রাজনীতি
নির্বাচন ২০২৪: রংপুর বিভাগের বিজয়ীদের তালিকা
আওয়ামী লীগ রবিবার (৭ জানুয়ারি) ৩০০ টি আসনের মধ্যে ২৯৯ টিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে টানা চতুর্থ বারের মতো দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পূর্বাভাস অনুযায়ী বেশ ভালো ফলাফল করেছে।
রবিবারের (৭ জানুয়ারি) নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা ২২২টি আসনে জয়লাভ করেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬২টি আসনে জয়ী হন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন ২০২৪: চট্টগ্রাম বিভাগের বিজয়ীদের তালিকা
রংপুর বিভাগের বিজয়ী প্রার্থীদের তালিকা-
পঞ্চগড়-১ আসনে নাঈমুজ্জামান ভূঁইয়া, পঞ্চগড়-২ আসনে নুরুল ইসলাম সুজন জয় পেয়েছেন।
ঠাকুরগাঁও-১ আসনে রমেশ চন্দ্র সেন, ঠাকুরগাঁও-২ আসনে মাজহারুল ইসলাম সুজন, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে হাফিজ উদ্দিন আহমেদ নির্বাচিত হয়েছেন।
দিনাজপুর-১ আসনে জাকারিয়া,দিনাজপুর-২ আসনে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দিনাজপুর-৩ আসনে ইকবালুর রহিম, দিনাজপুর-৪ আসনে আবুল হাসান মাহমুদ আলী, দিনাজপুর-৫ আসনে মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার, দিনাজপুর-৬ আসনে শিবলী সাদিক জয়লাভ করেছেন।
নীলফামারী-১ আসনে আফতাব উদ্দিন সরকার। নীলফামারী-২ আসনে আসাদুজ্জামান নূর,নীলফামারী-৩ আসনে সাদ্দাম হোসেন পাভেল, নীলফামারী-৪ আসনে সিদ্দিকুল আলম জয় পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন ২০২৪: রাজশাহী বিভাগের বিজয়ীদের তালিকা
লালমনিরহাট-১ আসনে মোতাহার হোসেন, লালমনিরহাট-২ আসনে নুরুজ্জামান আহমেদ, লালমনিরহাট-৩ আসনে মো. মতিয়ার রহমান জয় পেয়েছেন।
রংপুর-১ আসনে আসাদুজ্জামান বাবলু, রংপুর-২ আসনে আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী, রংপুর-৩ আসনে গোলাম মোহাম্মদ কাদের,রংপুর-৪ আসনে টিপু মুন্সী, রংপুর-৫ আসনে জাকির হোসেন, রংপুর-৬ আসনে শিরীন শারমিন চৌধুরী জয়লাভ করেছেন।
কুড়িগ্রাম-১ আসনে একেএম মোস্তাফিজুর রহমান, কুড়িগ্রাম-২ আসনে হামিদুলকুড়িগ্রাম-৩ আসনে সুমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে, খন্দকার, কুড়িগ্রাম-৪ আসনে মো. বিপ্লব হাসান জয় পেয়েছেন।
গাইবান্ধা-১ আসনে আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার, গাইবান্ধা-২ আসনে শাহ সারওয়ার কবির, গাইবান্ধা-৩ আসনে উম্মে কুলসুম স্মৃতি। গাইবান্ধা-৪ আসনে আবুল কালাম আজাদ, গাইবান্ধা-৫ আসনে মাহমুদ হাসান জয় পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন ২০২৪: বরিশাল বিভাগের বিজয়ীদের তালিকা
৭২০ দিন আগে
নির্বাচন ২০২৪: রাজশাহী বিভাগের বিজয়ীদের তালিকা
আওয়ামী লীগ রবিবার (৭ জানুয়ারি) ৩০০ টি আসনের মধ্যে ২৯৯ টিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে টানা চতুর্থ বারের মতো দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পূর্বাভাস অনুযায়ী বেশ ভালো ফলাফল করেছে।
রবিবারের (৭ জানুয়ারি) নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা ২২২টি আসনে জয়লাভ করেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬২টি আসনে জয়ী হন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন ২০২৪: খুলনা বিভাগের বিজয়ীদের তালিকা
রাজশাহী বিভাগের বিজয়ী প্রার্থীদের তালিকা-
জয়পুরহাট-১ আসনে শামসুল আলম দুদু ও জয়পুরহাট-১ আসনে আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন জয়ী হয়েছেন।
বগুড়া-১ সাহাদারা মান্নান, বগুড়া-২ আসনে শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ, বগুড়া-৩ আসনে খান মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ আল মাহদি, বগুড়া-৪ আসনে জাসদের এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন, বগুড়া-৫ মুজিবুর রহমান (মজনু), বগুড়া-৬ রাগেবুল আহসান রিপু, বগুড়া-৭ আসনে মোস্তফা আলম জয়লাভ করেছেন।
