রাজনীতি
দেশের ওষুধ শিল্প রক্ষায় স্পষ্ট নীতি প্রয়োজন: ফখরুল
বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় ওষুধ (ফার্মাসিউটিক্যাল) শিল্প খাতের সম্ভাব্য ঝুঁকি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি স্বচ্ছ, অংশগ্রহণমূলক ও শিল্পবান্ধব নীতির মাধ্যমে শিল্পটি রক্ষা করতে সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন।
বুধবার (১৩ আগস্ট) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, সম্প্রতি সরকার বেশ কিছু অস্বচ্ছ ও একপাক্ষিক নীতি ও নির্দেশনা নিয়েছে এবং কিছু ক্ষেত্রে অব্যবস্থাপনার নজির তৈরি করেছে, যা এই সম্ভাবনাময় শিল্পের জন্য বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করেছে।
ফখরুল উল্লেখ করেন, জরুরি ওষুধের তালিকা ও সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য সদ্য গঠিত ড্রাগ কন্ট্রোল কমিটির (ডিসিসি) টেকনিক্যাল সাব-কমিটিতে বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির (বিএপিআই) কোনো প্রতিনিধিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
তিনি বলেন, বিএনপি বিশ্বাস করে— নীতি প্রণয়ন, নিয়ন্ত্রণ ও ফার্মাসিউটিক্যাল খাত উন্নয়নে স্বচ্ছতা, অংশগ্রহণমূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং পেশাজীবীদের অংশগ্রহণ অপরিহার্য।
ফখরুল যোগ করেন, জাতীয় স্বার্থে সবচেয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত হলো বিএপিআই এবং সংশ্লিষ্ট সব অংশীদারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে যৌথ সমাধান খুঁজে বের করা।
তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো কমিটি গঠন, সংশোধন বা বাস্তবায়ন সমর্থন করি না যা শিল্প উদ্যোক্তাদের বাদ দেয়। আসন্ন এলডিসি স্নাতকত্বকে সামনে রেখে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে খাত রক্ষার জন্য।’
ফখরুল বলেন, প্রায় দুই বছর ধরে নতুন কোনো ওষুধ নিবন্ধন করা হয়নি এবং দীর্ঘ সময় ধরে ওষুধের মূল্যও সমন্বয় করা হয়নি।
তিনি বলেন, ‘নতুন ওষুধ অনুমোদন না দেওয়ায় বাংলাদেশ ট্রিপস ওয়েভার (ছাড়) সুবিধা হারাতে বসেছে, কারণ ২০২৬ সালের ২৪ নভেম্বর বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবে। তাই নতুন ওষুধের নিবন্ধন কোনো বিলম্ব ছাড়াই দ্রত অনুমোদন করা উচিত।’
পড়ুন: চোখের চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড যাচ্ছেন মির্জা ফখরুল
ফখরুল বলেন, ফার্মাসিউটিক্যাল খাত এখন শুধু উৎপাদন শিল্প নয়, এটি দেশের কৌশলগত সম্পদ। এই খাতের সুরক্ষা ও উন্নয়নের জন্য সময়োপযোগী ও দায়িত্বশীল সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি।
তিনি বলেন, সরকার, বেসরকারি খাত, উদ্যোক্তা, বিশেষজ্ঞ ও গবেষকদের সমন্বয়ে এই শিল্পকে আরও এগিয়ে নিতে হবে। ফখরুল আশা প্রকাশ করেন, উদ্যোক্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে শিল্পবান্ধব সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে সরকার এই খাতের স্থিতিশীলতা ও সুনাম বজায় রাখবে।
ফখরুল বলেন, বাংলাদেশি ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্প দীর্ঘদিন ধরে অর্থনীতি, জনস্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। শিল্পটি প্রায় সব অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ করে এবং ধারাবাহিকভাবে রপ্তানি সম্ভাবনা বাড়িয়ে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করেছে।
তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশে তৈরি মানসম্মত ওষুধ এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া সহ ১৬০টির বেশি দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। খাতটি অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রিডিয়েন্ট (এপিআই) উৎপাদনের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করছে।
১৩৭ দিন আগে
চোখের চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড যাচ্ছেন মির্জা ফখরুল
চোখের চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (১৩ আগস্ট) ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে থাই রাজধানী ব্যাংকের উদ্দেশে উড়াল দেন তিনি।
বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানিয়েছেন, ফখরুল তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগমের সঙ্গে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে বেলা সোয়া ১১টায় ব্যাংকক রওনা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: হঠাৎ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে মির্জা ফখরুল
