রাজনীতি
খুলনায় ৭৯৩টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৬৩১টি ঝুঁকিপূর্ণ: পুলিশ
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৭৯৩টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৬৩১টিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত ভোটকেন্দ্রে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।
আরও পড়ুন: শতবছর পুরনো ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙে ফেলা হবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, খুলনা-১ আসনের বটিয়াঘাটা উপজেলায় ৪৬টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৩৩টি ঝুঁকিপূর্ণ এবং দাকোপ উপজেলার ৪৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩১টি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এছাড়া খুলনা-৪ আসনের রূপসা উপজেলার ৫৯টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৪৯টি, তেরখাদা উপজেলার ৩৬টি এবং একই আসনের দিঘলিয়া উপজেলার ৩৮টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ২১টি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
খুলনা-৫ আসনের ফুলতলা উপজেলার ২৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ১২টি এবং ডুমুরিয়া উপজেলার ৮৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ৬৮টি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এদিকে পাইকগাছা উপজেলার ৭৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৯টি এবং কয়রা উপজেলার ৬৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫৬টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোজাম্মেল হক জানান, খুলনা-২ আসনের ১৫৭টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৬১টি এবং খুলনা-৩ আসনের ১১৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৭টি ভোটকেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এছাড়া খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের আওতাধীন ৩১০টি ভোটকেন্দ্রের সবগুলোই ঝুঁকিপূর্ণ।
তবে নির্বাচনকে সামনে রেখে অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে জেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট স্থাপন করা হবে।
আরও পড়ুন: ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জীবনরক্ষায় জরায়ু মুখের ক্যান্সারের পূর্ব অবস্থা শনাক্তের বিনামূল্যে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
ঝুঁকিপূর্ণ ১০ জেলার মানুষকে রাত ৮টার মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলা হয়েছে: প্রতিমন্ত্রী
৭৪৬ দিন আগে
সরকার রাজনৈতিক কারণে কাউকে হয়রানি করছে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, সরকার কোনো নিরাপরাধ মানুষকে হয়রানি করছে না, সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিচ্ছে।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, 'আমরা রাজনৈতিক কারণে কাউকে হয়রানি করছি না। যারা সন্ত্রাসী, আমরা তাদের গ্রেপ্তার করছি।’
সাম্প্রতিক সময়ে সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তি ধ্বংস এবং যানবাহন ও নিরীহ মানুষের ওপর অগ্নিসংযোগের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
ড. মোমেন বলেন, সন্ত্রাসী ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ।
যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত তাদের সন্ত্রাসের পথ পরিহার করে যথাযথ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মানবাধিকার রক্ষায় অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ একটি মডেল দেশ।
তিনি গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার সমুন্নত রাখতে বাংলাদেশের জনগণের আত্মত্যাগের কথা উল্লেখ করেন।
মোমেন বলেন, মানবাধিকার ও ন্যায়বিচারের বিষয়ে বাংলাদেশের কাছ থেকে অন্যান্য দেশের শিক্ষা নেওয়া উচিত।
তিনি গাজা এবং কিছু উন্নত দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা তুলে ধরেন যেখানে প্রকাশ্য দিবালোকে মানুষ হত্যা করা হয়।
রোহিঙ্গা পরিস্থিতি ও তাদের প্রত্যাবাসন সম্পর্কে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, প্রত্যাবাসন বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে না, কারণ এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে অনেক অংশীদার জড়িত।
আরও পড়ুন: বিএনপি আন্ডারগ্রাউন্ড সংগঠনে রূপান্তরিত হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
মোমেন বলেন, রোহিঙ্গারা তাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে ইচ্ছুক।
তিনি বলেন, ‘একটা সমস্যা আছে। অনেকেই তাদের প্রত্যাবাসন চায় না।’
