রাজনীতি
বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় এখন কেউ বাধা দিতে পারবে না: শেখ হাসিনা
গত ৭ জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় আসায় এখন থেকে কেউ দেশের অগ্রযাত্রায় বাধা সৃষ্টি করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, 'যেহেতু আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এসেছে, তাই বাংলাদেশের বর্তমান অগ্রগতিকে আর কেউ ব্যাহত করতে পারবে না।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিদেশি বন্ধুদের অভিনন্দন
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এই সমাবেশের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, অনেকে এই নির্বাচন বন্ধ করতে চেয়েছিল, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে।
আওয়ামী লীগ ও তার সমমনা দলগুলো যখন নির্বাচনে যোগ দেয় তখন একটি বিশেষ দল নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা করছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করার পরও এই নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ।’
তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ায় তা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারে না।
আরও পড়ুন: জনগণের কল্যাণই আপনাদের সর্বোচ্চ দায়িত্ব: দলের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, 'কেউ বলতে পারবে না যে, এই নির্বাচনে দিনের ভোট রাতে হয়েছে। নির্বাচন অত্যন্ত স্বচ্ছ, অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ায় ভোট কারচুপি হয়েছে এমন কিছু বলার ক্ষমতা কারও নেই।’
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার কখনই নির্বাচন কমিশনে হস্তক্ষেপ করেনি, বরং সহায়তা করেছে।
অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ইসিকে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করার জন্য সশস্ত্র বাহিনীসহ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান তিনি।
২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ভিশন পুনর্ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে এখন আর কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারবে না।
আরও পড়ুন: একটানা চতুর্থবারের মতো সংসদ নেতা নির্বাচিত হলেন শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণের শক্তি একটি বড় শক্তি, যা আবারও প্রমাণিত হয়েছে।
সমালোচকদের কঠোর সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, সামরিক স্বৈরশাসকরা যখন ভোট কারচুপি করে ক্ষমতায় এসেছিল তখন তারা নীরব ছিল। ‘কিন্তু এখন যখন আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছি এবং জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি, তখন তারা আমাদের গণতন্ত্র ও নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।’
'আমরা গণতন্ত্রকে সুসংহত করেছি;’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে দীর্ঘদিন ধরে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকায় আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে, দারিদ্র্যের হার কমেছে এবং মাথাপিছু আয় বেড়েছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বতঃস্ফূর্তভাবে তার দলকে ভোট দেওয়ায় বাংলাদেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হলেও কম ভোটে জয় আ.লীগের
বিএনপির দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, তারা ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু সরকার তাদের প্রচারণায় বাধা দেয়নি।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে, আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে এবং শত প্রতিবন্ধকতা ও ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে এই নির্বাচন গ্রহণ করেছে...... গ্রামাঞ্চলেও জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে।’
