ব্যবসা
দেশের আর্থিক খাতের বিপদ কেটে গেছে: মুখপাত্র
অন্তবর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর গত পাঁচ মাসে দেশের আর্থিক খাতে যে স্থিতিশীলতা এসেছে, তাতে সন্তুষ্ট নয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে এই খাতের বিপদ ও ঝুঁকি কেটে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মুখপাত্র বলেন, ‘সুখবর হলো অর্থনৈতিক ক্ষতি এরইমধ্যে অনেকটা কমে গেছে, ঝুঁকিও কেটে গেছে। গত পাঁচ মাসে (জুলাই থেকে নভেম্বর) বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো পুনর্গঠন, ব্যাংকিং টাস্কফোর্স গঠন, বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে স্থিতিশীলতা, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন সংকটের সমাধানে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এসব পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে বেশ কিছু সুবিধা অর্জিত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘কোনো কোনো উদ্যোগের ফল পেতে একটু সময় লাগবে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক খাতে এখনও পূর্ণ স্থিতিশীলতা আসেনি, যে কারণে আমরা খুশি নই।’
এক প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় বাংকের এই মুখপাত্র বলেন, ‘চলতি বছরের শেষের দিকে জানা যাবে— কী পরিমাণ অর্থ বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে এবং কোন ব্যাংকের মাধ্যমে কোন দেশে সেটি হয়েছে।’
‘আবার পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনাও সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো কাজ করছে। নিরাপত্তার স্বার্থে তারা এ বিষয়ে কোনো তথ্য আমাদের দেবে না।’তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (বিএফআইইউ) এখন পর্যন্ত ৪০০ ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছ। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আমরা নীতি সুদ হার বাড়িয়েছি। জানুয়ারিতে মুদ্রাস্ফীতি কমে আসবে বলে আশা রাখছি। যদি মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে না আসে, ফের নীতি সুদ হার বাড়ানো হবে।’নিম্নমুখী বেসরকারি ঋণ প্রবৃদ্ধি নিয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কেবল সুদের হারের ওপরই বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি নির্ভর করছে না, এরসঙ্গে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও জ্বালানি সরবরাহ এবং বন্দর সুবিধাও জড়িত।’
৩৫৫ দিন আগে
ছয় ব্যাংকের এমডিকে বাধ্যতামূলক ছুটি
আন্তর্জাতিক নিরীক্ষার স্বার্থে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হচ্ছে দেশের সংকটাপন্ন ছয়টি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি)। এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন এসব ব্যাংকের পরিচালনা বোর্ডকে সম্প্রতি এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বলেন, নিরীক্ষা ও অ্যাসেট কোয়ালিটি রিভিউতে তারা যাতে অযাচিত হস্তক্ষেপ করতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।ব্যাংকগুলো হলো— ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের (এফএসআইবি), আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক এবং আইসিবি ইসলামী ব্যাংক। এরইমধ্যে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের (এফএসআইবি) এমডি সৈয়দ ওয়াসেক আলীকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়। চট্টগ্রামভিত্তিক এস আলম গ্রুপকে অনিয়মের মাধ্যমে ঋণ ছাড়ের ঘটনায় তার দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ পেয়েছে কর্তৃপক্ষ।শনিবার (৪ জানুয়ারি) এক জরুরি বৈঠকে ওয়াসেক আলীকে আগামী তিন মাসের জন্য বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। এফএসআইবির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী মান্নান এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ব্যাংকটির ভারপ্রাপ্ত এমডির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত ব্যাবস্থাপনা পরিচালক আবু রেজা ইয়াহিয়াকে।