ব্যবসা
ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করবে বাংলাদেশ
ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হবে বলে মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
বুধবার(২৭ মার্চ) অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়।
প্রস্তাব অনুযায়ী, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ভারতের ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ এক্সপোর্ট লিমিটেডের কাছ থেকে জিটুজি (সরকার ও সরকার পর্যায়ে) ভিত্তিতে পেঁয়াজ আমদানি করবে।
তবে এ বৈঠকে পেঁয়াজের দাম প্রকাশ করা হয়নি। কারণ প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য আবারও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে আসবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিব সাংবাদিকদের জানান, ‘ওই সময় পেঁয়াজের দাম প্রকাশ করা হতে পারে।’
বিবিএস জরিপ: মানুষের গড় আয়ু কমে দাঁড়িয়েছে ৭২.৩ বছরে
এক বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশে গড় আয়ু ও জন্মহার কমে গেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।
রবিবার বিবিএসের 'বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস-২০২৩' শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালে মানুষের গড় আয়ু কমে দাঁড়িয়েছে ৭২ দশমিক ৩ বছরে, যা ২০২২ সালে ছিল ৭২ দশমিক ৪ বছর।
এ ছাড়া এক বছরের ব্যবধানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারও কমেছে। ২০২৩ সালে জনসংখ্যার সাধারণ বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ ছিল। এর আগে ২০২২ সালে ছিল ১ দশমিক ৪০ শতাংশ।
বিবিএসের জরিপে জানা গেছে, মৃত্যুর শীর্ষ ১০টি কারণের মধ্যে মৃত্যুর প্রথম কারণ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ১.০২৭ শতাংশ এবং দ্বিতীয় কারণ মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে মৃত্যু ০.৬৪ শতাংশ।
পুরুষদের প্রথম বিয়ের গড় বয়স ২৪.২ বছর এবং নারীদের ক্ষেত্রে ১৮.৪ বছর।
আরও পড়ুন: চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে বাংলাদেশের জিডিপি বৃদ্ধি পেয়েছে ৬.০৭%: বিবিএস
অভ্যন্তরীণ অভিবাসনের ক্ষেত্রে, গ্রামীণ আগমনের হার প্রতি হাজারে ২০.৪ জন এবং শহুরে আগমনের হার ৪৩.৪ জন।
এছাড়া শিক্ষা, কাজ বা প্রশিক্ষণে নেই এমন তরুণ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ২০২৩ সালে ৩৯ দশমিক ৮৮ শতাংশে নেমে এসেছে, যা ২০২২ সালে ছিল ৪০ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
২০২৩ সালে ৫ বছরের বেশি বয়সী মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৯ দশমিক ৯ শতাংশে। তবে ১৫ বছরের বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে ২০২২ সালের ৭৩ দশমিক ৮ শতাংশের তুলনায় এ হার কিছুটা বেড়ে ৭৪ দশমিক ২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ২০২৩ সালে ১৫ বছরের বেশি বয়সী ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ৫০.১ শতাংশ।
২০২৩ সালে লিঙ্গ অনুপাত কিছুটা কমে ৯৬.৩৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে এবং নির্ভরশীলতার অনুপাত ৫৩.৭৩ শতাংশ। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১,১৭৯ জন। ২০২৩ সালে প্রতি হাজার জনসংখ্যায় মোট জন্মহার ছিল ১৯.৪, যা ২০২২ সালে ছিল ১৯.৮।
আরও পড়ুন: বিবিএসের জিডিপি ও মুদ্রাস্ফীতির তথ্য নতুন পদ্ধতিতে হালনাগাদে সন্তুষ্ট আইএমএফ
২০২৩ সালে প্রতি হাজারে স্থূলতায় মৃত্যুর হার ৬ দশমিক ১, যা ২০২২ সালে ছিল ৫ দশমিক ৮ শতাংশ। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু মৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ৩৩ জন এবং মাতৃমৃত্যুর হার প্রতি এক লাখে জীবিত শিশু জন্মদানে ১৩৬, যা ২০২২ সালে ছিল ১৫৩ জন।
২০২৩ সালে জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবহারকারীর সংখ্যা কিছুটা কমে ২০২৩ সালে ৬২.১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা ২০২২ সালে ছিল ৬৩.৩ শতাংশ। জন্মনিয়ন্ত্রণের অপূর্ণ চাহিদা ২০২৩ সালে ১৫.৫৭ শতাংশে নেমে এসেছে, যা ২০২২ সালে ছিল ১৬.৬২ শতাংশ।
২০২২ সালের মতো ২০২৩ সালেও পরিবারের আকার অপরিবর্তিত ছিল ৪.২ শতাংশে। তবে ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে নারী পরিবারের প্রধানের হার বেড়েছে। ২০২২ সালে ছিল ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ, যা ২০২৩ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ দশমিক ৯ শতাংশে। অন্যদিকে ২০২২ সালে পুরুষ পরিবারের প্রধান ছিল ৮২ দশমিক ৬ শতাংশ, ২০২৩ সালে এ হার কমে দাঁড়িয়েছে ৮১ দশমিক ১৭ শতাংশে।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে বেকার সংখ্যা ২.৭০ লাখ বেড়েছে: বিবিএস
মাংস-মুরগি-ডিমের দাম বাড়লেও কমেছে সবজি-পেঁয়াজের দাম
রাজধানীর কাঁচাবাজারে শুক্রবার মাংস, মুরগি ও ডিমের দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও সবজি, আলু ও পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে।
