রাজনীতি
আগামীকাল ফের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রাজনৈতিক দলের বৈঠক
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দ্বিতীয় ধাপের বৈঠক আগামীকাল সোমবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। রবিবার (১ জুন) এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এমন তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বৈঠকটি বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সোমবার (২ জুন) বিকেল সাড়ে ৪টায় থেকে অনুষ্ঠিত হবে। সংস্কার আলোচনা নিয়ে সংশ্লিষ্ট সব রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন তাদের দ্বিতীয় দফার রাজনৈতিক আলোচনা শুরু করেছে।
‘প্রধান উপদেষ্টা কাল আলোচনার উদ্বোধন করবেন এবং আলোচনা পরবর্তী সময়েও চলবে,’ যোগ করেন তিনি। ঈদুল আজহার আগে ও পরে আরও কয়েক দফা বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: পাটের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে জোর প্রধান উপদেষ্টার
এর আগে কয়েক দফায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসেন ড. ইউনূস। গেল ২৪ মে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাদের বৈঠক হয়। পরের দিন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আরও দুটি বৈঠক করেন তিনি।
শনিবার (৩১ মে) দুপুরে রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আলোচনার জন্য বিএনপিকে আবারও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। আগামী ২ জুন দ্বিতীয় দফার এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
সালাহউদ্দিন বলেন, সরকার একের পর এক রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার আনুষ্ঠানিকতা চালিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু তাতে বাস্তব কোনো অগ্রগতি নেই। আলোচনা হচ্ছে, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। জনগণের আস্থার সংকট কাটিয়ে উঠতে হলে বাস্তব পদক্ষেপ প্রয়োজন, কেবল আনুষ্ঠানিকতা নয়।
২১০ দিন আগে
নাহিদ ইসলামকে জড়িয়ে নগদের সংবাদ প্রকাশে এনসিপির নিন্দা
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে জড়িয়ে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদের অর্থ লোপাট ও দুর্নীতি নিয়ে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমের সংবাদ প্রকাশকে ভুল অ্যাখ্যা দিয়ে নিন্দা জানিয়েছে দলটি।
এনসিপি এক জরুরি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শনিবার (৩১ মে) এ ধরনের সংবাদ প্রকাশের নিন্দা জানিয়ে বলে, আতিক মোর্শেদকে নাহিদ ইসলামের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, যা সঠিক নয়। নাহিদ উপদেষ্টার দায়িত্ব পালনকালে আতিক তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু তিনি বর্তমানে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফাইজ তাইয়্যেব আহমেদের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হিসাবে কর্মরত আছেন।
এছাড়াও, গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এনসিপি আহ্বায়ক স্পষ্ট করেছেন, উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে নগদ বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে ছিল। ফলে নগদ সংক্রান্ত ব্যাপারে তাকে জড়িয়ে এমন প্রতিবেদন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করেছে এনসিপি।
দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি – একটি গোয়েন্দা সংস্থা থেকে প্রাপ্ত রেডিমেইড প্রতিবেদনকে তথাকথিত অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা হিসাবে জনগণের সামনে উপস্থাপনের অভিযোগ সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে উঠেছে। এর আগে ওয়ান-ইলেভেন সরকারের আমলে বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নিয়ে এ ধরণের ফরমায়েসি সংবাদ প্রকাশের নজির আমরা দেখেছি। বর্তমান সময়ে ঠিক একই ধরণের কার্যক্রম ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার প্রতিধ্বনি করছে এবং আরেকটি এক-এগারোর প্রেক্ষাপট তৈরি করছে।’