বাকি পাঁচ ব্যাংকের এমডিকে ছুটিতে পাঠানোর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, গেল বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) এসব ব্যাংকের পরিচালনা বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে একটি জরুরি বৈঠক করেছে। অধিকতর তদন্ত ও আরও পদক্ষেপ নেওয়ার স্বার্থে এই পাঁচ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) এস আলমঘনিষ্ঠ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সরিয়ে দিতে বলা হয়েছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা পাওয়ার পরে শনিবার একটি জরুরি সভা করে এফএসআইবি। সেখানে এমডিকে ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।এছাড়া রোববার (৫ জানুয়ারি) সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা বোর্ডের একটি জরুরি সভা ডাকা হয়েছে। এতে ব্যাংকটির শীর্ষ পদগুলোতে পরিবর্তন আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন সাইফুল আলম মাসুদ। তিনি এস আলম গ্রুপেরও প্রধান। সরকার পরিবর্তনের পর গেল ১ সেপ্টেম্বর ব্যাংকটির পরিচালনা বোর্ড ভেঙে দিয়ে নতুন করে গঠন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে ব্যাংকটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আবদুল মান্নানকে। ২০১৭ সালে এস আলম যখন ব্যাংকটির দায়িত্ব নেয়, তখন তাকে বলপূর্বক সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।অন্য একটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান বলেন, যেসব ব্যাংকে দুর্নীতি হয়েছে। ওই সময়ে যিনি সেটির এমডির দায়িত্ব পালন করেছেন, তাকে কিছুদিনের জন্য ছুটিতে পাঠানো হবে, যাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক নিরীক্ষা সংগঠনগুলো সঠিকভাবে কাজ করতে পারে।ব্যাংক সংস্কারের জন্য গঠিত ব্যাংকিং টাস্ক ফোর্সের পরামর্শেই এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা ইউএনবিকে বলেন, ৬ ব্যাংকের এমডি ছুটিতে থাকবেন। এটি সকল ব্যাংকিং পর্ষদের সম্মিলিত সিদ্ধান্ত। বাংলাদেশ এই ছয় ব্যাংকে অডিট পরিচালনা এবং অ্যাসেট কোয়ালিটি রিভিউ করবে।‘এসময়ে এ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা যেন অযাচিত হস্তক্ষেপ করতে না পারে সেজন্য এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আপাতত এমডিদের এই ছুটি সাময়িক। অডিট শেষে যদি তারা নির্দোষ প্রমাণিত হন, তাহলে তাদের কাজে যোগদানে কোনো বাধা থাকবে না। আর তাদের ত্রুটি পাওয়া গেলে নিয়মনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক রীতি অনুযায়ী নেয়া হয়েছে।’
৩৫৭ দিন আগে
বছর শেষে ব্যাংকগুলোর প্রবৃদ্ধি স্থিতিশীল, ঘুরে দাঁড়িয়েছে পুঁজিবাজার
নতুন বছরের শুরুতে ব্যাংকিং শেয়ারগুলোর স্থিতিশীলতায় গত সপ্তাহে শেয়ার বাজারে একটি ইতিবাচক দিকে ঘুরে দাঁড়াতে দেখা গেছে। বাজারের চ্যালেঞ্জিং চার বছর পরে সুযোগগুলো বিনিয়োগকারীদের মাঝে নতুন করে আশা জাগিয়েছে।
নতুন বছরটি একটি ইতিবাচক গতিতে শুরু হয়। আশাবাদী বিনিয়োগকারীরা ২০২৪ সালে উল্লেখযোগ্য সংশোধনের মধ্য দিয়ে অতিবিক্রিত শেয়ারগুলোকে পুঁজি করেছেন।
বিশ্লেষকদের মতে, বাজারের পুনরুদ্ধার মূলত হাতেগোনা শীর্ষ ব্যাংকিং শেয়ারগুলোর মাধ্যমে উৎসাহিত হয়েছিল। বিশেষত প্রধান ব্যাংকগুলো ২০২৪ সালের জন্য পরিচালন মুনাফার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির কথা জানিয়েছে। কিন্তু, বৃহত্তর বাজার মনোভাব অব্যাহত রয়েছে।
বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বেঞ্চমার্ক সূচক, ডিএসইএক্স, বছরের প্রথম ব্যবসায়িক সপ্তাহ একটি ইতিবাচক নোটে শেষ করেছে। ১৫ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ২৯ শতাংশ বেড়ে ৫ হাজার ২০০ পয়েন্টে বন্ধ হয়েছে।, যা আগের সপ্তাহের ৩৭ পয়েন্টের পতন থেকে পুনরুদ্ধার করেছে।
একইভাবে, ৩০টি বিশিষ্ট কোম্পানির প্রতিনিধিত্বকারী ব্লু-চিপ ডিএস৩০ সূচক ৪ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯৩১-এ পৌঁছেছে। তবে শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানিগুলোর ওপর নজর রাখা ডিএসইএস সূচক ১২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৫৫টিতে দাঁড়িয়েছে।
বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণও বেড়েছে, গড় দৈনিক টার্নওভার ১৮ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে ৩৪৮ দশমিক ১ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে, যা আগের সপ্তাহে ২৯৩ দশমিক ৫ কোটি টাকা ছিল।
আরও পড়ুন: শিগগিরই ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাংকিং খাত লেনদেনে নেতৃত্ব দিয়েছে, ব্যবসার ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ, ফার্মাসিউটিক্যালস (১৬ দশমিক ৯ শতাংশ) এবং প্রকৌশল (৮ দশমিক৮ শতাংশ)।
খাতগুলোর মিশ্র ফলাফলের মধ্য দিয়ে সপ্তাহটি শেষ হয়েছে। ব্যাংকিং শেয়ারগুলো সর্বাধিক মুনাফা অর্জনকারী হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে, যা বেড়েছে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ। অন্যদিকে পাট খাত সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে, ৪ দশমিক শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
বাজারের সংশ্লিষ্টরা উল্লেখ করেছেন, শীর্ষস্থানীয় ব্যাংকগুলো ২০২৪ সালে পরিচালন মুনাফায় দ্বিগুণ অঙ্কের প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। প্রাথমিকভাবে সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ থেকে যথেষ্ট আয় করেছে।
এই বৃদ্ধির ফলে তাদের শেয়ারের দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছে একটি বিশিষ্ট ব্রোকারেজ হাউজ।
পরিস্থিতি ঘুরে দাঁড়ানো সত্ত্বেও, অনেক বিনিয়োগকারী সতর্ক রয়েছেন। তারা শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রগুলোতে ক্রমাগত হতাশা দূর করার জন্য একটি প্রধান অনুঘটকের অনুপস্থিতিতে বাজারের প্রবণতা পর্যবেক্ষণ করছেন।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের উত্থান হয়েছে।
সিএসই অল শেয়ারের মূল্য সূচক (সিএএসপিআই) ১১৭ পয়েন্ট বেড়ে ১৪ হাজার ৫৫২ পয়েন্টে এবং সিলেক্টিভ ক্যাটাগরির সূচক (সিএসসিএক্স) ৬৬ পয়েন্ট বেড়ে ৮ হাজার ৮৫৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
বন্দর সিটি এক্সচেঞ্জে ১৬৭ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ফার্মাসিউটিক্যালস এবং পেট্রোলিয়াম খাতে শক্তিশালী পারফরম্যান্স মূলত বাণিজ্য কার্যক্রমকে চালিত করেছিল।
আরও পড়ুন: বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে রপ্তানির ভিত্তি শক্তিশালী করুন: ড. ইউনূস
৩৫৯ দিন আগে
বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে রপ্তানির ভিত্তি শক্তিশালী করুন: ড. ইউনূস
প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাজারে সামগ্রিক রপ্তানি বাড়াতে সেবা খাতে আরও বেশি বিনিয়োগের মাধ্যমে রপ্তানির ভিত্তি শক্তিশালী করতে দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায় ও উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, ‘আমাদের রপ্তানি বাড়াতে হবে। এটি বাড়াতে পণ্যের পাশাপাশি সেবা খাতে আরও বিনিয়োগে সব ব্যবসায়ীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।’
বুধবার (১ জানুয়ারি) রাজধানীর পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে ২৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ)-২০২৫ এর উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
উদ্যোক্তাদের ভূমিকার গুরুত্ব তুলে ধরে ড. ইউনূস বলেন, রপ্তানিযোগ্য পণ্য উৎপাদন করা গুরুত্বপূর্ণ। তবে তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো পণ্যটির তৈরি করেছে তা জানা জরুরি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, প্রতিবছরই 'প্রোডাক্ট অব দ্য ইয়ার' ঘোষণা করা হয়ে থাকে। এ বছর বর্ষসেরা পণ্য হলো ফার্নিচার পণ্য।
ড. ইউনূস বলেন, এই প্রক্রিয়ার পাশাপাশি তিনি 'এন্টারপ্রেনার অব দ্য ইয়ার' চালু করতে চান, যাতে সবাই জানতে পারে যে এই পণ্য কারা উৎপাদন করেছে।
প্রধান উপদেষ্টা বৈচিত্র্যময় পণ্যের উপস্থিতির মাধ্যমে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের পণ্যগুলোর প্রচারে সরকারের উদ্যোগ তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক (আরএমজি) ইতোমধ্যে বৈশ্বিক পোশাক বাজারে নেতৃস্থানীয় অবস্থান তৈরি করেছে।