নওগাঁ-১ আসনে সাধন চন্দ্র মজুমদার, নওগাঁ- আসনে মো. আমিনুল হক, নওগাঁ-৩ আসনে সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী, নওগাঁ-৪ আসনে এসএম বুরহান সুলতান মাহমুদ, নওগাঁ-৫ আসনে নিজাম উদ্দিন জলিল জিয়ন ও নওগাঁ-৬ আসনে উমর ফারুক জয় পেয়েছেন।
রাজশাহী-১ আসনে ওমর ফারুক চৌধুরী, রাজশাহী-২ আসনে শফিকুর রহমান, রাজশাহী-৩ আসনে আসাদুজ্জামান আসাদ, রাজশাহী-৪ আসনে আবুল কালাম আজাদ, রাজশাহী-৫ আসনে আব্দুল ওয়াদুদ এবং রাজশাহী-৬ আসনে শাহরিয়ার আলম বিজয়ী হয়েছেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন ২০২৪: বরিশাল বিভাগের বিজয়ীদের তালিকা
নাটোর-১ আসনে মো. আবুল কালাম, নাটোর-২ আসনে শফিকুল ইসলাম শিমুল, নাটোর-৩ আসনে জুনাইদ আহমেদ পলক, নাটোর-৪ আসনে মো. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী জয় পেয়েছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনে সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে মো. জিয়াউর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে আব্দুল ওয়াদুদ বিজয়ী হয়েছেন।
সিরাজগঞ্জ-১ আসনে তানভীর শাকিল জয়, সিরাজগঞ্জ-২ আসনে জান্নাত আরা হেনরি, সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে আব্দুল আজিজ, সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে শফিকুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে আব্দুল মমিন মন্ডল, সিরাজগঞ্জ-৬ আসনে চয়ন ইসলাম বিজয়ী হয়েছেন।
পাবনা-১ আসনে শামসুল হক টুকু, পাবনা-২ আসনে আহমেদ ফিরোজ কবির, পাবনা-৩ আসনে মকবুল হোসেন, পাবনা-৪ আসনে গালিবুর রহমান শরীফ এবং পাবনা-৫ আসনে গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স জয় পেয়েছেন।
নওগাঁ-২ আসনে এক প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) নির্বাচন স্থগিত করায় ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৯টি আসনে রবিবার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: নির্বাচন ২০২৪: চট্টগ্রাম বিভাগের বিজয়ীদের তালিকা
৭২০ দিন আগে
নির্বাচন ২০২৪: বরিশাল বিভাগের বিজয়ীদের তালিকা
আওয়ামী লীগ রবিবার (৭ জানুয়ারি) টানা চতুর্থ বারের মতো অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৩০০ টি আসনের মধ্যে ২৯৯ টিতে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পূর্বাভাস অনুযায়ী বেশ ভালো ফলাফল করেছে।
রবিবারের (৭ জানুয়ারি) নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা ২২২টি আসনে জয়লাভ করেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬২টি আসনে জয়ী হন।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়ে কূটনীতিকরা
বরিশাল বিভাগের বিজয়ী প্রার্থীদের তালিকা-
বরগুনা-১ আসনে গোলাম সারওয়ার টুকু, বরগুনা-২ আসনে সুলতানা নাদিরা জয়লাভ করেছেন।
পটুয়াখালী-১ আসনে এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, পটুয়াখালী-২ আসনে আ স ম ফিরোজ, পটুয়াখালী-৩ আসনে এস এম শাহজাদা, পটুয়াখালী-৪ আসনে মহিবুর রহমান জয়লাভ করেছেন।
ভোলা-১ আসনে তোফায়েল আহমেদ, ভোলা-২ আসনে আলী আজম, ভোলা-৩ আসনে নুরান্নবী চৌধুরী, ভোলা-৪ আসনে আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব জয়লাভ করেছেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন ২০২৪: খুলনা বিভাগের বিজয়ীদের তালিকা
বরিশাল-১ আসনে আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ, বরিশাল-২ আসনে ওয়ার্কার্স পার্টির চেয়ারম্যান রাশেদ খান মেনন, বরিশাল-৩ আসনে গোলাম কিবরিয়া টিপু, বরিশাল-৪ আসনে পঙ্কজ নাথ, বরিশাল-৫ আসনে জাহিদ ফারুক এবং বরিশাল-৬ আসনে আব্দুল হাফিজ মল্লিক জয় পেয়েছেন।
