রাজনীতি
ইসলামপন্থীদের ঐক্যের জন্য জামায়াত উদার: মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান
আগামী নির্বাচনে ইসলামপন্থীদের মধ্যে ঐক্য করতে যতটা ছাড় ও উদারতার প্রয়োজন জামায়াতে ইসলামী তা করবে বলে জানিয়েছেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।
রবিবার (২৫ মে) দুপুরে রাজধানীর তোপখানা রোডস্থ বিএমএ মিলনায়তনে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ আয়োজিত আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ইসলামপন্থীদের ঐক্য ভাবনায় করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
রফিকুল ইসলাম খান বলেন, আওয়ামী লীগ আলেম-ওলামাদের উপর সবচেয়ে বেশি জুলুম করেছে। ফ্যাসিবাদবিরোধী সব রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের জুলুমের শিকার হয়েছে। আগামী দিনে যাতে আলেমদের উপর আর কেউ জুলুম করতে না পারে—সেজন্য সব ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার কাছে দুই রোডম্যাপ চেয়েছে জামায়াত
তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশের নেতৃত্ব ইসলামপন্থীদের দিতে হলে অবশ্যই ঐক্যের বিকল্প নাই। সব দল ও মতের নেতৃত্বকে একই প্লাটফর্মে জোটবদ্ধ হতে হবে।
এতে আরও বক্তব্য দেন দলটির কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্ম পরিষদের সভাপতি মাওলানা নুরুল হুদা ফয়েজি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশর যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান, হেফাজতে ইসলামী বাংলাদেশর নায়েবে আমির আহম্মদ আলী, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ ড. মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বাসার, এনসিপির কেন্দ্রীয় সংগঠক মাওলানা সানা উল্লাহ খান, জামায়াতের ওলামা বিভাগের ঢাকা মহানগরীর দক্ষিণের সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা মোশাররফ হোসেন, মুফতি মোহাম্মদ আলী, মুফতি আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, মাওলানা মোহাম্মদ শাহ আলম, মুফতি সাকীবুন কাসেমী, মাওলানা আকরাম হোসাইন, মাওলানা মিন সুফিয়ান, হাফেজ মাওলানা মুফতি আহম্মদ বিন হাবিব, মুফতি আবু নোমান রহমানী, মুফতি এমদাদ উল্লাহ, মুফতি ইমাজ উদ্দিন, মুফতি আব্দুল আজিজ প্রমুখ।
২১৮ দিন আগে
নির্বাচনী রোডম্যাপ দাবিকে ‘মহাপাপ’ মনে করছেন কিছু উপদেষ্টা: রিজভী
অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে বিএনপি যে নির্বাচনী রোডম্যাপ দাবি করেছে, সেটিকে কিছু উপদেষ্টা ‘মহাপাপ’ হিসেবে দেখছেন বলে মন্তব্য করছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
নির্বাচনের জন্য অপ্রয়োজনীয় বিলম্ব হচ্ছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘স্পষ্ট সময়সীমার মধ্যে নির্বাচনের আহ্বান জানানো কি মহাপাপ? কিছু উপদেষ্টার মন্তব্য থেকে মনে হচ্ছে যে, তারা বিভিন্নভাবে বিভিন্ন মানুষের মধ্যে এই ধারণা উসকে দিচ্ছেন।’
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রবিবার (২৫ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপি নেতা এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি এবং অন্যান্য গণতান্ত্রিক দলগুলো অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রয়োজনীয় সংস্কার এবং একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে বলেছে। শেখ হাসিনা জনগণের এই ভোট দেওয়ার অধিকার বিলম্বিত করেছিলেন, বঞ্চিত করেছিলেন।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে আশ্বাস পায়নি বিএনপি
‘আমাদের সব বিক্ষোভ ও আন্দোলনের লক্ষ্য ছিল এই পরিস্থিতির উত্তরণ। প্রকৃত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা এবং একটি মুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা। কিন্তু এখন, নির্বাচনকে ঘিরে অনেক চক্রান্ত চলছে,’ যোগ করেন রিজভী।
নিজেদের এখতিয়ারের বাইরে গিয়ে কিছু উপদেষ্টা নির্বাচন নিয়ে কথা বলছেন বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব। এ কারণেই রাজনৈতিক সংকট বাড়ছে বলে তিনি মনে করেন।
