ব্যবসা
জাপান-সিঙ্গাপুর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে এলো ১ হাজার ২৬৫টি রিকন্ডিশন্ড গাড়ি
জাপান ও সিঙ্গাপুর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে আমদানিকৃত এক হাজার ২৬৫টি রিকন্ডিশন্ড গাড়ি। ডলার সংকটে বিলাসবহুল পণ্য আমদানি নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই ৫০০ কোটি টাকার এসব গাড়িবোঝাই ‘এমভি মালয়েশিয়া স্টার’ নামের জাহাজটি সম্প্রতি বন্দরে নোঙ্গর ফেলেছে। রেকর্ড পরিমাণ গাড়ির চালান নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের ৭ এবং ৮ নম্বর জেটিতে বার্থিং করেছে এমভি মালেয়শিয়া স্টার নামের এই জাহাজ।
বৃহস্পতিবার (৪ মে) চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের উপ-কমিশনার ব্যারিস্টার বদরুজ্জামান মুন্সি এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, এর মধ্যে ৫৬৯টি গাড়ি খালাস হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরে। বাকিটা হবে মোংলা বন্দরে।
আরও পড়ুন: ঈদের পর হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি শুরু
তিনি আরও বলেন, দেশে বিলাশবহুল গাড়ির আমদানি বাড়ছে। সর্বশেষ বন্দরে আমদানিকৃত গাড়ি নিয়ে আসা জাহাজ থেকে খালাস কার্যক্রম চলছে। এই জাহাজে করেই জাপান ও সিঙ্গাপুর থেকে আনা হয়েছে ১ হাজার ২৬৫টি গাড়ি।
চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্র জানায়, ডলার সঙ্কটের কারণে বিলাসবহুল পণ্য হিসেবে দীর্ঘদিন গাড়ির এলসি খোলা বন্ধ ছিল। সম্প্রতি অর্থনীতির পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে যাওয়ায় ফের গাড়ির এলসি খোলার অনুমতি দেওয়া হয়। এরপরেই গাড়ি আমদানিকারকরা রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানিতে সক্রিয় হয়। সর্বশেষ জাপান ও সিঙ্গাপুর থেকে ১২৬৫টি রিকন্ডিশন্ড গাড়ি নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে এমভি মালয়েশিয়া স্টার নামক একটি জাহাজ। এই জাহাজ থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস হয়েছে ৫৬৯টি গাড়ি। বাকি গাড়ি খালাস হবে মোংলা বন্দরে।
চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস হওয়া গাড়িগুলো বর্তমানে শুল্কায়ন পর্যায়ে রয়েছে। এসব গাড়ি থেকে ২০০ কোটি টাকার উপরে রাজস্ব আয় হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ।
গাড়ির বিশাল এই চালান আমদানির সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন ঢাকা ও চট্টগ্রামের ১২ থেকে ১৫ জন ব্যবসায়ী।
বিশেষ করে আসন্ন বাজেটে আমদানি করা গাড়িতে শুল্কহার বাড়তে পারে- এই তথ্য থেকেই বেশি লাভের আশায় বাড়ছে গাড়ি আমদানি।
গাড়ি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস্ ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা) সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বলেন, দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে হলে গাড়ির ব্যবহার সচল রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, গত বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত হওয়া এলসিগুলোতে এসব গাড়ি এসেছে। নতুন করে বাজেটকে কেন্দ্র করে এখন পর্যন্ত কোনো গাড়ি আসেনি।
আরও পড়ুন: জাপান-সিঙ্গাপুর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে এলো ১ হাজার ২৬৫টি রিকন্ডিশন্ড গাড়ি
চট্টগ্রাম বন্দরে শিপ হ্যান্ডেলিং এ নতুন অপারেটরদের নিয়োগ ৬ মাসের জন্য স্থগিত
২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিলে তৈরি পোশাক রপ্তানি ৩৮.৫৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল সময়ে তৈরি পোশাক রপ্তানি ৩৮ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ০৯ শতাংশ বেশি।
