুলিশ তাদের বাধা দেয়।
এদিকে বিএনপির কালো পতাকা মিছিলে যোগ দিতে দুপুর ২টার দিকে রাজধানীর উত্তরা-১২ নম্বর সেকশনের কবরস্থানের কাছে গেলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ।
ড. মঈন সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় পুলিশ বাধা দেয় এবং তাকে একটি পুলিশ ভ্যানে তুলে নিয়ে যায়।
পরে বিএনপি নেতাকে ছেড়ে দিয়ে গাড়িতে চড়ে গুলশানের বাসায় যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সংসদ অধিবেশনের দিন কালো পতাকা মিছিল করবে বিএনপি
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘মঈন খানকে গ্রেপ্তার বা আটক করা হয়নি। আমরা তাকে থামিয়েছি।
তিনি বলেন, ‘আমরাও তাকে কালো পতাকা মিছিলে যোগ দেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলেছি।’
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মির্জা সালাহউদ্দিন বলেন, ‘কোনো অনুমতি ছাড়া কর্মসূচি পালনের চেষ্টা করেছিল দলটি।’
তিনি বলেন, বিএনপি কর্মসূচি পালনের জন্য ডিএমপির কাছে অনুমতি চেয়েছিল কিন্তু নগরীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য দলটিকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। ‘এ কারণে আমরা তাদের কর্মসূচি পালন করতে দেইনি।’
তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঘটনাস্থল থেকে ৮ থেকে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে।
এছাড়া রাজধানীর অন্যান্য এলাকায় বিএনপির মিছিলে পুলিশ বাধা দিয়েছে এবং কয়েকজন বিএনপি নেতাকর্মীকে আটক করেছে।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদের উদ্বোধনের দিন বিএনপির কালো পতাকা মিছিল
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় দুপুর ২টা ২০ মিনিটের দিকে রাজধানীর মতিঝিলের পীরজঙ্গি মাজারে গেলেও মিছিল বের করতে পারেননি।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, সভা-সমাবেশ করা রাজনৈতিক দলগুলোর গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার।
তিনি বলেন, ‘রাজধানীর ৭টি স্থানে শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে আমরা ডিএমপির পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়েছি। কিন্তু পুলিশ সব জায়গায় আমাদের বাধা দিয়েছে। আমরা পুলিশের এই কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছে এবং কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে দিচ্ছে না।
বিএনপির এই নেতা বলেন, পুলিশের উপস্থিতির মধ্যে কর্মসূচি পালনের জন্য নেতাকর্মীরা মিছিলস্থলের আশপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে অবস্থান করছেন। ‘কিন্তু পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ ও সংঘাতে জড়ানো আমাদের উদ্দেশ্য নয়।’
একপর্যায়ে দলের কর্মসূচি পণ্ড হয়ে যাওয়ায় গয়েশ্বর নিজের গাড়িতে করে এলাকা ত্যাগ করেন।
মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বিএনপি কর্মসূচি পালনের অনুমতি পায়নি।’
আরও পড়ুন: দ্বাদশ সংসদে শুধু নির্লজ্জরাই বসতে পারে: গয়েশ্বর
৬৯৯ দিন আগে
নতুন সংসদের দায়িত্ব নিখুঁতভাবে পালন করা নিয়ে শঙ্কা জিএম কাদেরের
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ কীভাবে নিখুঁতভাবে তার দায়িত্ব পালন করতে পারবে তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা জিএম কাদের।
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এই সংসদে ৭৫ শতাংশ আসন ক্ষমতাসীন দলের, আর স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা, যাদের বেশিরভাগই আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট, তাদের সংখ্যা ২১ শতাংশ।
বিরোধীরা মাত্র ৩-৪ শতাংশ আসন পেয়েছে। তাই ‘এই সংসদে পুরো জাতির প্রতিফলন খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে। এই সংসদ নিখুঁতভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবে না।’
বুধবার (৩০ জানুয়ারি) সংসদের নবনির্বাচিত স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জিএম কাদের ১৯৯৬ সাল থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে, স্পিকার সংসদ কার্যাবলী পরিচালনায় নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টি দীর্ঘদিন ষড়যন্ত্রের শিকার: জিএম কাদের
স্পিকারের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, দলীয় সমর্থনে স্পিকার হলেও তিনি নিরপেক্ষভাবে ভূমিকা পালনের চেষ্টা করেছেন।
তিনি বলেন, 'আমি আশা করি আপনারা এই নিরপেক্ষতা বজায় রাখবেন।’
স্পিকারের ডান পাশে সরকারি দল এবং বাম পাশে বিরোধী দলের আসনের কথা উল্লেখ করে জিএম কাদের বলেন, তারা উভয় পক্ষের সমান দৃষ্টিতে দেখতে চান।