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সম্পর্ক খুবই আন্তরিক।
ড. মোমেন বলেন, সারাদেশে নির্বাচনের ঢেউ বইছে এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন মানেই জনগণের অংশগ্রহণ।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মতো বন্ধুপ্রতীম দেশগুলো বাংলাদেশকে পরামর্শ দেয় এবং যেসব পরামর্শ দেশের জন্য ভালো মনে হয় বাংলাদেশ সেসব পরামর্শ গ্রহণ করে।
আরও পড়ুন: স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিষয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের সুযোগ নেই: কাদের
৭৪৭ দিন আগে
বিএনপি নেতা-কর্মীদের ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ বিচারকের মাধ্যমে শাস্তি দিচ্ছে সরকার: রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিএনপিকে নির্মূল করার জন্য সরকার ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ বিচারকদের মাধ্যমে তড়িঘড়ি করে বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের সাজা দিচ্ছে।
রাজধানীর বাংলামোটর এলাকায় আকস্মিক সমাবেশে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, বিএনপি নেতা-কর্মীদের কারারুদ্ধ করে সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা রিজভীর সমাবেশ থেকে গাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ পিকেটারদের
তিনি আরও বলেন, বিএনপি নেতৃত্বকে নিশ্চিহ্ন
করতে সরকার ক্যাঙ্গারু কোর্ট স্থাপন করেছে। সেখানে দিন-রাত চলছে কাল্পনিক মামলার বিচার। পুলিশ কাল্পনিক মামলা দায়ের করছে এবং তারা সাক্ষ্যও দিচ্ছে।
তিনি বলেন, কিছু ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ বিচারক আইন উপেক্ষা করে প্রহসনমূলক বিচারের নামে বিএনপি ও বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে একের পর এক রায় দিচ্ছেন। আমরা বলতে চাই, এই অবৈধ ও ফ্যাসিবাদী সরকারের নির্দেশিত রায় ও সাজা দিয়ে টিকে থাকতে পারবে না।
রিজভী বলেন, বিভিন্ন ‘মিথ্যা’ মামলায় বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করে নির্বাচনী মাঠ থেকে নির্মূল করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তারাই (ক্ষমতাসীন দল) শুধু মাঠে আছে। এক সময় রিটার্নিং কর্মকর্তারা ডামি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে। এরপর আপিল করে বাতিল হওয়া সব মনোনয়নপত্র বৈধ করছে।’
তিনি অভিযোগ করেন- সরকার ও নির্বাচন কমিশন অনেক স্বতন্ত্র ও ডামি প্রার্থী দিয়ে নির্বাচনের নামে খেলা করছে।
তিনি বলেন, ‘এসব করে কোনো লাভ হবে না, কারণ জনগণ সরকারের সব নীল নকশা ধরে ফেলেছে। মানুষ জেগে উঠেছে এবং রাস্তায় নেমে এসেছে। দেশের জনগণ সরকারের আসন ভাগাভাগির নির্বাচন প্রতিহত করবে।’
বিরোধী দলের ৩৬ ঘণ্টার অবরোধের সমর্থনে সকাল ৭টার দিকে যুবদল ও ছাত্রদলের ২০-২৫ জন নেতা-কর্মীকে নিয়ে বাংলামোটর এলাকায় আকস্মিক মিছিল বের করেন রিজভী।
তারা অবরোধের পক্ষে এবং ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের তফসিলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
রাজধানীর ধানমন্ডি, তেজগাঁও, মিরপুর, যাত্রাবাড়ী, কারওয়ান বাজার, বনানী, ঝিগাতলা, দৈনিক বাংলা, ফকিরাপুল, খিলগাঁও, আরামবাগ, মগবাজার, সেগুনবাগ, সেন্ট্রাল রোড, রামপুরাসহ বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা আকস্মিক মিছিল বের করে।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে সারাদেশে ৩৬ ঘণ্টার সড়ক-রেল-নৌপথ অবরোধ করেছে বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলো।
গত ৩১ অক্টোবর থেকে বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর ডাকা এটি ছিল ১১তম অবরোধ।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা-কর্মীরা কারাগারে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন: রিজভী
আগামী ১০ ডিসেম্বর মানববন্ধন করবে বিএনপি: রিজভী
৭৪৭ দিন আগে
বিএনপি আন্ডারগ্রাউন্ড সংগঠনে রূপান্তরিত হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, অগ্নিসন্ত্রাস, নৈরাজ্যের নেতৃত্ব দিয়ে আজকে তারেক রহমান বিএনপিকে একটি আন্ডারগ্রাউন্ড দলে, সন্ত্রাসী সংগঠনে রূপান্তরিত করেছে। আর সেটার সামাজিক ও রাজনৈতিক যন্ত্রণা ভোগ করছে বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত তাদের জনসমর্থন হারিয়ে এখন পলাতক দল। তারা গুপ্ত স্থান থেকে আন্দোলনের ডাক দেয় আর গাড়ি-ঘোড়াতে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে। প্রকৃত অর্থেই বিএনপি-জামাত এখন আন্ডারগ্রাউন্ড সংগঠনে রূপান্তরিত হয়েছে। পুলিশ কিংবা আওয়ামী লীগ বিএনপির কার্যালয়ে তালা লাগায়নি, সরকার তালা লাগায়নি, তারা নিজেরাই তালা লাগিয়েছে। তাদের অফিসে তালা খোলার জন্য যারা একটা মানুষ খুঁজে পায় না, তারা আবার সরকার পতন ঘটাবে!
