ব্যবসা
জানুয়ারির ২৫ দিনে ১৬৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পেল বাংলাদেশ
চলতি জানুয়ারির প্রথম ২৫ দিনে বৈধভাবে ১৬৮ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে বাংলাদেশে। রবিবার (২৬ জানুয়ারি) এমন তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি)।
এতে প্রতিদিন গড়ে ছয় কোটি ৭০ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশের সর্বশেষ রেমিট্যান্স হালনাগাদ তথ্য বলছে, এভাবে যদি রেমিট্যান্স আসা অব্যাহত থাকে, তাহলে চলতি মাসে ২০০ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স আসতে পারে।
কেন্দ্রিক ব্যাংকের এক পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, এ মাসে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের মাধ্যমে ৩৫ কোটি ৪২ লাখ ডলার, একটি বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে সাত কোটি ৪৪ লাখ ডলার, প্রাইভেট ব্যাংকের মাধ্যমে ১২৪ কোটি ২৫ লাখ ডলার ও বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে ৪৭ কোটি ৯০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে বাংলাদেশে।
আর আটটি ব্যাংকের মাধ্যমে একটি পয়সাও রেমিট্যান্স আসেনি বাংলাদেশে। সেগুলো হলো: বাংলাদেশ ডেভলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল), রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক, আইসিবি ইসলামি ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক, পাকিস্তানি হাবিব ব্যাংক ও স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত এক হাজার ৩৭৪ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে। আগের বছর একই সময়ে এক হাজার ৮০ কোটি ডলার এসেছে। অর্থাৎ এ সময়ে রেমিট্যান্স বেড়েছে ২৯৮ কোটি ডলার।
৩৩৬ দিন আগে
ঋণ খেলাপির সময়সীমা বাড়ানোর দাবি ব্যবসায়ীদের
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের কাছে ঋণ খেলাপির সময়সীমা ৩ মাস থেকে বাড়িয়ে ৯ মাস করার দাবি জানিয়েছে ব্যাবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্মেলন কক্ষে এক মতবিনিময় সভায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের কাছে বেশকিছু সুপারিশ তুলে ধরেছেন ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল। যার মধ্যে রয়েছে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, সুদের হার স্থিতিশীল রাখা, ডলারের যোগান স্বাভাবিক রাখাসহ অনিচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপিদের নীতিসহায়তা দেওয়ার মাধ্যমে অর্থনীতিতে পূনর্বাসন করা।
এর বাইরে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প-কারখানাকে নীতিসহায়তা, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময়জনিত ক্ষতি মোকাবেলায় উদ্যোক্তাদের সহায়তা, সময়মত এক্সপোর্ট বিল পরিশোধ, এসএমই এবং কৃষি খাতের জন্য বিশেষ ঋণ সুবিধা সম্প্রসারণসহ দেশে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতকরণে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে এফবিসিসিআই।
খেলাপি ঋণের সময়সীমা বাড়ানোর পাশাপাশি স্থানীয় শিল্পের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বজায় রাখতে সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটে নিয়ে আসার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন ব্যবসায়ী নেতারা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর জানান, আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশ ব্যাংক নিবিড়ভাবে কাজ করছে।
এ সময়ে অর্থনীতির টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সমর্থন ও সহযোগিতা আহ্বান করেন তিনি।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন, সাবেক সহ-সভাপতি আবুল কাশেম হায়দার, সাবেক পরিচালক আব্দুল হক, গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী (খোকন), প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্রধান নির্বাহী আহসান খান চৌধুরী, বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি এসএম ফজলুল হক, এফবিসিসিআইর মহাসচিব মো. আলমগীর, এফবিসিসিআইর সাধারণ পরিষদ সদস্য জাকির হোসেন নয়ন ও জাকির হোসেন প্রমুখ।
