রাজনীতি
প্রতীক পাওয়ার পরদিন মারা গেলেন নওগাঁ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নওগাঁ-২ (পত্নীতলা ও ধামইরহাট) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল হক মারা গেছেন।
আজ শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) ভোরে ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আমিনুল হকের ছেলে আছিফুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আমিনুল হক ২০০৬ সালে নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন। তিনি নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক। এছাড়া তিনি ১৯৮৬ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত পত্নীতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিকবার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
আরও পড়ুন: ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন মারা গেছেন
মৃত্যুকালে তিনি এক ছেলে রেখে গেছেন।
তার ছেলে আছিফুল হক বলেন, ‘আমিনুল হক মামলার শুনানিতে অংশ নিতে গত সোমবার থেকে ঢাকায় যান। ঢাকায় যাওয়ার পর থেকেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। মঙ্গলবার রাতে তাকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোর ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয়।’
তার বাবা ডায়াবেটিসজনিত সমস্যা, হৃদরোগসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছিলেন বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আজ বিকালে আমিনুল হকের মরদেহ গ্রামের বাড়ি নওগাঁর নজিপুরে পৌঁছাতে পারে। জানাজা শেষে সন্ধ্যায় পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।’
আরও পড়ুন: পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের স্ত্রী মারা গেছেন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নওগাঁ-২ আসন থেকে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করতে চেয়ে আমিনুল হক দলের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। দল থেকে মনোনয়ন না পেয়ে তিনি স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। কিন্তু রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশন তার মনোনয়নপত্রে বিভিন্ন অসঙ্গগতি তুলে ধরে তার প্রার্থীতা বাতিল করে দেয়।
পরবর্তীতে আমিনুল হক প্রার্থীতা ফিরে পাওয়ার জন্য হাইকোর্টে রিট করেন। রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট গত বুধবার তার বাবার প্রার্থীতা বৈধ বলে রায় দেন এবং বৃহস্পতিবার নওগাঁ জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর দিনই তার মৃত্যু হলো।
নওগাঁ-২ আসন আমিনুল হক ছাড়াও আরও তিনজন প্রার্থী রয়েছেন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকার, জাতীয় পার্টির প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা আখতারুল ইসলাম।
প্রার্থীর মৃত্যুর পর ওই আসনের নির্বাচন কার্যক্রম স্থগিত থাকবে কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. গোলাম মওলা বলেন, ‘আজ সকালে সাংবাদিকদের মাধ্যমে নওগাঁ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল হকের মৃত্যুর খবর শুনেছি। তফশিল ঘোষণার পর প্রার্থীর মৃত্যু ও নির্বাচন কার্যক্রম নিয়ে আইনে কি আছে তা দেখে সিদ্ধান্ত খুব দ্রুত জানানো হব।’
আরও পড়ুন: সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান মারা গেছেন
৭৩১ দিন আগে
রাজশাহী-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্পে ককটেল বিস্ফোরণ
রাজশাহী-৫ (দুর্গাপুর-পুঠিয়া) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ওবায়দুর রহমানের (ঈগল প্রতীক) নির্বাচনী ক্যাম্পে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে দুর্গাপুর পৌর সদরের সিংগা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এতে দুইজন আহত হয়েছেন। যাদের স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিবাদে স্বতন্ত্র প্রার্থী ওবায়দুর রহমানের সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পুলিশের কর্মকর্তারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঈগল প্রতীকের কর্মী-সমর্থকরা নির্বাচনী কার্যালয়ের ভেতরে ও বাইরের অবস্থান করছিলেন। এ সময় ৩ যুবক এসে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ওবায়দুর রহমানের নির্বাচনী কার্যালয়ে ককটেল নিক্ষেপ করে শিবপুরের দিকে দ্রুত পালিয়ে যায়। বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটলে ধোঁয়ায় অন্ধকার হয়েছে যায়। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে নৌকার সমর্থকদের হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর ৭ নেতা-কর্মী আহত
