রাজনীতি
ক্ষমতায় গেলে গুমের সংস্কৃতি নিশ্চিহ্ন করার অঙ্গীকার সালাহউদ্দিনের
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করার অঙ্গীকার করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
‘একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আপনাদের এই কথা বলতে পারি, যদি জনগণ আমাদের ম্যান্ডেট দেয়, গুম প্রতিরোধের জন্য, গুমের সংস্কৃতি নিশ্চিহ্ন করার জন্য প্রথমে যা যা করতে হয়—আইন প্রণয়ন ও তা কার্যকর—সবকিছু করা হবে। আমরা সেই বাংলাদেশের জন্য অপেক্ষা করছি, যেখানে কোনো ব্যক্তি গুমের শিকার হবে না,’ বলেন তিনি।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) বিকালে বাংলা একাডেমি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক গুম দিবস উপলক্ষে গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে ‘মায়ের ডাক’ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এমন প্রত্যয়ের কথা জানান।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘দীর্ঘ সময় একটা বিভীষিকাময় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ চলেছে। সেই ফ্যাসিবাদবিরোধী সংগ্রামে আমাদের সন্তানদের রক্ত দিতে হয়েছে। যারা বাংলাদেশ নামের রাষ্ট্রটিকে করদরাজ্যে পরিণত করতে আজীবন ক্ষমতায় থাকার জন্য এই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে, তাদের এখনো অনুশোচনা নেই। তারা নিজেদের অপরাধ স্বীকার তো দূরের কথা, উল্টো অভ্যুত্থানকারীদের অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করছে।’
পড়ুন : গুম প্রতিরোধ, প্রতিকার ও সুরক্ষা অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন
তিনি বলেন, ‘এরপরও বাংলাদেশের মানুষ কি কখনো তাদের রাজনীতিতে আহ্বান করতে পারবে? বাংলাদেশের মানুষ কি কখনো তাদের ক্ষমা করতে পারবে? ক্ষমা তারা চায়নি। আমরা এমন একটি পরিস্থিতিতে গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য অপেক্ষা করছি। আজ রাষ্ট্রকাঠামোর সংস্কারের জন্য আমরা সব রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হয়েছি, যা আগে কখনো কল্পনাও করা যেত না।’
নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্যে ফাটল ধরানোর একটা চেষ্টা কোনো একটা পক্ষ করছে। কিন্তু আমরা তর্ক-বিতর্ক করছি, সংস্কারের বিপক্ষে আলোচনা করছি, নির্বাচন নিয়ে দুয়েকটা পক্ষ ধোঁয়াশা সৃষ্টি করছে। আমি আহ্বান জানাব, ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য দেশের মানুষ ১৬ বছর সংগ্রাম করেছেন, রক্ত দিয়েছেন, সেই ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য যখন একটি রাস্তা তৈরি হয়েছে, তাতে যাতে আমরা কাঁটা না বিছাই। সবার প্রতি এই আহ্বান জানাই।’
গুমের শিকার হয়ে আর ফিরে না আসা মানুষদের ছবির দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘আমার সৌভাগ্য যে আমি আজ জীবিত আছি, আপনাদের সঙ্গে কথা বলছি। নাহলে আমারও ছবি হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। আমার সহকর্মীদের অনেকের ফিরে আসার সৌভাগ্য হয়নি। তাদের খোঁজ মিলছে না। কেন যে আয়নাঘর নামটা দেওয়া হলো? কিন্তু আয়নাঘরে তো আয়না ছিল না, ছিল জমদূত, ছিল মৃত্যুর পরোয়ানা। সেই আয়নাঘরে আমরা ছিলাম।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমাকে একটা গুপ্তগুহায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তখন যদি আমার চোখ বন্ধ না থাকত, তাহলে হয়তো আমার বিশ্বাস হতো না যে এখানে মানুষ থাকতে পারে। তবে রুমের ভিতরে চোখ খোলা থাকত। একদিনই কেবল চোখ খোলা রেখে বাইরে নেওয়া হয়েছিল। আমার তারিখ গণনায় সেদিন ২০১৫ সালের ১৪ এপ্রিল, বাংলা নববর্ষ উদযাপনের দিন। তাদের মধ্যে কয়েকজন অফিসার সম্ভবত ছিল সেই অনুষ্ঠানে, আমাকে বলল যে আজ ম্যাডাম পার্টি অফিসের সামনে অনুষ্ঠান করেছে, পহেলা বৈশাখের। আমাকে নিউজ দিতে চাইল যে দেশে এখন স্বাভাবিক পরিস্থিতি চলছে।’
