রাজনীতি
অর্থমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রচারে প্রিসাইডিং অফিসার, কারণ দর্শানোর নোটিশ
কুমিল্লা-১০ (সদর দক্ষিণ, লালমাই ও নাঙ্গলকোট) আসনের প্রার্থী অর্থমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়ায় প্রিসাইডিং অফিসার লালমাই উপজেলার অধ্যক্ষ আবুল কালাম মজুমদার মহিলা কলেজের প্রভাষক মো. আব্দুল হালিমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি চেয়ারম্যান, সিনিয়র সহকারী জজ রাজীব কুমার দেব শোকজ করেন।
আরও পড়ুন: শতভাগ নিশ্চিত করতে পারি, আগের রাতে ভোট হবে না: সিইসি
নোটিশে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে প্রকাশিত, সামাজিক মাধ্যম , লালমাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের মোবাইল ফোন মারফত তথ্য অনুযায়ী আপনি নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আ হ ম মুস্তফা কামালের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা করেছেন।
গত ২৫ ডিসেম্বর উক্ত আসনের লালমাই উপজেলার ভুলইন উত্তর ইউনিয়নের হাজতখোলা বাজারে অর্থমন্ত্রীর মেয়ে ও ছোট ভাই গোলাম সারওয়ারের সঙ্গে নৌকার পক্ষে ভোট চেয়ে গণসংযোগ করেন। প্রচারকালে আপনার হাতে নৌকার লিফলেট ছিল। আপনি প্রার্থীর কন্যাকে কয়েকজন প্রবীণ ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে মন্তব্য করেছেন ‘ওরা আমাদের দলের লোক।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম ১৬: আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিরুদ্ধে ইসির মামলা
এতে আরও বলা হয়, আপনি প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করে নৌকার পক্ষে ভোট চেয়ে গণসংযোগ করেছেন। আপনার অনুরূপ কার্যকলাপ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশের পরিপন্থী।
এতে আপনি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ স্পষ্ট লঙ্ঘন করেছেন মর্মে প্রতীয়মান হয়। এমতাবস্থায় আপনার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কেন নির্বাচন কমিশন বরাবরে সুপারিশসহ প্রতিবেদন প্রেরণ করা হবে না সেই মর্মে আগামী ২৯ ডিসেম্বর বিকালে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি, কুমিল্লা-১০ এর অস্থায়ী কার্যালয় সহকারী জজ আদালতে (বরুড়া) কুমিল্লায় স্বয়ং হাজির হয়ে কারণ দর্শানোর জন্য আপনাকে নির্দেশ প্রদান করা হলো।
অভিযুক্ত কলেজ শিক্ষক মো. আব্দুল হালিম এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।আরও পড়ুন: একটি ভোটও জাল হলে সেই কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করা হবে: ইসি আহসান হাবিব
৭৩২ দিন আগে
রাজশাহীতে নৌকার সমর্থকদের হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর ৭ নেতা-কর্মী আহত
রাজশাহীর বাগমারায় নৌকার সমর্থকদের হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর অন্তত সাতজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। বুধবার(২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে বাগমারার শ্রীপুর ইউনিয়নের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এই হামলা চালানো হয়।
রাজশাহী-৪ আসনের (বাগমারা) স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুল হকের (কাঁচি প্রতীক) নেতা-কর্মীদের ওপর নৌকার প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের সমর্থকরা এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার বিকালে নৌকার সমর্থকরা স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুল হকের তিন সমর্থকের ওপর হামলা করে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুর-৩ আসন: হামলায় আ. লীগ প্রার্থীর ২ সমর্থক আহত
বুধবার দুপুরে হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন এমপি এনামুল হকের সাবেক পিএস জিল্লুর রহমান (৪২)। অন্য আহতরা হলেন- শ্রীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বজলুর রহমান (৩৮) ও আওয়ামী লীগের কর্মী আলমগীর হোসেন। আহতদের মধ্যে তিনজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি ৪ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
জিল্লুর রহমান জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে শ্রীপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুল হকের কোনো পোস্টার লাগাতে দেওয়া হয়নি।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ওই ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক বজলুর রহমানসহ ১০ থেকে ১২ জন নেতাকর্মী শ্রীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পোস্টার বিতরণ ও লাগানোর সময় হামলার শিকার হন।আরও পড়ুন: রংপুরে নৌকা সমর্থকদের হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর ১০ জন সমর্থক আহত
