রাজনীতি
চট্টগ্রাম-৪ আসন: আচরণবিধি লঙ্ঘন করে স্বতন্ত্র প্রার্থী 'স্বাস্থ্য কর্মকর্তা'
সরকারি চাকরিজীবী হয়েও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম–৪ (সীতাকুণ্ড) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন মো. সালাউদ্দিন নামে এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
উপজেলার ৫ নম্বর বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মচারী তিনি। মাঠ পর্যায়ে শিশুদের টিকা প্রদানের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন সালাউদ্দিন। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন এই সরকারি কর্মচারী। এরই মধ্যে নির্বাচনে প্রার্থী হন তিনি।
নির্বাচনী হলফনামায় ১ শতাংশ ভোটারের তালিকা জমায় ত্রুটির কারণে প্রার্থিতা বাতিল হলে পরে উচ্চ আদালতের রায়ে ফিরে পান তিনি।
সোমবার (২৫) থেকে নির্বাচনী প্রচারণাও চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
এ বিষয়ে সালাউদ্দিনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হলেও তিনি কোনো জবাব দেন নি। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) লিখিত চিঠি দিয়েছে জেলা সিভিল সার্জন অফিস।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগে পুলিশ সদস্য ছিলেন মো. সালাউদ্দিন। ২০১০ সালে স্বেচ্ছায় অবসরে যান। এরপর ২০১১ সালে স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগ দেন। চাকরি থেকে অব্যাহতি না নিয়েই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম–৪ (সীতাকুণ্ড) আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নিতে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
মনোনয়নপত্রে তিনি নিজেকে ফার্মেসি ব্যবসায়ী উল্লেখ করে কাগজপত্র দাখিল করলেও পুলিশের চাকরি থেকে অবসর নেওয়া এবং স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে কর্মরত থাকার কথা গোপন করেছেন। তবে প্রার্থিতা যাচাই-বাছাইকালে ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থন সংগ্রহে ত্রুটির কারণে মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরে তিনি নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন। সেখানেও প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল থাকে। এরপর উচ্চ আদালতে আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পান সালাউদ্দিন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে নৌকার ক্যাম্প ভাঙচুরের অভিযোগ
বিষয়টি নিশ্চিত করে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. নুর উদ্দিন বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাউদ্দিন তার হাসপাতালের স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে কর্মরত। তিনি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কাউকে না জানিয়ে চট্টগ্রাম–৪ আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
বিষয়টি জানার পর চট্টগ্রাম সিভিল সার্জনের পাশাপাশি সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কেএম রফিকুল ইসলামকে জানান।
ইতোমধ্যে সালাউদ্দিনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু তার উত্তর না দিয়ে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন তিনি। যে কারণে তার বেতন-ভাতা বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়াও তিনি চাকরি থেকে অব্যাহতিও নেননি। তাছাড়া নির্বাচনে ভোট গ্রহণের দায়িত্বেও তার নাম দেওয়া হয়েছে। তাই পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হয়েছে।’
এদিকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে অবহিত করেছেন চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী। চিঠিতে তিনি সরকারি এ কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা উল্লেখ করেন।
সরকারি চাকরিতে থাকাবস্থায় নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ নেই উল্লেখ করে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, ‘নির্বাচনে অংশ নিতে হলে তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি নিতে হবে। লিখিতভাবে বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রিটার্নিং অফিসারের কাছে চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও অবহিত করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন: হবিগঞ্জের ডিসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ ইসির