৩৩৬ দিন আগে
কর্মকর্তাদের অসদাচরণের বিরুদ্ধে কঠোর হবে এনবিআর: চেয়ারম্যান
দুর্নীতি ও কাজে অবহেলার ব্যাপারে কর্মকর্তাদের সতর্ক করেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। তিনি বলেছেন, অতীতের মতো এ ধরনের কোনো আচরণ বা কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস উপলক্ষে এনবিআর মাল্টিপারপাস হলে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা খুব স্পষ্ট বার্তা দিয়েছি, আমাদের কর্মকর্তারা যদি তাদের আগের কার্যক্রম অব্যাহত রাখেন তবে তাদের গুরুতর পরিণতি ভোগ করতে হবে।’
‘অতীতের মতো কোনো ধরনের গড়িমসি বা আপোষের মনোভাব আমরা বরদাশত করব না। এমন কিছু দেখলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এনবিআর কর্মকর্তাদের কাছ থেকে কোনো ধরনের অসঙ্গতিপূর্ণ আচরণ পেলে তা নিয়ে সংস্থাটির কাছে অভিযোগ জানাতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। বলেন, ‘অভিযোগ পেলে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারি, তবে কোনো অভিযোগ আমাদের কাছে আসে না।’
আরও পড়ুন: হয়রানি কমাতে অনলাইন কর পদ্ধতি সংস্কারের পরিকল্পনা এনবিআরের
এ সময় ব্যবসা সম্প্রসারণের নামে কর অব্যাহতির প্রবণতা থেকে ব্যবসায়ীদের বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে আবদুর রহমান খান বলেন, ‘আমাদের ব্যবসায়ীদের মধ্যে একটি প্রবণতা রয়েছে যে, ট্যাক্স-ভ্যাট অব্যাহতি ছাড়া ব্যবসা বাড়বে না। তাদের এই মনোভাব থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
ভ্যাট ও কর অব্যাহতি না থাকার পরও উন্নত দেশগুলো কীভাবে প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে সে বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘ভ্যাট-ট্যাক্সসহ ব্যবসায়িক হিসাব-নিকাশ করুন। তারপর যদি সেটা আপনার পক্ষে সম্ভব বলে মনে হয় তবে সেই ব্যবসায় যান, নাহলে বাদ দিন।’
ব্যবসায়িক স্বার্থে যেকোনো মূল্যে কর অব্যাহতি আদায় করতেই হবে—এমন মনোভাব পরিহার করার আহ্বান জানান তিনি। বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত মতামত হলো, আমাদের মূল সমস্যা হচ্ছে আমাদের সুশাসন। আমরা আমাদের সব ব্যবসার জন্য বিভিন্ন খাত উন্মুক্ত করতে পারি না।’
খাতগুলো উন্মুক্ত করে এসব খাতে ব্যবসায়ীদের মধ্যে যদি প্রতিযোগিতা বাড়ানো যায়, তাহলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংশোধন করা হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘অনেক ব্যবসা খাতেই দেখা যায়, হাতেগোনা কয়েকজন খেলোয়াড়। আমরা এখান থেকে সরে আসতে চাই। এই খেলোয়াড়রা অন্যদের ঢুকতে দিচ্ছে না। এই জায়গাটি আমরা উন্মুক্ত করতে পারি।’
৩৩৬ দিন আগে
প্রথম কার্যদিবসে বড় পতনের মুখে দেশের দুই পুঁজিবাজার
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রাম দুই পুঁজিবাজারেই সূচকের বড় পতন হয়েছে। দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির। চট্টগ্রামে লেনদেন বাড়লেও কমেছে ঢাকার বাজারে।
রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দিনের প্রথম ঘণ্টা থেকেই দেশের দুই পুঁজিবাজার সমানতালে সূচক হারাতে থাকে। অবশেষে সূচকের পতনের ধারা অব্যাহত রেখে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৪ পয়েন্ট এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৬৫ পয়েন্ট।
সূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৪০৩ কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে ২৬১, বেড়েছে ৭৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে ১৮৮ কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে ১০৩, বেড়েছে ৫৫ এবং অপরিবর্তীত আছে ৩০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
গেল কার্যদিবসের তুলনায় ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৩৮ কোটি টাকা। সিএসইতে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে ৭ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে পতন, কমেছে সবকটি সূচক