এসময় তাদের দুটি মোবাইল ও এক কর্মীর একটি মোবাইল হামলাকারী ছিনিয়ে নেয়।
তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে বাগমারা থানা মাত্র ৫ মিনিট দূরত্বের হলেও পুলিশ খবর পেয়েও সেখানে ঘটনার এক ঘণ্টা পর পুলিশ যায়। স্থানীয়রা গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করেন। কালামের সমর্থকদের মারধরে তার ডান পায়ে প্রচণ্ড আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন।
এর আগে মঙ্গলবার বিকালে স্বতন্ত্র প্রার্থীর তিন সমর্থকের ওপর হামলা চালায় নৌকার সমর্থকরা। আহতদের উদ্ধার করে বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
বাগমারা থানার থানার তদন্ত ওসি সোহেব খান হামলার ঘটনাটি নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানিয়েছেন, নৌকার প্রার্থীর লোকজন বেশ কয়েকজনকে মারধর করে আহত করেছে।
এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ফরিদপুর-৩: ঈগল প্রতীকের নির্বাচনী অফিসে নৌকার কর্মীদের হামলা, আহত ৫
৭৩২ দিন আগে
তিন কাঠা জমি থাকলেই কোটিপতি: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ঢাকা শহরে এক কোটি টাকার নিচে কোথাও জমি নেই, চট্টগ্রামেও নেই। ‘কারো তিন কাঠা জমি থাকলেই তো সে কোটিপতি। এখন সবাই কোটিপতি।’
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।
মঙ্গলবার ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল একটি বক্তব্যে বলেছে, আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের ১৮ জনের ১০০ কোটি টাকার বেশি আছে। এছাড়াও ৭৭ শতাংশ কোটিপতি রয়েছেন।
টিআইবির ওই প্রতিবেদন সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, গবেষণা করে তারা পদ্মা সেতুর দুর্নীতি নিয়ে বলেছিল। তাদের অনেক বড় গলা ছিল। তারা প্রচুর সংবাদ সম্মেলন করেছে। পরে দেখা গেল, পদ্মা সেতুতে তো দুর্নীতি হয়নি এবং দুর্নীতির কোনো সুযোগও সৃষ্টি হয়নি।
আরও পড়ুন: সাইকেল শোভাযাত্রা করে নির্বাচনী প্রচার শুরু করলেন তথ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ের নানা গবেষণায় দেখা যায়, সেগুলো আসলে গবেষণা না, কতগুলো প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে সেই প্রতিবেদন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রকাশ করা হয়।’
হাছান মাহমুদ বলেন, তাদের প্রতিবেদনে ৭৭ শতাংশ কোটিপতির কথা বলা হয়েছে, দেশে এক কাঠা জমির দাম গ্রামেও ২০ লাখ টাকা। পাঁচ কাঠা জমির দাম এক কোটি টাকা। ঢাকা শহরে এক কোটি টাকার নিচে কোথাও জমি নেই, চট্টগ্রামেও নেই। কারো তিন কাঠা জমি থাকলেই তো সে কোটিপতি। এখন সবাই কোটিপতি। কাজেই এই হিসাব দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার কোনো সুযোগ নেই। এই হিসাব উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
দ্রব্যমূল্য নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, গত ১৫ বছরে সরকার পরিচালনার সময় দ্রব্যমূল্য সবসময় মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে ছিল। কোনো কোনো সময় কোনো কোনো পণ্যের মূল্য বেড়েছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতাও বেড়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে নিতেই সিপিডির অসত্য তথ্যনির্ভর সংবাদ সম্মেলন: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আজ থেকে ১৫ বছর আগে একজন দিনমজুর সারাদিন পরিশ্রম করে যে টাকা পেতেন, সেই টাকা দিয়ে চার-পাঁচ কেজি চাল কিনতে পারতেন। এখন একজন দিনমজুর সারাদিন কাজ করে যে চাল কিনতে পারেন, সেটা ১২ থেকে পনেরো কেজি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘তেতাল্লিশে কলকতা, বাংলায় যখন দুর্ভিক্ষ হয়, তখন ছয় টাকায় চল্লিশ কেজি চাল পাওয়া যেত। কিন্তু সেই চাল কিনতে না পেরে মানুষ মারা গেছেন। তখন তো দ্রব্যমূল্য অনেক কম ছিল। মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে কি না। আমাদের দেশে যত না মূল্য বেড়েছে, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা তার চেয়ে বেশি বেড়েছে।’
