ব্যবসা
টানা দুদিন ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান
গত সপ্তাহের লাগাতর পতনের পর চলতি সপ্তাহে টানা দুদিন উত্থান দেখল ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজার। সারাদিনের লেনদেন দুই পুঁজিবাজারেই বেড়েছে সূচক এবং বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৯ পয়েন্ট। গতদিন ১৩ পয়েন্ট বৃদ্ধির পর আবারও উত্থানে প্রধান সূচক বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১৪৫ পয়েন্টে।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ৩ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ ডিএস-৩০ বেড়েছে ১ পয়েন্ট। লেনদেন হওয়া ৩৯৯ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২১৯, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
তিন ক্যাটাগরিতেই বেশিরভাগ কোম্পানি আছে দরবৃদ্ধির তালিকায়। ‘এ’ ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে ১২৩, কমেছে ৬৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩১ কোম্পানির শেয়ারের দাম। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ৪৬ কোম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ৩০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম। ‘জেডে’ দাম বেড়েছে ৪৭ কোম্পানির, কমেছে ১৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ৩৭ মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৯, কমেছে ৬ এবং অপরিবর্তিত আছে ১২ কোম্পানির শেয়ারের দাম। ইস্যুকৃত ৪ করপোরেট বন্ডের মধ্যে অপরিবর্তিত আছে ৩ এবং কমেছে একটির দাম।
সোমবার ব্লক মার্কেটে মোট ২৪ কোম্পানির ২৯ লাখ শেয়ার ১৪ কোটি টাকার ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ মিডল্যান্ড ব্যাংক ১২ লাখ শেয়ার ৩ কোটি ২৯ লাখ টাকায় বিক্রি করেছে।
সূচক বাড়ার পাশাপাশি ডিএসইতে বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন। সাত কার্যদিবস পড় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে চারশ’ কোটির ঘর। একদিনের ব্যবধানে ডিএসইতে ৪৩১ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গতদিনের তুলনায় ৫৬ কোটি টাকা বেশি।
বাজার উত্থান প্রসঙ্গে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, বাজারকে বাজারের গতিতে চলতে দেওয়াই এখন কমিশনের প্রধান লক্ষ্য। একদিন সূচকের ব্যাপক উত্থান হলো, আরেকদিন রীতিমতো ভরাডুবি; এ ধরণের অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে থেকে বাজারকে রক্ষা করতে কমিশন কাজ করে যাচ্ছে।
বাজার সংস্কার প্রসঙ্গে রেজাউল বলেন, টাস্কফোর্স পুরোদমে কাজ করছে। টাস্কফোর্সের কাজের সুবিধার্থে ফোকাস গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে। বাজারে সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানকল্পে সব ধরণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দিনের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনে সূচক কমলেও সূচকের উত্থান দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। লেনদেন শেষে সিএসই'র সার্বিক সূচক বেড়েছে ৩১ পয়েন্ট।
আরও পড়ুন: উত্থান দিয়ে সপ্তাহ শুরু দেশের পুঁজিবাজারে
লেনদেন হওয়া ২০৬ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১০০, কমেছে ৬৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সারাদিনে মোট ৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সিএসইতে একদিনের লেনদেনে ১০ শতাংশ দরবৃদ্ধি হয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে ইনটেক লিমিটেড। অন্যদিকে ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে আছে হামিদ ফেব্রিকস পিএলসি।
ডিএসইতে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে সাড়ে ৬ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে পড়েছে মেঘনা সিমেন্ট মিলস।
আরও পড়ুন: প্রথম কার্যদিবসে উত্থান দিয়ে লেনদেন শুরু পুঁজিবাজারে
৩২৮ দিন আগে
উত্থান দিয়ে সপ্তাহ শুরু দেশের পুঁজিবাজারে
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দিনের শুরু থেকেই সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, যে ধারা বজায় ছিল দিনের শেষভাগ পর্যন্ত।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ দশমিক ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