ড. ইউনূস বলেন, রপ্তানি বাণিজ্য বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পাশাপাশি দারিদ্র্য ও বেকারত্ব নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ‘এটি বাংলাদেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের মৃত্যুতে ড. ইউনূসের শোক
মাসব্যাপী এ মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তিনি। এ সময় বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবছরের মতো এবারও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) যৌথভাবে এ মেলার আয়োজন করেছে।
এবারের বাণিজ্য মেলায় প্রথমবারের মতো বিভিন্ন ক্যাটাগরির স্টল বা প্যাভিলিয়নের জন্য স্পেস অনলাইনে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
মেলায় প্রথমবারের মতো ই-টিকেটিং সুবিধাও চালু করা হয়েছে।
মেলায় ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে বিআরটিসির ডেডিকেটেড বাস সার্ভিসের পাশাপাশি উবার সেবার থাকছে বিশেষ ছাড়।
এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান জানিয়ে মেলা প্রাঙ্গণে তৈরি করা হয় 'জুলাই চত্বর' ও 'ছত্রিশ চত্বর'।
দেশের তরুণ সমাজকে রপ্তানি বাণিজ্যে উৎসাহিত করতে একটি ইয়ুথ প্যাভিলিয়নও স্থাপন করা হয়েছে। এ বছর মেলায় সম্ভাবনাময় খাত/পণ্যভিত্তিক সেমিনার আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিদেশি উদ্যোক্তা ও অংশগ্রহণকারীদের সুবিধার্থে থাকবে পৃথক সোর্সিং কর্নার, ইলেকট্রনিক্স ও ফার্নিচার জোন।
বয়সভিত্তিক দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে টেকনোলজি কর্নার স্থাপন করা হয়েছে এবং প্রবীণ নাগরিকদের জন্য সিটিং কর্নার থাকবে।
বিশুদ্ধ বিনোদন নিশ্চিত করতে মেলায় একটি শিশুপার্কও রয়েছে।
পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে টানা চতুর্থবারের মতো এ মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
মেলার সাজানোর নকশা অনুযায়ী দেশীয় উৎপাদনকারী ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান, সাধারণ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বিদেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে বিভিন্ন ক্যাটাগরির ৩৬১টি প্যাভিলিয়ন/স্টল/রেস্তোরাঁ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: পেছনে ফেরার কোনো সুযোগ আমাদের নেই: অধ্যাপক ইউনূস
৩৬২ দিন আগে
শিগগিরই ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক
সব ব্যাংকের ডলার লেনদেনে স্বচ্ছতা বাড়ানোর লক্ষ্যে মার্কিন ডলারের একক বিনিময় হার চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
২০২৪ সালের পুরো সময়ে বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনায় সক্রিয়ভাবে কাজ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। স্থানীয় মুদ্রা একাধিকবার অবমূল্যায়িত হওয়ায় আমদানির অর্থ পরিশোধের সুবিধার্থে ডলার সরবরাহ করেছিল ব্যাংকটি।
ডলার সংকটের কারণে ব্যবসায়ীরা উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে, বিশেষ করে ঋণপত্র খোলার ক্ষেত্রে (এলসি)। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো প্রায়ই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্ধারিত হারে মার্কিন ডলার সরবরাহ করতে হিমশিম খায়। যার ফলে আমদানিকারকরা তাদের দায় মেটাতে ডলারের জন্য বেশি দাম দিতে বাধ্য হয়।
ডলারের এই উচ্চমূল্য সত্ত্বেও ২০২৪ সালে অভ্যন্তরীণ বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমেনি।
এই সমস্যা সমাধানের জন্য, কেন্দ্রীয় ব্যাংক সাত মাস আগে ক্রলিং পেগ সিস্টেম বাস্তবায়ন করে। এরপর এববার ডলারের জন্য একক বিনিময় হার চূড়ান্ত করার পরিকল্পনা করেছে।
এই ব্যবস্থার অধীনে, কেন্দ্রীয় একটি রেফারেন্স রেট চালু করবে, যার ফলে ব্যাংকগুলো ক্রয় এবং বিক্রয় হারের মধ্যে সর্বোচ্চ ১ টাকার পার্থক্য নিয়ে ডলার লেনদেন করতে পারবে।
ডলারের বাজার স্থিতিশীল করার লক্ষ্যে শিগগিরই এ সিদ্ধান্তের আনুষ্ঠানিক পরিপত্র জারি করা হবে।
