রাজনীতি
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব নির্বাচনে সালাউদ্দিন রেজা ও দেবদুলাল সভাপতি-সা. সম্পাদক নির্বাচিত
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে (২০২২-২৩) সভাপতি পদে সালাউদ্দিন মো. রেজা ও সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক নির্বাচিত হয়েছেন।
শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণের পর রাত ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতি ওমর কায়সার।
সভাপতি পদে দৈনিক ইত্তেফাকের ব্যুরো প্রধান সালাউদ্দিন মো. রেজা, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে চ্যানেল আইয়ের ব্যুরো প্রধান ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী ও সহ সভাপতি পদে এটিএন বাংলার মনজুর কাদের মনজু, সাধারণ সম্পাদক পদে দৈনিক পূর্বদেশের সহকারী সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক নির্বাচিত হন।
আরও পড়ুন: ভোলা প্রেসক্লাব নির্বাচন: সভাপতি হাবিবুর ও সম্পাদক অমিতাভ অপু
যুগ্ম সম্পাদক পদে দৈনিক যুগান্তরের ব্যুরো প্রধান শহীদুল্লাহ শাহরিয়ার,অর্থ সম্পাদক পদে ফটোসাংবাদিক রাশেদ মাহমুদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে দৈনিক সমকালের সহ সম্পাদক নাসির উদ্দিন হায়দার,ক্রীড়া সম্পাদক পদে বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সিনিয়র ফটো করেসপন্ডেন্ট সোহেল সরওয়ার, গ্রন্থাগার সম্পাদক পদে দৈনিক সমকালের প্রতিবেদক কুতু্ব উদ্দিন, সমাজসেবা ও আপ্যায়ন সম্পাদক পদে বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট আল রাহমান প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে বিজয়ী খোরশেদুল আলম শামীম নির্বাচিত হন।
এছাড়াও, চারটি সদস্য পদে সিনিয়র সাংবাদিক জসীম চৌধুরী সবুজ, দৈনিক জনকন্ঠের উপসম্পাদক মোয়াজ্জেমুল হক, আইয়ূব আলী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মঞ্জুরুল আলম নির্বাচিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ের বোদা পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার বিপুল ভোটে জয়
ফরিদপুরে এক পৌরসভা ও তিন ইউপি নির্বাচনে নৌকার পরাজয়
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব মারা গেছেন
সিনিয়র আইনজীবী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন ৮৪ বছর বয়সে মারা গেছেন।
শনিবার রাতে এভারকেয়ার হাসপাতালে মারা যান তিনি। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য সাইরুল কবির খান জানান, রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে হাসপাতালে মাহবুব মারা যান।
বুধবার শ্বাসকষ্ট নিয়ে সেখানে ভর্তি হওয়ার একদিন পর বিএনপি নেতাকে এভারকেয়ারে ভেন্টিলেটরে রাখা হয় বলে জানান শায়রুল।
খন্দকার মাহবুব বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাবেক সহ-সভাপতি ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ছিলেন। এছাড়া বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবীও ছিলেন তিনি।
অভিমানে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেছেন ৫ বারের সাংসদ সাত্তার
জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগের পর এবার দলে গুরুত্ব না পাওয়ায় অভিমানে বিএনপির পদও ছাড়লেন আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া।তিনি বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ছিলেন।
বৃহস্পতিবার রাতে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তাঁর ছেলে মাঈনুল হাসান ভূঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। ১১ ডিসেম্বর তিনি জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন: যুগপৎ আন্দোলন: বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি গঠন
১ ফেব্রুয়ারি এই শূন্য আসনে উপনির্বাচন হবে।
আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া বিএনপির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দলটির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তিনি পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
একবার টেকনোক্র্যাট হিসেবে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
পারিবারিক সূত্র জানায়, ১৯৭৯ সালে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে বিএনপির টিকেটে দুইবার এমপি নির্বাচিত হন।
২০০১ সালের নির্বাচনে জোটকে আসনটি ছেড়ে দিলে টেকনোক্রেট কোটায় তিনি তিন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন।
