রাজনীতি
বিএনপির নির্বাচন বর্জনের ডাক ‘ফিউজ’ হয়ে গেছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি অগ্নিসন্ত্রাস করেও নির্বাচনের উৎসাহ-উদ্দীপনা ও আমেজকে কোনোভাবেই ম্লান করতে পারেনি।
তিনি বলেন, অগ্নিসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। বিএনপির নির্বাচন বর্জনের ডাক ফিউজ হয়ে গেছে।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজি পুকুর লেনের ওয়াইএনটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে সমসাময়িক বিষয়ে মত বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি এখন দিশেহারা হয়ে অসহযোগ কর্মসূচি দিয়েছে। কিন্তু বিএনপির নেতা-কর্মীরাই এই অসহযোগ কর্মসূচিতে তাদের সহযোগিতা করছে না।
আরও পড়ুন: ধ্বংসাত্মক রাজনীতি নির্মূল করে মানবিক রাষ্ট্র গঠনই বিজয় দিবসের প্রত্যয়: তথ্যমন্ত্রী
হাছান মাহমুদ বলেন, যে সমস্ত বিদেশিদের কাছে বিএনপি বারে বারে ধরনা দিত, সেই বিদেশিরাও এখন নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু হয়, নির্বাচনে যাতে কেউ বাধা না দেয়, সেই কথাই বলছে। অর্থাৎ, নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নিরপেক্ষ সরকার, নির্বাচনকালীন সরকার, এই সমস্ত বিষয় এখন আর নেই। এখন নির্বাচনটা কিভাবে সুষ্ঠু করা প্রয়োজন সেটি নিয়েই সবাই পরামর্শ দিচ্ছে।
তিনি বলেন, গতকাল এবং এর আগেও জাতিসংঘের বিবৃতি ও ব্রিফিংয়ে বলা হয়েছে- নির্বাচনে যাতে কেউ বাধা না দেয়, অর্থাৎ সহিংসতা না হয়। একইসঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও বলেছে- দেশে একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন তারা দেখতে চায়।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, তারা এখন ট্রেনে হামলা চালানো শুরু করেছে, কয়েকদিন আগে যেভাবে ট্রেনে ঘুমন্ত মানুষের উপর পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে মা এবং শিশু সন্তানসহ চারজনকে হত্যা করেছে এগুলো মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার, সেটি যত না নৃশংস ও বীভৎস ছিল, তার চেয়েও নৃশংস ও বীভৎস মিথ্যাচার করেছে বিএনপি নেতা রিজভী আহমেদসহ অন্যরা।
চট্টগ্রামের কয়েকটি নির্বাচনী এলাকায় ইতিমধ্যে সহিংস ঘটনা ঘটেছে, সামনে আরও বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, নির্বাচনে সহিংসতা কোনোভাবেই কাম্য নয়। যে বা যারা করছে তারা নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করছে। নির্বাচন কমিশন সে ক্ষেত্রে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। আমাদের দলেরও কেউ করলে সেটি আমরা বরদাশত করব না। প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে।
আরও পড়ুন: সাইকেল শোভাযাত্রা করে নির্বাচনী প্রচার শুরু করলেন তথ্যমন্ত্রী
নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রে জনগণকে না আসার জন্য বিএনপি লিফলেট বিতরণসহ প্রচারণা চালাচ্ছে, এটি কাটিয়ে জনগণকে কীভাবে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে আসবেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির এ ধরনের লিফলেট বিতরণ করে মূলত ঢাকা শহরে ফটোসেশন করা হয়। সকালবেলা যখন মানুষ ঘুম থেকে উঠে না, তখন দৌড় দিয়ে একটা মিছিল করা হয়, আর একটা ছবি তোলা হয়। এগুলোর কোনো ইমপ্যাক্ট নির্বাচনে নেই।
চট্টগ্রাম মেডিকেলে আইসিইউ বেডের সংকট রয়েছে, আগামী ২৭ তারিখ আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করবেন, স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতের জন্য সেখানে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার প্রতিটি জেলা শহরে আইসিইউ বেড স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, অনেক জেলা শহরে স্থাপন করা হয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেলের জন্য একটি বড় প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে, সেটি হলে সেখানে শুধু আইসিইউ নয়, সমস্ত সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি পাবে।