রিজভী বলেন, ‘যদি উপদেষ্টারা তাদের দায়িত্বের বাইরে কোনো গোপন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেন—তাহলে জনগণ তা মেনে নেবে না। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের ভূমিকা পরিবেশ রক্ষা এবং উন্নত করা, কিন্তু তিনি বরং নির্বাচনের কথা বলেন ‘
‘বুড়িগঙ্গা ও শীতলক্ষ্যা নদী রক্ষার জন্য রিজওয়ানা কী করেছেন প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘আমরা এখনও বিষাক্ত বাতাসে শ্বাস নিচ্ছি কেন? দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে, পরিবেশ দূষণমুক্ত করতে তার কোনো উদ্যোগ বা কর্মসূচি আমরা দেখিনি।’
দুই ছাত্র উপদেষ্টার পদত্যাগের জন্য তার দলের আহ্বানকে সমর্থন করে রিজভী বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা হলো নিরপেক্ষ থাকা। কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল গঠনে সহায়তা করা বা এর বিকাশে সহায়তা করা অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নয় ‘
রিজভী বলেন, ‘অবশ্যই নিরপেক্ষভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। এক্ষেত্রে, যদি একজন উপদেষ্টা (কুমিল্লার) এসপিকে ফোন করে বিএনপির লোকজনকে গ্রেপ্তার করার এবং দলটিকে সেখানে কোনো কার্যকলাপ পরিচালনা করতে বাধা দেওয়ার নির্দেশ দেন—তাহলে কেন তার পদত্যাগের দাবি উঠবে না?’
২১৮ দিন আগে
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিনটি রোডম্যাপ নিয়ে আলোচনা হয়েছে: নাহিদ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিনটি রোডম্যাপ ও তার বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
শনিবার (২৪ মে) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনাতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব বলেন।
নাহিদ বলেন, ‘আমাদের আলোচনার মূল বিষয় ছিলো তিনটি রোডম্যাপ। সেগুলো হলো, বিচার, সংস্কার এবং নির্বাচন।’
পাশাপাশি এগুলো কিভাবে বাস্তবায়ন করা হবে, সে বিষয়েও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানান এনসিপির এই শীর্ষ নেতা। নাহিদ আরও বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন। সেখানে আমরা ড. ইউনুসের প্রতি সমর্থন জানিয়েছি।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনে জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নের একটি দাবি ছিল। সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের বলা হয়েছিল ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সেটি হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যাতে জুলাই ঘোষণাপত্র জারি করা হয়, সে বিষয়ে আমরা আহ্বান জানিয়েছি। সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে।’
নাহিদের ভাষ্যে, ‘জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার এবং আহতদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া ধীর গতিতে এগোচ্ছে। গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর থেকে যে সঞ্চয়পত্র দেওয়ার কথা ছিল, সেটি এখনো সব শহীদ পরিবার পায়নি। মাসিক ভাতা দেওয়ার কথা ছিল, সেটি এখনো শুরু হয়নি। আমরা বলেছি, যাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিশ্রুত দাবি আর্থিক সহায়তাসহ পুনর্বাসন যাতে নিশ্চিত করা হয়।’
এ ছাড়া, শেখ হাসিনা ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থায় নির্বাচন করেছিল এবং মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করেছিল উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ আমলের সব নির্বাচনকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবৈধ ঘোষণা করতে অন্তবর্তী সরকারের প্রতি আহ্বানের কথাও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে: এনসিপি
এরপর, সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা সুস্পষ্টভাবে বলেছি ছাত্র উপদেষ্টা যারা রয়েছেন, তারা গণঅভ্যুত্থানের প্রতিনিধি আকারে সরকারে গিয়েছিলেন, সরকারকে বৈধতা দিয়েছেন। ফলে তাদের সঙ্গে রাজনৈতিক কোনো দলের বা এনসিপির সম্পর্ক নেই; সেটা আজকে আমরা পরিষ্কার করেছি।’
