রাজনীতি
টিউলিপের কোনো চিঠি সরকার এখনো পায়নি: শফিকুল আলম
ড. মুহাম্মদ ইউনূস যুক্তরাজ্যে সরকারি সফরকালে টিউলিপ সিদ্দিক দেখা করতে চেয়েছেন এমন কোনো চিঠি টিউলিপ সিদ্দিকের কাছ থেকে অন্তর্বর্তী সরকার এখনও পায়নি বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য টিউলিপ সিদ্দিকের চিঠি সম্পর্কে জানতে চাইলে আলম ইউএনবিকে বলেন, ‘সরকার এখনো এমন কোনো চিঠি পায়নি।’
প্রেস সচিব আরও বলেন, ‘আমরা এমন কিছু নিয়ে মন্তব্য করতে পারি না, যা আমরা দেখিনি।’
প্রধান ইউনূস চার দিনের সরকারি যুক্তরাজ্য সফরের অংশ হিসেবে সোমবার সন্ধ্যায় লন্ডনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করার কথা রয়েছে।
টিউলিপ সিদ্দিক তার যাচাইকৃত এক্স হ্যান্ডেল থেকে লিখেছেন, ‘আমি কোনো ভুল করিনি এবং আমার লুকানোর কিছু নেই। আপনি যদি সত্য খুঁজে বের করার বিষয়ে আন্তরিক (সিরিয়াস) হন, তাহলে কথা বলুন।’
প্রধান উপদেষ্টাকে ট্যাগ করেচেন এবং দ্য গার্ডিয়ান দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিবেদন শেয়ার করেছেন তিনি।
যুক্তরাজ্যের সাবেক নগরমন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক লন্ডনে অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে দেখা করতে চান বলে চিঠিতে জানিয়েছেন।
অন্তর্বর্তী প্রশাসনের দুর্নীতির অভিযোগের কারণে যুক্তরাজ্য সরকার থেকে পদত্যাগ করেছেন টিউলিপ। এর পর তিনি ‘ভুল বোঝাবুঝি’ নিরসন করতে উদ্যোগী হন। এজন্য তিনি লন্ডনে ড. ইউনূসের সঙ্গে দেখা করতে চান বলে দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
টিউলিপের খালা ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গত সপ্তাহে তার অনুপস্থিতিতে বিচার শুরু হয়েছে। টিউলিপের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার শাসনামল থেকে সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ এনেছে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ।
২০৪ দিন আগে
ড. ইউনূসের সঙ্গে দেখা করতে টিউলিপের চিঠি
যুক্তরাজ্যের সাবেক নগরমন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে চিঠি দিয়েছেন বলে দ্য গার্ডিয়ানের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। টিউলিপ অন্তর্বর্তী প্রশাসনের দুর্নীতির অভিযোগের ফলে যুক্তরাজ্য সরকার থেকে পদত্যাগ করেছেন তিনি। এখন তিনি একটি ‘ভুল বোঝাবুঝি’ দূর করতে লন্ডনে অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে দেখা করতে চান।
টিউলিপ সিদ্দিকের খালা ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গত সপ্তাহে তার অনুপস্থিতিতে বিচার শুরু হয়েছে। ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার শাসনামলে টিউলিপ সুবিধা ভোগ করেছেন বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ।
চার দিনের সরকারি সফরের অংশ হিসেবে সোমবার (৯ জুন) সন্ধ্যায় যুক্তরাজ্যের লন্ডনের উদ্দেশ্যে অধ্যাপক ইউনূসের ঢাকা ত্যাগ করার কথা রয়েছে।
দেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দাবিসহ গণমাধ্যমে একাধিক অভিযোগ প্রচারিত হয়েছে যে, টিউলিপ সিদ্দিক বা তার মা ‘ক্ষমতা ও প্রভাবের অপব্যবহার’ করে ৭ হাজার ২০০ বর্গফুট জমির প্লট পেয়েছেন।
সিদ্দিক তার আইনজীবীদের মাধ্যমে অভিযোগকে ‘রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ ও ভিত্তিহীন বলে বর্ণনা করেছেন। কোনো অভিযোগের জন্য কর্তৃপক্ষ তার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি বলেও দাবি করেন তিনি।
মন্ত্রী পর্যায়ের মান বিষয়ক উপদেষ্টা লরি ম্যাগনাস তাকে যেকোনো অন্যায় থেকে অব্যাহতি দিয়েছিলেন। কিন্তু কিয়ার স্টারমারের নতুন সরকারের ‘ক্ষোভ’ সৃষ্টির কারণে ট্রেজারি ও নগর মন্ত্রীর অর্থনৈতিক সচিব পদ থেকে তিনি পদত্যাগ করেছেন।
নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ সরকারের অন্তর্বর্তী নেতা মুহাম্মদ ইউনূসকে লেখা এক চিঠিতে সিদ্দিক আগামী সপ্তাহে লন্ডন সফরের সময় চলমান বিতর্ক নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ চেয়েছেন। সফরকারে রাজা চার্লস ও ডাউনিং স্ট্রিটে কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে দেখা করবেন ইউনূস।