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আলামত সংগ্রহসহ আশেপাশের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করেছে।
দুর্গাপুর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছালিমুদ্দিন বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভোটারদের ভয়ভীতি দেখাতে একটি পক্ষ আমাদের প্রচার অফিসে বোমা নিক্ষেপ করেছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হবে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী ওবায়দুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, ‘নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার কথা বলা হলেও রাজশাহী-৫ আসনে তার কোনো সম্ভাবনা দেখছি না। আমার নেতা-কর্মীদের মারধর করা হচ্ছে, হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে। নির্বাচনী কার্যালয় ভাংচুর করা হচ্ছে। এসব বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করা হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এ রকম অবস্থা চলতে থাকলে নির্বাচনের সুষ্ঠ পরিবেশ নিশ্চিত হবে না।’
বিষয়টি নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিত ভবে জানানো হবে বলেও জানান ওবায়দুর রহমান।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচনী কার্যালয়ে একটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়েছে। এতে দুইজন সামন্য আহত হয়েছে বলে শুনেছি। তবে তাদের ঘটনাস্থলে পায়নি।’
ওসি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ককটেলের আলামত জব্দ করা হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: রাজশাহী-৫ আসনের আ. লীগ প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
রাজশাহী-৪ আসন: নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ৩ কর্মীকে মারধরের অভিযোগ
৭৩১ দিন আগে
সিলেট-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী অবশেষে প্রতীক পেলেন
উচ্চ আদালতের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে অবশেষে প্রতীক পেয়েছেন সিলেট-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহিবুর রহমান মুহিব।
তার পছন্দের প্রতীক ছিল ‘ট্রাক’। নির্বাচন কমিশনে (ইসি) মুহিব এই প্রতীকই চেয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে সেটি তাকে বরাদ্দ দিয়েছে ইসি।
মুহিবকে প্রতীক বরাদ্দের বিষয়টি নিশ্চিত করেছন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সার্বিক সমন্বয়ক ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইমরুল হাসান।
এর আগে মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ না করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় ৪ ডিসেম্বর মুহিবুরের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এরপর তিনি নির্বাচন কমিশনে আপিল করলে ১৫ ডিসেম্বর তার আপিল নামঞ্জুর করা হয়। প্রার্থিতা ফিরে পেতে ১৭ ডিসেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন তিনি।
পরে ২৪ ডিসেম্বর বিচারপতি ইকবাল কবির ও বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের আদেশে প্রার্থিতা ফিরে পান মুহিবুর রহমান। তবে মনোনয়নপত্র বৈধ হলেও তাকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: সিলেটে প্রতীকের দাবিতে ডিসি অফিসের সামনে স্বতন্ত্রপ্রার্থী মুহিবের অবস্থান
এর আগে প্রার্থীতা ফিরে পেয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রচারণা শুরু করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহিব। তিনি ‘ট্রাক’ প্রতীকের পোস্টার ও ব্যানার ছাপিয়ে সেগুলো বিভিন্ন স্থানে টানিয়ে শুরু করেন প্রচারণা।
এজন্য মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মুহিবকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন বিশ্বনাথ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সম্রাট হোসেন। তিনি নিজে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার দাবিতে সমর্থকদের নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন মুহিবুর রহমান। এরপর রাতে তাকে প্রতীক বরাদ্ধ দেওয়া হয়।
সিলেট-২ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী শফিকুর রহমান চৌধুরী, গণফোরামের প্রার্থী ও বর্তমান এমপি মোকাব্বির খান, জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইয়াহইয়া চৌধুরী, তৃণমূল বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ আব্দুর রব, বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী মো. জহির, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রার্থী মো. মনোয়ার হোসাইন ও মুহিবুর রহমান।