তিনি বলেন, একটি সরকারি দল, অন্যটি বিরোধী দল।
৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের ফলাফল উল্লেখ করে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, জাতীয় সংসদ সব দলের মিলনস্থল।
জাতীয় পতাকার রং লাল ও সবুজ উল্লেখ করে জিএম কাদের বলেন, এটা শুধু লাল নয়, সবুজও নয়। সরকারি দলকে যদি লাল বলা হয়, তাহলে এই সংসদ একেবারে লাল।
তিনি বলেন, ‘সবুজ মাত্রই একটা ছিটেফোঁটা। এই সংসদে পুরো জাতির চিত্র খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে। বর্তমান সংসদ কতটুকু জাতির প্রতিনিধিত্ব করতে পারবে, তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।’
আরও পড়ুন: জাপা চেয়ারম্যানের পদ থেকে জিএম কাদেরকে বরখাস্ত করলেন রওশন
তিনি উল্লেখ করেন, দুই অংশের কর্মকাণ্ডের মধ্যে ব্যবধান কমাতে পারলে সংসদ কার্যকর বলে বিবেচিত হবে।
চলতি মাসের নির্বাচনে মাত্র ১১টি আসনে জয়ী জাতীয় পার্টির নেতা জিএম কাদের বলেন, 'এই আশঙ্কা অবাস্তব নয়।
সরকারের বিরোধীরা আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারে বা করবে।’
সংসদকে আরও কার্যকর করতে তিনি কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।
স্পিকার সংসদে বিরোধী দলের সদস্যদের মতামত প্রকাশের সুযোগ দেবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
তিনি আরও বলেন, সংসদে ভারসাম্যহীনতা কমাতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। তাই আমরা স্পিকারের সহযোগিতা কামনা করি।
আরও পড়ুন: সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা হলেন জিএম কাদের, উপনেতা আনিসুল ইসলাম
৬৯৯ দিন আগে
দ্বাদশ সংসদে শুধু নির্লজ্জরাই বসতে পারে: গয়েশ্বর
৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশনে কেবল নির্লজ্জরাই যোগ দিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেন, জনগণের প্রতিবাদ, ক্ষোভ ও নিন্দার মধ্যে আজ বিকাল ৩টায় ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সংসদের যাত্রা শুরু হবে।
বুধবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশে সম্মিলিত পেশাজীবীদের একটি মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পেশাজীবী ও নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ সকাল থেকেই সংসদ অধিবেশনের প্রতিবাদে অনেকে লাল ও কালো পতাকা নিয়ে রাস্তায় নেমে এসেছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর জনতার উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে বলেন, 'সংসদের উদ্বোধনীতে জনগণ কি আনন্দ উদযাপন করছে? তারা নিন্দা জানাচ্ছে এবং তাদের ক্ষোভ ও ঘৃণা প্রকাশ করছে।
আরও পড়ুন: ‘বিজিবি সদস্য হত্যার’ ঘটনায় জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে তদন্তের দাবি বিএনপির
তিনি বলেন, ‘এমতাবস্থায় যাদের কোনো লজ্জা ও আত্মসম্মানবোধ নেই, তারাই এ ধরনের সংসদের অধিবেশনে যোগ দিতে পারেন।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ বাতিল, খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
গয়েশ্বর বলেন, বর্তমান সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে এবং নতুন নির্বাচন দিতে তাদের দল শান্তিপূর্ণভাবে তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। আমরা আমাদের সংগ্রাম থেকে পিছু হটিনি। কিন্তু বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে আমাদের আন্দোলনের কৌশল পরিবর্তন করতে হবে। অনেকে পরামর্শ দিয়েছেন আজ (মঙ্গলবার, দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশনের দিন) হরতাল পালন করা হোক। (কৌশলগত কারণে) বিএনপি এ ধরনের কর্মসূচি ঘোষণা করেনি।’
আরও পড়ুন: সংসদ অধিবেশনের দিন কালো পতাকা মিছিল করবে বিএনপি
বিএনপির এই নেতা বলেন, বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক উপায়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকারে থাকা আওয়ামী লীগ যখন বিরোধী দলে ছিল, সেসময় তাদের ১৭৩ দিনের হরতালের রেকর্ড আমরা ভাঙতে পারিনি। আমরা এখনও পথচারীকে নগ্ন করার নজির স্থাপন করতে পারিনি এবং আমরা এখনও লগি-বৈঠা (লাঠি-দাঁড়) দিয়ে মানুষ হত্যা করতে পারি না।’
বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্য সুদৃঢ় করে বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন গয়েশ্বর।
বিএনপির এই নেতা বলেন, রাজপথে সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। ‘পুলিশ ও রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে আপনারা (সরকার) জনগণকে দমিয়ে রাখতে পারবেন না।’
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদের উদ্বোধনের দিন বিএনপির কালো পতাকা মিছিল
৬৯৯ দিন আগে