চিঠিতে সিদ্দিক লিখেছেন, তিনি আশা করেন যে একটি বৈঠক ‘ঢাকার দুর্নীতি দমন কমিটির মাধ্যমে সৃষ্ট ভুল বোঝাবুঝি দূর করতে সাহায্য করবে। যেখানে আমার খালা ও বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আমার সম্পর্কের বিষয়গুলোর উত্তর দেওয়ার আছে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘আমি একজন যুক্তরাজ্যের নাগরিক, লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেছি এবং গত এক দশক ধরে পার্লামেন্টে হ্যাম্পস্টেড এবং হাইগেটের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করছি।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘বাংলাদেশে আমার কোনো সম্পত্তি বা ব্যবসায়িক স্বার্থ নেই। যুক্তরাজ্য আমার প্রাণপ্রিয়, কিন্তু এটি সেই দেশ নয়-যেখানে আমি জন্মগ্রহণ করেছি, বাস করেছি বা আমার ক্যারিয়ার গড়ে তুলেছি।’
‘আমি দুদকের কাছে এটি স্পষ্ট করার চেষ্টা করেছি, কিন্তু তারা লন্ডনে আমার আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে এবং স্পষ্টতই ঢাকার একটি বিভিন্ন ঠিকানায় চিঠিপত্র পাঠাচ্ছে।’
সিদ্দিক আরও বলেন, ‘এই ফ্যান্টাসি তদন্তের প্রতিটি পদক্ষেপ মিডিয়াকে জানানো হয়েছে, তবুও আমার আইনজীবীদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি।’
‘আমি জানি আপনি বুঝতে পারবেন যে, এই প্রতিবেদনগুলো আমার নির্বাচনী এলাকা এবং আমার দেশের জন্য আমার সেরাটা দেওয়ার গুরুত্বপূর্ণ কাজ থেকে বিচ্যুত না করে।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ববি হাজ্জাজের একাধিক দাবির ভিত্তিতে শেখ হাসিনা এবং তার বৃহত্তর পরিবারের অবকাঠামোগত ব্যয় থেকে কোটি কোটি পাউন্ড আত্মসাৎ করার অভিযোগ তদন্ত করছে দুদক।
সিদ্দিক দাবি করেছেন, তার খালার বিরোধীরা ‘রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার’ তাকে লক্ষ্যবস্তু করছে।
গত মাসে জানা গেছে, সিদ্দিকের গ্রেপ্তারের জন্য বাংলাদেশে একটি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
তিনি দাবি করেছেন, এমন কোনো পরোয়ানা বা আদালতের শুনানির বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। যেখানে তাকে হাজির হতে বলা হয়েছে। দুটি প্রত্যর্পণ দেশ হওয়ায় যুক্তরাজ্য গ্রেপ্তারের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে মন্ত্রী এবং বিচারকদের বাংলাদেশের কাছ থেকে স্পষ্ট প্রমাণ দেখতে বাধ্য।
যুক্তরাজ্যে সম্পত্তি অর্জনের অভিযোগের মধ্যে সিদ্দিক গত বছর নিজেকে মন্ত্রী পর্যায়ের মানদণ্ড বিষয়ক উপদেষ্টার কাছে রেফার করার পর, জানুয়ারিতে তাকে যকোনো অন্যায় কাজের জন্য খালাস দেওয়া হয়।
ম্যাগনাস এমন কোনো প্রমাণ পাননি যা ইঙ্গিত করে যে, সিদ্দিকের কোনো সম্পদ বৈধ উপায় ছাড়া অন্য কোনো উপায়ে অর্জিত হয়েছে, তবে তিনি আরও যোগ করেছেন যে, তিনি তার বাংলাদেশের পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক থেকে উদ্ভূত সুনাম ঝুঁকির বিষয়ে আরও বেশি বেঁচে থাকতে পারতেন।
তদন্তে ২০১৩ সালে মস্কোতে তার খালা এবং ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে একটি পারমাণবিক চুক্তি সইয়ের সময় তার উপস্থিতির বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হয়। যে কারণে সিদ্দিকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছিল। স্ট্যান্ডার্ড অ্যাডভাইজার তার ব্যাখ্যা গ্রহণ করেছিলেন যে, তিনি মস্কোতে সামাজিকভাবে এবং পর্যটক হিসেবে ছিলেন।
গত মাসে জাতীয় অপরাধ সংস্থা সিদ্দিকের খালার সঙ্গে যুক্ত দুই ব্যক্তির লন্ডনের প্রায় ৯০ মিলিয়ন পাউন্ডের বিলাসবহুল সম্পত্তি জব্দ করেছে।
২০৪ দিন আগে
কমিটি গঠনের দুই দিনের মধ্যে ফরিদপুরের এনসিপির দুই নেতার পদত্যাগ
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় উপজেলার ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টির (এনসিপি) সমন্বয় কমিটি গঠনের মাত্র দুই দিনের মধ্যে দুই নেতা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে পদত্যাগ করেছেন।