আরও পড়ুন: সিলেটের সব আসনেই জয়ী হবে আওয়ামী লীগ: মোমেন
সিলেটে শেখ হাসিনার নির্বাচনী প্রচারণার শুরুতে লাখো মানুষের ঢল
৭৩১ দিন আগে
নড়াইল-২ আসনে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন আ. লীগ নেতা লিটু
দীর্ঘ ২৪ দিন দৌড়ঝাঁপের পর হাইকোর্টের আদেশে প্রার্থিতা ফেরত পেলেন নড়াইল-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটু।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. ইকবাল কবির ও বিশ্বজিৎ দেবনাথের দ্বৈত বেঞ্চ সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটুর মনোনয়ন গ্রহণ এবং প্রতীক বরাদ্দের আদেশ দেন।
গত ৪ ডিসেম্বর নড়াইলের রিটার্নিং কর্মকর্তা মনোনয়ন যাচাই-বাছাইকালে এক শতাংশ ভোটারের সইসহ কয়েকটি জটিলতায় লিটুর প্রার্থিতা বাতিল করেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ ডিসেম্বর অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. নূর ইসলাম প্রার্থিতা ফিরে পান।
নড়াইল-২ আসন থেকে মোট ৮ জন প্রার্থী নির্বাচনী লড়াইয়ে নামেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন: নড়াইলে মাশরাফীসহ ৩ প্রার্থীকে জরিমানা
প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান এমপি মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা, ওয়ার্কার্স পার্টির শেখ হাফিজুর রহমান, জাতীয় পার্টির ফায়েকুজ্জামান ফিরোজ, ইসলামী ঐক্যজোটের মাহাবুবুর রহমান, এনপিপির মনিরুল ইসলাম, গণফ্রন্টের মো. লতিফুর রহমান, স্বতন্ত্র মো. নূর ইসলাম ও সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটু।
প্রসঙ্গত, লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটু ২০১৪ সালে লোহাগড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনে পরাজিত হন।
এ বিষয়ে ফয়জুল আমীরের প্রতিক্রিয়া জানতে তাকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটুর প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, তাকে ট্রাক প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনা-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আকরাম হোসেনের গুলি করার হুমকি!
রাজশাহীতে নৌকার সমর্থকদের হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর ৭ নেতা-কর্মী আহত
৭৩১ দিন আগে
স্থানীয় ২০৭৭৩ পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে: ইসি
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারাদেশে ২০ হাজার ৭৭৩ জন স্থানীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষকের অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এর মধ্যে কেন্দ্রীয়ভাবে ৫১৭ জন এবং মাঠ পর্যায়ে ২০ হাজার ২৫৬ জন পর্যবেক্ষক অনুমোদন পেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) ইসির পরিচালক (জনসংযোগ) শরিফুল আলম এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী ইসি এ অনুমোদন দিয়েছে।
শরিফুল আলম বলেন, কেন্দ্রীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা ইসি সচিবালয় থেকে তাদের পরিচয়পত্র ও গাড়ির স্টিকার সংগ্রহ করতে পারবেন এবং অন্যদের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে কার্ড ও স্টিকার সংগ্রহ করতে হবে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে এবং তারা নির্দেশনা অনুসরণ করে যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কার্ড ও স্টিকার সরবরাহ করবেন বলে জানান ইসির জনসংযোগ কর্মকর্তা।
অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানের একজন নির্বাচন পর্যবেক্ষককে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার সত্যায়িত কপি, একটি পাসপোর্ট সাইজ ও আরেকটি স্ট্যাম্প সাইজের ছবি এবং একটি আবেদনপত্র রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দিতে হবে।
যাচাই-বাছাই শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা গাইডলাইন অনুযায়ী বৈধ পর্যবেক্ষকদের তালিকা তৈরি করে পরিচয়পত্র ও স্টিকার সরবরাহ করবেন।
আরও পড়ুন: ভোটারদের হুমকি-ধমকি দিলে শাস্তির বিধান করা হয়েছে: ইসি রাশেদা সুলতানা
শরিফুল বলেন, কাউকে তা অন্যের কাছে হস্তান্তর করতে দেওয়া হবে না এবং কোনো পর্যবেক্ষক যদি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকেন বা স্থানীয় নির্বাচনী এজেন্ট বা প্রচার কমিটির পোলিং এজেন্ট হিসেবে নিয়োগ পান, তাহলে তাকে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে কোনো কার্ড ইস্যু করা যাবে না।
