রাজনীতি
নির্বাচনের ঘোষণা জাতিকে আশার আলো দেখিয়েছে: কাদের গনি চৌধুরী
রমজানের আগে নির্বাচনের ঘোষণা হতাশ জাতিকে আশার আলো দেখিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী। তিনি বলেন, যারা নির্বাচনের বিপক্ষে অবস্থান নেবে, তারা জাতির কাছে গণতন্ত্রের দুশমন হিসেবে চিহ্নিত হবে।
বুধবার (৬ আগস্ট) বিকেলে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের বছরপূর্তি উপলক্ষে পেশাজীবীদের র্যালি পূর্ব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। পরে পেশাজীবীরা মিছিল নিয়ে বিএনপি আয়োজিত বিজয় র্যালিতে যোগ দেন।
কাদের গনি চৌধুরী বলেন, গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি হচ্ছে নির্বাচন। নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্র হয় না, আবার গণতন্ত্র ছাড়া নির্বাচন প্রায় অর্থহীন বা আত্মাহীন দেহের মতো। তাই একটি মানবিক রাষ্ট্র গঠনের প্রত্যয় নিয়ে নির্বাচনী ট্রেনের যাত্রী হওয়ার জন্য সবাইকে আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত সরকারের নৈতিক ভিত্তি শক্তিশালী থাকে। গত ১৭ বছর এদেশের মানুষ ছিল ভোটাধিকারহীন। মানুষ এখন ভোট দিতে চায়, তাদের অধিকার ফিরিয়ে পেতে চায়।
কাদের গনি চৌধুরী বলেন, গত ১৬ বছর শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনে সোনার বাংলাকে পরিণত করা হয়েছিল মৃত্যু উপত্যকায়। ফ্যাসিস্ট শাহীর ভয়ঙ্কর সময়ে দেশের মানুষ ছিল অধিকারহারা। ন্যায়বিচারের ব্যাংক হয়ে পড়েছিল দেউলিয়া। মানবতার কোষাগার শূন্য হয়ে পড়েছিল। ছিল না স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি।
পেশাজীবী ও বুদ্ধিজীবীরাও রেহাই পাননি শেখ হাসিনার নিষ্ঠুর শাসন থেকে। সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি, একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক আফতা আহমদ, সাংবাদিক ফরহাদ খাঁ দম্পতি, এডভোকেট এইউ আহমদ, ব্যাংকার বিএম সাকের হোসাইনসহ অসংখ্য পেশাজীবীকে হত্যা করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার ১৬ বছরে জীবন দিতে হয়েছিল ৬৭ জন সাংবাদিককে। পিলখানায় হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে ৫৭ জন দেশপ্রেমিক সেনাকর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়। গুম-খুন ছিল নিত্যদিনের ঘটনা। চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, কৃষিবিদ, শিক্ষক, ব্যাংকার থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক কর্মী কেউ রেহাই পায়নি নিষ্ঠুরতা থেকে।
তিনি আরও বলেন, হাসিনা আমলে চাকরি, পদোন্নতি হতো দলীয় বিবেচনায়। ভিন্নমতের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শাস্তিমূলক বদলি, পদোন্নতি বঞ্চিত ও চাকরিচ্যুতিও ছিল নিত্যদিনের ঘটনা। সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই এবং র্যাব গোপন টর্চার সেল ‘আয়না ঘর’ তৈরি করে সেখানে ভিন্নমতাবলম্বীদের উপর চালানো হতো বর্বর নির্যাতন।
কাদের গনি চৌধুরী বলেন, ভোটাধিকার হরণ, ভিন্নমত দমন, বিনাবিচারে মানুষ হত্যা, গুম, খুন, ক্রসফায়ার-নির্যাতন-নিপীড়ন, গায়েবি মামলা, দুর্নীতি, লুটপাট, বিদেশে পাচার, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, ব্যাংকের ভল্টে সোনা জালিয়াতি, বিমানবন্দর ভল্ট থেকে সোনা চুরি, শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারি, ব্যাংক লুট, শোষণ-বঞ্চনা এমনভাবে বেড়ে ছিল যে, দেশ মনুষ্য বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছিল।
তিনি বলেন, ২৪’র দ্বিতীয় বিজয় হতাশ জাতির মাঝে আশার আলো জাগিয়েছে। মানুষ নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। বেড়েছে জনপ্রত্যাশাও।
কাদের গনি চৌধুরী বলেন, আমরা একটা কল্যাণমূলক রাষ্ট্র চাই। যে রাষ্ট্র সকল নাগরিকের কল্যাণে কাজ করবে। আমরা এমন একটি রাষ্ট্র চাই— যার মালিক হবেন দেশের জনগণ।
তিনি আরও বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীতে সংস্কার চাই। এ বাহিনী যেন রাজনৈতিক দলের আজ্ঞাবহ বা দলীয় ঠেঙ্গাতে পরিণত না হয়।
বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক প্রফেসর ডা: এজেডএম জাহিদ হোসেনের তত্বাবধানে সদস্য সচিব কাদের গনি চৌধুরীর নেতৃত্বে র্যালিতে প্রফেসর ড. মোর্শেদ হাসান খান, প্রফেসর ড. শামসুল আলম সেলিম, ইঞ্জিনিয়ার আফজাল হোসেন সবুজ, ইঞ্জিনিয়ার আবদুল হালিম, ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুল আলম, ইঞ্জিনিয়ার উমাইশা উমায়ন মনি, শিক্ষক নেতা জাকির হোসেন, সাংস্কৃতিক জোটের রফিকুল ইসলাম, জাহানারা সিদ্দিকী, ডা. রাকিব, ইঞ্জিনিয়ার ফখরুল আলম, কৃষিবিদ সানোয়ার হোসেন, সাংবাদিক এরফানুল হক নাহিদ, অপর্ণা রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
১৪৪ দিন আগে
জুলাই ঘোষণাপত্র অসম্পূর্ণ, গণমানুষের প্রত্যাশার প্রতিফলন নেই: জামায়াত
জুলাই ঘোষণাপত্রকে অসম্পন্ন বিবৃতি উল্লেখ করে এতে গণমানুষের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেনি বলে এক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
বুধবার (৬ আগস্ট) রাজধানীর মগবাজারে দুপুরে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলেন এই প্রতিক্রিয়া জানান দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ২৮ দফার জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করেন। এই ঘোষণাপত্র একটি অপূর্ণাঙ্গ বিবৃতি। এতে গণমানুষের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেনি।
ডা. তাহের বলেন, ঘোষণাপত্রে দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের কথা বলা হলেও ১৯৪৭’র আজাদীকে উপেক্ষা করা হয়েছে। এতে পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা চত্বর হত্যাকাণ্ড, ২৮ অক্টোবরের হত্যাকাণ্ডের উল্লেখ নেই। ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আলেম-ওলামা, মাদরাসা শিক্ষক ও ছাত্র, প্রবাসী ও অনলাইন এক্টিভিস্টদের ভূমিকার উল্লেখ নেই—যা ইতিহাসের প্রতি অবিচার ও অবহেলা ছাড়া আর কিছুই নয়,’ বলেন তিনি।
পড়ুন: ফ্যাসিবাদ আমলে গুম হওয়া অনেককে এখনো ফেরত পাওয়া যায়নি: আবদুল হালিম
তিনি বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের টার্নিং পয়েন্ট ছিল ৯ দফা, যা এক দফায় রূপান্তরিত হয়েছিল— সে বিষয়টিও ঘোষণাপত্রে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।’
ডা. তাহের বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রধান আকাঙ্ক্ষা ছিল রাষ্ট্র সংস্কার। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দুই পর্বের কার্যক্রমে ১৯টি বিষয়ে ঐকমত্যের মাধ্যমে জুলাই জাতীয় সনদ প্রণয়নের সিদ্ধান্ত হয়েছে। অথচ প্রধান উপদেষ্টার পঠিত জুলাই ঘোষণাপত্রে তার উল্লেখ নেই। ঘোষণায় কখন কীভাবে তা কার্যকর করা হবে— তা উল্লেখ না করে ঘোষণাকে গুরুত্বহীন করা হয়েছে। পরবর্তী সরকারের হাতে বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়ায় হাজার হাজার মানুষের আত্মত্যাগ, রক্তের বিনিময়ে অর্জিত জুলাই চেতনা ও আশা-আকাক্সক্ষা ভূলুণ্ঠিত হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছে দলটি।
তিনি বলেন, জামায়াত প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত নির্বাচনের টাইম লাইন (ডিসেম্বর-জুন) শর্ত সাপেক্ষে সমর্থন দিয়ে আসছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা না করে নির্বাচনের সময়সীমা ঘোষণা করার সমালোচনা করেন তিনি। তবে জাতীয় স্বার্থে নির্বাচনের ঘোষণাকে দলটি ইতিবাচক হিসেবে দেখছে বলে জানান জামায়াতের এই নেতা।
জামায়াতকে নির্বাচনমুখী দল উল্লেখ করে ডা. তাহের বলেন, সারা দেশে নির্বাচনের উপযুক্ত যে পরিবেশ থাকার কথা ছিল তা সরকার এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি। জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবি জানান তিনি।
তিনি বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন যে জুলাই জাতীয় সনদ প্রণয়ন করতে যাচ্ছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে তার আইনি ভিত্তি দিতে হবে। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর লিগাল ফ্রেম ওয়ার্কের ভিত্তিতে ৭০-এর নির্বাচন হওয়ার প্রসঙ্গও টানেন জামায়াতের এই সিনিয়র নেতা।
