রাজনীতি
নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান বুধবার
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান বুধবার (১০ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হবে।
স্পিকারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শপথ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিচ্ছে সংসদ সচিবালয়।
রবিবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা ২২২টি আসনে জয়লাভ করেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ৬২টি আসনে জয়লাভ করেন।
উল্লেখ্য, জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা ১১টি আসনে বিজয়ী হয়েছেন এবং বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি থেকে একটি করে মোট তিনটি আসনে বিজয়ী হয়েছেন।
৭২০ দিন আগে
রাঙ্গুনিয়ায় ভোট পড়েছে ৭০%
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম ৭ (রাঙ্গুনিয়া, বোয়ালখালী আংশিক) আসনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৯৮ হাজার ৯৭৬ ভোট পেয়ে এই আসন থেকে টানা চতুর্থবার সংসদ নির্বাচিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ২ দিন চলবে না বেনাপোল এক্সপ্রেসসহ ২১ ট্রেন
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী ফ্রন্টের আইনজীবী ইকবাল হাছান মোমবাতি প্রতীকে পেয়েছেন ৮ হাজার ৭৬৭ ভোট। এই আসনে ভোট পড়েছে ৬৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ। এর ৯৫ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছেন নৌকার প্রার্থী।
রাঙ্গুনিয়া ও বোয়ালখালী উপজেলার কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ১০৩টি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ হয়েছে।
আরও পড়ুন: কাজ বাকি থাকায় আজ চালু হচ্ছে না খুলনা-যশোর-মোংলা রুটে ট্রেন চলাচল
উল্লেখ্য, বিজয়ী ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাড়াও জাতীয় পার্টির মুছা আহমেদ রানা (লাঙ্গল) ২ হাজার ৩০৮ ভোট, তৃণমূল বিএনপির খোরশেদ আলম (সোনালী আঁশ) ১ হাজার ৩৩১ ভোট, ইসলামিক ফ্রন্টের আহমদ রেজা (চেয়ার) প্রতিকে পেয়েছেন ১ হাজার ৩৯০ ভোট, সুপ্রিম পার্টির মোরশেদ আলম (একতারা) প্রতিকে পেয়েছেন ১ হাজার ১৩০ ভোট। ১০৩ কেন্দ্রে মোট ভোটার ৩ লাখ ১৩ হাজার ৯১। এরমধ্যে ভোট পড়েছে ২ লাখ ১৪ হাজার ৪৩৬, মোট ৬৯.৪৩ শতাংশ ভোট সংগৃহিত হয়েছে। সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও রাঙ্গুনিয়ার ইউএনও রায়হান মেহেবুব এসব কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের ঠিক আগে ট্রেনে আগুন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্তের চূড়ান্ত অভিপ্রায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৭২১ দিন আগে
ভোটার উপস্থিতির হারকে যে কেউ চ্যালেঞ্জ করতে পারে: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতির হারকে যে কেউ চ্যালেঞ্জ করতে পারে।
তিনি বলেন, ‘কেউ যদি মনে করেন যে ভোট দানের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে, তাহলে তা যাচাই করতে এবং আমাদের সততা পরীক্ষা করার জন্য আপনাকে স্বাগত জানাই।’
আরও পড়ুন: ভোট দিয়ে সংসদ-সরকার গঠনে নাগরিক দায়িত্ব পালনের আহ্বান সিইসির
সোমবার বিকালে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে সিইসি এসব কথা বলেন।
দিনের মাঝামাঝি সময়ে বা ভোট শেষ হওয়ার ঠিক পরে যে হার দেখা গেছে, তা অবশ্যই বাস্তবের সঙ্গে মিলবে না।
সিইসি জানান, চূড়ান্ত ফলাফল অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচনে মোট ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পড়েছে।
আরও পড়ুন: প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্যবেক্ষণে সিইসিসহ অন্যদের আমন্ত্রণ জানাল রাশিয়ার নির্বাচন কমিশন
রবিবারের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা ২২২টি আসনে জয়লাভ করে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬২টি আসনে জয়লাভ করেন।
এছাড়া জাতীয় পার্টি মাত্র ১১টি আসনে বিজয়ী হয়েছে এবং বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি এই তিনটি দলের একক প্রার্থী তাদের নিজ নিজ আসনে বিজয়ী হয়েছেন।