বিভিন্ন ক্যাটাগরির বিশদ বিবরণে দেখা গেছে, আট দশমিক ৯৭ শতাংশ ও ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ বছর-বছর বৃদ্ধি নিয়ে নিটওয়্যার ও ওভেন গার্মেন্টস রপ্তানি যথাক্রমে ২০ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ও ১৭ দশমিক ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। সামগ্রিকভাবে, এটি বাংলাদেশের সামগ্রিক তৈরি পোশাক রপ্তানি আয়ের স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধির লক্ষণ।
সামগ্রিক ইতিবাচক প্রবণতা নির্বিশেষে, একক মাসের পরিসংখ্যানের আরও বিশদ পরিদর্শনে পোশাক রপ্তানি প্রবৃদ্ধির সাম্প্রতিক হ্রাস দেখা যায়।
২০২২ সালের এপ্রিলের তুলনায় এ বছরের এপ্রিলে দেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি ১৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, যা তিন দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার।
আরও পড়ুন: মার্কিন বাজারে দরপতন পোশাক খাতের প্রবৃদ্ধির গতি কমাতে ব্যর্থ
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক ও ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, এই পতনের সংমিশ্রণ সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সামগ্রিক পতনের প্রবণতায় অবদান রেখেছে, যা ২০২২-২৩ অর্থবছরের উল্লিখিত সময়ের জন্য অন্যথায় ইতিবাচক গতিপথের বিপরীতে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল ৪৬ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার এবং আমাদের ৯ দশমিক ৮৩% প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে হবে। চলতি অর্থবছরে আর দুই মাস বাকি আছে, তাই এই দুই মাসে আমাদের প্রায় আট বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এপ্রিলে আমাদের রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল তিন দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলারের বিপরীতে চার দশমিক ০৭ বিলিয়ন ডলার। এ মাসে আমরা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৮ দশমিক ৪০ শতাংশ কম রপ্তানি করেছি। আর গত বছরের এই মাসের তুলনায় আমাদের রপ্তানি কমেছে ১৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ। এটি এ বছরের সর্বনিম্ন এক মাসে রপ্তানি।’
আরও পড়ুন: তৈরি পোশাক কারখানায় ‘সবুজ বিপ্লবের’ নেতৃত্বে এগিয়ে বাংলাদেশ
রুবেল বলেন, ‘এর কারণ হলো, ঈদের কারণে আমাদের কর্মদিবস কম ছিল। সাধারণ ঈদের ছুটি থাকায় ওই মাসে রপ্তানি কম হয়। আরেকটি প্রবণতা যা চলছে তা হলো- অন্যান্য মাসের তুলনায় গত মাসে আমাদের রপ্তানি কম ছিল। আমরা বুঝতে পেরেছিলাম যে আমাদের সক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় চলতি মাসেও রপ্তানি কমেছে। আমরা ঈদের ছুটিতে নেতিবাচক প্রবণতা দেখেছি।’
তিনি বলেন, ‘তবে ঈদের ছুটির প্রভাবে না কি আমরা যে নেতিবাচক প্রবণতা দেখছি তার কারণে এই নেতিবাচক প্রবণতা রয়ে গেছে তা আগামী মাসেই পরিষ্কার হয়ে যাবে। আশা করি, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আমরা অবশিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে সক্ষম হব।’
আরও পড়ুন: তৈরি পোশাক শিল্পে জুলাই-ডিসেম্বরে ১৬% বেড়ে রপ্তানি ২৩ বিলিয়ন ডলার: বিজিএমইএ
চড়া দামে ঢাকার দোকান থেকে চিনি উধাও
সরবরাহ স্বল্পতার কারণে বুধবার ঢাকার বাজারে খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায় যা সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি।