‘আমি কোনো জবাব দিতাম না। সেদিনই চোখ খোলা রেখে রুমের বাইরে কিছুক্ষণ বসিয়ে রেখেছিল। কারণ রুমটা পরিষ্কার করতে হবে। রুমটা ছিল ময়লা আর দুর্গন্ধে ভরা, বাতাস চলাচলের কোনো ব্যবস্থা ছিল না। পাঁচ ফুট বাই দশ ফুট বা তার চেয়ে ছোট হতে পারে রুমটা। দুই মাস একদিন অর্থাৎ ৬১ দিনের মাথায় আমাকে বের করে যমটুপি ও কালো চশমা পরিয়ে গামছা দিয়ে হাত বেঁধে বলা হলো—আজ আপনাকে এমন একটি জায়গায় নিয়ে যাওয়া হবে, ফিরে আসতে আপনার দু-তিন দিন লাগতে পারে। তবে আমাকে জীবিত ছেড়ে দেবে, সেটা আমার বিশ্বাস হচ্ছিল না,’ বলেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘তাদের বলতাম, যদি আমার মৃত্যু এখানে হয়, তাহলে আমার লাশটা আমার পরিবারের কাছে ফেরত দিও। তারা কোনো জবাব দিত না। আল্লাহর কাছে সবসময় প্রার্থনা করতাম, যদি আমার হায়াত থাকে, আমাকে ঈমানের সঙ্গে জীবন দিও, ঈমানের সঙ্গে মৃত্যু দিও। আর যদি এখানেই আমার মৃত্যু হয়, তাহলে আমাকে ঈমানের মৃত্যু দিও। দেশ ও দেশের মানুষের জন্য প্রার্থনা করতাম।’
‘আমি খুব বিশ্বাসী মানুষ, আমি অনেক কিছু দেখেছি। সে জন্য অনেক অবিশ্বাসী মানুষকে বলি—আমি শুধু আল্লাহর অস্তিত্ব চোখ দিয়ে দেখিনি, কিন্তু আমি অনুভব করেছি, আমি অনেক কিছু জেনেছি। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাকে অনেক কিছু দেখিয়েছেন। সেগুলো আমি বাস্তব জীবনে পেয়েছি। এটা হয়তো যারা বিশ্বাস করতে চাইবেন, তারাই বিশ্বাস করতে পারবেন। এটা অনুধাবনের বিষয়।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, আজকের এই অনুষ্ঠানে গুম হওয়া পরিবারের মধ্যে নতুন কেউ যোগ হয়নি, এটা সুসংবাদ। তারা আশা প্রকাশ করেছেন, আগামী দিনের রাজনীতিবিদরা যাতে নিশ্চিত করেন আগামী দিনে যেন গুম হওয়া পরিবারের সদস্যদের এমন কোনো অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে না হয়। আসলে সে জন্যই আমরা এখানে অনবরত সংগ্রাম করে যাচ্ছি।
ইউএনবি/জেএ
১২২ দিন আগে
সাময়িক সরকারের কাছে আমাদের কোনো প্রত্যাশা নেই: আমীর খসরু
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ‘সাময়িক সরকার’ আখ্যায়িত করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সাময়িক সরকারের কাছে আমাদের কোনো প্রত্যাশা নেই।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে বরিশাল শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বরিশাল বিভাগীয় ব্যবসায়ী ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, ‘সাময়িক সরকারের কাছে আমাদের কোনো প্রত্যাশা নেই। আমরা নির্বাচিত সরকারের অপেক্ষা করছি। নির্বাচিত সরকারের জন্যই ব্যবসায়ীদের নিয়ে এ ধরনের অনুষ্ঠান করা হচ্ছে। যাতে জনগণ আমাদের সমর্থন দেয়, সেই প্রস্তুতি আগেভাগেই গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রথম দিন থেকেই যাতে দেশের মানুষের পাশে আমরা দাঁড়াতে পারি।’
তিনি বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে। এতে করে বাংলাদেশের মানুষ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের সঙ্গে সঙ্গে সরকার নির্বাচিত করবেন, যারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে, জবাবদিহিতা থাকবে। সেই সরকারের কাছে আমাদের অনেক চাওয়া আর প্রত্যাশাও থাকবে।’
আরও পড়ুন: ঘোষিত সময়েই নির্বাচন হবে: মির্জা ফখরুল
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘একটি গ্রামে একটি পণ্য তৈরি হবে, যে পণ্য ওই অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করবে। এতে করে ওই গ্রাম অর্থনেতিকভাবে সমৃদ্ধ হবে। এ জন্য কীভাবে ব্যবসায়ীদের সমস্যা সমাধান ও চাহিদা পূরণ করা যায়, সেগুলো চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি আমরা।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি চায় অর্থনীতির গণতন্ত্রায়ন। কিছু মানুষ কিংবা কোনো গোষ্ঠীর কাছে যাতে অর্থনীতি জিম্মি হয়ে না থাকে।’
এর আগে, জাতীয় এবং সংগঠনের পতাকা উত্তোলন ও বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। পরে মেলার স্টলগুলো পরিদর্শন করেন তিনি।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মজিবর রহমান সরোয়ার, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও জিয়া উদ্দিন হায়দারসহ ব্যবসায়ী নেতারা।
১২২ দিন আগে
প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে নির্বাচনী রোডম্যাপ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা: ডা. তাহের