শুক্রবার (৬ জুন) বিকালে ফেসবুকে এনসিপির সদ্য ঘোষিত কমিটি থেকে পৃথক স্ট্যাটাস দিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
তারা হলেন, ভাঙ্গা উপজেলার ১৭ সদস্যের এই কমিটির সদস্যপদ থেকে রিফাত আতিক ও সাজ্জাদ খান পদত্যাগ করেছেন।
গত বুধবার এই কমিটির অনুমোদন দেন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
এই কমিটিতে মো. আশরাফ শেখকে করা হয়েছে প্রধান সমন্বয়কারী। যুগ্ম সমন্বয়কারী করা হয়েছে দুজনকে এবং অন্য ১৪ জনকে রাখা হয়েছে সাধারণ সদস্য হিসেবে। কমিটি আগামী ৩ মাস অথবা আহ্বায়ক কমিটি গঠিত না হওয়া পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
দত্যাগকারী রিফাত আতিক তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘সদ্যঘোষিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ভাঙ্গা উপজেলা (ফরিদপুর) সমন্বয় কমিটি থেকে স্বেচ্ছায় এবং সজ্ঞানে পদত্যাগ করছি!’
তিনি আরও লিখেন, ‘আমি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করেছিলাম বিবেকের কারণে। কোনো রাজনৈতিক দল বা রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আমার ইচ্ছা নেই। আমি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি সরকারি প্রকল্পে কাজ করি। আমার পরিবারের সদস্যরাও সরকারি চাকরিতে যুক্ত। এ কারণে আমার পক্ষে রাজনীতি করা সম্ভব নয়। আমার সঙ্গে এনসিপি কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে কোনো যোগাযোগ না করেই কমিটিতে রাখা হয়েছে। আমি যে এনসিপির নেতা হব, তা আমি জানতাম না। কমিটিতে নাম দেখার পরই আমি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
সাজ্জাদ খান তাঁ ফেসবুক পোস্টে লিখেন, ‘আমি মো. সাজ্জাদ খান, সদস্য ফরিদপুর জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আহ্বায়ক কমিটি (ভাঙ্গা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র)। আমি এই কমিটি বয়কট করলাম এবং আমার নাম এই কমিটি থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। কেন্দ্রের যাঁরা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাঁদের বলতে চাই, যে কমিটিতে বৈষম্য আছে, বিপ্লবীদের বাদ দিয়ে তেলবাজদের জায়গা দেওয়া হয়েছে, সেটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
এ ব্যাপারে সাজ্জাদ খান বলেন, ‘এই কমিটির দায়িত্ব শুধু একটা আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা। ভাঙ্গার আন্দোলনে যারা সংগ্রামী ছিলেন, সেই বিপ্লবীদের জায়গা দেওয়া হয়নি সমন্বয় কমিটিতে। বিপ্লবীরা না থাকলে বিপ্লবীদের খুঁজে বের করবে কীভাবে? তাই আমি অভিমান করে পদত্যাগ করেছি।’
এ প্রসঙ্গে এমসিপির ফরিদপুর জেলার কমিটি গঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সমন্বয় কমিটির অন্যতম নেতা সৈয়দা নীলিমা দোলা বলেন, ওরা দুজনই তাদের নিজস্ব ব্যক্তিগত কারণ দেখে পদত্যাগ করেছে, তাছাড়া কেউ যদি রাজনীতি করতে না চায়, সেটা তো তার নিজস্ব ব্যাপার।
তিনি বলেন, আগামীতে কমিটি দেয়ার ক্ষেত্রে আমরা আরও সতর্ক হব।
২০৫ দিন আগে
জুলাই সনদ ঘোষণাপত্র ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে: হাসনাত আবদুল্লাহ
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ঘোষণা করা নির্বাচনের সময় নির্ধারনকে 'ইতিবাচক' বলছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, নির্বাচনের আগে জুলাই সনদ ঘোষণা এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে।
শনিবার(৭ জুন) পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে নিজ এলাকা কুমিল্লার দেবিদ্বারে জুলাই শহীদদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার সময় সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
এর আগের দিন শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী বছরের এপ্রিল মাসের প্রথমার্ধের যেকোনো দিন অনুষ্ঠিত হবে।
