ব্যবসা
রবির ৫ কোটি ৭৬ লাখ গ্রাহকের আস্থায় কর পরবর্তী মুনাফা ১০৬ কোটি টাকা
চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) রবি আজিয়াটা লিমিটেডের রাজস্ব আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৪৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
অর্জিত আয়ের ৫৩ দশমিক ৬ শতাংশ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়েছে কোম্পানিটি, যার পরিমাণ ১ হাজার ৩৬৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা। ফলে রবি আজিয়াটা লিমিটেড কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ১০৬ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে রবি আজিয়াটা লিমিটেড।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এল২৬০০ স্পেকট্রাম স্থাপনের মাধ্যমে সারাদেশে রবি'র নেটওয়ার্ক সেবা আগের চেয়ে উন্নত হয়েছে। ফলে রবি’র নেটওয়ার্কের প্রতি গ্রাহকের আস্থা প্রতিনিয়তই বাড়ছে। এ কারণে তৃতীয় প্রান্তিকে ৩৭৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে রবি আজিয়াটা লিমিটেড। ফলে তৃতীয় প্রান্তিকে ৪৬ দশমিক ৮ শতাংশ মার্জিন সহ রবি'র আর্নিংস বিফোর ইন্টারেস্ট, ট্যাক্স, ডেপ্রিসিয়েশন এবং এমোর্টাইজেশন (ইবিআইটিডিএ) ১ হাজার ১৮৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এ সময়ে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) শূন্য দশমিক ২০ টাকা।
আরও পড়ুন: সেলার ও উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়নে দারাজ সেলার সামিট-২০২৩
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এবছর তৃতীয় প্রান্তিকে ১২ লাখ নতুন গ্রাহক যুক্ত হওয়ায় রবি’র মোট গ্রাহক এখন ৫ কোটি ৭৬ লাখ যা দেশের মোট মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর ৩০ শতাংশ।
একইসঙ্গে এই প্রান্তিকে রবি নেটওয়ার্কে ১১ লাখ নতুন ডেটা ব্যবহারকারী যুক্ত হয়েছে। ফলে রবি’র মোট ডেটা ব্যবহারকারীর সংখ্যা এখন ৪ কোটি ৪২ লাখ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, রবি নেটওয়ার্কে ১৮ লাখ নুতন ফোরজি গ্রাহক যুক্ত হওয়ায় রবি’র ফোরজি ব্যবহারকারীর সংখ্যা এখন ৩ কোটি ৪২ লাখ যা মোট গ্রাহকের ৫৯ শতাংশ এবং মোট ডেটা ব্যবহারকারীর ৭৬ দশমিক ৮ শতাংশ।
এই প্রান্তিকে রবি’র ডেটা গ্রাহকরা প্রতি মাসে গড়ে ৬ দশমিক ৬৭ জিবি ডেটা ব্যবহার করেছেন এবং রবি’র মোট রিচার্জের ৪৬ শতাংশ ডিজিটালভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: নতুন চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও এমডি নিয়োগ ওয়ালটনের
রবি আজিয়াটা লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রাজীব শেঠি বলেন, দৃঢ় আর্থিক ভিত্তি, ফোরজি নেটওয়ার্কে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ এবং ব্যতিক্রমী উদ্ভাবনী সেবার মাধ্যমে আমরা সফলতার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছি। নেটওয়ার্ক উন্নয়নে ক্রমাগত বিনিয়োগের ফলে রবি'র ওপর গ্রাহকের আস্থাও বাড়ছে। যার বড় প্রমাণ হলো এই প্রান্তিকে আমাদের সঙ্গে নতুন করে যোগ হয়েছেন ১২ লাখ গ্রাহক।
তিনি আরও বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া আরও বেগবান করতে এবং ফাইভজিসহ প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের ধারায় তাল মিলিয়ে চলতে হলে আমাদের সামগ্রিক নীতিমালা ও কর আদায় প্রক্রিয়া সংস্কার করার প্রয়োজন রয়েছে। নিরবচ্ছিন্ন অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবস্থাপনা এ ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আশা করি সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবিষয়ে নজর দেবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এবছরের তৃতীয় প্রান্তিক ও দ্বিতীয় প্রান্তিকের মধ্যে তুলনা দেখানো হয় যেখানে বলা হয়েছে, দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন,২০২৩) তুলনায় এবছরে তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২৩) রবির আয় শূন্য দশমিক ১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ত্রৈমাসিকের তুলনায় ডাটা আয় ৬ দশমিক ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে, ইবিআইটিডিএ গত ত্রৈমাসিকের তুলনায় ৪ দশমিক ৮ শতাংশ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রথম প্রান্তিকে ২০২.০৭ কোটি টাকা মুনাফাসহ প্রবৃদ্ধি বজায় রেখেছে ওয়ালটন