সায়রুল কবির জানান, ব্যাংককের রাটনিন আই হাসপাতাল থেকে ফলো-আপ চিকিৎসা নেবেন বিএনপি মহাসচিব। সেখানে তিনি ১৪ মে তার বাঁ চোখের রেটিনা সমস্যার জন্য সফল অস্ত্রোপচার করিয়েছিলেন।
সায়রুল বলেন, ফখরুল আগামী ১৯ আগস্ট দেশে ফিরবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।
এর আগে, ১৩ মে বিএনপির মহাসচিব জরুরি ভিত্তিতে তার বাঁ চোখের রেটিনার অস্ত্রোপচারের জন্য ব্যাংকক গিয়েছিলেন।
১৩৮ দিন আগে
প্রতিশোধ থেকে বিরত থাকতে তরুণদের প্রতি আহ্বান তারেকের
তরুণ প্রজন্মকে সাহস ও সততার সঙ্গে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাকে প্রসারিত করতে হলে প্রতিশোধ ও বিদ্বেষের পথ থেকে বিরত থাকতে হবে।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল আয়োজিত যুব সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এ আয়োজন করা হয়।
তরুণ সমাজের উদ্দেশে তারেক বলেন, ‘আপনারা যদি সাহস ও সততার সঙ্গে এগিয়ে যান, প্রতিশোধ ও দ্বন্দ্ব থেকে দূরে থাকেন, তাহলে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের সমৃদ্ধির সব দরজা খুলে যাবে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সফলতা ও সমৃদ্ধির একমাত্র নির্ধারক দেশের জনগণ। জনগণ এখন প্রচলিত রাজনীতির একটি পরিবর্তন চাইছে। জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে প্রতিশ্রুতি নয়, বরং তার বাস্তবায়নই বিএনপির লক্ষ্য।
এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো গণতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠা করা বলে মন্তব্য করেন তিনি। তারেক জানান, বিএনপি খাতভিত্তিক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে এবং এগুলো বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
পড়ুন: অদৃশ্য ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান তারেক রহমানের
তিনি তরুণদের প্রতি অনুরোধ জানান, বিএনপির জনবান্ধব পরিকল্পনা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে। যদি জনগণ বিএনপিকে সরকার করার সুযোগ দেয়, আমরা ধীরে ধীরে এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করব।
দেশের সব নারী-পুরুষ, ছাত্র-তরুণ-যুব সমাজসহ সর্বস্তরের জনগণের কাছে আগামী নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপি প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বাকুল, যুবদল সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, ছাত্রদল সভাপতি রকিবুল ইসলাম রাকিব, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকি, এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, নাট্যকার ও মাবরুর রশিদ বান্নাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী মো. তফসার উল্লাহ, সাংবাদিক মুক্তাদীর রশীদ রোমিও ও শরীফুল ইসলাম খান বক্তব্য দেন।
১৩৮ দিন আগে
দেশের চিকিৎসায়ই ভরসা রেখেছেন জামায়াতের আমির: ডা. তাহের
দেশের চিকিৎসায় ভরসা রেখে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান দেশেই চিকিৎসা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দলের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) জামায়াত আমির হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরা উপলক্ষে সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
‘আমাদের কাছে তাকে বিদেশে পাঠানোর ব্যাপারে অনেক অনুরোধ ছিল। আমিরের ইচ্ছা অনুযায়ী দেশের চিকিৎসার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আল্লাহর ওপর ভরসা করে আমরা বাংলাদেশেই অপারেশন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি,’ তিনি জানান।
ডা. শফিকুর রহমান নির্দিষ্ট দলের ভিতরে সীমাবদ্ধ ব্যক্তি নন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তাকে পুরো জাতি শ্রদ্ধা করে। জাতি তাকে আগামী বাংলাদেশের নেতৃত্বে অপরিহার্য বলে মনে করে।’
তিনি জানান, জামায়াত আমির সফল অপারেশনের ১০ দিন পর গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে নিজ বাসায় ফিরছেন। তিনি নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে বাংলাদেশেই অপারেশন করাবেন।
ডা. তাহের আরও বলেন, ‘জামায়াতের আমির দুই সপ্তাহ বিশ্রামে থাকবেন, এরপর তিন সপ্তাহ পর জনসমক্ষে সক্রিয় হবেন। ডা. শফিকুর রহমান আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছেন এখন, দেশের মানুষের কাছে দোয়া চেয়েছেন।’