তিনি বলেন, আরেকটি বিষয় হচ্ছে, স্বাস্থ্য সেবার সঙ্গে যুক্ত একটি চক্র চায় না সরকারি সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি পাক। তারা মনে করে, সরকারি সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি পেলে যেসব প্রাইভেট ক্লিনিক, হাসপাতাল আছে সেগুলোর ব্যবসা কমে যাবে। এই চক্রটা সরকারি হাসপাতালগুলোকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার ক্ষেত্রে এবং সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে একটি প্রতিবন্ধক।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, পত্র-পত্রিকায়ও রিপোর্ট বেরিয়েছে, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন মেডিকেলে ইকুইপমেন্ট কেনা হয়েছে, সেগুলো বছরের পর বছর তালাবদ্ধ থাকার কারণে নষ্ট হয়ে গেছে। সরকার কিনে দেয়ার পরও যারা সরকারি সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করতে চাই না, সেগুলোকে চালু করে না, এরা আসলে জনগণের বিপক্ষে কাজ করছে, এবং এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়।
আরও পড়ুন: রাজনীতির নামে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের মানববন্ধনে তথ্যমন্ত্রী
৭৩৬ দিন আগে
মাদারীপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থককে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ
মাদারীপুরের কালকিনির লক্ষ্মীপুরে শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) মাদারীপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর এক সমর্থককে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
নিহত এস্কান্দার খান (৪০) স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা সিদ্দিকীর সমর্থক।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হাসান জানান, সকালে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবদুস সোবহান গোলাপের সমর্থকরা এস্কান্দারকে বাসা থেকে ডেকে এনে ছুরিকাঘাত করে আহত করে।
তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে রাত সাড়ে ১২টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত ৫
সাতকানিয়ায় নৌকা-স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ
সিরাজগঞ্জে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে কটুক্তি করায় সাবেক বিএনপি নেতা আতাউরকে শোকজ
৭৩৬ দিন আগে
বান্দরবানের ১২টি ভোটকেন্দ্রে হেলিকপ্টার ব্যবহার হবে
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বান্দরবানের ১২টি ভোটকেন্দ্রে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হবে। এই আসনে ১৮২টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে এবং এরমধ্যে সাধারণ কেন্দ্র ৫১টি এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ১৩১টি।
রির্টানিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, বান্দরবান আসনের ১৮২টি ভোটকেন্দ্র সম্পূর্ণ প্রস্তুত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে সব ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করে সাত উপজেলার ইউএনওগণ রিপোর্ট করেছেন।
জেলা প্রশাসক জানান, তিনি নিজেই বান্দরবান সদর উপজেলার বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের তিনাপ সাইতার জলপ্রপাত ভ্রমণের উপায় ও খরচ
পরিদর্শনকালে অন্যান্যদের মধ্যে পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শাহদাত হোসেন, বান্দরবান সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে হাবিবা মীরা, সহকারী কমিশনার ভূমি নার্গিস সুলতানা ও সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলেন।
বান্দরবান আসনে দুইজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন ছয়বারের নির্বাচিত এমপি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং।
লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে জাতীয় পার্টি সমর্থন নিয়ে লড়ছেন এমএম শহীদুল ইসলাম।
এদিকে প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে প্রার্থীরা প্রচার প্রচার অব্যাহত রেখেছেন।