এ ছাড়া ১১ নভেম্বর ও ১৮ ডিসেম্বর সালাউদ্দিনকে পরপর দু’টি কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন ডা. নুর উদ্দিন রাশেদ। কর্মস্থলে অনুপস্থিতির কারণ জানতে চাওয়া হয় তার কাছে। কিন্তু তিনি নোটিশের সুনির্দিষ্ট কোনো জবাবও দেননি।
সর্বশেষ রবিবার তাকে তৃতীয়বারের মতো কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। পরপর ৩ বার কারণ দর্শানোর নোটিশ দিলেও জবাব না দেওয়ার পাশাপাশি এখনো কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন সালাউদ্দিন।
সরকারি চাকরিতে কর্মরত থাকা অবস্থায় বিধি পরিপন্থীভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশন সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পরিচালক (প্রশাসন), চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য), চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও ইউএনওসহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন রাশেদ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সীতাকুণ্ডের ইউএনও কে এম রফিকুল ইসলাম বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা যে লিখিত অভিযোগ করেছেন সেটির অনুলিপি এখনো তার হাতে পৌঁছায়নি। অভিযোগ হাতে পেলে ব্যবস্থা নিতে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনকে তিনি লিখিতভাবে জানাবেন।
সরকারি চাকরিতে থেকেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া মো. সালাউদ্দিন বলেন,তিনি উচ্চ আদালতের রায়ে রকেট প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সোমবার থেকে জনসংযোগও শুরু করেছেন। তবে সরকারি চাকরির তথ্য গোপন করার বিষয়ে জানতে চাইলে মোবাইল ফোনের সংযোগ কেটে দেন।
আরও পড়ুন: ৪ জানুয়ারি নির্বাচন নিয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফ করবে ইসি
৭৩৪ দিন আগে
নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিতে রংপুরে প্রধানমন্ত্রী
৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের প্রচারণার অংশ হিসেবে আজ মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে রংপুরে পৌঁছেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
দিনব্যাপী সফরকালে আওয়ামী লীগ সভাপতি দুপুরে পীরগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক বিশাল নির্বাচনী জনসভা এবং মিঠাপুকুর ও তারাগঞ্জ উপজেলায় দু’টি জনসভায় ভাষণ দেবেন।
সফরকালে প্রধানমন্ত্রী পীরগঞ্জের লালদীঘি ফতেহপুরে অবস্থিত তার বাসভবনে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করবেন।
তিনি স্বজনদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করবেন এবং তার স্বামী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার কবর জিয়ারত করবেন।
পীরগঞ্জ ও এর আশেপাশের এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে এবং মানুষ তাকে স্বাগত জানাতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রচারের প্রত্যাশায় উৎসবমুখর রংপুর
প্রধানমন্ত্রী বেলা ১১টার দিকে একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে যান এবং এরপর সড়কপথে তারাগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হন।
২০ ডিসেম্বর সিলেট-১ আসন থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন শেখ হাসিনা। সেখানে তিনি হযরত শাহজালাল (রহ.) ও হযরত শাহ পরান (রা.) এর মাজার জিয়ারত করেন।
এছাড়া, ২৩ ডিসেম্বর কুষ্টিয়ার জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার মাঠ, ঝিনাইদহের উজির আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠ, সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, নেত্রকোণার জেলা স্টেডিয়াম ও রাঙ্গামাটি জেলার শেখ রাসেল স্টেডিয়াম এবং বরগুনা জেলার বামনা ও পাথরঘাটা উপজেলায় আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে ভার্চুয়ালি নির্বাচনী জনসভা করেন তিনি।
২১ ডিসেম্বর তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, নাটোর, পাবনা ও খাগড়াছড়ি জেলায় নির্বাচনী জনসভা করেন তিনি।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার রংপুরে জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
আসন্ন নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করতে স্বতন্ত্ররা আছেন: প্রধানমন্ত্রী
৭৩৪ দিন আগে
দেশের ৭০ শতাংশ মানুষ আ. লীগ সরকারকে পছন্দ করে: বাগেরহাট-২ আসনের প্রার্থী শেখ তন্ময়
