রাজনীতি
গাইবান্ধা-৫ শুন্য আসনে উপনির্বাচন ৪ জানুয়ারি
গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ ৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
তিনি জানান, গাইবান্ধা-৫ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন ৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এছাড়া নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠ, নিরপেক্ষে ও শান্তিপুর্ণ।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন ১৫ জানুয়ারির মধ্যে হতে পারে: নির্বাচন কমিশনার
তিনি আরও জানান, যারা নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকবেন তারা নির্বাচনী আচরণ বিধি মেনে চলে অন্যকেও আচরণ বিধি মানতে সহযোগিতা করবেন।
নির্বাচনে কোনো প্রকার ত্রুটি হলে আবারও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জাতীয় সংসদের গাইবান্ধা-৫ শুন্য আসনে নির্বাচন উপলক্ষে মঙ্গলবার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক মো. অলিউর রহমান, পুলিশ সুপার মো. কামাল হোসেন।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন, জাপা প্রার্থী গোলাম শহীদ রন্জু, বিকল্প ধারার প্রার্থী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহবুব রহমান।
পরে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা গাইবান্ধা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত প্রিজাইডিং অফিসারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় যোগ দেন।
গত ২৩ জুলাই জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে শূন্য হয় আসনটি।
১২ অক্টোবর এই আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অনিয়মের অভিযোগ উঠলে নির্বাচন কমিশন সবগুলো কেন্দ্রের ভোট বন্ধ ঘোষণা করেন।
পরে আবারও তদন্তের পর ৪ জানুয়ারি গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা-৫ আসনে উপনির্বাচন ৪ জানুয়ারি: ইসি সচিব
বিএনপির ১০ দফার মূল দাবি সরকারের পতন: মোশাররফ
বিএনপির সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, তাদের দলের ১০ দফার মূল দাবি সরকারের পতন ঘটানো।
তিনি বলেন, ‘সরকার দেশকে যে পরিস্থিতি নিয়েছে সেখান থেকে দেশকে বাঁচাতে আমরা ১০ দফা ঘোষণা করেছি..আসলে ১০ দফার মূল পয়েন্ট হলো সরকারের পতন। এই সরকারের পতন করতে পারলে ১০ দফার সবগুলো পূরণ হবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশ লুটপাট, ভাংচুর করেছে: খন্দকার মোশাররফ
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, দেশের জনগণ ইতোমধ্যে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নেমেছে এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘আমি এখানে (মিটিংয়ে) শুনেছি যে ১১-দলীয় জাতীয়তাবাদী জোট যাত্রা শুরু করেছে। এর আগে ১২টি দল জোট গঠন করে ঘোষণা দেয় এই সরকারের দুঃশাসন থেকে দেশকে বাঁচাবে। এভাবেই গণতন্ত্র মঞ্চ গঠিত হয়েছে।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কারাবন্দি বিরোধী নেতাদের মুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবে এ কর্মসূচির আয়োজন করে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি)।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ বলেন, ১০ দফা কোনো দলের দাবি নয়, জনগণের দাবি। ‘দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে, রাস্তায় নামা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই মানুষের।’
তিনি বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশের সমস্যা সমাধানে সমাজের সর্বস্তরের জনগণ ও সব গণতান্ত্রিক দলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
বিশেষ অভিযানের নামে গত ১৫ দিনে সারাদেশে প্রায় ২৪ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেন বিএনপি নেতা।
মির্জা ফখরুলসহ গ্রেপ্তার বিএনপি নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে সরকারের কাছে দাবি জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় আ.লীগ সরকারকে 'অবশ্যই' ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে: মোশাররফ
১০ ডিসেম্বর জনগণের জয়, পরাজিত সরকার: মোশাররফ
নতুন রাজনৈতিক জোটের ‘জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট’ আত্মপ্রকাশ