প্রধান উপদেষ্টা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করেছেন বলে মন্তব্য করে জামায়াতে ইসলামীর নায়েব আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, এই রোডম্যাপ একটি সুষ্ঠ নির্বাচনকে ভন্ডুল করার জন্য নীল নকশা।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) সকালে কুমিল্লা সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজ মিলনায়তনে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের নির্বাচনী দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. তাহের বলেন, ‘চূড়ান্ত সংস্কারের সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর আগেই আগেই প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছেন এবং বিচার এখনও দৃশ্যমান হয়নি। এর মধ্যে বোধহয় তিনি কোনো শক্তির কাছে মাথা নত করে পরিকল্পিত নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে দেশবাসী শঙ্কা পোষণ করছে।’
তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার কমিটমেন্ট দিয়ে আসছিল তারা নিরপেক্ষ থাকবে, তারা সংস্কার করবে, বিচার দৃশ্যমান করবে এবং নির্বাচন হবে। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টা তার ওয়াদা ভঙ্গ করেই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছেন।’
আরও পড়ুন: সংস্কার নিয়ে গড়িমসি হলে নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে সংশয় তৈরি হবে: ডা. তাহের
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে জামায়াতের কোনো আপত্তি নেই জানিয়ে এই রাজনীতিক বলেন, ‘আমরা ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের জন্যই প্রস্তুতি নিচ্ছি। কিন্তু একটি সুষ্ঠু-অবাধ নির্বাচনের জন্য কিছু বিষয় সুরাহা হওয়া খুবই জরুরি। এর মধ্যে জুলাই চার্টারকে আইনগত ভিত্তি দিতে হবে এবং এর ভিত্তিতেই ফেব্রুয়ারির নির্বাচন দিতে হবে। কিন্তু সেগুলো না করেই নির্বাচনের যে রোডম্যাপ বা পথনকশা ঘোষণা করা হয়েছে সেটি একটি সুষ্ঠু নির্বাচন ভণ্ডুল করার নীল নকশা বলে আমি মনে করি। আমরা এটা হতে দেব না। আমরা সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে বাধ্য করব, জুলাই চার্টার রিফান্ড ও পিআরের মাধ্যমে নির্বাচন হতে হবে।’
আগের ট্র্যাডিশনাল পদ্ধতি ও নতুন প্রস্তাবিত পিআর—এই দুটোর মধ্যে একটি নির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত রোডম্যাপ ঘোষণা করা নির্বাচন কমিশনের বড় ধরনের অপরাধ বলেও মন্তব্য করেন মো. তাহের। এজন্য তিনি নির্বাচন কমিশনকে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাওয়ারও আহ্বান জানান।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াতে আমির মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন জামায়াতে কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য আব্দুস সাত্তার, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহজাহান, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি বেলাল হোসাইন, সহকারী সেক্রেটারি আব্দুর রহিম, কালিকাপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমির আবুল হাসেম।
১২২ দিন আগে
ঘোষিত সময়েই নির্বাচন হবে: মির্জা ফখরুল
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে এক ধরনের হতাশা ও বিভ্রান্তি তৈরি হলেও ‘নির্বাচন হবেই’ মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘আমরা জানি যে রাজনীতিতে অনেক মতভেদ থাকবে, চিন্তা থাকবে, মত থাকবে। কিন্তু এখন যে পরিবেশটিতে আমরা আছি, তাতে জনগণ অত্যন্ত বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে যাচ্ছেন। মানুষ জিজ্ঞাসা করছে, নির্বাচন হবে তো? এই যে এক ধরনের শঙ্কা, এক ধরনের হতাশা তৈরি হয়েছে; কিন্তু আমি যেটা সবসময় বলি, নির্বাচন হবেই।’
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে একটি বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচনের যে সময়টার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, সেই সময়েই হবে। আজ যদি নির্বাচন বন্ধ করা হয় বা নির্বাচন না হয়, তাহলে এই জাতি প্রচণ্ড রকমের ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং ফ্যাসিবাদের ফিরে আসার আশঙ্কা বাড়বে।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা লক্ষ করছেন যে, বিভিন্ন জায়গা থেকে চেষ্টা করছে এই ফ্যাসিবাদ নিয়ে কথা বলার জন্য। বিদেশেও এটা নিয়ে কাজ চলছে। তাই নির্বাচন দ্রুত দেওয়া দরকার। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়েই আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য— গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় যাওয়ার সুযোগ পাব।’