ঢাকার পুঁজিবাজারে মোট লেনদেন হয়েছে ৩১৮ কোটি টাকা, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৫৬ কোটি টাকা। চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা, যা আগের কার্যদিবসে ছিল ৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।
ডিএসইতে ‘এ’ ক্যাটাগরির ২২৪ কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে ১৪৭, বেড়েছে ৩৬ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে দাম কমেছে ৫৯, বেড়েছে ২৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। ‘জেডে’ দাম কমেছে ৫২, বেড়েছে ১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ৩৭ মিচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম কমেছে ২১, বেড়েছে ৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। ব্লক মার্কেটে ১৫ কোম্পানির ৩২ লাখ ২৬ হাজার ৩৯৪ শেয়ার বিক্রি হয়েছে ১৮ কোটি ৩২ লাখ টাকায়।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া সিমেন্ট, সিরামিক, টেলিযোগাযোগ এবং পাটখাতের কোনো কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়েনি। ব্যাংকখাতে ১৭ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত এবং কমেছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম। ওষুধশিল্প খাতে শেয়ারের দাম কমেছে ১ দশমিক ২৫ শতাংশ। খাতটিতে ৭ কোম্পানির দাম বাড়লেও, কমেছে ২৭ কোম্পানির দাম।
পতনের বাজারে তুলণামূলক ভালো অবস্থানে আছে প্রযুক্তি, আবাসন, টেক্সটাইল এবং পর্যটনখাত। আইটিখাতে তালিকাভুক্ত দুটি কোম্পানির মধ্যে দুটিরই দাম বেড়েছে।
ডিএসইতে ৬ কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের গত বছর তৃতীয় প্রান্তিকের লভ্যাংশ দিয়েছে। এছাড়া আরেক কোম্পানি ন্যাশনাল টি কোম্পানি লিমিটেড বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-চট্টগ্রাম দুই পুঁজিবাজারের লেনদেন শুরু পতন দিয়ে
সারাদিনের লেনদেনে ডিএসইতে দরবৃদ্ধিতে শীর্ষে আছে শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড। একদিনের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৬ দশমিক ২৮ শতাংশ।
অন্যদিকে দরপতনের শীর্ষে উঠে এসেছে কেয়া কসমেটিকসের নাম। কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমেছে ১০ শতাংশ। ডিএসইকে কোম্পানিটি জানিয়েছে পর্যাপ্ত মূলধন না থাকায় কারখানা বন্ধ করে দিলেও আপাতত কোম্পানিটির অন্যান্য কার্যক্রম চলমান থাকবে।
ডিএসইর এসএমই খাতেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা। এসএমই খাতে একদিনে সূচক কমেছে ১৭ পয়েন্ট। তালিকাভুক্ত ১৮ কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে ১৩, বেড়েছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে একটি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
৩৩৬ দিন আগে
সপ্তাহ ব্যবধানে সূচক বাড়লেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ব্যাংকখাত
এক সপ্তাহের ব্যবধানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৩৩ পয়েন্ট। প্রধান সূচক বাড়লেও ইতিবাচক কোনো পরিবর্তন আসেনি ব্যাংক খাতে।
বাংলাদেশের প্রধান এই শেয়ারবাজারের সাপ্তাহিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, পাঁচ কার্যদিবসে ব্যাংকখাতে শেয়ারের দাম এবং লেনদেনের পরিমাণ দুটিই কমেছে।
তালিকাভুক্ত ৩৬ ব্যাংকের দাম কমেছে গড়ে প্রায় ৫ শতাংশ। দাম কমার পাশাপাশি গত সপ্তাহের তুলনায় লেনদেনের পরিমাণ আট শতাংশ কমেছে। এই খাতে শেয়ারের দাম কমায় আগ্রহ হারাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।
শেয়ারবাজারের সাধারণ বিনিয়োগকারী এতদিন ব্যাংকখাতকে নিরাপদ বিনিয়োগ মনে করলেও গত কয়েক সপ্তাহের পতনে এই খাতের ওপর আর ভরসা রাখতে পারছেন না।
আরও পড়ুন: শেয়ার বাজারে টানা দুই কার্যদিবস সূচকের পতন
এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্যাংকখাতে লেনদেন হওয়া শেয়ারের পরিমাণ কমেছে ১১ দশমিক ৮৯ শতাংশ। অন্যান্য ব্যাংকের শেয়ারের দাম কমার পাশাপাশি পুরো সপ্তাহজুড়ে এসআলম সংশ্লিষ্ট বেশিরভাগ শেয়ারের দাম ছিল নিম্নমুখী।
ব্যাংকখাতের পাশাপাশি অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারেরও বেহাল দশা। এই সপ্তাহে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমেছে ২৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ। খাতভিত্তিক লেনদেনে কাগজ, আবাসন, ওষুধ, সিমেন্ট এবং প্রকৌশল শিল্প নিজেদের ইতিবাচক ধারা বজায় রেখেছে।
সপ্তাহজুড়ে শেয়ারবাজারে গড় লেনদেন বেড়েছে ৯ দশমিক ১৫ শতাংশ। গত সপ্তাহে বাজারে গড় লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৩৭৪ কোটি টাকা, যা পাঁচ কার্যদিবসে বেড়ে হয়েছে ৪১২ কোটি টাকা। ডলারের হিসাবে এক সপ্তাহে বাজারে লেনদেন বেড়েছে ১৪ মিলিয়ন ডলার।
আরও পড়ুন: দুই শেয়ারবাজারেই দরপতন, ডিএসইর সূচকে কমেছে ৩৫ পয়েন্ট
সাপ্তাহিক লেনদেনে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। দামবৃদ্ধির তালিকায় আছে ২০১ কোম্পানি। এছাড়া দাম কমেছে ১৫০ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪৬ কোম্পানির। সপ্তাহ ব্যবধানে মার্কেট রিটার্ন এসেছে দশমিক ৩৫ শতাংশ।
৩৩৯ দিন আগে
বাজারে ৩ হাজার কোটি টাকার ইসলামি বন্ড ছাড়বে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
শিগগিরই বাজারে বাংলাদেশ সরকারের পঞ্চম বিনিয়োগ সুকুক বা ইসলামি বন্ড আনার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মার্চ মাসের একটি সামাজিক প্রকল্পের বিপরীতে ৩ হাজার কোটি টাকার সুকুক ইস্যু করা হবে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ভিত্তিক প্রকল্পের বিপরীতে এই সুকুক ইস্যু করা হবে।
দেশি-বিদেশি ব্যক্তি পর্যায়ের বিনিয়োগকারীদের সুকুকে উৎসাহিত করতে শরিয়াভিত্তিক ব্যাংক, ফাইন্যান্স কোম্পানি, বীমা কোম্পানির অনুকূলে ৭০ শতাংশ, কনভেনশনাল ব্যাংকগুলোর ইসলামিক ব্রাঞ্চ ও উইন্ডোজের অনুকূলে ১০ শতাংশ এবং ব্যক্তি পর্যায়ের বিনিয়োগকারী, প্রভিডেন্ট ফান্ড, ডিপোজিট ইন্সুরেন্সের অনুকূলে ২০ শতাংশ সুকুক বরাদ্দের হার পুনঃনির্ধারণ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সামাজিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের বিপরীতে এই সুকুক ইস্যু করা হবে। প্রকল্পটির মাধ্যমে গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ও প্রকল্প এলাকার আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, কৃষি ও অকৃষি পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা সহজীকরণ ও ব্যয় হ্রাস এবং স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে কর্মসংস্থানের সুযোগ নিশ্চিত হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সুকুক ক্রয়ে সকল তফসিলি ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বীমা কোম্পানি শর্তসাপেক্ষে নিলামে অংশগ্রহণ করতে পারবে। তবে নির্ধারিত শ্রেণি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সাবস্ক্রিপশন না পাওয়া গেলে অবশিষ্ট সুকুক আনুপাতিক হারে বরাদ্দ দেওয়া হবে।
বাংলাদেশে স্থায়ী বসবাসরত ব্যক্তি পর্যায়ের বিনিয়োগকারীরা তাদের নিজস্ব ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে সুকুকে বিনিয়োগ করতে পারবে।
আর প্রবাসী বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে কার্যরত যে কোনো ব্যাংকে তার অ্যাকাউন্টের বৈদেশিক মুদ্রা বা টাকার মাধ্যমে সুকুকে বিনিয়োগ করতে পারবে। সুকুকে বৈদেশিক মুদ্রায় বিনিয়োগ করলে মুনাফা, বিক্রয়লব্ধ অর্থ ও মেয়াদপূর্তিতে প্রাপ্ত আসল বৈদেশিক মুদ্রায় পরিশোধ করা হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন কার্যক্রমে শরিয়াভিত্তিক ব্যাংকিং খাতের তারল্যকে সরকারের ঘাটতি অর্থায়নে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে ২০১৯-২০ অর্থবছরে শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি বন্ড বা সুকুক চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
