রাজনীতি
হাসপাতালে নেয়া হয়েছে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমানকে
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। দলটির প্রেস উইং সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
প্রেস উইং ডা. শফিকুর রহমানের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানিয়েছে। বলেছে, তার পেশার, সুগার লেভেল ঠিক আছে। তার সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাওয়া হয়েছে।
এর আগে বিকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলের জাতীয় সমাবেশে সভাপতির বক্তব্য দেওয়ার সময় হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। দুদফায় অসুস্থ হয়ে পড়লেও তিনি মঞ্চে বসেই বক্তব্য শেষ করেন।
সাত দফা দাবিতে শনিবার (১৯ জুলাই) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে বক্তব্য শুরুর প্রায় সাড়ে সাত মিনিট পর তিনি পড়ে যান। পরে তিনি বসে বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন।
পড়ুন: মঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়ে গেলেন ডা. শফিক
তবে মঞ্চে থাকা চিকিৎসকরা তাকে বক্তব্য না দেওয়ার অনুরোধ করেছেন উল্লেখ করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আল্লাহ যত সময় হায়াত দিয়েছেন, তত সময় মানুষের জন্য লড়াই করব ইনশাল্লাহ। বাংলার মানুষের মুক্তি অর্জন হওয়া পর্যন্ত আমার লড়াই অব্যাহত থাকবে।
বক্তব্যের শুরুতে তিনি শহীদ আবু সাঈদসহ অন্যান্য শহীদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। সমাশাহ আলম নামে এক কর্মীর ম
সমাবেশে বক্তব্য দেন শহীদ পরিবারের সদস্য, ২৪’র জুলাই যোদ্ধা, দলের নির্বাহী পরিষদের সদস্য, নায়েবে আমির, সেক্রেটারি, সহকারী সেক্রেটারি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব, হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব, গণঅধিকার পরিষদের নুরুল হক নূর, এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম শহীদ আবরারের পিতাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
১৬২ দিন আগে
মঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়ে গেলেন ডা. শফিক
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলের জাতীয় সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় অসুস্থ হয়ে মঞ্চে পড়ে গেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
সাত দফা দাবিতে শনিবার (১৯ জুলাই) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে বক্তব্য শুরুর সাড়ে সাত মিনিট পর তিনি পড়ে যান। পরে মঞ্চে বসেই তিনি বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন।
তবে মঞ্চে থাকা চিকিৎসকেরা তাকে বক্তব্য না দেওয়ার অনুরোধ করেছেন উল্লেখ করে ডা. শফিকুর বলেন, ‘আল্লাহ যত সময় হায়াত দিয়েছেন, তত সময় মানুষের জন্য লড়াই করব ইনশাআল্লাহ। বাংলার মানুষের মুক্তি অর্জন হওয়া পর্যন্ত আমার লড়াই অব্যাহত থাকবে।’
বক্তব্যের শুরুতে তিনি শহীদ আবু সাঈদসহ অন্যান্য শহীদদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
সমাবেশে বক্তব্য দেন শহীদ পরিবারের সদস্য, ২৪’র জুলাই যোদ্ধা, দলের নির্বাহী পরিষদের সদস্য, নায়েবে আমির, সেক্রেটারি, সহকারী সেক্রেটারি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব, হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব, গণঅধিকার পরিষদের নুরুল হক নূর, এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, শহীদ আবরারের পিতাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
১৬২ দিন আগে
এতগুলো মাসেও হত্যা, নিপীড়ন ও গুমের বিচারে অগ্রগতি নেই: আখতার
জুলাই অভ্যুত্থানের পর এতগুলো মাস পেরিয়ে গেলেও শেখ হাসিনার আমলের হত্যা, নিপীড়ন ও গুম-খুনের বিচারে কোনো অগ্রগতি হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন।
শনিবার (১৯ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জুলাই-আগস্ট গণ–অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
আখতার বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের প্রত্যাশা ছিল, বাংলাদেশের বিচার কাঠামো এমন হবে, যেখানে বিগত সময়ে দেশের মানুষের ওপর যে অত্যাচার, নিপীড়ন, গুম-খুন ও গণহত্যা হয়েছে, সেগুলোর পরিপূর্ণ বিচার হবে। কিন্তু এতগুলো মাস পেরিয়ে গেলেও আমরা বিচারের কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি খেয়াল করিনি।’
গণঅভ্যুত্থানের প্রত্যাশা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