গভর্নরের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেওয়া একটি বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, 'যেসব ব্যাংক এই নির্দেশনা লঙ্ঘন করলে তা সর্বনিম্ন ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা এলসি লেনদেনের মূল্যের ৫ শতাংশ জরিমানার মুখোমুখি হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রায় ৪০টি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ট্রেজারি প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন।
গভর্নর জোর দেন যে ব্যাংকগুলোকে অবশ্যই তাদের বিনিময় হার প্রকাশ করতে হবে এবং লেনদেনগুলো এই হার মেনে চলছে তা নিশ্চিত করতে হবে।
এছাড়া লেনদেনের সব তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দিতে হবে। স্বচ্ছতার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক দৈনিক দুইবার সার্বিক বাজার দর প্রকাশ করবে।
কমপ্লায়েন্স কার্যকর করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে একটি অভিযোগ সেল গঠন করবে। এই সেল ব্যাংকিং সেক্টর বা সংক্ষুব্ধ গ্রাহকদের অভিযোগ তদন্ত করবে।
আরও পড়ুন: রেমিট্যান্স বাড়ায় দেশের রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে
৩৬২ দিন আগে
বিনিময় হার স্থিতিশীল করতে পদক্ষেপ নিল বাংলাদেশ ব্যাংক
ডলারের চাহিদা বৃদ্ধির কারণে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে সৃষ্ট অস্থিরতার মূল কারণগুলো চিহ্নিত করে সমাধানমূলক ব্যবস্থা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ব্যাংক পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
তারা বলেন, পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে বাংলাদেশ ব্যাংক বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে।
বিনিময় হার নির্ধারণ
রেমিট্যান্স আহরণে প্রতি ডলারের সর্বোচ্চ বিনিময় হার ১২৩ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ক্রস-কারেন্সি লেনদেনের জন্য, গণনা করা হার এই সীমা অতিক্রম করতে পারবে না।
ডাটা মনিটরিং সিস্টেম
বৃহত্তর স্বচ্ছতা এবং নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করে বাজারের তথ্য নিবিড়ভাবে নিরীক্ষণের জন্য একটি ড্যাশবোর্ড চালু করা হয়েছে।
বর্তমান সংকট দূর করা এবং ডলারের বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনাইকেন্দ্রীয় ব্যাংকের পদক্ষেপের লক্ষ্য।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে কোটিপতির অ্যাকাউন্টের সংখ্যা কমেছে: বাংলাদেশ ব্যাংক
কর্মকর্তাদের মতে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক চলমান ডলারের বাজারে অস্থিরতার জন্য বেশ কয়েকটি আন্তঃসম্পর্কিত কারণকে চিহ্নিত করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, এর একটি বড় কারণ হলো অর্থবছর শেষে ডলারের চাহিদা বেড়ে যাওয়া। ডিসেম্বরে প্রায়ই ঋণ পরিশোধ এবং অন্যান্য আর্থিক বাধ্যবাধকতা বৃদ্ধি পায়, যা বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে।
আইএমএফ’র নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাম্প্রতিক ডলার বিক্রির স্থগিতাদেশ এটিকে আরও জটিল করে তুলেছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে আন্তঃব্যাংক বাজারে ডলারের সরবরাহ সীমিত হয়েছে। এতেই চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে ব্যবধান আরও বেড়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশের ক্রেডিট রেটিং নিম্নমানের হওয়ায় বিদেশি ব্যাংকগুলোর সঙ্গে ব্যাংকিং পরিষেবা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। এটি ইউপিএএস (ইউসেন্স পেয়েবল অ্যাট সাইট) ক্রেডিট লেটার ইস্যু করা, পেমেন্টের পরিপক্কতা স্থগিত করা এবং অফশোর ব্যাংকিং ঋণের প্রবাহ বজায় রাখাকে আরও চ্যালেঞ্জিং করে তুলেছে।
ডিসেম্বরের মধ্যে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের বাধ্যবাধকতা আরোপের বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনাটি এই অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে।
আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো রেমিট্যান্স আহরণে উপভোক্তাদের পরিষেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান এবং মধ্যস্থতাকারীদের ভূমিকা। তাদের একচেটিয়া চর্চা বিনিময় হারকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে, যা চলমান অস্থিরতার জন্য দায়ী।
বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ডলার প্রবাহ ও বহিঃপ্রবাহের অসামঞ্জস্যতা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। যা ডলারের বাজারে অস্থিতিশীলতা আরও বাড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: ডলার বিনিময় হার সংস্কার নিয়ে ভাবছে বাংলাদেশ ব্যাংক-আইএমএফ
৩৬৩ দিন আগে
রেমিট্যান্স বাড়ায় দেশের রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে
প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখার মতে, ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্তমান রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৮৪ কোটি মার্কিন ডলার (২৪ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার)।
কিন্তু আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিপিএম-৬ হিসাব পদ্ধতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলার রেকর্ড করা হয়েছে।
এর আগে ৬ নভেম্বর রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল। তবে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে রিজার্ভ ১৯ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে যাওয়ায় ধীরে ধীরে তা কমেছিল।
এই পতন সত্ত্বেও, রেমিট্যান্স প্রবাহ দেশের রিজার্ভকে একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসাহ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে রেমিট্যান্স এসেছে সাড়ে ৬১ কোটি ডলার
ডিসেম্বরের প্রথম ২১ দিনে বাংলাদেশ রেমিট্যান্স এসেছে ২০৭ কোটি ডলার, যা অক্টোবর ও নভেম্বরে পাওয়া যথাক্রমে ১৫৭ কোটি ৫০ লাখ ও ১৫৭ কোটি ২০ লাখ ডলারের তুলনায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৃদ্ধি।
রেমিট্যান্সের ক্রমবর্ধমান প্রবাহ বাংলাদেশের প্রবাসীদের কাছ থেকে ব্যাপক আর্থিক সহায়তার ইঙ্গিত দেয়। যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ইতিবাচক অবদান রাখছে।
রেমিট্যান্সের এই ইতিবাচক ধারা অন্যান্য আর্থিক কারণের পাশাপাশি বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার অবস্থানকে শক্তিশালী করবে এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একটি সহায়তা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
৩৭০ দিন আগে
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রার শর্ত শিথিল করল আইএমএফ
বাংলাদেশের চলমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রার শর্ত শিথিল করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।
এর আগে আইএমএফ ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ ন্যূনতম নিট রিজার্ভ ১ হাজার ৯৪৩ কোটি ডলার রাখার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল। সেই লক্ষ্যমাত্রা এখন কমে দাঁড়িয়েছে ১৭ দশমিক ২৮ বিলিয়ন ডলারে।
এ ছাড়া চলতি ডিসেম্বর শেষে ১ হাজার ৫৩০ কোটি ডলার বজায় রাখার শর্ত ছিল। গত সোমবার পর্যন্ত রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৯০ কোটি ডলার, যা আইএমএফের পরবর্তী ঋণের কিস্তি পরিশোধে কোনো বাধা হবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা।
আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দল সম্প্রতি বাংলাদেশের ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের শর্তের অগ্রগতি পর্যালোচনা শেষ করেছে।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দলের সমাপনী সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে আইএমএফ মনোযোগ দেওয়ার প্রয়োজন এমন মূল ক্ষেত্রগুলো তুলে ধরেছে।