সারাদিনের লেনদেন দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেন হওয়া ৩৯৪ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৮৭, কমেছে ১৫৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ২২ কোম্পানির শেয়ারের দাম। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ৯ কোম্পানি বিভিন্নহারে বিনিয়োগকারীদের শেয়ারপ্রতি ফেস ভ্যালুর ওপর তৃতীয় প্রান্তিকের লভ্যাংশ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: সপ্তাহজুড়ে পুঁজিবাজারে পতন, শেষ দিনেও হতাশ বিনিয়োগকারীরা
বেশিরভাগ কোম্পানির দাম বাড়লেও ‘এ’ ক্যাটাগরির অধিকাংশ কোম্পানি ছিল দাম কমার তালিকায়। এই ক্যাটাগরিতে দাম কমেছে ১০২ কোম্পানির, বেড়েছে ৮৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
‘বি’ ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে ৫৩, কমেছে ২২ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম। ‘জেডে’ দাম বেড়েছে ৪৯, কমেছে ২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ৩৭ মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগরই দাম ছিল অপরিবর্তিত। দাম বেড়েছে ১১ কোম্পানির, কমেছে ৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ব্লক মার্কেটে মোট ৩৩ কোম্পানির ৫১ লাখ শেয়ার ১৮ কোটি টাকায় লেনদেন হয়েছে। এরমধ্যে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড একাই শেয়ারপ্রতি ৯৬ দশমিক ৯০ টাকা সর্বোচ্চ দরে ৬ লাখ ১৫ হাজার ৯৩৪ শেয়ার ৫ কোটি ৮৩ লাখ টাকায় বিক্রি করেছে।
রবিবার দরবৃদ্ধির শীর্ষে আছে ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানি গোল্ডেন সন লিমিটেড। একদিনের লেনদেনে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ১০ শতাংশ। এদিকে জিল বাংলা স্যুগার মিলস লিমিটেডের শেয়ারের দাম ৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ কমে অবস্থান করছে দরপতনের শীর্ষে।
ডিএসইতে প্রধান সূচক বাড়লেও সূচক কমেছে এসএমই খাতে। একদিনের লেনদেনে ১৮ পয়েন্ট হারিয়ে এসএমই ইনডেক্সে সূচক কমেছে দেড় শতাংশের বেশি। লেনদেন হওয়া ১৮ কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে ১২ এবং বেড়েছি ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
আরও পড়ুন: প্রথম কার্যদিবসে উত্থান দিয়ে লেনদেন শুরু পুঁজিবাজারে
সূচকের উত্থান হলেও ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৩৩ কোটি টাকা। দিন শেষে ঢাকার পুঁজিবাজারে মোট ৩৫৬ কোটি টাকার সূচক এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৩৮৯ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সারাদিনের লেনদেনে সার্বিক সূচক বেড়েছে ৫০ পয়েন্ট। লেনদেন হওয়া ২০৪ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৯৭, কমেছে ৭৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসই'র মতোই সূচক বাড়লেও লেনদেন কমেছে সিএসইতে। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৪ কোটি ১৫ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
৩২৯ দিন আগে
পতনের পুঁজিবাজার, মুনাফা তুলতে খারাপ শেয়ারে আগ্রহ বিনিয়োগকারীদের
ঢাকা, ৩১ জানুয়ারি (ইউএনবি)-
সপ্তাহজুড়ে পতনের মুখে ঢাকার পুঁজিবাজারে কমেছে সূচক, লেনদেন, টার্নওভার এবং সামগ্রিক রিটার্ন। ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা স্বল্পসময়ে মুনাফা তুলতে ঝুঁকছেন জেড ক্যাটাগরির তুলণামূলক খারাপ কোম্পানির দিকে।
পাঁচ কার্যদিবসে (২৬-৩০ জানুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৫৩ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট। ৫১৬৬ পয়েন্ট দিয়ে রবিবার লেনদেন শুরু করলেও বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে সূচক দাঁড়িয়েছে ৫১২২ পয়েন্টে।
একইভাবে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২৭ পয়েন্ট এবং ব্লুচিপ ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট। পাশাপাশি এক সপ্তাহে ডিএসইর এসএমই ইনডেক্সের সূচক কমেছে ৮ পয়েন্ট।
আরও পড়ুন: সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে পুঁজিবাজারে লেনদেন
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ৩৩৮ কোটি টাকা, যা পূর্বের সপ্তাহে ছিল ৪১২ কোটি টাকা। এক সপ্তাহে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন কমেছে ৭৪ কোটি টাকা। লেনদেনের পাশাপাশি কমেছে বাজারের মোট টার্নওভার। মোট টার্নওভার হয়েছে ১৩৯ মিলিয়ন ডলার, যা পূর্ববর্তী সপ্তাহের তুলনায় ৩০ মিলিয়ন ডলার।
সপ্তাহের ব্যবধানে সামগ্রিকভাবে বাজারে দাম বেড়েছে মোট ৯৮ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত ছিল ২৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম। বাকি ২৭২ কোম্পানির শেয়ারের দরপতন হয়েছে উল্লেখযোগ্য হারে।