রির্টানিং অফিসার জানান, দুর্গম ও যাতায়াত ব্যবস্থা স্বাভাবিক না থাকায় ১২টি কেন্দ্রে হেলিকপ্টার ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে প্রস্তাবনাও পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ১২টি হেলিস্যুটি ভোটকেন্দ্রগুলোর মধ্যে রোয়াংছড়ি উপজেলায় ১টি, রুমা উপজেলায় ৩টি, থানচি উপজেলায় ৭টি ও আলীকদম উপজেলায় ১টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বান্দরবানের সাত উপজেলার দুই পৌরসভা ও ৩৪টি ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৮৮ হাজার ২৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৪৮হাজার ৫৮৩জন ও নারী ভোটার ১লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৬ জন। ১৮২টি কেন্দ্রে ভোটকক্ষ থাকবে ৭২৭টি।
বান্দরবানের রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করার জন্য সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, দুর্গম এলাকার ১২টি হেলিস্যুটি ভোটকেন্দ্রে সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সহায়তায় হেলিকপ্টারের মাধ্যমে যাবতীয় নির্বাচনী সরঞ্জাম ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের আনা নেওয়ার ব্যবস্থা সম্পন্ন করা হয়েছে। দুর্গম এলাকায় একদিন পূর্বে এবং সড়ক যোগাযোগ আছে এমন কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের দিন সকালে ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনী সামগ্রী পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের ইকোট্যুরিজম সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব
৭৩৬ দিন আগে
৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে সামনে রেখে তিন দিন মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ
আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সারাদেশে মোটরসাইকেল চলাচল তিন দিনের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমানের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ৫ জানুয়ারি মধ্যরাত থেকে ৮ জানুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচল করতে পারবে না।
এছাড়া ৬ জানুয়ারি মধ্যরাত থেকে ৭ জানুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত ভোটকেন্দ্রে ট্যাক্সিক্যাব, মাইক্রোবাস, পিকআপ, ট্রাক, লঞ্চ ও ইঞ্জিনচালিত নৌকা (নির্দিষ্ট রুটে চলাচলকারী নৌকা ব্যতীত) চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে।
তবে জাতীয় মহাসড়কে এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।
প্রার্থী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন, অনুমোদিত পর্যবেক্ষক ও নির্বাচনী এজেন্টদের ক্ষেত্রে এ নির্দেশনা প্রযোজ্য হবে না।
তবে অনুমোদিত নির্বাচন পর্যবেক্ষক এজেন্টদের অবশ্যই নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রদত্ত স্টিকার লাগাতে হবে।
৭৩৭ দিন আগে
ফরিদপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত ৫
ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল কাদের আজাদ (এ কে আজাদ) এর সমর্থকদের ওপর আবারও হামলা হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত পাঁচজন। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই ধারাবাহিকভাবে হামলার ঘটনা ঘটছে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের উপর।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার ঈশান গোপালপুরে স্থানীয় চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম মজনুর নেতৃত্বে এই হামলা হয় চালানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
আহত বিল্লাল আলী শেখ, খোকন মল্লিক, লালন মন্ডল, সাঈদ মিয়া ও মো. সোহাগকে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা জানিয়েছেন, তারা জীবন নিয়ে হুমকিতে আছেন।
যদিও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল নির্বাচনে সকল প্রার্থী সমানভাবে নির্বাচন কমিশনের সহযোগিতা পাবেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের নির্বাচনী কমিটির যুগ্ম আহবায়ক আলমগীর হোসেন বলেন, ঈশান গোপালপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল মার্কার ভোট চাইতে সন্ধ্যায় আমরা প্রচারণা চালাচ্ছিলাম। এসময় ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলামের নেতৃত্বে আমাদের উপর হামলা চালানো হয় এবং হুমকি দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, ঈগল মার্কায় ভোট চাওয়ায় আমাদের কর্মীদের উপর হামলা চালানো হয়। হামলায় ৫ জন কর্মী আহত হয়। আহতদের জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিতসক ডা. মুনতাসির হাসান জিসান জানান, আহত অবস্থায় ৫ জন হাসপাতালে আসলে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এর আগে, সদর উপজেলার ঈশান গোপালপুর, অম্বিকাপুর, পৌর এলাকায় একাধিক হামলার ঘটনা ঘটে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের উপর।