নাহিদ বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই যারা আন্দোলন করছি, আমাদের লক্ষ্য একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার এবং সংস্কারের মধ্য দিয়েই সেই নতুন বাংলাদেশ পাওয়া সম্ভব।’
তার ভাষ্যে, ‘সেই নতুন বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি থেকেই অনেকেই সরে এসেছেন এবং ড. ইউনুস কে চাপ প্রয়োগ করে বিভিন্ন দাবি আদায়ের চেষ্টা চলছে। এভাবে উনার পক্ষে কাজ করা সম্ভব নয় এবং সংস্কার বা পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়। সেই বিষয়ে সরকার প্রধান হতাশা ব্যক্ত করেছেন।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে নাহিদ বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দল নয়, বরং জনগণ এবং গণঅভ্যুত্থানকারী ছাত্র-জনতা, তাদের আহ্বানে ড.ইউনূস দায়িত্বে এসেছেন এবং তাদের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য তিনি কমিটেড, কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতি উনি কমিটেড নন।’
২১৮ দিন আগে
নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে আশ্বাস পায়নি বিএনপি
নির্বাচনের নির্দিষ্ট রোডম্যাপ, ফ্যাসিস্টদের বিচার এবং সংস্কার সম্পন্ন করার দাবিগুলো আবারও উত্থাপন করলেও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে এ বিষয়ে কোনো আশ্বাস পায়নি বিএনপি।
শনিবার (২৪ মে) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের সরকারি বাসভবন ‘যমুনা’য় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘সংস্কার, বিচার (ফ্যাসিস্টদের) এবং নির্বাচন – এই তিনটি বিষয়ই বৈঠকে আলোচনায় এসেছে। আমরা বলেছি, এগুলো একে অপরের পরিপূরক নয়।’
নির্দিষ্ট সময়সীমার বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া পেয়েছেন কি না – এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা আমাদের দাবি জানিয়েছি… কিন্তু তিনি (অধ্যাপক ইউনূস) এ বিষয়ে কিছু নির্দিষ্ট বলেননি।’আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ দাবি বিএনপির
তবে তিনি জানান, ‘এ বিষয়ে পরে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে।’
বৈঠক নিয়ে সন্তুষ্ট কি না – এমন প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন নেই।’
এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় রাজনৈতিক উত্তেজনা কমাতে একটি চার সদস্যের বিএনপি প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং সালাহউদ্দিন আহমেদ।
বিএনপির নেতৃত্বাধীন এই প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকটি সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন ‘যমুনা’য় শুরু হয়।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার কাছে দুই রোডম্যাপ চেয়েছে জামায়াত
২১৯ দিন আগে
প্রধান উপদেষ্টার কাছে দুই রোডম্যাপ চেয়েছে জামায়াত
দুটো রোডম্যাপ ঘোষণা করা হলে দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা কেটে যাবে বলে মনে করেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, দুটো রোডম্যাপ ঘোষণা করা হলে তা কিছুটা কেটে যাবে। একটি সংস্কারে রোডম্যাপ, অন্যটি নির্বাচনের। দুটোই অনেক গুরুত্বপূর্ণ বলে আমরা মনে করি।’
শনিবার (২৪ মে) রাত সাড়ে ৯টায় প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনার সামনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন জামায়াতের আমির।
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি সংস্কার প্রক্রিয়াকে অর্থবহ সহযোগিতা করি, তাহলে একটি অর্থবহ সংস্কারের মধ্য দিয়ে একটি অর্থবহ নির্বাচন হতে পারে। আমরা সেই দিনগুলোর অপেক্ষায় আছি। যে অস্থিরতা দেখা দিয়েছিল, আপাতত দৃষ্টিতে তা কিছুটা কেটেছে—আমরা এর স্থায়ী নিষ্পত্তি চাই।’
জামায়াতের আমির বলেন, ‘আমাদের বিবেকের জায়গা থেকে যেটিকে আমরা উত্তম মনে করি, সে ব্যাপারে কাজ করতে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’