‘১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পরে বাহাত্তরের সংবিধান পেয়েছিলাম, সেটা আমাদের কাঙ্ক্ষিত সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সুবিচারের দেশ আমাদের উপহার দিতে পারেনি। যে অর্থনৈতিক অধিকারগুলো আছে, সেগুলোর সাংবিধানিক স্বীকৃতি অর্জন করতে পারেনি বাংলাদেশের মানুষ। আমরা আমাদের অর্থনৈতিক অধিকারগুলোকে সাংবিধানিক স্বীকৃতির পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারিনি।’
এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, ‘আমাদের যে সংবিধান প্রণীত হয়েছিল, সেটি এক ব্যক্তিকে রাষ্ট্রকাঠামোর মূলে রেখে হয়েছিল। যে কারণে গেল অর্ধশতাব্দিতে বাংলাদেশে কোনো ক্ষমতার ভারসাম্য আমরা দেখিনি। আমরা মনে করি, বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক সংবিধানের বাস্তবতা রয়েছে।
‘একটি গণপরিষদের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নতুন একটি সংবিধান প্রণয়ন করে, সেটি যাতে একক কোনো দলের ইশারায় পরিবর্তিত হতে না পারে— এমন এক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। যেখানে সরকারি দল, বিরোধী দল ও জনগণের মতামতের ভিত্তিতে এটি গ্রহণ করা সম্ভব হবে।’
ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তিগুলোর এক থাকার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘নানা কারণে আমাদের মধ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনার জায়গা তৈরি হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক চাওয়া–পাওয়ার হিসাব–নিকাশ থেকে পরস্পরের বিরুদ্ধাচরণের জায়গা তৈরি হয়েছে।’
কিন্তু এটা গণঅভ্যুত্থানের প্রত্যাশার জায়গা ছিল না বলে উল্লেখ করে আখতার বলেন, ‘আমরা এমন এক বাংলাদেশ চেয়েছিলাম, যেখানে প্রতিহিংসা, বিদ্বেষ ও পেশিশক্তির রাজনীতি উতরে গিয়ে আমরা মানুষের সমস্যা সমাধানে নাগরিক ও মানবিক মর্যাদার সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারব।’
‘সেই পথে আমরা কতদূর অগ্রসর হতে পেরেছি, সেটা ইতিহাস বিবেচনা করবে। আমার কাছে এখনো মনে হয়, এক বছর পার হলেও আমাদের অপূর্ণ আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের আশা নিঃশ্বেষ হয়ে যায়নি।’
আখতার আরও বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী সব রাজনৈতিক দলের হাত থেকে সরে গিয়ে গণঅভ্যুত্থান মুষ্টিমেয় কিছু রাজনৈতিক দল বা গোষ্ঠীর কাছে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ুক— আমরা সেটা চাই না। এই গণঅভ্যুত্থান আমাদের সবার। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান একক কোনো রাজনৈতিক দলের কাছে বন্দি না রেখে ফ্যাসিবাদবিরোধী সবপক্ষ সমানভাবে ধারণ করে আমরা নিজেদের লক্ষ্য অর্জনে সামনে অগ্রসর হতে পারব।
আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন গণতন্ত্র মঞ্চের প্রধান সমন্বয়ক রফিকুল ইসলাম বাবলু। আরও বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ১২–দলীয় জোট প্রধান ও জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদ উল্লাহ কায়সার, জেএসডির সহসভাপতি তানিয়া রব, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের আহ্বায়ক নাঈম জাহাঙ্গীর, নারী মুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমা দত্ত প্রমুখ।
১৬২ দিন আগে
পুরোনো ব্যবস্থায় নয়, নতুন ব্যবস্থাপনায় নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে: জামায়াত আমির
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, পুরোনো বস্তাপচা ব্যবস্থাপনায় নতুন বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়, তাই নতুন ব্যবস্থাপনায় নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে।
তিনি বলেন, ‘পুরোনো সব যদি টিকে থাকে, তাহলে কেন তারা জীবন দিলো? যারা ওই বস্তাপচা ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশকে আবার গড়তে চায়—তাদেরকে আমরা বলি জুলাই যুদ্ধ করে যারা জীবন দিয়েছেন, আগে তাদের জীবনটা ফেরত এনে দেন—আপনারা পারবেন না। কাজেই নতুন ব্যবস্থাপনায় নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে ইনশাআল্লাহ।’
তারুণ্য ও যৌবনের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ফ্যাসিবাদের ও দুর্নীতির মুলোৎপাটন করে বিজয় অর্জনের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
শনিবার (১৯ জুলাই) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলের জাতীয় সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে জামায়াত আমির এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘একটা লড়াই হয়েছে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, আরেকটা লড়াই হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে। এই দুর্নীতির মুলোৎপাটন করার জন্য যা দরকার, আমরা তারুণ্য ও যৌবনের শক্তিকে একত্রিত করে সেই লড়াইয়েও ইনশাআল্লাহ বিজয় লাভ করব।’