ঝালকাঠি-১ আসনে শাহজাহান ওমর ও ঝালকাঠি-২ আসনে আমির হোসেন আমু বিজয়ী হয়েছেন।
পিরোজপুর-১ আসনে শ ম রেজাউল করিম, পিরোজপুর-২ আসনে মহিউদ্দিন মহারাজ, পিরোজপুর-৩ আসনে শামীম শাহনেওয়াজ জয়লাভ করেছেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে জয়ে শেখ হাসিনাকে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের অভিনন্দন
৭২০ দিন আগে
ইশতেহারে দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নই হবে নতুন সরকারের মূল কাজ: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নতুন সরকারের প্রধান কাজ হবে নির্বাচনী ইশতেহারে দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
মঙ্গলবার(৯ জানুয়ারি) বিকালে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আয়োজিত এক যৌথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বুধবার সকাল ১০টায় নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নেবেন। এই দিনে সংসদ নেতাও নির্ধারণ করা হবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে ‘বলির পাঁঠা’ করা হচ্ছে: জিএম কাদের
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নেবে।
তিনি আরও বলেন, '২০২৪ সালে নতুন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা দেশকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। দলমত নির্বিশেষে দেশের অব্যাহত উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে দলীয় নেতা-কর্মীদের ঠান্ডা মাথায় এগিয়ে যেতে হবে। কোথাও কোনো সহিংসতা বা সংঘাত হওয়া উচিত নয়। নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে নেতা যে ভাষণ দিয়েছেন, তা অক্ষরে অক্ষরে অনুসরণ করতে হবে। দেশের মানুষের প্রত্যাশা এবং দেশ পরিচালনার চ্যালেঞ্জগুলো আমাদের অতিক্রম করতে হবে।’
সংসদ নির্বাচনের পর কোনো ধরনের সহিংসতায় না জড়াতে দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বানও জানান ওবায়দুল কাদের।
আরও পড়ুন: সরকার যেখানে যাকে জেতাতে চেয়েছে সে জিতেছে: জিএম কাদের
বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা দলের নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত রাখার একটি চক্রান্ত। দেশের মানুষ ভোট দিয়েছে। যারা বর্জনের ডাক দিয়েছে ভোটাররা তাদের বর্জন করেছে।
তিনি বলেন, 'ভবিষ্যতে দুষ্কর্মের বিরুদ্ধে আমাদের মনোযোগ বাড়াতে হবে। আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতি করি না। কিন্তু বিএনপি তাই করছে। এটি তাদের জনসাধারণের বিচ্ছিন্নতার মাত্রা বাড়িয়ে তুলবে। আমরা সবসময় সতর্ক থাকি যাতে কোনো ক্ষতি না হয়। সবকিছু মোকাবিলা করে আওয়ামী লীগ আজকের বিজয়ের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে অবিচল রয়েছেন।’
নির্বাচন নিয়ে কয়েকটি দেশের বক্তব্যের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'বাংলাদেশের এই নির্বাচনে আমেরিকা, কমনওয়েলথ ও ওআইসির পর্যবেক্ষকরা এখানে উপস্থিত ছিলেন। আমি মনে করি, নির্বাচন পর্যবেক্ষণের পর পর্যবেক্ষকরা তাদের দেশ থেকে যে ইতিবাচক মন্তব্য করবেন, তার ওপর ভিত্তি করে যারা ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দিচ্ছেন তারাও বিষয়টি বুঝতে পারবেন।’
এ সময় আওয়ামী লীগ নেতা ড. আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, ডা.দীপু মনি উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আরও পাঁচ বছর অপেক্ষা করা ছাড়া বিএনপির কিছু করার নেই: ওবায়দুল কাদের
৭২০ দিন আগে
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাবে বিএনপি: রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকার একদলীয় নির্বাচন নিয়ে আত্মতুষ্টি করলেও জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট বর্জন করেছে।