আরও পড়ুন: মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীরাই মানবাধিকারের কথা বলে, প্রেসক্রিপশন দেয়: তথ্যমন্ত্রী
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ‘বিএনপি-জামায়াতের মানবাধিকার লঙ্ঘন ও অগ্নিসন্ত্রাসের প্রতিবাদ ও বিচার দাবিতে মানববন্ধন’ শীর্ষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের অনেক বিএনপি নেতার সঙ্গে বিমানবন্দরে, ট্রেন স্টেশনে, বিয়ে-সাদিতে দেখা হয়, তখন তাদের জিজ্ঞাস করি, ভাই আপনারা কী করছেন? তারা বলেন সব ওনার ইচ্ছা, লন্ডনে যে আছেন ওনার ইচ্ছা। অর্থাৎ বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য এক তারেক রহমানই যথেষ্ট আর কারো দরকার নেই। পৃথিবীর কোথাও গত দুই-তিন দশকে রাজনীতির দাবি-দাওয়া আদায়ের জন্য গুপ্ত স্থান থেকে চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়নি, যেটি বিএনপি আজকে করছে। এই বিএনপির জন্য আবার কেউ কেউ মায়াকান্না করে।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, জামায়াতে ইসলামী স্লোগান দেয় আল্লাহর আইন চাই, সৎ লোকের শাসন চাই। আর আজকে ফিলিস্তিনে হাজার হাজার নারী-শিশুসহ মুসলমানদের যে হত্যা করা হচ্ছে তার কোনো প্রতিবাদ তারা করেনি। বিএনপিও করেনি। বিএনপি-জামায়াত আজ শুধু ইসলামের শত্রু নয়, মানবতার শত্রুতে রূপান্তরিত হয়েছে। কারণ ফিলিস্তিনে শুধু মুসলমানরাই নয়, বহু খ্রিস্টানও ইসরাইলি বাহিনীর হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে, ৭টি গির্জা ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। আর এটির বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামী আর বিএনপি কোনো কথা বলে না। যারা নির্যাতন-হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করছে, বিএনপি-জামায়াত তাদের পক্ষ অবলম্বন করেছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রও নরম সুরে বলেছে এইভাবে সাধারণ মানুষকে হত্যা করা ঠিক হচ্ছে না। কিন্তু বিএনপি এই কথা বলতেও ব্যর্থ হয়েছে। এরা আবার রাজনীতি করে।
আরও পড়ুন: ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ কয়েকটি সংস্থা ও দেশ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি পীর সাহেবদের সম্মান করি, আমার বাপ-দাদাও সম্মান করতেন, আমিও করি, কারণ এই দেশে ইসলাম কায়েম হয়েছে পীর-আউলিয়াদের মাধ্যমে। দুই-একজন পীর সাহেব সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলে, কিন্তু ফিলিস্তিনে যে আজকে মানুষ হত্যা হচ্ছে সেটির বিরুদ্ধে মিছিল পর্যন্ত করতে পারেনি। তারা একটি ঘুষির প্রতিবাদে সারাদেশে মিছিল করে, আর ঐদিকে যে হাজার হাজার মানুষকে, নারী ও শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে সেটির জন্য একটা মিছিল বের করতে পারে না। আমি প্রার্থনা করি এই পীর সাহেবদের যেন আল্লাহ হেদায়েত করেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি-জামায়াত ভেবেছিল নির্বাচন আমরা করতে পারব কী পারব না। এখন বুঝতে পেরেছে যে উৎসবমুখর পরিবেশে জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণে নির্বাচন হয়ে যাচ্ছে। যারা বাতাস দিচ্ছিল তারা বাতাসটা সরিয়ে নিচ্ছে। যারা তলে তলে তাল দিচ্ছিল তারাও বুঝতে পেরেছে এই অপদার্থ বিএনপিকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না। আমরা যদি আবার সরকার গঠন করতে পারি এই আগুনসন্ত্রাসীদের সমূলে উৎপাটন করা হবে। সন্ত্রাসীদের সঙ্গে, আন্ডারগ্রাউন্ড দলের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে না, আলোচনা হয় যারা নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি করে তাদের সঙ্গে। আমি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের রাজপথে থাকতে এবং কোনো আগুনসন্ত্রাসীকে বা সন্ত্রাসের পরিকল্পনাকারীকে দেখলে পুলিশে সোপর্দ করতে আহ্বান জানাবে।
আরও পড়ুন: এক সপ্তাহের মধ্যেই পেঁয়াজের দাম কমবে: তথ্যমন্ত্রী
৭৪৭ দিন আগে
জিএম কাদেরের সঙ্গে নির্বাচনী জোট না করতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ রওশনের
আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের সঙ্গে নির্বাচনী জোট না করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনুরোধ করেছেন দলটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও কো-চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদ।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন: ২৮৯ আসনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ জাপার
