ব্যবসা
২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি হবে ১০.১ শতাংশ: এডিবির পূর্বাভাস
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) তাদের সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০ দশমিক ১ শতাংশ হবে। এই পূর্বাভাস এপ্রিলে দেওয়া পূর্বাভাসের চেয়ে ৩ দশমিক ১ শতাংশ বেশি।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) সম্প্রতি প্রকাশিত তথ্যে দেখা যাচ্ছে, ২০২৪ সালের আগস্টে সাধারণ মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশে, যা জুলাইয়ে ছিল ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ। তুলনামূলকভাবে দেখা যায়, ২০২৩ সালের আগস্টে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ, ২০২২ সালের আগস্টে ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ এবং ২০২১ সালের আগস্টে ছিল ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
এডিবির পূর্বাভাসে মূল্যস্ফীতির অনুমেয় বৃদ্ধির জন্য চলমান সরবরাহ বিঘ্ন এবং মুদ্রার অবমূল্যায়নের ফলে উচ্চ আমদানি ব্যয়কে দায়ী করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থাটি আশা করছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শেষ নাগাদ মূল্যস্ফীতি দুই অঙ্কে থাকবে।
আরও পড়ুন: ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৫.১ শতাংশে নামাল এডিবি
গণঅভ্যুত্থানের পর গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত সরকার ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৭ শতাংশে উন্নীত হওয়ার পর চলতি অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল। এসব প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধে খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের দাম মূল্যস্ফীতিকে ঊর্ধ্বমুখী করে তুলেছে, যা সরবরাহ শৃঙ্খলের সমস্যা এবং আমদানি ব্যয় বৃদ্ধির কারণে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়িয়েছে।
এডিবির মতে, এই কারণগুলো গত দুই বছর ধরে ক্রমাগত মুদ্রাস্ফীতির চাপের মুখোমুখি হওয়া ভোক্তাদের উপর চাপ অব্যাহত রাখবে। এই সময়ের মধ্যে মুদ্রাস্ফীতি ৯ শতাংশের উপরে রয়েছে, যা পরিবারের বাজেটকে প্রভাবিত করেছে এবং জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়িয়েছে।
এডিবির সতর্ক দৃষ্টিভঙ্গি সত্ত্বেও আশা করা হচ্ছে, ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে মূল্যস্ফীতি কমে আসতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ২০২৫ সালের মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৬-৭ শতাংশে নেমে আসবে।
আরও পড়ুন: জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনাসহ জলবায়ু কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়তা করবে এডিবি: উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা
৪৫৮ দিন আগে
সুইজারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ
একটি দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দক্ষ জনশক্তি দিয়ে সেই দেশটির উন্নয়নে কতটা ভূমিকা রাখতে পারছে তার ওপর নির্ভর করে দেশটির শিক্ষার মান। সুষ্ঠু শিক্ষা চর্চা আর্থ-সামাজিক ও পরিবেশসহ সার্বিকভাবে একটি দেশটিকে উন্নত করে। এরই ধারাবাহিকতায় সর্বস্তরের নাগরিকরা উপভোগ করতে পারে কাঙ্ক্ষিত জীবনধারা। বিগত কয়েক দশক ধরে এমনি মান সম্পন্ন জীবনধারণের মূর্ত প্রতীক হয়ে আছে পশ্চিম ইউরোপের দেশ সুইজারল্যান্ড। শেনজেনভুক্ত দেশটির নানা অঙ্গন জুড়ে অসামান্য সমৃদ্ধি করবে ঘোষণা করে আসছে সর্বোচ্চ স্তরের শিক্ষা ব্যবস্থার কথা। চলুন, সুইজারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষায় আবেদন প্রক্রিয়া, স্টুডেন্ট ভিসা ও অধ্যয়ন খরচ এবং স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
কেন সুইজারল্যান্ড উচ্চশিক্ষার অন্যতম সেরা গন্তব্য
গ্লোবাল ইনোভেশন ইন্ডেক্স অনুসারে, একটানা ১৩ বছর ধরে বিশ্বের সবচেয়ে উদ্ভাবনী দেশের মর্যাদা পেয়ে আসছে সুইজারল্যান্ড। এর নৈপথ্যে রয়েছে দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্তবধর্মী গবেষণা ও সৃজনশীলতা চর্চা। কিউএস ওয়ার্ল্ড র্যাংকিংয়ে শীর্ষ ১০০-এর মধ্যে থাকা বিদ্যাপীঠগুলো হলো- ইটিএইচ জুরিখ (৭), ইকোল পলিটেকনিক ফেডারেল ডি লোস্যান (৩৬), এবং ইউনিভার্সিটি অফ জুরিখ (৯১)।
জীবনযাত্রা যথেষ্ট ব্যয়বহুল হওয়া সত্ত্বেও বিশ্বের অষ্টম শিক্ষার্থীবান্ধব শহরটি হচ্ছে সুইজারল্যান্ডের বৃহত্তম নগরী জুরিখ।
প্রতিবারের মতো ২০২৪-এ ও পৃথিবীর শান্তিপূর্ণ দেশগুলোর তালিকায় শীর্ষ ১০-এ রয়েছে সুইজারল্যান্ড (৬)। বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত জীবনযাত্রার দেশগুলোর মধ্যে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে সুইজারল্যান্ড।
এছাড়া পরিবেশের দিক থেকেও এগিয়ে রয়েছে এই স্থলবেষ্টিত দেশটি। মাত্র ২৩ দশমিক ৩ পলিউশন ইন্ডেক্স নিয়ে নিরাপদ রাষ্ট্রগুলোর তালিকায় ১০ নম্বরে রয়েছে সুইজারল্যান্ড।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম সম্প্রতি কার্বন নিঃসরণের প্রচেষ্টার ওপর মূল্যায়ন করে ১২০টি দেশের নাম প্রকাশ করেছে। এনার্জি ট্রাঞ্জিশনের ভিত্তিতে এই তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে সুইসরা।
আরো পড়ুন: অস্ট্রেলিয়াতে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ
সুইজারল্যান্ডের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় এবং অধ্যয়নের সেরা বিষয়গুলো
বিশ্বজুড়ে বহুল সমাদৃত সুইজারল্যান্ডের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়:
• ইটিএইচ জুরিখ
• ইকোল পলিটেকনিক ফেডারেল ডি লোস্যান
• ইউনিভার্সিটি অব জুরিখ
• ইউনিভার্সিটি অব ব্যাসেল
• ইউনিভার্সিটি অব বার্ন
• ইউনিভার্সিটি অব জেনেভা
• ইউনিভার্সিটি অব লোস্যান
• ইউএসআই ইউনিভার্সিটি ডেলা স্ভিজ্জেরা ইটালিয়ানা
• ইউনিভার্সিটি অব সেন্ট গ্যালেন
• ইউনিভার্সিটি অব ফ্রিবুর্গ
আরো পড়ুন: নিউজিল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ
সুইস শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অধ্যয়নের সেরা বিষয়গুলো:
• হস্পিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট
• বিজনেস অ্যান্ড ফাইন্যান্স
• বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
• ইঞ্জিনিয়ারিং
• মেডিসিন অ্যান্ড হেল্থকেয়ার
• আইন
• অ্যাপ্লাইড ম্যাথমেটিক্স
• সাংবাদিকতা
আরো পড়ুন: সুইডেনে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ
সুইজারল্যান্ডের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আবেদনের উপায়
এখানে প্রধানত দুটি মৌসুমে ভর্তির কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। একটি হচ্ছে ফল ও অপরটি স্প্রিং। ফলের জন্য আবেদন গ্রহণ করা হয় ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এরপর এই আবেদনগুলো যাচাইয়ের ভিত্তিতে ভর্তি শুরু হয় সেপ্টেম্বর থেকে।
অপরদিকে মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবেদন নেওয়া হয় স্প্রিং-এ, যার প্রক্রিয়া পরিপূর্ণ হয় ফেব্রুয়ারি থেকে ভর্তি শুরুর মাধ্যমে।