সেলার ও উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়নে দারাজ সেলার সামিট-২০২৩
দেশের শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস দারাজ বাংলাদেশ ১৮০০ টিরও বেশি ই-কমার্স বিক্রেতা ও ব্র্যান্ড পার্টনারদের নিয়ে সম্প্রতি আয়োজন করেছে দারাজ সেলার সামিট ২০২৩।
বর্ণাঢ্য এই অনুষ্ঠানে নানা কার্যক্রমের মাধ্যমে তুলে ধরা হয় বৃহত্তম এই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের 'গ্র্যান্ড ভিশন'।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান।
অনুষ্ঠানে তিনি ই-কমার্স খাতের ব্যাপক সম্ভাবনার ওপর গুরুত্ব আরোপ করার পাশাপাশি দারাজের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: বছরের সবচেয়ে বড় সেল ১১.১১ নিয়ে আসছে দারাজ
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- সৈয়দ মোস্তাহিদল হক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দারাজ বাংলাদেশ; লু ইয়াও, চিফ কমার্শিয়াল অফিসার, দারাজ গ্রুপ; এ এইচ এম হাসিনুল কুদ্দুস রুশো, চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার, খন্দকার তাসফিন আলম, চিফ অপারেটিং অফিসার; তালাত রহিম, চিফ মার্কেটিং অফিসার; ফারহানা রফিকুজ্জামান, চিফ কাস্টমার অফিসার; আব্দুর রউফ, চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার; কামরুল হাসান, কমার্শিয়াল ডিরেক্টর এবং দারাজ বাংলাদেশের অন্যান্য প্রতিনিধিরা।
অনুষ্ঠানে প্রাণবন্ত আলোচনার সঙ্গে বহুল প্রতীক্ষিত বছরের সবচেয়ে বড় সেল ১১.১১ এবং প্ল্যাটফর্মের বিক্রয় বাড়ানোর বিস্তৃত উপায় সহ আরও প্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
এছাড়াও, দারাজ সেলারদের স্বীকৃত এবং অনুপ্রাণিত করতে ৭টি ভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: দারাজ এর ‘৯-এর উল্লাস’ ক্যাম্পেইন শুরু
৯-এর উল্লাসে দারাজ বাংলাদেশ
সরকার নির্ধারিত দামে এখনো বিক্রি হয় না পেঁয়াজ-আলু ও ডিম
আলু, ডিম ও দেশি পেঁয়াজের জন্য সরকার নির্ধারিত দাম কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার দেড় মাস পরেও তা বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। বরং এই সময়ের মধ্যে পেঁয়াজ ও ডিমের দাম বেড়েছে।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয় ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সভায় আলু, ডিম ও দেশি পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করা হয়।
বাজার সূত্রে জানা গেছে, যখন দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল, তখন বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে, যা এখন ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার: বাণিজ্য সচিব
এছাড়া প্রতি ডজন ডিমের দাম ছিল ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা, যা এখন বাজারভেদে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকায়।
তবে ওই সময়ের তুলনায় আলুর দাম বাড়েনি, স্থিতিশীল রয়েছে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর যখন আলুর দাম নির্ধারণ করা হয়, তখন আলুর দাম ছিল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, যা এখনো একই রয়েছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এই মূল্য কার্যকর করতে বাজার অভিযান পরিচালনা করছে। তবে সরবরাহে ঘাটতি থাকায় তা কাজ করছে না।
প্রায় দেড় কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হলেও সেই ডিম এখনো দেশে আসেনি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত সপ্তাহের মধ্যে ডিম আসার কথা বললেও এখন আমদানিকারকরা বলছেন, পূজার আগে তা সম্ভব নয়। পূজার ছুটিতে ভারত-বাংলাদেশ স্থলবন্দর বন্ধ ছিল।
আরও পড়ুন: আমদানি করা ডিম বাজারে আসবে এ সপ্তাহেই: বাণিজ্যমন্ত্রী