পড়ুন: জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূতি উপলক্ষে ঢাবি শিবিরের সাইকেল র্যালি
ডা. আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, আমাদের আকাঙ্ক্ষা আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পূর্বে জুলাই জাতীয় সনদ প্রণয়ন দ্রুত সম্পন্ন করে অধ্যাদেশ, এলএফও বা গণভোট এর মাধ্যমে আইনি ভিত্তি দেওয়া। তা না করা হলে অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রম বিফলে যাবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির দাবি জানায় জামায়াত।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আপামর জনতা জুলাই জাতীয় ঘোষণাপত্রকে কেন্দ্র করে যে প্রত্যাশা নিয়ে অপেক্ষা করছিল— তা পূরণ হয়নি। শহীদ ও আহতদের পরিবারসহ জুলাই যোদ্ধাদের মাঝে নতুনভাবে উৎকণ্ঠা পরিলক্ষিত হচ্ছে। ঐকমত্য কমিশনের মাধ্যমে জুলাই জাতীয় সনদ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের রূপরেখা কী হবে তা জাতির কাছে অস্পষ্ট। অনতিবিলম্বে জুলাই ঘোষণাপত্রে জনআকাঙ্ক্ষার অপরিহার্য বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান তিনি।
জুলাই জাতীয় সনদ প্রণয়নের কাজ সুসম্পন্ন করে বর্তমান সরকারকেই তা বাস্তবায়ন করে এর ভিত্তিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবিও জানিয়েছে জামায়াত।
সূচনা বক্তব্যে ডা. তাহের চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট, ফ্যাসিবাদী ১৬ বছরের জুলুম নির্যাতন, জনগণের আকাঙ্ক্ষা, আন্দোলনে শিক্ষার্থী ও অন্যান্যদের অবদান তুলে ধরেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম, ড. হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা আব্দুল হালিম, অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিন প্রমুখ।
১৪৪ দিন আগে
আগামী নির্বাচনের সময় জানাতে শিগগিরই চিঠি দেবে সরকার: সিইসি
আগামী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির গোড়ার দিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে নির্ধারিত সময়সূচি জানিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচন কমিশনকে শিগগিরই চিঠি পাঠাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
বুধবার (৬ আগস্ট) রাজধানীর নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা আমাদের জানিয়েছেন, তিনি নির্বাচন ফেব্রুয়ারির শুরুতেই আয়োজন করতে চিঠি পাঠাবেন। রমজানের আগে নির্বাচন হবে। আমি আশা করি, আমরা খুব শিগগিরই সেই চিঠি পাব।’
এর আগে মঙ্গলবার ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষে নির্বাচন আয়োজনের জন্য ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি পাঠানোর ঘোষণা দেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আরও পড়ুন: ভোটারদের আস্থা ফেরানো ও নারী ভোটারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাই বড় চ্যালেঞ্জ: সিইসি
সিইসি বলেন, নির্বাচন আয়োজনে কমিশন আগেভাগেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।
তিনি বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের নানা চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও আমরা আমাদের প্রস্তুতি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। প্রস্তুতির কোনো ঘাটতি থাকবে না। ইনশাআল্লাহ, আমরা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি স্বচ্ছ নির্বাচন আয়োজন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ‘আমরা নির্বাচনকে আয়নার মতো স্বচ্ছ করতে চাই। জনগণ এবং বিশ্ব আমাদের আন্তরিকতা ও প্রচেষ্টা প্রত্যক্ষ করুক—এটাই আমাদের লক্ষ্য। গোপন রাখার কিছু নেই।’
আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতির অগ্রগতির বিষয়ে সিইসি জানান, হালনাগাদ ভোটার তালিকা ৩১ আগস্টের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে এবং নির্বাচনের নির্ধারিত সময়ের আগ পর্যন্ত যাঁরা ভোটার হওয়ার যোগ্য হবেন, তাদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