দুটো ভর্তি মৌসুমের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হচ্ছে ফল। কেননা এ সময় অন্য সময়ের তুলনায় আবেদনের জন্য বেশি সংখ্যক বিষয় পাওয়া যায়।
এই আবেদনগুলো কোনো কেন্দ্রীয় সিস্টেমের মাধ্যমে নেওয়া হয় না। শিক্ষার্থীদের সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে হয়।
আরো পড়ুন: ইংল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন, পড়াশোনার খরচ ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
ভর্তির আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
• প্রার্থীর স্বহস্তে সই সম্পূর্ণ পূরণকৃত আবেদনপত্র
• দুটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
• বৈধ পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্রের অনুলিপি
• বিগত শিক্ষাগত যোগ্যতার সাপেক্ষে একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট
• ব্যাচেলরের জন্য উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সনদ বা ডিপ্লোমা কিংবা তার সমতুল্য সনদ
• স্নাতকোত্তরের জন্য স্নাতক ডিগ্রি বা সমমানের সনদ
• পিএইচডি স্তরের জন্য প্রাসঙ্গিক বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি বা সমতুল্য সনদ
• ভাষার দক্ষতা প্রমাণ স্বরূপ:
• আইইএলটিএস (সাধারণত ন্যূনতম স্কোর ৬ দশমিক ৫)
• টোফেল (আইবিটি) (সর্বনিম্ন স্কোর ৮০)
• পিটিই একাডেমিক (ন্যূনতম স্কোর ৫৮)
• সিভি
• আবেদন ফি প্রদানের প্রমাণ: সাধারণত ১০০ থেকে ১৫০ সুইস ফ্রাঙ্ক, যা প্রায় ১৪ হাজার ১১৩ থেকে ২১ হাজার ১৭০ টাকার (১ সুইস ফ্রাঙ্ক = ১৪১ দশমিক ১৩ বাংলাদেশি টাকা) সমান
• প্রার্থীর নিজের সম্পর্কে বিস্তারিত পার্সনাল স্টেটমেন্ট
• ডক্টরাল গবেষণার ক্ষেত্রে যার অধীনে গবেষণা করা হচ্ছে তার নিকট থেকে একটি স্বীকারক্তি চিঠির
আরো পড়ুন: পোল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন, পড়াশোনার খরচ, ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
৪৫৮ দিন আগে
বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রথম চালানে ১২ টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি
আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ৩টি ট্রাকে করে ভারতে ১২ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তিন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ১২ মেট্রিক টন ইলিশের এ চালান ভারতে রপ্তানি করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের অনুমতি পাওয়ার পর ট্রাকগুলো বেনাপোল বন্দর থেকে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে পৌঁছেছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী ১২ অক্টোবরের মধ্যে ইলিশ রপ্তানি শেষ করতে হবে বলে জানিয়েছেন বেনাপোল মৎস্য কর্মকর্তা।
এবারের রপ্তানির প্রতি কেজি ইলিশের মূল্য ১০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। ভারতের অনুরোধের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকার ৪৯টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে ২ হাজার ৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতির প্রতিবাদে অন্তর্বর্তী সরকারকে আইনি নোটিশ
ভারতের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো হলো, আর জে এন্টারপ্রাইজ ও আর এস এন্টারপ্রাইজ, কলকাতা।
বাংলাদেশের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো হলো, স্বর্ণালী এন্টার প্রাইজ, সাজ্জাদ এন্টারপ্রাইজ ও সোমা এন্টারপ্রাইজ।
বেনাপোল বন্দরের মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ অফিসের পরিদর্শক আসওয়াদুল ইসলাম জানান, দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকার ৪৯টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে ২ হাজার ৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। গুণগত মান পরীক্ষা করে ১২ মেট্রিক টন ইলিশের ছাড়পত্র দেওয়ার পর ইলিশের চালানগুলো আজ ভারতে রপ্তানি হয়েছে।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক রাশেদুল সজিব নাজিব জানান, আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ১২ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি হয়েছে। ইলিশের চালানগুলো বন্দরে প্রবেশের পর দ্রুত রপ্তানির জন্য বন্দরের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইলিশ রপ্তানি বন্ধে হাইকোর্টে রিট
৪৫৮ দিন আগে
ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারের অস্বাভাবিক দর বাড়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ডিএসইকে নির্দেশ
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের (পিএলসি) শেয়ারের অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ অনুসন্ধান করতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির এক আদেশে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারের দাম ও পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে ওঠানামা করেছে, যা অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক বলে মনে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটি শেষে প্রথম দিনে ডিএসইতে ২৪৬ কোটি টাকার লেনদেন
বিএসইসির আদেশে বলা হয়, উল্লেখিত স্ক্রিপের ইউনিটের এমন অস্বাভাবিক ওঠানামার পেছনে বাজার কারসাজি, অভ্যন্তরীণ লেনদেন, অন্যান্য বাজারের অপব্যবহারসহ এবং কারসাজিসহ বিভিন্ন কারণ উদঘাটনে ৬ আগস্ট থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার কেনাবেচা তদন্ত করবে ডিএসই।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, কিছু ব্যবসায়ী গ্রুপ ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক হওয়ার চেষ্টা করছে, তাই তারা বড় অঙ্কের শেয়ার কিনছেন। ফলে সাম্প্রতিক সময়ে এ ব্যাংকের শেয়ারের দাম হু হু করে বেড়েছে।
আরও পড়ুন: সমৃদ্ধ শেয়ারবাজার গড়তে মার্চেন্ট ব্যাংকের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ: ডিএসই চেয়ারম্যান
৪৫৯ দিন আগে
২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৫.১ শতাংশে নামাল এডিবি
রাজনৈতিক অস্থিরতা, সরবরাহ চেইন ব্যাহত হওয়া এবং সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যার কারণ দেখিয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৫ দশমিক ১ শতাংশে নামিয়ে এনেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
এটি একই সময়ের জন্য ম্যানিলা-ভিত্তিক ঋণদাতা ৬ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস থেকে একটি উল্লেখযোগ্য হ্রাসকে চিহ্নিত করেছে।
আরও পড়ুন: ১০-১৫ বছরে বাংলাদেশের সমুদ্র অর্থনীতি দ্বিগুণ হতে পারে: এডিবি ভাইস প্রেসিডেন্ট
জুলাই ও আগস্ট মাসে বন্যার পাশাপাশি গণআন্দোলনের মধ্যে ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক অস্থিরতা বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনকে (জিডিপি) মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করেছে। এটি সারা দেশে পণ্য ও পরিষেবার উৎপাদন ব্যাহত করেছে।