এর প্রতিক্রিয়ায় হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, প্রধান উপদেষ্টা এপ্রিলে যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছেন, তা ইতিবাচক। তবে, তার আগে জুলাই সনদ এবং ঘোষণাপত্র অবশ্যই দিতে হবে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: সংস্কারে সচিবালয় থেকে বাধা এলে প্রতিহত করা হবে: হাসনাত আব্দুল্লাহ
জুলাই শহীদ পরিবারের জন্য তিনটি গরু কোরবানি করেন এনপিপির নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ। পরে বৃষ্টির মধ্যে শহীদ রুবেল ও সাব্বিরের পরিবারের জন্য কোরবানির মাংস নিয়ে যান তিনি। এ সময় তিনি শহীদ পরিবারের খোঁজ খবর নেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, জুলাই আন্দোলনের শহীদরা দেশ গড়ার জন্য জীবন দিয়েছেন। তাই দেশ গড়ার দায়িত্ব আমাদের আছে। দেশ গড়ার জন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। শহীদেরা দেশের স্বার্থে জীবন দিয়েছেন, তাই আমাদেরও দল-মতের ঊর্ধ্বে গিয়ে দেশের স্বার্থেই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
২০৫ দিন আগে
এপ্রিল নয়, ডিসেম্বরই নির্বাচনের উপযুক্ত সময়: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য এপ্রিল মাস উপযুক্ত নয়, বরং ডিসেম্বর মাসই হবে সবচেয়ে উপযুক্ত সময়।
তিনি বলেন, ‘এপ্রিল মাস বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য উপযুক্ত নয়। সেই সময় তীব্র তাপদাহ থাকে এবং ঝড় ও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকে। রমজানের ঠিক পরেই এপ্রিল মাস আসবে এবং সেই সময়ে পাবলিক পরীক্ষাও নির্ধারিত হয়।’
শনিবার (৭ জুন) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল রোজার মাসে নির্বাচনী প্রচারণা পরিচালনার অসুবিধার কথাও তুলে ধরেন। বলেন, ‘রমজানে প্রচারণা চালানো অত্যন্ত কঠিন।’
তিনি বলেন, তাদের দল মনে করে না যে সরকার এপ্রিল মাসে সতর্কতার সঙ্গে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘গত রাতে আমাদের স্থায়ী কমিটি বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছে এবং এরই মধ্যে আমাদের অবস্থান জানিয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি, ডিসেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে, যা জাতির জন্য (ভোট দেওয়ার জন্য) সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হবে।’
আরও পড়ুন: আগামী ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায় বিএনপি
এর আগে শুক্রবার (৬ জুন) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে সংস্কার, ন্যায়বিচার এবং গণতান্ত্রিক অগ্রগতির প্রতি সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ঘোষণা করেন, পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে।’
এই ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় ফখরুল বলেন, ‘আমরা গতকাল (শুক্রবার) আমাদের দলের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছি। আমরা সবসময় ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়ে এসেছি। জনগণের প্রত্যাশাও তাই ছিল।’
‘সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি,’ বলেন তিনি।
এসময় ফখরুলের সঙ্গে মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমেদ এবং এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ বিএনপির সিনিয়র নেতারা ঈদুল আজহা উপলক্ষে জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তারা সেখানে ফাতেহা পাঠ করেন এবং জিয়ার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করেন।
আরও পড়ুন: ভোটের সমতল মাঠ তৈরি হলে রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্বাচন সম্ভব হবে: জামায়াত আমীর
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবদুস সালাম ও আব্দুল হালিম, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল এবং কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরাফত আলী সাপু, রফিকুল ইসলাম, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, মীর নেওয়াজ আলী এবং আমিনুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