আপনারা নির্বাচনের কোনো সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন কিনা; জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সবাই নির্বাচন চায়। আমরাও নির্বাচন চাই। ‘বিএনপি বারবার বলছে যে তারা সংস্কারের বিরোধী না, তবে নির্বাচনের রোডম্যাপ চাচ্ছে। সেটা আমরাও চাই। আমরা কোনো সময় বেঁধে দিইনি ‘
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ দাবি বিএনপির
‘আমরা দুটো সময়ের কথা বলেছি। যদি সংস্কার শেষ হয়ে যায়, তাহলে ফেব্রুয়ারির মধ্যভাগে (নির্বাচন) হতে পারে, আবার যদি সংস্কারের সময় লাগে, এরপপরই রোজা শুরু হয়ে যাবে। তাহলে রোজার পর নির্বাচন হতে হবে। এটাকে টেনে লম্বা করে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন করা যাবে না, আমাদের দেশের আবহাওয়া সেই সুযোগ দেবে না,’ যোগ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা জবাবে কী বলেছেন, জানতে চাইলেন শফিকুর রহমান বলেন, ‘তিনি (ড. ইউনূস) গভীর মনোযোগের সাথে শুনেছেন। আমাদের এটা আস্থা হয়েছে, তিনি বিষয়টি ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন।’
উপদেষ্টাদের পদত্যাগ ইস্যুতে জামায়াত আমির বলেছেন, ‘তারা কারও পদত্যাগ চাননি।’
আরও পড়ুন: সংস্কার-নির্বাচনের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ না থাকায় সংশয় তৈরি হয়েছে: জামায়াত আমির
২১৯ দিন আগে
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ দাবি বিএনপির
চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা প্রশমনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপির একটি চার সদস্যের প্রতিনিধি দল। বৈঠকে ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্দিষ্ট রোডম্যাপ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে দলটি।
শনিবার (২৪ মে) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন ‘যমুনা’য় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, আলোচনায় তিনটি বিষয়—সংস্কার প্রক্রিয়া, বিচারিক কার্যক্রম ও নির্বাচন—বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন ছাড়া দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আর কোনো পথ নেই। ডিসেম্বরের মধ্যে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে আমাদের আলোচনা হয়েছে। আমরা একটি স্পষ্ট রোডম্যাপ চাই।’
বিএনপি প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমেদ।
এর আগে রাজধানীর এক অনুষ্ঠানে আমীর খসরু বলেন, ‘এই মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—কীভাবে ও কত দ্রুত আমরা নির্বাচনের দিকে যেতে পারি। সময়ক্ষেপণের সুযোগ নেই।’আরও পড়ুন:রাজনৈতিক উত্তেজনা: ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি প্রতিনিধি দল
তিনি জানান, দেশের মানুষ গত ১৬ বছর ধরে যে ত্যাগ স্বীকার করেছে, তারা এখন ভোটের মাধ্যমে সরকার নির্বাচনের সুযোগ চায়।
অন্যদিকে, ড. মঈন খান বলেন, ‘গণতান্ত্রিক রূপান্তরই এখন একমাত্র সমাধান। ১৫ বছরের স্বৈরতন্ত্র থেকে ৫ আগস্ট মুক্তির পর জনগণ নতুন এক অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে। এই রূপান্তর থেমে গেলে গণতন্ত্রও থেমে যাবে।’
সামরিক বাহিনীর একটি অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ও নির্বাচন প্রসঙ্গে সেনাপ্রধানের বক্তব্য এবং রাজনৈতিক দলগুলোর লাগাতার কর্মসূচি ও চাপের পরিপ্রেক্ষিতে অধ্যাপক ইউনূসের পদত্যাগের গুঞ্জন উঠেছে বলেও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
২১৯ দিন আগে
কোনো দল গোছানোর জন্য নির্বাচন পেছানো যাবে না: নজরুল ইসলাম খান
জনগণ স্থায়ী সরকার চায় উল্লেখ করে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার দ্রুত করতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কোনো নির্বাচিত ও স্থায়ী সরকার নয়। জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিতে হবে।’
শনিবার (২৪ মে) বিকাল ৪টায় বগুড়া শহরের সেন্ট্রাল হাইস্কুল মাঠে জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদলের যৌথ উদ্যোগে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন, তা আগামী তিন মাসের মধ্যে সম্পন্ন হলে ডিসেম্বরে নির্বাচন আয়োজনে কোনো বাধা নেই। তবে কোনো রাজনৈতিক দল যদি নিজেদের সংগঠিত করতে কিংবা জোট গঠন করতে দেরি করে—তাহলে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া যাবে না।’