জামায়াত আমির বলেন, কঠিন অন্ধকার যুগের যাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে যারা তিলে তিলে নির্যাতিত হয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন, অপশক্তিকে প্রতিবাদ করতে গিয়ে বিদায় নিয়েছেন, যারা লড়াই করে আহত ও পঙ্গুত্ববরণ করেছেন—তাদের কাছে আমরা গভীরভাবে ঋণী। জামায়াতের অস্তিত্ব যতদিন থাকবে তাদের ঋণ পরিশোধ করার সক্ষমতা কামনা করেন তিনি।
পড়ুন: মঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়ে গেলেন ডা. শফিক
তিনি বলেন, আবু সাঈদ যদি বুক পেতে না দাঁড়াতো, এই জাতির মুক্তির জন্য বুক চেতিয়ে বুকে গুলি লুফে না নিতো—তাহলে হয়তোবা আজকের বাংলাদেশ আমরা দেখতাম না। হয়তো আরও মানুষের জীবন ফ্যাসিবাদীদের হাতে চলে যেত।
ডা. শফিকুর বলেন, চব্বিশে জীবনবাজি রাখা যুদ্ধটা যদি না হতো—তাহলে আজকে যারা বিভিন্ন ধরনের কথা ও দাবি দাওয়া পেশ করছেন, তারা তখন কোথায় যেত? তাদের ত্যাগকে অবজ্ঞা ও অবহেলা না করার আহ্বান জানান তিনি।
জামায়াত আমির বলেন, ত্যাগীদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য যেন না করি। অহংকার করে অন্য দলকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য না করি। অরাজনৈতিক ভাষায় আমরা যেন কথা না বলি। যদি এগুলো আমরা পরিহার করতে না পারি—তাহলে বুঝতে হবে, যারা পারবেন না, ফ্যাসিবাদের রূপ তাদের মধ্যে নতুন করে বাসা বেঁধেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করব, আমরা এগুলো করব না। কেউ এগুলো করবে না। জাতীয় ঐক্যের বীজতলাটা আমরা একসাথে তৈরি করব ইনশাআল্লাহ।’
জামায়াত আমির বক্তব্যের এই পর্যায়ে এসে দাঁড়ানো অবস্থা থেকে পড়ে যান। একটু পড়েই... মঞ্চে বসা অবস্থায় ‘আলহামদুলিল্লাহ শুকরান.. আলহামদুলিল্লাহ কাছিরান’ বলে আবার বক্তব্য শুরু করেন তিনি।
তিনি বলেন, আমি আল্লহ তায়ালার শুকরিয়া আদায় করি আবার আপনাদের সামনে দাঁড়াতে পেরেছি। আমি বলেছিলাম দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ সবাইকে নিয়ে আমরা গড়ব। আমরা কথা দিচ্ছি, জামায়াতে ইসলামী আল্লাহর মেহেরবানি ও জনগণের ভালোবাসা নিয়ে সরকার গঠন করে....তিনি আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রায় আড়াই মিনিট পর তিনি মঞ্চে বসে আবারও বক্তব্য শুরু করেন।
ডা. শফিকুর বলেন, ‘আল্লাহ যত সময় হায়াত দিয়েছেন, তত সময় মানুষের জন্য লড়াই করব ইনশাল্লাহ। বাংলার মানুষের মুক্তি অর্জন হওয়া পর্যন্ত আমার লড়াই অব্যাহত থাকবে।’
পড়ুন: হাসপাতালে নেয়া হয়েছে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমানকে
আগের বক্তব্যের সূত্র ধরে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, জামায়াতে ইসলামী আল্লাহর মেহেরবানি ও জনগণের ভালোবাসা নিয়ে মানুষের সেবা করার সুযোগ পায়—তাহলে মালিক হবে না সেবক হবে ইনশাআল্লাহ। আজ আমি ঘোষণা দিচ্ছি—লক্ষ জনতাকে সাথে নিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে যদি সরকার গঠন করতে পারেন- তাহলে কোনো এমপি, কোনো মন্ত্রী সরকারের কাছ থেকে প্লট গ্রহণ করবে না। কোনো এমপি ও মন্ত্রী ট্যাক্সবিহীন কোনো গাড়িতে চড়বে না। কোনো এমপি ও মন্ত্রী নিজের হাতে কোনো টাকা চালাচালি করবে না। যদি কোনো এমপি ও মন্ত্রী তার নির্দিষ্ট কোনো কাজের বরাদ্দ পেয়ে থাকেন, কাজ শেষ হওয়ার সাথে সাথে ১৮ কোটি মানুষের কাছে তারা তাদের প্রতিবেদন তুলে ধরতে বাধ্য থাকবেন।
তিনি বলেন, ‘চাঁদা আমরা নেব না, দুর্নীতি আমরা করব না। চাঁদা আমরা নিতে দেবো না, দুর্নীতি আমরা সহ্য করব না। এই বাংলাদেশটাই আমরা দেখতে চাই।’
যুবকদের উদ্দেশে ডা. শফিক বলেন, ‘বন্ধুগণ, তোমাদের সাথে আমরা আছি। আমি জামায়াতের আমির হিসেবে আজকে এখানে কথা বলতে আসিনি, আমি এসেছি বাংলাদেশের মানুষের একজন হয়ে কথা বলতে। আমি শিশুদের বন্ধু, আমি যুবকদের ভাই, আমি বয়োষ্ঠদের সহযোদ্ধা, আমার বোনদের আমি ভাই, সুতরাং আমি তাদের মুক্তির জন্যই আমি দায়িত্ব নিয়েই এখানে দাঁড়িয়েছিলাম। আল্লাহর ইচ্ছা, শরীর আমাকে সাময়িক সহযোগিতা করে নাই। এখন আমাকে কথা বলার সুযোগ দিচ্ছেন এটাও আল্লাহর ইচ্ছা।’
তিনি বলেন, ‘আমি বলতে চাই বাংলাদেশের নির্দিষ্ট কোনো শ্রেণির মুক্তির জন্য আমাদের এই লড়াই নয়। রাস্তার একজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী, চা বাগানের একজন শ্রমিক, রক্ত ও ঘাম ঝড়ানো রিকশাচালক আমার একজন ভাই ও কৃষক বন্ধুদের হয়ে এখানে কথা বলতে এসেছি। আমি কোনো অভিযাত শ্রেণির হয়ে এখানে কথা বলতে আসিনি।’