নওগাঁ-২ আসনে এক প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নির্বাচন কমিশন (ইসি) নির্বাচন স্থগিত করায় ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৯টি আসনে রবিবার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে, সরকারের সহযোগিতার প্রশংসা সিইসির
৭২১ দিন আগে
সরকার যেখানে যাকে জেতাতে চেয়েছে সে জিতেছে: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেছেন, সরকার যেখানে নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে চেয়েছে সেখানেই নিরপেক্ষ হয়েছে; যাকে জেতাতে চেয়েছে সে জিতেছে।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে রংপুর নগরীর সেনপাড়ায় স্কাইভিউ বাসভবনে নির্বাচন পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টিকে ভোট দিন: জিএম কাদের
জিএম কাদের বলেন, নির্বাচন সার্বিকভাবে ভালো হয়নি। যে রকম আশঙ্কা করেছিলাম সেটাই হয়েছে। সরকার যেখানে নিরপেক্ষ করতে চেয়েছে সেখানে নিরপেক্ষ হয়েছে। সরকার যেখানে যাকে জেতাতে চেয়েছে সেটাই হয়েছে।
সরকারের নিয়ন্ত্রণে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে জানিয়ে জিএম কাদের বলেন, আমার বিশ্বাস এ নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পাবে না।
জিএম কাদের বলেন, একটি পক্ষ আমাদের রাজনীতিটা নষ্টের চেষ্টা করছে। এখানে সরকারও মদদ দিচ্ছে বলে আমার ধারণা।
জিএম কাদের বলেন, রবিবার যে নির্বাচন হয়েছে তাতে আমরা আশানুরূপ ফলাফল পাইনি। আমরা একটা পরিবেশ চেয়েছিলাম। আমরা চেয়েছিলাম যেন প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকবে এবং আমাদের প্রার্থীরা অর্থ ও অস্ত্রের প্রভাবমুক্ত থাকবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে ‘বলির পাঁঠা’ করা হচ্ছে: জিএম কাদের
তিনি বলেন, তারা আমাদের কথা দিয়েছিলেন, নিশ্চিত করেছিলেন। কিন্তু ভোটারদের হুমকি, এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র দখল করে ভোট দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন সম্পূর্ণ তাদের পক্ষে কাজ করেছে। কিন্তু তারা কথা দেওয়ার পরেও কথা রাখেনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জিএম কাদের বলেন, দল হিসেবে জাতীয় পার্টির অবস্থান যেখানে ছিল সেখানেই আছে।
এসময় ঢাকা, চাঁদপুর, জামালপুর, কুমিল্লা, শেরপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার চিত্র ধরে জিএম কাদের বলেন, এসব জায়গায় আমাদের প্রার্থীদের যথেষ্ট সম্ভাবনা ছিল বেরিয়ে আসার। কিন্তু সেটা করতে দেওয়া হয়নি।
নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে জিএম কাদের বলেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়া ভুল ছিল কি না- সে বিষয়ে এখনই মূল্যায়ন করা যাবে না। সামনের দিনগুলো দেখতে হবে।
ফলাফল প্রত্যাখ্যান এবং সংসদে না যাওয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলেও জানান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
এসময় দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সারাদেশে জাপা প্রার্থীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে: জিএম কাদের
৭২১ দিন আগে
১৫ জানুয়ারির মধ্যে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হতে পারে: নসরুল হামিদ
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা হতে পারে।
তিনি বলেন, সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ নতুন সরকারের জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে।
আরও পড়ুন: নবায়নযোগ্য জ্বালানির উন্নয়নে বাংলাদেশ সৌরভিত্তিক উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে: নসরুল হামিদ
সোমবার (৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
নসরুল হামিদ ঢাকা-৩ আসন থেকে টানা তৃতীয়বারের মতো সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের শক্ত অবস্থানের কারণেই অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভোটের মাধ্যমে বিএনপি'র অগ্নিসন্ত্রাসের জবাব জনগণ দেবে: নসরুল হামিদ
তিনি বলেন, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনাসহ নতুন সরকারের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে।