জীবনের বেশির ভাগ সময় রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে থাকা উকিল সাত্তার এখন বয়সের ভারে ন্যুজ্ব।
এ ব্যাপারে তার ছেলে বলেন, দল বর্তমানে উনাকে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছেন না। দলীয় গুরুত্বপূর্ণ কোন সিদ্ধান্ত নিতে উনাকে ডাকছেন না। কিছু জিজ্ঞেস করছেন না। দলের কর্মকাণ্ডে মনে হচ্ছে উনার আর প্রয়োজন নেই।
তাই তিনি নিরিবিলি থাকাটাই শ্রেয় মনে করেছেন। এছাড়া তিনি পরিবারসহ সকল আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে পরামর্শ করেই দল থেকে পদত্যাগ করেছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তুষার বলেন, বাবা আসন্ন উপনির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবেন কিনা এই বিষয়ে আমরা ভাবছি না।
এদিকে প্রবীণ এই নেতা দল থেকে পদত্যাগের গুঞ্জন উঠেছে তিনি আওয়ামীলীগের যোগদান করে আসন্ন সরাইল-আশুগঞ্জ উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার বলেন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী পাঁচ বারের সাবেক সংসদ সদস্য উকিল আব্দুস সাত্তার ভুইয়া নিঃসন্দেহে একজন জনপ্রিয় ব্যক্তি ও ভাল মানুষ।
তবে তিনি আওয়ামীলীগে যোগদান করে সরাইল-আশুগঞ্জ উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি না বিষয়টি আমার জানা নেই।
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি বলেন, উকিল আব্দুস সাত্তার ভুইয়ার পদত্যাগের বিষয়ে দলীয়ভাবে আমাদের কিছু জানানো হয়নি।
তিনি আওয়ামীলীগে যোগ দিয়ে নির্বাচনে অংশ নিবেন কি না তাও আমি জানিনা।
আরও পড়ুন: ঢাকায় বিএনপিসহ ৩২টি দলের বিশাল শোডাউন সম্মিলিত আন্দোলনে রূপ নেয়
আ'লীগের সতর্কতায় বিএনপির বড় বিশৃঙ্খলার চেষ্টা বিফল: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগের সতর্কতায় বিএনপির বড় বিশৃঙ্খলার চেষ্টা বিফল হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে গণমিছিলের নামে বিএনপি-জামায়াত ঢাকা শহরে একটা বড় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেছিল।
কিন্তু পুরো শহর জুড়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সতর্ক অবস্থানের কারণে তা সম্ভব হয়নি।
তিনি বলেন, এরপরও বিএনপির প্রধান সহযোগী জামায়াতে ইসলামী পুলিশের ওপর হামলা করেছে। পুলিশ বাহিনীর ধৈর্য্যের কারণে তারা সেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারেনি।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য উন্নত দেশগুলোই দায়ী: তথ্যমন্ত্রী
শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরনগরীর দেওয়ানজী পুকুরপাড়ে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ সব কথা বলেন।
'ঢাকায় শুক্রবার বিএনপির গণমিছিল কর্মসুচি থেকে পুলিশের ওপর জামায়াত-শিবিরের হামলার ঘটনা কেন হলো এবং পুলিশের কি প্রস্তুতি ছিল'-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আসলে ১০ ডিসেম্বর বিএনপি বুঝতে পেরেছে তাদের সঙ্গে জনগণ নেই। দশ লাখ মানুষের সমাবেশ করবে বলে তারা সেখানে বড়জোর ৫০-৬০ হাজার মানুষ জমায়েত করতে পেরেছে। এরপর থেকেই বিএনপি আসলে হতাশ।
এছাড়া তাদের রাজনীতি পুরোটাই ষড়যন্ত্রের ওপর নির্ভরশীল। সেই কারণেই তারা একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, 'বিএনপি বিদেশিদের পদলেহন করার নীতি অবলম্বন করেছে। সেটি করেও কোনও লাভ হয়নি। তারা যেভাবে মনে করেছিল বিভিন্ন রাষ্ট্র বা দূতাবাসের কর্মকর্তারা তাদের পক্ষে নানা ধরনের কথা বলবেন, আপনারাও দেখতে পারছেন, সেটি হয় নাই।'
ড. হাছান বলেন, 'তাদের (বিএনপি) রাজনীতিটা একই জায়গায় ঘুরপাক খাচ্ছে- দেশে একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করা। দেশের জনগণ সেটা কোনোভাবেই হতে দেবে না। বিশৃঙ্খলা তৈরি করার উদ্দেশ্যেই তারা নানা ধরনের কর্মসূচি দিয়েছে।
সেই কর্মসূচিতে তাদের কর্মীদের যেভাবে আশা করেছিল সেভাবে হয়নি। তাদের রাজনীতি সেই একই জায়গায় আছে। গত ১০ ডিসেম্বরও তারা গাড়িতে আগুন দিয়েছে। এখনও সুযোগ পেলে একই কাজ করবে। তারা সেখান থেকে সরে আসতে পারেনি। তাদের উদ্দেশ্যই হচ্ছে বিশৃঙ্খলা তৈরি করা।'
বিএনপিকে মোকাবিলার প্রশ্নে তিনি বলেন, '২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে বিএনপির নাশকতা মোকাবিলা করেছি। বিএনপি কি করতে চায়, কতটুকু করতে পারে আমরা জানি। সেটা মোকাবিলা করার জন্য জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কি করতে হবে সেটাও আমরা জানি। সুতরাং বিএনপি সেই পুরনো পরিস্থিতি আর কখনো সৃষ্টি করতে পারবে না।'