তবে মাঝে মাঝে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে কৃত্রিমভাবে পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে দেয় বলে মনে করেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, এটা হলো মুনাফালোভীদের কারসাজি। আমরা সেটিকে নিয়ন্ত্রণের কথা বলেছি। আবার সরকার গঠন করতে পারলে এই মুনাফালোভী ও অসাধু চক্রের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের কিছু ভোগ্যপণ্য আছে, যেগুলো আমদানি নির্ভর। আমরা এগুলোর উৎপাদন বাড়াতে চাই। একইসঙ্গে এগুলোর সংরক্ষণ ব্যবস্থা উন্নত করতে চাই।
ভোগ্যপণ্যের উৎপাদন বাড়িয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেন তিনি।
আরও পড়ুন: সিপিডি কোনো গবেষণা করেনি, তাদের রিপোর্ট নির্জলা মিথ্যাচার: তথ্যমন্ত্রী
৭৩২ দিন আগে
ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে নিতে সরকারের 'মরিয়া' চেষ্টায় সাড়া মিলছে না: রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যেতে সরকার ‘মরিয়া’ হয়ে উঠলেও জনগণের কাছ থেকে কোনো সাড়া পাচ্ছে না।
রাজধানীর শান্তিনগর এলাকায় লিফলেট বিতরণের সময় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, 'ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে দেখে লোকজন দ্রুত পালিয়ে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘দেশে অবৈধ সরকার ও অধস্তন নির্বাচন কমিশন যে ডামি ও প্রহসনের নির্বাচন আয়োজন করছে তাতে জনগণ সাড়া দিচ্ছে না। জনগণকে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ক্ষমতাসীন দল। তারা ঘরে ঘরে গিয়ে নানা ধরনের হুমকি-ধমকি দিচ্ছে।’
তিন দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে রিজভী বিএনপির কয়েকজন নেতা-কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে পথচারীদের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করে ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, সরকার জনগণকে একতরফা নির্বাচনে অংশ নিতে বাধ্য করে পুরো দেশকে নরকে পরিণত করার চেষ্টা করছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আসন্ন নির্বাচন নিয়ে দেশের কোথাও ভোটারদের মধ্যে কোনো উৎসাহ-উদ্দীপনা নেই।
তিনি বলেন, 'কোনো এলাকায় আপনারা জনগণের মধ্যে ভোট নিয়ে কোনো আলোচনা করতে দেখতে পাবেন না। তারা (আওয়ামী লীগ নেতারা) যখন কোনো এলাকায় নৌকার পক্ষে নির্বাচনী প্রচার চালায়, তখন মানুষ দ্রুত সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করে। সাধারণ মানুষ বলছে এটা ভোট নয়, এটা ৩০০ আসন বণ্টনের নাটক।’
রিজভী বলেন, সরকার ৭ জানুয়ারি ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধ্য করার জন্য বিভিন্ন হুমকি দিয়ে সারাদেশের জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারকে বলতে চাই, সন্ত্রাসীদের মতো হুমকি দেওয়ার কোনো মানে নেই, কারণ মানুষ ডামি নির্বাচনে ভোট দিতে যাবে না।’
রিজভী ছাড়াও বিএনপির আরও অনেক নেতা ও বিভিন্ন বিরোধী দলের নেতারা নির্বাচন বর্জন ও আওয়ামী লীগ সরকারকে সহযোগিতা না করার আহ্বানে জনসমর্থন আদায়ে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেন।
৭৩২ দিন আগে
আওয়ামী লীগের অবৈধ ক্ষমতা বাড়াতে ডামি নির্বাচনে অংশ নেবেন না: বিএনপি
আওয়ামী লীগ সরকারের অবৈধ ক্ষমতার মেয়াদ বাড়ানোর লক্ষ্যে ‘একতরফা ও ডামি নির্বাচনে’ অংশ না নিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা নজরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, 'আমরা জনগণকে ডামি নির্বাচনের খেলা প্রতিহত ও বর্জন করার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা আপনাদের বলছি, ভোট দিতে ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। আপনাদের ভোট কোনো পরিবর্তন আনবে না।’
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে জনগণের ভোটাধিকার ও প্রতিনিধি নির্বাচনের অধিকার কেড়ে নিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তারা আবারও আমাদের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচন করার অধিকার থেকে আমাদের বঞ্চিত করার চেষ্টা করছে। এই একতরফা নির্বাচনের নামে মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বাড়ানোই এই সরকারের কৌশল।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, সরকার নির্বাচনের নামে খেলা করে দেশ ও জনগণের প্রতি অবিচার করছে।
তিনি বলেন, 'আপনারা (জনগণ) এই সরকারকে সহযোগিতা করবেন না। তারা (সরকার) যা করতে পারে তা করতে দিন, কিন্তু আপনারা তার অংশীদার হবেন না। আপনারা যদি ডাকাতি রোধ করতে না পারেন তবে কমপক্ষে ডাকাতির সঙ্গে যুক্ত হবেন না এবং ডাকাতিতে সহযোগিতা করবেন না। আপনাদের কাছে এটাই আমাদের অনুরোধ। যে অন্যায় করে তাকে সাহায্য করাও ভুল। এজন্য আমরা আপনাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, আপনারা যেন শাসক গোষ্ঠীর অন্যায়ের অংশ না হন ‘