তিনি বলেন, নতুন সরকারকে আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য বজায় রাখতে স্বয়ংক্রিয় জ্বালানি মূল্য সমন্বয় ব্যবস্থা চালু করার ব্যবস্থা নিতে হবে।
আরও পড়ুন: নতুন চিন্তাকে গ্রহণ করতে চাই: নসরুল হামিদ
৭২১ দিন আগে
চুয়াডাঙ্গায় ১৫ প্রার্থীর মধ্যে ৯ জন জামানত হারালেন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গার দুটি আসনের ১৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ৯ জন প্রয়োজনীয় ভোট না পাওয়ায় জামানত হারিয়েছেন।
তারা হলেন- স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ শহীদুর রহমান, জাতীয় পার্টির সোহরাব হোসেন, জাকের পার্টির আব্দুল লতিফ খান, স্বতন্ত্র প্রার্থী নূর হাকিম, স্বতন্ত্র নজরুল মল্লিক, জাতীয় পার্টির রবিউল ইসলাম ও জাসদের দেওয়ান মো. ইয়াসিন উল্লাহ। এ ছাড়া চুয়াডাঙ্গা-১ ও ২ আসনের ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ইদ্রিস চৌধুরী।
আরও পড়ুন: ২২ দল আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেয়নি নির্বাচন কমিশনে
এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে ৩ জন এবং চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে ৬ জন প্রার্থী রয়েছেন বলে রবিবার রাতে চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা ঘোষিত ফলাফলে জানা গেছে।
নিয়ম অনুযায়ী, কোনো প্রার্থী যদি মোট ভোটের অন্তত ১২ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট না পান, তাহলে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: কোনো কেন্দ্রে জাল ভোট হলে প্রিজাইডিং অফিসারকে বরখাস্ত করা হবে: নির্বাচন কমিশনার
ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, তারা সবাই তাদের জামানত বাঁচাতে ন্যূনতম ভোট পেতে ব্যর্থ হয়েছেন।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোতাওয়াক্কিল রহমান জানান, নিয়ম অনুযায়ী যারা নির্বাচনে মোট ভোটের ন্যূনতম ১২ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট পাননি, তারা জামানতের টাকা ফেরত পাবেন না।
দেশের ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৯৯টিতে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে রবিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভোট গ্রহণ চলে।
আরও পড়ুন: ভালো নির্বাচন না হলে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট তৈরি হবে: নির্বাচন কমিশনার
৭২১ দিন আগে
আরও পাঁচ বছর অপেক্ষা করা ছাড়া বিএনপির কিছু করার নেই: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের জনগণ ব্যালটের মাধ্যমে অগ্নিসংযোগকারী, ১৯৭১ সালের পরাজিত শক্তি ও ১৫ আগস্টের খুনিদের উপযুক্ত জবাব দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত এবারও ব্যর্থ হয়েছে। বারবার নির্বাচন বর্জন করার পর এখন বিএনপির পাঁচ বছর অপেক্ষা করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই। বিএনপি এখন যেসব অভিযোগ এনেছে তা অবাস্তব ও ভিত্তিহীন।’
আরও পড়ুন: ভোট বর্জনকারীদের বর্জন করেছেন ভোটাররা: কাদের
সোমবার (৮ জানুয়ারি) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
তিনি বিএনপিকে সত্য মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করব: ফেরদৌস
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'আমরা নির্বাচনি ইশতেহারে যেসব অঙ্গীকার করেছি তা বাস্তবায়ন করব এবং ভবিষ্যতে একটি স্মার্ট ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলব। এই নির্বাচন দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।’
আগামী ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে জনসভা করবে আওয়ামী লীগ।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: অভিনেতা ও প্রযোজক সাজু মুনতাসিরের বিশেষ দিন
৭২১ দিন আগে
বৈধ সরকার প্রতিষ্ঠায় নতুন করে নির্বাচন ও শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবি বিএনপির
