রাজনীতি
সংস্কার না হলে আমাদের পরিণতিও ভিপি নূরের মতো হবে: হাসনাত
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মূখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, নুরুল হক নুরের ওপর যে আক্রমণ হয়েছে, সেটি একটি ম্যাসেজ (বার্তা)। যদি আমরা এই নিয়ম পরিবর্তন করতে না পারি, তাহলে আমাদের জন্যও একই পরিণতি অপেক্ষা করছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের ছতরপুর স্কুল মাঠে শনিবার (৩০ আগস্ট) রাতে আয়োজিত ‘উঠানে নতুন সংবিধান’ শীর্ষক উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গণপরিষদ নির্বাচন, নতুন সংবিধান, বিচার ও সংস্কারের দাবিতে এনসিপির বিজয়নগর উপজেলা কমিটি এ উঠান বৈঠকের আয়োজন করে।
বৈঠকে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘নুরুল হক নুরের ওপর যে আক্রমণ হয়েছে, সেটি একটি ম্যাসেজ (বার্তা)। তারেক জিয়াকে আমরা দেখেছি মুচলেকা দিয়ে দেশ ছাড়তে হয়েছে। উনাকে নৃশংসভাবে মেরে মাজা (কোমর) ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। খালেদা জিয়ার যে পরিণতি হয়েছিল আমাদের জন্যও একই পরিণতি অপেক্ষা করছে, যদি আমরা এই নিয়ম পরিবর্তন করতে না পারি।’
‘নিয়ম পরিবর্তনের জন্য যেটার নাম আমরা দিয়েছি সংস্কার। এটার জন্য সবাইকে অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বিগত ১৭ বছর বিএনপি, জামায়াতসহ যারাই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ন্যূনতম কথা বলেছে, তাদের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে সেফ হাউজ নামে কারাগারে রেখেছে। এই ধরনের নির্মম কর্মকাণ্ডের পরিবর্তন দেশের মানুষ এখনো দেখে নাই। এ অবস্থায় কোন বিশ্বাস ও ভরসায় দানবীয় ব্যবস্থার কাছে সবকিছু ছেড়ে দেওয়া হবে?’
জামায়াতে ইসলামকে সবচেয়ে ভুক্তভোগী উল্লেখ করে হাসনাত বলেন, ‘১৯৭১-পূর্ববর্তী সময়ের জন্য জামায়াতে ইসলামের অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে যে জুলুম হয়েছে তারও জবাবদিহি করতে হবে। তাই তাদের বলতে চাই, ঐক্যবদ্ধ না হলে আবারো আগের অস্ত্র দিয়ে তাদের দমন-নিপীড়নের শিকার হতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘২৪-পরবর্তী সময়ে আমরা আর কোনো সহিংসতার দিকে ফিরে যেতে চাই না। কারণ সহিংসতা হচ্ছে গণতন্ত্রের শত্রু। তাই আওয়ামী তরিকার রাজনীতি বাদ দিয়ে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থেকে সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।’
এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘আমাদের এখন বলা হয় নির্বাচনবিরোধী। বিএনপি নির্বাচনের জন্য কথা বলছে। আমরা নির্বাচনসহ আরও দুটি বিষয়ের জন্য কথা বলছি। আমরা বলছি, আমাদের নির্বাচনও লাগবে, আবার বিচার ও সংস্কারও লাগবে।’
প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘এই যে পুলিশ আমাদের বিনা বিচারে, বিনা মামলায় ঘর থেকে তুলে নিয়ে যাবে না— এটার ফয়সালা কি হয়েছে? নেওয়ার পরে যে আমাদের পরিবারকে অবগত করবে— এটার ফয়সালা কি হয়েছে? হয়নি তো!’