আরও পড়ুন: সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ভারতের সঙ্গে কোনো আপস নয়: সারজিস
এই প্রতিবেদন প্রকাশের পরপর কোনো যাচাই-বাছাই ছাড়া একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের মিডিয়া সেল থেকে অব্যাহতভাবে এনসিপি এবং নাহিদকে টার্গেট করে ফটোকার্ড প্রকাশ করা হয়েছে, যা গভীর উদ্বেগের ও শঙ্কাজনক বলে দাবি করেছে এনসিপি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দলটি জানায়, ‘গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে আমরা এমন এক রাজনৈতিক সংস্কৃতি নির্মাণ করতে চাই, যেখানে পারস্পরিক সমালোচনা হবে গঠনমূলক, যুক্তিনির্ভর ও বস্তুনিষ্ঠ। ভিত্তিহীন প্রোপাগান্ডার মাধ্যমে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার প্রবণতা পারস্পরিক সম্মান ও আস্থা নষ্ট করে রাজনৈতিক অঙ্গনের পরিবেশ আবারও পূর্বের ন্যায় দ্বন্দ্বমুখর ও আক্রোশমূলক করে তুলতে পারে; যা সকল পক্ষেরই পরিহার করা উচিত বলে আমরা মনে করি।’
বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমের নাম উল্লেখ করে এনসিপি অবিলম্বে বিভ্রান্তিকর তথ্যের সংশোধন এবং ভুল স্বীকার করে পেশাদার সাংবাদিকতার ন্যূনতম দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানিয়েছে।
দেশের গণমাধ্যম প্রসঙ্গে এনসিপি জানায়, ‘গণঅভ্যুত্থানের পরও বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলো থেকে প্রত্যাশিত ভূমিকা আমরা দেখছি না। রাষ্ট্রের বিভিন্ন সেক্টরের ন্যায় গণমাধ্যমেও পতিত ফ্যাসিবাদের তল্পিবাহকদের দেখা যাচ্ছে। খোদ অভ্যুত্থান ও শেখ হাসিনার পরিচালিত গণহত্যাকেই নানা মহল বিতর্কিত এবং প্রশ্নসাপেক্ষ করার প্রয়াস চালাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: কেবল মার্কা দেখে ভোট দিলে দেশে পরিবর্তন আসবে না: সারজিস
এছাড়াও, গণমাধ্যমে পুরোনো কায়দায় রাজনৈতিক দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর থেকেই কিছু রাজনৈতিক পক্ষকে গণমাধ্যমের মালিকানা ও গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো দখলে তৎপর হতে দেখা গেছে। যাতে বিভিন্ন অলিগার্ক মাফিয়া মিডিয়া মালিকদের সংশ্লিষ্টতাও স্পষ্ট প্রতীয়মান হচ্ছে বলে দাবি রাজনৈতিক এ দলটির।
এ ধরনের কর্মকাণ্ড গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা সংকুচিত করবে উল্লেখ করে এনসিপির পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘আমরা হতাশার সঙ্গে লক্ষ্য করছি- গণমাধ্যমের মালিকানা ও পদের হাতবদল হয়েছে শুধু; গুণগত কোনো পরিবর্তন আসেনি। এই দুরবস্থা নিরসনে অনতিবিলম্বে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সংস্কার প্রতিবেদন বাস্তবায়ন করার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছে এনসিপি।’
পাশাপাশি গণমাধ্যমের ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো দলীয়করণের মাধ্যমে যারা এক-এগারোর পুনরাবৃত্তির চেষ্টা করছেন, চব্বিশের অভ্যুত্থানে প্রতিফলিত গণসার্বভৌমত্বের অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত হয়ে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের মোকাবিলা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে এনসিপি।
২১১ দিন আগে
আগে বিচার ও সংস্কার চাই, তারপর জাতীয় নির্বাচন: অধ্যাপক মুজিবুর
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচন চায়, তবে যেনতেন নির্বাচন চায় না। তাই অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে আমাদের প্রধান ৩টি দাবি আগে বিচার ও সংস্কার; তারপর জাতীয় নির্বাচন।
শনিবার (৩১ মে) সকাল ৯টায় কিশোরগঞ্জ জেলা সদরের পুরাতন ষ্টেডিয়ামে জেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মুজিবুর রহমান দলের এই দাবির কথা দাবি জানান।
তিনি বলেন, গত ২৭ মে সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলাম সুবিচার পেয়েছেন। আমাদের শীর্ষনেতাদের যারা অন্যায়ভাবে হত্যা করেছে এবং ওই দল ও তাদের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সকলের বিচার হওয়া উচিৎ।