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনে বিএনপির আহ্বানে সমর্থন জানিয়ে বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
কর্মসূচি শেষে নির্বাচন বর্জন ও দুপুরের সহযোগিতা আন্দোলনের পক্ষে জনসমর্থন আদায়ে বিএনপির তিন দিনব্যাপী গণসংযোগ কর্মসূচির অংশ হিসেবে পথচারীদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেন নজরুল।
তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া কোটিপতি প্রার্থীদের অর্থের উৎস এবং তাদের আকস্মিক উত্থানের কারণ জানতে চান।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের অধিকাংশই কোটিপতি। তিনি বলেন, 'বাংলাদেশে এত কোটিপতি কোথা থেকে আসে?’
তিনি অভিযোগ করেন, গত ১৫ বছরে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট পাট হয়েছে। ‘সরকার জানে কারা এর পেছনে আছে, কিন্তু ক্ষমতাসীন দলের সদস্য হওয়ায় তাদের গ্রেপ্তার করবে না।’
৭৩২ দিন আগে
৭ জানুয়ারি ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার আহ্বান মাশরাফির
নড়াইল-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাশরাফি বিন মুর্তজা ভোটারদের আগামী ৭ জানুয়ারি ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) নড়াইল সদর উপজেলার শাহবাদ ও মুলিয়া ইউনিয়নে পথসভায় তিনি এই আহ্বান জানান।
এসময় নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত মাশরাফিকে স্থানীয়রা ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানায়।
আরও পড়ুন: আ. লীগের সফল পররাষ্ট্রনীতির কারণে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শক্তিশালী অবস্থানে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, নড়াইলেও উন্নয়ন হচ্ছে। ভবিষ্যতে বাকি উন্নয়নমূলক কাজগুলো করা হবে।
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আলমগীর হোসেন, শাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. জিয়া, আওরিয়া ইউনিয়নের সভাপতি এস এম পলাশসহ আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সংখ্যালঘুদের জন্য আরও সুরক্ষা-সহিষ্ণুতার অঙ্গীকার আওয়ামী লীগের
৭৩২ দিন আগে
সংখ্যালঘুদের জন্য আরও সুরক্ষা-সহিষ্ণুতার অঙ্গীকার আওয়ামী লীগের
জাতিকে স্মার্ট, কুসংস্কারমুক্ত ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ করার প্রত্যয় নিয়ে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ।
'স্মার্ট বাংলাদেশ: দৃশ্যমান উন্নয়ন, বর্ধিত কর্মসংস্থান' স্লোগান নিয়ে বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক হোটেল সোনারগাঁওয়ে এ ইশতেহার ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
ইশতেহারে জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য নানা পরিকল্পনা গ্রহণ এবং প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। দল ক্ষমতায় ফিরে এলে এসব সম্প্রদায়ের জন্য কী পদক্ষেপ নেবে তার পরিকল্পনা রয়েছে এতে।
ইশতেহারে শুধু আগামী পাঁচ বছরের কথাই বলা হয়নি, ২০৪১ সালের মধ্যে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার রূপকল্পও তুলে ধরা হয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি এ রূপকল্পতে বলা হয়েছে, জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জীবন, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও আকাঙ্ক্ষা বাংলাদেশের উন্নয়নের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িত। ইশতেহারে এই বর্ধিত সময়ের মধ্যে এসব সম্প্রদায়ের জন্য সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপসহ একটি স্পষ্ট রূপরেখা দেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ নির্মূল করা হবে। তাদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে অগ্রাধিকারমূলক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ৪৫টি জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৩০ লাখেরও বেশি মানুষ বসবাস করে। তাদের জীবন, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও ইতিহাস বাংলাদেশের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের সংবিধানে জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুসহ সব সম্প্রদায়ের সমান অধিকার ও মর্যাদার স্বীকৃতি দেন। এরই ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগ এসব সম্প্রদায়ের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ দূর করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে এবং তাদের জীবন, সম্পদ, উপাসনালয়, স্বায়ত্তশাসন ও জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