জনগণ একতরফাভাবে রবিবারের ভোট প্রত্যাখ্যান করেছে উল্লেখ করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাতিল ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবি করেছে বিএনপি।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বৈধ ও জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নির্দলীয় নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে পুনরায় নির্বাচনের দাবি পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
তাদের দাবি আদায়ে জনসমর্থন আদায়ে মঙ্গলবার ও বুধবার দুই দিনের গণসংযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
আরও পড়ুন: বর্জনের আহ্বান সফল হওয়ায় ভোটারদের অভিনন্দন বিএনপির
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, 'দেশের জনগণ একতরফা ও স্বতঃস্ফূর্তভাবে গতকালের (রবিবারের) নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানানো ৬৩ দলের পক্ষ থেকে আমরা দেশের জনগণকে অভিনন্দন জানাই।’
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন হুমকি ও ভয়ভীতি সত্ত্বেও সরকার ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যেতে ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি বলেন, '৭ জানুয়ারি ভোট গ্রহণ ও কোনো নির্বাচন হয়নি। যা ঘটেছে তা ভোট ডাকাতি ও ভোট কারচুপি।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, তাদের দল জনগণের ভোটে নির্বাচিত এবং তাদের কাছে জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়।'তার জন্য একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রয়োজন, যা গতকাল (রবিবার) হয়নি। তাই জনগণ এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। সবাই বলছেন যে ভোটার উপস্থিতি (ইসি) দেখিয়েছে তা ভুয়া।’
তিনি বলেন, ‘তাই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে থাকা বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক অবিলম্বে ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচন বাতিল, শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং জাতীয় নির্বাচনের জন্য নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠনের দাবি জানিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রের ওপর জনগণের মালিকানা পুনরুদ্ধার করতে হবে। একই সঙ্গে সব জোরপূর্বক গুম, হত্যা ও ভুতুড়ে মামলা বন্ধ করতে হবে এবং জনগণকে তার দমনমূলক শাসন থেকে রক্ষা করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘এগুলো এখন জনগণের দাবি। আমরা জনগণকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাই যে, তারা বিভিন্ন চাপ ও প্রলোভনের মুখে স্বার্থ ত্যাগ করেছেন এবং বিপুল সংখ্যক ভোটারকে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার জন্য সরকারের অশুভ প্রচেষ্টা ব্যর্থ করেছেন।’
আরও পড়ুন: ভোটাররা বিএনপিকে বর্জন করেছে: ওবায়দুল কাদের
৭২১ দিন আগে
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন: ঢাকায় ২০ আসনের ৪টি হাতছাড়া আ.লীগের
ঢাকার সংসদীয় ২০টি আসনের দখল ধরে রাখতে পারেনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনটি আসনে থাবা বসিয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। আর একটিতে জোটকে ছাড় দিতে হয়েছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া ঢাকা ১৯টি আসনের তিনটিতে বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এরমধ্যে দুর্যোগ ও ত্রাণ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান লড়েছিলেন ঢাকা -১৯ আসনে।
২০ টি আসনের বেসরকারি ফলে ঢাকা-৪, ঢাকা-৫ এবং ঢাকা-১৯ আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীকে নাস্তানুবুদ করে নিজ দলেরই মনোনয়ন বঞ্চিতরাই।
ঢাকা-৪ আসনে ৭৭টির কেন্দ্রের মধ্যে সবগুলোর ফলাফলের ভিত্তিতে জয়ী হয়েছেন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আওলাদ হোসেন, তিনি পেয়েছেন ২৪ হাজার ৭৭৫ ভোট। নৌকা প্রতীকের সানজিদা খানম পেয়েছেন ২২ হাজার ৫৭৭ ভোট।