যারা সুদযুক্ত টি-বিল, বন্ড ও অন্যান্য সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগে আগ্রহী না, তাদের অব্যবহৃত অর্থ বিনিয়োগে সুকুককে ভালো মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
৩৩৯ দিন আগে
পুঁজিবাজারে পতন, কমেছে সবকটি সূচক
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেনে ঢাকা-চট্টগ্রাম দুই পুঁজিবাজারের সূচকের পতন হয়েছে। এক্সচেঞ্জ হাউস দুটির প্রধান সূচক থেকে শুরু করে সবকটি সূচক কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) লেনদেন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। এছাড়া শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ এবং ব্লু-চিপ ডিএস-৩০ এর সূচক কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১০৫ কোম্পানির দাম বাড়লেও কমেছে ২০৪ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৩, কমছে ১১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
‘বি’ ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে ২৯, কমেছে ৪৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম। ‘জেডে’ দাম বেড়েছে ২৩, কমেছে ৩৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
নতুন ৪ কোম্পানি ‘এন’ ক্যাটাগরির সবকটি শেয়ারের দাম কমেছে। ৩৭ মিচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে ৫, কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ২২ কোম্পানির শেয়ারের দাম। দুটি করপোরেট বন্ডের মধ্যে একটির দাম কমেছে, আরেকটির বেড়েছে।
ব্লক মার্কেটে ২৯ কোম্পানির ২১ লাখ শেয়ার ৮ কোটি ৯৬ লাখ টাকায় বেচাকেনা হয়েছে।
খাতভিত্তিক শেয়ারে তালিকাভুক্ত ৩৬ ব্যাংকের মধ্যে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৭ এবং কমেছে ১০ ব্যাংকের শেয়ারের দাম। ব্যাংকখাতে দরবৃদ্ধির শীর্ষে আছে মিডল্যান্ড ব্যাংক এবং দরপতনের শীর্ষে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক।
লেনদেন হওয়া খাতে টেক্সটাইলের দাম বেড়েছে ২ দশমিক ১৪ শতাংশ। এছাড়া ব্যাংক, সিমেন্ট এবং করপোরেট বন্ড খাতে দাম বেড়েছে। খাতভিত্তিক দরপতনে কাগজশিল্প, আইটি খাত, আবাসন এবং টেলিযোগাযোগ খাতের শেয়ারের দাম কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে।
বৃহস্পতিবার ডিএসইতে দাম বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে আছে মালেক স্পিনিং মিলস। এক দিনের লেনদেনে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৯ দশমিক ৬ শতাংশ। অন্যদিকে দরপতনে শীর্ষ কোম্পানি ওইমেক্স ইলেকট্রোডের দাম কমেছে ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
একদিনের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৫৭ কোটি টাকা। লেনদেনের পাশাপাশি কমেছে শেয়ার বেচাকেনার পরিমাণও। ডিএসইতে মোট ৩৫৬ কোটি ২৬ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৪১৩ কোটি টাকা।
একইভাবে পতনের ধারা বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। বৃহস্পতিবার সিএসই'র সার্বিক সূচক কমেছে ৬৯ পয়েন্ট। লেনদেন হওয়া ১৯২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৯, কমেছে ১০৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে ২০ লাখ ২১ হাজার শেয়ার ১ হাজার ৮০২ বার হাতবদল হয়ে মোট ৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে।
লভ্যাংশ বণ্টন
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে মোট সাতটি কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের পূর্বঘোষিত ২০২৪ সালের তৃতীয় প্রান্তিকের লভ্যাংশ দিয়েছে। ২০২৩ সালের তুলনায় সিংহভাগ কোম্পানির দেয়া লভ্যাংশের পরিমাণ কমেছে।
এর মধ্যে এসিআই লিমিটেড বিনিয়োগকারীদের ২০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে, যা ২০২৩ সালে ছিল ৪০ শতাংশ। আরেক কোম্পানি ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিসট্রিবিউশন কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের ২০২৪ সালের হিসাবে ৬০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে, যা ২০২৩ সালে ছিল ৮০ শতাংশ।