বাংলাদেশে প্রথম সংস্কারের কথা বিএনপিই বলেছে ও বাস্তবায়ন করেছে দাবি করে দলটির মহাসচিব বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যখন বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন, তখন একদলীয় শাসনব্যবস্থা থেকে তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র নিয়ে আসেন। তিনিই গণমাধ্যম, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি অর্থনীতিতে মুক্তবাজার অর্থনীতির প্রবর্তন করেছেন। এতে দ্রুতই আমরা একটি পরিবর্তন দেখেছি।’
আরও পড়ুন: সরকারের ভেতরের একটি মহল গণতন্ত্রের শক্তিকে ক্ষমতায় আসতে দিতে চায় না: ফখরুল
‘বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত যত সংস্কার হয়েছে, তা বিএনপির হাত দিয়েই হয়েছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, কতগুলো রাজনৈতিক দল মিথ্যা ও ভুল প্রচার করে বিএনপিকে হেয় করতে চায়।’
বিএনপি কোনো খারাপ করছে— এমন কথা বলার সুযোগ কাউকে না দেওয়ার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রবীণ এই রাজনীতিক বলেন, ‘এটা খুবই জরুরি। আপনারা মনে করবেন না যে আপনারা ক্ষমতায় চলে এসেছেন। অনেকেই সেটা মনে করছেন। আর এ জন্যই দুর্বৃত্তায়ন তারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না।’
‘এখনো আপনারা ক্ষমতার কাছেও আসেননি। অনেক চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র আছে, সেগুলো অতিক্রম করে ঐক্য ও ভালো কাজ দিয়ে জনগণের কাছে যেতে হবে।’
জুলাই-আগস্টে কেবল শিক্ষার্থীরাই নয়, শ্রমিক, জনতা ও শ্রমজীবী মানুষও অংশ নিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এখন সবাই জুলাই-আগস্টের প্রতি জোর দেন। এটা সত্য কথা যে তখন ছাত্র ও তরুণরা বেরিয়ে এসে আন্দোলন শুরু করেছিলেন। কিন্তু আন্দোলনের শেষ দিনগুলোতে কেবল ছাত্ররাই ছিল না, শ্রমিক-কৃষক-মধ্যবিত্ত-চাকরিজীবী ও মা-বোনেরা বেরিয়ে এসেছিলেন। আর এ জন্যই জুলাই-আগস্টে সম্ভব হয়েছিল ফ্যাসিবাদকে সরানো।’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, ‘দেশকে কীভাবে ভালোর দিকে নিয়ে যাওয়া যায়, আমাদের মনগুলোকে কীভাবে আরও পবিত্র করা যায়, আমরা কীভাবে মানুষের জন্য কাজ করতে পারি, এই বিষয়গুলো আপনারা গভীরভাবে চিন্তা করবেন।’
‘মানুষ একটা পরিবর্তন চায়। পরিবর্তনের জন্য মানুষ উন্মুখ হয়ে আছে। আর সেটা বিএনপির কাছেই চায়। আর বিএনপি যদি সেটা উপহার দিতে চায়, তাহলে তাদের নেতাকর্মীদের সেইভাবেই জনগণের সামনে আসতে হবে।’
আরও পড়ুন: রমজানের আগেই একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশা রিজভীর
সৈয়দা ফাতেমা সালামের লেখা ‘রক্তাক্ত জুলাই’ শিরোনামের বইয়ের মোড়ক উন্মোচনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন ও কবি আবদুল হাই শিকদার।
বইয়ের বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, জুলাই-আগস্টের রক্তাক্ত ঘটনাবলী নিয়ে খুব বেশি লেখা চোখে পড়েনি। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন নিয়ে অনেক লেখা হয়েছে, কিছু কিছু লেখা কালজয়ী। তার মধ্যে রয়েছে উপন্যাস, কবিতা ও গান। সৈয়দা ফাতেমা সালাম সেই কাজটি করার চেষ্টা করেছেন। সরকারের অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান আছে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অনেকগুলো বিভাগও আছে। তারা এটির ওপর জোর দিতে পারতেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা এখনো সেই কাজটি দেখিনি।
১২২ দিন আগে
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ারে যাবেন খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য যাওয়ার কথা রয়েছে।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানিয়েছেন, ‘ম্যাডামকে (খালেদা) তার মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুসারে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সন্ধ্যায় এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে।’