আলু কিনতে প্রতি কেজি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা দিতে হয়। যদিও নির্ধারিত হার ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা। দেশি জাতের পেঁয়াজের নির্ধারিত দাম ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা। তবে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে।
রাজধানীর কোথাও কোথাও প্রতি হালি (৪ পিস) ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫৩ থেকে ৫৫ টাকা দরে, যেখানে সরকার নির্ধারিত প্রতি হালি ডিমের দাম ৪৮ টাকা।
এ বিষয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসেন ইউএনবিকে বলেন, মন্ত্রণালয়গুলো পেঁয়াজ, আলু ও ডিমের দাম নির্ধারণের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। তবে সরকার ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো দাম বাস্তবায়নে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, যা অসাধু ব্যবসায়ীদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়াতে উৎসাহিত করেছে।
আরও পড়ুন: চিংড়ি-মাছ রপ্তানিতে নগদ সহায়তা দিতে বিবি’র নতুন নীতিমালা জারি
চিংড়ি-মাছ রপ্তানিতে নগদ সহায়তা দিতে বিবি’র নতুন নীতিমালা জারি
হিমায়িত চিংড়ি ও অন্যান্য মাছের পণ্য রপ্তানিতে নগদ সহায়তা (প্রণোদনা) দিতে নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি)।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) এই নীতিমালা জারি করে বিবি।
নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এখন থেকে নগদ সহায়তার আবেদনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ আজ এ নির্দেশনা জারি করে তা অবিলম্বে বাস্তবায়নের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের সকল অনুমোদিত ডিলারদের কাছে পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: নতুন টাকা ছাপবেন না: বিবিকে ড. ওয়াহিদউদ্দিনের পরামর্শ
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হিমায়িত চিংড়ি ও অন্যান্য মাছ রপ্তানি খাতে নগদ সহায়তার জন্য আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানকে গভীর সমুদ্র থেকে উৎপাদিত হিমায়িত চিংড়ি ও অন্যান্য মাছ রপ্তানির জন্য বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএফইএ) সদস্য অথবা বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএফএ) সদস্য হতে হবে।
এছাড়া এখন থেকে হিমায়িত চিংড়ি ও অন্যান্য মাছ রপ্তানির বিপরীতে নগদ সহায়তার জন্য আবেদন পত্রের সঙ্গে বিএফএফইএ ও বিএমএফএ সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে।
সংশ্লিষ্ট রপ্তানিকারক কোম্পানি মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক যথাযথভাবে লাইসেন্সপ্রাপ্ত একটি মাছ রপ্তানিকারক কোম্পানি হতে হবে।
নির্দেশনা জারির তারিখ থেকে পাঠানো পণ্যের ক্ষেত্রে এটি কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলায় ঋণের সুদের হার বাড়াল বিবি
প্রথম প্রান্তিকে ২০২.০৭ কোটি টাকা মুনাফাসহ প্রবৃদ্ধি বজায় রেখেছে ওয়ালটন
বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যিক অস্থিরতা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, অর্থনৈতিক মন্দা, ভূ-রাজনৈতিক সংকটসহ নানা প্রতিকূল ব্যবসায়িক পরিস্থিতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেও প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় রেখেছে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায় কোম্পানিটি।
এতে বলা হয়, ২০২৩-২৪ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) ২০২ দশমিক শূন্য ৭ কোটি টাকা মুনাফা করেছে পুঁজিবাজারে প্রকৌশল খাতে তালিকাভুক্ত দেশের শীর্ষ ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স কোম্পানিটি।
আজ কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের ৩৬তম সভায় আলোচ্য সময়ের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর এই তথ্য প্রকাশ করে ওয়ালটন।