আরও পড়ুন: সাপের মতো খোলস বদলায় বিএনপি জোট: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির ডাকা গণমিছিল গাঁধার ডিম পাড়ার মতো হবে: তথ্যমন্ত্রী
বিশ্বের কোথায়ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নেই: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিশ্বের কোথায়ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নেই। সুতরাং সেই দিকে যাওয়ার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, দেশে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের মানুষ বাঁচানোই আমাদের প্রধান এজেন্ডা।
শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফেনীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেছেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করতে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হটানোর জন্য অতি বাম, অতি ডান মিলে-মিশে একাট্টা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশ্বের অনেক উন্নত দেশের তুলনায় আমরা উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে ভালো আছি।
আরও পড়ুন: আ. লীগকে আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই: ওবায়দুল কাদের
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাকায় আমরা ধৈর্যহারা হইনি। পথ হারাইনি।
তিনি বলেন, আন্দোলনের নামে বিএনপির মাঠে সংঘাত করে লাভ নেই। নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে।
এছাড়া সরকার শুধু রুটিন ওয়ার্ক করবে। নির্বাচনে সরকারের কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ থাকবে না।
মন্ত্রী বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনও সুযোগ নেই। বিএনপি-জামায়াতের সরকার পতনের স্বপ্ন সফল হবে না। এছাড়া আমরা বিশ্বাস করি তারা নির্বাচনে আসবে, সব নিবন্ধিত দলকে আমরা স্বাগত জানাই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা বৈশ্বিক পরিস্থিতির প্রতিক্রিয়ার সম্পর্কে বলেছি। সম্পদকে সম্ভাবনার রূপ দিতে কাজ করছি। আমাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ। বিশ্ব সংকটকালে জ্বালানি, ডলার, রিজার্ভ নিয়ে আমরা ভাবছি। পাকিস্তানে রিজার্ভ ৯ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।
সে তুলনায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি সংকটেও দিশেহারা হইনি আমরা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছি।
এসময় তিনি রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বলেন, আমরা অশান্তি ও সংঘাত চাইনা। কাউকে উস্কানি দিতে চাইনা। বিএনপিসহ ৩৩ দলের গণমিছিল কর্মসূচি হয়েছে। ওই ৩৩ দল ঢাল নেই, তলোয়ার নেই, নিধিরাম সর্দার অবস্থার দল।
এছাড়া নিবন্ধিত সকল দলকে আমি নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য স্বাগত জানাই।
কুটনৈতিকদের বিষয়ে তিনি বলেন, জেনেভা কনভেনশনের আলোকে কুটনৈতিকরা দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মাথা ঘামাতে পারেন না। আমরাতো কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মাথা ঘামাই না।
এছাড়া আমাদের দেশের বিষযে বলার আগে নিজেদের দিকে তাকানো উচিত।
রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, রংপুরের কথাটা আলাদা, সেখানে এরশাদ সাহেবের প্রভাব আছে। তাদের প্রার্থীও প্রভাবশালী। আমরা একজন নারীকে মনোনয়ন দিয়েছি। দলের অনেকে তার জন্য ভালোভাবে কাজ করেনি। সবকিছু মিলিয়ে আমাদের প্রার্থী কম ভোট পেয়েছে। শোচনীয় পরাজয় হয়েছে। এটা নিয়ে আমরা তদন্ত কমিটি করেছি। আমরা বলবো গণতন্ত্রের বিপ্লব হয়েছে। সুষ্ঠু ভোট হয়েছে।
এছাড়া রংপুরের বিষয় এনে জাতীয় নির্বাচনের ভবিষ্যতবাণী করা যাবে না। হারজিত থাকবে। এটা ভোটের প্রক্রিয়া।
তিনি বলেন, ঢাকা শহরে রিকশায় উঠলেই ২০ টাকা লাগে। তাহলে মোট্রেলের বাড়া বেশি হলো কিভাবে। আমাদের কিছু বলার আগে নিজের চেহারা আয়নায় দেখুন। আপনাদের আজিজ কমিশন এক কোটি ২০ লাখ ভুয়া ভোটার করেছিল। সেটি কেউ ভুলেনি।
তিনি জামায়াতের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, জামায়াত সহিংসতা করলে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা বসে থাকবেনা। তারা সমুচিত জবাব দেবে।
শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ওবায়দুল কাদের হেলিকপ্টার যোগে ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজে অবতরণ করেন।
এ সময় ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারীর নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে ওবায়দুল কাদেরকে অভিনন্দন জানান।