রাজধানীর কমলাপুর এলাকায় গণসংযোগকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী আরও বলেন, জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত তাদের দল রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে প্রতিবেশী দেশ হস্তক্ষেপ করছে: রিজভী
তিনি বলেন, 'তারা (সরকার) এ ধরনের নির্বাচন করে এবং ভোটের নামে তামাশা করে জনগণের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে। একতরফা নির্বাচন নিয়ে সরকার যতই আত্মতুষ্টি করুক না কেন, জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট বর্জন করেছে।
তিনি বলেন, যারা ক্ষমতাসীন দল ও তাদের সহযোগী, তারাই নির্বাচনের দৌড়ে ছিলেন। তিনি বলেন, 'দেখা গেছে, ভোটারদের অনুপস্থিতিতে ফাঁকা ভোটকেন্দ্রে তারা নিজেরাই ব্যালটে সিল মেরেছে, একে অপরের সঙ্গে লড়াই করেছে, সহিংসতায় লিপ্ত হয়েছে এবং একে অপরকে হত্যা ও আহত করেছে।’
রিজভী বলেন, সরকারের সব হুমকি-ধমকি উপেক্ষা করে নির্বাচন বর্জন করায় বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো দেশের সর্বস্তরের জনগণকে অভিনন্দন জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: একতরফা নির্বাচনেও রাতে ব্যালট বাক্স ভরে রাখা হয়েছে: রিজভী
তিনি বলেন,‘আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই যে আমরা রাস্তায় আছি, জনগণের সঙ্গে আছি এবং জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাস্তায় থাকব। অবশ্যই আমরা জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনব।’
বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে পুনরায় নির্বাচন এবং বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে কমলাপুর রেলস্টেশনের কাছে লিফলেট বিতরণকরে গণসংযোগ করেন রিজভী।
এর আগে বৈধ ও জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নির্দলীয় নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে জনসমর্থন আদায়ে মঙ্গলবার ও বুধবার দুই দিনের গণসংযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি।
আরও পড়ুন: স্বতন্ত্ররা আলাদা থাকলে বিরোধী দলে প্রাধান্য পাবে জাতীয় পার্টি: আইনমন্ত্রী
৭২০ দিন আগে
নির্বাচন ২০২৪: চট্টগ্রাম বিভাগের বিজয়ীদের তালিকা
আওয়ামী লীগ রবিবার (৭ জানুয়ারি) ৩০০ টি আসনের মধ্যে ২৯৯ টিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে টানা চতুর্থ বারের মতো দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পূর্বাভাস অনুযায়ী বেশ ভালো ফলাফল করেছে।
রবিবারের (৭ জানুয়ারি) নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা ২২২টি আসনে জয়লাভ করেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬২টি আসনে জয়ী হন।
আরও পড়ুন: ১৯৭৫ সালের পর এই নির্বাচন সবচেয়ে অবাধ-সুষ্ঠু হয়েছে: শেখ হাসিনা
চট্টগ্রাম বিভাগের বিজয়ী প্রার্থীদের তালিকা-
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে সৈয়দ একরামুজ্জামান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে মঈন উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে আরএএম ওবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনে আনিসুল হক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনে ফয়জুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম।
কুমিল্লা-১ আসনে আবদুস সবুর, কুমিল্লা-২ আসনে আবদুল মজিদ, কুমিল্লা-৩ আসনে জাহাঙ্গীর আলম সরকার, কুমিল্লা-৪ আসনে আবুল কালাম আজাদ, কুমিল্লা-৫ আসনে আবু জাহের, কুমিল্লা-৬ আসনে একেএম বাহাউদ্দিন, কুমিল্লা-৭ আসনে প্রাণ গোপাল দত্ত, কুমিল্লা-৮ আসনে শাফিউদ্দিন শামীম, কুমিল্লা-৯ আসনে তাজুল ইসলাম, কুমিল্লা-১০ আসনে আ হ ম মুস্তফা কামাল, কুমিল্লা-১১ আসনে মুজিবুল হক মুজিব।