তিনি বলেন, বিএনপি প্রধান বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তার গুলশানের বাসভবন থেকে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ‘তার মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুসারে এভারকেয়ার হাসপাতালে তার কিছু প্রয়োজনীয় মেডিকেল পরীক্ষা করা হবে।
৮০ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বেশ কয়েক বছর ধরে লিভার, কিডনি এবং হার্ট সম্পর্কিত সমস্যাসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগছেন।
বেগম জিয়া গুলশানে তার বাড়িতে একটি বিশেষায়িত মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন, যার মধ্যে এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক এবং তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক দল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
১২৩ দিন আগে
রমজানের আগে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা ইসির
ত্রয়োদশ জাতীয় সয়সদ নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে রমজানের আগে নির্বাচন আয়োজনে প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে কর্মপরিকল্পনায়।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) বিকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ কর্মপরিকল্পনাটি তুলে ধরেন।
প্রকাশ করা কর্মপরিকল্পনায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ভোটার তালিকা তৈরি, নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ, পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের জন্য নির্দেশিকা হালনাগাদ, নির্বাচনী ম্যানুয়াল, নির্দেশিকা, পোস্টার ও পরিচয়পত্র মুদ্রণ, প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ও নির্বাচনী উপকরণ প্রস্তুত করা, নির্বাচনী বাজেট প্রস্তুত করা, ভোটকেন্দ্র স্থাপন, আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিষয়। এছাড়াও নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার মতো বিভিন্ন নির্বাচনী প্রস্তুতিমূলক কাজের সময়সীমাও নির্ধারণ করা হয়েছে।
পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন: শিগগিরই নির্বাচনী এলাকার চূড়ান্ত সীমানা প্রকাশ করবে ইসি
ইসি সচিব বলেন, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পাঠানো নির্দেশনা অনুসারে, কর্মপরিকল্পনায় আগামী রমজানের (ফেব্রুয়ারি ২০২৬) আগে কীভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠান করা যায়—তার রূপরেখা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে আমাদের একটি চিঠি দিয়ে বলা হয়েছে, আগামী রমজানের (ফেব্রুয়ারি ২০২৬) আগে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে....। তাই, আজ আমরা আপনাদেরকে আমাদের কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে অবহিত করছি। পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা আমাদের কর্মপরিকল্পনাগুলোকে মোট ২৪টি ভাগে ভাগ করে আমাদের কর্মপরিকল্পনা প্রস্তুত করেছি।’
কিন্তু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কর্মপরিকল্পনায় কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা ছিল না।
কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী, রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী, পর্যবেক্ষক, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ এবং জুলাই যোদ্ধাসহ অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে শুরু হবে এবং পরবর্তী দেড় মাসের মধ্যে আলোচনা সম্পন্ন হবে।
এছাড়াও, ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সংসদীয় আসনের চূড়ান্ত সীমানা নির্ধারণের গেজেট প্রকাশ করা হবে। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিভিন্ন নির্বাচনী আইন, বিধি ও নির্দেশিকা সংশোধন করা এবং নতুন রাজনৈতিক দলগুলোকে নিবন্ধন দেওয়া হবে। ৩০ নভেম্বর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।
১৫ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচনী ম্যানুয়াল, নির্দেশিকা, পোস্টার এবং পরিচয়পত্র মুদ্রণ, ৩০ নভেম্বরের মধ্যে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স এবং নির্বাচনী উপকরণ প্রস্তুত করা এবং ১০ সেপ্টেম্বর ভোটকেন্দ্রের খসড়া প্রকাশ করা হবে। ভোটগ্রহণের নির্ধারিত তারিখের ২৫ দিন আগে চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্রের তালিকা গেজেট প্রকাশ করা হবে।