কারওয়ান বাজার, মহাখালী, রামপুরা, মালিবাগসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, রাজধানীতে গরুর মাংস ও মুরগির দাম কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে।
শুক্রবার(২২ মার্চ) প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়। গত সপ্তাহের অন্যান্য দিনের তুলনায় ৫০ টাকা বেড়েছে। খাসির মাংস প্রতি কেজি ৫০ টাকা বেড়ে বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ১৫০ টাকায়।
ব্রয়লার মুরগির দামও বেড়েছে, এখন তা বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা কেজি। যা আগে বিক্রি হয়েছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়। এ ছাড়া সোনালি মুরগির দাম বেড়ে ৩৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
একইভাবে প্রতি কেজি কক মুরগি ৩৬০ থেকে ৩৭০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট খাতের ব্যবসায়ীরা জানান, মুরগির খাবার ও ব্রয়লার মুরগির বাচ্চার দাম বাড়ায় মাংসের দামও বেড়েছে।
প্রায় সবজির দাম কমলেও নতুন আসা মৌসুমি সবজির দাম যেমন সজনে ডাটা, শিম, করলার দাম বেশি। যা মান ভেদে ১০০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রমজানে ঢাকায় ন্যায্য মূল্যে ট্রাকে করে মাংস ও ডিম বিক্রি হবে
বেগুনসহ অন্যান্য সবজি প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং লাউ, চালকুমড়া ও ফুলকপি প্রতিটি ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মান ভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৬০ টাকা, রসুন ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা এবং আদা ২০০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ডিমের দাম প্রতি ডজন ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে এক ডজন বাদামি ডিম ১৪৫ টাকা, হাঁসের ডিম প্রতি হালি (৪টি) ৭০ টাকা এবং দেশি মুরগির ডিম ৮০ টাকা (চারটি) দরে বিক্রি হচ্ছে।
এ সপ্তাহে রান্নার অন্যান্য পণ্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
আরও পড়ুন: সাশ্রয়ী মূল্যে রাজধানীর ৩০ পয়েন্টে বিক্রি হবে দুধ, ডিম, মাংস ও মাছ: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
উচ্চমানের পণ্য বৈচিত্র্যকরণ এবং নতুন রপ্তানি বাজার অনুসন্ধানে জোর দিচ্ছে বিজিএমইএ
বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, বাংলাদেশ উচ্চমানের পণ্য বৈচিত্র্যকরণ এবং নতুন রপ্তানি বাজার অনুসন্ধানের ওপর আরও জোর দেওয়া উচিত।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাজধানীর উত্তরায় বাংলাদেশ গার্মেন্টস বায়িং হাউজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিবিএ) নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ মোফাজ্জল হোসেন পাভেলের নেতৃত্বে তার কার্যালয়ে বিজিএমইএ সভাপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের বর্তমান অবস্থা, ভবিষ্যতের লক্ষ্য এবং প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের সম্ভাব্য উপায়সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
বিজিবিএ’র নবনির্বাচিত কমিটিকে (২০২৪-২৬ মেয়াদের জন্য নির্বাচিত) উষ্ণ অভিনন্দন জানান।
আরও পড়ুন: বিজিএমইএ নির্বাচন-২০২৪: ভোট পড়েছে ৮৯ শতাংশ, গণনা চলছে
এসময় বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, তাদের নতুন নেতৃত্বে বিজিবিএ আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে এবং পোশাক শিল্পের উন্নয়নে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
ফারুক হাসান বিজিবিএ নেতৃত্বকে বাংলাদেশ থেকে পণ্য নিচ্ছেন না এমন নতুন ক্রেতাদের সঙ্গে সংযোগ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
সাক্ষাতে উভয় পক্ষই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির চালিকাশক্তি হিসেবে তৈরি পোশাক খাতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা স্বীকার করেছে।
সম্মিলিত প্রচেষ্টার তাৎপর্যের ওপর জোর দিয়ে তারা এই শিল্পের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং গতিশীল ব্যবসায়িক পরিবেশের মধ্যে প্রতিযোগিতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে ঐক্যের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
উভয় পক্ষই বাংলাদেশে একটি টেকসই পোশাক শিল্প গড়ে তুলতে একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে।
কার্যনির্বাহী কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- সিনিয়র সহসভাপতি মো. আব্দুল হামিদ পিন্টু, সহসভাপতি মোহাম্মদ মোরশেদ আলম ও এ কে এম সাইফুর রহমান, মহাসচিব জাকির হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক এমদাদ উল হক মিয়াজী ও মো. রোমান মিয়া এবং কোষাধ্যক্ষ ফজলুল হক।
আরও পড়ুন: ইউএসআইটিসির শুনানিতে তৈরি পোশাক শিল্পের অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন বিজিএমইএ সভাপতি
কৃষকদের সাশ্রয়ী মূল্যে উচ্চ ফলনশীল বীজ সরবরাহে গুরুত্ব দিচ্ছে এফবিসিসিআই