চাঁদপুর-১ আসনে সেলিম মাহমুদ, চাঁদপুর-২ মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী (মায়া), চাঁদপুর-৩ আসনে দীপু মনি, চাঁদপুর-৪ আসনে মুহাম্মদ শফিকুর রহমান, চাঁদপুর-৫ আসনে রফিকুল ইসলাম।
নোয়াখালী-১ আসনে এইচ এম ইব্রাহিম, নোয়াখালী-২ আসনে মোরশেদ আলম, নোয়াখালী-৩ আসনে মামুনুর রশীদ কিরণ, নোয়াখালী-৪ আসনে মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী, নোয়াখালী-৫ আসনে ওবায়দুল কাদের, নোয়াখালী-৬ মোহাম্মদ আলী।
লক্ষ্মীপুর-১ আসনে আনোয়ার হোসেন খান, লক্ষ্মীপুর-২ আসনে নূর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন, লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে মো.গোলাম ফারুক, লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে মো. আবদুল্লাহ।
আরও পড়ুন: নির্বাচন ২০২৪: খুলনা বিভাগের বিজয়ীদের তালিকা
ফেনী-১ আসনে আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, ফেনী-২ আসনে নিজাম উদ্দিন হাজারী, ফেনী-৩ আসনে মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী
চট্টগ্রাম-১ আসনে মাহবুবুর রহমান, চট্টগ্রাম-২ আসনে খাদিজাতুল আনোয়ার, চট্টগ্রাম-৩ আসনে মাহফুজুর রহমান, চট্টগ্রাম-৪ আসনে এস এম আল মামুন, চট্টগ্রাম-৫ আসনে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ , চট্টগ্রাম-৬ আসনে এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৭ আসনে হাছান মাহমুদ,চট্টগ্রাম-৮ আসনে আব্দুস সালাম, চট্টগ্রাম-৯ আসনে মহিবুল হাসান চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১০ আসনে মহিউদ্দিন বাচ্চু, চট্টগ্রাম-১১ আসনে এম আব্দুল লতিফ, চট্টগ্রাম-১২ আসনে মোতাহারুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৩ আসনে সাইফুজ্জামান চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৪ আসনে নজরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম-১৫ আসনে আবদুল মোতালেব, চট্টগ্রাম-১৬ আসনে মুজিবুর রহমান।
কক্সবাজার-১ আসনে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, কক্সবাজার-২ আসনে আশেক উল্লাহ রফিক, কক্সবাজার-৩ আসনে সাইমুম সরওয়ার কমল, কক্সবাজার-৪ আসনে শাহীন আক্তার।
এছাড়া খাগড়াছড়িতে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, রাঙামাটিতে দীপংকর তালুকদার ও বান্দরবানে বীর বাহাদুর উশৈসিং জয়লাভ করেছেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়ে কূটনীতিকরা
৭২০ দিন আগে
নির্বাচন ২০২৪: খুলনা বিভাগের বিজয়ীদের তালিকা
আওয়ামী লীগ রবিবার (৭ জানুয়ারি) ৩০০ টি আসনের মধ্যে ২৯৯ টিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে টানা চতুর্থ বারের মতো দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পূর্বাভাস অনুযায়ী বেশ ভালো ফলাফল করেছে।
রবিবারের (৭ জানুয়ারি) নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা ২২২টি আসনে জয়লাভ করেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬২টি আসনে জয়ী হন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে জয়ে শেখ হাসিনাকে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের অভিনন্দন
খুলনা বিভাগের বিজয়ী প্রার্থীদের তালিকা-
মেহের পুর-১ আসনে ফরহাদ হোসেন ও মেহেরপুর-২ আসনে আবু সালেহ মো. নাজমুল হক।
কুষ্টিয়া-১ আসনে রেজাউল হক চৌধুরী, কুষ্টিয়া-২ আসনে কামরুল আরেফিন, কুষ্টিয়া-৩ আসনে মাহবুব উল আলম হানিফ, কুষ্টিয়া-৪ আসনে আব্দুর রউফ।
চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে সুলাইমান হক জোয়ার্দ্দার ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে আলী আজগর।