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ভাষণ একটি ঐতিহাসিক দলিল।
তিনি বলেন, 'জাতির পিতা তার ভাষণে ভবিষ্যতে স্বাধীন বাংলাদেশ কীভাবে চলবে সে বিষয়ে সব দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের অভিনন্দন
সমাবেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
গত ৭ জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ের মধ্য দিয়ে পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হতে যাওয়ায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান ওবায়দুল কাদের।
বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের কারাগারে ২৯০ দিন বন্দি থাকার পর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি লন্ডন ও নয়াদিল্লি হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে আসেন।
আরও পড়ুন: মন্ত্রিসভা গঠনে শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি
৭১৯ দিন আগে
জনগণের কল্যাণই আপনাদের সর্বোচ্চ দায়িত্ব: দলের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে বলেছেন, তাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হওয়া উচিত জনগণের কল্যাণ করা।
তিনি বলেন, ‘তাই প্রত্যেক সংসদ সদস্যকে নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় জনগণের জন্য কাজ করতে হবে। আপনাদের (সংসদ সদস্যদের) নিশ্চিত করতে হবে যে তাদের এলাকায় সুষম উন্নয়ন করা হবে।’
আরও পড়ুন: একটানা চতুর্থবারের মতো সংসদ নেতা নির্বাচিত হলেন শেখ হাসিনা
বুধবার(১০ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদ ভবনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের (এএলপিপি) প্রথম সভার বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলীয় নেতা নির্বাচিত হওয়ার পরপরই বক্তব্য দেন। দুপুর ১২টার দিকে এ বৈঠক শুরু হয়ে প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী চলে।
আরও পড়ুন: পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয় বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ভাষণে বলেছেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে গণতন্ত্র ও জনগণ বিজয়ী হয়েছে।’
তবে সংসদে বিরোধী দল কে হবেন সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি বলে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানান জয়।
আরও পড়ুন: গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি অস্ট্রেলিয়ার আহ্বান
জয় সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শিরীন শারমিন চৌধুরীকে সংসদের স্পিকার, মতিয়া চৌধুরীকে সংসদ উপনেতা এবং নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটনকে সংসদের চিফ হুইপ মনোনীত করা হয়েছে।
৭১৯ দিন আগে
সংসদে বিরোধী দলে থাকতে চায় জাতীয় পার্টি: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও রংপুর-৩ আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, তিনি বিরোধী দলে আছেন এবং থাকতে চান।
তিনি বলেন, ‘সংসদে আসার অনুভূতি সবসময়ই ভালো। সেই অর্থে আবার সংসদে আসতে পারাটা আনন্দের বিষয়।’
আরও পড়ুন: সরকার যেখানে যাকে জেতাতে চেয়েছে সে জিতেছে: জিএম কাদের
বুধবার (১০ জানুয়ারি) এমপি হিসেবে শপথ নেয়ার পরপরই জিএম কাদের নবনির্বাচিত সংসদে বিরোধী দল নিয়ে এ কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি জানি না নিয়মটা । কিন্তু আমরা বিরোধী দলে ছিলাম এবং বিরোধী দলে থাকতে চাই। আমরা জনকল্যাণমুখী এবং আমরা জনগণের জন্য যা ভালো তাই করতে চাই।’