এক সপ্তাহে ব্যাংক খাতে শেয়ারের দাম কমেছে ৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ। আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এই দরপতন প্রায় ১৮ শতাংশ। অন্যদিকে ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে প্রায় ৩৫ শতাংশ। মিচ্যুয়াল ফান্ডের ক্ষেত্রে এ পতন ১৫ শতাংশের বেশি।
সপ্তাহ ভালো যায়নি আইটি খাতেও। এ খাতে শেয়ারের দাম কমেছে ৩২ শতাংশ। একইভাবে ওষুধশিল্পে পতনের পরিমাণ ছিল ২৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ। প্রকৌশল এবং সিরামিক খাতে শেয়ারের দাম কমেছে যথাক্রমে ৪০ এবং ৪৫ শতাংশ।
সাপ্তাহিক লেনদেনে ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে মাত্র চার খাতে। বাকি ১৯ খাতে রিটার্ন ছিল নেতিবাচক। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি রিটার্ন এসেছে জেড ক্যাটাগরির কোম্পানি ডেলটা স্পিনার্স লিমিটেডে। পাঁচ দিনে কোম্পানিটির রিটার্ন বেড়েছে ৩৯ দশমিক ১৩ শতাংশ।
আরও পড়ুন: উত্থানের ধারা বজায় রেখে চলছে পুঁজিবাজারে লেনদেন
অন্যদিকে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানি প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড এক সপ্তাহে ২১ দশমিক ২৯ শতাংশ রিটার্ন হারিয়ে অবস্থান করছে দরপতনের শীর্ষে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে শীর্ষে থাকা শেয়ারের মধ্যে নেই কোনো ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানি। শীর্ষ দশের মধ্যে দরবৃদ্ধির ৬ কোম্পানিই ‘জেড’ ক্যাটাগরির এবং বাকি ৪ ‘বি’ ক্যাটাগরির।
অন্যদিকে দরপতনের শীর্ষে থাকা কোম্পানির মধ্যে নেই কোনো ‘জেড’ ক্যাটাগরির কোম্পানি। ‘এ’ ক্যাটাগরির ৫ এবং ‘বি’ ক্যাটাগরির ৫ কোম্পানি ছিল এ সপ্তাহের তলানিতে থাকা শেয়ার।
ব্রোকারেজ হাউসগুলো বলছে, ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা বাজার থেকে দ্রুত মুনাফা তুলে ক্ষতি পোষাতে খারাপ শেয়ারে দেদারসে বিনিয়োগ করছে। এতে করে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ কমেছে বাজারে। অন্যদিকে লভ্যাংশ না দেওয়া বা স্বল্প লভ্যাংশ দেওয়া কোম্পানিতে ঝুঁকছে বিনিয়োগকারীরা।
৩৩২ দিন আগে
ক্ষতিগ্রস্ত ঋণগ্রহীতাদের পুনর্গঠন ও ঋণ আদায় নিশ্চিতে সুপারিশ কমিটি
নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ঋণগ্রহীতাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠনে প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা দিতে পাঁচ সদস্যের একটি বাছাই কমিটি গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এতে বলা হয়, করোনা মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক নিম্ন প্রবৃদ্ধি, বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক পরিস্থিতির অভিঘাত মোকাবিলা করে দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত কারণে ঋণগ্রহীতা প্রকৃতই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিনা এবং সমস্যাসংকুল প্রতিষ্ঠানের পুনর্গঠন ও প্রতিষ্ঠানকে নীতি সহায়তা দেওয়ার মাধ্যমে ব্যবসায় ফিরিয়ে আনার সুযোগ রয়েছে কিনা; তা যাচাই-বাছাই করে সুপারিশ করবে এই কমিটি।এতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ছাড়াও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিসহ অভিজ্ঞ ব্যাংকাররা রয়েছেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কমিটির কার্যপরিধিতে ৫০কোটি ও তার চেয়েও বড় অংকের যেসব ঋণ নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত কারণে শ্রেণিকৃত হয়েছে, সেগুলো এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আর শিখা বলেন, পাঁচ সদস্যের কমিটিতে রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের অফ-সাইট সুপারভিশন বিভাগের নির্বাহী পরিচালক (ইডি) মেজবাহ-উল-হক, অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. দেলোয়ার হোসেন, অর্থনীতিবিদ মামুন রশীদ, হক বে থেকে বাণিজ্য প্রতিনিধি আবদুল হক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সৈয়দ শাহরিয়ার আহসান।
কাজটি শেষ করার ক্ষেত্রে কোনো সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, মাসে সর্বোচ্চ দুবার বৈঠকের জন্য তাদের পারিতোষিক দেওয়া হবে।
৩৩২ দিন আগে
সপ্তাহজুড়ে পুঁজিবাজারে পতন, শেষ দিনেও হতাশ বিনিয়োগকারীরা
সপ্তাহজুড়ে ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজার একের পর এক পতন দেখেছে। লেনদেনের শেষদিনে সূচকের পতন না হলেও হয়নি কোনো উল্লেখযোগ্য উত্থান। এতে করে হতাশ হয়ে পড়েছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) লেনদেন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইক্স ছিল শূন্যের কোটায়, সূচক বেড়েছে মাত্র দশমিক ৩৮ শতাংশ।