এডিবি তার সর্বশেষ প্রতিবেদনে সতর্ক করে বলেছে, রাজস্ব ও মুদ্রানীতি কঠোর থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর ফলে ভোগের চাহিদা আরও হ্রাস করতে পারে এবং মুদ্রাস্ফীতি উচ্চ হারে রাখতে পারে।
ব্যাংকটি সতর্ক করে দিয়েছে যে তার পূর্বাভাস উল্লেখযোগ্য অনিশ্চয়তার ইঙ্গিত দেয়। নেতিবাচক ঝুঁকিগুলো সামষ্টিক অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিকে ছাপিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: এলডিসি-পরবর্তী যুগের জন্য বাংলাদেশের প্রস্তুতি দেখে উৎসাহিত: এডিবি ভাইস প্রেসিডেন্ট
এডিবি এই ঝুঁকিগুলোকে প্রাথমিকভাবে চলমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ভঙ্গুর পরিস্থিতি এবং দেশের আর্থিক খাতের দুর্বলতার কারণে দায়ী বলে চিহ্নিত করেছে।
এডিবির সংশোধিত পূর্বাভাস বিশ্বব্যাংকের জুন মাসের অনুমানের চেয়ে কম। এতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৭ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: পরিবেশমন্ত্রীর সঙ্গে এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎ, জলবায়ু সহযোগিতা জোরদারের আশা
৪৫৯ দিন আগে
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে আবারও মূল নীতি হার বাড়ালো বাংলাদেশ ব্যাংক
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে মূল নীতি হার (রেপো রেট) ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করেছে কেন্দ্রীয় কার্যালয়। এটি ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: 'গ্লোবাল ইয়ুথ ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন অ্যাওয়ার্ড-২০২৪' পেল বাংলাদেশ ব্যাংক
কেন্দ্রীয় ব্যাংক একই সময়ে স্ট্যান্ডিং ল্যান্ডিং ফ্যাসিলিটি (এসএলএফ) এবং স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফ্যাসিলিটি (এসডিএফ) যথাক্রমে ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ১১ শতাংশ এবং ৮ শতাংশ করেছে।
পলিসি রেট বাড়লে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া ব্যয়বহুল হয়ে উঠবে। জনগণকে ব্যয় সংকোচন ও চাহিদা কমাতে বাধ্য করবে। এর ফলে পরবর্তীতে মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস পাবে।
গত ২৫ অগস্ট পলিসি রেট ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৯ শতাংশ করে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
মাস তিনেক আগে গত ৮ মে শেষবার পলিসি রেট ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে সাড়ে ৮ শতাংশ করেছিল বিগত সরকার।
সে সময় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মূল্যস্ফীতি কমার কোনো লক্ষণ না থাকায় সুদের হার বাড়ানো হয়, যা গত বছরের মার্চ থেকে ৯ শতাংশের বেশি ছিল।
আরও পড়ুন: বিলাসবহুল পণ্য আমদানিতে শতভাগ নগদ মার্জিন নির্ধারণ করল বাংলাদেশ ব্যাংক
১২ মাস পর ২০২৩-২৪ অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশে। গত জুলাইয়ে ভোক্তা মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ, যা ২০১০-১১ অর্থবছরের পর সর্বোচ্চ। ফলে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা আরও খারাপ হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর ২০২৫ সালের মার্চ বা এপ্রিলের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৬-৭ শতাংশের মধ্যে রাখার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন।
আরও পড়ুন: নগদ অর্থ উত্তোলনের সীমা তুলে নিল বাংলাদেশ ব্যাংক
৪৬০ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়াতে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ
উদ্ভাবনশীলতা ও উৎপাদনশীলতার বাস্তবিক সন্নিবেশে নিহিত থাকে একটি দেশের সমৃদ্ধির রূপকল্প। এই মেলবন্ধন গঠনের একদম অঙ্কুরে কাজ করে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। একটি বিশ্ববিদ্যালয় কেবল অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন নাগরিকদের কারখানাই নয়, বরং উন্নত দেশ গঠনের জন্য দক্ষ কর্মীর মূল যোগানদাতা। যুগের সেরা সব মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটিয়ে ঠিক এই তত্ত্বটিরই ব্যবহারিক রূপ দান করেছে অস্ট্রেলিয়া। ওশেনিয়া মহাদেশের এই বৃহত্তম ভূ-খণ্ডে যুগ যুগ ধরে চলছে বিশ্বের সর্বোচ্চ মানের শিক্ষা চর্চা। পড়াশোনার জন্য বিদেশ গমনের ক্ষেত্রে অনেক উচ্চাকাঙ্ক্ষী মেধাবীদের কাছেই দেশটি এখন প্রথম পছন্দ। চলুন, অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষার আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, জীবনযাত্রার খরচ, ও স্কলারশিপ সংক্রান্ত যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
কেন অস্ট্রেলিয়া উচ্চশিক্ষার অন্যতম সেরা গন্তব্য
কিউএস ওয়ার্ল্ড র্যাংকিং-এ ২০২৫ সালের জন্য শীর্ষ ১০ শিক্ষার্থীবান্ধব নগরীর মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন (৫) ও সিডনি (৬)। অর্থাৎ জীবনযাত্রার খরচ অনেক বেশি থাকা সত্ত্বেও এই মেগাসিটি দুটোতে অনায়াসেই জায়গা করে নিচ্ছে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা।
তাছাড়া এ দুটো শহরসহ আরও বেশ কয়েকটি শহরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রতি বছরই থাকে কিউএস র্যাংকিং-এ। যেমন ২০২৪-এ প্রথম অর্ধশতকের মধ্যে থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো:
· ইউনিভার্সিটি অব মেলবোর্ন (১৩)
· ইউনিভার্সিটি অব সিডনি (১৮)
· ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলস (১৯)
· অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (৩০)
· মোনাশ ইউনিভার্সিটি (৩৭)
· ইউনিভার্সিটি অব কুইন্সল্যান্ড (৪০)
আরো পড়ুন: সুইডেনে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এমন উচ্চ র্যাংকিং-এ থাকার অন্যতম প্রধান কারণ হলো এগুলোর প্রত্যেকটি দুইয়ের অধিক বিষয়ের পাঠদানের জন্য সেরা। প্রকৌশল, প্রযুক্তি, মেডিসিন, কলা ও মানবিকের নাম করলে প্রায়শই ঘুরে ফিরে এই বিদ্যাপীঠগুলোর নাম আসে।
উদ্ভাবনশীলতা নিয়ে ওশেনিয়ার এই দ্বীপ দেশটির রয়েছে সমৃদ্ধ ইতিহাস। অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা পরবর্তীতে আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। বিগত কয়েক যুগে বিশ্বসেরা বিজ্ঞানী, ডিজাইনার, শিক্ষাবিদ ও উদ্যোক্তাদের একটা বিরাট অংশ ছিলেন এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থী।
বিশ্বের ১৩তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ অস্ট্রেলিয়া। এর ফলেই দেশটির নাগরিকরা উন্নত মানের অবকাঠামো, আধুনিকতা ও সর্বোচ্চ মানের স্বাস্থ্যসেবার মতো সুবিধাগুলো পেয়ে থাকে। সব মিলিয়ে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার গঠনে উন্নয়নশীল দেশের ছাত্রছাত্রীদের জন্য অস্ট্রেলিয়া নিঃসন্দেহে একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য।
আরো পড়ুন: নিউজিল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ
অস্ট্রেলিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয় এবং চাহিদা সম্পন্ন কোর্সের তালিকা
বিশ্বজুড়ে বহুল সমাদৃত অস্ট্রেলিয়ার প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়গুলো:
· ইউনিভার্সিটি অব মেলবোর্ন
· ইউনিভার্সিটি অব সিডনি
· ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলস
· অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
· মোনাশ ইউনিভার্সিটি
· ইউনিভার্সিটি অব কুইন্সল্যান্ড
· ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া
· ইউনিভার্সিটি অব অ্যাডিলেড
· ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি সিডনি
· আরএমআইটি ইউনিভার্সিটি
আরো পড়ুন: ইংল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন, পড়াশোনার খরচ ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
অস্ট্রেলিয়ার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়াশোনার জন্য সর্বাধিক চাহিদাসম্পন্ন বিষয়:
· অ্যাকাউন্টিং
· অ্যাকচুয়ারিয়াল সায়েন্স
· কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইন্ফরমেশন টেকনোলজি
· সাইকোলজি
· ট্যুরিজম অ্যান্ড হস্পিটালিটি ম্যানেজমেন্ট
· আর্কিটেক্চার
· ইঞ্জিনিয়ারিং
· হেল্থ সায়েন্স অ্যান্ড নার্সিং
· বিজনেস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট
আরো পড়ুন: পোল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন, পড়াশোনার খরচ, ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
অস্ট্রেলিয়ার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আবেদনের উপায়
বছর জুড়ে সাধারণত তিনটি মৌসুমে ভর্তির জন্য আবেদন গ্রহণ করে থাকে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। মৌসুমগুলো ফেব্রুয়ারি, জুলাই ও নভেম্বর ইন্টেক হিসেবে পরিচিত।
এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক কোর্সে ভর্তির সুযোগ থাকে ফেব্রুয়ারি ইন্টেকে। ভর্তি কার্যক্রম চলে ফেব্রুয়ারি বা মার্চ থেকে শুরু করে মে মাসের শেষ বা জুনের শুরু পর্যন্ত। আবেদন গ্রহণ করা হয় আগের বছরের অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাসে। ইন্টার্নশিপ বা কর্মসংস্থান পাওয়ার ক্ষেত্রে এই মৌসুমটিই সর্বাধিক উপযুক্ত।
জুলাই ইন্টেকের আবেদন নেওয়া হয় এপ্রিল থেকে মে পর্যন্ত। অতঃপর ভর্তি শুরু হয় জুলাইয়ের শেষ বা আগস্টের শুরুর দিকে। তারপর নভেম্বর পর্যন্ত অব্যাহত থাকে ছাত্রছাত্রী ভর্তি।
সর্বশেষ নভেম্বর ইন্টেকে আবেদনের সময় সেপ্টেম্বর মাস। ভর্তি প্রক্রিয়া চলমান থাকে নভেম্বরের শেষ থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত।
এই আবেদনের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনার জন্য প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে নিজস্ব অনলাইন পোর্টাল। মৌসুমগুলোকে কেন্দ্র করে এই ওয়েবসাইটগুলোতে ভর্তির যাবতীয় শর্ত, কোর্সের পর্যাপ্ততা ও আবেদনের সময়সীমা হালনাগাদ করা হয়। তাই অনলাইন আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ অন্যান্য বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা জানতে প্লাটফর্মগুলোতে চোখ রাখা উচিত।
আরো পড়ুন: চীনে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, পড়াশোনার খরচ ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
ভর্তির আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
· অনলাইন আবেদনপত্র
· একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট এবং সার্টিফিকেট: স্নাতকের ক্ষেত্রে উচ্চ মাধ্যমিকের নথি, স্নাতকোত্তরের জন্য স্নাতকের নথি এবং পিএইচডির জন্য স্নাতকোত্তরের শংসাপত্র
· ইংরেজি ভাষা দক্ষতার প্রমাণপত্র: ন্যূনতম যোগ্যতা স্বরূপ আইইএলটিএস স্কোর ৬, টোফেল আইবিটিতে ৬৪, কেম্ব্রিজ ইংলিশ: অ্যাড্ভান্স্ড-এ ১৬৯, বা পিটিই (পিয়ারসন টেস্ট অব ইংলিশ) একাডেমিক-এ ৫০।
· সিভি বা পোর্টফোলিও
· এসওপি (স্টেটমেন্ট অব পার্পাস) বা পার্সনাল স্টেটমেন্ট
· লেটার অব রিকমেন্ডেশন (এলওআর)
· রিসার্চ প্রোপোজাল (ডক্টরাল প্রোগ্রামের জন্য)
· পেশাগত অভিজ্ঞতাপত্র (এমবিএ প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে)
· বৈধ পাসপোর্ট
· সাম্প্রতিক ছবি
· অধ্যয়ন ফি প্রদানের জন্য আর্থিক সামর্থ্যের প্রমাণ: কমপক্ষে কোর্সের প্রথম ১২ মাসের ফি। কোর্স ১২ মাস বা তার কম হলে সম্পূর্ণ ফি পরিশোধ করতে হবে।
· স্বাস্থ্য বীমা স্বরূপ ওএসএইচসি (ওভারসিজ স্টুডেন্ট হেলথ কভার)
· আবেদন ফি: সাধারণত ৫০ থেকে ১০০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার বা ৪ হাজার ৯৩ থেকে ৮ হাজার ১৮৫ টাকা (১ অস্ট্রেলিয়ান ডলার = ৮১ দশমিক ৮৫ বাংলাদেশি টাকা)
আরো পড়ুন: ফিনল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, খরচ, ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
এর বাইরেও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অতিরিক্ত নথি চাওয়া হতে পারে। কোনো কাগজ বাংলায় হলে তা অবশ্যই ইংরেজিতে অনুবাদ করে মূল কপিসহ অনুদিত কপি স্ক্যান করতে হবে। এখানে অনুবাদককে অবশ্যই জাতীয় পর্যায়ে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত হতে হবে।
৪৬১ দিন আগে
বেতন-ভাতার দাবিতে গাজীপুরে ৩ কারখানার শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ
বেতন ভাতাসহ বিভিন্ন দাবিতে এক ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন গাজীপুরের তিনটি কারখানার শ্রমকিরা।
এ সময় ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়। খবর পেয়ে যৌথবাহিনী সদস্যরা শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করেন।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে গাজীপুরের সদর উপজেলার বাঘের বাজার এলাকায় গোল্ডেন রিফিট গার্মেন্টস লিমিটেড গার্মেন্টস কারখানার শ্রমিকরা কাজে যোগ না দিয়ে হাজিরা বোনাস বৃদ্ধির দাবিসহ
১২ দফা দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেন। পরে কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের হাজিরা বোনাস, টিফিন বিল, নাইট বিলসহ ৮টি দাবি মেনে নেয়।
গাজীপুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের বাঘের বাজার জোনের পরিদর্শক সুমন মিয়া জানান, শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করলে যানজটের সৃষ্টি হয়। কারখানা কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে আবারও শ্রমিক বিক্ষোভ, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ
এছাড়া কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাকে সকালে কোকোলা ফুড প্রোডাক্টস নামে একটি খাদ্য উৎপাদন কারখানার শ্রমিকরা কারখানার সামনে অবস্থান নেন। কারখানার শ্রমিকদের হাজিরা বোনাস, বাৎসরিক ছুটিসহ ১২ দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কারখানা কর্তৃপক্ষ গতকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য এই কারখানাটি বন্ধ ঘোষণা করে।
এরপর আজ সকালে শ্রমিকরা কারখানার সামনে অবস্থান করে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক কিছু সময় অবরোধ করেন। একপর্যায়ে কিছু শ্রমিক বন্ধ কারখানার ভেতরে জোর করে প্রবেশ করে ভাঙচুর চালান।
খবর পেয়ে যৌথবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের ধাওয়া করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনেন। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে তিনজনকে আটক করেন তারা।
অন্যদিকে, গাজীপুর মহানগরের টঙ্গীতে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় টঙ্গীর খাঁ পাড়া এলাকায় সিজন্স ড্রেসেস লিমিটেডের শ্রমিকেরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন।
জানা যায়, গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীর পশ্চিম থানাধীন খাঁ পাড়া এলাকায় অবস্থিত সিজন্স ড্রেসেস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা সকাল ৭টায় কারখানার সামনে গিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে শ্রমিকরা সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জুলাই ও আগস্ট মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন।
এ বিষয়ে গাজীপুর শিল্প পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোশাররফ হোসেন বলেন, শ্রমিকদের সঙ্গে মালিকপক্ষের যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেছে শ্রমিকরা
৪৬২ দিন আগে
দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতের ‘বিশেষ অনুরোধে’ ইলিশ রপ্তানির অনুমতি: মৎস্য উপদেষ্টা
দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতের ‘বিশেষ অনুরোধে’ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে এক সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, 'বাণিজ্য মন্ত্রণালয় স্বাধীনভাবে এটা (রপ্তানির অনুমোদন) দিয়েছে। তারা একটা অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে দিয়েছে। ভারতের দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিশেষ অনুরোধ ছিল। সে অনুযায়ী তারা করেছে। তাদের তো আমি জোর করতে পারি না।'
আরও পড়ুন: সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারের সময় ৮৮৫ কেজি ইলিশ জব্দ
তিনি জানান, গতকাল যেটা করেছে সেটা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিয়েছে। অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দিয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কোনো সম্পর্ক নেই। আমাদের এখনো সেই কমিটমেন্টটা আগের মতোই আছে, বাংলাদেশের মানুষের ইলিশ প্রাপ্যতা ওযন নিশ্চিত করতে পারি আমরা।
দাম বাড়লে রপ্তানি নিরুৎসাহিত করবেন কি না- সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, যদি দাম বাড়ে সে বাড়ার বিষয়ে অবশ্যই আমাদের ব্যবস্থা নিতে হবে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রপ্তানি বন্ধের দায়িত্ব তো আমার না। আমি আহ্বান জানাতে পারি কিন্তু বন্ধ করতে পারি না।
রপ্তানি বা আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আছে বলেও এসময় মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ভারতে ৩০০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন
৪৬২ দিন আগে
সুইডেনে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ
সভ্যতা বিনির্মাণ ও সমাজ সংস্কারে উদ্ভাবনশীলতা এবং উৎপাদনমুখী গবেষণা একটি দেশের সামগ্রিক উন্নতির চাবিকাঠি। আর এই উদ্ভাবন এবং গবেষণার প্রাণকেন্দ্র হলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। স্বভাবতই উচ্চশিক্ষার অবস্থান সর্বদা মেধার পক্ষে থাকে। আর তাই উন্নত দেশগুলো তাদের বিদ্যাপীঠগুলোতে বিশ্বের নানা প্রান্তের মেধাবী শিক্ষার্থীদের আমন্ত্রণ জানায়। এমনই একটি দেশ সুইডেন, যেটি বছরের পর বছর ধরে এর নাগরিকদের কাঙ্ক্ষিত আর্থ-সামাজিক অবস্থা নিশ্চিত করে আসছে। বিশ্বখ্যাত সব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের এই আশ্রয়স্থলে ক্যারিয়ার গঠন হাজার হাজার বিদেশি শিক্ষার্থীদের কাছে স্বপ্নতূল্য। চলুন, শেনজেনভুক্ত দেশ সুইডেনে উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, অধ্যয়ন খরচ এবং স্কলারশিপ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
কেন সুইডেন উচ্চশিক্ষার অন্যতম সেরা গন্তব্য
সুইডিশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাঠ্যক্রম শেনজেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ (ইইউ) সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। তন্মধ্যে কিউএস ওয়ার্ল্ড র্যাংকিংয়ের শীর্ষ শতকে রয়েছে কেটিএইচ রয়্যাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (৭৩) ও লুন্ড ইউনিভার্সিটি (৮৫)।
প্রধান ভাষা সুইডিশ হলেও স্ক্যান্ডিনেভিয়ানদের প্রতি ১০ জনের ৯ জনই সাবলীলভাবে ইংরেজিতে কথা বলতে পারে। তাই পড়াশোনাসহ নিত্য জীবনযাত্রা এবং চাকরি ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ছাত্রছাত্রীদের পছন্দের অন্যতম গন্তব্য সুইডেন।
সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট রিপোর্ট অনুযায়ী পরিবেশগত দিক থেকে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নিরাপদ দেশ সুইডেন। পৃথিবীর শীর্ষস্থানীয় দূষণমুক্ত দেশগুলোর তালিকায় চতুর্থ স্থানে থাকা এই দেশটির দূষণ সূচক মাত্র ১৭ দশমিক ৭। এছাড়াও বিশ্বের সর্বাপেক্ষা ভ্রমণবান্ধব দেশগুলোর তালিকায় শীর্ষ ১০-এর মধ্যে রয়েছে এই নর্ডিক দেশটি।
আরো পড়ুন: জাপানে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ
পড়াশোনার জন্য সুইডেন যাত্রার আরও একটি প্রধান কারণ হচ্ছে স্টুডেন্ট নোবেল নাইটক্যাপ। এই অনুষ্ঠানে সারা বিশ্বের একাডেমিক সুপারস্টারদের সন্নিবেশ ঘটে। এই ভূ-খণ্ডে নোবেল পুরষ্কারকে কেন্দ্র করে চলে নানা আয়োজন। বিশেষ করে স্টকহোমে পুরো একটি সপ্তাহ উদযাপন করা হয় নোবেলকে ঘিরে।
শত শত স্টার্টআপ কোম্পানির স্বর্গরাজ্য সুইডেনকে বলা হয় ইউরোপের সিলিকন ভ্যালি। ক্যালিফোর্নিয়ার পর স্টকহোমই হচ্ছে দ্বিতীয় শহর, যেখানে সর্বাধিক সফল কোম্পানিগুলোর গোড়াপত্তন হয়েছে।
ইউরোপীয় দেশটির আরও যে বিষয়টি বিদেশি শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করে তা হলো- কর্ম ও জীবনের মধ্যে এক আশ্চর্য ভারসাম্য। এখানে প্রতিটি চাকরিতেই রয়েছে যথেষ্ট শিথিলতা। প্রয়োজন অনুযায়ী শিফটিং এবং প্যাটার্নিটি বা ম্যাটার্নিটি লিভসহ বিভিন্ন উপলক্ষে সাময়িক ছুটির নীতি। এখানে মূলত কর্মীদের সর্বোচ্চ উৎপাদনশীলতা পাওয়ার জন্য তাদের চাপমুক্তিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। পুরো দেশের মোট জনসংখ্যার মাত্র ১ শতাংশ কর্মচারী খুব দীর্ঘ সময় ধরে বা ওভারটাইম কাজ করে।
আরো পড়ুন: নিউজিল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ
সুইডেনের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় এবং চাহিদা সম্পন্ন কোর্সের তালিকা
ইউরোপসহ গোটা বিশ্বজুড়ে বহুল সমাদৃত সুইডেনের শীর্ষস্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো-
· কেটিএইচ রয়্যাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি
· লুন্ড ইউনিভার্সিটি
· উপসালা ইউনিভার্সিটি
· স্টকহোম ইউনিভার্সিটি
· চালমার্স ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি
· ইউনিভার্সিটি অব গোথেনবার্গ
· ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট
· লিন্কোপিঙ ইউনিভার্সিটি
· উমিয়া ইউনিভার্সিটি
· হালম্স্ট্যাড ইউনিভার্সিটি
আরো পড়ুন: ইংল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন, পড়াশোনার খরচ ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
সুইডিশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়াশোনার জন্য সর্বাধিক চাহিদাসম্পন্ন বিষয়গুলো-
· প্রকৌশল ও প্রযুক্তি
· ব্যবসা ও অর্থনীতি
· সাংবাদিকতা, যোগাযোগ ও তথ্য
· লাইফ সায়েন্সেস অ্যান্ড মেডিসিন
· ডিজাইন অ্যান্ড আর্কিটেক্চার
সুইডেনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আবেদনের উপায়
সাধারণত ফল ও স্প্রিং সেমিস্টার- এই দুই সময়ে ভর্তির কার্যক্রম চালু করে সুইডিশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। তন্মধ্যে ফল সেমিস্টার আগস্টের শেষ থেকে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিতে শুরু হয়। এই মৌসুমে আবেদনের জন্য সবচেয়ে বেশি সংখ্যক প্রোগ্রাম চালু থাকে। আবেদন গ্রহণ অব্যাহত থাকে জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত।
আরো পড়ুন: পোল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন, পড়াশোনার খরচ, ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
ফল-এ যে প্রোগ্রামগুলো বাদ পড়ে যায়, সেগুলোতে ভর্তির আবেদন নেওয়া হয় স্প্রিং সেমিস্টারে। এ মৌসুমে ডিসেম্বর থেকে আবেদন গ্রহণ শুরু হয়ে চলে পরের বছরের আগস্ট পর্যন্ত।
কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সামার সেমিস্টারেও ভর্তি নেওয়া হয়। তাই উত্তম হচ্ছে প্রথমে বিষয় পছন্দ করে তার জন্য উপযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় বাছাই করে তার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট চেক করা।
তবে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের আবেদনের ব্যাপারে ফল সেমিস্টারকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। কেননা আবেদনের জন্য যথেষ্ট বিকল্প কোর্স পাওয়ার সুযোগ তো আছেই! তাছাড়া এ সময়ে আবেদন করা হলে অধ্যয়ন ফি প্রদান, প্রয়োজনীয় নথিপত্র প্রেরণ, রেসিডেন্স পার্মিটের আবেদন এবং আবাসন খোঁজার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায়।
স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে যে কোনো প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য একটি সাধারণ অনলাইন প্ল্যাটফর্মের (universityadmissions.se) মাধ্যমে আবেদন নেওয়া হয়। এখানে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে কাঙ্ক্ষিত প্রোগ্রামগুলোকে নির্বাচন করে সেগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তালিকাভুক্ত করে রাখতে হয়। এক্ষেত্রে চূড়ান্ত আবেদন প্রক্রিয়া শুরুর পূর্বে প্রতিটি প্রোগ্রামের জন্য প্রয়োজনীয় শর্তগুলো জেনে নেওয়া উচিত।
আরো পড়ুন: চীনে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, পড়াশোনার খরচ ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
ভর্তির আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
· স্নাতক প্রোগ্রামে আবেদন করলে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষার সনদ
· স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য ৪ বা অনার্সসহ ৩ বছরের স্নাতক ডিগ্রির সনদ
· ইংরেজি ভাষা দক্ষতার স্কোর:
· আইইএলটিএস (একাডেমিক) মোট স্কোর ৬ দশমিক ৫ (কোনো বিভাগে ৫ দশমিক ৫ এর কম পাওয়া যাবে না)
· টোফেল ইন্টারনেটভিত্তিক স্কোর ২০ (০ থেকে ৩০ স্কেলে) এবং মোট স্কোর ৯০
· শিক্ষার্থীর স্নাতকের ৪ বছর ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা করলে, অথবা উচ্চ মাধ্যমিকে ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা করে থাকলে আলাদা করে আইইএলটিএস বা টোফেলের দরকার হবে না। এ ক্ষেত্রে মিডিয়াম অব ইন্স্ট্রাকশন বা এমওআই প্রদর্শন করতে হবে।
· একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট
· সিভি বা পোর্টফোলিও
· স্টেটমেন্ট অব পার্পাস
· লেটার অব মোটিভেশন
· লেটার অব রিকমেন্ডেশন
· আবেদন ফি পরিশোধের রশিদ: ৯০০ ক্রোনা বা ১০ হাজার ৫৫৭ টাকা (১ সুইডিশ ক্রোনা = ১১ দশমিক ৭৩ বাংলাদেশি টাকা)
আরো পড়ুন: ফিনল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, খরচ, ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
সুইডেনে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন পদ্ধতি
দীর্ঘকালীন পড়াশোনার জন্য এই ইইউ সদস্য রাষ্ট্রে যেতে হলে অধ্যয়নের উদ্দেশ্যে রেসিডেন্স পারমিটের জন্য আবেদন করতে হবে। এই পারমিটে অধ্যয়নের জন্য ৩ মাস বা ৯০ দিনের বেশি সুইডেনে বসবাস করার অনুমতি লাভ করা যায়।
এক্ষেত্রে মনে রাখা জরুরি যে, এই পারমিট নিয়ে শেনজেনভুক্ত অন্যান্য দেশে ভ্রমণ করা যাবে না। তার জন্য আলাদাভাবে স্বল্প মেয়াদী (৩ মাসের কম সময়ের জন্য) ভিসার আবেদন করতে হবে।
সুইডেনে উচ্চশিক্ষার জন্য রেসিডেন্স পারমিটের জন্য আবেদনের দ্রুততম ও সহজ উপায় হলো অনলাইনে আবেদন করা। এর জন্য https://www.migrationsverket.se/manageaccount/ -এই লিংকে যেয়ে নতুন অ্যাকাউন্ট খুলে নিতে হবে। অতঃপর আবেদন প্রক্রিয়ার সময় জরুরি নথিপত্রের স্ক্যানকপি আপলোড করতে হবে।
আরো পড়ুন: কীভাবে আইইএলটিএস পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন করবেন?
ভিসার আবেদনের জন্য দরকারি নথিপত্র
· পাসপোর্টের ডাটা পৃষ্ঠা (পাসপোর্ট ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর অন্তত ৩ মাস পর্যন্ত বৈধ থাকতে হবে এবং যেখানে কমপক্ষে দুটি খালি পৃষ্ঠা থাকবে)
· সর্বোচ্চ ৬ মাসের মধ্যে তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি
· সুইডিশ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইস্যুকৃত ভর্তির অফার লেটার (এখানে পূর্ণকালীন অধ্যয়নের সময়সীমা ন্যূনতম ৯০ দিন বা ৩ মাসের অধিক হতে হবে)
· সুইডেনে বসবাসের জন্য আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রমাণ: প্রতি মাসে কমপক্ষে ১০ হাজার ৩১৪ ক্রোনা (১ লাখ ২০ হাজার ৯৮৮ টাকা)। নথি হিসেবে প্রার্থীর নিজের নামে থাকা সাম্প্রতিক ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে হবে, যার ইস্যুর তারিখ ৪ মাসের খুব বেশি হওয়া যাবে না।
· শিক্ষার্থী যদি নিজে তার ব্যয়ভার বহন করেন তবে তার স্বপক্ষে সুস্পষ্ট প্রমাণস্বরূপ প্রাসঙ্গিক নথি লাগবে। কর্মচারী হলে কর্মসংস্থানের শংসাপত্র প্রয়োজন হবে। স্ব-নিযুক্ত হলে সুইডিশ কোম্পানির নিবন্ধন অফিস থেকে নিবন্ধন শংসাপত্র এবং এফ-ট্যাক্স কার্ডের অনুলিপি জমা দিতে হবে।
আরো পড়ুন: রোমানিয়ায় উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, খরচ, স্কলারশিপ ও যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
কর্মসংস্থানের শংসাপত্রে যে তথ্যাবলি থাকতে হবে, তা হলো:
· নিয়োগকর্তার নাম, যোগাযোগের বিবরণ ও কোম্পানির নিবন্ধন নম্বর
· বেতন
· চাকরির সময়কাল
অন্য কেউ স্পন্সর করে থাকলে তার পক্ষ থেকে একটি স্পন্সরশিপ লেটার দিতে হবে। স্পন্সর বা গ্যারান্টরের নিকট থেকে তহবিল শিক্ষার্থীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করতে হবে।
স্পন্সর লেটারে যেসব তথ্যাদি থাকবে, তা হলো-
· স্পন্সর বা গ্যারান্টারের নাম
· তহবিলের প্রাপক তথা শিক্ষার্থীর নাম
· তহবিলের মোট পরিমাণ এবং প্রাপ্তির সময়। তহবিল কিস্তিতে স্থানান্তর করা হলে সেই কিস্তি সংখ্যা।
· স্পন্সরশিপের সুনির্দিষ্ট সময়কাল
· তহবিলের কোন অংশ শিক্ষার্থীর জীবনযাত্রার ব্যয়ের জন্য বরাদ্দ
· স্পন্সর আয়ের উৎস ও কর্মসংস্থান সম্পর্কিত তথ্যাবলি
আরো পড়ুন: আয়ারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদনের পদ্ধতি, খরচ, স্কলারশিপ ও যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
স্কলারশিপ পেয়ে থাকলে তার একটি শংসাপত্র। এখানে উল্লেখ থাকবে-
· স্কলারশিপ প্রদানকারীর (ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান) নাম
· স্কলারশিপ অর্জনকারী তথা শিক্ষার্থীর নাম
· স্কলারশিপের সময়সীমা এবং সুইডেনে পড়াশোনার জন্য বরাদ্দ হয়েছে তার স্বীকারক্তি
· অর্থের মোট পরিমাণ, কখন এবং কি পদ্ধতিতে প্রদান করা হবে তার বিস্তারিত
· স্কলারশিপের কোন অংশটি শিক্ষার্থীর জীবনযাত্রার ব্যয় বহনে খরচ হবে
আরো পড়ুন: অস্ট্রিয়াতে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, খরচ ও স্কলারশিপসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা
স্টুডেন্ট লোন পেয়ে থাকলে, তার ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং একটি শংসাপত্র। এখানে উল্লেখ থাকবে-
· ঋণ প্রদানকারী বা প্রদানকারীদের নাম
· ঋণ গ্রহীতা তথা ছাত্র/ছাত্রীর নাম
· ঋণের সময়সীমা
· শিক্ষার্থী কখন তা পরিশোধ করবেন
· ঋণের অর্থ অধ্যয়নের জন্য কিভাবে ব্যবহৃত হবে (মাসিক বা মোট পরিমাণ)
· ঋণের কোন পরিমাণটি দিয়ে ছাত্র/ছাত্রীর জীবনযাত্রার ব্যয়ভার বহন করা হবে
· পিএইচডির ক্ষেত্রে সুপারভাইজার অধ্যাপকের একটি শংসাপত্র, যেখানে অধ্যয়নের পুরো সময়কাল উল্লেখ থাকবে
· পুরো অধ্যয়নের সময় জুড়ে সুইডেনে যাতায়াত ও বসবাসের জন্য স্বাস্থ্য বীমা: কমপক্ষে ৩০ হাজার ইউরো বা ৩৯ লাখ ৯৮ হাজার ৩৫১ টাকা (১ ইউরো = ১৩৩ দশমিক ২৮ টাকা), যা যে কোনো শেনজেনভুক্ত দেশের জন্য প্রযোজ্য
আরো পড়ুন: চেক প্রজাতন্ত্রে উচ্চশিক্ষা: পড়াশোনার খরচ ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
রেসিডেন্স পারমিট কার্ডের জন্য বায়োমেট্রিক নিবন্ধন
অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে দূতাবাসে যাওয়ার উদ্দেশ্য হলো রেসিডেন্স পারমিট কার্ড। এর জন্য দরকার হবে ছবি তোলার এবং আঙুলের ছাপ নেওয়ার। দূতাবাসে উপস্থিত হওয়ার আগে [email protected] ই-মেইল ঠিকানায় যোগাযোগের মাধ্যমে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে।
ভিসা কেন্দ্রের ঠিকানা: সুইডেন দূতাবাস, বে'স এজওয়াটার, ৬ষ্ঠ তলা, গুলশান ২, ঢাকা-১২১২
ভিসা প্রক্রিয়াকরণ ফি
স্টুডেন্ট রেসিডেন্স পারমিটের জন্য আবেদন ফি ১ হাজার ৫০০ ক্রোনা। বাংলাদেশের সুইডেন দূতাবাস ওয়েবসাইট অনুসারে, এই ফি ১৪ হাজার ৮০০ টাকা, যেটি জমা দিতে হবে ব্র্যাক ব্যাংকে সুইডেন দূতাবাসের অ্যাকাউন্টে। অ্যাকাউন্ট নাম্বার- ১৫০১২০৪৮৪০৫৪৫০০১।
আরো পড়ুন: হাঙ্গেরিতে উচ্চশিক্ষা: আবেদনের উপায়, পড়াশোনার খরচ, স্কলারশিপ, ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা
ভিসা প্রক্রিয়াকরণের সময় ও রেসিডেন্স পারমিট কার্ড সংগ্রহ
অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রক্রিয়াকরণের কাজ প্রায় ৭৫ শতাংশ কাজ ৩ মাসের মধ্যে সম্পন্ন হয়। এর মধ্যে অতিরিক্ত তথ্য বা নথির প্রয়োজন হলে আরও সময় লাগতে পারে। তাই সুইডেনের বিশ্ববিদ্যালয় বরাবর অধ্যয়ন ফি পরিশোধের পরে যত দ্রুত সম্ভব রেসিডেন্স পারমিটের জন্য আবেদন করা উচিত। এতে ভিসার প্রক্রিয়ায় অতিরিক্ত সময় পাওয়া যায়, যার ফলাফল সেমিস্টারের ক্লাস শুরুর বেশ আগেই চলে আসতে পারে।
আবেদন যাচাই-বাছাই করে সুইডিশ অভিবাসন অধিদপ্তর কার্ড প্রদানের সিদ্ধান্ত ই-মেইলের মাধ্যমে প্রার্থীকে জানাবে। অতঃপর সে অনুযায়ী পাসপোর্ট সঙ্গে নিয়ে দূতাবাসে উপস্থিত হয়ে কার্ড সংগ্রহ করা যাবে।
সুইডেনে পড়াশোনা ও জীবনযাত্রার খরচ
অধ্যয়ন এবং জীবনযাত্রার যাবতীয় খরচ মিলে সুইডেনের উচ্চশিক্ষায় যে বাজেট রাখতে হয় তা যথেষ্ট ব্যয়বহুল। বিষয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিশেষে অধ্যয়ন ফি বাবদ খরচ হতে পারে প্রতি বছর ৮০ হাজার থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ক্রোনা। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৯ লাখ ৩৮ হাজার ৪৩৬ থেকে ৩৪ লাখ ৬০ হাজার ৪৮৪ টাকার সমতূল্য। তন্মধ্যে ব্যবসা ও স্থাপত্যের কোর্সে খরচ সবচেয়ে বেশি। অপরদিকে, সামাজিক বিজ্ঞান এবং মানবিক কোর্স ফি সর্বনিম্ন। এ দুয়ের মাঝে প্রযুক্তিভিত্তিক প্রোগ্রাম ও ন্যাচারাল সায়েন্স কোর্সের মূল্য বছরে ১ লাখ ২০ হাজার থেকে ১ লাখ ৪৫ হাজার ক্রোনা। এই পরিমাণ প্রায় ১৪ লাখ ৭ হাজার ৬৫৫ থেকে ১৭ লাখ ৯১৬ টাকার সমান।
নিত্যদিনের থাকা-খাওয়া ও চলাফেরার খরচ বিভিন্ন শহরে বিভিন্ন রকম। বিশেষ করে স্টকহোম ও গোথেনবার্গের মতো বড় শহরগুলোতে জীবনযাত্রার ব্যয়ভার সর্বাধিক। অন্যদিকে লুন্ড ও উপসালার মতো শহরগুলো মোটামুটি শিক্ষার্থীবান্ধব।
আরো পড়ুন: ফ্রান্সে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, খরচ ও যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
সব মিলিয়ে গড়পড়তায় যে বাজেট থাকে সেখানে বিপুল অংশ জুড়ে থাকে আবাসন। মাসে প্রায় ২ হাজার ৫০০ থেকে ৬ হাজার ৫০০ ক্রোনা (২৯ হাজার ৩২৬ থেকে ৭৬ হাজার ২৪৮ টাকা)। ইউটিলিটির জন্য রাখতে হবে মাসে ১ হাজার ৩০০ ক্রোনা (১৫ হাজার ২৫০ টাকা)। খাবার ও প্রতি মাসের মুদির জন্য ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ ক্রোনা (১৭ হাজার ৫৯৬ থেকে ২৯ হাজার ৩২৬ টাকা)। পরিবহনে ব্যয় হবে ১ হাজার ক্রোনা বা ১১ হাজার ৭৩০ টাকা।
সুইডেনে স্কলারশিপের সুবিধা
স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের বিভিন্ন প্রোগ্রামে রয়েছে পর্যাপ্ত স্কলারশিপের সুবিধা। এগুলোর মধ্যে কেটিএইচ রয়্যাল ইন্স্টিটিউট অব টেকনোলজির আর্থিক সহায়তার পরিমাণ ১ লাখ ৪১ হাজার থেকে ৩ লাখ ৭২ হাজার ক্রোনা পর্যন্ত। বাংলাদেশি মুদ্রায় এটি প্রায় ১৬ লাখ ৫৩ হাজার ৯৯৪ থেকে ৪৩ লাখ ৬৩ হাজার ৭২৯ টাকার সমতূল্য।
চালমার্স ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি স্কলারশিপের মূল্য ২৩ হাজার থেকে ১ লাখ ১৭ হাজার ক্রোনা। এটি প্রায় ২ লাখ ৬৯ হাজার ৮০০ থেকে ১৩ লাখ ৭২ হাজার ৪৬৩ টাকার সমান।
লুন্ড ইউনিভার্সিটি গ্লোবাল প্রতি বছর ৮৫ হাজার থেকে ১ লাখ ১৯ হাজার ক্রোনার (৯ লাখ ৯৭ হাজার ৮৯ থেকে ১৩ লাখ ৯৫ হাজার ৯২৪ টাকা) স্কলারশিপ দিয়ে থাকে।
আরো পড়ুন: ডুওলিঙ্গো ইংলিশ টেস্ট কী? কীভাবে প্রস্তুতি নেবেন?