বাগেরহাট-২ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শেখ তন্ময় বলেছেন, উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার কারণে দেশের ৭০ শতাংশ মানুষ আওয়ামী লীগ সরকারকে পছন্দ করে। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগকে আবারও সরকারে দেখতে চায়।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বাগেরহাট সদর উপজেলার যাত্রাপুরের বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী গণসংযোগ ও পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘তাদের নেতা নেই। দল নেই। সামাথ্য নেই। শক্ত করে দাঁড়ানোর জন্য শক্তিটুকুও নেই। বিএনপি কাঠের নড়বড়ে পুলের মতো। বিএনপির এবার বিদায নেওয়ার পাল্লা। ওরা মাটির নিচে মিশে গেছে। আর উঠে দাঁড়াতে পারবে না।’
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে নির্বাচনকে ঘিরে প্রত্যাশার শেষ নেই নতুন ভোটারদের
শেখ তন্ময় বলেন, ‘দেশবাসীর সমর্থন ছাড়া স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে শুধুমাত্র বিদেশি শক্তির ভরসায় কেউ রাজনীতি করে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারবে না। বিএনপি ও তার স্বাধীনতাবিরোধী বন্ধুরা গত কয়েক বছর ধরে গণঅভ্যুত্থানের নামে দেশবাসীর সঙ্গে প্রহসন করেছে।’
শেখ তন্ময় উপস্থিত জনসাধারণের প্রতি ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে সবাইকে নিয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট কেন্দ্রে যাবার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘যারা ‘ভোট হয় না’ বা ‘ভোট দিতে পারি না’ বলবে তাদের সঙ্গে করে নিয়ে আসবেন। তারা তাদের ইচ্ছা মতো ভোট দেবে।’
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ পাচ্ছেন শহরের সুবিধা
জেলা প্রশাসক ও রিটানিং অফিসার মোহা. খালিদ হোসেন জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটের ৪টি সংসদীয় আসনে মোট ২৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ২৩ জন এবং বাগেরহাট-২, বাগেরহাট-৩ এবং বাগেরহাট-৪ আসনে ৩ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বাগেরহাট জেলা নির্বাচন অফিসার শেখ মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন জানান, বাগেরহাটের ৪টি আসনে মোট ভোটার সংখ্য ১২ লাখ ৮১ হাজার ২৪১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ লাখ ৪৪ হাজার ১৩৬ জন এবং নারী ভোটার ৬ লাখ ৩৭ হাজার ৯৭ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৮ জন। ৭ জানুয়ারি মোট ৪৮৮টি ভোট কেন্দ্রে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহী-৫ আসনের আ. লীগ প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
৭৩৪ দিন আগে
রাজশাহী-৫ আসনের আ. লীগ প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
রাজশাহী-৫ (দুর্গাপুর -পুঠিয়া) আসনের নৌকার প্রার্থী আব্দুল ওয়াদুদ দারার বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি।
নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ লুনা ফেরদৌস জারি করেন।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) নির্বাচন অফিস থেকে দারা ও তার সমর্থককে এ শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়।
অভিযোগে বলা হয়েছে, আব্দুল ওয়াদুদ দারা রাজশাহী-নাটোর মহাসড়কের বানেশ্বর ট্রাফিক মোড়ে সড়ক বিভাজনের উপর বড় ছবি দেখতে পান অনুসন্ধান কমিটির সদস্যরা।
এ ছবিটি নির্বাচনী বিধিমালা লঙ্ঘন করে টাঙ্গানো হয়েছে। ২৮ ডিসেম্বর বিকাল ৩টার মধ্যে এই ঘটনার লিখিত ব্যাখা প্রদানের জন্য নিদের্শ প্রদান করা হয়েছে। তা না করলে দারার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে নোটিশে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে চিত্রনায়িকা মাহিকে হুমকিদাতাকে শোকজ
রাজশাহী-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ওপর হামলার অভিযোগ
৭৩৪ দিন আগে
৪ জানুয়ারি নির্বাচন নিয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফ করবে ইসি
নির্বাচন কমিশন ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি দূতাবাস এবং বহুপক্ষীয় সংস্থার প্রধানদের ব্রিফ করবে।
নির্বাচনের তিন দিন আগে ৪ জানুয়ারি বিকাল ৩টায় রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বৈঠকে বিদেশি কূটনীতিকদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে কমিশন।
বৈঠকে ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানদেরও আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।
বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে ইসি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি ও পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
কমিশন ইতোমধ্যে বিদেশি কূটনীতিকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পররাষ্ট্র সচিবকে চিঠি দিয়েছে।