এ সময় জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ উল হাসান, পুলিশ সুপার জাকির হাসান, ফেনী পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজি, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট হাফেজ আহাম্মদসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতাবিরোধীরা এখনো সক্রিয়: ওবায়দুল কাদের
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কেনো বিএনপির অপছন্দ: ওবায়দুল কাদের
সাপের মতো খোলস বদলায় বিএনপি জোট: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'সাপ যেমন কিছুদিন পর পর চামড়া-খোলস বদলায়, বিএনপির জোটও কিছু দিন পর পর খোলস বদলায়। কোন সময় বিশ দল হয়, বারো দল হয়, এখন বলছে তেত্রিশ দল।'
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর গুলিস্তানে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলের পক্ষ থেকে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ এ কথা বলেন।
তিনি বলেন 'তেত্রিশ দলের মধ্যে ত্রিশটাকে খুঁজে পাওয়া যাবে কি না সন্দেহ আছে কারণ কয়েকটি হাতে গোনা দল ছাড়া বাকিগুলো আসলে সাইনবোর্ড সর্বস্ব দল'
এসময় বিশৃঙ্খলা করলে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, 'বিএনপির আজকের যে গণমিছিল, এতে মানুষ আতঙ্কিত। তাদের এই গণমিছিলের কর্মসূচিতে ঢাকা শহরের মানুষ আতঙ্কিত।'
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, 'সরকারি দল হিসেবে আমাদের দলের দায়িত্ব হচ্ছে মানুষের পাশে থাকা। দেশে যাতে শান্তি-শৃঙ্খলা-স্থিতিশীলতা কেউ বিনষ্ট করতে না পারে, সেজন্য আমরা মাঠে আছি। কেউ যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালায় এবং তার মিত্ররাও, আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তা প্রতিহত করব।'
তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাংক, যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু করে সমগ্র বিশ্ব আজ প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও ভরসার প্রতীক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবারও জনগণের ভোটে ধস নামানো বিজয়ের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার দেশ পরিচালনায় আসবে।’
ভোটের পরাজয় থেকে আ.লীগের প্রতিকারমূলক পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি কাদেরের
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ২০২৩ সালের নির্বাচনী বছরে পৌর ও ইউনিয়ন পরিষদের শেষ দফা নির্বাচনে একটি বড় ধাক্কার সম্মুখীন হয়েছে- বিশেষ করে রংপুরে।
২৯ ডিসেম্বর রাজশাহীর বাঘা, দিনাজপুরের বিরল, পঞ্চগড়ের বোদা, ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা ও নাটোরের বনপাড়া। বাঘা ও আলফাডাঙ্গায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা পরাজিত হয়েছেন।
৬৬টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের 'বিদ্রোহী' স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অনেকেই বেশি ভোট পেয়েছেন।
এর দুই দিন আগে গত ২৭ ডিসেম্বর রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জয়ী হন জাতীয় পার্টি সমর্থিত প্রার্থী।
মেয়র পদে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৮ ভোট পেয়ে পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন। চমকপ্রদ বিষয় হলো, আওয়ামী লীগ প্রার্থী হোসনে আরা লুৎফা (ডালিয়া) ২২,৩০৬ ভোট পেয়ে দ্বিতীয়, তৃতীয় নয়, চতুর্থ স্থানে রয়েছেন।
রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের ব্যর্থতার পর এক সপ্তাহের মধ্যে বড় ধরনের সাংগঠনিক পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে উপনির্বাচন: আ.লীগের মনোনয়নপত্র নিয়েছেন নায়িকা মাহি
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
কাদের বলেন, ‘রংপুর নির্বাচনে আমরা হস্তক্ষেপ করিনি। আমরা এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করিনি। যেখানে দুর্বলতা আছে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন। অনেক কিছু আছে। সেখানেও জাতীয় পার্টির প্রার্থী এগিয়ে ছিলেন।
‘এক সপ্তাহের মধ্যে রংপুর নির্বাচন নিয়ে আমরা বড় ধরনের সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিচ্ছি। জাতীয় নির্বাচনেও খেলা হবে।’
রাজশাহীর বাঘা পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের 'বিদ্রোহী' আক্কাস আলী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মোট ১২ হাজার ৩৩ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন, যা আ.লীগ প্রার্থী শাহিনুর রহমান পিন্টুর চেয়ে পাঁচ হাজার ৮৪৬ ভোট বেশি।