২০০৮ সালে কারাবন্দী হওয়ার আগে প্রতি ঈদে জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ঐতিহ্য ছিল। তার অনুপস্থিতিতেও দলের সিনিয়র নেতারা এই ঐতিহ্যকে সম্মান জানিয়ে আসছেন।
দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সকলকে ঈদ মোবারক জানাই।’
২০৫ দিন আগে
ঈদে জরুরি প্রয়োজনে এনসিপি সদস্যদের ডাকা যাবে হটলাইনে
ঢাকা মহানগরী উত্তর ও দক্ষিণে নাগরিক সেবা দিতে হটলাইন চালু করেছে ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি (এনসিপি)। এর মাধ্যমে যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে ফোন দিয়ে সহয়তার জন্য দলটির সদস্যদের ডাকা যাবে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এনসিপি জানায়, ‘আমরা ঢাকা মহানগরের ভেতরে একটি হটলাইন নাম্বার চালু করছি যাতে নগরবাসী যেকোনো সময় আমাদের ডেকে নিতে পারে। হটলাইনে কল করলে ৩০ মিনিটের ভেতরে আমাদের প্রতিনিধি দল পৌঁছে যাবে।’
ঈদুল আজহার সময়ে প্রতিটি ওয়ার্ডে দলটির স্বেচ্ছাসেবক সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন। যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে এবং নাগরিকের সেবা ব্যাহত হলে দলটি যথাসম্ভব সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিবে বলে জানিয়েছে এনসিপি।
আরও পড়ুন: স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে চায় এনসিপি
ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের জন্য আলাদা দুটি হটলাইন নাম্বার চালু করেছে দলটি। ঢাকা মহানগর উত্তর ০১৯১৩৪৮৬১৬৩ এবং দক্ষিণে ০১৯১৮৯৯৯৮০১ এই নাম্বারে জরুরি প্রয়োজনে এনসিপির সদস্যদের সহযোগিতা নেওয়া যাবে।
এছাড়া দলটি ঢাকার বর্জ্য অপসারণে সহায়তা করবে সিটি করপোরেশনকে। নগরবাসীকে এই সংক্রান্ত যেকোনো প্রয়োজনে যোগাযোগের অনুরোধ করেছে এনসিপি।
এছাড়া ট্যানারি মালিকদের ন্যায্যমূল্যে চামড়া ক্রয় এবং স্থানীয় মাদরাসার ছাত্রদের কাছে চামড়ার অর্থ সঠিকভাবে পৌঁছানোর আহ্বান জানিয়েছে দলটি।
২০৫ দিন আগে
ভোটের সমতল মাঠ তৈরি হলে রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্বাচন সম্ভব হবে: জামায়াত আমীর
বিচার, সংস্কার, জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্র এবং ভোটের সমতল মাঠ তৈরি হলে রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্বাচন সম্ভব হবে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামের আমীর ডা. শফিকুর রহমান।
শনিবার (৭ জানুয়ারি) সকালে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নে নিজ গ্রাম তুলাপুর পাঁচগাঁও ঈদগাহে নামাজ আদায় শেষে তিনি এসব বলেন।
তিনি বলেন, ‘জাতি যেনতেন নির্বাচন চায় না। বিচার, সংস্কার, জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্র এবং ভোটের সমতল মাঠ তৈরি হলে রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্বাচন সম্ভব হবে। পরপর তিনবার মানুষ ভোট দেওয়ার কোনো সুযোগ পাননি। এবার নতুন ভোটার যুব সমাজকে ভোটের সুযোগ করে দিতে হবে।’
প্রধান উপদেষ্টা কোনো সহযোগিতা চাইলে তারা সহযোগিতা করবেন বলেও জানান জামায়াতের এই নেতা। তবে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য দেশের সংকট দূর করা খুবই জরুরি বলে মনে করেন তিনি।
আরও পড়ুন: নিবন্ধন ও নির্বাচনী প্রতীক ফিরে পাবে জামায়াত: নির্বাচন কমিশনার
এর আগে, ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘ঈদুল আজহা ত্যাগ, কুরবানি ও আল্লাহর সন্তুষ্টির পরীক্ষা। এই মহিমান্বিত দিনে আমাদের প্রতিজ্ঞা হোক অন্যায়, জুলুম-নিপীড়ন ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার। দেশের চলমান সংকট উত্তরণে জাতিকে সত্য, ন্যায় ও ইসলামি আদর্শের পথে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
নামাজ শেষে এলাকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা ও কুশল বিনিময় করেন তিনি।