তিনি অভিযোগ করে বলেন, জিএম কাদের অবৈধভাবে জাতীয় পার্টির নেতৃত্ব দখল করেছেন। সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে সুকৌশলে আমাকে বাদ দিয়েছেন। আমার সন্তান এরশাদ পুত্র সাদ এরশাদ ও দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সরিয়ে দলের মধ্যে ক্যু করে নেতৃত্ব গ্রহণ করেছেন তিনি। আমরা প্রধানমন্ত্রীকে সব বিষয় জানিয়েছি।
আরও পড়ুন: জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিতে কাজ করছে জাপা: চুন্নু
দেশবাসীর কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেছেন বলেও জানান তিনি।
রওশন বলেন, খণ্ডিত জাতীয় পার্টি ও গোলাম কাদেরের সঙ্গে কোনো নির্বাচনী জোট না করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছি।
তিনি বলেন, দ্বাদশ নির্বাচন অধিক গ্রহণযোগ্য করার জন্য সারাদেশে প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে অনুরোধ করেছি।
আরও পড়ুন: গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রওশনের সাক্ষাৎ
৭৪৭ দিন আগে
জাতীয় নির্বাচন: আরও ৬১ প্রার্থীকে বৈধ ঘোষণা করল ইসি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধদের করা ৯৮টি আবেদনের শুনানি শেষে মঙ্গলবার আরও ৬১ জনকে বৈধ প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
রিটার্নিং কর্মকর্তাদের (আরও) মনোনয়নপত্র বাতিল বা গ্রহণের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিলের শুনানি ও নিষ্পত্তি রবিবার (১০ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হওয়ার পর থেকে আজ ৬১ জনসহ প্রথম তিন দিনে মোট ১৬৮ জন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে শুনানি শেষে ৩৫টি আবেদন নাকচ করে দেয়।
ইসি প্রথম তিন দিনে এ পর্যন্ত ২৯১টি আপিল শুনানি করেছে এবং ২৭৬টি পিটিশনের ওপর সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং ১৫টি আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছে। ৯ জন আবেদনকারী শুনানিতে হাজির হননি।
প্রার্থিতা নিয়ে ইসির সিদ্ধান্তেও কেউ সংক্ষুব্ধ হলে তা চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: ৫ দিনে ইসিতে ৫৬০ প্রার্থীর আপিল
কমিশন ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে আবেদনগুলোর শুনানি ও নিষ্পত্তি করবে। কারণ মোট ৫৬১ জন সংক্ষুব্ধ প্রার্থী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেছেন।
তাদের অধিকাংশই মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে এবং কমপক্ষে ৩০ জন মনোনয়নপত্র গ্রহণের বিরুদ্ধে আবেদন করেছেন।
এর আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০টি আসনে স্বতন্ত্র ৭৪৭ জনসহ মোট ২ হাজার ৭১৬ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন।
নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৯টি দল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। অপরদিকে আরেকটি প্রধান দল বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল এই নির্বাচন বর্জন করছে।
আরও পড়ুন: মাহি বি, হিরো আলমসহ ৫৬ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন
কিন্তু রিটার্নিং কর্মকর্তারা ১-৪ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাইয়ের সময় ১ হাজার ৯৮৫ সালের মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন এবং ৭৩১ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।
৭৩১টি মনোনয়নপত্রের বেশিরভাগই তিনটি কারণে বাতিল করা হয়েছিল - স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জমা দেওয়া ১ শতাংশ ভোটারের সইয়ের অসামঞ্জস্যতা, ঋণ ও ইউটিলিটি বিল খেলাপি এবং দ্বৈত নাগরিকত্ব।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর এবং প্রার্থীরা ভোটগ্রহণের ৪৮ ঘণ্টা আগে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ৫ জানুয়ারি (সকাল ৮টা) পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচার চালাতে পারবেন। ৭ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ চলবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের পুনঃতফসিল চেয়ে ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশের রিট আবেদন