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় মাত্র একজন আ.লীগ সমর্থিত প্রার্থী নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন, বাকি তিনজন বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছে হেরে গেছেন। আলফাডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আলী আকসাদ মোট চার হাজার ৯৪২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, যেখানে আ.লীগ সমর্থিত প্রার্থী মোঃ সাইফুর রহমান পেয়েছেন মাত্র তিনি হাজার ৬৬০ ভোট।
আরও পড়ুন: বিএনপির ডাকা গণমিছিল গাঁধার ডিম পাড়ার মতো হবে: তথ্যমন্ত্রী
পঞ্চগড়ের বোদা পৌরসভা নির্বাচনে আ.লীগ সমর্থিত প্রার্থী আজাহার আলী মোট ছয় হাজার ৭৪০ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আখতার হোসেন হাসান পেয়েছেন তিন হাজার ৫৯৭ ভোট।
নাটোরে দু’টি পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা জয়লাভ করতে সক্ষম হয়েছে। আরেকটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়লাভ করেছে।
বনপাড়া পৌরসভা নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী কে এম জাকির হোসেন। ১নং জোয়ারী ইউপি নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আলী আকবর ৯ হাজার ২৪৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন এবং তার প্রতিপক্ষ আ.লীগ সমর্থিত প্রার্থী চাঁদ মাহমুদ পেয়েছেন সাত হাজার ৪৪ ভোট।
দিনাজপুর, আ.লীগ সমর্থিত প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র সবুজার সিদ্দিক সাগর দ্বিতীয়বারের মতো বিরল পৌরসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। অন্যদিকে জেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অন্যান্য আ.লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা হেরে গেছেন।
আরও পড়ুন: রংপুরে ভোটের এত ব্যবধান হওয়ার কথা না: কাদের
ঢাকায় বিএনপিসহ ৩২টি দলের বিশাল শোডাউন সম্মিলিত আন্দোলনে রূপ নেয়
বিএনপিসহ ৩২টি সমমনা বিরোধী দল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে শোডাউনের মিছিল করেছে। প্রথম যৌথ কর্মসূচির মাধ্যমে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এটিকে বর্তমান সরকারকে পতনের একটি সম্মিলিত আন্দোলন হিসেবে আখ্যায়িত করা হচ্ছে।
বর্তমান সরকারের পদত্যাগ এবং নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনসহ তাদের ১০ দফা দাবিতে চাপ দেয়ার জন্য তারা তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ হিসাবে ১১ জানুয়ারি সারাদেশে পৃথকভাবে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
এদিকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা একযোগে আন্দোলনের অংশ হিসেবে মিছিল বের করার চেষ্টা করলে নগরীর মালিবাগ, পল্টন ও মতিঝিল এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে জামায়াত নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়, এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়। পুলিশ ইসলামী দলটির কয়েকজন নেতাকর্মীকে আটকও করেছে।
বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে নয়াপল্টনের সামনে থেকে বিশাল মিছিল বের করে বিএনপি। এটি বিজয়নগর, কাকরাইল, শান্তিনগর, মালিবাগ মোড় হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মগবাজারে গিয়ে শেষ হয়।
মিছিল শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আগামী ১১ জানুয়ারি সারাদেশে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ৪ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
৯ ডিসেম্বর মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীরকে গ্রেপ্তারের পর থেকে দলের প্রধান মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির আন্দোলনকে সমর্থন করতে ১২ দলীয় জোট গঠন
মালিবাগে গণমিছিল নিয়ে পুলিশের সঙ্গে জামায়াতের সংঘর্ষ
গণমিছিল করার সময় জামায়াত ও শিবির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। শুক্রবার রাজধানীর মালিবাগে জুম্মার নামাজের পর জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা মিছিল বের করার চেষ্টা করলে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে জানায় পুলিশ।