তার সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগরীর আমীর ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মো. ফখরুল ইসলাম, মৌলভীবাজার পৌর আমীর হাফেজ তাজুল ইসলাম, ছাত্রশিবির জেলা সভাপতি মো. নিজাম উদ্দিন, ভাটেরা ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা আব্দুল করিম ও ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল লতিফ প্রমুখ।
২০৫ দিন আগে
আগামী ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায় বিএনপি
আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের শুরুতে অনুষ্ঠিত হবে বলে জাতীর উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষণে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই ঘোষণা গোটা জাতিকে হতাশ করেছে বলে অভিহিত করে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচনের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করেছে বিএনপি।
শনিবার (৭ জুন) সকালে দেওয়া এক বিবৃতিতে এমন মন্তব্য করেছে দলটি।
বিবৃতিতে বিএনপি জানায়, ‘২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে ছাত্রসমাজ ও জনতার বিপুল ত্যাগের মধ্য দিয়ে জনগণের বিজয় অর্জিত হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন আয়োজনের অযৌক্তিক বিলম্ব জনগণকে হতাশ ও ক্ষুব্ধ করেছে।’
এ সময় রমজান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষা এবং আবহাওয়া পরিস্থিতি ইত্যাদি বিবেচনায় নিয়ে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করে বিএনপি।
এর আগে, শুক্রবার (৬ জুন) রাতে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে জরুরি ভার্চুয়াল বৈঠকে বসে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম। বৈঠকের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে শনিবার ভোরে বিবৃতিটি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন : আগামী সংসদ নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলে: ড. ইউনূস
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের বিষয়বস্তু বিস্তারিতভাবে পর্যালোচনা করা হয়। সেখানে এই ঘোষণা দীর্ঘ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে সচেষ্ট জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষাকে উপেক্ষা করেছে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রায় দেড় দশক ধরে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত এ দেশের জনগণ। বারবার গুম, হত্যা, কারাবরণ, হামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েও তারা ভোটের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনর্প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন।’
ঐকমত্য গঠনের কথা বললেও অন্তর্বর্তী সরকার একটি বিশেষ রাজনৈতিক গোষ্ঠীর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে নিজেদের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ করছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির নীতিনির্ধারকরা।
তারা বলেন, ‘এ কারণে বৈঠকে মনে করে এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে কি না; তা নিয়ে জনগণ উদ্বিগ্ন হওয়াই স্বাভাবিক।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভাষ্যে, এপ্রিলের শুরুতে নির্বাচন দিলে তা আবহাওয়াজনিত জটিলতা ও রমজান মাসে প্রচার-প্রচারণা ও নির্বাচন-সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনায় প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করবে, যা পরবর্তীতে নির্বাচনের সময়সূচি পেছানোর অজুহাত হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।
আরও পড়ুন : ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানালেন তারেক রহমান
তারা বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব নয়— এমন কোনো সুস্পষ্ট যুক্তি উপস্থাপন করা হয়নি।
স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আরও বলা হয়, ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাণী দেওয়ার কথা থাকলেও প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য এক পর্যায়ে জাতির উদ্দেশ্য ভাষণে রূপ নেয়।