বাংলাদেশে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও অন্য ধর্মাবলম্বীরা স্বাধীনভাবে তাদের ধর্ম পালন করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
উন্নয়ন ও অগ্রগতি
ধর্মীয় ও নৃতাত্ত্বিক সংখ্যালঘুদের জমি, বাড়িঘর, উপাসনালয় ও অন্যান্য সম্পদ রক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষকে উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্ত করতে সামাজিক নিরাপত্তা প্রকল্পসহ বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে।
সুবিধাবঞ্চিত নৃতাত্ত্বিক সংখ্যালঘু এবং চাশ্রমিকদের সন্তানদের শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের জন্য বিশেষ বিধান ও সুযোগ অব্যাহত।
জাতিগত সংখ্যালঘুদের জন্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা প্রত্যন্ত অঞ্চলে সম্প্রসারিত করা হয়েছে এবং সড়ক ও বিদ্যুৎসহ অন্যান্য অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধাউন্নত করা হয়েছে।
সরকার জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বৈচিত্র্যময় রীতিনীতি এবং ঐতিহ্য সংরক্ষণকে উৎসাহিত করে।
বৃহত্তর রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব এবং সামাজিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার জন্য, সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণপ্রক্রিয়ায় জাতিগত সংখ্যালঘুদের অংশগ্রহণ বাড়াতে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির বিভিন্ন ধারা আঞ্চলিক পরিষদ ও জেলা পরিষদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে; যাতে স্থানীয়, ভৌগোলিক ও আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিকল্পিত ও বাস্তবায়ন করা যায়।
তিন পার্বত্য জেলায় পর্যটন, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এবং ঐতিহ্যবাহী কুটির শিল্পের উন্নয়নে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জনগণের সুবিধার্থে উচ্চ মূল্যের মশলা চাষ, কফি ও কাজুবাদাম চাষ, তুলা চাষ ও সৌরশক্তি উদ্যোগ বাস্তবায়িত হচ্ছে।
নিজ নিজ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সার্বিক কল্যাণে চলমান কর্মসূচির পাশাপাশি মন্দির, শ্মশান, প্যাগোডা ও গির্জার উন্নয়নে অনুদান অব্যাহত রয়েছে।
আওয়ামী লীগের অঙ্গীকার
সংবিধানের ২৩ক অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, জাতিগোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের অনন্য স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও বিকাশের জন্য রাষ্ট্র ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এই সাংবিধানিক বিধান সমুন্নত রাখার উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অর্পিত সম্পত্তি আইন সংশোধন করা হয় এবং অর্পিত সম্পত্তিসংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। আইন বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা দূর করা হবে।
একটি জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করা হবে এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের স্বার্থ রক্ষার জন্য সংখ্যালঘুদের জন্য একটি বিশেষ সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করা হবে। ধর্মীয় ও নৃতাত্ত্বিক সংখ্যালঘু এবং সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা ও জীবিকা নিশ্চিত করতে আওয়ামী লীগ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ অব্যাহত রাখবে।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুরা নৃশংস হামলা ও বৈষম্যের শিকার হয়। এই সম্প্রদায়ের অনেককে হত্যা করা হয়েছিল, অসংখ্য নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছিল এবং তাদের বাড়িঘর, জমি, ব্যবসা দখল ও লুটপাট করা হয়েছিল। আওয়ামী লীগ এসব অমানবিক ঘটনার বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে এবং এর পুনরাবৃত্তি রোধ করবে।
ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, বৈষম্যমূলক আচরণ ও মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধে আওয়ামী লীগ তার নীতি বজায় রাখবে। এটি রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক জীবনের সব ক্ষেত্রে তাদের জীবন, সম্পত্তি, মর্যাদা এবং সমান অধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।