ঝিনাইদহ-১ আসনে আব্দুল হাই, ঝিনাইদহ-২ আসনে নাসের শাহরিয়ার জাহেদী, ঝিনাইদহ-৩ আসনে সালাহ উদ্দিন মিয়াজী, ঝিনাইদহ-৪ আসনে আনোয়ারুল আজিম (আনার), যশোর-১ আসনে শেখ আলিফ উদ্দিন, যশোর-২ আসনে তৌহিদুজ্জামান, যশোর-৩ আসনে কাজী নাবিল আহমেদ, যশোর-৪ আসনে এনামুল হক বুলবুল, যশোর-৫ আসনে ইয়াকুব আলী, যশোর-৬ আসনে আজিজুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়ে কূটনীতিকরা
খুলনা-১ আসনে ননী গোপাল মন্ডল, খুলনা-২ আসনে শেখ সালাহউদ্দিন, খুলনা-৩ আসনে এস এম কামাল হোসেন, খুলনা-৪ আসনে আবদুস সালাম মুর্শেদী, খুলনা-৫ আসনে নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, খুলনা-৬ আসনে রশিদুজ্জামান।
বাগেরহাট-১ আসনে শেখ হেলাল উদ্দিন, বাগেরহাট-২ আসনে শেখ তন্ময়, বাগেরহাট-৩ আসনে হাবিবুন নাহার, বাগেরহাট-৪ আসনে এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ।
সাতক্ষীরা-১ আসনে ফিরোজ আহমেদ স্বপন, সাতক্ষীরা-২ আসনে মো. আশরাফুজ্জামান, সাতক্ষীরা-৩ আসনে এএফএম রুহুল হক, সাতক্ষীরা-৪ আসনে এসএম আতাউল হক।
মাগুরা-১ আসনে সাকিব আল হাসান, মাগুরা-২ আসনে বীরেন শিকদার, নড়াইল-১ আসনে বিএম কবিরুল হক ও নড়াইল-২ আসনে মাশরাফি বিন মর্তুজা।
আরও পড়ুন: ১৯৭৫ সালের পর এই নির্বাচন সবচেয়ে অবাধ-সুষ্ঠু হয়েছে: শেখ হাসিনা
৭২০ দিন আগে
স্বতন্ত্ররা আলাদা থাকলে বিরোধী দলে প্রাধান্য পাবে জাতীয় পার্টি: আইনমন্ত্রী
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা কোনো দলে না গিয়ে যদি আলাদা থাকেন, তবে বিরোধী দল হিসেবে জাতীয় পার্টি প্রাধান্য পাবে বলে জানিয়েছেন আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনিা বলেন, স্বতন্ত্রদের অবস্থান সম্পর্কে পুরোপুরি নিশ্চিত হতে আরও কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক নিজ দপ্তরের সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসন: হ্যাটট্রিক করলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক
তিনি বলেন, ‘স্বতন্ত্ররা যদি মনে করেন তারা আলাদা আলাদা থাকবেন, তবে জাতীয় পার্টি যেহেতু ১১টি আসন পেয়েছে জাতীয় পার্টি অবশ্যই (বিরোধী দল হিসেবে) প্রাধান্য পাবে।’
তিনি জানান, বিরোধী দল হতে হলে ১০ শতাংশ আসন থাকতে হয়।
এমপিদের শপথ, নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘কাল (বুধবার) নতুন সংসদ সদস্যরা শপথ নেবেন। এখন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হচ্ছে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল। আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনাকে সংসদ নেতা পার্লামেন্টারি পার্টির নেতা হিসেবে নির্বাচিত করার পর রাষ্ট্রপতি তাকে নতুন সরকার গঠনের জন্য আমন্ত্রণ জানাবেন। এ আমন্ত্রণ জানানোর পর প্রধানমন্ত্রী নতুন সরকার গঠন করবেন। নতুন সরকার যতক্ষণ পর্যন্ত না গঠিত হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত এখন যে সরকার আছে তারা দায়িত্বে থাকবেন। নির্ধারিত সময় না থাকলেও রীতি রয়েছে শপথ নেওয়ার পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যেই নতুন সরকার গঠিত হয়। আমার মনে হয়, এবারও তাই হবে।’
আরও পড়ুন: অন্যরা ক্ষমতায় আসে খেতে, আওয়ামী লীগ আসে দিতে: আইনমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন নতুন সংসদ সদস্যদের একটা গেজেট করবে। এটা করার পরে শপথ নিতে হবে, সেখানে একটা সময়সীমা রয়েছে যে, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সেই শপথ নিতে হবে। এখন সেই প্রক্রিয়া শুরু হবে।’