নেতৃত্বের ব্যর্থতার অভিযোগে দলীয় কার্যালয়ে বিক্ষোভের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এগুলো পূর্বপরিকল্পিত বিষয়।
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টিকে ভোট দিন: জিএম কাদের
তিনি বলেন, ‘কিছু লোক আমাদের দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। যা করা হয়েছে তা সবার সঙ্গে আলোচনা করেই করা হয়েছে।’
এবার দল কম আসন পাবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সব সময় পরিস্থিতি একই থাকে না।
তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচন সঠিক নির্বাচন ছিল না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটা ভালো ছিল। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আমাদের কর্মীদের নানাভাবে হয়রানি করা হয়েছে এবং ভোটকেন্দ্র দখল করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে ‘বলির পাঁঠা’ করা হচ্ছে: জিএম কাদের
জিএম কাদের আরও বলেন, এই নির্বাচন আসলে তার দলের জনপ্রিয়তা বা জনগণের কাছে তার ভিত্তির প্রতিফলন ঘটায়নি।
জাতীয় পার্টি পেয়েছে মাত্র ১১টি আসন, যেখানে ২০১৮ সালের নির্বাচনে তারা পেয়েছিল ২৩টি আসন।
৭১৯ দিন আগে
একটানা চতুর্থবারের মতো সংসদ নেতা নির্বাচিত হলেন শেখ হাসিনা
শেখ হাসিনাকে সর্বসম্মতি ক্রমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভায় সংসদ নেতা হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। ফলে একটানা চতুর্থবারের মতো তিনি সংসদ নেতা নির্বাচিত হলেন।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যদের শপথ শেষে অনুষ্ঠিত দলের সংসদীয় সভায় শেখ হাসিনাকে সংসদ নেতা নির্বাচিত করা হয়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তার নাম প্রস্তাব করেন এবং নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন ওই প্রস্তাবের সমর্থন জানান। পরে সর্বসম্মতিকরণে তা গ্রহণ করা হয়।
আরও পড়ুন: পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
সংসদ নেতা নির্বাচনের পাশাপাশি বৈঠকে সংসদ উপনেতাও নির্বাচিত করা হয়। একাদশ জাতীয় সংসদের উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরীকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের উপনেতা নির্বাচিত করা হয।
এদিকে সংশোধিত দলের সভায় বর্তমান স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে আবারও স্পিকার হিসেবে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হয়। ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুকে আবারও নির্বাচিত করার সিদ্ধান্ত হয়।
এছাড়া বর্তমান নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটনকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদে চিফ হুইপ হিসেবে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। লিটন চৌধুরী আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সেক্রেটারি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ব্রাজিলের অভিনন্দন
৭১৯ দিন আগে
নতুন সরকারের চ্যালেঞ্জ অগ্নিসন্ত্রাসের মূলোৎপাটন ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া: হাছান মাহমুদ
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ নতুন সরকার গঠনের পর প্রথম চ্যালেঞ্জ হবে অগ্নিসন্ত্রাস সমূলে উৎপাটন ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা।
আজ বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে দলীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
দিবসটি উপলক্ষে হাছান বলেন, ‘১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করলেও স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশে পদার্পণ না করা পর্যন্ত আমাদের স্বাধীনতা পূর্ণতা পায়নি। আমাদের স্বাধীনতা পূর্ণতা পেয়েছিল ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি যখন জাতির পিতা স্বাধীন দেশের মাটিতে পদার্পণ করেছিলেন।’
