রাজনীতি
মুন্সীগঞ্জে আ. লীগ প্রার্থীর সমর্থককে গুলি করে হত্যা
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী মৃণাল কান্তি দাসের এক সমর্থককে সদরের মুন্সীকান্দি গ্রামে গুলি করে হত্যা ও আরেকজনকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ ফয়সালের সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের মুন্সীকান্দি গ্রামের নৌকার ক্যাম্পে এই হামলা হয়। এতে নৌকার সমর্থক ডালিম সরকার (৩৫) গুলিবিদ্ধ হন। গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় সোহেল মিয়া নামের আরেক সমর্থককে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী কাঁচি প্রতীকের হাজী মো. ফয়সাল বিপ্লব সর্মথকরা এই হামলা ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে দাবি নৌকা সর্মথকদের।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা
হামলায় আহত সোহেল মিয়া বলেন, ‘আমরা নৌকার ক্যাম্পে অবস্থান করছিলাম। রাত সাড়ে ১২টার দিকে মোল্লাকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান রিপন পাটোয়ারীর ভাই শিপন পাটোয়ারীর নেতৃত্ব একটি দল ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে এলোপাথাড়ি গুলি বর্ষণ করে। এ সময় আমরা গুলিবিদ্ধ ডালিম সরকারকে বাঁচাতে গেলে আমাকে পিটিয়ে আহত করে৷ তাই তাকে হাসপাতালে নিতেও দেরি হয়।’
স্থানীয়রা জানান, ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল নৌকার ক্যাম্পে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে। এ ঘটনায় পুরো ইউনিয়নজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান বলেন, জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় রোহিঙ্গা যুবককে গুলি করে হত্যা
সীতাকুণ্ডে বিএনপি নেতাকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ
৭২৫ দিন আগে
সারা দেশে নির্বাচনের জোয়ার তৈরি হওয়ায় বিএনপির সুর নরম হয়ে গেছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সমগ্র দেশে নির্বাচনের জোয়ার তৈরি হয়েছে। এতে বিএনপির সুর নরম হয়ে গেছে।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মন্ত্রী তার নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার শিলক ইউনিয়নের কুদ্দুছ মার্কেট চত্বরে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপির নির্বাচন বিরোধিতা সারা দেশে ভোটের প্রচারণায় পদ্মা, যমুনা ও কর্ণফুলী নদীতে ভেসে গেছে। এখন বিএনপির সমর্থকরাও এই নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য বসে আছে।’
আরও পড়ুন: শ্রমিক-কর্মচারীদের মামলায় ড. ইউনুসের শাস্তি হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি নেতা ড. মঈন খান বলেছেন, 'আমরা আর নির্বাচনবিরোধী প্রচারণা করছি না, প্রতিহত করার কথাও বলছি না। এখন আমরা নির্বাচন বয়কট করার কথা বলছি।' এতে বোঝা যায়, এখন তাদের সুর নরম হয়ে গেছে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি আগে বলেছিল নির্বাচন প্রতিহত করা হবে। সেই উদ্দেশ্যে তারা মানুষের উপর পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেছে। ঘুমন্ত মানুষকে, ট্রাক ড্রাইভার ও হেল্পারকে মেরেছে। ঘুমন্ত অবস্থায় মা এবং শিশু সন্তানকে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে অঙ্গার করে দিয়েছে। এ সব করে তারা দেখতে পেলো- এতে তাদের কোনো লাভ হয় নাই, মানুষ ভয় পায় নাই। মানুষ নির্বাচনী জোয়ারে শামিল হয়ে গেছে।’
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, বিএনপির নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা তাদের নেতারাই দিচ্ছে, কিন্তু তাদের প্রান্তিক পর্যায়ের কর্মী এবং সমর্থকরা এটাকে সমর্থন করে না। এই জনসভাতেও অনেক বিএনপি সমর্থকরা হাজির হয়েছে, যারা নৌকা প্রতীকে ভোট দেবেন।
আরও পড়ুন: শ্রমিকদের পাওনা না দিলে ‘নোবেল জয়ী’ বলে কি মামলা হবে না: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা মানুষের উপকার করার ক্ষেত্রে এবং দেশের উন্নয়ন করার ক্ষেত্রে কখনো আওয়ামী লীগ-বিএনপি পার্থক্য করেন নাই। সেটিই আমরা তার কাছ থেকে শিখতে পাই। রাঙ্গুনিয়ায়ও আমার উন্নয়ন কার্যক্রমে কে কোন দল বা মতের সেটা কখনো বিবেচনায় আনিনি।’
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আকতার কামাল চৌধুরীর সভাপতিত্বে কাউছার নূর লিটন ও মাহমুদুল হাসান বাদশার সঞ্চালনায় জনসভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কাশেম চিশতি, নজরুল ইসলাম তালুকদার, আব্দুল মোনাফ সিকদার, সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আজিম, এম এ মান্নান চৌধুরী, শহীদুল্লাহ চৌধুরী আইয়ুব খান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী জোয়ারে বিএনপির নেতা-কর্মী সমর্থকরাও শামিল হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