অন্যদিকে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ৩ পয়েন্ট আর ব্লুচিপ ডিএস-৩০ বেড়েছে ৭ পয়েন্ট। সারা সপ্তাহের লেনদেনে ডিএসইএক্স সূচক হারিয়েছে ৫৪ পয়েন্ট।
সূচকের বেহাল দশায় বিনিয়োগকারীরা বলছেন, পুরো সপ্তাহে ঢাকার পুঁজিবাজারে চার কার্যদিবসে সূচক কমেছে। শেষ কার্যদিবসে সূচকের যা উত্থান হয়েছে, তা নিতান্তই নগণ্য। এভাবে চলতে থাকলে পুঁজিবাজারে অর্থলগ্নি দিনকে দিন কমতে থাকবে বলে জানান তারা।
সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের হিসাব অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে ১ হাজার ৬০০ বিনিয়োগকারী তাদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) অ্যাকাউন্ট থেকে সব টাকা তুলে নিয়েছেন, যা বিনিয়োগকারীদের বাজার বিমুখতার দিকেই ইঙ্গিত দেয়।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। ১২০ কোম্পানির দামবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ২১৯ কোম্পানির এবং দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ‘এ’ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৬৩, কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে ৩০ কোম্পানির, কমেছে ৪৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
‘জেড’ ক্যাটাগরিতে ২৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ৪৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ১৬ কোম্পানির দাম কমেছে, অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানি এবং বেড়েছে ৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ব্লক মার্কেটে ৩৪ কোম্পানির ৩২ লাখ ৫৫ হাজার শেয়ার ১৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
ডিএসইতে দরবৃদ্ধির শীর্ষে আছে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন পিএলসি। একদিনের লেনদেনে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৯ দশমিক ৬ শতাংশ। অন্যদিকে ১২ শতাংশের বেশি দাম হারিয়ে দরপতনের শীর্ষে উঠে এসেছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। শেষ কার্যদিবসে মোট ৩৮৯ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩১৪ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রামের শেয়ারবাজারেও সূচকের বড় পতন হয়েছে। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৩৮ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ২১১ কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে ১২১ কোম্পানির, বেড়েছে ৬০ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৩০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সূচক কমলেও ডিএসই'র মতো সিএসইতেও বেড়েছে লেনদেন। বৃহস্পতিবার সিএসইতে মোট ১২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৪ কোটি টাকা।
সিএসইতে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে দরবৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ঢাকার পুঁজিবাজারেও মতো চট্টগ্রামেও দরপরতনের শীর্ষে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড। একদিনে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমেছে ১১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
৩৩২ দিন আগে
টানা চতুর্থদিনের মতো পতনের মুখে পুঁজিবাজার
টানা চতুর্থদিনের মতো সূচকের পতন হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুর ঘণ্টা থেকে পতনের ধারা অব্যাহত ছিল শেষ পর্যন্ত। কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সবকটি সূচকের পতন হয়েছে। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
ডিএসইর শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস কমেছে ৭ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক কমেছে দশমিক ৬৭ পয়েন্ট। লেনদেন হওয়া ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে ২০৬, বেড়েছে ১২৪ এবং অপরিবর্তিত ছিল ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
আরও পড়ুন: টানা পতনের মুখে পুঁজিবাজার, তিন দিনে সূচক কমেছে ৪০ পয়েন্ট