অনুমোদিত পর্যবেক্ষক ব্যতীত অন্য কেউ 'নির্বাচন কমিশন পর্যবেক্ষক' লেখা স্টিকারযুক্ত গাড়িতে ভ্রমণ করতে পারবেন না।
মোটরবাইকের জন্য কোনো স্টিকার দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে ৭ জানুয়ারি সাধারণ ছুটি ঘোষণা সরকারের
৭৩১ দিন আগে
সিলেটে প্রতীকের দাবিতে ডিসি অফিসের সামনে স্বতন্ত্রপ্রার্থী মুহিবের অবস্থান
হাইকোর্টের রায় মেনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে প্রতীক বরাদ্দের দাবিতে সিলেটের জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে শতাধিক কর্মী-সমর্থক নিয়ে অবস্থান নিয়েছেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মুহিবুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে তিনি সেখানে অবস্থান নেন।
অবস্থানকালে মুহিবুর রহমানের কর্মী-সমর্থকরা প্রতীক বরাদ্দের দাবি সম্বলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান দেন।
এসময় স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ও বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমান অভিযোগ করেন, চার দিন আগে (২৪ ডিসেম্বর) হাইকোর্ট তার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করার পরও ষড়যন্ত্র করে তাকে নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে না।
এর আগে মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ না করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় ৪ ডিসেম্বর মুহিবুরের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
এরপর তিনি ইসিতে আপিল করলে ১৫ ডিসেম্বর তার আপিল নামঞ্জুর করা হয়। প্রার্থিতা ফিরে পেতে ১৭ ডিসেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন তিনি।
আরও পড়ুন: খুলনা-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আকরাম হোসেনের গুলি করার হুমকি!
পরে ২৪ ডিসেম্বর বিচারপতি ইকবাল কবির ও বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের আদেশে প্রার্থিতা ফিরে পান মুহিবুর রহমান।
এর আগে প্রার্থিতা ফিরে পেয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রচার শুরু করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহিব। তিনি ‘ট্রাক’ প্রতীকের পোস্টার ও ব্যানার ছাপিয়ে সেগুলো বিভিন্ন স্থানে টানিয়ে শুরু করেন প্রচার। এজন্য গত মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টায় ভ্রাম্যমাণ আদালত মুহিবকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন বিশ্বনাথ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সম্রাট হোসেন।
সিলেট-২ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী শফিকুর রহমান চৌধুরী, গণফোরামের প্রার্থী ও বর্তমান এমপি মোকাব্বির খান, জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী ইয়াহইয়া চৌধুরী, তৃণমূল বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ আব্দুর রব, বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী মো. জহির, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রার্থী মো. মনোয়ার হোসাইন ও মুহিবুর রহমান।
আরও পড়ুন: নাটোর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর
রাজশাহীতে নৌকার সমর্থকদের হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর ৭ নেতা-কর্মী আহত
৭৩১ দিন আগে
জানুয়ারির নির্বাচনকে উৎসবমুখর ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করে তুলুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উৎসবমুখর ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করতে কাজ করার জন্য আওয়ামী লীগ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, 'যেহেতু এবারের নির্বাচন নিয়ে দেশি-বিদেশি নানা ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে, তাই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন করতে হবে।’
বৃস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে শেরপুর, জামালপুর, কিশোরগঞ্জ, চাঁদপুর, নরসিংদী ও বান্দরবান জেলায় নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বিরোধী দল বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল এবং জামায়াতকে যুদ্ধাপরাধীদের দল হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
কারচুপির আশঙ্কায় বিএনপি ও জামায়াত উভয়েই ৭ জানুয়ারির ভোট বর্জন করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ও জামায়াতের অংশগ্রহণ ছাড়া নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না বলে তিনি বিশ্বাস করেন না।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জনগণ ও ভোটাররা নির্বাচনে অংশ নিলে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে।’