আরও পড়ুন: জনগণ বিএনপির ভোট বর্জনের ডাক প্রত্যাখ্যান করেছে: তথ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘ঐতিহাসিক এই দিনে আমি জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই, গভীর শ্রদ্ধা জানাই ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্টের কালো রাত্রিতে শহীদ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ সকল শহীদ, জাতীয় ৪ নেতা এবং যারা জীবন দিয়ে আমাদের এই দেশমাতৃকা রচনা করে গেছেন সেই মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি।’
সদ্য অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, 'আপনারা জানেন যে ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে অত্যন্ত সুন্দর, অবাধ, নিরপেক্ষ এবং সন্ত্রাসমুক্ত একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে যেখানে জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ ছিল। কোনো কোনো নির্বাচনী এলাকায় ৭০ শতাংশের ওপরে মানুষ ভোট দিয়েছে। ৩ দিন ছুটি পাওয়ায় অনেকেই শহর থেকে গ্রামে চলে গিয়েছিল। সে কারণে কিছু বড় শহরে ভোটের হার কিছুটা কম হয়েছে। কিন্তু এরপরও আমাদের ভোট প্রদানের হার ৪২ শতাংশ।'
আরও পড়ুন: দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন: ঢাকায় ২০ আসনের ৪টি হাতছাড়া আ.লীগের
ড. মাহমুদ বলেন, 'যারা ভোট বর্জনের কথা বলেছিল এবং অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়ে ভোট বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছিল, সেই বিএনপি-জামায়াতের প্রতি মানুষ বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেছে। উৎসাহের সঙ্গে ভোট দিয়ে তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছে।'
দেশের ইতিহাসে একটি ভালো সুন্দর নির্বাচন হয়েছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'নতুন সরকার গঠিত হতে যাচ্ছে। আমাদের সরকার নতুন যাত্রা শুরু করবে। এবং সরকার গঠনের পর আমাদের প্রথম চ্যালেঞ্জ হবে দেশ থেকে অগ্নিসন্ত্রাসকে সমূলে উৎপাটন করা এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা।'
আরও পড়ুন: ভোটাররা বিএনপিকে বর্জন করেছে: ওবায়দুল কাদের
৭১৯ দিন আগে
জনগণের প্রত্যাশা পূরণে শপথ নিয়ে সংসদে যোগ দেব: জিএম কাদের
শপথ গ্রহণ ও সংসদে যোগদান করে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
মঙ্গলবার(৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রংপুরের সেনপাড়ায় নিজ বাসভবনে তিনি এই ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
রংপুর বিভাগের বিভিন্ন এমপি প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে জিএম কাদের বলেন, 'যেহেতু আমরা নির্বাচনে অংশ নিয়েছি, তাই এই মুহূর্তে আমরা শপথ নিতে পিছপা হব না। আমরা সংসদে গিয়ে জনগণের পক্ষে কথা বলব এবং তাদের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করব।’
আরও পড়ুন: সরকার যেখানে যাকে জেতাতে চেয়েছে সে জিতেছে: জিএম কাদের
চলতি নির্বাচনে সরকারের সততা তুলে ধরে তিনি বলেন, 'যেখানে সরকার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্য নিয়েছিল, সেখানে তারা সফল হয়েছে। তবে যেসব জায়গায় তারা জনগণের মন জয় করতে চেয়েছিল, সেখানে তারা বলপ্রয়োগ করেছে এবং আমাদের জনগণকে পরাজিত করেছে।’
বৈঠকের এজেন্ডা সম্পর্কে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, রংপুর বিভাগে জাতীয় পার্টির অনেক প্রার্থী নির্বাচনের ফলাফলে হতাশ হয়েছেন। অতএব, আমি সবার সঙ্গে বসেছি, তাদের উদ্বেগ শুনেছি এবং লিখিত বক্তব্য সংগ্রহ করেছি। এই তথ্যগুলো ভবিষ্যতে অনুসরণের জন্য ব্যবহার করা হবে।