ঢাকা-৫ আসনের ১৮৭ কেন্দ্রের ফলাফলে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের মশিউর রহমান মোল্লা। তিনি পেয়েছেন ৫০ হাজার ৬৩১ ভোট। আর নৌকার প্রার্থী হারুনর রশীদ (মুন্না) ৫০ হাজার ৩৩৪ ভোট পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামাতের নির্বাচন ম্লান করার অপচেষ্টা উচ্ছ্বাসে পরিণত হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা-১৯ আসনের ২৯২ কেন্দ্রের ফলাফলে ট্রাক প্রতীকের সাইফুল ইসলাম ৮৪ হাজার ৪১২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নৌকা প্রতীকের ডা. মো. এনামুর রহমান পেয়েছেন ৫৬ হাজার ৩৬১ ভোট। ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী তালুকদার মো. তৌহিদ জং (মুরাদ) পেয়েছেন ৭৬ হাজার ২০২ ভোট।
ঢাকার যেসব আসনে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ
ঢাকা-১: সালমা বনাম সালমান এফ রহমান
সংসদীয় এই আসনটির ১৮৪টি কেন্দ্রের সবগুলোর ফলাফলে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সালমান এফ রহমান ১ লাখ ৫০ হাজার ৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙল প্রতীকের জাতীয় পার্টির সালমা ইসলাম পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৯৩০ ভোট।
ঢাকা-২: আসনে কামরুল বনাম হাবিবুর
আসনটির ১৯৭ কেন্দ্রের সবগুলোর ফলাফলে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মো. কামরুল ইসলাম ১ লাখ ৫৪ হাজার ৪৪৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের ডা. হাবিবুর রহমান পেয়েছেন ১০ হাজার ৬৩৫ ভোট।
ঢাকা-৩: নসরুল হামিদ বনাম মনির সরকার
এ আসনটির ২২৬ কেন্দ্রের সবগুলোর ফল পাওয়া গেছে। নৌকা প্রতীকের নসরুল হামিদ ১ লাখ ৩২ হাজার ৭৩২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। লাঙল প্রতীকের মো. মনির সরকার পেয়েছেন ২ হাজার ৮৬৮ ভোট।
ঢাকা-৬: সাঈদ খোকন বনাম রবিউল আলম
নৌকার প্রার্থী সাঈদ খোকন ৬১ হাজার ৭০৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মিনার প্রতীকের মো. রবিউল আলম মজুমদার পেয়েছেন ১ হাজার ১০৯ ভোট।
ঢাকা-৭: সোলাইমান সেলিম বনাম সাইফুদ্দিন
আসটির ১২৫ কেন্দ্রের সবগুলোর ফল পাওয়া গেছে। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সোলাইমান সেলিম ৬৩ হাজার ৮১৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন আহম্মেদ মিলন পেয়েছেন ৭ হাজার ৩০৮ ভোট।
আরও পড়ুন: নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হলেও কম ভোটে জয় আ.লীগের
ঢাকা-৮: বাহাউদ্দিন নাছিম বনাম জুবের আলম
বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। তিনি পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৬১০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের প্রার্থী মো. জুবের আলম খান পেয়েছেন ৮৮০ ভোট।
ঢাকা-৯: সাবের হোসেন চৌধুরী বনাম আবুল
১৬৯টি কেন্দ্রের ফল পাওয়া গেছে। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাবের হোসেন চৌধুরী ৯০৩৯৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙল প্রতীকের কাজী আবুল খায়ের পেয়েছেন ২ হাজার ৭৯৪ ভোট।
ঢাকা-১০: ফেরদৌস বনাম শাহজাহান
এ আসনে ১১৯টি কেন্দ্রের সবগুলোর ফল পাওয়া গেছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থী নৌকা প্রতীকে ফেরদৌস আহমেদ ৬৫ হাজার ৮৯৮ পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির হাজি মো. শাহজাহান পেয়েছেন ২ হাজার ২৫৭ ভোট।
ঢাকা ১১: ওয়াকিল বনাম শামীম
আসটির ১৬২ কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফলে নৌকা প্রতীকের মোহাম্মদ ওয়াকিল উদ্দিন বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ৮৩ হাজার ৮৮৫ ভোট পেয়ে বিজয় নিশ্চিত করেছন। লাঙল প্রতীকের শামীম আহমেদ পেয়েছেন মাত্র ২ হাজার ৭৪৭ ভোট।
ঢাকা-১২: আসাদুজ্জামান বনাম খোরশেদ
১৪০ কেন্দ্রের সবগুলোর ফলাফলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ৯৪ হাজার ৬৮৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী খোরশেদ আলম খুশু ২ হাজার ২১৯ ভোট পেয়েছেন।
ঢাকা-১৩: আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জাহাঙ্গীর কবির নানক বিজয়ী হয়েছেন।
আরও পড়ুন: সোমবার দেশি-বিদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন শেখ হাসিনা
ঢাকা-১৪: নিখিল বনাম লুৎফর
আসনটির ১৬৬টি কেন্দ্রের মধ্যে সবগুলোর ফল পাওয়া গেছে। আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. মাইনুল হোসেন খান ৫৩ হাজার ৫৪০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী কেটলি প্রতীকের মো. লুৎফর রহমান ১৭ হাজার ৯১৪ ভোট পেয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের সাবিনা আক্তার তুহিন পেয়েছেন ৯ হাজার ৩৯২ ভোট।