তিনি আরও জানান, দুই সপ্তাহ রেস্ট নেবেন। তিন সপ্তাহের পর স্বাভাবিক কাজে একটিভ হতে পারবেন।
মেডিকেল টিমের অন্যতম সদস্য ডা. শহীদ বলেন, ‘চিকিৎসার পরে তার শরীরের দ্রুত উন্নতি হয়েছে। আমরা তার সার্জারি পরবর্তী অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট। দুই সপ্তাহ পর পুনরায় পরীক্ষা হবে।’
অপারেশনের পর ইউনাইটেড হাসপাতালের চিকিৎসক দলের প্রধান ডা. জাহাঙ্গীর কবির বলেছিলেন, ‘তিনটি বাইপাস করার কথা ছিল, আমরা চারটি বাইপাস করেছি যেন কোনো দিক থেকেই সমস্যা না হয়। কোনো জটিলতা ছাড়াই সার্জারি সম্পন্ন হয়েছে।’
গত ২ আগস্ট জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের বাইপাস সার্জারি সফলভাবে সম্পন্ন হয়। তিনি রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। ইউনাইটেড হাসপাতালের চিফ কার্ডিয়াক সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর কবিরের নেতৃত্বে একদল চিকিৎসক এই অস্ত্রোপচারে অংশ নেন।
১৩৯ দিন আগে
অদৃশ্য ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান তারেক রহমানের
অদৃশ্য ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি বলেছেন, ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা ব্যাহত করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র চলছে, এগুলো প্রতিহত করতে দলীয় নেতাকর্মীদের একযোগে অবস্থান নিতে হবে এবং জনমানুষের বিশ্বাস অটুট রাখতে হবে।’
সোমবার (১১ আগস্ট) বিকেলে নওগাঁ শহরের কনভেনশন সেন্টারে জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রথম ধাপ হচ্ছে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে সরকার গঠন করা। জনগণের ভোটে বিএনপি সরকার গঠন করলেও সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ থাকবে, সেগুলো মোকাবেলা করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও সরকারের প্রতিটি সেক্টর ধ্বংস করে রেখে গেছে। দেশ পরিচালনার অভিজ্ঞতা আছে বিএনপির। তাই এই অবস্থা উত্তরণ করতে দলটি সক্ষম হবে।’
পড়ুন: প্রতীক নয়, ব্যক্তিকে ভোট দিত মানুষ: হাফিজউদ্দিন
তারেক বলেন, ‘স্বৈরাচার পালিয়ে যাওয়ার কয়েকদিন পরে বিভিন্ন জেলার নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তখন বলেছিলাম, আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিন নির্বাচন হবে। এক বছর আগে আমি বলেছিলাম অদৃশ্য শক্তি নানা ষড়যন্ত্র করছে, আজ কি আমার কথার মানে বুঝতে পারছেন?’
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘যতই ষড়যন্ত্র হোক না কেন, বিএনপি পরিবারের সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে সফল হবো। বিএনপিতে মানুষ আস্থা রাখে কারণ আমরা দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করছি।’
তারেক রহমান আরও বলেন, ‘স্বৈরাচার সরকার মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। তারা নিজেদের স্বার্থে দেশ লুটপাট করেছে। বিএনপি ইতোমধ্যে ৩১ দফা দাবি জানিয়েছিল, যারা এখন সংস্কারের কথা বলছেন তারা আড়াই বছর আগে থেকেই এই দাবি তুলেছে।’
তিনি বলেন, ‘এখন সময় এসেছে গণতান্ত্রিক উপায়ে নেতা নির্বাচন করার।’
এর আগে দুপুরে নওগাঁ কনভেনশন সেন্টারে জেলা সম্মেলনের শুভ উদ্বোধন করেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম।
১৩৯ দিন আগে
নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত: জোটে ভোট দিলেও নিজ দলের মার্কায় ভোট দিতে হবে
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) একক প্রার্থীর ক্ষেত্রে ‘না’ ভোটের বিধান ফের চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ ছাড়া জোটগতভাবে নির্বাচন করলেও ভোটারকে নিজ দলের প্রতীকে ভোট দিতে হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সোমবার (১১ আগস্ট) নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে কমিশনের মুলতবি সভায় এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। বিকেলে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সংবাদমাধ্যমকে সিদ্ধান্তগুলো তুলে ধরেন।
তিনি জানান, সব আসনে ‘না’ ভোটের বিধান থাকবে না, তবে একক প্রার্থী থাকলে ‘না’ ভোট থাকবে এবং সেই প্রার্থীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। জোট থাকলেও ভোটারকে নিজ দলের প্রতীকে ভোট দিতে হবে।
আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় এবার সশস্ত্র বাহিনী অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যার ফলে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের নিয়ন্ত্রণে কমিশনের আরও ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
এছাড়া ইভিএম ব্যবহারের বিধান আরপিও থেকে বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কর্মকর্তাদের দায়িত্বে অবহেলার শাস্তি স্পষ্ট করে তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত করে ইসিকে জানাতে হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
পড়ুন: খসড়া অর্ডিন্যান্স: কেন্দ্রীয় ব্যাংকে গভর্নর নিয়োগ দেবে রাষ্ট্রপতি, বাড়বে মেয়াদ
২০০৮ সালে নির্বাচনগুলোতে ‘না’ ভোটের বিধান ছিল সব আসনে। পরে নবম সংসদে এটি বাতিল হয়। এবার ‘না’ ভোটের বিধান সব আসনে না থাকলেও একক প্রার্থী থাকলে তাকে ‘না’ ভোটের সঙ্গে লড়াই করতে হবে, যা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ বন্ধ করবে।
নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, “একক প্রার্থী থাকলে তিনি বিনা ভোটে নির্বাচিত হবেন না। তাকে ‘না’ ভোটের সঙ্গে লড়াই করতে হবে। যদি পুনরায় ‘না’ ভোট বিজয়ী হয়, তখন ওই প্রার্থী নির্বাচিত হবেন।”
চূড়ান্ত সংস্কার প্রস্তাবটি আগামী সপ্তাহে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। সরকারের অনুমোদন পেলে এটি সংশোধন অধ্যাদেশের মাধ্যমে জারি হবে এবং প্রয়োজন হলে ঐকমত্য কমিটির সুপারিশ যুক্ত করা হবে।
১৩৯ দিন আগে
হালনাগাদ ভোটার তালিকা: মোট ভোটার ১২ কোটি ৬১ লাখ ৭০ হাজার ৯০০
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে হালনাগাদ ভোটার তালিকার খসড়া প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। হালনাগাদ তালিকা প্রকাশের পর দেশে মোট ভোটারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৬১ লাখ ৭০ হাজার ৯০০ জনে। তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছেন ৪৫ লাখ ৭১ হাজার ২১৬ জন।
রবিবার (১০ আগস্ট) ‘হালনাগাদ ভোটার তালিকার খসড়া’ প্রকাশ করা হয়। এদিন দুপুরে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এক ব্রিফিংয়ে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এ তথ্য জানান।
সিনিয়র সচিব জানান, আজ সারা দেশের নির্বাচন অফিসগুলোতে একযোগে হালনাগাদ ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
আইন অনুযায়ী এ বছরের ২ মার্চ ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছিল ইসি। তখন ভোটারের সংখ্যা ছিল ১২ কোটি ৩৭ লাখ ৩২ হাজার ২৭৪ জন।
ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ৪৫ লাখ ৭১ হাজার ২১৬ জনকে নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে মৃত ও কর্তনকৃত ভোটার হিসেবে ২১ লাখ ৩২ হাজার ৫৯০ জনকে বিদ্যমান তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
এই হিসাবে নতুন অন্তর্ভুক্তি ও বাদ দেওয়া মিলিয়ে মোট ভোটারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৬১ লাখ ৭০ হাজার ৯০০ জনে।
সচিব বলেন, আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হবে, তারাও ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন। নবীন ভোটারদের এক বছর অপেক্ষা না করানোর জন্য নতুন আইনে এই সুযোগ রাখা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এ বছর ইসি মোট তিন দফায় ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে— ২ মার্চ, ৩১ আগস্ট এবং ৩১ অক্টোবর। শেষ দফার তালিকা প্রকাশের পর চূড়ান্ত ভোটারের সংখ্যা জানা যাবে।
কারও তথ্যে ভুল থাকলে সংশোধনের জন্য ১২ দিনের সুযোগ থাকবে। যোগ্য ব্যক্তির নাম অন্তর্ভুক্তি, মৃত্যুজনিত বা অন্তর্ভুক্তি হওয়ার অযোগ্য ব্যক্তির নাম বাদ দেওয়া, ভোটার স্থানান্তর এবং কোনো ত্রুটি সংশোধনের জন্য ২১ আগস্ট পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।
২৪ আগস্টের মধ্যে এসব আবেদন নিষ্পত্তি হবে। এরপর অন্যান্য কাজ শেষে চলতি মাসের ৩১ আগস্ট চূড়ান্ত হালনাগাদ ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।
১৪০ দিন আগে
নাটোরে ক্রীড়া উপদেষ্টার অনুষ্ঠান বয়কট করল বিএনপি
নাটোরে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানোর পরও জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের প্রবেশে বাধা দেওয়ার অভিযোগে অনুষ্ঠান বয়কট করেছে দলটি।
শনিবার (১০ আগস্ট) সকালে শহরের কানাইখালি মিনি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠানে প্রবেশের সময় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ তোলেন জেলা বিএনপির নেতারা। ঘটনার পরপরই তারা অনুষ্ঠান বর্জন করে চলে যান।
পরে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান আসাদ অভিযোগ করে বলেন, ডিবি পুলিশের ওসি হাসিবুল্লাহ হাসিব উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দলীয় শীর্ষ নেতাদের প্রতি অসৌজন্যমূলক ও রূঢ় আচরণ করেছেন।
তিনি বলেন, `ফ্যাসিবাদের রাহু থেকে পুলিশের অনেক কর্মকর্তা এখনও বের হতে পারেননি।‘
আসাদ ঘটনাটি তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
জেলা প্রশাসকের আমন্ত্রণে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহিম নেওয়াজের নেতৃত্বে সদস্য সচিবসহ পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল কানাইখালি মিনি স্টেডিয়ামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যান।
কিন্তু উদ্বোধনের সময় বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব নিজেদের পরিচয় দেওয়ার পরও ডিবি পুলিশের ওসি তাদের প্রবেশে বাধা দেন এবং সেখান থেকে সরিয়ে দেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) ইফতেখায়ের আলম বলেন, “উপদেষ্টার নিরাপত্তার দায়িত্ব ডিবি পুলিশের ওপর ছিলো। তবে কাউকে অসম্মান করা সমীচীন নয়।” তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন।
১৪১ দিন আগে
আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন: সিইসি
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, কাজেই নির্বাচন কমিশন সে লক্ষ্যে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, নির্বাচনের কাজ এগিয়ে নেওয়ার জন্যই বিভাগওয়ারি প্রশাসন, নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করা হচ্ছে।
শনিবার (৯ আগস্ট) বিকালে রংপুর বিভাগীয় সদর দপ্তরে প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
সিইসি বলেন, ভোটের সময় কোনো একটি কেন্দ্রে গণ্ডগোল হলেই ওই আসনের নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া হবে। কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা সহ্য করা হবে না। যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঘুষ-বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে, তাদেরকে নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করতে দেওয়া হবে না। গত নির্বাচনে যারা প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে সমস্যা সৃষ্টি করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে।
তিনি বলেন, নির্বাচনী সিস্টেমের ওপর মানুষের আস্থা নষ্ট হয়ে গেছে। মানুষকে ভোট কেন্দ্রে নিয়ে আসাটাই বড় চ্যালেঞ্জ।
নাসির উদ্দিন বলেন, এখনই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে না। তফসিল ঘোষণার দুই মাস আগে তারিখ জানানো হবে। তবে স্বল্প সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন।
এর আগে সকালে আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা রংপুর অঞ্চলসহ রংপুর অঞ্চলের সকল আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা করেন তিনি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচন কমিশন, প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও প্রশাসন মিলে ভালো নির্বাচন করা সম্ভব এবং নির্বাচন কমিশনের প্রতি মানুষের হারানো আস্থা ফিরিয়ে আনা সম্ভব—এই বিষয়েই আমরা কাজ করছি। তাই আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করাটাই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রধান চ্যালেঞ্জ।
পড়ুন: নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যেও নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি: সিইসি নাসির
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো। আমরা চাই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হোক, যাতে শান্তিপূর্ণ ও নির্ভয়ে মানুষ তার পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিতে পারে। মানুষ ভোট কেন্দ্রে যাওয়া ভুলে গেছে। নির্বাচনের দিন অনেকেই ভোট দিতে কেন্দ্রে যায় না, বাসায় আরাম-আয়েস করে। অনেকেই মনে করে, ভোট দিতে গিয়ে কী হবে? কেউ না কেউ তো আমার ভোটটা দিয়ে দিবে। এই ধরনের মনোভাব তৈরি হয়েছে।
‘এই মনোভাব দূর করাই নির্বাচন কমিশনের বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা সেই চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করছি। এজন্য সচেতনতার প্রয়োজন রয়েছে। আর এই সচেতনতা তৈরিতে সাংবাদিকদের ভূমিকা রয়েছে। আমরা সাংবাদিকদের কাছে সহযোগিতা চাই এবং পরামর্শ চাই।’
এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, অস্ত্রের চেয়ে এখন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে এআই-এর ব্যবহার। এআই হচ্ছে বুদ্ধিমত্তার অপব্যবহার। এটি আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা সাংবাদিকদের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছি না, সাংবাদিকরা আমাদের পক্ষ। যারা প্রফেশনাল সাংবাদিক, তারা আমাদের হয়ে কাজ করবেন, স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য কাজ করবেন—এই প্রত্যাশা আমাদের আছে।
এআইয়ের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষকে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে, এটি মোকাবেলা করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এসময় নাগরিকদের উদ্দেশ্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোট দেওয়া যেমন নাগরিক দায়িত্ব, তেমনি ঈমানি দায়িত্বও বটে।
১৪১ দিন আগে
গত ৫ আগস্ট থেকে রাজনৈতিক পরিসরে পরিবর্তন দেখছেন মঈন খান
এক বছর আগের ৫ আগস্ট ও এবার ৫ আগস্টের রাজনৈতিক বিশ্লেষণে স্পষ্ট পার্থক্য রয়েছে, যা দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের পরিবর্তিত বাস্তবতাকে প্রতিফলিত করে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান।
শনিবার (৯ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবে মানব গবেষণা ও বিশ্লেষণ ফাউন্ডেশন (এইচইউআরএফ) আয়োজিত ‘জুলাই বিপ্লব: গণতন্ত্রের অগ্রগতি’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তৃতা দিতে গিয়ে ড. মঈন খান বাংলাদেশে গণতন্ত্র রক্ষার জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করার ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি ১৯৭৮ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত ধারাবাহিক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে টিকে রয়েছে।
মুঘল সাম্রাজ্যের উদাহরণ ও পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলের প্রতি বৈষম্যের ইতিহাস উল্লেখ করে তিনি বলেন, যদিও পাকিস্তানকে পরাজিত করে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করেছে, দেশে এখনও সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবেশ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়নি, পাকিস্তানেও না।
শাসকদলের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করে সতর্ক করে মঈন খান বলেন, আজকের শাসকরা আগামীকালের নিপীড়ক হয়ে উঠবে না তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় সিদ্ধান্ত গ্রহণে দায়বদ্ধতা থাকতে হয় এবং জাতির সামাজিক ও রাজনৈতিক সত্য আবিষ্কারে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
পড়ুন: নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যেও নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি: সিইসি নাসির
গত এক বছরের রাজনৈতিক পরিস্থিতির দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে এবং শাসন কাঠামো আবারও গভীর রাজনৈতিক বৈষম্যের ছাপ দেখিয়েছে— যা মুঘল ও পাকিস্তানের শাসনের মতোই ছিল এবং ২০২৪ সালে আবারও পুনরুত্থিত হয়েছে।
বিএনপির নেতা একদলীয় রাজনীতির বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করে বলেন, যখন একটি দল সংসদের ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ আসন দখল করে তখন শাসন ব্যবস্থায় সংকট সৃষ্টি হয়, যা অতীতে দেখা গেছে।
তিনি হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনামলে হাজার হাজার মানুষের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে বলেন, ‘আমরা আজ তাদের আত্মত্যাগের কারণে দাঁড়িয়ে কথা বলতে পারছি।’
মুক্ত, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের ডাক দিয়ে ডা. মঈন খান বলেন, সব প্রধান রাজনৈতিক শক্তির অংশগ্রহণ ছাড়া সংসদে গণতন্ত্র কার্যকর করা সম্ভব নয়।
তিনি দাবি করেন, ১৯৭৮ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত ৫০ লাখের বেশি বিএনপি নেতা, কর্মী ও গ্রামীণ ছাত্র রাজনৈতিক মামলার মোকাবিলা করেছে।
ঢাকা কলেজের অধ্যাপক আনোয়ার মাহমুদ মূল বক্তৃতা দেন। এইচইউআরএফের আহ্বায়ক আহমেদ হুসাইন আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন ড. মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন এবং আহত জুলাই যোদ্ধা ফাহিম হোসেন জুলাই বিপ্লবের অভিজ্ঞতা জানান।
১৪১ দিন আগে