অধ্যাপক মুজিবুর বলেন, ‘আমরা সরকারকে বলব আগে বিচার হবে, এরপর সংস্কার এর পরে নির্বাচন হতে হবে।’
তিনি বলেন, আগের মতো যদি নির্বাচন হয়, সেই নির্বাচনের কী দরকার আছে কিনা সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি। বলেন ওইগুলোতো নির্বাচনই হয় নাই। ২০১৪ সালে হলো বিনা ভোটের নির্বাচন, ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে হলো এবং ২০২৪ সালে নিজেরা নিজেরা ভোট দিয়ে ডামি নির্বাচন করেছে।
আরও পড়ুন: আমরা ন্যায়বিচারের অপেক্ষায় ছিলাম: জামায়াত আমির
মুজিবুর রহমান বলেন, আমরা বিগত ১৭ বছর আইয়ামে জাহিলিয়ার যুগে বসবাস করেছি। হত্যা, নির্যাতন, জুলুম কি না করেছে বিগত আওয়ামী লীগের সরকার। তারা দুর্নীতি করে বিদেশে টাকা পাচার করেছে এবং গুম, খুনসহ হেন অপরাধ নেই যে তারা করেনি। তারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের মিথ্যা অপরাধী সাজিয়ে ফাঁসি দিয়েছে।
কিশোরগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক মো. রমজান আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের পরিচালক ড. মাওলানা মো. ছামিউল হক ফারুকী, ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, সাবেক জেলা আমির অধ্যক্ষ মা ও তৈয়বুজ্জামান, অধ্যাপক মো. আবদুস সালাম, নেত্রকোণা জেলা আমির সাদেকুর রহমান হারিছ, জামালপুর জেলা আমির মাওলানা আবদুস সাত্তার, শেরপুর জেলা আমির মাওলানা হাফিজুর রহমান প্রমুখ।
২১১ দিন আগে
সংস্কারের নামে কলা দেখাচ্ছে সরকার: সালাহউদ্দিন আহমেদ
অন্তর্বর্তী সরকার ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ না নিয়ে ‘সংস্কারের’ নামে কেবল ‘কলা দেখাচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
শনিবার (৩১ মে) রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কৃষক দল।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘‘সংস্কারের এই নাটক কতবার উদ্বোধন করবেন? প্রথম দফায় উদ্বোধন, তারপর দ্বিতীয় দফায় আবার। এখন তৃতীয় দফায় আরেকটা উদ্বোধন! এটি আসলে সংস্কারের নামে ‘কলা দেখানো’ ছাড়া কিছু নয়।’’
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ২ জুন আরেক দফা সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন। ‘আমরা আগেই বলেছি—যা আলোচনা হয়েছে, সব একত্র করে জাতির সামনে উপস্থাপন করুন। কিন্তু আপনারা শুধু আনুষ্ঠানিকতা করছেন, কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। ২ জুন আবার নতুন করে আলোচনার কী প্রয়োজন?’
তিনি আরও বলেন, ‘সংস্কারের চেয়েও বড় অগ্রাধিকার হওয়া উচিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নিশ্চিত করা—ফ্যাসিস্টদের বিচারের দাবিই এখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।’
আরও পড়ুন: দেশে পদে পদে গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত হচ্ছে: খালেদা জিয়া
সালাহউদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে সরকারের আগের প্রতিশ্রুতি থেকে তারা সরে এসেছে। ‘আপনারা বলেছিলেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হবে। এখন আবার পিছু হটলেন—এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’
২০১৫ সালের ১০ মার্চ উত্তরার বাসা থেকে গোয়েন্দা পরিচয়ে অপহরণের শিকার হওয়া সালাহউদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, ‘বিএনপির নেতাকর্মীরা রক্ত দিয়েছে, নির্যাতনের শিকার হয়েছে, কারাবরণ করেছে, ‘আয়নাঘরে’ বন্দী হয়েছে। এসব কিছু কি শুধু গল্প? আমরা এসব ভোগ করেছি এমনি এমনি।’
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা এবং বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার লক্ষ্যেই বিএনপি আন্দোলন করছে বলে মন্তব্য করেন দলটির এই নেতা।
প্রধান উপদেষ্টার প্রতি ইঙ্গিত করে সালাহউদ্দিন আরও বলেন, ‘আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকারের কথা বললেই যদি আপনি অস্বস্তি বোধ করেন, তবে সেটা অত্যন্ত হতাশাজনক। সংস্কারের নামে কতদিন আর নির্বাচন বিলম্ব করবেন?’