জামায়াতপ্রধান বলেন, সকল প্রকার রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করেছি, পরোয়া করি নাই। আমার আফসোস ২৪ সালে জাতিকে মুক্তি দিতে গিয়ে যারা জীবন দিয়ে শহীদ হলো আমি তাদের একজন হতে পারলাম না।
ইনসাফের ভিত্তিতে একটি দেশ গড়ে তোলার জন্য আগামীতে যে লড়াই হবে, সেই লড়াইয়ে নিজের অংশগ্রহণের সামর্থের জন্য দোয়া চান ডা. শফিকুর।
দলের সাবেক নেতাদের হত্যা, ২০০৬ সাল থেকে সকল গণহত্যা, পল্টন গণহত্যা, শাপলা গণহত্যাসহ সারা দেশের গণহত্যা, পিলখানার গণহত্যা, চব্বিশের গণহত্যা যারা করেছে- তাদের সকলের বিচার বাংলাদেশের মাটিতে নিশ্চিত করতে হবে। এদের দৃশ্যমাণ বিচার শুরু না হওয়া পর্যন্ত পুরোনো ব্যবস্থাপত্রে বাংলাদেশ আর চলবে না।
পড়ুন: কেউ চাঁদাবাজি করলে তা মুখের ওপর বলব: সারজিস
তিনি বলেন, এতগুলো মানুষ এমনি এমনি জীবন দেয় নাই। জীবন দিয়েছেন জাতির মুক্তির জন্যে। স্পষ্ট কথা, পুরোনো সব যদি টিকে থাকে তাহলে কেন তারা জীবন দিল? যারা ওই বস্তাপচা ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশকে আবার গড়তে চায়—তাদেরকে আমরা বলি জুলাই যুদ্ধ করে যারা জীবন দিয়েছেন, আগে তাদের জীবনটা ফেরত এনে দেন—আপনারা পারবেন না। কাজেই নতুন ব্যবস্থাপনায় নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, শিশু, কিশোর, যুবক, শ্রমিক জনতা সবাইকে যে দেশ ও সংবিধান, রাষ্ট্র নিরাপত্তা দিতে পারবে সেই নতুন বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলতে চাই।
অসুস্থাবস্থায় বক্তব্য দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার মওত আমার আল্লাহ নির্ধারিত সময় থেকে এক সেকেন্ড আগে হবে না।... এবং হায়াত যা দিয়েছেন তার এক সেকেন্ড আগেও আমি যাব না।
ফ্যাসিবাদের পতনের পর অনুকূল পরিবেশে সমাবেশ করতে পারায় শুকরিয়াও আদায় করেন জামায়াত আমির।
বক্তব্যের শুরুতে তিনি শহীদ আবু সাঈদসহ অন্যান্য শহীদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। সমাবেশে এসে অসুস্থতাজনিত কারণে শাহ আলম নামে এক কর্মীর মৃত্যু হয়। এছাড়া সমাবেশে আসার সময় ফরিদপুরের ভাঙায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান খুলনার দাকোপ উপজেলা আমির মাওলানা আবু সাঈদ ও কর্মী মোস্তাফিজুর রহমান।
সমাবেশে বক্তব্য দেন দলের নির্বাহী পরিষদের সদস্য, নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ও ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলরা, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব, হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল ও উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিন, গণঅধিকার পরিষদের নুরুল হক নূর, এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, শহীদ পরিবারের সদস্য, ২৪’র জুলাই যোদ্ধা, শহীদ আবরারের পিতাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা
১৬২ দিন আগে
কেউ চাঁদাবাজি করলে তা মুখের ওপর বলব: সারজিস
জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানের পর কেউ যদি চাঁদাবাজি করে তা মুখের ওপর বলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। এ সময়ে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেন তিনি।
শনিবার (১৯ জুলাই) বিকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, এই বাংলাদেশে আবারও নতুন করে মুজিববাদী, ভারতপন্থী শক্তিগুলো এখন সক্রিয় হচ্ছে। আমাদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকতে পারে, কিন্তু এই বাংলাদেশে বাংলাদেশপন্থী ব্যতীত অন্য কোনো দেশপন্থী, কোনো বাদপন্থী শক্তির আর জায়গা হবে না।
‘আমাদের একটা আকাঙ্ক্ষা ছিল গত জুলাইয়ের, ওই আগস্টের ৫ তারিখে আমাদের যেই স্বপ্ন ছিল, আরেক আগস্ট আসতে চলেছে, আমাদের সেই স্বপ্নগুলো পূরণ হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমরা সুশীল সরকারের ভূমিকা চাই না। আমরা তাদের অভ্যুত্থান পরবর্তী সরকারের ভূমিকায় দেখতে চাই,’ যোগ করেন তিনি।
সারজিস আরও বলেন, এই বাংলাদেশে ভারতীয় আধিপত্যবাদের জায়গা হতে দেওয়া যাবে না। অন্য যেকোনো দেশের নামের কোনো আধিপত্যবাদের জায়গা বাংলাদেশে হতে দেওয়া যাবে না।
‘আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে আমাদের বিচার লাগবে। এই বাংলাদেশে খুনি হাসিনার বিচার হতেই হবে, তার বিচারের রায় কার্যকর দেখতে চাই।’
পড়ুন: অন্তর্বর্তী সরকারকে দশের মধ্যে সর্বোচ্চ পাঁচ দেবেন নূর