স্বতন্ত্ররা কোনো মোর্চা করতে পারবে কি না- এ বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘কেন পারবে না? স্বতন্ত্ররা যদি মনে করেন তারা সরকারের সঙ্গে না থেকে নিজস্ব একটা গ্রুপ করবেন, অবশ্যই তারা সেটা করতে পারেন। তখন কাকে বিরোধী দল হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে, সেটা নির্ধারিত হবে।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘কাল শপথ নেওয়ার পর স্বতন্ত্রদের অবস্থান কি হবে তারা নিশ্চয়ই জানাবেন। স্বতন্ত্রদের অবস্থান নির্ণয় হওয়ার পরেই আমার মনে হয় বিরোধী দল কারা থাকবেন সেটা আমরা বুঝতে পারব।’
স্বতন্ত্র যারা তারা আওয়ামী লীগের। তারা যদি বিরোধী দলে যায়, তবে সরকার এবং বিরোধী দুই পক্ষই আওয়ামী লীগ হলো। এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘তারা যখন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন, তারা আওয়ামী লীগের হিসেবে নির্বাচিত হননি। তারা স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের প্রতীকও ছিল ভিন্ন। নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন শুধু আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। সে ক্ষেত্রে তারা আওয়ামী লীগের এটা মুখের কথা হতে পারে, কিন্তু আইন ও বাস্তবতার কথা সেটা নয়।’
আরও পড়ুন: এই ভোট গণতন্ত্র রক্ষার ভোট: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘তারা স্বতন্ত্র হিসেবে জয়ী হয়েছেন। তারা যদি মনে করেন তারা স্বতন্ত্র হিসেবে থাকবেন। তাহলে দেখা যাবে কতজন স্বতন্ত্র হিসেবে থাকলেন। যদি দেখা যায় তারা একটা মোর্চা করবেন। অবশ্যই সেখানে তখন বিরোধীদল কে হবে তখন পরিষ্কার হয়ে যাবে। সে জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’
সংসদ সদস্যদের শপথ বুধবার হলে মন্ত্রিসভা কবে গঠিত হবে- জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সেটা প্রধানমন্ত্রী বলতে পারবেন তিনি ইনশাআল্লাহ আবারও আওয়ামী লীগের পার্লামেন্টারি পার্টির দল নেতা হিসেবে নির্বাচিত হবেন, তিনি তখন ঘোষণা দেবেন কখন মন্ত্রিসভা গঠিত হবে।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয়নি এ বিষয়ে আইনমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বলেন, ‘আমরা সব সময়ই বলে আসছি নির্বাচন তখন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয়, যখন জনগণ ভোট দেয়। আপনারা সবাই দেখেছেন এই নির্বাচনে জনগণ ভোট দিয়েছে এবং নির্বাচনকে স্বাগত জানিয়ে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে।’
আনিসুল হক বলেন, ‘সেজন্য আমরা বলব, আমরা যেটা বলি সেটা সঠিক। এর কারণ হচ্ছে বাস্তব চিত্র আমরাই দেখেছি। এই নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়েছে, যেটা জনগণ স্বীকৃতি দিয়েছে। এর ওপরে কারও স্বীকৃতি প্রয়োজন আছে বলে আমার মনে হয় না।’
আরও পড়ুন: পানিয়ারুপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেবেন আইনমন্ত্রী
৭২০ দিন আগে
১৯৭৫ সালের পর এই নির্বাচন সবচেয়ে অবাধ-সুষ্ঠু হয়েছে: শেখ হাসিনা
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রবিবারের (৭ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
তিনি বলেন, ‘জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।’
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর নেতা-কর্মীরা সরকারি বাসভবন গণভবনে দলীয় প্রধান হিসেবে শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানানোর সময় তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হলেও কম ভোটে জয় আ.লীগের
এই বিজয় তার টানা চতুর্থ মেয়াদে এবং সামগ্রিকভাবে পঞ্চম মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথ প্রশস্ত করেছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিদের সহায়তায় একটি চমৎকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, বিএনপি তাদের বিদেশি প্রভুদের পরামর্শ মেনে চলায় বাংলাদেশে টিকে থাকতে পারে না।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি জাতীয় নির্বাচন বানচাল করতে চেয়েছিল। তাদের কিছু ওস্তাদ আছে। তারা বাংলাদেশের জনগণকে চেনে না। এসব ওস্তাদদের পরামর্শ মেনে চললে বাংলাদেশে টিকে থাকা সম্ভব হবে না।’