নির্বাচন পেছানোর যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন বিলম্ব করার কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই। আপনার (ড. ইউনূস) কোনো যুক্তি নেই। ডিসেম্বরে নির্বাচন আয়োজন না করার একটি কারণও যদি থাকে—তা জাতির সামনে তুলে ধরুন।’
সংস্কারকে একটি চলমান প্রক্রিয়া বলে উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, সংস্কারকে অজুহাত বানিয়ে নির্বাচন পেছানো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ‘সংস্কার কখনও সম্পন্ন করার মতো কাজ নয়, সময় ও দেশের প্রয়োজন অনুযায়ী তা বিকশিত হয়। কিন্তু তাই বলে এর অর্থ এই নয় যে, আপনি এটিকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে নির্বাচনের তারিখ পিছিয়ে দিতে পারেন।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনের সঙ্গে সংস্কার ও আ.লীগের বিচার মেলানোর সুযোগ নেই: বিএনপি
কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহদি আমিন, নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়ালসহ কৃষক দলের নেতারা।
২১১ দিন আগে
আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশে কখনো রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না: আমান উল্লাহ আমান
আওয়ামী লীগে কখনো আর এই স্বাধীন দেশে রাজনীতি করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও ডাকসুর সাবেক ভিপি আমান উল্লাহ আমান।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের রাজনীতি, খুনিদের রাজনীতি এই বাংলাদেশে আর কখনো করতে দেওয়া হবে না।’
শুক্রবার (৩০ মে) বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে সাভারে আয়োজিত এক দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ভার্কুতা, তেঁতুলঝোড়া, ও আমিনবাজার ইউনিয়ন বিএনপির এই আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জিয়াউর রহমান সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সৎ শাসক: কাদের গনি চৌধুরী
আমান উল্লাহ আমান আরও বলেন, ছাত্র জনতার রক্তের বিনিময়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনা মুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। ফ্যাসিস্ট হাসিনা, খুনি হাসিনা গণ জাগরনের একদিন আগেও বলেছিল, আওয়ামীলীগ পালায় না। একদিন পরেই তিনি তার গোষ্ঠীসহ পালাতে বাধ্য হয়েছেন। তিনি আরও বলেন বিএনপি আগামীতে রাষ্ট্রক্ষমতায় এলে দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে। দেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে দ্রুত জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সাভার উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আলহাজ্ব কফিল উদ্দিন, ভাকুর্তা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সারোয়ার হোসেন চেয়ারম্যান, সাধারণ সম্পাদক নুরুল মোমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোক্তার হোসেন আসাদ, ঢাকা জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম জুয়েল, আশরাফুল আলমসহ সাভারের বিভিন্ন ইউনিয়ন, ওয়ার্ডের বিএনপি ও অংশ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া করা হয়।
২১২ দিন আগে
জিয়াউর রহমান সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সৎ শাসক: কাদের গনি চৌধুরী
বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় শহীদ জিয়ার অবদান এদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তিনি স্বীয় কীর্তিতে অমর ইতিহাসের মহানায়ক।
শুক্রবার (৩০ মে) দুপুরে স্বাধীনতার মহান ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) ৪৪তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী প্রাইভেট ব্যাংকার্স ও ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত দোয়া মাহফিল ও খাদ্য বিতরণ কর্মসূচিতে তিনি একথা বলেন।
রাজধানীর রোকেয়া স্মরণি এলাকায় এ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী প্রাইভেট ব্যাংকার্স ও ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনর আহ্বায়ক শেখ মুহাম্মদ জায়েদ আল ফাত্তাহ (শেখ সাব্বির), ব্যাংকার এম এ সাঈদ চৌধুরী, শেখ তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী, রাইসুল আলম, আলিমুল বিন আজিজ, এইচ এম মিজানুর রহমান প্রমুখ।