অন্যান্য কোম্পানির মধ্যে সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, এডিএন টেলিকম লিমিটেড ১০ শতাংশ, বেঙ্গল উইন্ডসোর থার্মোপ্লাস্টিক, সাইহাম কটন মিল এবং সাইহাম টেক্সটাইল ৫ শতাংশ করে লভ্যাংশ দিয়েছে।
৩৩৯ দিন আগে
লেনদেনের সময় বাড়াচ্ছে সিএসই, প্রতিবাদ ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের
চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে লেনদেনের সময়সূচি ৪৫ মিনিট বাড়ানো সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ)।
সম্প্রতি ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে পাঠানো এক চিঠিতে সিএসই জানিয়েছে, ‘২৬ জানুয়ারি থেকে সকাল ১০টার পরিবর্তে সকাল সাড়ে ৯টায় লেনদেন শুরু হবে। অন্যদিকে দুপুর ২টা ২০ মিনিটের বদলে ২টা ৩৫ মিনিটে শেষ হবে লেনদেন।’
আরও পড়ুন: বড় পতন পুঁজিবাজারে, দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির
বুধবার (২২ জানুয়ারি) সিএসইর নেওয়া এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডিবিএ জানিয়েছে, একটি দেশে একই টাইম জোনে একাধিক স্টক এক্সচেঞ্জে পৃথক ট্রেডিং সময়সূচি থাকার বিষয়টি নজিরবিহীন ও চিন্তাবহির্ভূত।
ডিএসই ও সিএসই দুই এক্সচেঞ্জে একই সিকিউরিটিজ ক্রয়-বিক্রয় হয়। প্রতিদিন একসঙ্গে ট্রেডিং শুরু হওয়ার ফলে বিনিয়োগকারী যাচাই-বাছাই করে প্রতিযোগিতামূলক উপযুক্ত দামে তাদের চাহিদামাফিক শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় করতে পারেন। সময়ের পরিবর্তন করলে সেটি বিনিয়োগকারীদের প্রতি বৈষম্য করা হবে এমন দাবি ডিবিএর।
ডিএসইর তুলনায় সিএসইর শেয়ার ভলিয়্যুম ৫ শতাংশের মতো। ট্রেডিং কার্যক্রম ও ভলিয়্যুমের দিক থেকে সিএসইর অবস্থান বিবেচনা করলে ভলিয়্যুমের স্বল্পতা এবং সকল ব্রোকারদের অংশগ্রহণ সীমিত হওয়ার কারণে প্রারম্ভিক ট্রেডিং-এ শেয়ার প্রাইস ডিসকভারি বাধাগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা করছে ডিবিএ।
ডিবিএ জানিয়েছে, ‘দুই এক্সচেঞ্জে পৃথক ট্রেডিং সময়সূচির ফলে দ্বৈত সদস্যপদপ্রাপ্ত কোম্পানিতে ট্রেডিং সেবা ও কার্যক্রম ব্যহত হবে এবং হাউসগুলোতে বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে। এতে করে বাজার ও বিনিয়োগকারীর আস্থায় এবং সামগ্রিক বাজার ব্যবস্থাপনায় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
আরও পড়ুন: সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে পুঁজিবাজারে লেনদেন
সিএসসির পক্ষ থেকে ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে জানানো হয়েছে, বিনিয়োগকারীদের জন্য নমনীয়তা এবং তারল্য সুবিধা বাড়ানোর লক্ষ্যে লেনদেনের সময়সীমা বাড়ানো হচ্ছে। চট্টগ্রাম পুঁজিবাজারে লেনদেনের সময় পরিবর্তন হলেও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের নির্ধারিত সময় অপরিবর্তিত থাকবে বলে জানা গেছে।
৩৪০ দিন আগে
বড় পতন পুঁজিবাজারে, দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির
উত্থান দিয়ে শুরু করলেও সূচকের বড় পতনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারের লেনদেন। দিন শেষে কমেছে তিনটি সূচকই, দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২৫ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৬ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ ডিএস-৩০ কমেছে ৫ পয়েন্ট।
দিনের প্রথম ঘণ্টায় সূচক বেড়ে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার ২১২ পয়েন্ট থেকে দিনের শেষ ঘণ্টায় ৫ হাজার ১৭৭ পয়েন্টে নেমে এসেছে। লেনদেন অংশ নেয়া ৩৯৬ কোম্পানির ১২ কোটি ৬২ লাখ শেয়ার ১ লাখ ৩৩ হাজার ৪১৭ বার হাতবদল হয়েছে।
লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৯২, কমেছে ২৪৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
‘এ’ ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে ৫৬, কমেছে ১২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩২ কোম্পানির শেয়ারের দাম। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ২০ কোম্পানির দাম বেড়েছে। দাম কমেছে ৬১ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