৭২৫ দিন আগে
বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল-গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে আ. লীগ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে একটি উন্নয়নশীল ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সিলেট নগরীর ৫নং ওয়ার্ডে আয়োজিত জনসভায় সিলেট-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোমেন এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে লাখো প্রাণের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। শেখ হাসিনা যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন এই দেশকে বিক্রি করবেন না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার সিলেটে সড়ক, রেলপথ, বিমানবন্দর, হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন করেছে। সিলেট নগরীর নাগরিক সুযোগ-সুবিধার মানোন্নয়নে ইতোমধ্যে আরও অনেক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি দেশের কল্যাণ, অগ্রগতি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে আগামী ৭ জানুয়ারি নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানান।
আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে জনসভায় বক্তব্য রাখেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সৈয়দ এপতার হোসেন পিয়ার, নগর আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক জুবের খান, সৈয়দ মাহমুদুর রহমান, শাকিল তালুকদার, রিপন হাওলাদারসহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ সরকার প্রবাসীবান্ধব: মোমেন
উন্নয়নের মূলমন্ত্র গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা: মোমেন
৭২৫ দিন আগে
সিলেট-২ আসনে ত্রিমুখী লড়াইয়ের আভাস
সিলেটের বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগর উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট-২ আসনে জমে উঠেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের লড়াই। নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে প্রার্থীরা ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে।
মন জয়ের নানা চেষ্টা করছেন তাদের। আসনটিতে কাগজে-কলমে প্রার্থী সাতজন হলেও ভোটারদের আলোচনায় রয়েছেন মাত্র তিনজন।
তারা হলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী, সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী (নৌকা); জাতীয় পার্টি মনোনিত প্রার্থী, সাবেক সংসদ সদস্য ও দলটির ভাইস চেয়ারম্যান ইয়াহ্ইয়া চৌধুরী এহিয়া (লাঙল) এবং গণফোরাম মনোনিত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান (উদীয়মান সূর্য)।
এ আসনের তৃণমূল বিএনপি মনোনিত প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুর রব (সোনালী আঁশ), ন্যাশনাল পিপলস পার্টি মনোনিত প্রার্থী মো. মনোয়ার হোসেন (আম) ও বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনিত প্রার্থী মো. জহির (ডাব) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহিবুর রহমান (ট্রাক) তেমন কোনো আলোচনায় নেই।
আরও পড়ুন: বরিশাল-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের উপর হামলা-গুলির অভিযোগ
যার ফলে ভোটের মাঠে নৌকা, লাঙল ও উদীয়মান সূর্য প্রতীকের মধ্যে ত্রিমুখী লড়াইয়ের আভাস পাচ্ছেন ভোটাররা। অনেক ভোটারের সঙ্গে আলাপ করেই এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোট সমর্থিত ও জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী ইয়াহইয়া চৌধুরী নির্বাচনী মাঠে থাকা সত্ত্বেও স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিশ্বনাথের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমানের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ২৩ দলীয় জোট এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সমর্থিত ও গণফোরাম মনোনিত প্রার্থী মোকাব্বির খান।
ওই নির্বাচনে জামানত হারান দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোট সমর্থিত ও জাতীয় পার্টি মনোনিত প্রার্থী হিসেবে প্রথমবারের মতো নির্বাচিত সংসদ সদস্য ইয়াহ্ইয়া।
এছাড়া, নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মনোনিত হেভিওয়েট প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য এম. ইলিয়াস আলীকে হারিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শফিকুর রহমান চৌধুরী।
দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের কারণে সিলেট-২ আসন জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। ফলে, টানা এক দশক চরম হতাশায় ছিল ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গার দুই আসনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা জাপার দুই প্রার্থীর
তবে, এবার আসনটি ভাগাভাগির কবলে না পড়ায় এবং শেষ পর্যন্ত দলীয় প্রার্থী থাকায় তাদের মধ্যে ফিরে এসেছে প্রাণচাঞ্চল্য। সাধারণ সমর্থকদের মধ্যেও দেখা দিয়েছে উচ্ছ্বাস।
যেকোনো মূল্যে আসনটি পূণরুদ্ধার করতে দলীয় প্রার্থী শফিকুর রহমান চৌধুরী ও নেতা-কর্মীরা দিন-রাত অবিরাম প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
অপরদিকে, টানা দুই নির্বাচনে সিলেট-২ আসনে মহাজোট থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী দেওয়া হলেও এবার তার ব্যতিক্রম হওয়ায় কিছুটা হতাশ দলটির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।
তাদের প্রত্যাশা, শেষ পর্যন্ত পুরো উদ্যমে মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়বেন সবাই। ইয়াহ্ইয়া চৌধুরীকে নির্বাচিত করে উদ্ধার করবেন হারানো দূর্গ।
তবে, বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগরে গণফোরামের উল্লেখ করার মতো কোনো সাংগঠনিক কার্যক্রম এবং নেতা-কর্মী না থাকায় পাঁচ বছরে নিজের করা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে অবলম্বন করেই মাঠে-ঘাটে প্রচারণা চালাচ্ছেন বর্তমান সংসদ সদস্য গণফোরামের মোকাব্বির খান।
সবমিলিয়ে বর্তমান ও সাবেক তিন সংসদ সদস্যের প্রচার-প্রচারণায় ধীরে ধীরে সরগরম হয়ে উঠা সিলেট-২ আসনের ভোটাররা মুখিয়ে আছেন শেষ পর্যন্ত কে হন তাদের কান্ডারি-সেটা দেখার জন্য।
আরও পড়ুন: সিলেট-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সভায় হামলার অভিযোগ আ. লীগ প্রার্থীর কর্মীদের বিরুদ্ধে
৭২৫ দিন আগে
জীবন নাশের হুমকি, নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন জাপার প্রার্থী
জাতীয় পাটির (জাপা) কেন্দ্রীয় নেতা ও দলীয় প্রার্থী আতাউর রহমান সরকার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) বিকালে গাইবান্ধার ঘুড়িদহ ইউনিয়নের মধ্যপাড়া গ্রামের বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান।
আরও পড়ুন: সিলেট-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সভায় হামলার অভিযোগ আ. লীগ প্রার্থীর কর্মীদের বিরুদ্ধে
আতাউর জানান, সমর্থকদের মারধর, নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর ও চিহ্নিত মহলের হুমকি এবং নিরাপত্তাজনিত কারণে তারা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে জাতীয় পাটি থেকে আতাউর রহমান সরকারকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।
নিয়মানুযায়ী তিনি নির্বাচনী প্রচার চালাতে থাকেন। আর মাত্র তিন দিন পর নির্বাচন। এই নির্বাচনকে ঘিরে তিনি পাড়া মহল্লায় নেতা-কর্মীদের নিয়ে প্রচার চালিয়ে যান।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গার দুই আসনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা জাপার দুই প্রার্থীর
কিন্ত ইদানিং তার নির্বাচনী অফিসে হামলা, ভাঙচুর, নেতা-কর্মীদের মারধরের ঘটনা ঘটছে।
তিনি বলেন, শুধু তাই নয়, নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে তাকে হুমকি-ধমকি দেওয়া হয়। মিথ্যা মামলায় জড়ানোসহ জীবন নাশের হুমকিও দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, এসব কারণে তিনি তার জীবনে নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছেন। তার জীবন রক্ষার তাগিদে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হলেন।
এক প্রশ্রে জবাবে তিনি জানান, এ বিষয়ে তিনি কোনো মামলা দায়ের করেননি। সময় হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মাশরাফিকে সমর্থন দিয়ে সরে দাঁড়ালেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়জুল
৭২৫ দিন আগে
‘প্রহসনের’ নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না: মঈন খান
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা ড. আব্দুল মঈন খান হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, প্রহসনের নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ আর ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লিফলেট বিতরণকালে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করাই একমাত্র লক্ষ্য: মঈন খান