কাদের গনি চৌধুরী বলেন, সততা, নিষ্ঠা, দেশপ্রেম, পরিশ্রমপ্রিয়তা ও নেতৃত্বের দৃঢ়তাসহ প্রভৃতি গুণাবলী এদেশের গণমানুষের হৃদয় স্পর্শ করেছিল। দেশে ঐক্যের রাজনীতি চালু করে সবাইকে এক কাতারে নিয়ে আসেন তিনি। প্রেসিডেন্ট জিয়া বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তন, বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেন। অল্প সময়ের জন্য রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেয়ে জিয়া বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন এবং তলাবিহীন ঝুঁড়ির অপবাদ থেকে দেশ-জাতিকে মুক্ত করেন। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর সাহস জোগান। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীকে নতুনভাবে ঢেলে সাজিয়েছিলেন। ঢাকায় মানিক মিয়া এভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত তার স্মরণকালের নামাজে জানাজায় প্রমাণিত তিনি কত জনপ্রিয় ছিলেন।
আরও পড়ুন: একটি ছবি লাখো শব্দের সমান: কাদের গনি চৌধুরী
জিয়াকে আমাদের জাতিসত্তার রূপকার উল্লেখ করে সাংবাদিকদের এ নেতা বলেন, শহীদ জিয়া প্রকৃত অর্থে গত ৫৪ বছরে বাংলাদেশের একমাত্র স্টেটম্যান। স্বাধীনতা উত্তর শ্বাপদসঙ্কূল রাজনৈতিক, সামরিক পথপরিক্রমা, দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্রে দিশাহীন জাতিকে দেখিয়েছিলেন আলোর পথ। মাত্র সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে দেশকে এগিয়ে নিয়েছেন কৃষি, শিল্প, মানবসম্পদ উন্নয়ন খাতে স্বনির্ভরতার দিকে। দেশে প্রতিষ্ঠিত করেছেন বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ।
কাদের গনি চৌধুরী বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালে দেশের সব রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করে গণবিমুখ একদলীয় বাকশালী ব্যবস্থা চালু করেন। সে দিনগুলোতে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, বাকস্বাধীনতা, রাজনৈতিক মতপ্রকাশের কোনো স্বাধীনতা ছিল না। গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করা হয়। একদল, এক ব্যক্তিশাসনে গোটা দেশ এক জিন্দানখানায় (বন্দিশালা) পরিণত হয়েছিল। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর গণতন্ত্রের দরজা উন্মুক্ত করে দেন। তিনি উপলব্ধি করেন যে, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে হলে অবশ্যই মত ও পথের শতফুল ফুটতে দিতে হবে। এই লক্ষ্য ও মানসেই তিনি ১৯৭৬ সালে ‘রাজনৈতিক দল বিধি ১৯৭৬’ জারি করেন। এর ফলে দেশে সব রাজনৈতিক দলের পুনরুজ্জীবনের সুযোগ ঘটে।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান বিএনপিকে গণতন্ত্র, উন্নয়ন, উৎপাদন ও জাতীয় স্বার্থরক্ষার উপযুক্ত করে গড়ে তুলেছেন। নেতাপূজা, তোষামোদি ও শ্লোগান নির্ভর বিদ্যমান রাজনীতির পরিবর্তে তিনি উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতি চালু করেছেন।
আরও পড়ুন: বিজাতীয় সংস্কৃতিকে ছুড়ে ফেলে সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চা করতে হবে: কাদের গনি চৌধুরী
জিয়াউর রহমানের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, দলের নেতাকর্মী ও জনগণকে তিনি সম্পৃক্ত করেন খাল খনন, নিরক্ষরতা দূরীকরণ অভিযান, রাস্তাঘাট নির্মাণ প্রভূতি উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছেন। ফলে অলস পড়ে থাকা কলকারখানাগুলোতে আবার কাজ শুরু হয়। এমনকি কোনো কোনো কারখানা দুই শিফটেও কাজ চলে। জিয়া রাজনীতিকে প্রাসাদ বন্দী না করে ছড়িয়ে দেন সারা দেশে। জিয়ার প্রতি জনগণের ভালবাসার কারণে বিএনপি শুরু থেকেই জনপ্রিয়তা পায়। পরবর্তীতে বিএনপি গণমুখী কর্মকাণ্ডের কারণে দলটি মানুষের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়। তাই জনগণ যখনই ভোট দিয়ে সরকার গঠনের সুযোগ পেয়েছে, তখনই বিএনপিকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় এনেছে।
২১২ দিন আগে
একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার: প্রধান উপদেষ্টা
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরে অন্তবর্তী সরকার একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, ‘আমরা দেশের জনগণের ন্যায়বিচার, সমতা, স্বাধীনতা ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে এবং তাদের স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা পূরণে কাজ করে যাচ্ছি।’