প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩-২০২৪ হিসাব বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে অর্থাৎ প্রথম তিন মাসে কোম্পানিটির মুনাফার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২০২ দশমিক শূন্য ৭ কোটি টাকা। যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির লোকসান হয়েছিল ৪৬ দশমিক ১০ কোটি টাকা।
ওয়ালটন হাই-টেক প্রথম প্রান্তিকে মুনাফা অর্জনের পাশাপাশি অন্যান্য আর্থিক সূচকেও ব্যাপক উন্নতি করেছে। চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির রিসিভেবলস্ কালেকশন বা দেনাদারদের থেকে টাকা প্রাপ্তির পরিমাণ বৃদ্ধিসহ অপারেটিং প্রফিট মার্জিন ব্যাপকহারে বেড়েছে। সেইসঙ্গে বেড়েছে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস), শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস)।
অন্যদিকে আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ব্যাংক ঋণ কমার পাশাপাশি মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রার মান কমে যাওয়ার ফলে সৃষ্ট আর্থিক ক্ষতির পরিমাণও উল্লেখযোগ্যহারে হ্রাস পেয়েছে।
আরও পড়ুন: জাপানি স্ট্যান্ডার্ডে ব্যাটারি উৎপাদন করছে ওয়ালটন
প্রতিবেদনের তথ্যমতে, চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে ওয়ালটনের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬ দশমিক ৬৭ টাকা যা আগের অর্থ বছরের একই সময়ে ছিল মাইনাস ১ দশমিক ৫২ টাকা। প্রথম প্রান্তিক শেষে কোম্পানির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে পুনর্মূল্যায়ন ব্যতীত ২৪৮ দশমিক ৮৮ টাকা এবং পুনর্মূল্যায়নসহ ৩৫০ দশমিক ৪০ টাকা।
একই সময়ে কোম্পানির পরিচালন মুনাফা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ দশমিক ৫৮ শতাংশ, যা আগের অর্থ বছরের একই সময়ে ছিল ১৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ। প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ১৬ দশমিক ৬৮ টাকা।
প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিক শেষে কোম্পানির আর্থিক ব্যয়ের পরিমাণ ও শতকরা হার আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় অনেক হ্রাস পেয়েছে। প্রথম প্রান্তিকে বিক্রয় এবং ঋণের বিপরীতে আর্থিক ব্যয়ের শতকরা হার দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৫ দশমিক ২২ এবং ২ দশমিক ৩০ শতাংশ। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল যথাক্রমে ২১ দশমিক ৮১ এবং ৮ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ।
আরও পড়ুন: আয়ারল্যান্ডে ওয়ালটন স্মার্ট টিভিতে ব্যাপক সাড়া
এ ছাড়াও মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রার মান কমে যাওয়ায় গত বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটি ২৬২ দশমিক ৪৬ কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল। সেই ক্ষতি চলতি বছরের আলোচ্য সময়ে প্রায় ৯৯ দশমিক ২৮ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ১ দশমিক ৮৯ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।
এদিকে প্রথম প্রান্তিক শেষে কোম্পানির মোট আর্থিক ব্যয় হয়েছে ৬২ দশমিক ৭৬ কোটি টাকা, যা পূর্বের অর্থ বছরের একই সময়ে ছিল ৩২২ দশমিক ৪২ কোটি টাকা। ফলে চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির কর পরবর্তী মুনাফা দাঁড়িয়েছে ১৬ দশমিক ৭৯ শতাংশ। পূর্বের বছর একই সময়ে কোম্পানির লোকসান হয়েছিল ৩ দশমিক ১২ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ওয়ালটন-ডিআরইউ মিডিয়া ফুটবল-২০২৩ শুরু
নগদকে ডিজিটাল ব্যাংকের অনুমোদনপত্র হস্তান্তর করল বাংলাদেশ ব্যাংক
দেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ব্যাংক হিসেবে কাজ করার অনুমোদন পেল নগদ ডিজিটাল ব্যাংক লিমিটেড।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) নগদ ডিজিটাল ব্যাংক লিমিটেডকে কাজ শুরুর অনুমোদনের কপি হস্তান্তর করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার তার কার্যালয়ে নগদ লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুকের হাতে ডিজিটাল ব্যাংকের অনুমোদনের কপি ‘লেটার অব ইনটেন্ট’ (এলওআই) হস্তান্তর করেন।