বস্তি, চর, হাওর ও উপকূলীয় অঞ্চলসহ অনুন্নত এলাকার সুষম উন্নয়ন এবং সেখানকার অধিবাসীদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
অবহেলিত সম্প্রদায়
বাংলাদেশের জনসংখ্যার একটি অংশ দলিত, হরিজন ও বেদে সম্প্রদায় নিয়ে গঠিত। এসব সম্প্রদায় সমাজে অবহেলিত, বিচ্ছিন্ন ও উপেক্ষিত। তাদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ও মূলস্রোতে সম্পৃক্ত করতে কর্মসূচি বাস্তবায়নে আওয়ামী লীগ অঙ্গীকারাবদ্ধ।
বেদে ও অন্যান্য সুবিধাবঞ্চিত সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্য সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যাতে তারা আয়বর্ধক কার্যক্রমে জড়িত হতে পারে এবং সমাজের মূলধারার সঙ্গে একীভূত হতে পারে। সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য নগদ সহায়তা ও আবাসন কর্মসূচি দেশব্যাপী সম্প্রসারণ করা হবে।
হিজড়া সম্প্রদায়
হিজড়া সম্প্রদায় বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার একটি ছোট অংশ। শুরু থেকেই এই সম্প্রদায় বিচ্ছিন্ন ও অবহেলিত। আওয়ামী লীগ সরকার হিজড়া সম্প্রদায়ের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে এবং সমাজের মূলস্রোতে তাদের সম্পৃক্ত করতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
ইশতেহারে বলা হয়েছে, হিজড়াদের সমাজের মূলধারায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে এবং তাদের মৌলিক অধিকার সুরক্ষিত করা হবে। শিক্ষা, আবাসন, জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ও সামাজিক নিরাপত্তার পাশাপাশি সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হবে।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে বলা হয়েছে, হিজড়া সম্প্রদায়ের জন্য নগদ সহায়তা ও আবাসন কর্মসূচি দেশব্যাপী সম্প্রসারণ করা হবে।
৭৩২ দিন আগে
আ. লীগের সফল পররাষ্ট্রনীতির কারণে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শক্তিশালী অবস্থানে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ পুনরায় নির্বাচিত হলে সব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার(২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের ইশতেহার ঘোষণার সময় তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পররাষ্ট্রনীতির সাফল্যের কারণে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শক্তিশালী ও মর্যাদাপূর্ণ স্থান দখল করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশিত 'সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়' নীতি অনুসরণ করেই এটা সম্ভব হয়েছে।’
আন্তঃসীমান্ত যোগাযোগ, ট্রানজিট, জ্বালানি অংশীদারিত্ব ও ন্যায়সঙ্গত পানি বণ্টনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত থাকার কথা উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগ প্রধান।
আরও পড়ুন: ফরিদপুর-৩: ঈগল প্রতীকের নির্বাচনী অফিসে নৌকার কর্মীদের হামলা, আহত ৫
তিনি বলেন, বাংলাদেশ তার ভূখণ্ডে জঙ্গি, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর উপস্থিতি রোধে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
শেখ হাসিনা বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মোকাবিলা এবং পুরো অঞ্চল থেকে তাদের নির্মূল করতে দক্ষিণ এশিয়া টাস্কফোর্স গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে আওয়ামী লীগ সরকার।
তিনি বলেন, 'আমরা যুদ্ধে নয়, শান্তিতে বিশ্বাস করি।’ দেশের নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রণীত 'প্রতিরক্ষা নীতি-১৯৭৪' -এর আলোকে 'ফোর্সেস গোল-২০৩০' প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন চলমান বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: উন্নয়ন-শান্তি-সমৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিয়ে আ. লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, প্রতিরক্ষা বাহিনীর দক্ষতা ও শৃঙ্খলার উন্নতি অব্যাহত থাকবে এবং ফোর্সেস গোল-২০৩০ এর আলোকে ব্যবস্থাপনার বিকাশও অব্যাহত থাকবে।
সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তা ও সৈন্যদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি এবং দেশের সামর্থ্য অনুযায়ী তাদের চাকরির সুযোগ বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশ ও জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। সশস্ত্র বাহিনীর সব স্তরের জন্য নতুন নতুন কল্যাণমুখী প্রকল্প ও কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের ইশতেহার : অর্থনৈতিক গতি ত্বরান্বিত করতে মেগা প্রকল্প