তিনি বলেন, সন্ত্রাসী দল বিএনপি নির্বাচনে বিশ্বাস করে না এবং দেশের কল্যাণে তারা কিছুই করতে পারে না।
তিনি বলেন, 'তারা (বিএনপি) মানুষ হত্যা ও দুর্নীতি ছাড়া আর কিছুই দিতে পারে না।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, এবারের নির্বাচন (বিশেষ করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের জন্য) উন্মুক্ত করা হয়েছে, যাতে নৌকা প্রতীক ও অন্যান্য প্রতীকের প্রার্থীরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন।
তিনি বলেন, 'এখানে আমি আপনাদের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে এবং নিজ নিজ প্রতীকে সমানভাবে ভোট চাওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবে।’
আরও পড়ুন: এখন ব্যবস্থা না নেওয়া গেলেও নির্বাচনের পর কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: কাদের
গত বুধবার আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার-২০২৪ ঘোষণার কথা উল্লেখ করে তিনি ইশতেহারে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা জনগণের সামনে তুলে ধরে দলের সদস্যদের ইশতেহার পাঠ করে নৌকা প্রতীকে ভোট চাওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, এই নির্বাচন নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র চলছে। বিএনপির কাজ শুধু আগুন দেওয়া এবং নির্বাচন বানচাল করা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত একটি নির্বাচিত, গণতান্ত্রিক সরকার পরপর ক্ষমতায় থাকার পর থেকে বাংলাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু বিগত সরকার দেশকে এক ধাপও এগিয়ে নিতে পারেনি, বরং দেশকে পেছনে নিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ যে অগ্রগতি অর্জন করেছে তা আজ আমাদের অব্যাহত রাখতে হবে। শুধু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই তারা অগ্রগতির এই গতি ধরে রাখতে পারবে।’
আরও পড়ুন: ভোট না দিয়ে পাস করার সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী বিএনপি-জামায়াত: আনিসুল হক
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকায় ভোট চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দরিদ্রসহ এ দেশের সব মানুষের মুক্তি আসবে এবং এ দেশ উন্নত ও সমৃদ্ধ হবে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি তার দলের সদস্যদের নৌকা প্রতীকে ভোট চাইতে ঘরে ঘরে গিয়ে প্রচার চালানোর আহ্বান জানান, যাতে তারা আবারও তাদের সেবা করার সুযোগ দিতে পারেন।
শেরপুর শহীদ দারোগা আলী পৌর পার্ক, জামালপুর জিলা স্কুল মাঠ, কিশোরগঞ্জ পুরাতন স্টেডিয়াম, নরসিংদী ক্লাব মাঠ, বান্দরবান রাজার মাঠ ও চাঁদপুর হাসান আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে একযোগে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ছয়টি জেলা থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা তার দলের প্রার্থীদের জনগণের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন এবং তাদের জন্য ভোট প্রার্থনা করেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনবিরোধী অপতৎপরতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে ইসি: প্রত্যাশা তথ্যমন্ত্রীর
৭৩১ দিন আগে
নির্বাচনবিরোধী অপতৎপরতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে ইসি: প্রত্যাশা তথ্যমন্ত্রীর
নির্বাচনবিরোধী অপতৎপরতা নজরে এনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ব্যবস্থা নেবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপি-জামায়াতের গণতন্ত্র ও নির্বাচনবিরোধী অপপ্রচার, অবরোধ-অগ্নিসন্ত্রাসের প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে এই মানববন্ধনের আয়োজান করে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ।
হাছান মাহমুদ বলেন, 'নির্বাচনবিরোধী যেকোনো কর্মকাণ্ড, নির্বাচনে বাধা সৃষ্টি করতে পারে এমন যেকোনো কর্মকাণ্ড বন্ধ করার জন্য নির্বাচন কমিশন ঘোষণা দিয়েছে। আমি নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানাব, নির্বাচন বর্জন করার জন্য এবং নির্বাচনের বিরুদ্ধে যে লিফলেট বিতরণ ও মাঝেমধ্যে চোরাগোপ্তা যে মিছিল করা হয়, এগুলো নজরে এনে কমিশন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
আরও পড়ুন: তিন কাঠা জমি থাকলেই কোটিপতি: তথ্যমন্ত্রী
নির্বাচন কমিশনের ঘোষণাটি বাস্তবায়নে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'কমিশন সারা দেশের বেশিরভাগ থানা পুলিশের ওসি বদলি করেছে, ইউএনও বদলি করেছে, ডিসি বদলি করেছে। অনেক প্রার্থীকে তারা কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এগুলোর মাধ্যমে তাদের সক্ষমতা এবং একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে তাদের দৃঢ়তা প্রকাশ করতে সক্ষম হয়েছে।’