এ সময় জাপার কো-চেয়ারম্যান ও রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, জাপা মহানগর সাধারণ সম্পাদক ও প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ইয়াসির, জাপা জেলা সাধারণ সম্পাদক হাজী আব্দুল রাজ্জাক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টির এমপিরা পরে শপথ নেবেন: জাপা মহাসচিব
৭২০ দিন আগে
নির্বাচন ২০২৪: ঢাকা বিভাগের বিজয়ীদের তালিকা
আওয়ামী লীগ রবিবার (৭ জানুয়ারি) সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ সংসদের ৩০০টির মধ্যে ২৯৯ আসনের নির্বাচনে টানা চতুর্থ বারের মতো দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জয়ের পূর্বাভাস অনুযায়ী বেশ ভালো ফলাফল করেছে।
রবিবারের (৭ জানুয়ারি) নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা ২২২টি আসনে জয়লাভ করেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬২টি আসনে জয়ী হন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন ২০২৪: ময়মনসিংহ বিভাগের বিজয়ীদের তালিকা
ঢাকা বিভাগের বিজয়ী প্রার্থীদের তালিকা-
টাঙ্গাইল-১ আসনে মো. আব্দুর রাজ্জাক, টাঙ্গাইল-২ আসনে ছোট্ট মনির, টাঙ্গাইল-৩ আসনে মো. কামরুল হাসান খান, টাঙ্গাইল-৪ আসনে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, টাঙ্গাইল-৫ আসনে মো. মামুনু- অর-রশিদ, টাঙ্গাইল-৬ আসনে আহসানুল ইসলাম টিটু, টাঙ্গাইল-৭ আসনে খান আহমেদ শুভ, টাঙ্গাইল-৮ আসনে অনুপম শাহজাহান জয় নির্বাচিত হয়েছেন।
গাজীপুর-১ আসনে আ ক ম মোজাম্মেল হক, গাজীপুর-২ আসনে জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর-৩ আসনে রুমানা আলী, গাজীপুর-৪ আসনে সিমিন হোসেন (রিমি), গাজীপুর-৫ আসনে আখতারুজ্জামান জয় পেয়েছেন।
ঢাকা-১ আসনে সালমান ফজলুর রহমান, ঢাকা-২ আসনে কামরুল ইসলাম, ঢাকা-৩ আসনে নসরুল হামিদ, ঢাকা-৪ আসনে আওলাদ হোসেন, ঢাকা-৫ আসনে মশিউর রহমান মোল্লা, ঢাকা-৬ আসনে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, ঢাকা-৭ মোহাম্মদ সোলায়মান সেলিম, ঢাকা-৮ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ঢাকা-৯ সাবের হোসেন চৌধুরী, ঢাকা-১০ আসনে ফেরদৌস আহমেদ, ঢাকা-১১ আসনে মোহাম্মদ ওয়াকিল উদ্দিন, ঢাকা-১২ আসাদুজ্জামান খান, ঢাকা-১৩ জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা-১৪ মইনুল হোসেন খান নিখিল,ঢাকা-১৫ কামাল আহমেদ মজুমদার, ঢাকা-১৬ আসনে ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, ঢাকা-১৭ আসনে মোহাম্মদ আলী আরাফাত, ঢাকা-১৮ আসনে খসরু চৌধুরী, ঢাকা-১৯ আসনে সাইফুল ইসলাম, ঢাকা-২০ আসনে বেনজীর আহমেদ জয় পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন ২০২৪: রংপুর বিভাগের বিজয়ীদের তালিকা
নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে গোলাম দস্তগীর গাজী, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে নজরুল ইসলাম বাবু, নারায়ণগঞ্জ-৩ আব্দুল্লাহ আল কায়সার, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে একেএম সেলিম ওসমান বিজয়ী হয়েছেন।
মুন্সিগঞ্জ-১ মহিউদ্দিন আহমেদ, মুন্সিগঞ্জ-২ সাগুফতা ইয়াসমিন ও মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনে মো. ফয়সাল জয়লাভ করেছেন।
রাজবাড়ী-১ আসনে কাজী কেরামত আলী, রাজবাড়ী-২ আসনে জিল্লুল হাকিম বিজয়ী হয়েছেন।
ফরিদপুর-১ আসনে আব্দুর রহমান, ফরিদপুর-২ আসনে শাহদাব আকবর, ফরিদপুর-৩ আসনে আব্দুল কাদের আজাদ, ফরিদপুর-৪ আসনে মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন জয় পেয়েছেন।
গোপালগঞ্জ-১ আসনে মোহাম্মদ ফারুক খান, গোপালগঞ্জ-২ আসনে শেখ ফজলুল করিম সেলিম, গোপালগঞ্জ-৩ আসনে শেখ হাসিনা জয় পেয়েছেন।
মাদারীপুর-১ আসনে নূর-ই- আলম চৌধুরী, মাদারীপুর-২ আসনে শাজাহান খান ও মাদারীপুর-৩ আসনে তাহমিনা বেগম বিজয়ী হয়েছেন।