দীর্ঘ ওই ভাষণে অধ্যাপক ইউনূস নিজেই স্বীকার করেছেন বন্দর ও করিডর ইস্য অন্তবর্তী সরকারের তিনটি নির্দিষ্ট দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না।
এ ছাড়াও ওই ভাষণে ব্যবহৃত কিছু শব্দ রাজনৈতিক সৌজন্যের সীমা অতিক্রম করেছে বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিএনপির নেতারা।
২০৫ দিন আগে
পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করবেন খালেদা জিয়া
এবার পরিবারের সঙ্গে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করবেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। শনিবার (৭ জুন) পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে গুলশানের নিজ বাসভবন ‘ফিরোজা’য় নিকট আত্মীয়দের সঙ্গে সময় কাটাবেন তিনি।
বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন জানান, ‘আগামীকাল পবিত্র ঈদুল আজহা। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তার গুলশানের বাসভবনে ঈদ উদযাপন করবেন।’
তিনি জানান, ফিরোজা বাসভবনে বেগম জিয়া এবং তার বড় ছেলে ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে একটি গরু কোরবানি দেওয়া হবে।
এছাড়া, বগুড়ার গাবতলীতে জিয়া পরিবারের সদস্যদের পক্ষ থেকে আরও একটি পশু কোরবানি দেওয়া হবে বলে জানান জাহিদ।
তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন জেলায়ও বিএনপির নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নামে কোরবানি দেবেন।
ঈদের দিন বিকালে খালেদা জিয়া ফিরোজায় তার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে সময় কাটাবেন।
জাহিদ বলেন, ‘তার বোন সেলিনা রহমান, ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার এবং তাদের পরিবারের সদস্যসহ অন্যান্য নিকট আত্মীয়রা খালেদা জিয়াকে ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে ফিরোজায় আসবেন। এটি একটি ব্যক্তিগত পারিবারিক মিলনমেলা হবে, যেখানে চেয়ারপারসন শুধুমাত্র তার ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে সময় কাটাবেন।’
তিনি আরও জানান, খালেদা জিয়া তার আত্মীয়দের সঙ্গে বাসায় মধ্যাহ্নভোজ করবেন।
সন্ধ্যায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা চেয়ারপারসনের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
জাহিদ জানান, যুক্তরাজ্যে একদিন আগে ঈদ হওয়ায় শুক্রবার তারেক রহমান লন্ডনে ঈদ উদযাপন করেছেন। ঈদের নামাজ শেষে তিনি মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলে ঈদের শুভেচ্ছা জানান।
তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া তার পুত্রবধূ জুবাইদা রহমান ও নাতিদের সঙ্গেও কথা বলেছেন।
তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান, কন্যা ব্যারিস্টার জায়মা রহমান এবং প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শামিলা রহমান ও তাদের দুই কন্যা জাহিয়া ও জাফিয়া রহমান লন্ডনে একসঙ্গে ঈদ উদযাপন করছেন।
জুবাইদা রহমান বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডনে পৌঁছান। আর কোকোর স্ত্রী প্রায় ১০ দিন আগে লন্ডনে ফিরে যান।
দীর্ঘ চার মাস লন্ডনে উন্নত চিকিৎসা গ্রহণ শেষে খালেদা জিয়া গত ৬ মে দেশে ফেরেন। তখন তার দুই পুত্রবধূ তার সঙ্গে ছিলেন।
জাহিদ জানান, খালেদা জিয়া দেশবাসী এবং দেশ-বিদেশে অবস্থানরত বিএনপির নেতাকর্মীদের প্রতি ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং তাদের কাছে নিজের ও দেশের কল্যাণ কামনায় দোয়া চেয়েছেন।
চিকিৎসা প্রসঙ্গে জাহিদ বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, তিনি বর্তমানে স্থিতিশীল আছেন। লন্ডন থেকে ফেরার সময় যেমন ছিলেন, এখনও তেমনই আছেন। চিকিৎসা বোর্ড প্রতিদিন তার স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করছে এবং নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা চলছে।’