৮ এপ্রিল, সরকার খোলা চিনির জন্য প্রতি কেজি ১০৪ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনির দাম ১০৯ টাকা নির্ধারণ করে। যদিও ভোক্তারা, যদিও, এই মূল্যের কঠোর বিরোধীতা করে আসছে।
আরও পড়ুন: চিনির কেজিতে আবারও বাড়বে ৫ টাকা, কার্যকর ১ ফেব্রুয়ারি
খুচরা বাজারে প্যাকেটজাত চিনি কমই পাওয়া যাচ্ছে। এমনকি খোলা চিনির জন্যও ভোক্তাদের দিতে হচ্ছে প্রতি কেজি ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা, যা গত সপ্তাহে বেড়েছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকা।
বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখেন, দোকানে প্যাকেটজাত চিনি নেই। গত মাসের শেষ দিকে ঈদুল ফিতরের পর থেকে চিনির সরবরাহ নেই বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
পাইকারি কোম্পানিগুলো সরবরাহ কম হওয়ায় সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
আমদানিকারকরা আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির উচ্চমূল্যের জন্য সরবরাহ স্বল্পতার জন্য দায়ী করছেন যা অভ্যন্তরীণ সরবরাহকে প্রভাবিত করছে।
তারা বেশি দামে আমদানি করতে যাবে কিনা সরকারের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছে। দাম বেশি হওয়ায় তারাও আমদানি কমিয়েছে।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, এক মাসে চিনির দাম ১৫ শতাংশ বেড়েছে, এক বছরে তা বেড়েছে ৬২ শতাংশের বেশি।
কারওয়ান বাজারের চাদপুর স্টোরের সালমত সরদার ইউএনবিকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে প্যাকেটজাত চিনি পাওয়া যাচ্ছে না। পাইকারি পর্যায়ে কেনা খোলা চিনি প্রতি কেজি ১৩০ টাকার বেশি। তারপরও ডিলাররা ক্রয় রশিদ দিচ্ছেন না।
আরও পড়ুন: ঈদের আগে আরেক দফা বেড়েছে সেমাই-চিনি ও পোলাও চালের দাম
রোজার প্রথম সপ্তাহেই চিনির দাম কেজিতে ৫ টাকা কমবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
ইসলামী ব্যাংক-রিয়া মানি ট্রান্সফার রেমিট্যান্স উৎসবে বিজয়ীদের মোটরসাইকেল প্রদান
রিয়া মানি ট্রান্সফার ক্যাশ রেমিট্যান্স ফেস্টিভ্যালের জন্য মোটরসাইকেল হস্তান্তর করেছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড (আইবিবিএল)।
মঙ্গলবার আইবিবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ মনিরুল মওলা প্রধান অতিথি হিসেবে ব্যাংকের ঢাকা সেন্ট্রাল, সাউথ ও নর্থ জোনের ৯ জন বিজয়ীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন রিয়া মানি ট্রান্সফারের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর (দক্ষিণ এশিয়া) সুহেল শামসি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ কায়সার আলী।
আরও পড়ুন: ইসলামী ব্যাংকের উদ্যোগে ফিনটেক ও শরী‘আহ বিষয়ক ওয়েবিনার
বিজয়ীরা হলেন কাপাসিয়া শাখার গ্রাহক মো. সুমন ও আহসান উল্লাহ, ভুলতা শাখার মাসুদ মৃধা, ফার্মগেট শাখার আসমা ইয়াসমিন, মাধবদী শাখার মো. রবিউল ইসলাম, পলাশ শাখার সুমা বেগম, আটিবাজার শাখার হারুন রশিদ, সামসুন্নাহার বেগম। রায়পুরা শাখা ও মেরাদিয়া উপ-শাখার জেসমিন পারভিন।
এই ক্যাম্পেইনটি আগামী ১৪ মে পর্যন্ত চলবে যাতে আইবিবিএল-এর ক্যাশ রেমিট্যান্স গ্রাহকদের মধ্যে যেকোন দেশ থেকে রিয়া মানি ট্রান্সফারের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য একজন ব্যক্তি প্রতিদিন একটি মোটরসাইকেল জিততে পারবেন।
আরও পড়ুন: ঋণ কেলেঙ্কারি সত্ত্বেও ২০২২ সালে পরিচালন মুনাফার শীর্ষে ইসলামী ব্যাংক
১২ কেজি এলপিজির দাম ৫৭ টাকা বেড়ে ১২৩৫ টাকা
তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম প্রতি কেজি ৪টাকা ৭৫ পয়সা বেড়ে ১০২ টাকা ৯ পয়সা হয়েছে; যা আগের মে মাসে ছিল ৯৮ টাকা ১৭ পয়সা।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) নতুন দাম ঘোষণা করে বলেছে, ১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ৫৭ টাকা বেড়েছে।