৪৪টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৭টি দল সাধারণ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে, আর বিএনপিসহ কয়েকটি দল নির্বাচন বর্জন করেছে।
জাতীয় নির্বাচনে দেশের ৩০০ আসনে প্রায় ১৮৯৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন: হবিগঞ্জের ডিসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ ইসির
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন: নড়াইলে মাশরাফীসহ ৩ প্রার্থীকে জরিমানা
৭৩৪ দিন আগে
সিপিডি কোনো গবেষণা করেনি, তাদের রিপোর্ট নির্জলা মিথ্যাচার: তথ্যমন্ত্রী
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) রিপোর্টকে নির্জলা মিথ্যাচার বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
সিপিডির সাম্প্রতিক সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশিত রিপোর্ট সম্পর্কে তিনি বলেছেন, 'সিপিডি কোনো গবেষণা করেনি। তাদের বক্তব্য নির্জলা মিথ্যাচার ছাড়া অন্য কিছু নয়।'
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে মন্ত্রীর নিজ জেলা চট্টগ্রামে বন্দরনগরীতে বাংলাদেশ টেলিভিশনের ৫৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রে স্থাপিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়া শেষে সিপিডির দেওয়া তথ্য সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, 'সিপিডির সংবাদ সম্মেলনে যদিওবা গবেষণার কথা বলা হয়েছে, বাস্তবে গবেষণা করতে অনেক সময় লাগে, অনেক তথ্য-উপাত্ত থাকে। কিন্তু সিপিডি এই রিপোর্ট তৈরি ও প্রকাশ করার ক্ষেত্রে অনেক লুকোচুরি করেছে এবং অনেক ভুল ও অসত্য তথ্য তারা পরিবেশন করেছে।'
মন্ত্রী বলেন, 'যেমন সিপিডি বলেছে আমাদের উন্নয়ন বাজেটের ৭৫ শতাংশ হচ্ছে বিদেশনির্ভর। অথচ আসলে আমাদের চলতি বাজেটের ৩৫ শতাংশ হচ্ছে সাহায্যনির্ভর কিংবা বিদেশনির্ভর। এক সময় এটি ২০ শতাংশের নিচে নেমে গিয়েছিল। সাম্প্রতিক সময়ে কিছু প্রকল্পের জন্য বৈদেশিক ঋণ নেওয়ার কারণে এটি ৩৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। অথচ সিপিডি বলেছে এটি ৭৫ শতাংশ।'
ড. হাছান বলেন, 'সিপিডি বলেছে বেসিক ব্যাংক থেকে চার হাজার কোটি টাকা লোন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু চার হাজার কোটি টাকার মধ্যে দুই হাজার কোটি টাকা ইতোমধ্যে আদায় করা হয়েছে এবং বাকি দুই হাজার কোটি টাকার জন্য মামলা করা হয়েছে। মামলা চলমান, আদায় প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে নিতেই সিপিডির অসত্য তথ্যনির্ভর সংবাদ সম্মেলন: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘সিপিডি আরও বলেছে নাবিল গ্রুপ ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। কিন্তু সেই ঋণ যেসব আদায় হয়েছে, সে তথ্য সিপিডির রিপোর্টে জানানো হয়নি। ইচ্ছাকৃতভাবে এগুলোকে লুকানো হয়েছে। সিপিডি চট্টগ্রামভিত্তিক একটি গ্রুপের কথা বলেছে। আমি বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে চেক করেছি। সেই গ্রুপের কোনো লোনই ক্লাসিফায়েড নয়। অর্থাৎ সিপিডি অসত্য তথ্য দিয়েছে।'
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, 'একইসঙ্গে সিপিডি বলেছে, ক্লাসিফায়েড লোনের আকার বেড়েছে। কিন্তু তারা শুধু আকারের কথা বলেছে, পারসেন্টেজের কথা বলে নাই। কারণ, ক্লাসিফায়েড লোনের হার কমেছে। ২০০৯ সালে আমাদের জিডিপি ছিল ৮০ বিলিয়ন ডলার। এখন জিডিপি হচ্ছে প্রায় ৫০০ বিলিয়ন বা হাফ এ ট্রিলিয়ন ডলার। জিডিপি ৬ গুণ বৃদ্ধি পেলে তো ক্লাসিফায়েড বা ব্যাড লোনের আকারও বৃদ্ধি পাবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু পারসেন্টেজ কত, সেটাই হচ্ছে মূল বিষয়। ২০০৯ সালে ক্লাসিফায়েড লোন ছিল ১০ দশমিক ৫ শতাংশ, আর এখন ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ। অর্থাৎ তখনকার তুলনায় কমেছে।'
সিপিডির কেউ কেউ তো ২০০৭-২০০৮ সালে দেশ পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং তখন ব্যাড লোন ১০ শতাংশের উপরে ছিল উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, এইভাবে অসত্য তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করা আসলে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
বিএনপির তিনদিনের কর্মসূচি ঘোষণায় প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'বিএনপি যে তিনদিন কর্মসূচি দিয়েছে, জনগণও তা জানে না, কেউ খেয়ালও করে নাই। হয়তো বা সাংবাদিকরা খবরা-খবর রাখেন বলেই খেয়াল করেছেন। তারা কোন দিন হরতাল দেয়, কোন দিন অবরোধ দেয়, কেউ কিন্তু খেয়াল করে না। বাংলাদেশের মানুষও খেয়াল করে নাই, কাকপক্ষীও খেয়াল করেছে কি না আমি জানি না। সুতারং এগুলো গতানুগতিক কর্মসূচি ও হাস্যকর।'