গত ঈদুল ফিতর লন্ডনে তারেক রহমানের বাসায় পুত্রবধূ ও নাতিদের সঙ্গে উদযাপন করেছিলেন খালেদা জিয়া।
২০৬ দিন আগে
আগামী সংসদ নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলে: ড. ইউনূস
আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধের যেকোনো একটি দিনে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস।
শুক্রবার (৬ জুন) জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি জানি, আগামী জাতীয় নির্বাচন কখন হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানার জন্য রাজনৈতিক দল ও জনগণের মধ্যে বিপুল আগ্রহ রয়েছে। আমি বারবার বলেছি এই নির্বাচন ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।’
তিনি আরও বলেন, এই সময়ের মধ্যে দেশে নির্বাচন উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টির জন্য যা যা করা দরকার, সরকার তাই করছে।
এখানে মনে রাখা জরুরি, বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর থেকে যতবার গভীর সংকটে নিমজ্জিত হয়েছে তার সবগুলোরই প্রধান কারণ ছিল ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন। ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বারবার ক্ষমতা কুক্ষিগত করার মধ্য দিয়ে একটি রাজনৈতিক দল বর্বর ফ্যাসিস্টে পরিণত হয়েছিল। এই ধরনের নির্বাচন যারা আয়োজন করে তারা জাতির কাছে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত হয়ে যায়। এমন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যে দল ক্ষমতায় আসে তারাও জনগণের কাছে ঘৃণিত হয়ে থাকে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এ সরকারের একটি বড় দায়িত্ব হলো একটি পরিচ্ছন্ন, উৎসবমুখর, শান্তিপূর্ণ, বিপুলভাবে অংশগ্রহণের পরিবেশে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠান করা। এমন একটি নির্বাচন আয়োজন করা যাতে করে দেশ ভবিষ্যতে নতুন সংকটে না পড়ে।
তিনি বলেন, নির্বাচনের জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার। যেই প্রতিষ্ঠানগুলো নির্বাচনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত সেগুলোতে যদি সুশাসন নিশ্চিত করা না যায় তাহলে ছাত্র-জনতার সকল আত্মত্যাগ বিফলে যাবে।
ড. ইউনূস বলেন, সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন এই তিনটি ম্যান্ডেটের ভিত্তিতে আমরা দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলাম। সে বিবেচনায় আগামী রোজার ঈদের মধ্যে সংস্কার ও বিচারের বিষয়ে আমরা একটি গ্রহণযোগ্য জায়গায় পৌঁছতে পারবো বলে বিশ্বাস করি। বিশেষ করে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার- যা কি না জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের প্রতি আমাদের সম্মিলিত দায়- সে বিষয়ে আমরা দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে পারব।
তিনি বলেন, ইতিহাসে সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু, প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য সকল পক্ষের সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি। পাশাপাশি, বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন সংক্রান্ত চলমান সংস্কার কার্যক্রম পর্যালোচনা করে নির্বাচনের সময় ঘোষণা করেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি। নির্বাচন কমিশন উপযুক্ত সময়ে নির্বাচনের বিস্তারিত রোডম্যাপ দেবে বলেও উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘আমরা এমন নির্বাচন চাই যা দেখে অভ্যুত্থানের শহীদদের আত্মা তৃপ্তি পাবে, তাদের আত্মা শান্তি পাবে। আমরা চাই আগামী নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোটার, সবচেয়ে বেশি প্রার্থী ও দল অংশ নিক। এটা সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হিসেবে জাতির কাছে স্মরনীয় থাকুক।’
ড. ইউনূস বলেন, দেড়যুগ পরে দেশে সত্যিকারের একটি জনপ্রতিনিধিত্বশীল সংসদ গঠিত হবে। বিপুল তরুণ গোষ্ঠী এবার জীবনে প্রথম ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবে।
২০৬ দিন আগে