৭৪৭ দিন আগে
গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রওশনের সাক্ষাৎ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) বিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম সাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে দুই নেতার মধ্যে আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে ইসি তার কথা রাখবে: জাপা
প্রধানমন্ত্রী তার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে এবং দেশের জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নির্বাচনে অংশ নেবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, মশিউর রহমান রাঙ্গা, রওশনের ছেলে রাহগীর আলমাহে এরশাদ (সাদ এরশাদ), তার মুখপাত্র কাজী মামুনুর রশীদ এবং সাদের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন: ২৮৯ আসনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ জাপার
৭৪৭ দিন আগে
স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিষয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের সুযোগ নেই: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জোটের শরিকদের আপত্তি ও দলীয় প্রার্থীদের অস্বস্তি সত্ত্বেও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কোনো সম্ভাবনা নেই।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের একথা বলেন।
তিনি বলেন, 'প্রতিযোগিতার কোনো বিকল্প নেই এবং বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচনের কোনো সুযোগ নেই।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি দেশের নির্বাচন ও গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে, তাই গণতন্ত্র সংকটে পড়েছে দেশ।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার দিবসে দেশে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চক্রান্ত হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
যারা সহিংসতা, ষড়যন্ত্র ও সন্ত্রাসের মাধ্যমে ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।
তিনি বলেন, কিছু লোক ও বিএনপির মতো কিছু দল বিদেশিদের কাছে দেশের বদনাম করে। তাদের অবরোধ মানে বাসে আগুন দেওয়া এবং গুপ্ত হামলা করা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী দায়িত্ব পালনে আওয়ামী লীগের কোনো আপত্তি নেই। তবে আওয়ামী লীগ সব ইস্যুতে সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার পক্ষে নয়।
আরও পড়ুন: ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ কয়েকটি সংস্থা ও দেশ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে: তথ্যমন্ত্রী
৭৪৭ দিন আগে
বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলের ডাকা ১১ দফায় অবরোধ চলছে
বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর ডাকা দেশব্যাপী আরেকটি সড়ক-রেল-নৌপথ অবরোধ চলছে।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষিত আগামী জাতীয় নির্বাচনের তফসিলের প্রতিবাদে ৩৬ ঘণ্টার এই অবরোধ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
৩১ অক্টোবর থেকে বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর ডাকা এটি ১১ দফায় অবরোধ কর্মসূচি। আজ মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া অবরোধ শেষ হবে বুধবার সন্ধ্যা ৬টায়।
উত্তেজনা ও অগ্নিসংযোগের আশঙ্কা সত্ত্বেও ঢাকার সড়কে গণপরিবহন ও যাত্রীদের উপস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার থেকে বিএনপির ৩৬ ঘণ্টার অবরোধ
এদিকে সোমবার রাতে রাজধানীর টিকাটুলি ও মোহাম্মদপুর এলাকায় দু’টি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফাজ্জল হোসেন জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে মিডলাইন পরিবহনের একটি বাসে আগুন দিয়ে পালানোর সময় ২ জনকে আটক করা হয়।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সদস্যদের সড়কে টহল দিতে দেখা গেছে এবং ঢাকার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে তাদের মোতায়েন করা হয়েছে।