আরও পড়ুন: বিএনপির নির্বাচন বর্জনের ডাক ‘ফিউজ’ হয়ে গেছে: তথ্যমন্ত্রী
রাজনীতির নামে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের মানববন্ধনে তথ্যমন্ত্রী
৭৩৪ দিন আগে
শুধু দেশ নয়, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্যেও শেখ হাসিনাকে প্রয়োজন: ড. মোমেন
শুধু দেশ নয়, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্যেও শেখ হাসিনাকে প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, ‘শুধু দেশের জন্য নয়, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্যেও শেখ হাসিনার সরকারের প্রয়োজন আছে। ইন্দো-প্যাসেফিক অঞ্চলে স্থিতিশীলতা নষ্ট করার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে অপতৎপরতা চলছে। একটি মহল অন্যের কাঁধে বন্দুক রেখে এ অঞ্চলে প্রক্সি যুদ্ধ করার চক্রান্ত করছে। শেখ হাসিনা থাকলে এটা হবেনা।’
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভা ও মতবিনিময়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, ইউক্রেনে প্রক্সি যুদ্ধের কারণে ইউরোপের সব দেশ এখন অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। সারা ইউরোপ এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। কাজেই আমাদের দেশের স্থিতিশীলতা কোনভাবেই নষ্ট করা যাবেনা। এজন্য শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যাতে সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় সেদিকে তরুণ, শিক্ষার্থীদেরকে সজাগ, সাবধান থাকতে হবে।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আশিকুর রহমানের সভাপতিত্বে ও ইমাদুর হোসেইনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফয়জুল আনোয়ার আলাওর, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি জয়নাল আবেদীন।
সোমবার সকালে সিলেট নগরীর নয়াসড়কে লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে দিনের নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন ড. মোমেন।
আরও পড়ুন: এই বড়দিনে ফিলিস্তিনি খ্রিস্টানদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি: মোমেন
এরপর তিনি সকাল সাড়ে ১১ টায় নয়াসড়কের প্রেসবিটারিয়ান চার্চে কেক কাটার মধ্য দিয়ে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এ সময় তিনি বলেন, আমাদের সংবিধানে সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমানাধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি-ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি আমাদের সবার। তাই সব শ্রেণি-পেশার জনগণের উন্নয়নই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। বড়দিন উদযাপনের আনন্দ মানুষের মধ্যে যেন সত্যিকার মানবতাকে জাগ্রত করে; মহামানব যিশু যে প্রেম, শান্তি ও সম্প্রীতির শিক্ষা প্রচার করেছেন, তার যথার্থ প্রতিফলন যেন সবার জীবনে ঘটে।
ড. মোমেন আরও বলেন, প্রত্যেক ধর্মেরই মূল বাণী মানবতা। বড়দিন উপলক্ষে যে প্রেম, প্রীতি ও শান্তির বাণী প্রচার করা হয় তার মূলে রয়েছে মানবতা। কোনো ধর্মই এ বোধ থেকে বিচ্ছিন্ন নয়। বড়দিন মানুষকে শান্তি, প্রেম ও সম্প্রীতির শিক্ষা দেয়। দেশের সকল মানুষ ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে একাত্ম হবে-এ আশা বড়দিনে।
এ সময় প্রেসবিটারিয়ান চার্চের পাস্টার ফিলিপ বিশ্বাস ও ডিকন নিঝুম সাংমা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আগত অতিথিদেরকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বড়দিনে সমাগত সবার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামন চৌধুরী, সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন খান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, সহ-সভাপতি ফয়জুল আনোয়ার আলাওর, সহসভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সিসিক কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আরমান আহমদ শিপলু, কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক তপন মিত্র, মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, সিসিক কাউন্সিলর আব্দুল মোহিত জাবেদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা শফিউল আলম জুয়েল প্রমুখ।
আরও পড়ুন: সিলেটের সব আসনেই জয়ী হবে আওয়ামী লীগ: মোমেন
জ্বালাও-পোড়াও-হত্যা কোনো সুষ্ঠু রাজনীতি নয়: ড. মোমেন
৭৩৪ দিন আগে
জাতীয় নির্বাচন: হবিগঞ্জের ডিসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ ইসির
হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) দেবী চন্দকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) কমিশনের উপসচিব মিজানুর রহমানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে কমিশন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তার জায়গায় যোগ্য কর্মকর্তা পদায়ন করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশও দিয়েছে ইসি।
আরও পড়ুন: ৪ জানুয়ারি নির্বাচন নিয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফ করবে ইসি
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন: নড়াইলে মাশরাফীসহ ৩ প্রার্থীকে জরিমানা
৭ জানুয়ারি সাধারণ ছুটি ঘোষণা করতে চিঠি দিয়েছে ইসি
৭৩৪ দিন আগে
সিরাজগঞ্জে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়ায় ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) সংসদীয় আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মেজর (অব.) আব্দুল্লাহ আল মামুনের নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়ায় ছাত্রদল নেতা সানোয়ার হোসেন বিজয়কে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
তিনি সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ওই ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়ায় শনিবার তাকে বহিষ্কার করা হয়।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা সাংবাদিকদের জানান, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের স্বতন্ত্র ওই প্রার্থীর নির্বাচনী কাজে অংশগ্রহণ করায় তাকে তার পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে নৌকার ক্যাম্প ভাঙচুরের অভিযোগ
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন: নড়াইলে মাশরাফীসহ ৩ প্রার্থীকে জরিমানা
হিরো আলমের উপর ফের হামলার অভিযোগ
৭৩৪ দিন আগে
ফরিদপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে নৌকার ক্যাম্প ভাঙচুরের অভিযোগ
ফরিদপুর-৪ আসনের ভাঙ্গায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কাজী জাফর উল্যাহর নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এ ঘটনার প্রতিবাদে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে, রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ভাঙ্গা উপজেলার কালামৃধা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ কালামৃধা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
প্রতিবাদ সভায় বক্তব্যকালে কাজী জাফর উল্যাহ এ ঘটনার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের মজিবর রহমান নিক্সন চৌধুরীর সমর্থকেরা জড়িত বলে অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে কালামৃধা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মান্দার বেপারি ভাঙ্গা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
আরও পড়ুন: হিরো আলমের উপর ফের হামলার অভিযোগ
কালামৃধা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জায়েম বেপারি বলেন, রবিবার সন্ধ্যায় কালামৃধা ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার বাদল হোসেনের নেতৃত্বে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সনের সমর্থকেরা তাদের ক্যাম্পে হামলা চালায়। এ সময় চেয়ার ও ফেস্টুন ভাঙচুর করা হয়। তারা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হুমকিও দেয়।
অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করতে কালামৃধা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ২ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার বাদল হোসেনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবুর রহমান চৌধুরীর সমর্থক ফরিদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন এটি তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বলে দাবি করে বলেন, সেখানে নৌকার নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুরের কোনো ঘটনা হয়নি।
ভাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) প্রদ্যুৎ সরকার বলেন, কালামৃধা এলাকায় নৌকার নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুরের খবর পেয়ে রাতেই পুলিশের একটি দলকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। এ ব্যাপারে সকালে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে চিত্রনায়িকা মাহিকে হুমকিদাতাকে শোকজ
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন: নড়াইলে মাশরাফীসহ ৩ প্রার্থীকে জরিমানা
৭৩৪ দিন আগে