‘আমরা দেখি একজন মাইক দিয়ে বলে, যদি ধানের শীষ না থাকে প্রয়োজনে আমরা নিজেরাই ব্যালট পেপার ছাপাব। আমি বলছি না যে এটা একটা রাজনৈতিক দলের অবস্থান। আমি বলছি অনেক রাজনৈতিক দলের মনস্তাত্ত্বিক বিষয়টা হচ্ছে এমন। এটা সবাই যে ধারণ করে, তা আমরা বিশ্বাস করতে চাই না।’
এ ছাড়া এনসিপি যেন সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী হয়ে সরকার গঠন করতে পারে, সেজন্য সকলের কাছে দোয়া চান তিনি।
উঠান বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব এস এম সাইফ মোস্তাফিজ ও ডা. মাহমুদা মিতা, দক্ষিণাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মো. আতাউল্লাহ এবং বিজয়নগর উপজেলা কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী আমিনুল হক চৌধুরী প্রমুখ।
১২০ দিন আগে
এনসিপিসহ তিন দলের নেতাদের সঙ্গে আজ প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আজ রবিবার বিকেলে বিএনপি, জামায়াত ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাদের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করবেন। বৈঠকে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কথা হবে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, বিএনপির সঙ্গে বৈঠক হবে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়। তার আগে জামায়াতের সঙ্গে বিকেল সাড়ে ৪টায় এবং এনসিপির সঙ্গে সন্ধ্যা ৬টায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার উপস্থিতিতে সচিবালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শুরু
শুক্রবার রাতে জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় সেনাবাহিনী ও পুলিশের লাঠিচার্জে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর আহত হওয়ার পর দেশজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
প্রায় সব রাজনৈতিক দল এ ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।
১২০ দিন আগে
আগামী নির্বাচনে সমতল জনগোষ্ঠীর সমর্থন চায় বিএনপি: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, জনগণের রায়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে সরকারি চাকরিতে ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর নিয়োগ প্রক্রিয়া আরও কিভাবে সহজ করা যায়—সেগুলো করা হবে। তিনি বলেন, বিএনপি আগামী নির্বাচনে সমতল জনগোষ্ঠীর সমর্থন চায়।
শনিবার (৩০ আগস্ট) বিকালে ময়মনসিংহ টাউন হলের তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত জাতীয়তাবাদী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী দলের প্রথম জাতীয় প্রতিনিধি সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, প্রতিটি জাতি-গোষ্ঠীর নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের প্রতি আমাদের আস্থা ও সম্মান রয়েছে। ভাষার বহুত্ব, সংস্কৃতির বৈচিত্র্য প্রতিটি জাতিগোষ্ঠীর স্বাতন্ত্র্য বোধ, ভিন্নজাতের সংরক্ষণ এবং এসবের উন্নয়নে যথাযথ ভূমিকা রাখা রাষ্ট্রের দায়িত্ব বলে আমরা মনে করি।
পড়ুন: ঘোষিত সময়েই নির্বাচন হবে: মির্জা ফখরুল
তিনি বলেন, বিএনপির রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে, জাতি, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল জাতিগোষ্ঠীর সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক-অর্থনৈতিক অধিকার এবং জীবনের নিরাপত্তা বিধানে সর্বোচ্চ প্রচেষ্ঠা গ্রহণ করা হবে। ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর প্রতি এটিই আমাদের অঙ্গীকার। বিএনপি ক্ষতায় গেলে প্রতিটি অধিকার বাস্তবায়ন করবে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজ একটা ভয়াবহ দানবীয় ফ্যাসিস্ট সরকারের দীর্ঘ নির্যাতনের শাসনের পরে একটা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সুযোগ পেয়েছি নতুন বাংলাদেশ তৈরি করার। তিনি বলেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বে নতুন বাংলাদেশ গড়ে উঠবে এবং সেই বাংলাদেশে সকলের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
তিনি আরও বলেন, একটা চক্রান্ত চলছে বাংলাদেশে। ভবিষ্যতে যে নির্বাচন হওয়ার কথা, সেই নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য একটা গোষ্ঠী চেষ্টা করছে। একটা উগ্রবাদী গোষ্ঠী বিভিন্ন প্রকার উগ্রবাদের কথা বলে মানুষকে বিভক্ত করতে চাচ্ছে, বিভাজন সৃষ্টি করতে চাচ্ছে।
ফখরুল বলেন, আজ আমাদের সকলের দায়িত্ব হবে, একসঙ্গে ঠিক একাত্তর সালে যেমন আমরা লড়াই করেছিলাম আমাদের ভূখন্ডের জন্যে, স্বাধীনতার জন্য, সার্বভৌমত্বের জন্য, আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। সেইভাবে আমরা আজ আমাদের অধিকার রক্ষার জন্য কাজ করব, লড়াই করে যাব।