আরও পড়ুন: উত্থানের ধারা বজায় রেখে চলছে পুঁজিবাজারে লেনদেন
‘জেড’ ক্যাটাগরিতে থাকা ৮৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২০, কমেছে ৬১ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম। নতুন ইস্যুকৃত শেয়ার ‘এন’ ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে ১ এবং কমেছে ৩ কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৭ মিচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে ৪, কমেছে ১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম। ডিএসই তালিকাভুক্ত দুটি কর্পোরেট বন্ডের দুটির দামই কমেছে।
এদিকে গতবছর তৃতীয় প্রান্তিকের লভ্যাংশ দিয়েছে ফার কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। এক শতাংশ করে লভ্যাংশ দেওয়ায় কোম্পানিটিকে ‘জেড’ ক্যাটাগরি থেকে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করলেও মার্চেন্ট ব্যাংক এবং ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে কোম্পানির শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের ঋণ না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ডিএসইসি।
একইভাবে বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দিয়েছে ন্যাশনাল টিউবস লিমিটেড এবং শার্প ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। নির্ধারিত লভ্যাংশ না দেওয়ায় কোম্পানি দুটির শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের ঋণ না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ডিএসইসি। তবে কোম্পানি দুটিকে ‘জেড’ ক্যাটাগরি থেকে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
বেসরকারি ব্যাংক ডাচ-বাংলা পিএলসিকে বাজারে এক হাজার ২০০ কোটি টাকার সাব-অর্ডিনেট বন্ড ছাড়ার অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
আন্তর্জাতিক নীতিমালা ব্যাসেল-৩ অনুসারে, মূলধন বৃদ্ধিতে ২০২৩ সালের ২৮ ডিসেম্বর বাজারে বন্ড ছাড়ার অনুমতি চায় ডাচ-বাংলা ব্যাংক। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই ডাচ বাংলাকে বাজারে বন্ড ছাড়ার অনুমতি দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্যানুযায়ী, আন সিকিউরড, নন-কনভার্টেবল ও রিডিমেবল ক্যাটাগরির মোট ১ হাজার ২০০ বন্ড বাজারে ছাড়বে ব্যাংকটি। প্রতিটি বন্ডের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ কোটি টাকা।
বুধবার পুঁজিবাজারে দাম বৃদ্ধির শীর্ষে ছিল বঙ্গোজ লিমিটেড। একদিনে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ১০ শতাংশ। অন্যদিকে দরপতনের শীর্ষে থাকা কোম্পানি রেনউইক জাজেন্সওয়্যারের শেয়ারপ্রতি দাম কমেছে প্রায় ৭ শতাংশ।
ডিএসই'র ব্লক মার্কেটে ৩০ কোম্পানির ৪৮ লাখ ৪৬ হাজার শেয়ার ৮২ বার হাতবদল হয়ে মোট ৩৫ কোটি ৩৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা লেনদেন হয়েছে।
গত দিনের তুলনায় ডিএসইতে ৮৬ কোটি টাকা লেনদেন কমে মোট ৪১৩ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।
মূল সূচক কমলেও ডিএসই'র এসএমই খাতে বেড়েছে সূচকের পয়েন্ট। একদিনের লেনদেনে ডিএসএমইএক্সের সূচক বেড়েছে ১২ পয়েন্ট, যা গতদিনের তুলনায় ১ দশমিক ১৩ শতাংশ বেশি।
সূচক বাড়ার পাশাপাশি এ খাতে লেনদেনও বেড়েছে প্রায় ৩ কোটি। গতদিন ৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকার লেনদেন হলেও বুধবার লেনদেন ছাড়িয়েছে ১২ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে পুঁজিবাজারে লেনদেন
বুধবার চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচক বাড়লেও দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেন শেষে সিএসসিএক্সের সূচক বেড়েছে ৫ পয়েন্ট। লেনদেন হওয়া ১৮৯ কোম্পানির মধ্যে ১০৩ কোম্পানিরই দাম কমেছে। দাম বেড়েছে ৬৬ এবং অপরিবর্তিত আছে ২০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সূচক বাড়ার পাশাপাশি চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) লেনদেন বেড়েছে ৯০ লাখ টাকা। মোট লেনদেন হয়েছে ৫ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট।