বিনিময় হার নির্ধারণে বাংলাদেশকে আরও বাজারভিত্তিক পদ্ধতি অবলম্বন করার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। এটি সহজতর করতে বিনিময় হার নির্ধারণের জন্য শিগগিরই একটি নতুন পদ্ধতি চালু করা হবে। আইএমএফ দুর্বল ব্যাংকগুলোর কার্যক্রম স্থিতিশীল করতে তারল্য সহায়তা হিসেবে ২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা পর্যায়ক্রমে ঋণ দেওয়ার সুপারিশ করেছে।
আরও পড়ুন: ডলার বিনিময় হার সংস্কার নিয়ে ভাবছে বাংলাদেশ ব্যাংক-আইএমএফ
এছাড়া, এটি জোর দেয় যে, এমন কোনো নতুন ব্যবস্থা নেওয়া উচিত নয়, যা অর্থ সরবরাহ বাড়াবে এবং মুদ্রাস্ফীতিকে আরও বাড়াবে।
আইএমএফ তার সুপারিশে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বাড়ানোর লক্ষ্যে একটি পুনর্গঠিত মুদ্রানীতি কাঠামোর প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মূল্যস্ফীতির চাপ কমানো এবং আর্থিক খাতে আরও ভালো স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা।
এই পদক্ষেপগুলোর বেশিরভাগই ২০২৫ সালের মার্চ মাসের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এদিকে আর্থিক তদারকি বাড়াতে হালনাগাদ অর্থনৈতিক সূচক ও নিয়ন্ত্রক তথ্যের সময়মতো প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছে আইএমএফ।
৩৭৪ দিন আগে
ডিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার কর্মদিবসের শুরুর প্রথম ঘণ্টায় সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন চলছে।
৪৫ হাজার ৩৫৫ লেনদেনের মাধ্যমে ৪ কোটি ৬৩ লাখ শেয়ার ও ইউনিট কেনাবেচা হয়েছে। এ সময়ে ২৬২ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিএসইতে মূল্যসূচক বাড়ল ১৪. ৪৮ পয়েন্ট
এ সময় ডিএসইতে মোট ৩৭৮টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নেয়। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৩০৬টির, কমেছে ৩৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৮টি কোম্পানির শেয়ারমূল্য।
মঙ্গলবার প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইএক্সের প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ৬৫ দশমিক ৭১ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ২৪৪ দশমিক ৫৮ পয়েন্টে, ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক ২২ দশমিক ৮ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৭৫ দশমিক ২৫ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ স্পেশাল ব্লু চিপ ২৩ দশমিক ৫২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৩১ দশমিক ৮৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিএসইতে ১ ঘণ্টায় সূচক কমল ১০.৭১ পয়েন্ট
৩৭৭ দিন আগে
ব্যাংকে চাকরি প্রার্থীদের বয়সসীমা বাড়াল বাংলাদেশ ব্যাংক
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ব্যাংকগুলোতে প্রবেশ স্তরের চাকরির জন্য নতুন বয়সসীমা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের (বিআরপিডি) পরিচালক মোহাম্মদ শাহরিয়ার সিদ্দিকীর সই করা এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকে সরাসরি নিয়োগের বয়সসীমা আগের ৩০ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩২ বছর নির্ধারণ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে কোটিপতির অ্যাকাউন্টের সংখ্যা কমেছে: বাংলাদেশ ব্যাংক
গত ১৮ নভেম্বর আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত একটি অধ্যাদেশে সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত এবং সংবিধিবদ্ধ সংস্থার পাশাপাশি আর্থিক প্রতিষ্ঠান নয় এমন সরকারি করপোরেশন এবং স্ব-শাসিত সংস্থার জন্য সরাসরি নিয়োগের বয়সসীমা বাড়িয়ে ৩২ বছর করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘অধ্যাদেশের আলোকে এখন ব্যাংকগুলোকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরির সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছরের পরিবর্তে ৩২ বছর নির্ধারণের নির্দেশনা দেওয়া হলো।’
২০১৩ সালের ২৩ জুন বিআরপিডি সার্কুলার নম্বর ০৮-এ বর্ণিত পূর্বের নির্দেশনাও বাতিল করা হয়। তবে, প্রত্যাহার করা নির্দেশিকাগুলোর অধীনে পূর্বে নেওয়া পদক্ষেপগুলো বৈধ থাকবে।
আরও পড়ুন: ডলার বিনিময় হার সংস্কার নিয়ে ভাবছে বাংলাদেশ ব্যাংক-আইএমএফ
৩৭৮ দিন আগে