তিনি বলেন, আমাদের বিশ্বাস আছে যে, আমাদের নেতা তারেক রহমান এখন পর্যন্ত যে কাজ করেছেন—তাতে সকল জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে পারব।
পড়ুন: ক্ষমতায় গেলে গুমের সংস্কৃতি নিশ্চিহ্ন করার অঙ্গীকার সালাহউদ্দিনের
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি মৃগেন হাগিদগের সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য ফ্রন্টের সভাপতি বিজন কান্তি সরকার, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল আলম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ ও অ্যাডভোকেট ওয়ারেস আলী মামুন প্রমুখ।
এর আগে দুপুরে নগরীর টাউন হল তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হয়। মূল অনুষ্ঠান শুরুর আগে ১৫ জন আদিবাসী তরুণীর একটি দল তাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকে মনোমুগ্ধকর দলগত নৃত্য পরিবেশন করে।
সমাবেশে দেশের সমতল অঞ্চলের ১২টি জেলায় বসবাসরত ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
১২১ দিন আগে
কাকরাইলে জাতীয় পার্টির অফিস ভাঙচুর-আগুন
ঢাকার কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অজ্ঞাতপরিচয়ের একদল লোক হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। শনিবার (৩০ আগস্ট) সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটে।
হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ জানিয়েছে, তারা ঘটনাস্থলে রয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায়,জাতীয় পার্টি এবং গণঅধিকার পরিষদের একটি মিছিল কাকরাইলের জাতীয় পার্টির অফিসের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় উভয় দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
পড়ুন: নুরের জ্ঞান ফিরেছে, উচ্চপর্যায়ের মেডিকেল বোর্ড গঠন
গণঅধিকার পরিষদ দাবি করেছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লাঠিচার্জে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরসহ তাদের বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন।
নুর এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন।
১২১ দিন আগে
খুলনায় জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ
খুলনায় জাতীয় পার্টি কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা। তবে পুলিশি তৎপরতায় তারা কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করতে পারেনি। বিক্ষোভকারীরা প্রধান ফটকের সাইন বোর্ড ভেঙ্গে দেয়। তখন পুলিশ লাঠি চার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
শনিবার (৩০ আগস্ট) বিকাল ৫টায় নগরীর ডাকবাংলো মোড়স্থ জাতীয় পার্টির জেলা ও মহানগর কার্যালয়ে হামলার ঘটনাটি ঘটে।
গণঅধিকার পরিষদের দাবি, পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও লাঠিচার্জে তাদের ১৫ থেকে ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
জাতীয় পার্টির খুলনা জেলা যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী সাজু বলেন, শনিবার সারাদিন জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা অফিসেই অবস্থান করছিলেন। আসরের আজান হওয়ার কিছু সময় পর অধিকাংশ নেতাকর্মী পাশের মসজিদে নামাজ পড়তে যান। এই সুযোগে ৫০ থেকে ৬০ জন গণঅধিকার পরিষদের একটি বিক্ষোভ মিছিল কার্যালয়ের সামনে এসে মারমুখি অবস্থান নেয়। তখন আমরা অফিস থেকে বেরিয়ে সামনের দুটি ফটকে তালা লাগিয়ে দেই।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা গেট ভেঙ্গে ফেলার চেষ্টা করে এবং ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এরমধ্যে একটি গেট ভেঙ্গে ফেলতে পারলেও অপরটি ভেঙ্গে প্রবেশ করতে পারেনি। সাইন বোর্ডটি ভেঙ্গে দেয়। তখন পুলিশ তাদের লাঠিচার্জ ও ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
পড়ুন: গণঅধিকার পরিষদ সভাপতি নুরের উপর হামলা প্রতিবাদে বরিশালে বিক্ষোভ
প্রতক্ষ্যদশীরা জানায়, জাতীয় পার্টি কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। বিক্ষোভকারীরা যাওয়ার সময় সম্মুখ সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিভিন্ন শ্লোগান দেয়।
এদিকে জাতীয় পার্টি অফিসে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের হামলার বিষয়টি স্বীকার করে পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ সম্পাদক এসকে রাশেদ বলেন, মিছিল নিয়ে আমাদের ছেলেরা ডাকবাংলোর জাতীয় পার্টি অফিসের সামনে গেলে সেখানে অবস্থানরত জাতীয় পার্টির নেতাকর্মী এবং পুলিশ তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় গণঅধিকার পরিষদের অন্তত ১৫ থেকে ২০জন নেতাকর্মী আহত হন। তাদেরকে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের উপর হামলার প্রতিবাদে তারা বিক্ষোভ কর্মসূচি আয়োজন করেছিলেন বলে তিনি জানান।
খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাওলাদার সানওয়ার হুসাইন মাসুম বলেন, গণঅধিকার পরিষদের কিছু নেতাকর্মী লাঠিসোটা নিয়ে মিছিল সহকারে ডাকবাংলাস্থ জাতীয় পার্টি অফিসের সামনে আসে। তারা সেখানে বিশৃঙ্খলা চালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাদেরকে সরিয়ে দেয়।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় পার্টির অফিসের সাইন বোর্ডটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। তবে এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
১২১ দিন আগে
যৌথবাহিনীর ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ, সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জোনায়েদ সাকির
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূরের ওপর হামলার ঘটনার যথার্থ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
শনিবার (৩০ আগষ্ট) দুপুরে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন নূরের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন তিনি।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সাকি বলেন, ‘আমরা এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছি। গণঅধিকারের একটি কর্মসূচি শেষে নূর ও রাশেদ খান প্রেস ব্রিফিংয়ের অপেক্ষায় ছিলেন। সেই সময় পুলিশ ও যৌথবাহিনী কিভাবে হামলা করল এবং এর পেছনে কারা দায়ী, তা অবিলম্বে ও যথার্থভাবে তদন্ত করতে হবে।’
পড়ুন: নুরের জ্ঞান ফিরেছে, উচ্চপর্যায়ের মেডিকেল বোর্ড গঠন
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে দেশে জটিল রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বিচার, সংস্কার এবং নির্বাচন—এই তিনটি কাজ একসঙ্গে এগিয়ে নিতে হবে। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে একটি অনিশ্চয়তা তৈরি করার চেষ্টা চলছে।
নুরুল হকের ওপর হামলার ঘটনায় সরকারের আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা ও যথাযথ পদক্ষেপের দাবি জানান গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী। তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ে ঐক্যবদ্ধ দলগুলোকে গণতান্ত্রিক রূপান্তর প্রক্রিয়াতেও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বিচার ও সংস্কারের প্রক্রিয়া কেউ ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারবে না। ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো ষড়যন্ত্র সফল হবে না।
ব্রিফিংয়ে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ পরিষদ ও গণসংহতি আন্দোলনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
১২১ দিন আগে
গণঅধিকার পরিষদ সভাপতি নুরের উপর হামলা প্রতিবাদে বরিশালে বিক্ষোভ
ঢাকায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের উপর হামলার প্রতিবাদে বরিশালে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে নেতাকর্মীরা।
শনিবার(৩০ আগস্ট) দুপুরে নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনে বরিশাল জেলা ও মহানগর গণঅধিকার পরিষদ এবং এনসিপির উদ্যোগে এই কর্মসূচি হয়। এরপর নেতাকর্মীরা নগরীতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
এর আগে সংক্ষিপ্ত সভায় বক্তারা জাতীয় পার্টি, সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ বাহিনীর বিরুদ্ধে এই হামলার অভিযোগ করেন। এছাড়াও অন্তবর্তী সরকার ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকার গঠন এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করে তারা।
বক্তব্য দেন বরিশাল জেলা গণঅধিকার পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক আবু সাইদ মুসা, যুগ্ম সমন্বয়কারী আবেদ আহমেদ রনি ও সাইফুল ইসলাম মুন্সি, সদস্য নাজমুল হাসান ও আসিফ প্রমুখ।
পড়ুন: নুরের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবরোধ
বক্তারা বলেন, প্রথমে পুলিশ ও সেনা আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়, তারপর জাতীয় পার্টি। ঘটনার সময় নুরুল হক নুর মাটিতে পড়ার পর লাল টি-শার্ট পরা এক যুবক বেধড়ক মারধর করে। এরপর ওই ব্যক্তিকে আটক করা হলেও ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাই এই ঘটনার দায়ে অবিলম্বে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করছি। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে পালটাপালটি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পরে গণধিকার পরিষদের কার্যালয়ের সামনে সংবাদ সম্মেলন করার প্রস্তুতির সময় নুরসহ নেতাকর্মীদের মারধর করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এতে গুরুতর আহত হন নুর। রক্তাক্ত অবস্থায় দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন। তিনি এখনা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
১২১ দিন আগে
নুরের জ্ঞান ফিরেছে, উচ্চপর্যায়ের মেডিকেল বোর্ড গঠন
যৌথবাহিনীর লাঠিপেটায় আহত গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের জ্ঞান ফিরেছে। তবে তার চিকিৎসায় ছয় উচ্চপর্যায়ের মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
শনিবার (৩০ আগস্ট) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, নুরুল হকের মাথায় আঘাত রয়েছে। তার নাকের হাড় ভেঙে গেছে। যে কারণে গতকাল অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছিল। আগেই রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়েছে ও জ্ঞান ফিরেছে। তবে ৪৮ ঘণ্টার আগে নুরুল হক আশঙ্কামুক্ত, সেটি বলা সম্ভব নয়।
নুরুল হকের চিকিৎসায় গতকাল শুক্রবার রাতেই সর্বোচ্চ পর্যায়ের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে সকাল ৭টায় নুরের ফেসবুক পেজে বলা হয়, ‘নুরুল হক নূরের ওপর গতরাতে হামলার পর এখন পর্যন্ত তিনি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন, এখন তার কিছুটা হুঁশ ফিরেছে।’
ঢাকা মেডিকেলে নুরসহ গণঅধিকার পরিষদের পাঁচজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: কাকরাইলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মারধরে আহত নুরুল হক নুর
শুক্রবার সন্ধ্যায় কাকরাইলে নুরসহ তার দলের নেতাকর্মীরা যৌথবাহিনীর লাঠিপেটায় আহত হন। গণঅধিকার পরিষদের দাবি, তাদের মিছিলের পেছন থেকে হামলা করেছে জাতীয় পার্টি। অন্যদিকে জাতীয় পার্টির পাল্টা অভিযোগ, তাদের প্রধান কার্যালয়ে হামলা হয়েছে ওই মিছিল থেকে।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানের ভাষ্য, তাদের মিছিলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে হামলা করা হয়। এর প্রতিবাদে মশাল মিছিল শেষে সংবাদ সম্মেলনের সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের লাঠিপেটা করে। এতে তাদের শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। নুরসহ আহতদের প্রথমে কাকরাইল ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে রাতে নুরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তার নাকে গুরুতর আঘাত রয়েছে।
এদিকে রাতে নুরকে দেখতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান আর তেড়ে আসা নেতাকর্মীদের ক্ষোভের মুখে আসিফ নজরুল অনেকটা লুকিয়ে হাসপাতাল থেকে বের হন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ফারুক বলেন, ‘উপদেষ্টা স্যার হাসপাতালে আসার পর কিছুটা উত্তেজনা তৈরি হয়। এরপর তিনি বাগান গেট দিয়ে বের হয়ে যান।’
নুরুল হক নুরের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। রাতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখিয়েছে তার দলের নেতাকর্মী ও শিক্ষার্থীরা। শনিবারও বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তারা।
এদিকে শুক্রবার (২৯ আগস্ট) রাতে সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সেনাবাহিনী জানিয়েছে, রাত ৮টায় রাজধানীর কাকরাইল এলাকায় দুটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশ কয়েকজন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়। প্রথমে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। তবে একপর্যায়ে সংঘর্ষ বেড়ে গেলে তারা সেনাবাহিনীর সহযোগিতা কামনা করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের ওপর আক্রমণ চালানো হয় এবং এতে কয়েকজন সদস্য আহত হন।