ক্যাটাগরি হিসেবে, ‘এ’ ক্যাটাগরির ৯৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে, বেড়েছে ৮০ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪৩ কোম্পানির শেয়ার দাম। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ৬২ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে, বেড়েছে ২২ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম। ‘জেডে’ ৪৯ কোম্পানির দাম কমেছে। বেড়েছে ২১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে অপরিবর্তিত ছিল ১৯ কোম্পানি, কমেছে ১০ এবং বেড়েছে ৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ব্লক মার্কেটে মোট ২৯ কোম্পানির ২৯ লাখ ১০ হাজার শেয়ার ৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
সূচক কমার পাশাপাশি লেনদেনও কমেছে ডিএসইতে। সারাদিনের লেনদেনে মোট ৩১৪ কোটি টাকার শেয়ার বেচাকেনা হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩২৮ কোটি টাকা।
ডিএসইর এসএমই খাতের শেয়ারের লেনদেন হয়েছে ঢিলেঢালাভাবে। এই খাতের ডিএসএমইএক্সের সূচক বেড়েছে ১ শতাংশেরও কম।
সারাদিনের লেনদেন এ খাতে মোট ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। বেড়েছে ৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
বেশিরভাগ কোম্পানির দাম কমলেও এ খাতে গতদিনের তুলনায় লেনদেন সামান্য বেড়েছে। মঙ্গলবার এই ইনডেক্সে মোট ৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে বিশেষ বিনিয়োগের পরিমাণ ও সময়সীমা বাড়াতে গভর্নরকে চিঠি
সূচকের পতনের দিনেও হাক্কানি পাল্প অ্যান্ড পেপার মিলসের শেয়ারের দাম ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ বেড়ে দরবৃদ্ধির তালিকার শীর্ষে ছিল কোম্পানিটি। অন্যদিকে ৯ দশমিক ৮ শতাংশ দাম কমে দরপতনের শীর্ষে উঠে এসেছে প্রিমিয়াম সিমেন্ট মিলস পিএলসি।
সারাদিনের লেনদেনে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৪৩ পয়েন্ট। লেনদেন হওয়া ১৯১ কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে ৯৭, বেড়েছে ৬৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সূচক কমার পাশাপাশি সিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণও। সিএসইতে গত দিনের ১০ কোটি টাকার লেনদেন বুধবার নেমে এসেছে ৪ কোটির ঘরে।
৩৩৩ দিন আগে
পুঁজিবাজারে বিশেষ বিনিয়োগের পরিমাণ ও সময়সীমা বাড়াতে গভর্নরকে চিঠি
পুঁজিবাজারে বিশেষ বিনিয়োগের পরিমাণ ১০০ কোটি টাকা এবং সময়সীমা ২০৩০ সাল পর্যন্ত বাড়ানোর অনুরোধ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরকে চিঠি দিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ব্রোকারেজ হাউস সংগঠন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারী) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বরাবর সংগঠনটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিটির অনুলিপি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবকেও প্রেরণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে সূচক বেড়েছে প্রথম ঘণ্টার লেনদেনে
পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল করতে এবং বাজারের তারল্য প্রবাহ বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে তফসিলি ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং পুঁজিবাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে পুঁজিবাজারে তাদের নিজস্ব পোর্টফোলিওতে বিনিয়োগের জন্য একটি বিশেষ তহবিল প্রদানের নির্দেশনা দেয়।
এই বিশেষ তহবিলের আকার প্রতিটি তফসিলি ব্যাংকের জন্য ২০০ কোটি টাকায় সীমাবদ্ধ ছিল এবং এর মেয়াদ আছে চলতি বছর ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
ডিবিএ-এর পাঠানো চিঠিতে এই বিশেষ তহবিলের সময়সীমা ২০৩০ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধি করে এর আকার প্রতিটি তফসিলি ব্যাংকের জন্য ২০০ কোটি থেকে ৩০০ কোটি টাকা করার সুপারিশ করা হয়েছে।
ডিবিএ-এর পক্ষে থেকে বলা হয়, বাংলাদেশের পুঁজিবাজার একটি চ্যালেঞ্জিং সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ২০২১ সালের শেষ থেকে বাজারে দীর্ঘ মন্দা বিরাজ করছে। এতে করে ইক্যুইটি বাজার মূলধন প্রায় ৪০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এই মন্দা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, বাজার মধ্যস্থতাকারী, স্টক-ব্রোকার এবং অন্যান্য অংশীদারদেরসহ ২০ লাখেরও বেশি বিনিয়োগকারীর ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে বিদেশি বিনিয়গে নতুন নির্দেশনা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের
বিশেষ এই তহবিলের আওতায় অনেক স্বনামধন্য তফসিলি ব্যাংক পুঁজিবাজারে তাদের নিজস্ব পোর্টফোলিওতে বিনিয়োগ করেছে। বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে তাদের পোর্টফোলিও বিনিয়োগ ৪০ শতাংশ থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে আছে। এই মুহূর্তে এই ধরনের তহবিল বন্ধ করলে পোর্টফোলিও অ্যাকাউন্ট ক্ষতির মুখে পড়বে এবং বিনিয়োগকারীসহ পুঁজিবাজারে এর নেতিবাচক প্রভাব দেখা দেবে বলা চিঠিতে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ডিবিএ।