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ১১টি দলের সমন্বয়ে ‘জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট’ নামে নতুন একটি রাজনৈতিক প্লাটফর্ম আত্মপ্রকাশ করেছে। সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরদার করতে জোটটি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ও সদ্য আবির্ভূত জোটের সমন্বয়ক ফরিদুজ্জামান ফরহাদ এ ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ: ৮১ জনের নামে মামলা, অজ্ঞাত আসামি ২ হাজার
ফরহাদ বলেন, ‘আমরা (১১টি দল) ঐক্যবদ্ধ হয়ে আজ (বুধবার) জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট গঠন করেছি। এই জোটের নাম জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট।’
তিনি বলেন, গণমানুষের আশা-আকাঙ্খা অনুযায়ী বাংলাদেশ গড়তে এবং দেশের রাজনৈতিক সংকট নিরসনে তারা এই জোট গঠন করেছেন।
এনপিপি নেতা বলেন, ‘দেশের রাষ্ট্রীয় কাঠামো মেরামতের জন্য বিএনপি ঘোষিত ১০ দফা এবং দলের ২৭ দফা দাবিতে আমাদের সমর্থন দিয়ে আমরা যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গে থাকব।’
নতুন ১১-দলীয় জোটের দলগুলো হলো ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি, জাগপা (খন্দকার লুৎফুর), ডেমোক্রেটিক লীগ (ডিএল), বাংলাদেশ ন্যাপ, বিকল্প ধারা (নুরুল আমিন), সাম্যবাদী দল, গণদল, ন্যাপ-ভাসানী, ইসলামী ঐক্যজোট। পিপলস লীগ ও বাংলাদেশ সংখ্যালঘু জনতা পার্টি।
এর আগে ২২ ডিসেম্বর ২০ দলীয় জোটের ১২টি দল নিয়ে '১২ দলীয় জোট' গঠিত হয়।
১২টি দলের মধ্যে রয়েছে জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর), কল্যাণ পার্টি, লেবার পার্টি, জাতীয় দল, বাংলাদেশ এলডিপি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা (তাসমিয়া প্রধান), এনডিপি, এলডিপি (সেলিম), মুসলিম লীগ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, ইসলামী ঐক্যজোট, ইসলামী দল ও সাম্যবাদী দল।
নতুন দু’টি জোটে রয়েছে ইসলামী ঐক্যজোট ও সাম্যবাদী দল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ফরহাদ বলেন, সাম্যবাদী দল ও ইসলামী ঐক্যজোট আমাদের সঙ্গে আছে, তারা এখন আর কোনো জোটে নেই।
তবে সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী ঐক্যজোট ও পিপলস লীগের কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমানুল্লাহ আমান উপস্থিত ছিলেন।
২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল চারদলীয় জোট ২০-দলীয় জোটে সম্প্রসারিত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল দুদকের
যুগপৎ আন্দোলন: বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি গঠন
টানা দ্বিতীয়বার রসিক মেয়র নির্বাচিত জাপার মোস্তাফিজুর রহমান
রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে টানা দ্বিতীয়বারের মতো বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন জাতীয় পার্টি (জাপা) সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মো. মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা।
মঙ্গলবারের নির্বাচনে মোস্তফা এক লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৮টি ভোট পেয়েছেন এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে আমিরুজ্জামান ৪৯ হাজার ৮৯২টি ভোট পেয়েছেন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া থেকে মোস্তফা এগিয়ে ছিল এক লাখ ২৪ হাজার ৪৯২ ভোটের বিশাল ব্যবধানে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী (আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী) লতিফুর রহমান দৌড়ে ৩৩ হাজার ৮৮৩টি ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী।
আরও পড়ুন: রসিক নির্বাচন: শান্তিপূর্ণভাবে ভোট শেষ, গণনা শুরু
মঙ্গলবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে জেলা শিল্পকলা একাডেমি থেকে ভোট গণনা শেষ হলে ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন।
মেয়র পদে ৯ জন প্রার্থীর মধ্যে মোস্তফা ‘লাঙল’ প্রতীক নিয়ে এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরুজ্জামান ‘হাত পাখা’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