তিনি আরও বলেন, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে দমন-পীড়ন চালিয়ে সরকার বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘জনগণ আমাকে জিজ্ঞেস করে, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর আমরা কী করব? আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, এই সরকারকে বুঝতে হবে যে ২০২৪ ও ২০১৪ একই নয়। এবার এমন হবে না যে, তারা (সরকার) ভুয়া ও বিদ্বেষমূলক নির্বাচন করে আবারও পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতা নিশ্চিত করবে।’
বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য তাদের রক্ত দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি রাজপথে বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড মোকাবিলা করে দেশের ১৮ কোটি মানুষের জন্য গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবে।
আরও পড়ুন: ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণ করছে সরকার: ড. মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন বলেন, প্রার্থীরা যেদিন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন সেদিনই একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘কে কোন আসনে এমপি হবেন তা সরকার এরই মধ্যে ঠিক করে দিয়েছে।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ভুয়া নির্বাচনের ভুয়া ফলাফল নিয়ে একদলীয় সংসদ ও সরকার গঠনের পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের নামে তারা প্রহসন ও নাটক করছে। দেশের বাইরের সব নামকরা গণমাধ্যম এক বাক্যে বলছে, বাংলাদেশে যে নির্বাচন হচ্ছে তা প্রহসন ছাড়া আর কিছুই নয়। কারণ বর্তমান সরকার এর মাধ্যমে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে চায়।’
আরও পড়ুন: আ. লীগ সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি রাজপথে থাকবে: ড. মঈন খান
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, তাদের দল অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার পরিবর্তন দেখতে চায়।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি লগি-বৈঠা দিয়ে সহিংসতার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। আমরা কখনই সংঘাতের রাজনীতি এবং অস্ত্রের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। আমরা চাই বাংলাদেশের জনগণ শান্তিপূর্ণ নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে এ দেশে পরিবর্তন আনুক, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করুক।’
ড. মঈন জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জনের বিএনপির আহ্বানের পক্ষে জনসমর্থন আদায়ে পথচারীদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেন।
এদিকে সকালে রাজধানীর মতিঝিলের এজিবি কলোনি বাজারে লিফলেট বিতরণ করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ৭ জানুয়ারি জোরপূর্বক একতরফা নির্বাচন করতে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ক্ষমতা হারানোর ভয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চায় না সরকার: মঈন খান
তিনি বলেন, ‘এই একতরফা ডামি নির্বাচনকে না বলার জন্য আমি জনগণের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। ৭ জানুয়ারি কেউ ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। আমাদের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার জন্য আমরা তাদের (আওয়ামী লীগ) প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করছি।’
রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার অবৈধ সরকার আরও লুটপাট ও দুর্নীতিতে লিপ্ত হয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে নির্বাচন আয়োজন করছে।
যুবদল নেতা আসিফুর রহমান বিপ্লবসহ বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় লিফলেট বিতরণ করেন।
আরও পড়ুন: সরকার ক্ষমতাকে অন্যায় ও অগণতান্ত্রিকভাবে দীর্ঘায়িত করতে চায়: মঈন খান
৭২৫ দিন আগে
মাশরাফিকে সমর্থন দিয়ে সরে দাঁড়ালেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়জুল
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাশরাফি বিন মুর্তজাকে সমর্থন জানিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন নড়াইল-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়জুল আমির লিটু।
শারীরিক অসুস্থতা ও পারিবারিক কারণ দেখিয়ে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন। বুধবার (৩ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ফয়জুল আমির লিটু।