এসময় নগদ ডিজিটাল ব্যাংক লিমিটেডকে শুভেচ্ছা জানান ও সফলতা কামনা করেন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।
গত তিন বছর ধরে দেশে ডিজিটাল ব্যাংকের সেবা চালু করার জন্যে নীতিনির্ধারকদের কাছে অনুরোধ জানিয়ে আসছিল নগদ। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন পাওয়ার ফলে সামনের দিনে ডিজিটাল ব্যাংকের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের দোড়গোড়ায় আধুনিক ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা নিয়ে যেতে ইতোমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছে নগদ ডিজিটাল ব্যাংক।
আরও পড়ুন: জুলাই-সেপ্টেম্বরে ২০৯,৬২৬ মিলিয়ন টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব পেয়েছে বিডা
এ বিষয়ে নগদ লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, আমরা দেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য বুধবার (২৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে অনুমোদন পেলাম। সাধারণ মানুষ যারা নানা কারণে ব্যাংকে আসতে পারে না, তাদের কাছেই সেবা নিয়ে হাজির হবে নগদ ডিজিটাল ব্যাংক। এই পদ্ধতিতে গ্রাহককে আর ব্যাংকে আসতে হবে না, বরং ব্যাংকই মানুষের হাতে হাতে ঘুরবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই প্রথাগত ব্যবসায়ীর বাইরে যারা আছেন, তাদের কোনো রকম জামানত ছাড়াই এক অংকের ঋণ দেব। পাশাপাশি ক্ষুদ্র সঞ্চয় স্কিম চালুসহ সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন কাজের সবকিছুর সমাধান দেবে আমাদের ডিজিটাল ব্যাংক। এর মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের পথ আরও সুগম হবে।
সব আনুষ্ঠানিকতা ও প্রস্তুতি শেষে স্বল্প সময়ের মধ্যে নগদ ডিজিটাল ব্যাংকের সেবা কার্যক্রম চালু হবে বলে জানান তিনি।
অনুমোদনের কপি হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু ফরাহ মোহাম্মদ নাসের, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক (বিআরপিডি) মোহাম্মদ শাহরিয়ার সিদ্দিকী, বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক (বিআরপিডি) মো. মনিরুল ইসলাম ও নগদের নির্বাহী পরিচালক নিয়াজ মোর্শেদ এলিট।
আরও পড়ুন: গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন ২০,৪০০ টাকা দাবি, মালিকদের ১০,৪০০ টাকা প্রস্তাব
জানুয়ারি-আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি কমেছে ২১ দশমিক ৭৭ শতাংশ: ওটেক্সা
বছরের সবচেয়ে বড় সেল ১১.১১ নিয়ে আসছে দারাজ
দেশের শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস দারাজ বাংলাদেশ টানা ষষ্ঠবারের মতো নিয়ে আসছে এর বহুল প্রতীক্ষিত ১১.১১ ক্যাম্পেইন। আগামী ১১ নভেম্বর শুরু হয়ে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত এ ক্যাম্পেইন চলবে।
রবিবার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল-এ ১১.১১ নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বছরের সবচেয়ে বড় সেল ১১.১১ ২০২৩ নিয়ে দারাজের পক্ষ থেকে ক্যাম্পেইনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়।
‘কিনে নাও সবই’- স্লোগানে সঞ্চয় ও উৎসবের আমেজ নিয়ে দারাজ এবারের ১১.১১-এর প্রস্তুতি প্রায় শেষ করেছে।
প্রতি বছরের মত এবারও ক্রেতাদের কেনাকাটায় ভিন্নমাত্রা যোগ করতে দারাজ নিয়ে এসেছে চমৎকার সব অফার, যার মধ্যে থাকছে ২০ লাখ ডিল, সর্বমোট ৫০ কোটি টাকা মূল্যের বিশাল ডিসকাউন্ট, ফ্রি শিপিং, ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট, এক্সক্লুসিভ ভাউচার, ফ্ল্যাশ সেলসসহ আরও অনেক চমৎকার ডিলস ও ছাড়।
এ বছর ১১.১১ এর ফোকাস ক্যাটাগরির মধ্যে থাকছে ইলেকট্রনিক্স-হোম অ্যাপ্লায়েন্স, ফ্যাশন আইটেমস, হোম ডেকর, ডেইলি অ্যান্ড মান্থলি এসেনশিয়ালস, রেগুলার গ্রসারিজ, মাদার অ্যান্ড বেবি আইটেমস ও বিউটি প্রোডাক্টস।
এ বছর ১১.১১ উপলক্ষে গ্রাহকদের একটি অসাধারণ অনলাইন কেনাকাটার অভিজ্ঞতা উপহার দিতে যেসব বিক্রেতা নির্দিষ্ট মানদণ্ড পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে, শুধুমাত্র তাদের বাছাই করার পাশাপাশি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিভিন্ন বিধি-বিধান সম্পর্কে সতর্কও করেছে এই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটি।