রংপুর জাতীয় পার্টির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত, কারণ দলটির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত এইচএম এরশাদ জেলাবাসী ছিলেন।
রিটার্নিং অফিসার বলেন, রসিক নির্বাচনে চার লাখ ২৬ হাজার ৪৭০ জনের মধ্যে দুই লাখ ৭৯ হাজার জনের বেশি ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন, শতকরা হিসাবে যা ৬৫ দশমিক ৮ শতাংশ।
২২৯টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে সকাল ৮ টায় রংপুরে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে রাত সাড়ে ৮ টা পর্যন্ত চলে, তবে বিকাল ৪ টায় শেষ হওয়ার কথা ছিল।
মেয়র পদে ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং ৩৩টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ১৮৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
অন্য মেয়র প্রার্থীরা হলেন- বাংলাদেশ কংগ্রেসের আবু রায়হান, খেলাফত মজলিশের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের শফির রহমান, জাকের পার্টির খোরশেদ আলম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেদী হাসান।
জয়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মোস্তাফিজুর বলেন, এটা তার জয় নয়, কৃতিত্ব নগরবাসীর।
ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে রবিবার মধ্যরাতে শেষ হয়েছে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা।
ভোট কেন্দ্রে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে মোট ২২৯ জন প্রিজাইডিং অফিসার, এক হাজার ৩৪৯ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং দুই হাজার ৬৯৮ জন পোলিং অফিসার তাদের দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন: রসিক নির্বাচন: ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় ভোটগ্রহণ শুরু
২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর প্রথম রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমান মেয়রের মেয়াদ ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে।
এর আগে মঙ্গলবার বিকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ইভিএম ব্যবহারে ধীরগতিতে ভোট চলছে।
ভোট কেন্দ্রে দীর্ঘ সারি থাকায় সন্ধ্যা ৭-৮টা পর্যন্ত ভোট চলতে পারে বলেও জানান তিনি। ভোট বিলম্বের পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কি না তা খতিয়ে দেখবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
তিনি বলেন, ‘ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) কারণে ধীরগতির ভোট গ্রহণের কিছু অভিযোগ আমরা পেয়েছি। তবে কেন্দ্রের সকল ভোটার রাত পর্যন্ত তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।’
নির্বাচন কমিশন কন্ট্রোল রুম থেকে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছে।
আরও পড়ুন: রসিক নির্বাচন: রাত পোহালেই ভোটগ্রহণ
বিএনপির ডাকা গণমিছিল গাঁধার ডিম পাড়ার মতো হবে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, শুক্রবার ৩০ ডিসেম্বর বিএনপির ডাকা গণমিছিল গাঁধার ডিম পাড়ার মতো হবে।
তিনি বলেন, ১০ ডিসেম্বর বিএনপির খেলা দেখেছি। তারা এমন হারা হেরেছে যে আর কি খেলা দেখাবে।
এছাড়া ফেসবুকে দেখেছি গরুর হাটে সমাবেশের পর একটি ঘোড়া তিনটি ডিম পেড়েছে। আমি তো মনে করি ৩০ ডিসেম্বর গাঁধা ডিম পারবে।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: বুদ্ধিজীবী দিবসে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে বিতর্কিত করা হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
একই সঙ্গে জিয়াউর রহমান দেশটাকে কারাগার বানিয়ে ফেলেছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, এখন যারা এর জন্য আওয়ামী লীগকে দোষ দিচ্ছেন তাদেরকে নিজের চেহারা আয়নায় দেখার জন্য পরামর্শ দিচ্ছি।
বিএনপির সিনিয়র নেতা মঈন খান সম্প্রতি বলেছিলেন আওয়ামী লীগ দেশকে কারাগারে পরিণত করতে চায়।
এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, মঈন খান ভুলে গেছেন তার বাবা জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিসভার খাদ্যমন্ত্রী ছিলেন। তখন দেশে কারফিউ দিয়ে রাখা হতো। তখন ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বড় বড় শহরে কারফিউ থাকতো। পুরো শহর যেন কারাগার ছিল।
আজ কি সেই পরিস্থিতি আছে?