১২৩ দিন আগে
জাতীয় নির্বাচন: শিগগিরই নির্বাচনী এলাকার চূড়ান্ত সীমানা প্রকাশ করবে ইসি
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে অনুষ্ঠিতব্য ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে শিগগিরই সংসদীয় আসনের চূড়ান্ত সীমানা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন।
সংসদীয় আসনের সীমানা ও পুনর্নির্ধারণ সংক্রান্ত দাবি ও আপত্তির উপর চার দিনের শুনানি শেষে বুধবার (২৭ আগস্ট) রাজধানীর নির্বাচন ভবনে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এক ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘এখন আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চূড়ান্ত তালিকা (নির্বাচনী এলাকার) নিয়ে আলোচনা করব এবং প্রকাশ করব।’
ইসি সচিব বলেন, ৩৩টি জেলার ৮৪টি আসনের দাবি, অভিযোগ এবং সুপারিশের উপর শুনানি সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি বলেন, ইসি এর আগে ৮৪টি আসনের বিষয়ে মোট ১ হাজার ৮৯৩টি দাবি, অভিযোগ, আপিল এবং সুপারিশ পায়। এর মধ্যে ইসির খসড়া নির্বাচনী এলাকা সীমানা নির্ধারণের বিরুদ্ধে ১ হাজার ১৮৫টি আবেদন এবং বাকি ৭০৮টি আবেদন ইসির খসড়ার পক্ষে ছিল।
পড়ুন: নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা বৃহস্পতিবার প্রকাশ করবে ইসি
এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ৮৪টি সংসদীয় আসনের বাইরে চূড়ান্ত সীমানা নির্ধারণে কমিশন অন্য কোনো আসনের সীমানায় কোনো পরিবর্তন করবে না।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন ২৪ থেকে ২৭ আগস্ট নগরীর নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত শুনানি অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
চার নির্বাচন কমিশনার - আবদুর রহমানেল মাসুদ, তাহমিদা আহমেদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আব্দুল ফজল মো. সানাউল্লাহ অধিবেশনগুলোতে উপস্থিত ছিলেন এবং ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ শুনানি পরিচালনা করেছেন।
এর আগে, ৩০ জুলাই, ইসি ৩০০টি আসনের খসড়া সীমানা প্রকাশ করে, যেখানে ১৪টি জেলার ৩৯টি আসনে সীমানা পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছিল।
খসড়া অনুসারে, গাজীপুরে আসনের সংখ্যা পাঁচ থেকে বাড়িয়ে ছয়টি এবং বাগেরহাটে আসনের সংখ্যা চার থেকে কমিয়ে তিনটি করা হয়েছে।
পুনর্বিন্যাস করা ৩৯টি আসন হলো- পঞ্চগড়-১ ও ২, রংপুর-৩; সিরাজগঞ্জ-১ ও ২; সাতক্ষীরা-৩ ও ৪; শরীয়তপুর-২ ও ৩; ঢাকা-২, ৩, ৭, ১০, ১৪ ও ১৯; গাজীপুর-১, ২, ৩, ৫ ও ৬; নারায়ণগঞ্জ-৩, ৪ ও ৫; সিলেট-১ ও ৩; ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩; কুমিল্লা-১, ২, ১০ ও ১১; নোয়াখালী-১, ২, ৪ ও ৫; চট্টগ্রাম-৭ ও ৮ এবং বাগেরহাট-২ ও ৩।
বিএনপির সাবেক সাংসদ রুমিন ফারহানার মতামত উত্থাপনের আগে শুনানির সময় একজন এনসিপি নেতার উপর হামলার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, এটি কাম্য ছিল না এবং এটি হওয়া উচিতও ছিল না। ‘এটি আমাদের জন্য খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত একটি বিষয়। এটি না হওয়াই ভালো ছিল এবং এটি আমাদের সকলের জন্য দুঃখজনক বিষয়,’ বলেন তিনি।
পড়ুন: ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের জন্য কর্মপরিকল্পনা অনুমোদন ইসির
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইসি এই বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে এবং পুলিশকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছে।
চার দিনের শুনানিতে গাজীপুরের প্রতিনিধিরা জেলায় সংসদীয় আসনের সংখ্যা পাঁচ থেকে বাড়িয়ে ছয়টিতে বৃদ্ধির জন্য ইসির উদ্যোগের প্রশংসা করেন। অন্যদিকে বাগেরহাটের প্রতিনিধিরা সাম্প্রতিক খসড়া সীমানা নির্ধারণে সংসদীয় আসনের সংখ্যা চার থেকে কমিয়ে তিনটি করায় ইসির সমালোচনা করেছেন।
এছাড়াও, মানিকগঞ্জ এবং মুন্সীগঞ্জসহ বেশ কয়েকটি জেলার প্রতিনিধিরা তাদের জেলায় সংসদীয় আসনের সংখ্যা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।