শরীয়তপুর-১ আসনে ইকবাল হোসেন, শরীয়তপুর-২ আসনে একেএম এনামুল হক শামীম, শরীয়তপুর-৩ আসনে নাহিম রাজ্জাক বিজয়ী হয়েছেন।
নরসিংদী-১ আসনে মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, নরসিংদী-২ আসনে আনোয়ারুল আশরাফ খান, নরসিংদী-৩ আসনে সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, নরসিংদী-৪ আসনে নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, নরসিংদী-৫ আসনে রাজি উদ্দিন আহমেদ
কিশোরগঞ্জ-১ আসনে সৈয়দা জাকিয়া নূর, কিশোরগঞ্জ-২ আসনে সোহরাব উদ্দিন, কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক এবং কিশোরগঞ্জ-৬ আসনে নাজমুল হোসেন বিজয়ী হয়েছেন।
মানিকগঞ্জ-১ আসনে সালাহউদ্দিন মাহমুদ, মানিকগঞ্জ-২ আসনে দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু, মানিকগঞ্জ-৩ আসনে জাহিদ মালেক বিজয়ী হয়েছেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন ২০২৪: সিলেট বিভাগের বিজয়ীদের তালিকা
৭২০ দিন আগে
নির্বাচন ২০২৪: সিলেট বিভাগের বিজয়ীদের তালিকা
আওয়ামী লীগ রবিবার (৭ জানুয়ারি)দ্বাদশ সংসদের ৩০০টির মধ্যে ২৯৯টি আসনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে টানা চতুর্থ বারের মতো দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিজয়ের পূর্বাভাস অনুযায়ী বেশ ভালো ফলাফল করেছে।
রবিবারের (৭ জানুয়ারি) নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা ২২২টি আসনে জয়লাভ করেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬২টি আসনে জয়ী হন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন ২০২৪: রাজশাহী বিভাগের বিজয়ীদের তালিকা
সিলেট বিভাগের বিজয়ী প্রার্থীদের তালিকা-
সুনামগঞ্জ-১ আসনে রঞ্জিত চন্দ্র সরকার, সুনামগঞ্জ-২ আসনে জয়া সেনগুপ্ত, সুনামগঞ্জ-৩ আসনে এম এ মান্নান, সুনামগঞ্জ-৪ আসনে মোহাম্মদ সাদিক ও সুনামগঞ্জ-৫ আসনে মুহিবুর রহমান মানিক নির্বাচিত হয়েছেন।
সিলেট-১ আসনে এ কে আব্দুল মোমেন, সিলেট-২ আসনে শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট-৩ আসনে হাবিবুর রহমান, সিলেট-৪ আসনে ইমরান আহমেদ, সিলেট-৫ আসনে মোহাম্মদ হুসামুদ্দিন চৌধুরী ও সিলেট-৬ আসনে নুরুল ইসলাম নাহিদ জয়লাভ করেছেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন ২০২৪: ময়মনসিংহ বিভাগের বিজয়ীদের তালিকা
মৌলভীবাজার-১ আসনে শাহাব উদ্দিন, মৌলভীবাজার-২ আসনে শফিউল আলম চৌধুরী, মৌলভীবাজার-৩ আসনে মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান ও মৌলভীবাজার-৪ আবদুস শহীদ জয় পেয়েছেন।
হবিগঞ্জ-১ আসনে আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, হবিগঞ্জ-২ আসনে ময়েজ উদ্দিন শরীফ, হবিগঞ্জ-৩ আসনে আবু জাহির ও হবিগঞ্জ-৪ আসনে ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন বিজয়ী হয়েছন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন ২০২৪: রংপুর বিভাগের বিজয়ীদের তালিকা
৭২০ দিন আগে
নির্বাচন ২০২৪: ময়মনসিংহ বিভাগের বিজয়ীদের তালিকা
আওয়ামী লীগ রবিবার (৭ জানুয়ারি) ৩০০ টি আসনের মধ্যে ২৯৯ টিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে টানা চতুর্থ বারের মতো নির্বাচনে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পূর্বাভাস অনুযায়ী বেশ ভালো ফলাফল করেছে।
রবিবারের (৭ জানুয়ারি) নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা ২২২টি আসনে জয়লাভ করেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬২টি আসনে জয়ী হন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন ২০২৪: বরিশাল বিভাগের বিজয়ীদের তালিকা
ময়মনসিংহ বিভাগের বিজয়ী প্রার্থীদের তালিকা-