একজন খুচরা ক্রেতাকে এখন ১২ কেজি সিলেন্ডার এক হাজার ১৭৮ টাকার পরিবর্তে এক হাজার ২৩৫ টাকায় (ভ্যাট সহ) কিনতে হবে।
ঢাকায় বিইআরসি অফিসে মঙ্গলবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিইআরসি-এর নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান মো. নুরুল আমিন বলেন, সাড়ে পাঁচ কেজি তেকে ৪৫ কেজি পর্যন্ত অন্যান্য আকারের এলপিজি সিলিন্ডারের দাম অনুরূপভাবে বাড়বে।
নতুন দাম আজ (২মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম কমল ২৪৪ টাকা
বিইআরসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সৌদি সিপির (চুক্তি মূল্য) দাম বৃদ্ধির কারণে স্থানীয় বাজারে এলপিজির দাম বেড়েছে।
বাংলাদেশি এলপিজি অপারেটররা সাধারণত সৌদি সিপির ভিত্তিতে মধ্যপ্রাচ্যের বাজার থেকে তাদের পণ্য আমদানি করে।
বিইআরসি সিদ্ধান্ত অনুসারে, ‘অটো গ্যাস’ (মোটর গাড়ির জন্য ব্যবহৃত এলপিজি) এর দামও লিটারপ্রতি ২টাকা ৬২ পয়সা বাড়িয়ে ৫৪টাকা ৯০ পয়সা থেকে ৫৭ টাকা ৫২ পয়সা (ভ্যাট সহ)করা হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এলপি গ্যাস কোম্পানির বাজারজাত এলপিজির দাম একই থাকবে, কারণ এটি স্থানীয়ভাবে ৫ শতাংশের কম বাজার শেয়ার নিয়ে উৎপাদিত হয়।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে স্থানীয় বাজারে এলপিজির সর্বোচ্চ দাম ছিল এক হাজার ৪৯৮ টাকা (প্রতি ১২ কেজি সিলিন্ডার)।
আরও পড়ুন: এলপিজির দাম প্রতি কেজিতে ৬.৩৩ টাকা কমেছে
১৪৯৮ টাকার ১২ কেজি এলপিজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০০-১৮০০ টাকায়: ডিএসসিআরপি
বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংক ৫ প্রকল্পে সমন্বিত ২.২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ চুক্তি সই
আঞ্চলিক বাণিজ্য ও সংযোগ, দুর্যোগ প্রস্তুতি এবং পরিবেশ ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন খাতের উন্নয়নে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে দুই দশমিক ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দেবে।
বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে পাঁচটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সোমবার একটি ঋণ চুক্তি সই হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস এই অর্থায়ন চুক্তি বিনিময় প্রত্যক্ষ করেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাংকের কাছে বাংলাদেশ একটি মডেল দেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এই ঋণ চুক্তিতে পাঁচটি প্রকল্প রয়েছে:
- পূর্ব দক্ষিণ এশিয়ায় পরিবহন ও বাণিজ্য সংযোগ ত্বরান্বিতকরণ (অ্যাকসেস) – বাংলাদেশ ফেজ-১ প্রকল্প, যার মূল্য ৭৫৩ দশমিক ৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
- স্থিতিস্থাপকতা, অভিযোজন ও দুর্বলতা হ্রাসের জন্য ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের রেজিলিয়েন্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার বিল্ডিং প্রজেক্ট (রিভার), যা বাংলাদেশের ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ কে সমর্থন করার জন্য প্রথম বড় বিনিয়োগ হবে। এটি অভ্যন্তরীণ বন্যার বিরুদ্ধে দুর্যোগ প্রস্তুতি উন্নত করতে সহায়তা করবে।
- ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ফার্স্ট বাংলাদেশ গ্রিন অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ডেভেলপমেন্ট (জিসিআরডি), প্রকল্পটি এ ধরনের প্রথম ঋণ যা দেশের স্থিতিস্থাপক উন্নয়নে রূপান্তরে সহায়তা করবে।
- ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সাসটেইনেবল মাইক্রোএন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড রেজিলিয়েন্ট ট্রান্সফরমেশন (স্মার্ট) প্রকল্পের লক্ষ্য ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা খাতকে আরও গতিশীল, কম দূষণকারী, সম্পদ দক্ষ এবং জলবায়ু সহনশীল প্রবৃদ্ধি খাতে রূপান্তর করতে সহায়তা করা।
- ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্টাল সাসটেইনেবিলিটি অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (বেস্ট) প্রকল্পটি পরিবেশ ব্যবস্থাপনা জোরদার করতে এবং সবুজ বিনিয়োগে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ৩টি প্রকল্পে ১.২৫ বিলিয়ন ডলার অর্থ অনুমোদন বিশ্বব্যাংকের
মে দিবস উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
আজ ১লা মে দিবস উপলক্ষে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি সহ সকল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। রবিবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দুই দেশের ব্যবসায়ীরা এই সিদ্ধান্ত নেন।
তবে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্টে যাত্রী পারাপার চালু আছে।
বাংলাহিলি কাস্টমস সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুর রহমান লিটন জানান, আজ সারাবিশে^ আন্তর্জাতিক মে দিবস পালিত হচ্ছে। তাই পরিবহন-শ্রমিক নির্ভর আমদানি-রপ্তানি হওয়ায় এবং সরকারি ছুটি থাকায় আজ হিলি স্থলবন্দর দিয়ে এই দুই দেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে পুনরায় শুরু হবে বন্দরের সকল কার্যক্রম।
আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক মে দিবস আজ
বন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিটেডের সহ-ব্যবস্থাপক এসএম হায়দার জানান, দিবসটির কারণে বন্দরের ওয়্যারহাউজে পণ্য উঠা-নামা সহ সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে পানামা পোর্ট কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে শ্রমিকদের নিয়ে সকাল ১১টায় এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে দোয়া মাহফিল সহ শ্রমিকদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হবে।
হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আশরাফুল জানান, সপ্তাহের প্রতিদিনই সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকে। ফলে ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম সরকারি ছুটির আওতামুক্ত। তাই মে দিবসে স্থলবন্দরের কার্যক্রম সহ পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও এই চেকপোস্ট ব্যবহার করে পাসপোর্ট যাত্রীরা ভিসা নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ঈদের পর হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি শুরু
হিলি সীমান্তে মিষ্টি উপহার দিয়ে বিজিবি ও বিএসএফের ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য জোরদারে এফবিসিসিআই- জেসিসিআই সমঝোতা স্মারক সই
দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এবং জাপান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (জেসিসিআই) একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে।
বৃহস্পতিবার জাপানের ওয়েস্টিন টোকিওতে দু’দেশের শীর্ষ ব্যবসায়িক সংগঠন দুটির নেতারা সমঝোতা স্মারক সই করেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন এবং জেসিসিআই চেয়ারম্যান কেন কোবায়শি তাদের প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