তিনি আরও আশা প্রকাশ করেন, নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সব কেনাকাটা সেপ্টেম্বরের মধ্যেই শেষ হবে।
১৪৪ দিন আগে
নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে ঘোষণায় বিএনপির বিজয় হয়েছে: মঈন খান
জাতির উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দেওয়া ভাষণে নির্দিষ্ট করে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণাকে ‘বিএনপির বিজয়’ বলে অভিহিত করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান
তিনি বলেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বে গতকাল মঙ্গলবার রাতে আমাদের বিজয় হয়েছে। তবে শুধু সময় নয়, আমরা চাই একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন।
বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুরে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির উদ্যোগে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নির্বাচনের জন্য বিএনপি প্রস্তুত জানিয়ে তিনি বলেন, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে এবং বিজয়ী হবে। সেজন্য দলীয় নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি নিতে দিকনির্দেশনাও দেন তিনি।
সমাবেশ শেষে রেজিস্ট্রারি মাঠ থেকে শুরু হয় বিজয় র্যালি। এতে অংশ নেন সংগঠনটির জেলা ও মহানগরের নেতাকর্মীরা। বৃষ্টির কারণে র্যালিটি সংক্ষিপ্ত করে কোর্ট পয়েন্টে গিয়ে শেষ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১৬ বছর জুলুমের পুঞ্জীভুত ক্ষোভের বহির্প্রকাশ ৫ আগস্ট: মঈন খান
সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরীসহ জেলা ও মহানগর বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণাকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে অভিহিত করে একে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। বুধবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আনুষ্ঠানিকভাবে দলীয় এই প্রতিক্রিয়া জানান।
তিনি বলেন, বিএনপি মনে করে, এই ঐতিহাসিক ঘোষণায় বাংলাদেশের রাজনৈতিক অচলাবস্থা কেটে যাবে, গণতন্ত্র উত্তরণের পথকে সুগম করবে।
১৪৪ দিন আগে
নির্বাচনের ঘোষণা গণতন্ত্র উত্তরণের পথকে সুগম করবে: বিএনপি মহাসচিব
আগামী বছরের ফ্রেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা বাংলাদেশের গণতন্ত্র উত্তরণের পথকে সুগম করবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (৬ আগস্ট) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জুলাই ঘোষণাপত্রকে স্বাগত জানায় বিএনপি। প্রধান উপদেষ্টার নির্বাচনের ঘোষণা গণতন্ত্র উত্তরণের পথকে সুগম করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠকের পর নির্বাচনের সময় ২০২৬ এর ফেব্রুয়ারিতে নির্ধারণের ঘোষণাকে স্বাগত জানাচ্ছে বিএনপি। এই ঐতিহাসিক ঘোষণা গণতন্ত্র উত্তরণের পথকে সুগম করবে। এই ঘোষণাপত্রে রাজনৈতিক দলগুলো যে অঙ্গীকার করেছে, তা পালনের মধ্যদিয়ে এক নতুন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে রূপান্তরের কাজ শুরু হবে।’
সরকার ও নির্বাচন কমিশন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সর্বজনগ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে জুলাই ঘোষণাপত্র অনুষ্ঠানে অংশ নেবে বিএনপি
একটি কার্যকর জাতীয় সংসদ গঠনের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দিতে সবাইকে এই নির্বাচন সফল করতে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, বিগত এক বছরে অনেক প্রতিকূলতা সত্তেও গণতন্ত্রের পথকে সুগম করার উদ্যোগের ও প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ড. ইউনূস, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট সব সদস্য যারা এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত, তাদের আন্তকিরক ধন্যবাদ জানাচ্ছে বিএনপি এবং প্রত্যাশা করছে অতি দ্রুত রাষ্ট্র কাঠামোর সংস্কারের বাকি কাজগুলো সম্পন্ন হবে।