ময়মনসিংহ-১ আসনে মাহমুদুল হক সায়েম, ময়মনসিংহ-২ আসনে শরীফ আহমেদ, ময়মনসিংহ-৪ আসনে মোহাম্মদ মহিতুর রহমান, ময়মনসিংহ-৫ আসনে নজরুল ইসলাম, ময়মনসিংহ-৬ আসনে আব্দুল মালেক সরকার, ময়মনসিংহ-৭ এবিএম আনিসুজ্জামান, ময়মনসিংহ-৮ আসনে মাহমুদ হাসান সুমন, ময়মনসিংহ-৬ আসনে মুসলিম উদ্দিন, ময়মনসিংহ-৯ আসনে আবদুস সালাম, ময়মনসিংহ-১০ আসনে ফাহমি গোলন্দাজ (বাবেল),ময়মনসিংহ-১১ আসনে আব্দুল ওয়াহেদ জয়লাভ করেন।
নেত্রকোণা-১ আসনে মোশতাক আহমেদ রুহি, নেত্রকোণা-২ আসনে আশরাফ আলী খান খসরু, নেত্রকোণা-৩ আসনে ইফতেখার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু, নেত্রকোণা-৪ আসনে সাজ্জাদুল হাসান, নেত্রকোণা-৫ আসনে আহমদ হোসাইন বিজয়ী হয়েছেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন ২০২৪: রংপুর বিভাগের বিজয়ীদের তালিকা
জামালপুর-১ আসনে নূর মোহাম্মদ, জামালপুর-২ আসনে ফরিদুল হক খান, জামালপুর-৩ আসনে মির্জা আজম, জামালপুর-৪ আসনে আব্দুর রশিদ, জামালপুর-৫ আসনে আবুল কালাম আজাদ জয় পেয়েছেন।
শেরপুর-১ আসনে সানোয়ার হোসেন শানু, শেরপুর-২ আসনে মতিয়া চৌধুরী, শেরপুর-৩ আসনে এডিএম শহিদুল ইসলাম জয়ী হয়েছেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন ২০২৪: রাজশাহী বিভাগের বিজয়ীদের তালিকা
৭২০ দিন আগে
জনগণ বিএনপির ভোট বর্জনের ডাক প্রত্যাখ্যান করেছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ভোট উৎসবের মধ্য দিয়ে দেশের মানুষ ভোট দিয়েছে, বিএনপিসহ যারা ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়েছিল তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
তিনি বলেন, ভোটের বিরুদ্ধে বিএনপির প্রচারণা, ভোট বর্জনের ডাকের পাশাপাশি ৫ জানুয়ারি ট্রেনে বর্বরোচিত হামলা এবং ৪, ৫, ৬ জানুয়ারি বিভিন্ন জায়গায় ভোটকেন্দ্রে বিচ্ছিন্নভাবে হামলা পরিচালনা করা হয়েছে। তাদের সন্ত্রাস ও অগ্নিসন্ত্রাসের রাজনীতি মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে, দেশে কার্যত একটি ভোট উৎসব হয়েছে।
আরও পড়ুন: আগুনসন্ত্রাসে ভোট উৎসব ম্লান করা যাবে না: তথ্যমন্ত্রী
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
হাছান বলেন, বিএনপি এবং তাদের সমমনা দলগুলো এখন হতাশায় নিমজ্জিত- কেন তারা নির্বাচন করল না। তাদের সঙ্গে যদি ব্যক্তিগতভাবে আলাপ করেন, তাহলে জানতে পারবেন তাদের মধ্যে কী পরিমাণ হতাশা বিরাজ করছে। তারা এখন অনুধাবন করতে পেরেছে, এই নির্বাচন বর্জন করে তারা নিজেরাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি এবং গণতন্ত্রের অভিযাত্রা অব্যাহত আছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামাতের নির্বাচন ম্লান করার অপচেষ্টা উচ্ছ্বাসে পরিণত হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশ, ভারতসহ সার্কভুক্ত দেশগুলো এবং ওআইসিভুক্ত দেশগুলো সহ জাতিসংঘের পর্যবেক্ষকরা সংবাদ সম্মেলন করে বলেছে যে, দেশে একটি সুন্দর, সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং সোমবার বিকালে তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে অভিনন্দন জানিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
‘মানবাধিকার হাইকমিশনারের বিবৃতি ত্রুটিযুক্ত ও একপেশে’
নির্বাচন নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনারের বিবৃতি প্রসঙ্গে সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান বলেন, আমি বিবৃতিটি পড়েছি। বিবৃতিতে আগুনসন্ত্রাস করে, পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে মানুষ পোড়ানোর ব্যাপারে কোনো কথা নাই। সেখানে মানবাধিকারের কথা বলা হয়েছে, গ্রেপ্তারের কথা বলা হয়েছে, অথচ গ্রেপ্তার তো তাদেরই করা হচ্ছে যারা আগুন সন্ত্রাসের সঙ্গে যুক্ত।
আরও পড়ুন: ভোটের দিন নৈরাজ্য সৃষ্টির পরিকল্পনা করেছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
৭২০ দিন আগে