তিনি বলেন, আসলে জিয়ার আমলে এ দেশকে কারাগার বানানো হয়েছিল। সে সময় মানুষ রাত ১০ টার পর রাস্তায় বের হতে পারতো না।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, গুম-খুন জিয়া বাংলাদেশে শুরু করেন। আজ মায়ের কান্নার সদস্যরা রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। যাদের পরিবারের সদস্যদের জিয়ার আমলে বিনা বিচারে হত্যা করা হয়েছে। যাদের ১৩/১৪/১৫ সালে খালেদা জিয়ার আহ্বানে আগুনে পুড়িয়ে মেরেছে, তাদের স্বজনদের কান্না বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে।
তাই বিএনপির নেতাদের অনুরোধ জানাবো যে আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখার জন্য।
বিএনপি নেতাদের জামিন সংক্রান্ত বিষয়ে বলেন, বাংলাদেশের আদালত স্বাধীন, যাদের জামিন দেয়া সম্ভব তাদের জামিন দিচ্ছেন।
এছাড়া আমানুল্লাহসহ অনেকেই জামিন পেয়েছেন।
হোটেল সারিনা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, নকশাবহির্ভূতভাবে ১৫ তলার অনুমোদন নিয়ে ২১ তলা বানিয়েছে হোটেল সারিনা। দুদক খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নিয়েছে। যারা আইন প্রণেতা হতে চান, তাদের আইনবহির্ভূত কাজ করা উচিত না।
এমন আরও আছে।
মেট্রোরেলের ভাড়া নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, মেট্রোরেলের মাসিক ভাড়া অনেক কম। যারা প্রতিদিন মোট্রো ব্যবহার করবে তাদের জন্য সুবিধা।
এছাড়া মেট্রোরেল চালু হচ্ছে এটাই অনেক বেশি।
এটির জন্য সারাদেশের মানুষ উন্মুখ হয়ে আছে মেট্রোরেলে চড়ার জন্য। আর আমি তো নিজের এলাকার লোকদের মেট্রোরেলে চাড়াতে চাই৷
আরও পড়ুন: জানাযার সময় ডাণ্ডাবেড়ি ও হাতকড়া খুলে দেয়া উচিৎ ছিল: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি নেতাদের মুখে রাষ্ট্র সংস্কারের কথা হাস্যকর: তথ্যমন্ত্রী
রসিক নির্বাচন: শান্তিপূর্ণভাবে ভোট শেষ, গণনা শুরু
কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই মঙ্গলবার রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৮টায় শুরু হয়ে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে।
ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরপরই শুরু হয় ভোট গণনা।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচনে দুপুর ২টা পর্যন্ত ৪৫ শতাংশ ভোটার তাদের ভোট দিয়েছেন।
নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) কারণে ধীরগতির ভোটদানের কিছু অভিযোগ আমরা পেয়েছি তবে প্রয়োজনে কেন্দ্রের সব ভোটারকে রাত পর্যন্ত তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের অনুমতি দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: রসিক নির্বাচন: রাত পোহালেই ভোটগ্রহণ
নির্বাচন কমিশন (ইসি) কন্ট্রোল রুম থেকে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে।
মেয়র পদে নয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এবং ৩৩টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ১৮৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সংরক্ষিত ১১টি আসনে ৬৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মেয়র প্রার্থীরা হলেন- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরুজ্জামান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের আবু রায়হান, খেলাফত মজলিশের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল, জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের শফির রহমান, আওয়ামী লীগের হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, জাকের পার্টির খোরশেদ আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেহেদী হাসান ও লতিফুর রহমান।
ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে রবিবার মধ্যরাতে শেষ হয়েছে রসিক নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা।
ভোট কেন্দ্রে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে মোট ২২৯ জন প্রিজাইডিং অফিসার, এক হাজার ৩৪৯ সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার এবং দুই হাজার ৬৯৮ জন পোলিং অফিসার তাদের দায়িত্ব পালন করেন।
প্রথম রসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর। বর্তমান মেয়রের মেয়াদ ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে।
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত আহসান হাবীব খান, নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর, নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান, স্কোয়াড্রন লিডার মো. শাহরিয়ার আলম কন্ট্রোল রুমে উপস্থিত থেকে এই নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছেন।
ইসির আইডিইএ প্রকল্পের ডিপিডি কমিউনিকেশন স্কোয়াড্রন লিডার মো. শাহরিয়ার আলম জানিয়েছেন, ২২৯টি কেন্দ্রেই সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
চলতি বছরের গত ১২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণে ব্যাপক অনিয়ম পেলে পুরো নির্বাচন বন্ধ করে দিয়েছিল ইসি। সেই নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণা করেছে ৪ জানুয়ারি।
নির্বাচন কমিশন বলছেন, রসিকে ২০১৭ সালের নির্বাচনে ভোটার ছিল তিন লাখ ৯৩ হাজার ৯৯৪ জন। এবার নতুন ভোটার যুক্ত হয়েছে ৩২ হাজার ৪৭৬ জন। বর্তমানে সিটির ৩৩টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার চার লাখ ২৬ হাজার ৪৭০ জন।
জানা যায়, রসিক নির্বাচনে মোট ভোটার চার লাখ ২৬ হাজার ৪৬৯ জনের মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ১২ হাজার ৩০২ এবং নারী ভোটার দুই লাখ ১৪ হাজার ১৬৭ জন।