‘ঘটনার শুরুতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উভয় পক্ষকে শান্ত থাকতে এবং শান্তিপূর্ণভাবে স্থান ত্যাগ করার জন্য ও দেশের বিদ্যমান আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্য দূর করার অনুরোধ জানায়। তবে বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও কতিপয় নেতাকর্মীরা তা উপেক্ষা করে মব ভায়োলেন্সের মাধ্যমে পরিস্থিতি অশান্ত করার চেষ্টা করে।’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, তারা সংগঠিতভাবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর আক্রমণ চালায় এবং আনুমানিক রাত ৯টার দিকে মশাল মিছিলের মাধ্যমে সহিংসতা আরও বৃদ্ধি করে। এ সময় তারা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন দেওয়ারও চেষ্টা চালায়। এছাড়াও বিজয়নগর, নয়াপল্টন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সাধারণ জনগণের চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয় এবং জনদুর্ভোগ বৃদ্ধি পায়। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর শান্তিপূর্ণ সমাধানের সকল চেষ্টা তারা অগ্রাহ্য করে। ফলস্বরূপ, জননিরাপত্তা রক্ষার্থে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বল প্রয়োগে বাধ্য হয়। উল্লেখ্য, আজকের উদ্ভূত ঘটনায় সেনাবাহিনীর ৫ জন সদস্য আহত হয়।
‘সকল ধরনের মব ভায়োলেন্সের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সরকারের এই সিদ্ধান্ত পুনর্ব্যক্ত করছে এবং জনমনে স্বস্তি ও নিরাপত্তা আনয়নে সকল ধরনের মব ভায়োলেন্সের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করতে সদা প্রস্তুত রয়েছে। জননিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা ও শান্তি বজায় রাখতে সেনাবাহিনী সর্বদা বদ্ধপরিকর,’ বলছে সেনাবাহিনী।
১২১ দিন আগে
কাকরাইলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মারধরে আহত নুরুল হক নুর
কাকরাইলের আল রাজী কমপ্লেক্সের নিচে হামলার শিকার হয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। এ সময় তিনি গুরুতর আহত হন।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে জাতীয় পার্টির (জাপা) কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নুরুল হক নুরের ফেসবুক পেজে শেয়ার করা লাইভে দেখা যায়, তাকে গুরুতর আহত ও রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে নিয়ে যাচ্ছেন নেতাকর্মীরা।
এ সময় লাইভে বলতে শোনা যায়, সেখানে সংবাদ সম্মেলনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন নুরসহ অন্য নেতারা। আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা নুরসহ নেতাকর্মীদের মারধর করছেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার মাসুদ আলম বলেন, আজ সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে গণঅধিকার পরিষদের একটি মিছিল কাকরাইলে জাপা কার্যালয়ের সামনে দিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় জাপা কার্যালয় থেকে নেতাকর্মীরা বেরিয়ে আসেন। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। আধঘণ্টা ধরে এ অবস্থা চলার পর সেনাবাহিনী ও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
রমনা থানার পুলিশ জানায়, সংঘর্ষকালে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হন। এ সময় রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
১২২ দিন আগে
নির্বাচনী রোডম্যাপের পক্ষে ৯০ শতাংশ মানুষ মাঠে নেমে যাবে: ড. রেদোয়ান
জামায়াত পিআর পদ্ধতিসহ ভিন্ন কথা বলে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ। তিনি বলেন, এভাবে বিভ্রান্তি তৈরি করে কোনো লাভ নেই। নির্বাচনী রোডম্যাপের পক্ষে ৯০ শতাংশ মানুষ মাঠে নেমে যাবে।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) কুমিল্লার চান্দিনায় রেদোয়ান আহমেদ কলেজের মমতাজ আহমেদ ভবন মাঠে পৌর এলডিপি’র ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন।
একই সময়ে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না সাংবাদিকদের বলেন, রোডম্যাপ ঘোষণা হওয়ায় কমিশনের প্রতি মানুষের আস্থা এসেছে। পুলিশ ও প্রশাসনে যেসব দুর্বলতা রয়েছে সেগুলো রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্বাচনের আগেই সরকার চাইলে সারিয়ে নিতে পারবে।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন এলডিপি’র প্রেসিডিয়াম সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) ড. চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী।
চান্দিনা পৌর এলডিপি সভাপতি অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন ভূইয়া’র সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তবদে দেন কুমিল্লা উত্তর জেলা এলডিপি সভাপতি এ. কে. এম শামছুল হক মাস্টার, এলডিপি কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মো. আবুল কাশেম, চান্দিনা উপজেলা এলডিপি সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আবু তাহের, গণতান্ত্রিক যুবদল সাধারণ সম্পাদক জামশেদ আহমেদ জাকি প্রমুখ।
এর আগে জাতীয় সংগীত গেয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকার সঙ্গে পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন অতিথিরা।
১২২ দিন আগে