বাজার প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে, পুঁজিবাজারের সার্বিক স্বার্থে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে ডিবিএ-এর দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
৩৩৪ দিন আগে
টানা পতনের মুখে পুঁজিবাজার, তিন দিনে সূচক কমেছে ৪০ পয়েন্ট
সপ্তাহের তিন কার্যদিবসে তিন দিনই পতন হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে। চলতি সপ্তাহের এ কয়দিনের লেনদেনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক কমেছে ৪০ পয়েন্ট।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) ডিএসইতে লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের উত্থান হলেও দিনের শেষে এসে কমেছে প্রধান এবং শরীয়াভিত্তিক সূচক।
এতে করে গত সপ্তাহে ৫১৬৬ পয়েন্ট নিয়ে চলতি সপ্তাহে লেনদেন হওয়া ডিএসইএক্সের সূচক টানা তিন দিনের পতনে কমে হয়েছে ৫১২৬ পয়েন্ট।
একদিনের লেনদেনে ডিএসইএক্স কমেছে ৩ পয়েন্ট। শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ৪ পয়েন্ট। তবে সূচক বেড়েছে বাছাইকৃত শেয়ারে। ব্লুচিপ ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কমলেও দিনের লেনদেনে দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেন হওয়া ৪০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৭৩, কমেছে ১৫২ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এ ক্যাটাগরিতে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। ২২২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৯১, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
বি ক্যাটাগরিতে দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ৯১ কোম্পানির মধ্যে ৩৩ কোম্পানির দাম বাড়লেও, কমেছে ৪০ কোম্পানির দাম। আর অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম বাড়ার তালিকায় আনুপাতিক হারে এগিয়ে আছে জেড ক্যাটাগরি। এই ক্যাটাগরির ৮৫ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ২২ কোম্পানির। দাম অপরিবর্তিত আছে ১৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ৩৬ মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগ কোম্পানির দাম ছিল অপরিবর্তিত। ৯ কোম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছেও ৯ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে সূচক বেড়েছে প্রথম ঘণ্টার লেনদেনে
ব্লক মার্কেটে ১৭ কোম্পানির ১৮ লাখ ৫৯ হাজার শেয়ার ৪ কোটি ৭১ লাখ টাকায় লেনদেন হয়েছে।
খাতভিত্তিক শেয়ারে সর্বোচ্চ সিরামিক খাতের শেয়ারের দাম বেড়েছে ৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ। অন্যান্য খাতের মধ্যে খাদ্যশিল্প, টেক্সটাইল, টেলিকমিউনিকেশন, কাগজশিল্প, ইন্স্যুরেন্স, মিউচ্যুয়াল ফান্ড এবং করপোরেট বন্ডের দাম বেড়েছে।
উল্লেখযোগ্য বাকি খাতে চামড়াশিল্প, প্রযুক্তিখাত এবং পাটশিল্প কেন্দ্রিক কোম্পানির শেয়ারের দাম সবচেয়ে বেশি কমেছে। বেশিরভাগ কোম্পানির দাম বাড়লেও ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানখাতে সার্বিক মূল্যমান নেমেছে নেতিবাচকের ঘরে।
ডিএসইতে দরবৃদ্ধির শীর্ষে ছিল বি ক্যাটাগরির কোম্পানি ওমিক্স ইলেকট্রোড লিমিটেড। একদিনে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ। সর্বশেষ ওমিক্সের প্রতিটি শেয়ার ২৮ টাকা দরে লেনদেন হয়েছে।
অন্যদিকে ৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ দাম কমে দরপতনের শীর্ষে উঠে এসেছে এডিএন টেলিকম লিমিটেড। একদিনে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম সর্বোচ্চ ১০৮ দশমিক ১০ টাকা উঠলেও লেনদেশ শেষ হয়েছে ৯৭ দশমিক ৮০ টাকায়।
মঙ্গলবার লেনদেনে বিনিয়োগকারীরা লভ্যাংশ পেয়েছে ১০ কোম্পানি থেকে। এদের মধ্যে পুঁজিবাজারে মূলধন জোগানদাতা প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) বিনিয়োগকারীদের শেয়ারপ্রতি ২ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে, যা গত এক দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন।
আইসিবি ২০১৫ সালে বিনিয়োগকারীদের শেয়ারপ্রতি সর্বোচ্চ ৩৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে, যা ক্রমাগত কমতে কমতে ২০২৩ সালে ২ দশমিক ৫০ শতাংশে এসে ঠেকেছে। ২০২৪ সালে এসে এই লভ্যাংশ কমলো আরও দশমিক ৫০ শতাংশ কমেছে।
দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগে বিনিয়োগকারীদের পছন্দের তালিকায় থাকা স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস শেয়ারপ্রতি ১১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। গত এক দশকে প্রতিষ্ঠানটি এবারই সর্বোচ্চ লভ্যাংশ দিলো বিনিয়োগকারীদের।
স্কয়ার গ্রুপের আরেক কোম্পানি স্কয়ার টেক্সটাইল পিএলসি বিনিয়োগকারীদের ৩২ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে, যা ২০২৩ সালে ছিল ৩০ শতাংশ। কোম্পানিটি এক দশকে সর্বোচ্চ ৩৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল ২০২২ সালে।
গত দশ বছরে সর্বোচ্চ লভ্যাংশ দিয়েছে কহিনূর কেমিক্যালস কোম্পানি। ২০২৪ সালে কোম্পানিটি ৫০ শতাংশ লভ্যাংশ বণ্টন করেছে, যা ২০২৩ সালে ছিল ৪০ শতাংশ। এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম উঠেছিল সর্বোচ্চ ৮৩০ টাকা এবং দাম কমে সর্বনিম্ন ৪৫৯ টাকা ৫০ পয়সা হয়েছিল। লভ্যাংশের ঘোষণা দিলেও মঙ্গলবার কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ৩ দশমিক ৭ শতাংশ কমে সর্বশেষ ৫৩৪ টাকা ৬০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।
লোকসান হওয়ার পরেও বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বোর্ড সভায় কোম্পানিটি ২০২৪ সালে বিনিয়োগাকারীদের ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
ডিএসসিকে দেয়া হিসাবে গত বছর সিঙ্গারের শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৪ টাকা ৯১ পয়সা, যেখানে আগের বছর শেয়ারপ্রতি ৫ টাকা ২৪ পয়সা আয় হয়েছিল।
লোকসানের কারণ উল্লেখ করে সিঙ্গার জানিয়েছে, ব্যাংকঋণের সুদহার বেড়ে যাওয়ায় ব্যয় বেড়েছে কোম্পানির অর্থায়নের। ২০২৩ সালে অর্থায়ন ব্যয় (ফাইন্যান্সিয়াল কস্ট) ৬০ কোটি ৪০ লাখ থাকলেও ২০২৪ সালে বেড়ে হয়েছে ১৪৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে বিদেশি বিনিয়গে নতুন নির্দেশনা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের
এদিকে সূচক বেড়েছে চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। একদিনের লেনদেনে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২১ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ১৮৬ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭০ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে সূচক বাড়লেও গতদিনের তুলনায় কমেছে লেনদেন। সারাদিন সিএসইতে ১০ কোটি ২৮ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে, যা পূর্বের কর্মদিবসের তুলনায় ২১ কোটি টাকা কম।
৩৩৪ দিন আগে
পুঁজিবাজারে সূচকের পতন, বেড়েছে লেনদেন
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রাম দুই পুঁজিবাজারে সূচকের পতন হলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টা থেকেই সূচক কমতে থাকে দুই পুঁজিবাজারে। বিনিয়োগকারীরা বড় ধসের শঙ্কা করলেও দিন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট।
ডিএসইর অন্য দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস এবং ডিএস-৩০ এ আসেনি তেমন কোনো পরিবর্তন। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ২৯ পয়েন্ট। চট্টগ্রামের বাজারে সূচক কমলেও এক দিনের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ১৯ কোটি ১৩ লাখ টাকা।
সিএসইতে দিন শেষে মোট ৩২ কোটি টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। সারাদিনের লেনদেনে দাম বেড়েছে ৬৪, কমেছে ১০৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ২০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
আরও পড়ুন: প্রথম কার্যদিবসে বড় পতনের মুখে দেশের দুই পুঁজিবাজার
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৯৯ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪০, কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এর মধ্যে ‘এ’ ক্যাটাগরির ৭৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১০৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ২৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ৪৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সূচক কমলেও তুলণামূলক ভালো অবস্থানে আছে ‘জেড’ ক্যাটাগরির কোম্পানি। ৮৫ জেড ক্যাটাগরির কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩২, কমেছে ২৫ এবং ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত আছে।
মিচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে ৬, কমেছে ১৬ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সোমবার ব্লক মার্কেটে ৩৭ কোম্পানির ৪১ লাখ ৯৬ হাজার শেয়ার ৩৫ কোটি ১৮ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