আরও পড়ুন: রসিক নির্বাচন: ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় ভোটগ্রহণ শুরু
বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল দুদকের
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দুদক সচিব মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি রাজধানীর শাহজাহানপুর (ডিএমপি) থানায় মামলাটি করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, এই দম্পতি তাদের আয়ের জ্ঞাত উৎসের বাইরে প্রায় ২০ কোটি ৭৫ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন।
আরও পড়ুন: আমীর খসরুসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
কাউন্সিলর মতি ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের অভিযোগপত্র
৩ ইসলামী ব্যাংকের কেলেঙ্কারি তদন্ত করবে দুদক
রসিক নির্বাচন: ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় ভোটগ্রহণ শুরু
রংপুর সিটি করপোরেশনে মঙ্গলবার সকাল থেকে ২২৯টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।
রিটার্নিং অফিসার আব্দুল বাতেন জানান, সকাল ৮টায় শুরু হয়ে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত চলবে।
মেয়র পদে ৯ জন প্রার্থী এবং ৩৩টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ১৮৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সংরক্ষিত ১১টি আসনে ৬৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আরও পড়ুন: রংপুর সিটি নির্বাচন: ভোট কক্ষে ২ জনের বেশি সাংবাদিক নয়
মেয়র পদে প্রার্থীরা হলেন- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আমিরুজ্জামান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. আবু রায়হান, খেলাফত মজলিশের মো. তউহিদুর রহমান মণ্ডল, জাতীয় পার্টির মো. মোস্তাফিজার রহমান, জাতীয় সমাজ তান্ত্রিক দল-জাসদের মো. শফিয়ার রহমান, আওয়ামী লীগের হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, জাকের পার্টির মো. খোরশেদ আলম এবং স্বতন্ত্র মো. লতিফুর রহমান ও মো. মেহেদি হাসান (বনি)।
এবারের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মোট চার লাখ ২৬ হাজার ৪৭০ জন ভোটার ভোট দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, নির্বাচনী বিধিমালা নিশ্চিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আরও পড়ুন: রংপুর সিটি নির্বাচন: আ.লীগের মনোনয়ন পেলেন অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা
ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে রবিবার মধ্যরাতে শেষ হয়েছে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা।
ভোট কেন্দ্রে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে মোট ২২৯ জন অফিসার, এক হাজার ৩৪৯ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও দুই হাজার ৬৯৮ জন পোলিং অফিসার তাদের দায়িত্ব পালন করছেন।
২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর প্রথম রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমান মেয়রের মেয়াদ ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে।
আরও পড়ুন: রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বিস্তারিত তফসিল ঘোষণা
আ.লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মাশরাফি
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হয়েছেন নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।
সোমবার রাতে গণভবনে দলের প্রেসিডিয়াম বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
'নড়াইল এক্সপ্রেস' নামে পরিচিত মাশরাফি একাদশ জাতীয় নির্বাচনে তার স্থানীয় এলাকা নড়াইল-২ আসনে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করেন।
আরও পড়ুন: ক্রিকেটের নির্দিষ্ট বল দিয়েই ক্রিকেট খেলতে হবে: মাশরাফি
নড়াইলের জেলা আ’লীগ কমিটিতে সদস্য মাশরাফি, উপদেষ্টা বাবা
যুগপৎ আন্দোলন: বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি গঠন
যুগপৎ সরকারবিরোধী আন্দোলনে জড়িত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করতে সাত সদস্যের একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করেছে বিএনপি।
সোমবার দলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, লিয়াজোঁ কমিটির সদস্যরা হলেন- দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, মো. শাহজাহান, আবদুল আউয়াল মিন্টু ও যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
গত ২৪ ডিসেম্বর ঢাকা ও রংপুর ছাড়া সারাদেশে গণ-মিছিলের মাধ্যমে একযোগে আন্দোলন শুরু করে বিএনপি।
এর আগে ১০ ডিসেম্বর দলটি যুগপৎ আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ১০ দফা দাবি ঘোষণা করে।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে নিহত ১
এদিকে, যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সমন্বয় করতে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) পাঁচ সদস্যের একটি লিয়াজোঁ কমিটিও গঠন করেছে।
এলডিপি মহাসচিব রেদওয়ান আহমেদকে আহ্বায়ক এবং দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুল আলমকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
অন্য সদস্যরা হলেন- নিয়ামুল বশির, আওরঙ্গজেব বেলাল ও মাহবুব মোর্শেদ।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় আ.লীগ সরকারকে 'অবশ্যই' ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে: মোশাররফ