লিন্কোপিং ইউনিভার্সিটি থেকে পাওয়া যায় বছরে ২০ হাজার থেকে ১ লাখ ২ হাজার ক্রোনা বা ২ লাখ ৩৪ হাজার ৬০৯ থেকে ১১ লাখ ৯৬ হাজার ৫০৬ টাকা।
সুইডিশ ইনস্টিটিউট স্কলারশিপ ফর গ্লোবাল প্রফেশনাল কার্যক্রম থেকে বরাদ্দ থাকে প্রতি মাসে ১২ হাজার ক্রোনা অথবা ১ লাখ ৪০ হাজার ৭৬৫ টাকা।
উপসালা ইউনিভার্সিটি গ্লোবাল স্কলারশিপের আওতায় থাকে সেমিস্টার প্রতি ৫০ হাজার থেকে ৭২ হাজার ৫০০ ক্রোনা। পরিমাণটি বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৫২৩ থেকে ৮ লাখ ৫০ হাজার ৪৫৮ টাকা।
ক্যারোলিনস্কা ইন্স্টিটিউট স্কলারশিপ মাসে ১৩ হাজার ক্রোনা (১ লাখ ৫২ হাজার ৪৯৬ টাকা) দেয়। জনপ্রিয় স্কলারশিপ প্রকল্প ইরাস্মাস মুন্ডাস জয়েন্ট মাস্টার ডিগ্রি থেকে প্রতি সেমিস্টারে বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ ৫২ হাজার ক্রোনা (৬ লাখ ৯ হাজার ৯৮৪ টাকা)।
আরো পড়ুন: ডলার এনডোর্সমেন্ট কী, কীভাবে করবেন
সুইডেনে পড়াশোনার পাশাপাশি খণ্ডকালীন চাকরির সুযোগ
সুইডেনে পড়াশোনার জন্য রেসিডেন্স পারমিট লাভের মাধ্যমে অধ্যয়নের পাশাপাশি খণ্ডকালীন কাজের অনুমতিও পাওয়া যায়। আলাদা করে আর ওয়ার্ক পারমিটের দরকার পড়ে না। এমনকি অন্যান্য দেশগুলোর মতো এখানে কাজের জন্য কোনো ধরাবাঁধা সময়সীমা নেই।
সুইডেনে খণ্ডকালীন চাকরি করে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪০০ ক্রোনা (৪ হাজার ৬৯২ টাকা) পর্যন্ত আয় করা যায়। এই হারে সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজ করে মাসিক ৩২ হাজার ক্রোনা (৩ লাখ ৭৫ হাজার ৩৭৫ টাকা) পর্যন্ত উপার্জন করা যেতে পারে। এটি ছাত্রাবস্থায় বাজেট পরিচালনার জন্য এক বিরাট সাপোর্ট। শুধু নিত্যদিনের জীবনযাত্রার ব্যয়ভার সামলানো নয়, এর মাধ্যমে কাজের অভিজ্ঞতা অর্জিত হয়। তাছাড়া ভবিষ্যতে পূর্ণকালীন চাকরির জন্য নেটওয়ার্কিং-এও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই স্বল্পকালীন কাজগুলো।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশে থেকে জার্মান ভাষার আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেট পাওয়ার উপায়
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে কাজগুলোর প্রবণতা সর্বাধিক, সেগুলোর ঘণ্টাপ্রতি গড় রেটের একটি তালিকা দেওয়া হলো-
· লাইব্রেরি সহকারী: ১৬৫ ক্রোনা বা ১ হাজার ৯৩৬ টাকা
· গ্রাহক সেবা প্রতিনিধি: ২০০ ক্রোনা বা ২ হাজার ৩৪৬ টাকা
· গবেষণা সহকারী: ২০০ ক্রোনা অথবা ২ হাজার ৩৪৬ টাকা
· ল্যাব টেকনিশিয়ান: ২৩৬ ক্রোনা (২ হাজার ৭৬৮ টাকা)
· রিসেপশনিস্ট: ১৬০ ক্রোনা (১ হাজার ৮৭৭ টাকা)
· ওয়েটার বা ওয়েট্রেস: ১৩০ ক্রোনা (১ হাজার ৫২৫ টাকা)
· বিক্রয় সহকারী: ১৪৪ ক্রোনা (১ হাজার ৬৮৯ টাকা)
· আইটি সাপোর্ট: ২৫৩ ক্রোনা (২ হাজার ৯৬৮ টাকা)
· ফ্রিল্যান্স রাইটিং বা অনুবাদক: ২৪২ ক্রোনা (২ হাজার ৮৩৯ টাকা)
এই উপার্জনের ক্ষেত্রে কর দেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনায় রাখা জরুরি। কেননা মাসিক আয়ের প্রায় ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কর দিতে হয়।
আরো পড়ুন: মালয়েশিয়ায় উচ্চশিক্ষা: উপায়, খরচ ও সুযোগ-সুবিধা
শেষাংশ
মানের দিক থেকে সর্বোচ্চ স্তর বজায় রাখায় সুইডেনের উচ্চশিক্ষা যথেষ্ট ব্যয়বহুল। তবে স্কলারশিপ ও খণ্ডকালীন চাকরির সুবিধা মেধাবীদের জন্য এই অধ্যয়নকে অনেকটা সহজসাধ্য করে তুলতে পারে। ভর্তির সময়ানুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিতির জন্য স্টুডেন্ট ভিসা আবেদনে সতর্ক থাকা জরুরি। বিশেষ করে অধ্যয়ন ফি পরিশোধের পরপরই প্রথম কাজ হলো রেসিডেন্ট পারমিটের জন্য আবেদন করা। নথিপত্র ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বিচক্ষণতার পরিচয় দেওয়া উচিত, যেন পরবর্তীতে অতিরিক্ত কোনো তথ্য দেওয়ার দরকার না পড়ে। এর ফলে দ্রুত সময়ে ভিসাপ্রাপ্তির সম্ভাবনা বাড়ে।
আরো পড়ুন: জার্মানিতে বিনামূল্যে স্নাতকোত্তর পড়ার জন্য কিভাবে আবেদন করবেন
৪৬৩ দিন আগে