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) জাপানের রাজধানী টোকিওতে আয়োজিত ‘নিক্কেই ফোরাম: থার্টিয়েথ ফিউচার অব এশিয়া’ সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশে আমরা গত বছর শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন এক গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে একটি বড় ধরনের রূপান্তর পার করেছি এবং এর পরিপ্রেক্ষিতেই আমার সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে।’
আরও পড়ুন: মহেশখালী-মাতারবাড়ী উন্নয়ন জোরদারে জাইকার সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
এই রূপান্তরকে অতীতের ভুল শুধরে নেওয়ার, নতুন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার এবং আরও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনের একটি সুযোগ হিসেবে দেখছেন বলে উল্লেখ করেন ড. ইউনূস।
বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা ও শান্তিপ্রতিষ্ঠা মিশনে অংশগ্রহণ এবং মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়ে বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগে বুধবার (২৮ মে), প্রধান উপদেষ্টা টোকিওতে জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও জাপান-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ লিগের প্রেসিডেন্ট তারো আসোর সঙ্গে এক বৈঠকে বলেন, জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের যেকোনো সময়ে অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘অধ্যাপক ইউনূস তারো আসোকে জানিয়েছেন- নির্বাচন ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। এই ছয় মাসের সময়সীমার মধ্যেই নির্বাচন সম্পন্ন হবে।’
তিনি আরও বলেন, ড. ইউনূস স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে, এই সময়সীমার পরে তিনি আর একদিনও ক্ষমতায় থাকবেন না। আয়োজনের সকল প্রস্তুতি শেষ করেই তিনি নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করবেন।
২১৩ দিন আগে
দেশে পদে পদে গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত হচ্ছে: খালেদা জিয়া
দেশে গণতন্ত্রের নিরবচ্ছিন্ন যাত্রা পদে পদে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে দেয়া ভিডিও বার্তায় একথা বলেন তিনি।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শহীদ দিয়া আমৃত্যু যে গণতন্ত্রের জন্য কাজ করে গেছেন, সেই গণতন্ত্রের নিরবচ্ছিন্ন যাত্রা প্রতি পদে পদে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।’
‘প্রতি বছর মে মাসের এই দিনটি আমাদের পরিবারে বেদনাবিধুর স্মৃতি নিয়ে আসে। এই দিনে শুধু আমাদের পরিবার নয়, বরং সমগ্র দেশই হয়ে ওঠে বেদনার্ত ও অভিভাবকহীন,’ বলেন তিনি।আরও পড়ুন: গণতন্ত্রের প্রশ্নে খালেদা জিয়া কখনও আপস করেননি: কাদের গনি
সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অবদান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা এক অবিচ্ছেদ্য নাম শহীদ জিয়াউর রহমান। যে চট্টগ্রাম থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা করে তিনি এ দেশের সঙ্গে তার নাম অবিচ্ছেদ করেছিলেন, সেই চট্টগ্রামেই এক সফল, সৎ, দূরদর্শী ও প্রকৃত দেশপ্রেমিক প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন।’
শিগগিরই দেশে গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠিত হবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে খালেদা বলেন, দেশে গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠিত করাই যেন হয় শহীদ জিয়ার শাহাদাত বার্ষিকীর দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ লক্ষ্যে নেতা-কর্মীদের নিরলস কাজ করার আহ্বান জানান দলটির চেয়ারপারসন।
২১৩ দিন আগে
সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ভারতের সঙ্গে কোনো আপস নয়: সারজিস
বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ভারতের সঙ্গে কোনো ধরনের আপস করা হবে না বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার টোরাঙ্গি মোড়ে এনসিপির এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে পুশইনের মাধ্যমে এজেন্ট পাঠিয়ে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে ভারত। দেশের মানুষকে এ বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে ভারত। যতদিন হাসিনা সেখানে আশ্রয়ে থাকবেন, ততদিন বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে পারে না।’