অধ্যাপক ইউনূস মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ ঘোষণা দিয়েছেন উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপি এই ঘোষণাপত্রকে স্বাগত জানায়। বিএনপি বিশ্বাস করে ঘোষণাপত্রে রাজনৈতিক দলগুলো যে অঙ্গীকার করেছে, তা পালনের মধ্য দিয়ে এক নতুন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে রূপান্তরের কাজ শুরু হবে। এর মাধ্যমে একটি সাম্য, মানবিক মূল্যবোধ ও ন্যায় বিচারের ভিত্তিতে সত্যিকারের প্রগতিশীল সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণের সুযোগ সৃষ্টি হবে।’
এ সময় নিহত পরিবারগুলোর পুনর্বাসন ও আহতদের যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তিনি সরকাররে প্রতি আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল তারেক রহমানকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, তিনি দীর্ঘ আট বছর গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে এই সাফল্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
তিনি বলেন, সব রাজনৈতিক দল, ছাত্র, কৃষক, শ্রমিকসহ সব স্তরের মানুষ এই সংগ্রামে অংশ নিয়েছে। তাদের অনেকে শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছে, পঙ্গু হয়েছেন। বিএনপি তাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছে।
১৪৫ দিন আগে
সাংবাদিকদের দলীয় কর্মী নয়, মানুষের কণ্ঠস্বর হতে হবে: আমীর খসরু
সাংবাদিকদের দলীয় কর্মী না হয়ে মানুষের কণ্ঠস্বর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
জুলাই বিপ্লবের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামে নগরীর জামাল খানের প্রেস ক্লাব চত্বরে এক সমাবেশে তিনি এই আহ্বান জানান।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠানের সমাপনী দিনে ‘সাংবাদিক ছাত্র জনতার সমাবেশে’প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আপনারা বিএনপির সাংবাদিক হওয়ারও দরকার নেই। আপনারা দেশের সাংবাদিক হন, বাংলাদেশের জনগণের সাংবাদিক হন, মানুষের সাংবাদিক হন। এটাই হচ্ছে নতুন বাংলাদেশের প্রতিজ্ঞা।’
পড়ুন: মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে জুলাই ঘোষণাপত্র অনুষ্ঠানে অংশ নেবে বিএনপি
তিনি বলেন, সাংবাদিকতার নামে যারা স্বৈরাচারের পক্ষে দাঁড়ায়, তারা আসলে সাংবাদিক না। তারা প্রেসক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে একটি ব্যক্তির পক্ষে, একটি দলের পক্ষে অবস্থান নেয়—তারা সাংবাদিকতার সংজ্ঞার মধ্যে পড়ে না। তারা হয়ে গেছে দলীয় কর্মী। এই জিনিসগুলো আপনাদের অনুধাবন করতে হবে। আমাদের যেন তাদের মতো চলতে না হয়, সেটাও মাথায় রাখতে হবে।
এর আগে তিনি প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত ‘ক্যামেরায় জুলাই বিপ্লব শীর্ষক প্রদর্শনী’ ঘুরে দেখেন। অনুষ্ঠানে জুলাই আন্দোলনের উপর বিভিন্ন শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচির সভাপতিত্বে ও বৈশাখী টিভির ব্যুরো চিফ গোলাম মওলা মুরাদ এবং মিয়া মোহাম্মদ আরিফের পরিচালনায় এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক আবু সুফিয়ান।
আমীর খসরু বলেন, আমরা ১৫ বছর ধরে সাংবাদিকতার চিত্র সম্মুখভাবে দেখেছি। কারণ আমরা সম্মুখভাগে ছিলাম। আমি সার্বিকভাবে যেভাবে ছিলাম, সাংবাদিকতার চিত্র পরিষ্কারভাবে দেখেছি। কারা নিজের দেশকে বিক্রি করে সাংবাদিকতা করেছে, কারা ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারের সঙ্গে থেকে সুবিধা ভোগ করেছে, সাংবাদিকতার দায়িত্বকে ধ্বংস করেছে, সব দেখেছি।
শেখ হাসিনার সময়ে সাংবাদিকতার ভূমিকা তুলে ধরে আমীর খসরু বলেন, শেখ হাসিনার প্রেস কনফারেন্স শেষে যে সাংবাদিকরা জনগণের কথা না তুলে ধরে স্বৈরাচারের কথা তুলে ধরেছে, তারা কি কোনো সাংবাদিক? তারা তো সাংবাদিকতার মান সম্মান নষ্ট করেছে।
পড়ুন: কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি না করে একসঙ্গে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আহ্বান ফখরুলের
তিনি আরও বলেন, আপনারা নিশ্চয় দেখেছেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরে তারেক রহমান সাহেবকে বিদ্রুপ করে একটা কার্টুন ছাপানো হয়েছিল। সবাই ভেবেছিল এই সাংবাদিক বিপদে পড়বে। কিন্তু হলো উল্টো—তারেক রহমান সাহেব স্ট্যাটাস দিলেন, ‘আমরা দেড় দশক ধরে যুদ্ধ করছি—এই সাংবাদিকরা যাতে তাদের এ কাজগুলো করতে পারে। এই কথার মধ্যেই সব মেসেজ চলে এসেছে।