৮৪টি আসনের মধ্যে, ঢাকার দোহার, নবাবগঞ্জ, সাভার এবং আশুলিয়া উপজেলাসহ কয়েকটি সংসদীয় আসনের অনেক আবেদনকারী তাদের নিজ নিজ উপজেলাসহ পৃথক সংসদীয় আসন চেয়েছিলেন, কারণ আসনগুলো ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে ছিল।
কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন পূর্ববর্তী নির্বাচন কমিশন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে ১০টি আসন পুনর্বিন্যাস করেছিল। কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন ২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে ২৫টি আসনের সীমানা পরিবর্তন করেছিল। কাজী রকিবউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বাধীন কমিশন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ৮৭টি আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করেছিল। এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন ২০০৮ সালে নবম সাধারণ নির্বাচনের আগে ১৩৩টি আসনের সীমানায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন করেছিল।
১২৪ দিন আগে
নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা বৃহস্পতিবার প্রকাশ করবে ইসি
আগামী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রত্যাশিত পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন তাদের কর্মপরিকল্পনা বৃহস্পতিবার প্রকাশ করবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ।
বুধবার (২৭ আগস্ট) রাজধানীর নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই তথ্য জানান।
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা আপনাদের কর্মপরিকল্পনা (যা আগে তিনি নির্বাচনী রোডম্যাপ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন) সম্পর্কে অবহিত করতে প্রস্তুত, আমরা এটি প্রস্তুত করেছি...এটি এখন আমার টেবিলে আছে। আগামীকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।’
ইসি সচিব বলেন, তিনি বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে আরও বিস্তারিত তথ্য দিতে পারবেন। ‘ইনশাআল্লাহ, আমি আপনার সঙ্গে কিছু অতিরিক্ত তথ্য শেয়ার করব। ততক্ষণ পর্যন্ত, দয়া করে অপেক্ষা করুন, এটি এখন আমার টেবিলে আছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘শুধু আগামীকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।’
ইসি কর্মকর্তাদের মতে, রোডম্যাপে রাজনৈতিক দল নিবন্ধন, সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ, জনপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংস্কার, নির্বাচনী বিধি ও নির্দেশিকা হালনাগাদ, তথ্যপ্রযুক্তি-নির্ভর ভোটার নিবন্ধন এবং প্রবাসীদের জন্য পোস্টাল ব্যালট সিস্টেম এবং প্রয়োজনীয় নির্বাচনী উপকরণ সংগ্রহসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমের রূপরেখা রয়েছে।
পড়ুন: ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের জন্য কর্মপরিকল্পনা অনুমোদন ইসির
১৪ আগস্ট, ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেছিলেন, রোডম্যাপটি নির্বাচনের জন্য কমিশনের প্রস্তুতির একটি স্পষ্ট চিত্র তুলে ধরবে।
তিনি আরও বলেন, এটি প্রধান নির্বাচনী কাজ এবং তাদের সময়সীমা নির্দিষ্ট করবে। যার মধ্যে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে সংলাপের সময়সূচি, পাশাপাশি নির্বাচনী আইন সংশোধন ও সংস্কারের সময়সীমা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
এর আগে চলতি মাসের শুরুতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছিলেন, পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং ইসি ইতোমধ্যেই সারা দেশে তার প্রস্তুতি গ্রহণ জোরদার করেছে।
পড়ুন: নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ নিয়ে ইসির ৪ দিনের শুনানি শেষ
১২৪ দিন আগে
নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ নিয়ে ইসির ৪ দিনের শুনানি শেষ
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনের আগে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ সংক্রান্ত দাবি ও আপত্তির উপর চার দিনের শুনানি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বুধবার (২৭ আগস্ট) বিকালে নগরীর নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘৩৩টি জেলার ৮৪টি আসনের দাবি, অভিযোগ এবং সুপারিশের উপর শুনানি সম্পন্ন হয়েছে।’