হাছান বলেন, 'বিএনপি নির্বাচন বর্জন করার যে আহ্বান জানাচ্ছে সে দিকে কারো কোনো সাড়া নেই। এখন তারা কী করে! লিফলেট বিতরণ করে। বিএনপি আগুনসন্ত্রাস চালিয়ে মানুষকে ভীতসন্ত্রস্ত করতে চেয়েছিল, পারেনি। তাদের এই আগুনসন্ত্রাসের কারণে নির্বাচনের প্রচার ও আমেজেও কোনো ছেদ পড়েনি। মানুষ পুরোপুরিভাবে আজকে নির্বাচনমুখী।'
আরও পড়ুন: এখন ব্যবস্থা না নেওয়া গেলেও নির্বাচনের পর কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: কাদের
তিনি বলেন, 'বিএনপি যাদের দুয়ারে দুয়ারে নির্বাচন বর্জন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচনকালীন সরকার এ সমস্ত কথা বলে ধর্ণা দিত, তাদের দুয়ার বিএনপির জন্য বন্ধ হয়ে গেছে।’
হাছান বলেন, 'বিএনপির অনেক সমর্থক আজকে নির্বাচনী প্রচারের সঙ্গেও যুক্ত হয়েছে। বিএনপির অনেক নেতা নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। তৃণমূল বিএনপির মাধ্যমে, তারপর অন্য দলের মাধ্যমে বিএনপির বহু নেতা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।’
তথ্যমন্ত্রী হাছান বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ওআইসি ও সার্কভুক্ত দেশগুলো ও বিভিন্ন সংস্থা পর্যবেক্ষক পাঠিয়েছে, পাঠাচ্ছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, সহসভাপতি ডা. দিলীপ রায়, আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পিয়ারুল ইসলাম, বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের সভাপতি জিন্নাত আলী খান, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন টয়েল, ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি এইচ এম মেহেদী হাসান, প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা আল মামুন সরকার প্রমুখ মানববন্ধনে বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: ভোট না দিয়ে পাস করার সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী বিএনপি-জামায়াত: আনিসুল হক
৭৩১ দিন আগে
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে ৭ জানুয়ারি সাধারণ ছুটি ঘোষণা সরকারের
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামী ৭ জানুয়ারি সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সোনিয়া হাসানের সই করা একটি গ্যাজেট প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারী এবং সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুবিধার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন (ইসি) ৭ জানুয়ারি সাধারণ ছুটি ঘোষণা করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করে।
গত ১৫ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ঘোষণা করেন, আগামী ৭ জানুয়ারি দেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সংবিধান অনুযায়ী, বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারি।
আরও পড়ুন: ৪ জানুয়ারি নির্বাচন নিয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফ করবে ইসি
৭ জানুয়ারি সাধারণ ছুটি ঘোষণা করতে চিঠি দিয়েছে ইসি
৭৩১ দিন আগে
ভোট না দিয়ে পাস করার সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী বিএনপি-জামায়াত: আনিসুল হক
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপি ও জামায়াত ভোট না দিয়ে পাস করার সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করে বলেই জনগণকে ভোট দেওয়া থেকে বিরত রাখার চেষ্টা্ করছে।
তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী দেশের মানুষ সব ক্ষমতার উৎস। গণতান্ত্রিক ধারায় ভোটাধিকারের মাধ্যমে তারা তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করবেন। অথচ একটি কুচক্রি মহল নির্বাচন বর্জন করে জনগণকে ভোট কেন্দ্রে যাওয়া থেকে বিরত রাখতে চেষ্টা করছে। বিএনপি তাদের সময়ে নির্বাচন করত ভোটারবিহীন ভোটে। বিএনপি-জামায়াত ভোট না দিয়ে পাস করার সংস্কৃতি বিশ্বাস করে বলেই জনগণকে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার চাঁনপুর খেলার মাঠে তার নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি দেশের মানুষ ভোট কেন্দ্রে গিয়ে সারা বিশ্বকে দেখিয়ে দেবে তারা দেশকে কত ভালোবাসে। পরে তিনি সবার কাছে নৌকা প্রতীকে ভোট চান।
এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজলসহ দলীয় নেতা-কর্মী ও বিপুল সংখ্যক স্থানীয় গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন।
৭৩১ দিন আগে