তিনি বলেন, আমরা সত্যিকারের সাংবাদিকতা চাই, নিরপেক্ষতা চাই। সাংবাদিকদের পেশাগত মানদণ্ড অক্ষত রাখতে হবে। এটাই হবে নতুন বাংলাদেশের শপথ। আগামীতে সাংবাদিকরা যদি জনগণের কথা তুলে ধরতে পারে, স্বাধীনতার কথা, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক অধিকার তুলে ধরতে পারে—তাহলেই হবে সফল সাংবাদিকতা।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ৩১ দফার মধ্যে আমরা পরিষ্কার করে বলেছি, কী ধরনের সাংবাদিকতা চাই।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সহকারী মহাসচিব মুস্তাফা নঈম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট ইফতেখার হোসেন চৌধুরী মহসিন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, সিএমইউজে'র সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শিল্পী, মহানগর মহিলাদলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনি প্রমুখ।
১৪৫ দিন আগে
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূতি উপলক্ষে ঢাবি শিবিরের সাইকেল র্যালি
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবির করেছে নানান আয়োজন। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) ‘ফ্যাসিবাদের পতন ও ফতহে গণভবনের একবছর পূর্তি উপলক্ষে’ আয়োজিত হয় ‘ফতহে গণভবন সাইকেল র্যালি’। এই র্যালিটি ২০২৪ সালের পাঁচ আগস্টে গণভবনের স্মৃতি রক্ষা এবং স্বৈরাচারবিরোধী গণ-আন্দোলনের চেতনাকে নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার এক সাহসী উদ্যোগ হিসেবে দেখছেন আয়োজকরা।
র্যালিটি সকাল ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে শুরু হয় এবং ক্রমান্বয়ে শাহবাগ, কাওরান বাজার, ফার্মগেট, বিজয় সরণি হয়ে গণভবনের সামনের সড়কে পৌঁছায়। সেখান থেকে র্যালিটি আসাদগেট, ধানমন্ডি, সাইন্সল্যাব, নীলক্ষেত হয়ে টিএসসিতে এসে সমাপ্তি ঘটে। র্যালিতে ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীসহ প্রায় পাঁচশত শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
র্যালির শুরুতে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে বিশেষ টিশার্ট বিতরণ করা হয়, যাতে লেখা ছিল ‘৩৬ জুলাই, আমরা থামব না’ এবং সবার সাইকেলে বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকা ছিল।
এছাড়া, টিএসসিতে গত সতেরো বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনামলের ও জুলাইয়ের বিভিন্ন তথ্যচিত্র, নাটক ও ত্রিডি এনিমেশন প্রদর্শনী এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ছাত্রশিবির।
পড়ুন: জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঢাবিতে সাদা দলের শিক্ষকদের র্যালি
ঢাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি এস এম ফরহাদ বলেন, বাংলাদেশের মানুষের দ্বিতীয় স্বাধীনতা এসেছিল ৫ আগস্ট। সেই দিনটিকে বিশেষভাবে উদযাপন করাই ছিল আমাদের মূল লক্ষ্য। সে জন্যই এই বিশেষ সাইকেল র্যালির আয়োজন করা। এছাড়াও আগামী ৫, ৬, ৭ আগস্ট তিন দিনব্যাপী টিএসসিতে জুলাইকে কেন্দ্র করে আমাদের বিভিন্ন কালচারাল অনুষ্ঠান, আলোচনাসভা ও চিত্রপ্রদর্শনীর আয়োজন থাকছে। ছাত্রশিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ঢাকাবাসীকে আমরা এসব উপভোগ করার আমন্ত্রণ জানাই৷
একিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আজ সন্ধ্যা ৭টায় রাজু ভাস্কর্য প্রাঙ্গণে ‘জাগ্রত জুলাই’ শীর্ষক এক মনোজ্ঞ কনসার্ট আয়োজন করবে। জুলাই যোদ্ধাদের সাহসিকতার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন এবং ঐক্যের বার্তা দিতে এই কনসার্ট আয়োজন করবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কনসার্টে দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড সঙ্গীত শিল্পীরা পারফর্ম করবেন বলেও জানানো হয়েছে।
১৪৫ দিন আগে
মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে জুলাই ঘোষণাপত্র অনুষ্ঠানে অংশ নেবে বিএনপি