‘তারেক রহমান দেশের বাম, ডান সকলকে নিয়ে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের জন্য ৩১ দফা ঘোষণা করেছেন। আমরা দীর্ঘ ১৫ বছর জোটবদ্ধ আন্দোলন করেছি। তারুণ্যকে প্রাধান্য দিয়েই আগামী দিনের রাজনীতিকে এগিয়ে নেবেন তারেক রহমান। তাই জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় তরুণদের লড়াই করতে হবে,’ যোগ করেন বিএনপির এই নেতা।
সমাবেশে বক্তব্য দেন যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েল, স্বেচ্ছাসেবকদল কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সিনিয়র সহসভাপতি আবু হাসান মোহাম্মদ ইয়াহিয়া, বগুড়ার নিহত যুবদল নেতা ইমরান হোসেনের কন্যা সামিয়া ইসলাম মীম, এবং অন্যান্য নেতারা।
আরও পড়ুন: আ. লীগের সঙ্গে আপস করবে না বিএনপি: নজরুল ইসলাম খান
২১৯ দিন আগে
রাজনৈতিক উত্তেজনা: ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি প্রতিনিধি দল
দেশে ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক উত্তেজনা প্রশমনের অংশ হিসেবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে বিএনপির চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের বৈঠকটি প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন ‘যমুনায়’ শনিবার (২৪ মে) সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটে শুরু হয়। প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন—স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমেদ।
এর আগে রাজধানীতে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তাদের আলোচনা দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ও গণতন্ত্রে ফিরে যাওয়ার রোডম্যাপ নিয়ে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে একটি গ্রহণযোগ্য ও দ্রুত নির্বাচন ছাড়া গণতান্ত্রিক শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই। আজকের আলোচনায় এটি কীভাবে এবং কত দ্রুত সম্ভব—সেই বিষয়েই কথা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনায় এই বৈঠকের জন্য কোনো আনুষ্ঠানিক এজেন্ডার প্রয়োজন নেই।’
‘বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এখন হলো—আমরা কীভাবে এগোব এবং কীভাবে যত দ্রুত সম্ভব গণতন্ত্রে ফিরতে পারব।’
বিএনপি নেতা বলেন, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ছাড়া দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। ‘এটাই কেন্দ্রীয় বিষয় এবং আমি নিশ্চিত আজকের আলোচনায় তা আসবে।’
প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের ইচ্ছা নিয়ে প্রকাশিত খবরে দেশ সংকটে পড়েছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে খসরু বলেন, বিএনপি এই পরিস্থিতিকে সংকট হিসেবে দেখছে না।আরও পড়ুন: আজ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বসছে বিএনপি
তিনি বলেন, দেশের এখন সবচেয়ে জরুরি প্রয়োজন একটি নির্বাচিত ও জবাবদিহিমূলক সরকার এবং সংসদ—যা একটি সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হবে। এটাই একমাত্র উপায় যার মাধ্যমে আমরা বর্তমানে যেসব চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছি, তা কাটিয়ে উঠতে পারি।
গত ১৬ বছরে জনগণের ত্যাগের কথা উল্লেখ করে খসরু বলেন, তারা এখন গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার অপেক্ষায় রয়েছেন।
বিএনপি কি আগের বৈঠকে অসন্তোষের পর এবার সন্তুষ্ট হবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে খসরু বলেন, ‘এটা আমাদের সন্তুষ্টির বিষয় নয়। আমরা রাজনীতি করি জনগণের সন্তুষ্টির জন্য। আমরা তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাই। জনগণ চায় তাদের ভোটের মাধ্যমে সরকার নির্বাচিত করতে—এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’
অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি ইঙ্গিত দেন, নির্বাচন ডিসেম্বরের আগেই হতে পারে। আমরা কেন ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করব?