এছাড়াও, বিদ্যমান নীতি মেনে নির্ধারণকৃত আকর্ষণীয় সব অফারের মধ্যে কোন অসাধু বিক্রেতা যেন অবাস্তব অফার না দিতে পারে, সেক্ষেত্রেও বিশেষ নজর দিয়েছে দারাজ।
আরও পড়ুন: দারাজ এর ‘৯-এর উল্লাস’ ক্যাম্পেইন শুরু
১১.১১ নিয়ে গ্রাহকদের প্রত্যাশা পূরণে প্রোডাক্ট অথেন্টিসিটি নিশ্চিত করতে বেশ কিছু কাজ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। যেমন- দারাজ মলে আছে গ্যারান্টিসহ অথেন্টিক প্রোডাক্টের অফার, যাতে নকল প্রোডাক্ট ডেলিভারি পেলে থাকছে দ্বিগুণ অর্থ ফেরতের সুযোগ।
তাছাড়াও, বিক্রেতাদের প্রতিনিয়ত মনিটর করা, তাদের ডেভেলপমেন্ট ও প্রয়োজনে প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে ফেলার দিকেও জোর দেওয়া হচ্ছে। সময় মত ডেলিভারি দেওয়ার জন্য ইতোমধ্যে যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে অনেক নতুন রাইডার নিয়োগ এবং তাদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে দারাজ বাংলাদেশের চিফ মাকেটিং অফিসার তালাত রহিম বলেন, ‘দারাজের ১১.১১ গ্রাহকদের জন্য শুধুমাত্র সঞ্চয় করার সুযোগ তৈরি করে না, বরং একটি উৎসবের আমেজও তৈরি করে। প্রতি বছরের মত আমাদের গ্রাহকদের প্রত্যাশা পূরণ করে আরও একটি সফল ১১.১১ উপহার দিতে আমাদের টিম অক্লান্ত পরিশ্রম করছে। আশা করছি গ্রাহকরা তাদের পছন্দের পণ্যের তালিকা নিয়ে প্রস্তুত আছেন বছরের সবচেয়ে বড় বিক্রয় উৎসবে আমাদের সঙ্গে সামিল হওয়ার জন্য।’
দারাজ বাংলাদেশের চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার এ এইচ এম হাসিনুল কুদ্দুস রুশো বলেন, ‘দারাজ এর ১১.১১ ক্যাম্পেইন বিক্রেতাদের ও ক্রেতাদের প্রত্যাশা পূরণের একটি উল্লেখযোগ্য মাধ্যম। এই বছর, আমরা আরও বেশি ডিল, ভাউচার ও অফার নিয়ে প্রস্তুত ক্রেতাদের কেনাকাটার সম্পূর্ণ নতুন অভিজ্ঞতা দিতে। বছরের এই বৃহত্তম শপিং কার্নিভ্যাল উপলক্ষে আমরা দ্বিগুণ রাইডার নিয়োগ দেওয়াসহ আমাদের সক্ষমতা ২০০ শতাংশ বৃদ্ধি, গ্রাহকদের উপস্থিতি আট গুণ বৃদ্ধি নিশ্চিত করে কেনাকাটার আকর্ষণের মাত্রাকে বৃদ্ধির মাধ্যমে আমাদের সেলার কমিউনিটির জন্য এক অসাধারণ ব্যবসায়িক সুযোগ তৈরি করেছি। এছাড়াও, বছরের সবচেয়ে বড় শপিং কার্নিভ্যাল উপলক্ষে এবার আমরা বিক্রেতা নির্বাচন, পণ্যের অথেন্টিসিটি ও সময়মতো ডেলিভারি প্রদানের ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দিয়েছি।’
বছরের সবচেয়ে বড় এই সেলে ডায়মন্ড স্পন্সর হিসেবে ইউনিলিভার বাংলাদেশ, প্যারাসুট অ্যাডভান্সড - ম্যারিকো বাংলাদেশ, ডেটল - রেকিট বেনকিজার বাংলাদেশ ও মোশন ভিউ - এর মতো ব্র্যান্ডের পাশাপাশি গোল্ড স্পন্সর হিসেবে হোমেল, ইউগ্রিন, লুইসউইল, স্কেমেই, হারপিক-রেকিট বেনকিজার বাংলাদেশ ও গোদরেজ হাউজহোল্ড প্রোডাক্টস বাংলাদেশ এবং সিলভার স্পন্সর হিসেবে উইরেস্টো, সিঙ্গার বাংলাদেশ, ওজেরিও, ওয়াও স্কিন সায়েন্স, স্কিন ক্যাফে লিমিটেড, রিবানা, বিয়ারডো-ম্যারিকো বাংলাদেশ ও ভিট-রেকিট বেনকিজার বাংলাদেশ যোগ দিয়েছে।
এছাড়া, গ্রাহকদের একটি সহজ ক্যাশলেস কেনাকাটার অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে পেমেন্ট পার্টনার হিসেবে বিকাশ ও নগদ ছাড়াও ব্যাংক পার্টনার হিসেবে যুক্ত হয়েছে ব্যাংক এশিয়া, ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, দারাজ ইবিএল কো-ব্র্যান্ড, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, এইচএসবিসি, লংকা বাংলা ফাইন্যান্স, এনসিসি ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক।
আরও পড়ুন: ৯-এর উল্লাসে দারাজ বাংলাদেশ
দক্ষিণ এশিয়ার গ্রাহকদের সেরা অনলাইন কেনাকাটার অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে এলো ‘আস্ক দারাজ’
চলতি বছরে ৯০০ কোটি ডলার বিদেশি বিনিয়োগ পেয়েছে বাংলাদেশ: বিডা নির্বাহী চেয়ারম্যান
২০২৩ সালে এখন পর্যন্ত ৯০০ কোটি মার্কিন ডলারের বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ পেয়েছে বাংলাদেশ।
শনিবার(২১ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মহসিনা ইয়াসমিন এ তথ্য জানান।
৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আগামী ৮ থেকে ৯ নভেম্বর দুই দিনব্যাপী ইনভেস্টমেন্ট এক্সপো-২০২৩ বিষয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফআইসিসিআই)।
তিনি বলেন, বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের প্রচার এবং দেশে বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নত করতে বিডা দীর্ঘদিন ধরে এফআইসিসিআইয়ের সঙ্গে কাজ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় এফআইসিসিআইয়ের এই মেগা ইভেন্টের কৌশলগত অংশীদার হতে পেরে আমরা আনন্দিত।
এফআইসিসিআই সভাপতি নাসের এজাজ বিজয় বলেন, ‘চেম্বারটির ছয় দশক পূর্তি উপলক্ষে র্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে এই বিনিয়োগ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলায় ঋণের সুদের হার বাড়াল বিবি
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) বিনিয়োগ মেলার কারিগরি অংশীদার।
বিজয় বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে এফআইসিসিআই'র অবদান তুলে ধরা এই ইভেন্টের মূল উদ্দেশ্য। পাশাপাশি কার্যকর ব্যবসায়িক পরিবেশ নিশ্চিত করতে নীতিসহ আমাদের অর্থনীতির রূপান্তরমূলক যাত্রাকেও তুলে ধরা হবে।
বিডার নির্বাহী পরিচালক ইয়াসমিন বলেন, বিনিয়োগ বাড়াতে ও ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগসংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করা হয়েছে। বর্তমানে এখানে ৯০ ধরনের সেবা প্রদান করা হয়। ফলস্বরূপ, ব্যবসায়ীরা হয়রানি ও ব্যয় উভয় থেকে রেহাই পাচ্ছে।
আরও পড়ুন: এক মার্কিন ডলার ১২০ টাকা: মানিচেঞ্জাররা বলছেন হাত খালি, নেটওয়ার্কে বিক্রি হচ্ছে ডলার
তিনি বলেন, বিদেশি বিনিয়োগ যেকোনো দেশের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং বাংলাদেশ সবসময় এটিকে স্বাগত জানিয়েছে।
তিনি বলেন, 'আমি বিশ্বাস করি, এই আয়োজন দেশে বিদ্যমান বিদেশি বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করবে এবং ভবিষ্যতে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করবে।’
এফআইসিসিআই'র পরিচালনা পর্ষদ ও অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান বলেন, 'দুই দিনব্যাপী এই বিনিয়োগ মেলায় প্রায় ৪০টি স্টলের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক সহনশীলতা, প্রতিযোগিতা ও খাতভিত্তিক বিনিয়োগের সুযোগ সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হবে।’
আরও পড়ুন: আমদানি করা ডিম বাজারে আসবে এ সপ্তাহেই: বাণিজ্যমন্ত্রী
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৪ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ, পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে সরকারি ছুটি থাকায় বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে চারদিন আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকবে। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যা শুরু হয়েছে শুক্রবার (২০ অক্টোবর) থেকে।
তবে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকালেও পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার বেড়েছে দ্বিগুন। আজ সকাল থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত (এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত) ৪ হাজার ৭ ‘শ যাত্রী পারাপার করেছে। আগামী সোমবার পর্যন্ত বন্দর থেকে সব ধরণের মালামাল খালাস নিতে পারবেন আমদানিকারকরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস স্টাফ ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্ত্তিক চক্রবর্তী এ তথ্য জানান। তিনি জানান,পূজার ছুটিতে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে।