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠের অনুষ্ঠানে অংশ নেবে বিএনপির পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে আজ মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) ঘোষণাপত্র পাঠের অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে সরকার।
বিএনপির মিডিয়া সেল সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন—বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান এবং সালাহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি আরও জানান, সোমবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
শায়রুল বলেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিএনপি নেতাদের কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি না করে একসঙ্গে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আহ্বান ফখরুলের
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিনকেও কর্মসূচিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
আজ বিকাল ৫টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
১৪৬ দিন আগে
ফ্যাসিবাদ আমলে গুম হওয়া অনেককে এখনো ফেরত পাওয়া যায়নি: আবদুল হালিম
ফ্যাসিবাদ আমলে গুম হওয়া অনেককে এখনো ফেরত পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম।
তিনি বলেন, ‘পতিত ফ্যাসিস্ট সরকার সারাদেশে গুম-খুনের রাজনীতি কায়েম করেছিল। ফ্যাসিবাদ আমলে গুম হওয়া অনেককে এখনো ফেরত পাওয়া যায়নি।’
সোমবার (৪ আগস্ট) দিনাজপুরের বিরামপুর কমিউনিটি সেন্টারে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, সারা দেশে লাখ লাখ নেতাকর্মী জেল-জুলুমের শিকার হয়েছিল। বাংলাদেশ কর্তৃত্ববাদী শাসকের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছিল। জুলাই’২৪ এর ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে।
তিনি বলেন, জামায়াতের শীর্ষ ১১ জন নেতার কয়েকজনকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক ন্যায়ভ্রষ্ট রায়ের মাধ্যমে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে এবং কয়েকজনকে কারাগারে রেখে হত্যা করা হয়েছে।
পড়ুন: নাটোরে দোকানে তালা লাগিয়ে চাঁদা দাবির বিষয় অস্বীকার জেলা জামায়াতের
তিনি আরও বলেন, বৈষম্যহীন সমাজ ও রাষ্ট্র বিনির্মাণে জামায়াতে ইসলামী নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জামায়াতে ইসলামী ইতিবাচক রাজনীতি ও গঠনমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশবাসীর আস্থা ও ভালোবাসা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
দিনাজপুর জেলা আমির অধ্যক্ষ আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও দিনাজপুর জেলা সেক্রেটারি মুহাদ্দিস ডক্টর এনামুল হক এর সঞ্চালনা করেন। সম্মেলনে জেলা ইউনিট সদস্য উপজেলা আমির ও সেক্রেটারিরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও দিনাজপুর শহর, সদর উপজেলা, বিরল, কাহারোল ও বীরগঞ্জ উপজেলায় পৃথক পৃথক মহিলা রুকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
১৪৬ দিন আগে
কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি না করে একসঙ্গে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আহ্বান ফখরুলের
সকল রাজনৈতিক শক্তিকে দোষারোপ ও কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি পরিহার করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনর্গঠনে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আমি সকলের প্রতি আহ্বান জানাতে চাই—আসুন আমরা একে অপরের প্রতি কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি বন্ধ করি। আমাদের এখন বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং একটি সমৃদ্ধ অর্থনীতি গড়ে তোলার সুযোগ এসেছে। আসুন আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে এবং মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর জন্য একসঙ্গে কাজ করি। ইনশাআল্লাহ, আমরা সফল হব।’