ডিএসইতে মোট ৩৪৪ কোটি টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিনের তুলনায় ২৬ কোটি টাকা বেশি।
ঢাকার পুঁজিবাজারে দরবৃদ্ধিতে শীর্ষে আছে শার্প ইন্ডাজট্রিজ পিএলসি। একদিনে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ৯ দশমিক ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে দরপতনে শীর্ষে উঠে এসেছে এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে ৬ শতাংশের বেশি।
ডিএসইতে সারাদিনের লেনদেনে বিনিয়োগকারীদের গত বছর তৃতীয় প্রান্তিকের লভ্যাংশ দিয়েছে ৯ কোম্পানি।
এর মধ্যে সোনালি পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেড শেয়ারপ্রতি ৪০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। বিগত এক মাসে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সর্বোচ্চ দাম উঠেছিল ৫৯৫ টাকা এবং সর্বনিম্ন ১২১ টাকা ২০ পয়সায় নেমে এসেছিল। সোমবার সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার ১৩২ টাকায় লেনদেন হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার পুঁজিবাজারে সবকটি সূচকের পতন
অন্যান্য কোম্পানির মধ্যে ক্রাউন সিমেন্ট পিএলসি ২১ শতাংশ, ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস পিএলসি ১৬ শতাংশ, আর্গন ডেনিমস লিমিটেড ১০ শতাংশ, এপেক্স ট্যানারি লিমিটেড ৫ শতাংশ, মুন্নু এগ্রো অ্যান্ড জেনারেল মেশিনারি লিমিটেড ৩ শতাংশ, এভিন্স টেক্সটাইল লিমিটেড ২ দশমিক ৫০ শতাংশ, রংপুর ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেড ২ শতাংশ এবং লেগ্যাসি ফুটওয়্যার লিমিটেড শেয়ারপ্রতি ১ শতাংশ হারে লভ্যাংশ দিয়েছে।
এর বাইরে তালিকাভুক্ত কোম্পানির বেস্ট হোল্ডিংস লিমিটেডের নাম বেস্ট হোল্ডিং পিএলসিতে পরিবর্তন করার অনুমোদন দিয়েছে ডিএসই।
৩৩৫ দিন আগে
এডিবির সহায়তায় প্রথম 'গ্রিন ডাটা সেন্টার' স্থাপন করবে বাংলাদেশ
পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) মডেলে বাংলাদেশে প্রথম সবুজ ডাটা সেন্টার নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রলল্পটি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
এ লক্ষ্যে সোমবার (২৭ জানুয়ারি) এডিবি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, বিটিসিএল এবং পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথরিটি (পিপিপিএ) একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে।
আজ ঢাকায় পিপিপিএ সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পিপিপিএ’র মহাপরিচালক (অর্থ ও প্রশাসন) এ কে এম আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন পিটিডির অতিরিক্ত সচিব আবুল খায়ের মোহাম্মদ সালেহদ্দিন এবং এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর হোয়ে ইউন জিয়ং নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
চট্টগ্রামে বিটিসিএলের মালিকানাধীন একটি অবকাঠামোতে অত্যাধুনিক ডাটা সেন্টারটি স্থাপন করা হবে এবং উচ্চ প্রাপ্যতা এবং পরিচালন সক্ষমতার মাপকাঠি নিশ্চিত করে আন্তর্জাতিক মানে নির্মিত হবে।
এটি নবায়নযোগ্য জ্বালানি দিয়ে চলবে। বিটিসিএলের অভ্যন্তরীণ ডেটা স্টোরেজ চাহিদা পূরণের সময় সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে বাণিজ্যিক সমষ্টিগত পরিষেবা সরবরাহ করবে।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাংক ও এডিবির ১.১ বিলিয়ন ডলার বাজেট সহায়তা অনুমোদন
হোয়ে ইয়ুন জিয়ং বলেন, 'এই উদ্যোগ বাংলাদেশের ডিজিটাল ভিশন অর্জন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তরে সহায়তা করার জন্য সর্বাধুনিক প্রযুক্তি এবং টেকসই অনুশীলনগুলোকে একীভূত করার দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’
প্রকল্পটি ইনফোটেক (তথ্য প্রযুক্তির সংক্ষিপ্ত রূপ) খাতে বেসরকারি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করবে এবং ডিজিটাল প্রযুক্তিতে মূলধন সংগ্রহের সুযোগ তৈরি করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পিপিপি মডেলে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে শিগগিরই লেনদেন পরামর্শমূলক পরিষেবা (টিএএস) চুক্তি সই হবে।
এডিবির টিএএস সহায়তার মধ্যে রয়েছে সম্ভাব্যতা যাচাই, প্রকল্প কাঠামো, দরপত্র এবং অংশীজনদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, যা তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে বেসরকারি বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করবে।
আরও পড়ুন: তিন সংকট মোকাবিলায় এডিবির সহযোগিতা চান পরিবেশ উপদেষ্টা
৩৩৫ দিন আগে