অন্য এক অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, দেশের চলমান সংকট ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির একমাত্র সমাধান হলো গণতান্ত্রিক রূপান্তর। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ১৫ বছর ধরে স্বৈরতন্ত্রের অধীনে ছিল। তাই এখন একমাত্র সমাধান গণতন্ত্রে রূপান্তর। দেশের ১৮ কোটি মানুষের জন্য এর কোনো বিকল্প নেই।’
গত ৯ মাসের ঘটনাপ্রবাহ প্রসঙ্গে জাতির উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে ড. মঈন বলেন, এই সময়ে বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতার গান গাইতে শুরু করেছে—৫ আগস্টের রূপান্তরমূলক ঘটনার পর থেকে।
তিনি বলেন, ‘৫ আগস্ট ছিল প্রতিটি নাগরিকের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন—১৫ বছরের জুলুম ও স্বৈরতন্ত্র থেকে মুক্তির দিন। এটি ছিল গণতান্ত্রিক রূপান্তরের সূচনা... এই রূপান্তরই বর্তমান অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার একমাত্র পথ। বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষকে এই সত্য উপলব্ধি করতে হবে, বুঝতে হবে ও গ্রহণ করতে হবে।’
২১৯ দিন আগে
দায়িত্বে বাধা এলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে মোকাবিলা করা হবে: উপদেষ্টা পরিষদ
অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর আরোপিত দায়িত্ব পালন অসম্ভব করে তোলা হলে জনগণকে সঙ্গে তা মোকাবিলা করা হবে বলে জানিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। শনিবার (২৪ মে) এক বিবৃতিতে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, আজ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের সভা শেষে উপদেষ্টা পরিষদের এক অনির্ধারিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপর অর্পিত তিনটি প্রধান দায়িত্ব (নির্বাচন, সংস্কার ও বিচার) বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগর এলাকায় পরিকল্পনা কমিশনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এসব দায়িত্ব পালনে বিভিন্ন সময় নানা ধরনের অযৌক্তিক দাবি দাওয়া, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও এখতিয়ার বহির্ভুত বক্তব্য এবং কর্মসূচি দিয়ে যেভাবে স্বাভাবিক কাজের পরিবেশ বাধাগ্রস্ত করে তোলা হচ্ছে এবং জনমনে সংশয় ও সন্দেহ সৃষ্টি করা হচ্ছে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় বৈঠকে।
দেশকে স্থিতিশীল রাখতে, নির্বাচন, বিচার ও সংস্কার কাজ এগিয়ে নিতে এবং চিরতরে এদেশে স্বৈরাচারের আগমন প্রতিহত করতে বৃহত্তর ঐক্য প্রয়োজন বলে মনে করে উপদেষ্টা পরিষদ। বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্য শুনবে এবং সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করবে।
‘শত বাধার মাঝেও গোষ্ঠীস্বার্থকে উপেক্ষা করে অন্তর্বর্তী সরকার তার উপর দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। যদি পরাজিত শক্তির ইন্ধনে এবং বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সরকারের উপর আরোপিত দায়িত্ব পালনকে অসম্ভব করে তোলা হয়, তবে সরকার সব কারণ জনসমক্ষে উত্থাপন করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।’
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাই অভ্যুত্থানের জনপ্রত্যাশাকে ধারণ করে। কিন্তু সরকারের স্বকীয়তা, সংস্কার উদ্যোগ, বিচার প্রক্রিয়া, সুষ্ঠু নির্বাচন ও স্বাভাবিক কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কর্মকাণ্ড অর্পিত দায়িত্ব পালন করাকে অসম্ভব করে তুললে সরকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
২১৯ দিন আগে
জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে: এনসিপি
ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে কেবল নির্বাচন অনুষ্ঠানের উপর মনোনিবেশ করা উচিত নয়, বরং জুলাই মাসের হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে অতীতের অপরাধের বিচার এবং রাষ্ট্রীয় সংস্কার নিশ্চিত করা উচিত।
শনিবার (২৪ মে) রাজধানীর বাংলামোটরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ বলেন, ‘শুধু নির্বাচন আয়োজনই যথেষ্ট নয়। জুলাইয়ের আন্দোলনে হত্যাকাণ্ড ও অতীতের অপরাধের বিচার ও রাষ্ট্রীয় সংস্কার নিশ্চিত করার মাধ্যমে সরকারকে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিচার, সংস্কার এবং নির্বাচনের জন্য একটি রোডম্যাপও উপস্থাপন করতে হবে। এটি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে স্বস্তির অনুভূতি তৈরি করতে সহায়তা করবে।’
আরও পড়ুন: সংস্কার-নির্বাচনের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ না থাকায় সংশয় তৈরি হয়েছে: জামায়াত আমির
তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যাশা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে অংশ নেবেন এবং সমাধানের জন্য কাজ করবেন।
একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে 'জুলাই সনদ' ঘোষণার দাবি জানান এনসিপি নেতা।
প্রশ্ন তোলেন নাহিদ ইসলাম বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার কি কেবল নির্বাচনকালীন সরকার নাকি জনগণের অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা পূরণের দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকার?
তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি এই অন্তর্বর্তী সরকার একটি গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে গঠিত হয়েছে। তাই এর আকাঙ্ক্ষা পূরণের দায়িত্ব রয়েছে।’
সকলকে দায়িত্বশীল আচরণের আহ্বান জানিয়ে নাহিদ বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি, জাতীয় নিরাপত্তা ও ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গি বিবেচনা করে রাজনৈতিক দল এবং জনগণ উভয়কেই দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।’
২১৯ দিন আগে