২৫ অক্টোবর সকাল থেকে এই পথে আবারও আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য পুনরায় চালু হবে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামসুর রহমান জানান, বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে ৪ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে বলে ওপারের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট থেকে পত্র দিয়ে আমাদেরকে জানিয়েছেন।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বিশ্বাস জানান, পূজার ছুটির কারণে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকলেও ভারতের সঙ্গে পাসপোর্টথারী যাত্রীদের চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
বেনাপোল কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার অথেলা চৌধুরী জানান,দূর্গাপূজা উপলক্ষে সে দেশে সরকারি ছুটি থাকায় ৪ দিন দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে। আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও বেনাপোল বন্দরে মালামাল লোড-আনলোড সহ খালাস কার্যক্রম স্বাভাবিক নিয়মে চলবে।
আমদানি করা ডিম বাজারে আসবে এ সপ্তাহেই: বাণিজ্যমন্ত্রী
তিন-চার দিনের মধ্যে আমদানি করা ডিম দেশে আসবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান ডিমের বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় বাজারে ডিমের সরবরাহ বাড়ানো এবং বাজারদর স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ১৫ কোটি ডিম আমদানির জন্য ১৫টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে সাতটি প্রতিষ্ঠান এলসি খুলেছে। আশা করা হচ্ছে চলতি সপ্তাহে ডিম আমদানির প্রথম চালান দেশে প্রবেশ করবে।
রবিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারীদের মধ্যে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিপণনের অক্টোবর মাসের কার্যক্রম উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: আগামী জানুয়ারির মধ্যে টিসিবির স্মার্টকার্ড বিতরণ করা হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আমদানি করা ডিমের প্রতিটি চালানের জন্য বেশ কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে। যার মধ্যে একটি হলো এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু ভাইরাস ও ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া মুক্ত বলে রপ্তানিকারক দেশের সরকারের দেওয়া সনদ দাখিল করতে হবে।
তিনি বলেন, দেশে এর আগে ডিম আমদানি হয়নি এবং এই সনদ পেতে আমদানিকারদের কিছুটা সময় লাগায় ডিম আসতে দেরি হচ্ছে।
আলু আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে কি না- এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, আমরা দেশে এখনো আলু আমদানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিইনি। দেশে আলুর পর্যাপ্ত মজুদ আছে বলে আমাদের কাছে তথ্য আছে।
মন্ত্রী বলেন, বাজার মনিটরিং চলছে। যদি দাম আরও ঊর্ধ্বগতির দিকে যায় তাহলে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনে আলু আমদানির উদ্যোগ নেবে সরকার।
এর আগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জুলাই মাস থেকে টিসিবির তেল, চিনি, ডালের পাশাপাশি চাল দেওয়া শুরু হয়। এ মাস থেকে পেঁয়াজ দেওয়া শুরু হলো। যা রাজধানীর মধ্যে আপাতত সীমাবদ্ধ থাকবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা জানি বৈশ্বিক কারণে বেশ কয়েকটি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে রাখতে। কিন্তু আমদানি করা পণ্যের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করতে হয়। যার জন্য চাইলেও কমানো সম্ভব হয় না। তবে আমরা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত বাজার নিয়ন্ত্রণে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করছি।
টিপু মুনশি বলেন, টিসিবির কার্ড বিতরণে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে ১ কোটি কার্ডকে স্মার্ট কার্ডে রূপান্তরের কাজ শেষ পর্যায়ে। এ মাসের শেষ নাগাদ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করতে পারব বলে আশা করছি।
আরও পড়ুন: ৩০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে চায় বাংলাদেশ: বাণিজ্যমন্ত্রী
ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিদেশি ব্যবসায়ীদের দেশে বিনিয়োগের আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর