ব্যবসা
আইসিবিকে স্বল্প সুদে ৩ হাজার কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন দিল বাংলাদেশ ব্যাংক
ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) জন্য প্রাথমিক সুদহার ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪ শতাংশ নির্ধারণ করে ৩ হাজার কোটি টাকা ঋণের অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) আইসিবির চেয়ারম্যান আবু আহমেদ জানান, ঋণের দুই-তৃতীয়াংশ করপোরেশনের বিদ্যমান ঋণ পরিশোধে ব্যয় করা হবে এবং অবশিষ্ট অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করা হবে।
আরও পড়ুন: বিবিসি বাংলার প্রয়াত পাঁচ সাংবাদিককে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ
এর আগে গত ১৩ নভেম্বর ঋণ সহজীকরণে সার্বভৌম গ্যারান্টি দেয় সরকার।
এই গ্যারান্টির ভিত্তিতে গত ২৭ নভেম্বর আইসিবিকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়ে ১০ শতাংশ সুদে তিন হাজার কোটি টাকা ঋণ অনুমোদন করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
পরে আইসিবি বাংলাদেশ ব্যাংককে জানায় ১০ শতাংশ সুদের হার প্রতিষ্ঠানটির জন্য টেকসই নয় এবং তা কমিয়ে ৪ শতাংশ করার অনুরোধ করে।
ওই প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংশোধিত সুদহারে ঋণ অনুমোদন করে।
আবু আহমেদ বলেন, বৃহত্তর অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ জোরদার করার পাশাপাশি ঋণ পরিশোধে আইসিবির সক্ষমতা বৃদ্ধি করাই এই আর্থিক সহায়তার লক্ষ্য।
আরও পড়ুন: বিবিএসের তথ্য জালিয়াতির অভিযোগের মধ্যেই নতুন 'পরিসংখ্যান নীতিমালা' বাস্তবায়নের উদ্যোগ সরকারের
৩৯০ দিন আগে
বাংলাদেশে নতুন গ্যাস অনুসন্ধানে নজর শেভরনের
বাংলাদেশে গ্যাস অনুসন্ধানে নতুন করে বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক জ্বালানি কোম্পানি শেভরন। বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কোম্পানিটির শীর্ষ কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) শেভরনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক ক্যাসুলোর নেতৃত্বে কোম্পানির একটি প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে সাক্ষাৎ করে তাদের এ আগ্রহের কথা জানান।
এ সময় শেভরন কর্মকর্তারা জানান, অন্তর্বর্তী সরকার পূর্ববর্তী শেখ হাসিনা সরকারের সময় দুই বছর ধরে বন্ধ থাকা কোটি কোটি ডলারের বকেয়া পরিশোধ শুরু করায় তারা সন্তুষ্ট।
ক্যাসুলো বলেন, দেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক কার্যক্রম এবং উন্নত ব্যবসায়িক পরিবেশের কারণে গ্যাসের চাহিদা বেড়েছে। এটি শেভরনকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে নতুন ড্রিলিং কার্যক্রমে বিনিয়োগে অনুপ্রাণিত করেছে।
নতুন গ্যাসের মজুত দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা নতুন অনশোর গ্যাস অনুসন্ধানে বিনিয়োগ করব।’
শেভরনের নতুন গ্যাস অনুসন্ধানের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার অর্থনৈতিক কার্যক্রম বৃদ্ধির মধ্যে স্থানীয় কোম্পানিগুলোতে গ্যাস সরবরাহ বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে। আমরা এখন ব্যবসার জন্য প্রস্তুত। আমরা দেশে আরও সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগকে স্বাগত জানাই।’
দেশে ভালো বিনিয়োগের পরিবেশ নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকার যেসব সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে, এ সময় তার একটি সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টা।
অধ্যাপক ইউনূস স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য শেভরনের সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রমের প্রশংসা করেন।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, সরকার আগামী বছরের এপ্রিলের মধ্যে শেভরনের বকেয়া পরিশোধ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
দেশের ভার গ্রহণের পরপরই শেভরন ও পেট্রোবাংলা ছয় মাসের ঋণ পরিশোধের চুক্তিতে পৌঁছেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
৩৯০ দিন আগে
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকার তারল্য সহায়তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকার তারল্য সহায়তা
তারল্য সংকটে পড়া কয়েকটি ব্যাংককে সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা তারল্য সহায়তা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) এ তথ্য জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সদর দপ্তরের জাহাঙ্গীর আলম সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই পদক্ষেপের যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করেন গভর্নর।
ব্যাংকিং খাতে তারল্য বাড়াতে টাকা না ছাপানোর সিদ্ধান্ত থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক সাময়িকভাবে সরে এসেছে বলে স্বীকার করেছেন ড. মনসুর।
আরও পড়ুন: জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের পর মুডির অবনমন অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রতিফলন নয়: বাংলাদেশ ব্যাংক
তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, এই পদক্ষেপ সাময়িক। এটি খাতটির স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে এবং আর্থিক প্রবাহ বজায় রাখার জন্য নেওয়া হয়েছে। ‘কঠোর আর্থিক নীতি অপরিবর্তিত রয়েছে এবং বাজারে অতিরিক্ত তারল্য কমানোর জন্য আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
নতুনভাবে সংযোজন করা তহবিলের সম্ভাব্য অপব্যবহার নিয়ে উদ্বেগের বিষয়ে গভর্নর বলেন, বর্তমান পদক্ষেপগুলো সাম্প্রতিক অতীতে যা দেখা গিয়েছিল তার পুনরাবৃত্তি নয়। সেসময় অর্থ মুদ্রণের ফলে অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছিল।
ড. মনসুর বলেন, 'চুরির সুযোগ দূর করে স্বচ্ছ ও নিরাপদে তহবিল বরাদ্দের বিষয়টি এবার নিশ্চিত করেছি আমরা।’
আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিশ্রুতির ওপরও জোর দেন গভর্নর।
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি ব্যাংকে প্রত্যেক মানুষের আমানত নিরাপদ ও সুরক্ষিত। আমানতকারীদের আস্থা ধরে রাখতে অবিরাম প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, ‘ব্যাংকগুলোতে নগদ অর্থের সাময়িক ঘাটতি মেটাতে গ্রাহকদের প্রয়োজনীয় অর্থ উত্তোলনের সুযোগ করে দিতে তারল্য সহায়তা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ সহায়তা সহজতর করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন ব্যাংকের অস্থায়ী প্রয়োজন মেটাতে সাময়িকভাবে অর্থ মুদ্রণ করবে।’
ব্যাংকে সব আমানত সুরক্ষিত রয়েছে বলে জনগণকে আশ্বস্ত করেছেন গভর্নর। জনগণকে আতঙ্কিত না হওয়া বা অযথা অর্থ উত্তোলন না করার আহ্বান জানান তিনি।
বাজারে প্রবর্তিত অতিরিক্ত তারল্য মুদ্রাস্ফীতির চাপ রোধে বিভিন্ন ধরনের বন্ডের মাধ্যমে পরিচালনা করা হবে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে এস আলম গ্রুপের হুঁশিয়ারি
৩৯৫ দিন আগে
সূচকের উত্থানে ডিএসইতে লেনদেন চলছে
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বৃহস্পতিবার সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন চলছে।
লেনদেনের প্রথম আড়াই ঘণ্টায় ৮৮ হাজার ৫৩৯টি লেনদেনের মাধ্যমে মোট ৯৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট কেনাবেচা হয়েছে। এই সময়ে মোট লেনদেনের পরিমাণ ২৫৯ কোটি টাকা। এটি বাজারে শক্তিশালী কার্যকলাপকে তুলে ধরে।
এ সময়ে লেনদেন করে মোট ৩৮৯টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ২৫০টির, কমেছে ৭০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইর প্রধান সূচকগুলোতেও বেড়েছে। ডিএসইএক্স সূচক ২৬ দশমিক ৪১ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ২২৪ দশমিক ৩৫ এবং শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএস সূচক ৭ দশমিক ৫৮ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ১৭৪ দশমিক ১৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এছাড়া, ব্লু-চিপ শেয়ারগুলোর প্রতিনিধিত্বকারী ডিএস৩০ সূচক ১০ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯২৭ দশমিক ৮১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: রবিবার প্রথম ১ ঘণ্টায় ডিএসইর সূচক কমেছে ৪২.৪৯ পয়েন্ট
৩৯৬ দিন আগে
ই-রিটার্ন: অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করবেন যেভাবে
বিগত করবর্ষের ন্যায় এবারও যথারীতি অনলাইনে ই-রিটার্ন দাখিলের সুবিধা থাকছে। দেশের যেসকল নাগরিকের টিআইএন (ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার) নম্বর আছে, তারা এই সুযোগটি নিতে পারবেন। সুতরাং নথিকরণ, ভিড় এবং সময় ক্ষেপণের বিড়ম্বনা এড়িয়ে এবারও ঘরে বসেই আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া যাবে। সদ্য টিনপ্রাপ্ত থেকে শুরু করে দীর্ঘ দিন যাবত আয়কর প্রদানকারী সব পেশার মানুষকে একটি নির্ভরযোগ্য প্লাটফর্মের আওতাভুক্ত করেছে এই ইলেক্ট্রনিক পরিষেবা। প্রত্যেক ব্যবহারকারীর জন্য পৃথক অ্যাকাউন্ট বা প্রোফাইলের ব্যবস্থা থাকায় প্রতিবার বিগত বছরের হিসেব নিয়ে ঝামেলায় পড়তে হয় না। চলুন, এই পরিষেবাটি ব্যবহারের পূর্বশর্ত এবং পদ্ধতি সম্বন্ধে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
ই-রিটার্ন দাখিলের জন্য কি কি প্রয়োজন
এনবিআর (ন্যাশনাল বোর্ড অফ রেভেনিউ)-এর ইলেক্ট্রনিক ট্যাক্স রিটার্ন সিস্টেমটি ব্যবহারের জন্য দরকার হবে একটি বায়োমেট্রিক করা মোবাইল নাম্বার এবং ই-টিন নম্বর। এখানে মূলত মোবাইল নাম্বারটি জাতীয় পরিচয় পত্র বা এনআইডি কার্ডের সঙ্গে যুক্ত আছে কিনা তা যাচাই করা হয়।
বায়োমেট্রিক যাচাইয়ের জন্য মোবাইল থেকে *১৬০০১# নাম্বারে ডায়াল করতে হবে। এরপরের কাজ হলো এনআইডির সর্বশেষ চারটি সংখ্যা উল্লেখ করে সেন্ড করা। এর কিছুক্ষণ পরেই মোবাইলে ম্যাসেজের মাধ্যমে উল্লেখিত এনআইডি নাম্বারের সঙ্গে সংযুক্ত ফোন নাম্বারগুলোর তালিকা পাঠানো হবে। এই নাম্বারগুলো প্রত্যেকটি বায়োমেট্রিক করা। অন্যথায় এই তালিকা সম্বলিত ম্যাসেজটি আসবে না।
আরো পড়ুন: আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার পদ্ধতি
ই-রিটার্নের সঙ্গে সংযুক্তি হিসেবে আলাদা করে কোনো কাগজপত্র দিতে হয় না। কেবল প্রয়োজনীয় তথ্যাবলি নির্ভুলভাবে দিতে হয়। তবে তথ্যের ত্রুটিহীনতা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট নথিপত্র সঙ্গে থাকা আবশ্যক। তাছাড়া কর অফিস থেকে যাচাইয়ের ক্ষেত্রে প্রতিটি তথ্য-প্রমাণ যেন দেখানো যায় তার জন্যও কাগজপত্র আগে থেকেই প্রস্তুত রাখা বাঞ্ছনীয়।
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার পদ্ধতি
.
ই-ট্যাক্স এনবিআর সাইটে নিবন্ধন
প্রথমেই সরাসরি চলে যেতে হবে এনবিআর-এর ই-রিটার্ন ওয়েবসাইটে (https://etaxnbr.gov.bd/)। এখানে প্রদত্ত পরিষেবাগুলো থেকে ‘ই-রিটার্ন’ অপশনে গেলে একটি নতুন উইন্ডো আসবে, যেখানে সাইটটিতে নিবন্ধন করা আছে কিনা- তা জানতে চাওয়া হবে।
এখানে ‘আই অ্যাম নট ইয়েট রেজিস্টার্ড’ বাটনে ক্লিক করা হলে নিবন্ধন পেজে নিয়ে যাওয়া হবে।
এই সাইনআপ পেজে ১২ সংখ্যার টিন নাম্বার,বায়োমেট্রিক করা মোবাইল নাম্বার এবং ক্যাপচা সঠিকভাবে পূরণ করে ‘ভেরিফাই’তে ক্লিক করতে হবে।
এরপর উল্লেখিত ফোন নাম্বারে ম্যাসেজের মাধ্যমে ছয় অংকের একটি ওটিপি কোড আসবে। এটি সাইনআপ পেজের নির্দিষ্ট স্থানে বসিয়ে পরপর দুইবার একটি নতুন পাসওয়ার্ড সরবরাহ করতে হবে।
এখানে উল্লেখ্য যে,পাসওয়ার্ডটি অবশ্যই আলফানিউমেরিক তথা অঙ্ক,অক্ষর ও বিভিন্ন চিহ্ন সম্বলিত হতে হবে। সহজ বা ছোট পাসওয়ার্ড গ্রহণযোগ্য নয়। বিধায় নিবন্ধন প্রক্রিয়া সামনের দিকে অগ্রসর হবে না। শক্তিশালী পাসওয়ার্ড দিয়ে সাবমিট করার সঙ্গে সঙ্গেই ই-রিটার্ন অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়ে যাবে।
এখানে মনে রাখতে হবে যে,ই-টিন যেহেতু এনআইডি দিয়ে করা হয় তাই এই সিস্টেমে দেওয়া নাম এবং মোবাইল নাম্বারের সঙ্গে বায়োমেট্রিক করা ব্যক্তির নাম একই হতে হবে। অর্থাৎ একজ ন ব্যক্তি তার নিজের বায়োমেট্রিক ভেরিফাই করা ফোন নাম্বার দিয়ে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে তা থেকে অন্যজনের রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন না।
নিবন্ধনের পর এবার সেই টিন নাম্বার,পাসওয়ার্ড ও নতুন ক্যাপচা পূরণ করে সাইন ইন করলে ই-রিটার্ন ড্যাশবোর্ডটি দেখা যাবে।
আরো পড়ুন: সঞ্চয়পত্রে যেভাবে বিনিয়োগ করবেন
রিটার্ন জমার ক্যাটাগরি নির্বাচন
ড্যাশবোর্ডে বাম পাশের মেনু বারে ‘সাবমিশন’ মেনুতে রয়েছে দুই ধরনের রিটার্ন পেজ। একটি সিঙ্গেল পেজ ও অপরটি রেগুলার রিটার্ন পেজ।
সিঙ্গেল পেজ রিটার্ন
প্রধানত ৭টি শর্ত পূরণ সাপেক্ষে এক পেজ-এ রিটার্ন জমা দেওয়া যেতে পারে। সেগুলো হলো:
• বার্ষিক করযোগ্য আয় অনূর্ধ্ব পাঁচ লাখ টাকা
• সঞ্চিত সম্পদের পরিমাণ ৫০ লক্ষ টাকার কম
• গণকর্মচারী নন
• মোটরগাড়ির মালিকানা নেই
• সিটি করপোরেশনে কোনো বাড়ির মালিকানা নেই
• বিদেশে কোনো পরিসম্পদ নেই
• কোনো কোম্পানির শেয়ার নেই
এই মাধ্যমে এক পেজের মধ্যেই রিটার্নের যাবতীয় তথ্যাদির খসড়া করা যায়। এর মধ্যে থাকে আয়ের উৎস,মোট আয়,জীবনযাপন ব্যয়,সামগ্রিক পরিসম্পদ,আরোপযোগ্য কর,কর রেয়াত,উৎসে কর্তিত কর, প্রদেয় কর এবং রিটার্নের সঙ্গে দেওয়া কর।
সব তথ্য প্রদান শেষে পেজটি ড্রাফট হিসেবে রাখা যায়,আবার ‘সাবমিট’ বাটনে ক্লিক করে সঙ্গে সঙ্গেই অনলাইন জমা সম্পন্ন করা যায়।
আরো পড়ুন: বন্ডে বিনিয়োগের আগে যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরি
রেগুলার ই- রিটার্ন
উপরোক্ত ৭ শর্তের বাইরে থাকা প্রত্যেক ব্যক্তিকেই এই বিস্তারিত রিটার্ন পদ্ধতিতে অগ্রসর হতে হবে। এই প্রক্রিয়ায় কর যাচাই, আয়-ব্যয়,বিনিয়োগ,সম্পদ,ঋণ এবং কর রেয়াতের মতো সনাতন পদ্ধতির বিষয়গুলো বিস্তারিত তথ্যের জন্য পৃথক স্ক্রিনে দেখানো হবে।
কর যাচাইয়ের তথ্য
এ অংশে প্রথমেই রিটার্ন স্কিম ঘরে সেল্ফ,এসেস্মেন্ট বর্ষ ও ইনকাম বর্ষের ঘরে সাল ও তারিখ পূর্ব নির্ধারিত থাকবে। আয় করমুক্ত হলে আয়ের পরিমাণের পাশাপাশি ‘রেসিডেন্ট স্ট্যাটাস’ উল্লেখ করে দিতে হবে।
ডানপাশের হেডস অব ইনকামের নিচে যে অপশনগুলো রিটার্নদাতার জন্য প্রযোজ্য শুধুমাত্র সেগুলোতেই তিনি টিক দেবেন। এই হেডগুলোর মাধ্যমে ব্যক্তির আয়ের উৎস বা খাত নির্ধারিত হয় এবং সে অনুসারে পরের স্ক্রিণগুলো ভিন্ন হয়ে থাকে।
পরবর্তী ধাপে যাওয়ার জন্য একদম নিচের দিকে রয়েছে ‘সেভ অ্যান্ড কন্টিনিউ’ বাটন।
আরো পড়ুন: ২০২৪ সালে পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান ১০ মুদ্রা
অতিরিক্ত তথ্য
পূর্বের স্ক্রিণে প্রদত্ত তথ্যে জের ধরে এখানে যাচাইকরণের জন্য আরও বিস্তারিত তথ্য দিতে হয়। যেমন- কাজের স্থান,মুক্তিযোদ্ধা বা প্রতিবন্ধী কিংবা অন্য প্রতিবন্ধীর আইনি অভিভাবক কিনা, বিনিয়োগের জন্য কর রেয়াত,কোনো কোম্পানির শেয়ার আছে কিনা,মোটরগাড়ি বা সিটি করপোরেশনে নিজস্ব বাড়ি ইত্যাদি।
আইটি১০বি
এই সেকশনটির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে আইটি১০বি। যাবতীয় সম্পদের পরিমাণ যদি ৪০ লাখ টাকা বা তার বেশি হয় সেক্ষেত্রে এই হেডটিতে টিক মার্ক দিতে হবে। প্রদত্ত পরিমাণ সম্পদ না থাকলে আর এই অপশনে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে এক্ষেত্রে ব্যক্তির পরিবারের বার্ষিক খরচের হিসেব অন্তর্ভূক্ত করতে হবে।
এরপর ‘সেভ অ্যান্ড কন্টিনিউ’ দিয়ে পরবর্তী ধাপে যাওয়ার পর একে একে এসেস্মেন্ট,ইনকাম,এক্সপেনডিচার,এসেট্স অ্যান্ড লায়াবিলিটিস এবং ট্যাক্স অ্যান্ড পেমেন্ট ট্যাবগুলোর ভিন্ন ভিন্ন পেজগুলো আসবে।
আরো পড়ুন: ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডে প্রবাসী বাংলাদেশিরা যেভাবে বিনিয়োগ করবেন
আয়ের বিস্তারিত বিবরণ
এখানে রয়েছে বৈদেশিক আয় বা কর-অব্যাহতি এবং বেতন বা করযোগ্য বিনিয়োগ ছাড়া অন্যান্য উৎস থেকে আয়।
‘এনি আদার ইনকাম’ অপশনে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিস্তারিত তথ্যসহ অন্যান্য আয়ের উৎস এবং সংশ্লিষ্ট ব্যয়ের হিসেব যুক্ত হবে। এই তথ্যগুলো নেট আয়ের হিসাবে যুক্ত হবে।
ব্যয়ের খাত
এই বিভাগটিতে সারা কর বছরে মোট আয়ের বিপরীতে প্রতিটি ব্যয়কে একত্রিত করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে গৃহস্থালি ও ইউটিলিটিসহ বাসস্থান, খাদ্য, পোশাক, পরিবহন, বাচ্চাদের স্কুল খরচ এবং অন্যান্য বিবিধ ব্যয়।
সম্পদ, ঋণ ও বিনিয়োগ খাত
এখানে যুক্ত হবে বিমা, ডিপোজিট প্রিমিয়াম সার্ভিস, সঞ্চয়পত্র, প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং স্টক বা শেয়ারসহ যাবতীয় বিনিয়োগগুলো। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি অপশনের সংশ্লিষ্ট স্থানগুলোতে রয়েছে স্পষ্ট ও বিস্তারিত তথ্য প্রদানের জায়গা।
কর ও পরিশোধ
সামগ্রিক রিটার্নে কোনো করযোগ্য আয় বা বকেয়া অথবা অগ্রিম কর থাকলে তার স্বয়ংক্রিয় হিসাব হবে এই অংশে। উৎসে কর্তনকৃত কর এবং অগ্রিম কর প্রদান করা হলে তা নেট হিসেবে বাদ যাবে। আয়ের উপর কোনো কর বকেয়া বা ধার্য না হলে প্রদেয় করের পরিমাণ শূন্য হবে আর এভাবে প্রদান করা রিটার্ন ‘শূন্য রিটার্ন’ নামে পরিচিত।
আরো পড়ুন: পুরনো স্বর্ণ বিক্রির সময় যে কারণে দাম কেটে রাখা হয়
যাবতীয় ডেটা সরবরাহের পর ট্যাক্স পেমেন্ট স্ট্যাটাসে ক্লিক করলে কর হিসাবের একটি সারাংশ দেখানো হবে। অতঃপর কোনো করযোগ্য পরিমাণ উল্লেখ থাকলে এবার তা পরিশোধের পালা।
এর জন্য ‘পে নাউ’ বাটনে ক্লিক করলে অর্থপ্রদানের জন্য কার্ড, অনলাইন ব্যাংকিং এবং মোবাইল ব্যাংকিং-এই তিনটি অপশন প্রদর্শিত হবে। এগুলোর যেকোনোটি নির্বাচন করে অনায়াসে নেট করটি তাৎক্ষণিকভাবে পরিশোধ করা যাবে।
ই-রিটার্ন সনদ সংগ্রহ
রিটার্ন জমা দেওয়ার পর কর প্রদানের রশিদ ও রিটার্ন সনদসহ প্রত্যেকটি ট্যাক্স রেকর্ড সঙ্গে সঙ্গেই প্রস্তুত হয়ে যাবে। এই গুরুত্বপূর্ণ নথিগুলো যেকোনো সময় বিভিন্ন প্রয়োজনে এখান থেকে ডাউনলোড এবং প্রিন্ট করে কাজে লাগানো যাবে।
এতক্ষণ ধরে যে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে তার সবগুলো সহ পুরো রিটার্নটি অ্যাকাউন্টে নিরাপদে সংরক্ষিত অবস্থায় থেকে যায়। এতে করে পরের বছরে নতুন করে পুরোনো হিসাব নিয়ে চিন্তায় পড়তে হয় না।
আরো পড়ুন: সঞ্চয়পত্রের সঙ্গে সংযুক্ত ব্যাংক পরিবর্তন করে অন্য ব্যাংকে স্থানান্তরের উপায়
শেষাংশ
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের এই পদ্ধতি পুরোনো নথিকরণ এবং জটিল হিসেব-নিকেশের বিড়ম্বনা অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে। তবে ই-ট্যাক্স এনবিআর সাইটে তথ্য প্রদানের পূর্বে অবশ্যই রিটার্নের সঙ্গে সম্পর্কিত প্রতিটি কাগজপত্র যোগাড় করে রাখা উচিত। ই-রিটার্নের সঙ্গে কোনো কাগজ জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা না থাকলেও তথ্য পূরণে ত্রুটিহীনতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সেগুলো সঙ্গে রাখা জরুরি। অ্যাকাউন্ট খোলা এবং তা যেকোনো সময় ব্যবহারের ক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক ভেরিফাইড ফোন নম্বর অপরিবর্তিত রাখার কোনো বিকল্প নেই। প্রদান করা প্রতিটি তথ্য এই অ্যাকাউন্টে সংরক্ষিত থাকে ফলে পরের বছরে জমা দেওয়ার সময় রিটার্নের তথ্যে সামঞ্জস্যতা রাখা যায়।
আরো পড়ুন: সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ শেষে নগদায়ন বা পুনরায় চালু করার উপায়
৩৯৭ দিন আগে
স্বর্ণের ভরিতে কমল ১৮৯০ টাকা
দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ৮৯০ টাকা কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) জুয়েলার্স সমিতির সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পরিবীক্ষণ সম্পর্কিত স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আগামীকাল মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) থেকে নতুন এ দর কার্যকর হবে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, ভালো মানের ২২ ক্যারেটের স্বর্ণ বিক্রি হবে ১ লাখ ৪০ হাজার ৩৭৬ টাকায়, যা আগে ছিল ১ লাখ ৪২ হাজার ২৬৬ টাকা।
২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৯৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৫৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৪ হাজার ৩২৬ টাকা।
স্বর্ণের দাম কমলেও রুপার দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
ক্যাটাগরি অনুসারে বর্তমানে ২২ ক্যারেট রুপার দাম ২ হাজার ৫৭৭ টাকা, ২১ ক্যারেট ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেট ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতি রুপার দাম ১ হাজার ৫৮৬ টাকা।
(১ ভরি = ১১.৬৬৪ গ্রাম)
আরও পড়ুন: স্মারক স্বর্ণমুদ্রার দাম বাড়লো ১০ হাজার টাকা
৩৯৮ দিন আগে
লেনদেনের শুরুতেই ডিএসইতে সূচক কমেছে ১৬.৬৭ পয়েন্ট