এই প্রসঙ্গে, ফরিদপুর -৩ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শামীম হক বলেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তার কর্মী সমর্থকরা আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তারা নানাভাবে নানা কায়দায় মিথ্যা অভিযোগ তোলার চেষ্টা করছে। আমি ও আমার কর্মী সমর্থকরা নির্বাচন বিধি মেনেই কাজ করে চলছি।
এ প্রসঙ্গে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী একে আজাদ অভিযোগ করে বলেন প্রতীকবরাদ্ধের পর থেকেই আমার কর্মী সমর্থকদের উপর নানাভাবে হুমকি ধামকি এমনকি একাধিক হামলার ঘটনা ঘটেছে, তিনি বলেন এমনটি ঘটতে থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকদের উপর ধারাবাহিক ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম জানান, এ পর্যন্ত যে কয়টি ঘটনা ঘটেছে পুলিশ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছে, আমরা সকল প্রার্থীর পক্ষে সহনশীল। কয়েকটি হামলার বিষয়ে আমরা কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছি। তবে শুক্রবার রাতের ঈশান গোপালপুর এলাকায় হামলার বিষয়ে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। ফরিদপুর জেলা পুলিশ সকল প্রার্থীর জন্য নিরাপত্তা এবং সহযোগিতা সমানভাবে করবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন নির্বাচন হবে সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ, এখানে কাউকে বিশেষ অগ্রাধিকার দেয়া হবে না। নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মোতাবেক কাজ করবে, এর ব্যত্যয়ের সুযোগ নেই।
৭৩৭ দিন আগে
বিএনপি-জায়ামাত দেশকে ধ্বংস করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে: আনিসুল হক
বিএনপি-জায়ামাত দেশকে ধ্বংস করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ যখন উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে সারাবিশ্বে পরিচিত, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে; তখন আবার বিএনপি-জায়ামাত দেশকে ধ্বংস করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ গ্রামের কর্মমঠ বিদ্যালয় মাঠে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রিয় নগরপিতা আনিসুল হককে স্মরণ
যারা নির্বাচন বাণচলের চেষ্টা করছে তাদেরকে সাবধান করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা- আখাউড়া) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আনিসুল হক বলেন, দেশে আইন আছে, আইনের শাসন আছে। হরতাল, অবরোধ ও অসহযোগ আন্দোলনের নামে যা করা হচ্ছে তা রাষ্ট্রদ্রোহী।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ ২০২৪ সালে জয়ী হয়ে আবারও অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়বে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াত দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তাদের এক নেতা লন্ডনে বসে জনগণকে ধ্বংস করার হুমকি দেয়।
এসব হুকুমে ভয় না পেয়ে, দেশের মানুষ নির্বাচন চায় তা সারাবিশ্বকে প্রমাণ করে দিতে আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: পুলিশের বক্তব্যকে প্রাধান্য দিয়েই আনসার আইন করা হবে: আনিসুল হক
দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ব্যাচেলেট কোনো উদ্বেগ প্রকাশ করেননি: আনিসুল হক
৭৩৭ দিন আগে
৯ জানুয়ারি পর্যন্ত আগ্নেয়াস্ত্র বহন ও প্রদর্শন নিষিদ্ধ করেছে সরকার
৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত লাইসেন্সধারীদের আগ্নেয়াস্ত্র বহন ও প্রদর্শনে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ইসরাত জাহানের সই করা এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘আর্মস অ্যাক্ট ১৮৭৮ অনুযায়ী লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: ভালো নির্বাচন না হলে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট তৈরি হবে: নির্বাচন কমিশনার