ঢাকা-১৫: কামাল আহমেদ মজুমদার বনাম শামসুল
আসনটির ১৩৩ কেন্দ্রের ফল পাওয়া গেছে। আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কামাল আহমেদ মজুমদার ৩৯ হাজার ৬৩২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। জাতীয় পার্টির শামসুল হক লাঙল প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৪৪ ভোট।
ঢাকা-১৬: ইলিয়াস আলী মোল্লা বনাম
আওয়ামী লীগের ইলিয়াস আলী মোল্লা বিজয়ী হয়েছেন। ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ ৬৫ হাজার ৬৩১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সালাউদ্দিন রবিন ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ৬ হাজার ৩১৪ ভোট। দুজনের ভোটের ব্যবধান প্রায় ৫৯ হাজার।
ঢাকা-১৭: আরাফাত বনাম আইনুল হক
নির্বাচনের ১২৪টি কেন্দ্রের ফল পাওয়া গেছে। ঢাকা-১৭ (গুলশান-বনানী-ক্যান্টনমেন্ট) আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ এ আরাফাত। নৌকা প্রতীক নিয়ে মোহাম্মদ এ আরাফাত পেয়েছেন ৪৮ হাজার ৫৯ ভোট। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কুলা প্রতীক নিয়ে বিকল্প ধারা বাংলাদেশের প্রার্থী মো. আইনুল হক পেয়েছেন ১ হাজার ৩৮০ ভোট।
ঢাকা-১৮: খসরু বনাম শেরীফা কাদের
আসনটির ২১৭ কেন্দ্রের সবগুলোর ফল পাওয়া গেছে। কেটলি প্রতীকের মো. খসরু চৌধুরী ৭৯ হাজার ৮৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের এস এম তোফাজ্জল হোসেন পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৯০৯ ভোট। লাঙল প্রতীকের শেরীফা কাদের পেয়েছেন ৬ হাজার ৪২৯ ভোট।
ঢাকা-২০: বেনজির বনাম মোহাদ্দেছ
আসনটির ১৪৯ কেন্দ্রের সবগুলোর ফল পাওয়া গেছে।নৌকার প্রার্থী বেনজীর আহমদ ৮৩ হাজার ৭০৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাদ্দেছ হোসেন কাঁচি প্রতীকে পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৬১৩ ভোট।
আরও পড়ুন: ভোটাররা বিএনপিকে বর্জন করেছে: ওবায়দুল কাদের
৭২১ দিন আগে
৭ জানুয়ারি ইতিহাসে ‘কালো দিবস’ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে : জামায়াত
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করায় দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ভোটারবিহীন নির্বাচনের আরেকটি উপহাস দেশ ও বিশ্বের মানুষ প্রত্যক্ষ করেছে।
রবিবার(৭ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে এই মন্তব্য করেন দলটির ভারপ্রাপ্ত আমির।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও বিশ্বের জনগণ আরেকটি প্রহসনমূলক ডামি নির্বাচন প্রত্যক্ষ করেছে এবং ইতিহাস ৭ জানুয়ারিকে একটি ‘কালো দিবস’ হিসেবে মনে রাখবে।
মুজিবুর রহমান বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ আন্দোলন করে আসছে।
গণতান্ত্রিক বিশ্ব এবং বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতীম দেশগুলো বাংলাদেশে অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের আশা প্রকাশ করেছে। জনমত উপেক্ষা করে সরকার গত ৭ জানুয়ারি ভুয়া নির্বাচন করে।
আরও পড়ুন:বিএনপি-জামায়াত বিশ্বে টাকা বিলিয়ে দেশের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, এই প্রহসনের নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য করতে সরকার তাদের দলের লোকজনকে স্বতন্ত্র, বিদ্রোহী ও ডামি প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়ে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনার চেষ্টা করছে।
আওয়ামী লীগের দলীয় ক্যাডার ও প্রশাসন ভোটারদের ভোট দিতে ভয় ভীতি প্রদর্শন অব্যাহত রেখেছিল। অনেককেই প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সব কৌশলকে ব্যর্থ করে ভোট দিতে ভোট কেন্দ্রে যায়নি জনগণ।
জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির বলেন, নির্বাচনের শুরু থেকেই প্রহসনের নির্বাচনের প্রতি ভোটারদের কোনো আগ্রহ ছিল না।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াত বিশ্বে টাকা বিলিয়ে দেশের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে: আইনমন্ত্রী
৭২১ দিন আগে