এনসিপির এই নেতা আরও বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই দেশের বিচার বিভাগকে কোনো দলের বিচার বিভাগ হিসেবে দেখতে চাই না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ক্ষমতার তোষামোদ করা বাহিনী হিসেবে আমরা দেখতে চাই না।
তিনি বলেন, বাহাত্তরের মুজিববাদী সংবিধানকে একপাশে রেখে কোনোদিন এই বাংলাদেশে বাংলাদেশপন্থী বাংলাদেশ সম্ভব নয়। আমাদের নতুন সংবিধান লাগবে, আমাদের গণপরিষদ নির্বাচন লাগবে, আমাদের নারীদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের সংখ্যালঘু ভাইবোনদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
সারজিস বলেন, আমাদের ১৯৪৭ সালের উপনিবেশবিরোধী যে আকাঙ্ক্ষা, একাত্তরের স্বাধীনতার যে আকাঙ্ক্ষা, চব্বিশের মুক্তির যে আকাঙ্ক্ষা—সেই আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে ঐক্যবদ্ধভাবে আগামীর বাংলাদেশ গড়তে হবে।
‘ফ্যাসিস্টবিরোধী চব্বিশের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ঐক্যবদ্ধ মানে এই নয়, আমরা অন্ধভাবে কারো দালালি করব। কেউ যদি চাঁদাবাজি করে, তা আমরা মুখের উপরে বলব। কেউ যদি সিন্ডিকেট চালায়, আমরা সেটাও বলব। কেউ যদি দখলদারিত্ব করে, আমরা সেটাও বলব। তবে আওয়ামী লীগের প্রশ্নে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই চালিয়ে যাব,’ যোগ করেন সারজিস।
তিনি বলেন, রাজনীতিতে প্রতিযোগিতা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবে, কিন্তু রাজনীতির যে সৌন্দর্য, এই সৌন্দর্য যেন আমরা ধারণ করি—তাহলেই আগামীর বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা যেন ব্যক্তি আক্রমণে রূপ না নেয়। ফ্যাসিস্টবিরোধী ২৪-এর শক্তি আগামীর বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।
রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকতে পারে, কিন্তু মুজিববাদের প্রশ্নে, স্বৈরাচারের প্রশ্নে অভ্যুত্থানের সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
১৬২ দিন আগে
অন্তর্বর্তী সরকারকে দশের মধ্যে সর্বোচ্চ পাঁচ দেবেন নূর
গেলে এগারো মাসে বিএনপি-জামায়াতকে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে পুনর্বহাল ছাড়া অন্তর্বর্তী সরকার কোনো পরিবর্তন আনতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। সরকার প্রত্যাশিত কোনো পরিবর্তন আনতে পারেনি বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, তাদের মূল্যায়ন করতে গেলে দশের মধ্যে সর্বোচ্চ চার কিংবা পাঁচ দেব।
শনিবার (১৯ জুলাই) জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে জাতীয় প্রেসক্লাব অডিটোরিয়ামে এক আলোচনায় সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন। ‘গণঅভ্যুত্থানের প্রত্যাশা ও দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথ’ শীর্ষক এই আলোচনার আয়োজন করে গণতন্ত্র মঞ্চ।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, ভাসানী অনুসারী পরিষদ ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন মিলে এই মঞ্চ গঠন করেছে। মূলত গেল বছরের ১৯ জানুয়ারি গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশি হামলার ঘটনার স্মরণেই এই আলোচনার আয়োজন করা হয়েছে।
সরকারি চাকরিতে কোটাবিরোধী আন্দোলন থেকে উঠে আসা এই রাজনীতিবিদ বলেন, ‘এগারো মাসে সরকারের কার্যক্রম মূল্যায়ন করে দশের মধ্যে যদি তাদের নম্বর দিতে বলেন, তাহলে সর্বোচ্চ চার বা পাঁচ দেব। এই নম্বর দিতেও কষ্ট হয়। কারণ তারা দেশের এতটুকু পরিবর্তনও করতে পারেননি।’
তিনি বলেন, ‘বিদ্যমান ব্যবস্থার পরিবর্তনের জন্য আমরা লড়াই করেছি। কিন্তু দুঃখ লাগে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও উপদেষ্টা পরিষদের কাছে আমাদের যে প্রত্যাশা ছিল, সেটা এগারো মাসেও শুধু বিএনপি-জামায়াতকে প্রশাসনে পুনর্বহাল ছাড়া আর কোনো কার্যকর পরিবর্তন হয়নি। এটা আমাদের প্রত্যাশা ছিল না।’
পড়ুন: দিন যত যাচ্ছে, পরিস্থিতি তত জটিল হচ্ছে: ফখরুল
‘দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা, ভূমি কার্যালয়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনওি) কার্যালয়, জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ে মানুষে সেবা পেতে কোনো পরিবর্তন হয়নি। যেসব রাজনৈতিক নেতার ক্ষমতা আছে, এসব অফিস তাদের কথাই চলছে। আমরা এই ব্যবস্থারই পরিবর্তন চেয়েছিলাম,’ যোগ করেন তিনি।
নুর বলেন, ‘আমরা অনেকদিন ধরে একটি ভারসাম্যপূর্ণ সংসদের কথা বলছি। প্রধানমন্ত্রীর এককেন্দ্রিক ও স্বৈরাচারী ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণে সংবিধানের ৭০ নম্বর অনুচ্ছেদের সংশোধনসহ যেসব পরিবর্তনের কথা বলেছি, সেগুলো বাস্তবায়নের সময়ে এসেছে আজ।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনেও গাছাড়া-লাগামছাড়া ভাব এসেছে বলে মন্তব্য করেন ডাকসুর সাবেক এই ভিপি। তিনি বলেন, কিন্তু কিছু কিছু মৌলিক সংস্কারে আমাদের একটি ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে।
দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদে উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতিতে সব দলের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে বলেও জানান এই তরুণ রাজনীতিবিদ। তিনি বলেন, এটা যদি করা যায়, তাহলে কিছু ভিন্নমত পার্লামেন্টে থাকবে। নাহলে এই পার্লামেন্ট আগের মতোই থাকবে।
এ সময়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
১৬২ দিন আগে
দিন যত যাচ্ছে, পরিস্থিতি তত জটিল হচ্ছে: ফখরুল
অযথা বিলম্ব না করে অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যেতে আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘মনে হচ্ছে, দিন যত যাচ্ছে, পরিস্থিতি জটিল হয়ে যাচ্ছে। এতে যারা গণতন্ত্র ও শোষণহীন সমাজে বিশ্বাস করে না; তারা ফের জোট পাকাচ্ছে।’
শনিবার (১৯ জুলাই) জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে জাতীয় প্রেসক্লাব অডিটোরিয়ামে এক আলোচনায় সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন। ‘গণঅভ্যুত্থানের প্রত্যাশা ও দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথ’ শীর্ষক এই আলোচনার আয়োজন করে গণতন্ত্র মঞ্চ।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, ভাসানী অনুসারী পরিষদ ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন মিলে এই মঞ্চ গঠন করেছে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘সরকারকে আহ্বান করব, অযথা বিলম্ব না করে সমস্যা চিহ্নিত করে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলুন। এরপর সমস্যা শেষ করে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যান। সেটিই বোধহয় একমাত্র পথ।’
৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশে নতুন করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার সুযোগ পেয়েছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কিন্তু মনে হচ্ছে, দিন যত যাচ্ছে, পরিস্থিতি জটিল হয়ে যাচ্ছে। এতে যারা গণতন্ত্রে, জনগণের অগ্রাযাত্রায় ও একটি শোষণহীন সমাজব্যবস্থা গড়ে ওঠার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না, তারা আবার জোট পাকাচ্ছে। যে ফ্যাসিস্ট শক্তিকে তাড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিলাম, তারা ভেতরে ভেতরে আবার সংগঠিত হচ্ছে এবং ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার চক্রান্ত করে যাচ্ছে।’
দেশে মবতন্ত্র, হত্যা, ছিনতাই ও গুম ভয়াবহভাবে বেড়ে যাওয়ার অভিযোগ করে এ সময় উদ্বেগ প্রকাশ করেন ফখরুল। বলেন, ‘যে সুযোগ আমাদের সামনে এসেছে, এটা যদি হারিয়ে ফেলি, তাহলে বাংলাদেশ আরও পিছিয়ে যাবে। প্রতিবার জনগণ ও আমাদের ছেলেরা প্রাণ দেবে, একটা সুযোগ তৈরি হবে, আর নিজেদের দায়িত্বহীনতার কারণে সেই সুযোগ হারাব—সেটা হতে পারে না।’
তাই দেরি না করে সংস্কার, জুলাই সনদ ও নির্বাচন—এই তিনটি বিষয় সামনে রেখে যত দ্রুত এগিয়ে যাওয়া যায়, দেশের জন্য ততই মঙ্গল হবে বলে উল্লেখ করেন বিএনপি মহাসচিব।
তার দাবি, ‘নিঃসন্দেহে সেই দায়িত্ব এই অন্তর্বর্তী সরকারের। তবে যত দেরি করছেন, ততই পরিস্থিতি ঘোলাটে হচ্ছে। এতে অভ্যুত্থান ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যারা রয়েছে, তারা আবার সংঘটিত হয়ে গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করতে কাজ শুরু করেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আশাবাদী, আমাদের অন্তর্বর্তী সরকারের নেতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গোটা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে আমাদের সেই লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে সক্ষম হবেন।’
‘বিএনপিকে গণতান্ত্রিক দল আখ্যায়িত করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচনের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠন করতে চাই। অতীতে যেমন সব বাধা উপেক্ষা করে ঘুরে দাঁড়িয়েছি, আগামী দিনগুলোতেও কোনো আমাদের বাধা ঠেকাতে পারবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭১ ও স্বাধীনতা হচ্ছে আমাদের মূল কথা। সেখানে আমাদের কোনো আপস নেই। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায়ও আমাদের কোনো আপস নেই। আলোচনা, সহনশীলতা ও অন্যের মতকে মেনে নেওয়া—সবকিছু মিলিয়ে আমরা এমন একটি জায়গায় পৌঁছাতে পারব, যেখান আমরা নতুন করে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় পৌঁছাতে পারি।’