সোমবার (৪ আগস্ট) রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় তিনি এই আহ্বান জানান। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বার্ষিকী উপলক্ষে ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশে (আইইবি)‘ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন ও আমার অব্যক্ত কথা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপির যুব সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল।
যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্নার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
গণতন্ত্রের উত্তরণে বাধা সৃষ্টির জন্য একটি ষড়যন্ত্র অব্যাহত থাকায় সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘আজ, একটি ষড়যন্ত্র চলছে, দেশে আবারও অস্থিতিশীলতা তৈরির জন্য একটি ষড়যন্ত্র চলছে, দেশে একটি ষড়যন্ত্র তৈরি করা হচ্ছে যাতে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের উত্তরণ সুষ্ঠুভাবে না ঘটে।’
পড়ুন: নেতৃত্ব দিতে হলে বিএনপিকে জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে: তারেক
বিএনপি নেতা বলেন, দেশ এখন একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে এবং জনগণ এখন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দিকে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে, যা এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ‘এখন অর্থনীতি এবং রাজনৈতিক কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু আমাদের এই (অর্থনীতি এবং রাজনৈতিক কাঠামো) ভিত্তি তৈরি করে পুনর্গঠন করে এগিয়ে যেতে হবে,’ বলেন তিনি।
ফখরুল বলেন, ঐতিহাসিকভাবে, বিএনপি যতবারই দেশ এবং এর অর্থনীতি ধ্বংস হয়েছে ততবারই দেশ এবং এর অর্থনীতি পুনর্গঠনে এগিয়ে এসেছে। ‘আবারও মনে হচ্ছে বিএনপিকে সেই দায়িত্ব কাঁধে তুলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।’
ফখরুল বাংলাদেশ পুনর্গঠনের জন্য দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দৃষ্টিভঙ্গিকে মার্টিন লুথার কিং-এর ‘আই হ্যাভ এ ড্রিম’ ভাষণের অনুরূপ হিসেবে বর্ণনা করেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের নেতা তারেক রহমান আমাদের যে পথ দেখাচ্ছেন, অর্থনীতি ও রাজনীতি সম্পর্কে তিনি যে কথা বলছেন... যখন আমি দেশের সামনে যে স্বপ্ন উপস্থাপন করছেন- তা শুনি, তখন একটি জিনিস মনে আসে এবং তা হলো মার্টিন লুথার কিং-এর ঐতিহাসিক কথা... ‘আই হ্যাভ এ ড্রিম’।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারেক রহমান একটি স্বপ্ন। ইনশাআল্লাহ, আমরা সেই স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যাব এবং আমরা জয় করব, ইনশাআল্লাহ।’
আরেকটি নাটক শুরু হচ্ছে: মির্জা আব্বাস
এদিকে, অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস অভিযোগ করেন, সরকার নির্বাচন বিলম্বিত করার জন্য একটি ‘বানোয়াট নাটক’ পরিচালনা করছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা শুনেছি মাজেদ অথবা সাজেদ নামে একজন মেজর সরকারকে অস্থিতিশীল করার জন্য অথবা দেশে কোনো ঘটনা ঘটানোর জন্য ষড়যন্ত্র করছে। আমরা এই ধরনের কৌশল বুঝতে পারি। তারা নির্বাচন বিলম্বিত করতে একটি নাটক শুরু করেছে।’
পড়ুন: জুলাই সনদে যেকোনো সময় সই করতে প্রস্তুত বিএনপি: সালাহউদ্দিন
মির্জা আব্বাস বলেন, এদেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য ১৭ বছর ধরে লড়াই করেছে। ‘আমাদের এই সরকারের কাছ থেকে এই অধিকারটি উপলব্ধি করতে হবে। সরকারের ভেতরে বা বাইরে যে ষড়যন্ত্রই করা হোক না কেন, বিএনপি কোনো ষড়যন্ত্রকে অপ্রতিরোধ্য মনে করে না।’
বিএনপি নেতা বলেন, প্রয়োজনে তারা তারেক রহমানের নেতৃত্বে আরও ১৭ বছর সংগ্রাম করতে প্রস্তুত। তবে এদেশে কোনো স্বৈরাচারী শাসনকে শিকড় গাড়তে দেবে না।
জুলাইয়ের অভুত্থানের সময় নিহত ৭৮ জন যুবদল কর্মীর পরিবারের সদস্যদের সম্মাননা দিয়েছে বিএনপি। পরিবারগুলোকে আর্থিক সহায়তাও দেওয়া হয়েছে।
যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়নের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের কাছে আর্থিক সহায়তা হস্তান্তর করেন বিএনপি মহাসচিব।
১৪৬ দিন আগে