এ সময় তিনি মাশরাফিকে সমর্থন জানিয়ে তার অনুসারী ও সমর্থকদের নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার অনুরোধ জানান।
আরও পড়ুন: সিলেট-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সভায় হামলার অভিযোগ আ. লীগ প্রার্থীর কর্মীদের বিরুদ্ধে
লোহাগড়া উপজেলা আাওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ার্যমান সৈয়দ ফয়জুল আমির লিটু সাংবাদিকদের বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মেরুদণ্ডের সমস্যা ও লিভারের রোগে আক্রান্ত। এতে তার পরিবার তাকে এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার পরামর্শ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার আপিল বিভাগ থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন বলে জানান তিনি। তাই নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুতির জন্য যে সময় দরকার, এখন আর সেটা নেই বলে মনে করেন এ প্রার্থী।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আইবিএফবি নেতাদের আলোচনা সভা
তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাশরাফি বিন মুর্তজাকে সমর্থন করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, তাকে কোনো চাপ দেওয়া হয়নি, তিনি স্বেচ্ছায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ৭ জানুয়ারি জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে ‘ভালো নির্বাচনের’ সাক্ষী হবে বিশ্ববাসী: ওবায়দুল কাদের
৭২৫ দিন আগে
৭ জানুয়ারি জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে ‘ভালো নির্বাচনের’ সাক্ষী হবে বিশ্ববাসী: ওবায়দুল কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) স্বাধীন ও কর্তৃত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারছে বলেই নির্বাচনী আচরণবিধি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে দলীয় সভাপতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যেখানেই নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করা হচ্ছে, সেখানেই নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নিচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ বা তাদের কর্তব্য পালনে বাধা দেওয়া হচ্ছে না। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে আছেন।
কাদের আরও বলেন, ‘বিশ্ববাসী ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে একটা ভালো নির্বাচন প্রত্যক্ষ করবে। যেখানে জনমত বিজয়ী হবে।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নয়, ড. ইউনূসকে সাজা দিয়েছেন আদালত: কাদের
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত তারা এখন আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে লিফলেট বিতরণ করছে। তারা ব্যর্থতা ও ভুলের চোরাবালিতে আটকে গেছে। এখান থেকে তারা বের হতে পারছে না। তাদের নেতিবাচক কর্মসূচি, নাশকতা, অবরোধ জনগণ অগ্রাহ্য করেছে। বিএনপি সহিংসতা করবে না বললেও সেটা সত্যি কথা কি না সেটা বলার সুযোগ নেই। কারণ তারা বলে একটা, করে আরেকটা। খবর পাচ্ছি তারা ভেতরে ভেতরে ষড়যন্ত্র করছে।’
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দ্বিমুখী ভূমিকার সমালোচনা করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ড. ইউনুসের মামলার রায় প্রসঙ্গে বাংলাদেশের মানবিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। কিন্তু ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েল যে হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে সে বিষয়ে কেন কথা বলছে না। তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একটা কথাও বলেনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়াসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা।
আরও পড়ুন: অপতৎপরতার জবাব দিতে দলে দলে ভোটকেন্দ্রে আসুন: কাদের
৭২৫ দিন আগে
বরিশালে নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণের সময় বিএনপির ৮ নেতা-কর্মী আটক
বরিশালে নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে বিএনপির লিফলেট বিতরণী কর্মসূচি থেকে দলের আটজন নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
এ সময় পুলিশের লাঠিচার্জে কেন্দ্রীয় নেতা আকন কুদ্দুসুর রহমানসহ ১০-১৫ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি দলীয় নেতাদের। এসময় বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হোসেন খানসহ ৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে লাঠিচার্জের বিষয়টি অস্বীকার করেছে পুলিশ।