গণমাধ্যমের যানবাহন, অ্যাম্বুলেন্স এবং অক্সিজেন সিলিন্ডার ও ওষুধ বহনকারী যানবাহন অবরোধের আওতা বহির্ভূত থাকবে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন আয়োজনের দাবিতে বিএনপিসহ সমমনা বিরোধী দলগুলো অবরোধ কর্মসূচি পালন করে আসছে।
আরও পড়ুন: ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ: র্যাবের ৪১৮ টহল দল মোতায়েন
২৮ অক্টোবর থেকে অবরোধ-হরতালে ২৬৭টি অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে: ফায়ার সার্ভিস
৭৪৮ দিন আগে
বিএনপি নেতা-কর্মীরা কারাগারে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন: রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিরোধী দলের সক্রিয় নেতা-কর্মীদের দমন করতে কারাগারের ভেতরে ও বাইরে নানাভাবে অমানবিক নির্যাতন করা হচ্ছে। কারাবন্দিদের ওপর অবর্ণনীয় ও নৃশংস নির্যাতন করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা রিজভীর সমাবেশ থেকে গাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ পিকেটারদের
ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি আরও বলেন, কারাবন্দি বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করে হত্যা করা হচ্ছে। অসুস্থ বন্দিদের হাসপাতালে না পাঠিয়ে হাত-পায়ে শিকল দিয়ে কারাগারে রেখে দেওয়া হচ্ছে।
বিএনপির এ নেতা বলেন, বিএনপির কারাবন্দি নেতা-কর্মীদের দিন-রাত কারাগারে দমবন্ধ কক্ষে আটকে রাখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘তাদের অসুস্থতার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। অত্যন্ত নিম্নমানের খাবার দিয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে... বন্দিদের মৃত্যুর পর সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দায় এড়াতে গল্প তৈরি করছে।’
রিজভী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, কারা হেফাজতে মৃত্যুর দায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কারা কর্মকর্তারা এড়াতে পারবেন না। প্রতিটি মৃত্যু ও হত্যার জন্য তাদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
ব্রিটিশ সংবাদপত্র গার্ডিয়ানের সাম্প্রতিক ‘Full prison and false charges: Bangladesh opposition faces pre-election crackdown' শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, সরকার কীভাবে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর জুলুম ও কারারুদ্ধ করছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশের ৬৮টি কারাগারে ৪৩ হাজারেরও কম বন্দি রাখার সক্ষমতা থাকলেও বর্তমানে এসব কারাগারে প্রায় ৮৮ হাজার বন্দি রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘অবৈধ দখলদার সরকার পুরো দেশকে নরকে পরিণত করেছে ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য। বাড়ির বাইরে কোথাও মানুষের নিরাপত্তা নেই। দেশের মানুষ অজানা ভয়ের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।’
রিজভী বলেন, কারাগারগুলো মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে এবং কারাগারগুলো হিটলারের গ্যাস চেম্বারের মতো শেখ হাসিনার গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘দেশের ৬৮টি কারাগারের প্রতিটিই টর্চার সেলের মতো, যেখানে রাজনৈতিক বন্দিরা প্রতি মুহূর্তে মৃত্যুর ভয় পায়। সুস্থ নেতা-কর্মীদের মিথ্যা ও কাল্পনিক মামলায় নির্যাতন করে কারাগারে নিক্ষেপ করা হচ্ছে এবং লাশের মতো বের করে আনা হচ্ছে।’
গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বিএনপি নেতা বলেন, এ বছর বিএনপি নেতা-কর্মীসহ প্রায় ১০০ জন কারাগারে মারা গেছেন।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার জন্য সরকারের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, পেঁয়াজ, রসুন, মসুর ডাল ও চালের দাম নিয়ে দেশে নৈরাজ্য চলছে।
তিনি বলেন, সরকারি কর্তৃপক্ষের কোনো তদারকি না থাকায় ব্যবসায়ীরা সব নিয়ম-কানুন উপেক্ষা করে তাদের ইচ্ছানুযায়ী পণ্যের দাম নির্ধারণ করছেন। সরকারের যদি জনগণের ভোটের প্রয়োজন হতো, তাহলে তারা বাজারের নিয়ন্ত্রণ তার দলের ব্যবসায়ীদের হাতে ছেড়ে দিত না।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতারা কারাগারে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার: রিজভী
আগামী ১০ ডিসেম্বর মানববন্ধন করবে বিএনপি: রিজভী
৭৪৮ দিন আগে