৭৩২ দিন আগে
আওয়ামী লীগের ইশতেহার : অর্থনৈতিক গতি ত্বরান্বিত করতে মেগা প্রকল্প
দেশের অর্থনীতির গতি বেগবান করতে নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণের অঙ্গীকার করেছে আওয়ামী লীগ।
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে 'স্মার্ট বাংলাদেশ: দৃশ্যমান উন্নয়ন, বর্ধিত কর্মসংস্থান' স্লোগান নিয়ে ইশতেহার ঘোষণা করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের ইশতেহারে বলা হয়েছে, উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য মেগা প্রকল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের উন্নয়নের পথে সবচেয়ে বড় বাধা ছিল সড়ক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, বন্দরসহ বিভিন্ন অর্থনৈতিক খাতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর অভাব। এই লক্ষ্য সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার তিন মেয়াদে বেশ কিছু বড় বড় প্রকল্প (মেগা প্রকল্প) গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে। জাতীয় গৌরব ও গর্বের প্রতীক পদ্মা সেতুসহ এসব প্রকল্প উন্নয়নে প্রত্যাশিত গতি সঞ্চার করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ইশতেহারে উল্লেখ করা হয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ২০২২ সালের ২৫ জুন নিজস্ব অর্থায়নে দেশের বৃহত্তম পদ্মা বহুমুখী সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পদ্মা সেতু সারাদেশে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগের জন্য একটি নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য, টেকসই ও সমন্বিত ব্যবস্থা তৈরি করেছে। এই সেতু এশিয়ান হাইওয়ের অংশ হবে, যা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে যোগাযোগের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১০ অক্টোবর পদ্মা বহুমুখী সেতুর সঙ্গে যুক্ত রেলপথ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের অনেক জেলা ঢাকার সঙ্গে রেল যোগাযোগের আওতায় এসেছে।
ইশতেহারে আরও বলা হয়েছে, ঢাকা মেট্রোরেল একটি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের একটি পদক্ষেপ। এটি কেবল ঢাকাবাসীকে অসহনীয় যানজট থেকে মুক্তি দেবে না, রাজধানীর বায়ু ও শব্দ দূষণও হ্রাস করবে। সহজ পরিবহন ব্যবস্থা অর্থনৈতিক গতিশীলতা বাড়াবে এবং মেট্রোরেল মানুষের কাজের সময় সাশ্রয় করবে।
উল্লেখ্য, পতেঙ্গা-আনোয়ারা সংযোগকারী চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার টানেল নির্মাণের ফলে বন্দর নগরী 'ওয়ান ওয়ে, টু টাউন' মডেলে রূপান্তরিত হয়েছে।
ইশতেহারে বলা হয়, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বিমান যোগাযোগে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।
২০২৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা-ফার্মগেট সেকশন উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের দুনিয়ায় প্রবেশ করে বাংলাদেশ।
২০২৩ সালের ১১ নভেম্বর মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের চ্যানেল উদ্বোধন ও প্রথম টার্মিনালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। এই বন্দর চালু হলে কন্টেইনার ও কার্গো উভয় জাহাজই একযোগে ডক করতে পারবে।
ইশতেহারে বলা হয়, ২০২৩ সালের ১১ নভেম্বর চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত বহুপ্রতীক্ষিত ১০২ কিলোমিটার রেললাইন উদ্বোধন করা হয়। এই রেলপথ বাংলাদেশকে ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ে করিডোরের সঙ্গে সংযুক্ত করবে এবং কক্সবাজারকে একটি স্মার্ট সিটিতে রূপান্তর করবে।
এতে উল্লেখ করা হয়, ২০২১ সালের ১০ অক্টোবর এবং ২০২২ সালের ১৮ অক্টোবর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রথম ও দ্বিতীয় ইউনিটের পারমাণবিক চুল্লির প্রেসার ভেসেল উদ্বোধন করা হয়, যা বাংলাদেশকে পারমাণবিক ক্লাবের ৩৩তম সদস্য হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
ইশতেহারে বলা হয়, ২০২২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যৌথভাবে রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করেন। এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট।
২০১৮ সালের আগস্টে বাংলাদেশ দেশের প্রথম এলএনজি টার্মিনাল থেকে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ শুরু করে এবং ২০১৯ সালের এপ্রিলে দ্বিতীয় এলএনজি টার্মিনাল শুরু হয়। মহেশখালীর এলএনজি ভাসমান স্টোরেজের প্রতিটি টার্মিনালের দৈনিক রিগ্যাসিফিকেশন ক্ষমতা ৫০ কোটি ঘনফুট।