৩৪০ দিন আগে
তৃতীয় কার্যদিবসেও সূচকের উত্থান, লেনদেন প্রায় ৫০০ কোটি
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে সবকটি সূচকের পয়েন্ট বেড়েছে। এদিন লেনদেন হয়েছে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা।
সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন শুরু হয়। দিনের কার্যক্রম শুরুর প্রথম ৪০ মিনিটে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫ হাজার ১৯৫ পয়েন্ট থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৫ হাজার ২৩৪ পয়েন্টে দাঁড়ায়। তবে প্রথম ঘণ্টার পর থেকে কমতে শুরু করে সূচকের উত্থানের ধারা।
দিনের শুরুর ধারা বজায় রাখতে না পারলেও দিনের শেষে গত কার্যদিবসের তুলনায় ডিএসইএক্সের সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে থেমেছে। অন্য দুই ইনডেক্স—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএসের সূচক ১ পয়েন্ট এবং ব্লু চিপের সূচক বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
আজ লেনদেনে দাম বেড়েছে ১৬৫ কোম্পানির, কমেছে ১৫৬টির এবং দাম অপরিবর্তিত আছে ৮০টি কোম্পানির। লেনদেন হওয়া ‘এ’ ক্যাটাগরির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৯০টির, কমেছে ৯০টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১টি কোম্পানির।
আরও পড়ুন: দিনের শুরুতে ঊর্ধ্বমুখী তিন সূচক, কোম্পানির দামও বাড়তি
‘বি’ ক্যাটাগরিতে শেয়ারের দাম বেড়েছে ৪১টি কোম্পানির, কমেছে ২৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯টির। তবে ‘জেড’ ক্যাটাগরির ৩২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়লেও কমেছে ৩৫টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২০টি কোম্পানির।
‘এন’ ক্যাটাগরিতে নতুন তালিকাভুক্ত ৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ২টির এবং কমেছে ৩টি কোম্পানির। ৩৭টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ১৭টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত ছিল। পাশাপাশি বেড়েছে ১৫টির এবং কমেছে ৫টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিন ব্লক মার্কেটে ৭৩টি কোম্পানির মোট ১৯ লাখ ৬২ হাজার ৫৯৬ শেয়ার বেচাকেনা হয়েছে, বর্তমান বাজারে যার মূল্যমান ১৫ কোটি ৪৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
এক দিনের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে আজ লেনদেন বেড়েছে ৭৩ কোটি টাকা। ৪৯৯ কোটি ১৪ লাখ ১৫ হাজার টাকায় মোট ১ লাখ ৬৩ হাজার ৯০০ শেয়ার এবং ইউনিট বেচাকেনা হয়েছে আজ।
মঙ্গলবারের লেনদেন চলাকালে ৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ বেড়ে দরবৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে বেস্ট হোল্ডিংস। অপরদিকে, শেয়ারপ্রতি ১০ শতাংশ দাম কমে দরপতনের শীর্ষে রয়েছে অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন লিমিটেড।
লেনদেনের পাশাপাশি তিনটি কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের জুলাই প্রান্তিকের ঘোষিত লভ্যাংশ বণ্টন করেছে। এর মধ্যে জিমিনি সি ফুড পিএলসি শেয়ারপ্রতি ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ, মুন্নু ফেব্রিকস লিমিটেড ১ শতাংশ এবং প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল পিএলসি ৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে।
উত্থানের ধারা বজায় আছে চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ সিএসসিএক্সের সূচক বেড়েছে আজ ৩৮ পয়েন্ট।
আরও পড়ুন: পাঁচ কার্যদিবস পর সূচকের উত্থান দেখল পুঁজিবাজার
লেনদেন হওয়া ১৪৭টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৯৫টির, কমেছে ৬১টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৩১টি কোম্পানির। মোট লেনদেন হয়েছে ৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা, যা গতদিনের তুলনায় ২ কোটি টাকা বেশি।
৩৪১ দিন আগে