নির্বাচন নির্বিঘ্ন করতে মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের
জাতীয় নির্বাচন: প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাহারায় ১৫-১৭ জন নিরাপত্তাকর্মী থাকবেন
৭৩৭ দিন আগে
ওরা আমাদের দেশকে গাজার মতো বানাতে চায়: শামীম ওসমান
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, দেশে অনেক ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। অনেকে আখড়া করতে চাচ্ছে। যেমনটা ফিলিস্তিনে আখড়া করেছিল। ওরা আমাদের দেশের জায়গা চায়।
তিনি বলেন, আমাদের দেশকে গাজার মতো বানাতে চায়। শেখ হাসিনা একা এগুলোকে মোকাবিলা করছেন। আমাদের সবাইকে এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। নয়তো এর আগে ব্রিটিশদের গোলামি করেছি ২০০ বছর। এবার গোলামি থেকে মুক্তি পাবেন না, দেশ ঝাঁঝরা হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: নাসিক নির্বাচন: শান্তিপূর্ণ ভোট হওয়ায় প্রশংসা শামীম ওসমানের
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের আগে সিদ্ধিরগঞ্জের সাহেবপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে তিনি এসব কথা বলেন। পরে তিনি গণসংযোগে অংশ নেন।
তিনি বলেন, আমি গতবারও ভোট চাইনি, এবারও চাইব না। আমি মনে করি আপনার জ্ঞান আমার চেয়ে বেশি। কোনটা ভালো, কোনটা খারাপ আপনি জানেন। আমার কাজ আমি করে যাব, কবুল করবেন আল্লাহ। পৃথিবীর সব মানুষ আমার পক্ষে থাকলেও আল্লাহ বিপক্ষে থাকলে আমি কিছুই করতে পারব না।
তিনি আরও বলেন, আমরা ১২ থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকার কাজ করেছি এই এলাকায়। আমি কিছু করিনি। আল্লাহর হুকুমে শেখ হাসিনার উসিলায় আমরা এগুলো করতে পেরেছি।
আরও পড়ুন: হয়তো এটা আমার শেষ নির্বাচন: শামীম ওসমান
স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে: শামীম ওসমান
৭৩৭ দিন আগে
ভালো নির্বাচন না হলে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট তৈরি হবে: নির্বাচন কমিশনার
ভালো নির্বাচন না হলে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট তৈরি হবে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান।
তিনি বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো ব্যত্যয় হবে না। সবার প্রতি একটাই নির্দেশনা অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন। এটি জাতির জন্য, দেশের অর্থনীতির জন্য সুষ্ঠু নির্বাচন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলার প্রার্থী এবং নির্বাচন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সভা ও মতবিনিময় সভা শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ মন্তব্য করেন আনিছুর রহমান।
আরও পড়ুন: সিসি ক্যামেরা ব্যবহারে ভোট কেন্দ্রে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে: নির্বাচন কমিশনার
এ সময় নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন যে, কে কোন পদের সেটা বড় কথা না। কেউ অন্যায় করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
তিনি বলেন, যারা নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করছেন, তারা রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালন করছে। তারা কোনো দলের কর্মচারী না। সংবিধানের ১২৬ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা আছে যে- নির্বাহী বিভাগের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা দেওয়া। নির্বাচন কমিশনার প্রয়োজন অনুযায়ী যে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে যে কোনো দায়িত্বে পাঠাতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, আগামী ২৯ ডিসেম্বর থেকে বিজিবি, র্যাব ও সেনাবাহিনী মাঠে নামবে। এবার ব্যালট পেপার ভোটকেন্দ্রে সকালে যাবে। ব্যালট পেপার যে অংশটুকু ভোটারকে দেওয়া হবে সেই পেপারটিতে ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারের সিল থাকতে হবে। এটি ছাড়া যদি কেউ ভোট দেয় সেই ভোট বাতিল ও অবৈধ বলে গণ্য করা হবে। এগুলো নির্বাচনী বিধিমালায় নতুন সংযোজন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আমরা অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে বদ্ধপরিকর: দক্ষিণ এশীয় নির্বাচন কমিশনারদের প্রধানমন্ত্রী