ইশতেহারে বলা হয়েছে, পটুয়াখালীতে দেশের তৃতীয় সমুদ্রবন্দর পায়রা স্থাপন করা হয়েছে। অবকাঠামোগত উন্নয়নের কারণে ২০১৬ সালের ১৩ আগস্ট বন্দরে প্রথম কন্টেইনার জাহাজ নোঙর করে।
আওয়ামী লীগের ইশতেহারে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, আর্থিক ব্যবস্থাপনার কথা বিবেচনা করে কিছু ব্যয়বহুল প্রকল্প স্থগিত করা হয়েছে, যা পুনর্বিবেচনা করে যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হবে। অর্থনৈতিকভাবে সম্ভাব্য নতুন প্রকল্পগুলো বিবেচনা এবং গ্রহণ অব্যাহত থাকবে।
৭৩৩ দিন আগে
আ. লীগের ইশতেহারে নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে বড় পদক্ষেপের অঙ্গীকার
উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী নারীদের সুবিধার্থে বড় ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে আওয়ামী লীগ।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে 'স্মার্ট বাংলাদেশ: উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান' স্লোগান নিয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ২০২৪ উন্মোচন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
সরকারের উন্নয়ন ও প্রশাসনিক কার্যক্রমের সঙ্গে নারীদের জন্য নীতিমালা সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকবে বলে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
ইশতেহারে বলা হয়, নারীর ক্ষমতায়ন, লিঙ্গ সমতা অর্জন, অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং নারীর উন্নয়নে সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। গ্রামীণ নারীদের সামাজিক অবস্থার উন্নতি হবে এবং শ্রমশক্তিতে তাদের অংশগ্রহণের সুযোগ বাড়বে।
আরও পড়ুন: উন্নয়ন-শান্তি-সমৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিয়ে আ. লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন শেখ হাসিনা
এতে আরও বলা হয়েছে, সাধারণ আসনগুলোতে ক্রমবর্ধমান সংখ্যায় নারীরা নির্বাচিত হচ্ছেন এবং রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় কমপক্ষে ৩৩ শতাংশ নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা আওয়ামী লীগের লক্ষ্য।
কর্মক্ষেত্রে নারীর নিরাপত্তা, বন্ধুত্বপূর্ণ কর্মপরিবেশ, মাতৃত্বকালীন ছুটিসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ঢাকা ও জেলা সদরে শিশুদের জন্য ডে-কেয়ার সেন্টার এবং কর্মজীবী নারীদের জন্য হোস্টেলের বাস্তবায়ন অব্যাহত থাকবে।
ইশতেহারে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকার মানব পাচার, বিশেষ করে নারী ও শিশু পাচার কঠোরভাবে মোকাবিলা করতে আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার করেছে এবং তা আরও সক্রিয় ও কার্যকর করা হবে।
এতে বলা হয়, বিশেষ করে প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন খাতে নারী উদ্যোক্তা ও স্টার্টআপগুলোর জন্য আর্থিক সহায়তা, উপদেষ্টা সেবা ও সম্পদ নিশ্চিত করা হবে। অনুদান, ঋণ ও বিনিয়োগ উদ্যোগের মাধ্যমে ই-কমার্স বা মালিকানাধীন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নারীদের মূলধনের প্রাপ্যতা সহজ করা হবে।
আরও পড়ুন: ভয়ভীতি সত্ত্বেও আসন্ন নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক হবে: কাদের
ইশতেহারে বলা হয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষায় নারী ও পুরুষ শিক্ষার্থীর অনুপাত প্রায় সমান, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে নারীর সংখ্যা ৩৬ দশমিক ৩০ শতাংশ। নারী শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি প্রদান এবং কর্মসংস্থানের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাসহ উচ্চশিক্ষায় নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধির পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আওয়ামী লীগের ইশতেহারে আরও বলা হয়েছে, নারী উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের উন্নয়নে জয়িতা ফাউন্ডেশনের ভূমিকা সম্প্রসারণ করা হবে। জয়িতা ফাউন্ডেশনের আওতায় সব বিভাগীয় সদর, জেলা ও উপজেলায় নারীবান্ধব বিপণন অবকাঠামো গড়ে তোলা হবে।
আওয়ামী লীগের ইশতেহারে বলা হয়েছে, তা ছাড়া নারী হয়রানির মামলা নিষ্পত্তির জন্য পৃথক আদালতে বাদীদের সরকারের পক্ষ থেকে আইনি সহায়তার বিধান আরও কার্যকর করা হবে। বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নে আরও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা বুধবার
৭৩৩ দিন আগে