এ সময়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণঅধিকার পরিষদের (জিওপি) সভাপতি নুরুল হক নুর, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
১৬২ দিন আগে
জামায়াতের মহাসমাবেশ: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নেতাকর্মীদের ঢল
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আজ শনিবার দুপুরে ‘জাতীয় মহাসমাবেশ’ আয়োজন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এ উপলক্ষে সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল করে সেখানে জড়ো হচ্ছেন দলের নেতাকর্মীরা।
শনিবার (১৯ জুলাই) দুপুর ২টায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তার অনেক আগেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।
এই সমাবেশের সভাপতিত্ব করবেন জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান। কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতাও এতে বক্তব্য দেবেন বলে জানানো হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাত থেকেই দলের অনেক নেতাকর্মী সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন। শনিবার ভোর হতেই রাজধানীর নানা প্রান্ত দিয়ে মিছিল নিয়ে উদ্যানে জড়ো হতে থাকেন তারা। এ সময় বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায় তাদের।
এ সময় তাদের কারও মাথায় কাপড় বাঁধা ছিল, কেউ কেউ দলের পতাকা বহন করছিলেন, কেউবা আবার বাংলাদেশের লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা হাতে মিছিল করছিলেন। অনেকের পরনে ছিল দলের প্রতীক দাঁড়িপাল্লা খচিত টি-শার্টও।
জামায়াত নেতাদের দাবি, দলটির সাত দফা দাবির পক্ষে জনমত গড়ে তুলতেই এই সমাবেশের আয়োজন।
১৬৩ দিন আগে
সরকারকে পক্ষপাতিত্ব না করে দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান মির্জা আব্বাসের
অন্তর্বর্তী সরকারকে 'পক্ষপাতমূলক আচরণ' পরিহার ও দেশে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে দ্রুত জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা মির্জা আব্বাস।
তিনি বলেন, ‘আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে বলতে চাই, দয়া করে, পক্ষপাতমূলক আচরণ বন্ধ করুন। এটি দেশের ক্ষতি করছে।’ জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে শুক্রবার (১৮ জুলাই) এক মৌন মিছিল উদ্বোধনের আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্বাস সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, একটি পক্ষের প্রতি ঝুঁকে এবং অন্য পক্ষকে পাশ কাটিয়ে বিএনপিকে নির্মূলের করার চেষ্টা করবেন না। ‘কখনও এমন চিন্তা করবেন না।’
তিনি বলেন, বিএনপি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে এবং সহযোগিতা করার চেষ্টা করছে।
আব্বাস বলেন, ‘আমরা এখনও আপনাদেরকে (সরকারকে) সমর্থন করছি। তাই, দয়া করে খুব শিগগিরই একটি জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে দেশে চলমান অস্থিরতা শান্ত হয়ে যাবে। কিন্তু যদি তা না হয়—তাহলে মানুষ বিশ্বাস করবে যে, আপনারাই দেশকে অস্থিতিশীল করছেন—যাতে দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকতে পারেন।’
জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে ৩৬ দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ সিটি ইউনিট নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
পড়ুন: বিভ্রান্তির রাজনীতির মাধ্যমে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে একটি দল: সালাহউদ্দিন
কিছু রাজনৈতিক নেতার সাম্প্রতিক আপত্তিকর মন্তব্যকে উল্লেখ করে আব্বাস বলেন, কেউ কেউ বলেছেন বাংলাদেশ থেকে সম্পূর্ণরূপে নির্মূল হওয়ার পর বিএনপির নাম গিনেস বুকে লেখা হবে।
তিনি বলেন, ‘তারা বিএনপিকে মুছে ফেলতে চায়। আমি তাদের বলছি, দয়া করে জিভ সংযত রাখুন। এটা আপনার জন্য, দেশের জন্য এবং জনগণের জন্য ভালো হবে।’
বিএনপির এই নেতা রাজনৈতিক নেতাদের তাদের দল সম্পর্কে এমন বাজে এবং অযৌক্তিক মন্তব্য না করারও আহ্বান জানান, যাতে জনরোষের সৃষ্টি না হয়।
তিনি বলেন, ‘আমাদের উত্তেজিত করার চেষ্টা করবেন না বা আমাদের অন্য দিকে ঠেলে দেবেন না। আপনারা বিএনপির সঙ্গে লড়াই করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু বিএনপি ঝগড়ায় জড়াবে না। বিএনপি বিশৃঙ্খলার দল নয়। বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক দল যারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে এবং জনগণের সঙ্গে থাকে।’