বুধবার(৩ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় নগরীর অশ্বীনি কুমার হল চত্বরে এই ঘটনা ঘটে।
দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতউল্লাহ জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির আলোকে সদর রোডের দলীয় কার্যালয় থেকে নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে লিফলেট বিতরণের জন্য দলীয় নেতা-কর্মীরা জড়ো হয়। বিভিন্ন এলাকা থেকেও খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আসতে থাকে নেতা-কর্মীরা। এতে শুরু থেকেই নেতা-কর্মীদের বাধা দিচ্ছিল পুলিশ।
পরে নেতাদের সমন্বয়ে লিফলেট বিতরণের জন্য কার্যালয় থেকে বের হওয়ার সময় বাধা দেওয়ার পাশাপাশি লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ।
বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবুল কালাম শাহিন বলেন, নির্বিচার লাঠিচার্জের পাশাপাশি নেতা-কর্মীদের ধরে ধরে গাড়িতে তুলতে থাকে পুলিশ।
এ সময় কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমানসহ দলের ১৫ থেকে ২০ জন নেতা-কর্মী আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক এমপি আবুল হোসেন খানসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের বেপরোয়া লাঠিচার্জের মুখে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় নেতা-কর্মীরা।
আরও পড়ুন: ইউনূসের বিরুদ্ধে গণভবনের 'নির্দেশিত রায়ে' গোটা জাতি লজ্জিত: বিএনপি
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিচুর রহমান বলেন, কোনরকম পূর্বানুমতি ছাড়াই জড়ো হওয়া নেতা-কর্মীদের সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোনো সহিংস আচরণ করেনি পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছি আমরা। বিস্তারিত পরে জানাতে পারব।
৭২৬ দিন আগে
৭ জানুয়ারি নির্বাচন: কারণ দর্শানোর নোটিশের সংখ্যা প্রায় ৫০০
বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাত্র পাঁচ দিন আগে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে প্রার্থী বা তাদের প্রচারকর্মীদের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারির সংখ্যা ৫০০-এর কাছাকাছি পৌঁছেছে।
প্রার্থীদের মধ্যে এসব অভিযোগের মধ্যে মঙ্গলবার সবচেয়ে ভয়াবহ পরিণতির মুখোমুখি হয়েছেন লক্ষ্মীপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান পবন। বারবার নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন ও নির্বাচনী অপরাধের দায়ে তার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে।
ইসির এক কর্মকর্তা জানান, মঙ্গলবার পর্যন্ত আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে বিভিন্ন প্রার্থীকে মোট ৪৮০টি কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
কেউ কেউ স্পষ্টতই একই অপরাধ বারবার করছিলন এবং তদনুসারে একাধিক, কিছু ক্ষেত্রে কোড লঙ্ঘনের অভিযোগে একাধিক নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
৪৮০টি অভিযোগের সবগুলোই তারা নিজেরা তদন্ত করেছে বা শুরু করেছে। এর মধ্যে কমিশন ইতোমধ্যে ৩০৪টি ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন পেয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত ১০১ টিরও বেশি ঘটনার বিরুদ্ধে আরও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীর অধীনে নির্বাচন চেয়ে আপিল বিভাগে ইনসানিয়াতের মামলা
ইসির বিভাগভিত্তিক তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ ১১৯ জন, রাজশাহী বিভাগে ৭৪ জন, কুমিল্লায় ৬৮ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪৯ জন, খুলনা বিভাগে ৪০ জন, চট্টগ্রামে ৩৮ জন, রংপুরে ২৯ জন, বরিশালে ২৭ জন, ফরিদপুরে ২০ জন এবং সিলেট বিভাগে ১৬ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
বহিষ্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী পবন যুবলীগের প্রেসিডিয়ামের প্রভাবশালী সদস্য বলে জানা গেছে। তবুও তিনি প্রকাশ্যে জেলার ডেপুটি কমিশনার এবং পুলিশ এসপিসহ অন্যান্যদের গালিগালাজ করেছেন বলে জানা গেছে।
গত ৩০ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তাকে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ফোনকলটির উপর ভিত্তি করে তার পরিণতি নির্ধারণ করে ইসির জুরিবোর্ড। ফোনকলটি কেবলমাত্র অশ্রবণীয়, আপত্তিকর ও অশালীন বক্তব্য এবং হুমকি হিসেবে গ্রহণ করা হয়।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জ-৪: আ. লীগ প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
৭২৬ দিন আগে