‘উত্তরাঞ্চল দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত। এ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি বুড়িমারী থেকে ঢাকা পর্যন্ত সরাসরি ট্রেন চালু করা, পাটগ্রামে পাথর উত্তোলনে ব্যবহৃত বোমা মেশিন বন্ধ করা এবং বুড়িমারী স্থলবন্দরে চাঁদাবাজি রোধ করতে হবে,’ যোগ করেন তিনি।
সারজিস আলম বলেন, ‘লালমনিরহাট জেলা দেশের সবচেয়ে সুবিধাবঞ্চিত অঞ্চল। এনসিপি এখান থেকেই তাদের কার্যক্রম শুরু করব।’
‘আমরা তেলা মাথায় তেল দেওয়ার নীতিতে বিশ্বাস করি না। আমরা আমাদের জায়গা থেকে জনগণের কাছে শুনতে এসেছি।’
এনসিপির এই মুখ্য সংগঠক বলেন, ‘উপজেলার রাস্তাঘাটগুলোর বেহাল অবস্থা, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার নেই, তাদের থাকার মতো পর্যাপ্ত পরিমাণ ব্যবস্থা করতে হবে।’
আরও পড়ুন: কেবল মার্কা দেখে ভোট দিলে দেশে পরিবর্তন আসবে না: সারজিস
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দল বা মার্কা দেখার নয়, ভালো মানুষকেই নির্বাচনে ভোট দিন। যে আপনাদের পাশে দাঁড়ায়, টাকা ছাড়া কথা শোনে, তাকেই আগামীর প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত করুন।’ উত্তরাঞ্চলে কোথায় কী সমস্যা? সেগুলো রাজপথ থেকে মাঠে-ঘাটে হেঁটে দেখে সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার কাছে বলব।
সবশেষে সারজিস বলেন, ‘আমি এখানে জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে ভোট চাইতে আসিনি। আমি এসেছি আপনারা দলমত নির্বিশেষে ব্যক্তি ইমেজের ওপর ভিত্তি করে আপনাদের ভোটাধিকার ভালো লোককে প্রয়োগ করবেন, এই আহ্বান জানাতে।’
পথসভায় সভাপতিত্ব করেন এনসিপির উত্তরাঞ্চলের সংগঠক রাসেল মাহমুদ। জেলা ও উপজেলা শাখার নেতাকর্মীরাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
২১৩ দিন আগে
ভুল স্বীকার করলেন এনসিপির হান্নান মাসউদ
রাজধানীর ধানমন্ডি থানা থেকে বিশৃঙ্খলার অভিযোগে আটক তিন ব্যক্তিকে ছাড়িয়ে আনার অভিযোগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দেওয়া কারণ দর্শানোর অভিযোগে নিজের ভুল স্বীকার করেছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ।
এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২১ মে হান্নানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছিল এনসিপি। তিন কার্যদিবসের মধ্যে তিনি কারণ দর্শানো নোটিশের লিখিত ও মৌখিক জবাব ‘রাজনৈতিক পর্ষষের’ কাছে পেশ করেন।
নোটিশের জবাবে হান্নান ধানমন্ডির কর্মকাণ্ড ভুল ছিল বলে স্বীকার করেন এবং আগামীতে এই ধরনের ভুলের পুনরাবৃত্তি হবে না মর্মে দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
পাশাপাশি থানায় আটক হওয়া ব্যক্তিদের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে হান্নানের সম্পৃক্ততা না থাকায় রাজনৈতিক পর্ষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তার ওপর আরোপিত কারণ দর্শানো নোটিশ প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এনসিপি।
এর আগে হান্নানকে দেওয়া কারণ দর্শানোর নোটিশে বলা হয় বলা হয়, ২০ মে ধানমন্ডি থানার আওতাভুক্ত একটি আবাসিক এলাকায় ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে বিশৃঙ্খলা করার অভিযোগে তিনজন ব্যক্তিকে আটক করে থানা-পুলিশ।
এই তিনজনের অন্যতম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মোহাম্মদপুর থানার আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম রাব্বিকে নৈতিকতা স্খলনের কারণে অব্যাহতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি। তা সত্ত্বেও আবদুল হান্নান মাসউদ সংশ্লিষ্ট থানায় উপস্থিত হয়ে আটক তিনজনকে মুচলেকা দিয়ে ছাড়িয়েছেন।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আবদুল হান্নান মাসউদকে ব্যাখ্যা এবং তার বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার লিখিত বিবরণ তিন দিনের মধ্যে এনসিপির শৃঙ্খলা কমিটির প্রধানের কাছে উপস্থাপন করার জন্য নির্দেশনা দেয় দলটি।
২১৩ দিন আগে