৫ আগস্টের পর কিছু রাজনৈতিক নেতার লম্বা দাবির সমালোচনাও করেন মির্জা আব্বাস। বলেন, ‘আমি জানি না তারা কী পেয়েছে বা কোথা থেকে সাহস পেয়েছে। আমরা আশা করি আপনারা শক্তিশালী এবং সাহসী হয়ে উঠবেন, কিন্তু দয়া করে বিএনপির মতো সত্যিকারের দেশপ্রেমিক দলের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন গুজব এবং অপবাদ ছড়াবেন না।’
মিটফোর্ডে এক ভাঙারি ব্যবসায়ীর মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, একজন যুবদল নেতা খুনের শিকার হয়েছেন। কিন্তু কেউ কেউ এই ঘটনাকে বাংলাদেশ থেকে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করে ক্ষমতায় আসার পথ পরিষ্কার করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘কেউ কেউ বলছেন বিএনপি ক্ষমতায় আসতে মরিয়া। এটা সত্য নয়। বিএনপি ১৭ বছর ধরে রাজপথে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার এবং ভোটের অধিকারের জন্য লড়াই করছে। এখন আপনারা বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করে ক্ষমতা দখল করতে চান।’
পড়ুন: চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির তীব্র নিন্দা বিএনপির
তিনি সতর্ক করে বলেন, যারা ক্ষমতায় আসার পথ মসৃণ করতে বিএনপিকে সরিয়ে দিতে চান তারা ভুল করছেন। ‘যতক্ষণ পর্যন্ত বিএনপির একজনও নেতা বা কর্মী বেঁচে থাকবেন, ততক্ষণ আপনাদের বিএনপিকে নির্মূল করার স্বপ্ন কখনোই পূরণ হবে না।’
আব্বাস বলেন, বিএনপি নেতা-কর্মীদের ১৭ বছর ধরে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে এবং তারা জানে কীভাবে রাস্তায় প্রতিবাদ করতে হয় এবং কীভাবে জেলে টিকে থাকতে হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। তাই হুমকি দিয়ে আমাদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করবেন না।’
বক্তৃতার শুরুতে আব্বাস জুলাইয়ের বিদ্রোহের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং তাদের আত্মার শান্তি কামনা করেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের চেতনা ও আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং দেশ গঠনে কাজ করার পরিবর্তে কিছু দল তাদের নিজস্ব রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল ও রাজনীতিতে তাদের অবস্থান নিশ্চিত করার জন্য শহীদদের ব্যবহার করার চেষ্টা করছে।
পরে, বিএনপি নেতাকর্মীরা মৌন মিছিল বের করে। মিছিলটি কাকরাইল, শান্তিনগর, মৌচাক এবং মালিবাগ ক্রসিং হয়ে আবুল হোটেলের কাছে গিয়ে শেষ হয়।
১৬৩ দিন আগে
কোটি মানু্ষের একটাই দাবি ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দাও: ড. মঈন খান
অত্যাবশ্যকীয় সংস্কার শেষে যত দ্রুত সম্ভব গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের কোটি মানু্ষের একটাই দাবি ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিকালে নরসিংদীর পাঁচদোনা মোড়ে আয়োজিত নরসিংদী কারা বিদ্রোহের বার্ষিকীতে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মঈন বলেন, বিএনপি আন্দোলন করেছে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য। মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য, ক্ষমতার লোভে নয়। তারেক রহমান লন্ডনে বসে গণতন্ত্রের আন্দোলনকে সুসংগঠিত করেছেন। বিএনপি ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করে না—এটা বারবার প্রমাণিত হয়েছে। ছাত্রজনতার আন্দোলনের ১ বছরে গণতন্ত্রের জন্য সুসংগঠিত হতে হবে, বলেন তিনি।
পাঁচদোনা মোড়ের মোমেন খান চত্বরে নরসিংদী-২ নির্বাচনী এলাকার বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন পলাশ থানা বিএনপির সভাপতি মো. আবদুল সাত্তার।
পড়ুন: বিভ্রান্তির রাজনীতির মাধ্যমে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে একটি দল: সালাহউদ্দিন
এসময় জেলার জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবারের সদস্য ও যুদ্ধাহতদের মধ্যে বিএনপির পক্ষ থেকে অনুদান তুলে দেন ড. আব্দুল মঈন খান।
পলাশ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন ভুইয়া মিল্টনের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নরসিংদীর প্রথম শহীদ স্কুলছাত্র তাহমিদ ভুইয়ার পিতা রফিকুল ইসলাম, নরসিংদী শহর বিএনপির সাবেক সভাপতি বাবুল সরকার, পলাশ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জেলা পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি ও বিএনপি নেতা সারোয়ার হোসেন মৃধা, জেলা যুবদলের সাধারণ সস্পাদক হাসানুজ্জামান সরকার, ঘোড়াশাল পৌরসভা বিএনপির সভাপতি আলম মোল্লা, ঘোড়াশাল পৌরসভা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান প্রমুখ।
১৬৩ দিন আগে