রাজধানীর নির্বাচন ভবনে ২৪ থেকে ২৭ আগস্ট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত শুনানি অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন।
চার নির্বাচন কমিশনার - আবদুর রহমানেল মাসুদ, তাহমিদা আহমেদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আব্দুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এসব অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন। আর ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ শুনানি পরিচালনা করেন।
এর আগে ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন ৩০০টি আসনের সীমানা নির্ধারণের একটি খসড়া প্রকাশ করে। এতে ১৪টি জেলার ৩৯টি আসনে সীমানা পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছিল।
পড়ুন: ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের জন্য কর্মপরিকল্পনা অনুমোদন ইসির
খসড়া অনুসারে, গাজীপুরে আসন সংখ্যা পাঁচ থেকে বাড়িয়ে ছয় করা হয়েছে। আর বাগেরহাটে আসন সংখ্যা চার থেকে কমিয়ে তিনটি করা হয়েছে।
পুনর্বিন্যাস করা ৩৯টি আসন হলো- পঞ্চগড়-১ ও ২, রংপুর-৩; সিরাজগঞ্জ-১ ও ২; সাতক্ষীরা-৩ ও ৪; শরীয়তপুর-২ ও ৩; ঢাকা-২, ৩, ৭, ১০, ১৪ ও ১৯; গাজীপুর-১, ২, ৩, ৫ ও ৬; নারায়ণগঞ্জ-৩, ৪ ও ৫; সিলেট-১ ও ৩; ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩; কুমিল্লা-১, ২, ১০ ও ১১; নোয়াখালী-১, ২, ৪ ও ৫; চট্টগ্রাম-৭ ও ৮ এবং বাগেরহাট-২ ও ৩।
খসড়া প্রকাশের পর, কমিশন ৮৪টি আসনের উপর দাবি, অভিযোগ এবং পরামর্শ সম্বলিত প্রায় ১ হাজার ৮৯৩টি আবেদনপত্র পেয়েছে।
শুনানি শেষ হওয়ার পর ইসি এখন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে আসনের নতুন সীমানা নির্ধারণ চূড়ান্ত এবং প্রকাশ করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে।
১২৪ দিন আগে
ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের জন্য কর্মপরিকল্পনা অনুমোদন ইসির
নির্বাচন কমিশন (ইসি) ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য কমিশনের কর্মপরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা শিগগিরই আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বুধবার(২৭ আগস্ট) গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কর্মপরিকল্পনার সবকিছু চূড়ান্ত করা হয়েছে। এটি অনুমোদিত হয়েছে।’
ইসি কর্মকর্তারা জানান, কর্মপরিকল্পনা, যাকে ইসি সচিব আগে নির্বাচনী রোডম্যাপ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন, শিগগিরই প্রকাশ করা হবে।
আজ বিকালে সংসদীয় আসন পুনর্নির্ধারণের শুনানি শেষ হওয়ার পর ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ সামগ্রিক বিষয়ে গণমাধ্যমকে ব্রিফ করার কথা রয়েছে।
ব্রিফিংয়ে কর্মপরিকল্পনার বিষয়টিও আলোচনা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ইসি কর্মকর্তাদের মতে, রোডম্যাপের মৌলিক বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে রাজনৈতিক দল নিবন্ধন, সংসদীয় আসন পুনর্নির্ধারণ, জনপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংস্কার, নির্বাচনী বিধি ও নির্দেশিকা হালনাগাদ, তথ্যপ্রযুক্তি-নির্ভর ভোটার নিবন্ধন এবং প্রবাসীদের জন্য পোস্টাল ব্যালট সিস্টেম এবং প্রয়োজনীয় নির্বাচনী উপকরণ সংগ্রহসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমের রূপরেখা।
আরও পড়ুন: সীমানা নির্ধারণ আলোচনা: ইসিকে গাজীপুরের সমর্থন, আরও আসনের দাবি মানিকগঞ্জ-মুন্সীগঞ্জের
গত ১৪ আগস্ট ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন, রোডম্যাপটি নির্বাচনের জন্য কমিশনের প্রস্তুতির একটি স্পষ্ট চিত্র দেবে।
তিনি আরও বলেন, এটি প্রধান নির্বাচনী কাজ এবং তাদের সময়সীমা নির্দিষ্ট করবে, যার মধ্যে রয়েছে নাগরিক সমাজের সদস্য এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে সংলাপের সময়সূচী, পাশাপাশি নির্বাচনী আইন সংশোধন ও সংস্কারের সময়সীমা।
এই মাসের শুরুতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন বলেছিলেন, পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হতে পারে এবং ইসি ইতোমধ্যেই সারা দেশে তার প্রস্তুতি গ্রহণ জোরদার করেছে।
১২৪ দিন আগে