আরও পড়ুন: দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন: ঢাকায় ২০ আসনের ৪টি হাতছাড়া আ.লীগের
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের কোনো বিদেশি প্রভু নেই, কারণ জনগণই তাদের শক্তি।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত চক্র নির্বাচন বানচালের জন্য অনেক ষড়যন্ত্র করেছে।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের পর অনুষ্ঠিত সকল নির্বাচনের মধ্যে এই নির্বাচন সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল, অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিযোগিতামূলক হয়েছে।
তিনি বলেন, 'আমরা প্রমাণ করেছি আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে।’
প্রধানমন্ত্রী দেশ ও জনগণের কল্যাণে সবকিছু ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের অনেকেই জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হলেও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছে পরাজিত হয়েছেন।
তিনি বলেন, দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্বকে কাজে লাগানোর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আরও পাঁচ বছর অপেক্ষা করা ছাড়া বিএনপির কিছু করার নেই: ওবায়দুল কাদের
‘জনগণের ম্যান্ডেট মেনে সবকিছু ভুলে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার’ আহ্বানও জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচনে কিছু রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ নয়, কারণ জনগণের অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, ‘জনগণ যদি আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় না চায়, তাহলে আমরা তাদের ম্যান্ডেট দিয়ে তা দেখাব।’
এ প্রসঙ্গে তিনি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার পর জনগণ দেড় মাসের মধ্যে বিএনপি সরকারকে উৎখাত করেছিল।
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের মানুষ কখনও অন্যায় মেনে নেয় না।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে ও প্রধানমন্ত্রীর বোন শেখ রেহানা তার বড় বোনকে ফুলের তোড়া দিয়ে তাকে অভিনন্দন জানান।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
এর আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানায়।আরও পড়ুন: ১৫ জানুয়ারির মধ্যে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হতে পারে: নসরুল হামিদ
৭২০ দিন আগে
জাতীয় পার্টির এমপিরা পরে শপথ নেবেন: জাপা মহাসচিব
জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, তার দল থেকে নির্বাচিতর বেশিরভাগই ঢাকার বাইরে থাকায় আগামীকালের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন না।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, 'নির্বাচিত সদস্যদের নিজ নিজ এলাকা থেকে ফিরে আসার পর দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের সঙ্গে বৈঠকের পর আমরা পরে শপথ নেব।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে ‘বলির পাঁঠা’ করা হচ্ছে: জিএম কাদের
রবিবারের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীরা ২২২টি আসনে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬২টি আসনে জয়লাভ করেন।
জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা মাত্র ১১টি আসনে জয়লাভ করেন। এছাড়া বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির তিনজন প্রার্থী নিজ নিজ আসনে জয়লাভ করেন।
আরও পড়ুন: সরকার যেখানে যাকে জেতাতে চেয়েছে সে জিতেছে: জিএম কাদের
৭২০ দিন আগে