জাপানের ওয়েস্টিন টোকিওতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সুযোগ বিষয়ক শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই সমঝোতা স্মারক সই হয়।
আরও পড়ুন: এসডিজি অর্জনে দক্ষ জনবল গড়ে তোলার আহ্বান এফবিসিসিআই’র
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সমঝোতা স্মারকের অধীনে পক্ষগুলো দুই দেশের ব্যবসার মধ্যে আরও উৎপাদনশীল যোগাযোগ বৃদ্ধি, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্পর্কিত জ্ঞান এবং তথ্য বিনিময় করতে একে অপরের সঙ্গে সহযোগিতা করতে সম্মত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এফবিসিসিআই সাবেক সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম (মহিউদ্দিন) এমপি, সহ-সভাপতি এম এ মোমেন, আমিনুল হক শামীম, মো. আমিন হেলালী, সালাহউদ্দিন আলমগীর, মো. হাবিব উল্লাহ ডন, পরিচালকমন্ডলী, বিডা-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া, বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান জনাব শেখ ইউসুফ হারুন প্রমুখ, দুই দেশের রাষ্ট্রদূত, সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সৌদি, অন্যান্য তেল জায়ান্টদের উৎপাদন কমানোর ঘোষণা, বাড়তে পারে দাম
শেয়ারবাজারে সাড়ে ৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন হলো বৃহস্পতিবার
বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ লেনদেনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে দেশের উভয় শেয়ারবাজারের লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক পয়েন্ট বেড়েছে ৭ পয়েন্ট এবং চট্টগ্রামের স্টক ১৪ পয়েন্ট বেড়েছে, যা সাড়ে পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
ফলে ঈদের পর চার কার্যদিবসে শেয়ারবাজারের সূচক বেড়েছে। ঈদের আগেও পাঁচ দিনের সূচক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন হয়েছে। সব মিলিয়ে টানা ৯ কার্যদিবস দর বেড়েছে পুঁজিবাজারে।
বৃহস্পতিবার খাদ্য, বীমা ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের পাশাপাশি রহিমা ফুড, আইটিসি, কোহিনূর কেমিক্যাল, হাইডেলবার্গ সিমেন্ট এবং বসুন্ধরা পেপার মিলসের শেয়ারের দাম বৃদ্ধিতে প্রধান ভূমিকা পালন করেছে। শেয়ার সূচক বৃদ্ধিতে এই পাঁচটি কোম্পানির অবদান প্রায় ৩৫ শতাংশ।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, আজ (বৃহস্পতিবার) ডিএসইতে ১৫ দশমিক ৯০ কোটির বেশি শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এতে লেনদেন হয়েছে ৯৬৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকার বেশি এবং বুধবার লেনদেন হয়েছে ৭৬৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। আগের দিনের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ২০০ কোটি টাকার বেশি।
গত সাড়ে ৫ মাসের মধ্যে এটি ছিল সর্বোচ্চ লেনদেন। এর আগে ২০২২ সালের ৯ নভেম্বর ডিএসইতে এক হাজার ১৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছিল।
এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে সাত দশমিক ৭০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ২৭৪ পয়েন্টে। অন্য দু’টি সূচকের মধ্যে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক তিন দশমিক ১০ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৩৬২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। তবে ডিএসই-৩০ সূচক চার দশমিক ৬৪ পয়েন্ট কমে দুই হাজার ৮৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে মোট ৩৫১টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৭৯টি কোম্পানির দর বেড়েছে, কমেছে ৬২টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২১০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দর।
আরও পড়ুন: বড়দিনে চীন, জাপানের শেয়ার বাজারে দরপতন
বৃহস্পতিবার ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল জেনেক্স ইনফোসিসের শেয়ার। এরপর সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ইউনিক হোটেলের শেয়ার। তৃতীয় স্থানে ছিল বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের শেয়ার। এরপর সেরা দশে ছিল যথাক্রমে ইস্টার্ন হাউজিং, বসুন্ধরা পেপার মিলস, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, জেমিনি সি ফুড, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার এবং আইটি কনসালট্যান্ট লিমিটেড।
অন্যান্য শেয়ারবাজারের সার্বিক সূচক সিএসই, সিএএসপিআই ১৪ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট বেড়ে ১৮ হাজার ৪৬৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসইতে ১৬০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৪৪টি কোম্পানির, কমেছে ৪৫টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৮টি কোম্পানির।
দিন শেষে সিএসইতে সাত দশমিক ৯৫ কোটির বেশি শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: অক্টোবরের মধ্যেই শেয়ারবাজারে আসবে রাষ্ট্রমালিকানাধীন ৪ ব্যাংক: অর্থমন্ত্রী
তাপপ্রবাহে এসির বিক্রি বেড়েছে দ্বিগুণ
গত ছয় দশকের মধ্যে রাজধানীতে তাপপ্রবাহের কারণে সবচেয়ে উষ্ণতম দিনগুলোতে ভোগান্তির শিকার হওয়ায় এখানে এয়ার কন্ডিশনার (এসি) বিক্রি দৃশ্যত দ্বিগুণ হয়েছে।
এসিই প্রায় একমাত্র বিকল্প যা স্বাভাবিক রুটিনে বিঘ্ন ছাড়াই কিছুটা স্বস্তি দেয়। ঢাকার অনেক ইলেকট্রনিক্সের দোকানে এসি কেনার জন্য গ্রাহকদের চাপ বেড়েছে।
বিভিন্ন ব্র্যান্ডের আউটলেটের বিক্রয় অপারেটররা ইউএনবিকে জানান, সাধারণত গ্রীষ্মের মৌসুমে এসির বিক্রি বাড়ে। তবে এই বছর বিক্রয় বৃদ্ধি ইতোমধ্যে অসাধারণ, অন্যান্য বছরের তুলনায় দ্বিগুণ, যা অনেকটাই তাদের প্রত্যাশার বাইরে।
তারা বলছিলেন যে আগে শুধুমাত্র ধনী পরিবারগুলোই এসি কিনত, কিন্তু এখন সমাজের অনেক বড় অংশ যা একসময় 'বিলাসবহুল' পণ্য হিসাবে বিবেচিত হত তা কিনতে সক্ষম।
আরও পড়ুন: স্বর্ণের দাম ভরিপ্রতি লাখ টাকা ছুঁইছুঁই
বিক্রয়কর্মীদের দাবি, তীব্র চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে এসি এখন আর 'বিলাসবহুল' পণ্য নয়, বরং 'নগরবাসীদের জন্য প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ'।
বনানীতে এলজি বাটারফ্লাই আউটলেটের ব্যবস্থাপক মাহমুদ হাসান বলেন, ‘গরম সবেমাত্র শুরু হয়েছে। তাপমাত্রা যেভাবে ইতোমধ্যে রেকর্ড পরিমাণ অতিক্রম করেছে তা সহনীয় নয়। এ জন্য প্রচুর এসি বিক্রি হচ্ছে। পণ্যটি দোকানে তোলার আগেই বিক্রি হয়ে যায়। এখনও অনেক অর্ডার আছে, কিন্তু শেষ করতে পারছি না।’
অন্যদিকে গরমে এসির দামেও প্রভাব পড়েছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। গত বছরের তুলনায় এক টনের এসির দাম ১০ হাজার টাকা বাড়ানো হয়েছে। যেসব বড় আকারের এসি বড় পরিসরে সেবা দিতে পারে, সেগুলোর দাম ব্র্যান্ডভেদে বেড়েছে ৩২ হাজার টাকা পর্যন্ত।
উল্লেখ্য, ওয়ালটনের মতো দেশি কোম্পানিগুলো এসির বাজারে প্রবেশ করলেও এখনও বিদেশি ব্র্যান্ডের আধিপত্য রয়েছে।
তাই এসি বিপণন সংস্থাগুলো আমদানি এসির উচ্চ মূল্যের চালিকাশক্তি হিসেবে মার্কিন ডলারের সঙ্গে স্থানীয় মুদ্রা বিনিময়ের অবমূল্যায়নকে দায়ী করেছে, এমনকি তাপপ্রবাহ ক্রেতাদের পকেট শিথিল করার পরিস্থিতি তৈরি করার আগেই।
আরও পড়ুন: ব্রয়লার মুরগি ২৩০ টাকা কেজি, কমেছে ডিমের দাম