সংঘর্ষে পুলিশ ও জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় জামায়াত-শিবিরের বেশ কয়েকজন সদস্যকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য বিরোধী দল ও জোট যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেট থেকে একটি গণ মিছিল বের করার জন্য জামায়াতে ইসলামী পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়েছিল। ‘কিন্তু পার্টির অনুমতি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল।’
আরও পড়ুন: যুগপৎ আন্দোলন: ৩৩টি বিরোধী দল রাজধানীতে গণমিছিল বের করবে
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (রমনা বিভাগের) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মো.শাহেন শাহ মাহমুদ বলেন, ‘জামায়াতের লোকজন মালিবাগে পুলিশের অনুমতি ছাড়াই একটি গণমিছিল করার চেষ্টা করে। পুলিশ জামায়াতের লোকদের মিছিল না করতে বললে তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কথায় কর্ণপাত করেনি, সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জামায়াত-শিবিরের লোকজন পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।’ পরে ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনকে আটক করে সংশ্লিষ্ট থানায় নিয়ে আসা হয়।
২০১৮ সালের এই দিনে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি এবং অন্যান্য বিরোধী দল ও জোট ৩০ ডিসেম্বরকে ‘কালো দিবস’ হিসাবে পালন করে।
সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেয়া, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর এবং নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনসহ ১০ দফা দাবিতে আজ রাজধানীতে গণমিছিল কর্মসূচি পালন করেছে তারা।
আরও পড়ুন: যুগপৎ আন্দোলন: ঢাকায় গণতন্ত্র মঞ্চের গণমিছিল
১১ জানুয়ারি অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা গণতন্ত্র মঞ্চের
বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য বিরোধী দল ও জোটের যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে ১১ জানুয়ারি ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগীয় শহরে তিন ঘণ্টার বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সাতটি রাজনৈতিক দলের জোট গণতন্ত্র মঞ্চ।
ভাসানী আনসারী পরিষদের আহ্বায়ক ও জোটের নেতা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল শুক্রবার তাদের গণমিছিল থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, ‘বানোয়াট, মিথ্যা মামলায় কারাবন্দি বেগম খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, প্রতিম দাসসহ বিরোধী দলের শীর্ষ নেতাদের মুক্তির দাবিতে ১১ জানুয়ারি তারা সব বিভাগে গণঅবস্থান করবেন।’
ঢাকায় সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানান বাবুল।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে গণতন্ত্র মঞ্চ মিছিল বের করে।
মিছিলটি পল্টন মোড় ও বিজয় নগর সড়কের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
এদিকে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘এই সরকারের অধীনে কোনো জাতীয় নির্বাচন সম্ভব নয়। এ সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় ভবিষ্যতে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই আমরা বলেছি এই সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হোক। নির্বাচনের আগে এবং তার পরে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করতে হবে। এর বিকল্প নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি ১০ দফা দাবি ঘোষণা করেছে; আমরা ১৪ দফা নিয়ে এসেছি। ইতোমধ্যে একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল একটি আলোচনায় আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে এই দফাগুলো আমাদের যুগপৎ আন্দোলনের ভিত্তি হবে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা জনগণের কাছে এগুলো উপস্থাপন করব।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকি বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচন জাতির জন্য একটি কলঙ্কজনক দিন। এই সরকার রাতের আঁধারে ভোট লুটপাট করে রাষ্ট্রকে বিপর্যস্ত করেছে।
২০১৮ সালের এই দিনে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বার্ষিকী উপলক্ষে ৩০ ডিসেম্বরকে ‘কালো দিবস’ হিসেবে পালন করছে বিএনপি এবং অন্যান্য বিরোধী দল ও জোট।
সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেয়া, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়কের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরসহ ১০ দফা দাবিতে বিএনপিসহ প্রায় ৩৩টি সমমনা রাজনৈতিক দল আজ রাজধানীতে গণমিছিল কর্মসূচি পালন করছে।