আচরণবিধি প্রশ্নে আনিছুর রহমান বলেন, নির্বাচনী আইনে আছে পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি ও ইউনিয়নে একটি করে প্রার্থীর অফিস থাকবে। এর বেশি থাকলে সেগুলো স্থানীয় রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অপসারণ করতে হবে। তাছাড়া প্রচারণার সময়সীমা রাত ৮টা পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। এরপর কেউ প্রচারণা চালালে ব্যবস্থা নিতে হবে। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনে কোনো রকম ছাড় দেওয়া যাবে না।
আনিছুর রহমান বলেন, মোটরসাইকেল দিয়ে কোনো প্রচারণা চালানো যাবে না। সেজন্য চেকপোস্ট বসিয়ে মোটরসাইকেলের বৈধ কাগজপত্র যাচাই করা হবে। কাগজপত্র না থাকলে সেগুলোকে আটক করা হবে।
কোনো রকম যানবাহন দিয়ে মহড়া দিতে পারবে না বলেও জানান তিনি।
ব্রিফিংয়ের সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন ও ৬০ বিজিবির ব্যাটালিয়ান অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক হাসান উল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ভুয়া নির্বাচন কমিশনার গ্রেপ্তার
৭৩৭ দিন আগে
নির্বাচন নির্বিঘ্ন করতে মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্বিঘ্ন করতে মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হাবিবুল আওয়াল।
শুক্রবার যশোরে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার ডিসি, এসপি, ইউএনও ও ওসিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এই নির্দেশ দেন তিনি।
সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া মতবিনিময় সভা শেষ হয় দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে। এরপর ১২টা ৫৫ মিনিটে সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
আরও পড়ুন: আমরা অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে বদ্ধপরিকর: দক্ষিণ এশীয় নির্বাচন কমিশনারদের প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, মতবিনিময় সভায় মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে তারা কীভাবে কাজ করছেন। কাজ করতে গিয়ে কোনো ধরনের সমস্যায় পড়ছেন কি না। পড়লে সেগুলো কী ধরনের সমস্যা।
হাবিবুল আওয়াল আরও বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সেদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সতর্ক দৃষ্টি রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ভোটারদের নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে আসার ব্যবস্থা করতে হবে। ঠেকাতে হবে সব ধরনের কারচুপি ও দখলদারিত্ব। এক্ষেত্রে তিনি গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করেন।
আরও পড়ুন: সেনা মোতায়েনে নির্বাচন কমিশনের অনুরোধে রাষ্ট্রপতির সম্মতি
সিইসি বলেন, কোথাও কোনো ঘটনা ঘটলে গণমাধ্যমে আসার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। নির্বাচন মূলত রিটার্নিং অফিসাররা পরিচালিত করেন। এ কারণে তাদের দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। সব ধরনের দায়িত্ব তাদের।
দেশের বিভিন্নস্থানে প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সিইসি বলেন, হয়তোবা দুই-একটি ঘটনা ঘটতে পারে। ব্যাপকভাবে যাতে সহিংস ঘটনা না ঘটে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেখবে।
একইসঙ্গে কমিশনের দৃষ্টিতে আসার সঙ্গে সঙ্গে সেই এলাকার রিটার্নিং অফিসারকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হচ্ছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: সাকিব আল হাসানকে নির্বাচন কমিশনের কারণ দর্শানোর নোটিশ
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাংগীর আলম, যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ার্দার।
সিইসির যশোরে আসা উপলক্ষে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। সকাল থেকে শহরের মোড়ে মোড়ে মোতায়েন করা হয় পুলিশ।
মতবিনিময় সভাস্থল যশোর শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক সংখ্যক সদস্য উপস্থিত ছিল।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশন যথাসময়ে নির্বাচন করতে প্রস্তুত: সাহাবুদ্দিনকে সিইসি
৭৩৭ দিন আগে