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রথম দুই ঘণ্টার ব্যবধানে ডিএসইএক্স ১৬ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ২৪৩ দশমিক ৫৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকালে শেয়ার বাজার পর্যবেক্ষণে এই চিত্র দেখা যায়।
আগের দিনগুলোর তুলনায় লেনদেন কার্যক্রম কিছুটা স্থবির ছিল। প্রথম দুই ঘণ্টায় ১৫২ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। আর বুধবার একই সময়ে হওয়া লেনদেনের পরিমাণ থেকে ১৭২ কোটি টাকা এবং মঙ্গলবার ২২৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা কমেছে। আজ ৫৪ হাজার ৬৪৭টি লেনদেনের মাধ্যমে মোট ৫ কোটি ২৫ লাখ শেয়ার ও ইউনিট কেনাবেচা হয়েছে।
বৃহস্পতিবারের লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৮টি কোম্পানির মধ্যে ১৫৪টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে, ১৪০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে এবং ৮৪টি কোম্পানির শেয়ার দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে আর ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক শূন্য দশমিক ৯৫ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৬৩ দশমিক ৪৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। তবে ব্লু-চিপ শেয়ারগুলো ডিএস৩০ সূচকে ১ দশমিক ৯ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৩২ দশমিক ৬৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: ৭ ব্যাংককে ৬৫৮৫ কোটি টাকার তারল্য সহায়তা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক
৪০৩ দিন আগে
টানা চতুর্থ দিনেও পুঁজিবাজারের সূচকে পতন
বাংলাদেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবারও সূচকের পতন হয়েছে।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, লেনদেন শুরুর প্রথম দুই ঘণ্টায় ৬৩ হাজার ৩২৬টি লেনদেনের মাধ্যমে ১৭৭ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের কেনাবেচা হয়েছে। যা মঙ্গলবারের একই সময়ের তুলনায় ৪৭ কোটি টাকা কমেছে। গতকাল মোট লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২২৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: ৩ দিনে ডিএসই সূচক কমেছে ১১২.৬৫ পয়েন্ট
বুধবার (২০ নভেম্বর) সকালে মোট ৩৭৩টি কোম্পানি লেনদেন করেছে। এর মধ্যে ১৪০টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৫৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৮০টির শেয়ার। এটি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মিশ্র মনোভাবকেই তুলে ধরে।
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ২৮৩ দশমিক ০৭ পয়েন্টে স্থির হয়। এদিকে ডিএসইএস শরিয়াহ্ সূচক শূন্য দশমিক ৭৯ পয়েন্ট সামান্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৫৪ দশমিক ৭৩ পয়েন্টে। তবে ডিএস৩০ এর ব্লু-চিপ শেয়ারগুলোর সূচক ১১ দশমিক ০৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৩১ দশমিক ৮৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার প্রথম ঘণ্টায় ডিএসই সূচক ৬৪.৭৩ পয়েন্ট বেড়েছে
৪০৪ দিন আগে
এডিবি-বিশ্বব্যাংক থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ১১০ কোটি ডলার পাবে বাংলাদেশ: অর্থসচিব
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বাংলাদেশকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ৬০ কোটি ডলার এবং বিশ্বব্যাংক ৫০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দেবে বলে জানিয়েছেন অর্থ সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে অর্থ মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছ থেকে পাওয়া ঋণের প্রতিশ্রুতির পরিমাণ সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. মজুমদার বলেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এবং বিশ্বব্যাংকের মতো দাতা সংস্থাগুলো অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসনের বাস্তবায়িত নীতিগুলোকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: এডিবি-ইডিসিএফের অর্থায়নে একসঙ্গে কৃষি গবেষণা করবে ইউজিসি ও বাকৃবি
অর্থ সচিব বলেন, ‘আমাদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নীতিগত পদক্ষেপগুলো ভাল ফলাফল দিয়েছে। তহবিলের ক্ষেত্রে আমাদের প্রাথমিক প্রত্যাশা ছাড়িয়ে গেছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আমরা এডিবির সঙ্গে ৬০ কোটি ডলার ঋণ নিয়ে সফলভাবে আলোচনা করেছি এবং ডিসেম্বরের মধ্যে এই তহবিল পাওয়ার আশা করছি।’
একই সময়সীমার মধ্যে ৫০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দিতে সম্মত হওয়া বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে অগ্রগতির কথাও তুলে ধরেন তিনি। ‘শুরুতে, এই ঋণগুলো যথাক্রমে ৩০ কোটি ডলার এবং ২৫ কোটি ডলার নির্ধারণ করা হয়েছিল, তবে পরে অনুকূল আলোচনার কারণে তা দ্বিগুণ হয়।’
সরকার আইএমএফের কাছে আরও আর্থিক সহায়তা চেয়েছে উল্লেখ করে ড. মজুমদার বলেন, 'আমরা এ বছর আইএমএফের সহায়তায় অতিরিক্ত ১০০ কোটি ডলার চেয়েছি। ৪ ডিসেম্বর আইএমএফ’র প্রতিনিধি দল সফরের সময় আলোচনা শেষ হবে এবং আমরা আশাবাদী।
আরও পড়ুন: ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি হবে ১০.১ শতাংশ: এডিবির পূর্বাভাস
অর্থ সচিব তার নীতিগুলো কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থাগুলোর কাছ থেকে অব্যাহত সমর্থন নিশ্চিত করতে সরকারের সক্ষমতায় আস্থা প্রকাশ করেন।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারক, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৫.১ শতাংশে নামাল এডিবি
৪০৪ দিন আগে
কোনো ব্যাংক বন্ধ হবে না: অর্থ উপদেষ্টা
সমস্যা থাকলেও কোনো ব্যাংক বন্ধ করা হবে না বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘কিছু ব্যাংক ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। ইসলামী ব্যাংকও উন্নতির দিকে রয়েছে। তবে কিছু ব্যাংকে এখনও সমস্যা আছে। তবে আমরা কোনো ব্যাংক বন্ধ করব না।’
মঙ্গলবার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও ব্যাংকিং খাতকে স্থিতিশীল রাখতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আর্থিক ব্যবস্থাপনার দিকে জোর দিয়ে তিনি বলেন, সরকারি ব্যয় কমাতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
তবে ‘সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন ও ভাতা এতে প্রভাবিত হবে না’ বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) প্রসঙ্গে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, অপ্রয়োজনীয় বা রাজনৈতিক বিবেচনায় নেওয়া প্রকল্পগুলো পুনর্মূল্যায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে অর্থ সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারক, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান উপস্থিত ছিলেন।
৪০৫ দিন আগে