কৃষি উৎপাদন বাড়াতে মানসম্মত বীজ ও আধুনিক সংরক্ষণাগার সুবিধা নিশ্চিত করা জরুরি বলে জানিয়েছে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।
বুধবার(২০ মার্চ) রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে কৃষি, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ ও কৃষিভিত্তিক শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির এক আলোচনা সভায় এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম এই গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, কৃষিতে কাঙ্ক্ষিত উৎপাদনশীলতা অর্জনে এ খাতের ব্যবসায়ীরা কৃষক পর্যায়ে ভালো মানের উচ্চফলনশীল বীজ প্রাপ্যতা, খাদ্য উদ্ভাবন প্রক্রিয়া জোরদার এবং জলবায়ু সহিষ্ণু জাত ও গবেষণার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন।
এছাড়া উৎপাদন খরচ কমাতে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, বিশেষায়িত হিমাগার স্থাপনা নির্মাণ, উন্নত সরবরাহ ব্যবস্থা ও কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন: রমজানে কাঁচামাল পণ্যের মূল্য স্বাভাবিক ও সরবরাহ ঠিক রাখার আহ্বান এফবিসিসিআই সভাপতির
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, বীজের গুণগত মানোন্নয়নে গবেষণার দিকে নজর দিতে হবে। পাশাপাশি প্রযুক্তির ব্যবহারে বেশি নজর দিতে হবে। কৃষিতে প্রযুক্তির উন্নতি হলে উৎপাদনশীলতা বাড়বে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মাহবুবুল আলম আরও বলেন, কৃষকদের পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাওয়ার আশ্বাস দেওয়া উচিত এবং তাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য নীতি প্রয়োগ করা উচিত।
ভবিষ্যৎ খাদ্য নিরাপত্তা ও ক্রমবর্ধমান চাহিদার কথা মাথায় রেখে কৃষি জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন কমিটির চেয়ারম্যান ও প্রাণ আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী।
প্রচলিত ফসলের পাশাপাশি ডাল ও তৈলবীজসহ উদ্যান পালন, মৎস্য, প্রাণিসম্পদ এবং হাঁস-মুরগির উৎপাদন বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।
আরও পড়ুন: রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণ ও নতুন বাজার ধরতে কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের ভূমিকা রাখতে হবে: এফবিসিসিআই
৩১ মার্চ থেকে নতুন নোট বিনিময় শুরু করবে বাংলাদেশ ব্যাংক
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগামী ৩১ মার্চ থেকে ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে নতুন নোট বাজারে ছাড়বে বাংলাদেশ ব্যাংক(বিবি)।
সাপ্তাহিক ছুটির দিন এবং সরকারি ছুটির দিন ছাড়া সাধারণ মানুষ ৯ এপ্রিল পর্যন্ত নতুন নোট বদল করতে পারবেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, ৩১ মার্চ থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন শাখার কাউন্টারের মাধ্যমে জনসাধারণের মধ্যে নতুন নোট বিনিময় করা হবে।
আরও পড়ুন: ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিদেশ যাত্রা নিষিদ্ধ, রাষ্ট্রীয় সম্মাননার অযোগ্য: বাংলাদেশ ব্যাংক
এছাড়া ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের ৮০টি শাখা থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় ৫, ১০, ২০, ৫০ ও ১০০ টাকা মূল্যমানের নতুন নোট বিনিময় করা হবে।
একজন ব্যক্তি নতুন নোটের জন্য একাধিকবার টাকা বদল করতে পারবেন না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
আরও পড়ুন: হুন্ডি অভিযানে দিনে ২০০ মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস অ্যাকাউন্ট বন্ধ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক: গভর্নর
বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধিতে পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে ৩০ টাকা
দেশের প্রধান উৎপাদন এলাকা পাবনা ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে ঢাকায় নতুন উৎপাদিত পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় মঙ্গলবার প্রতি কেজিতে পেঁয়াজের দাম ৩০ টাকা কমেছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর মালিবাগ, মগবাজার, কারওয়ান বাজার ও শ্যামবাজারের পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পেঁয়াজের মৌসুম শুরু হওয়ায় পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে।
ফলে পাইকারি বাজারে দাম কমেছে এবং ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি এই পেঁয়াজের দাম ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়।
এক সপ্তাহ আগেও ঢাকার খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়।
আরও পড়ুন: শিগগিরই ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ ও খেজুরের দাম কমবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী হাজী মোকাররম ইউএনবিকে বলেন, ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ আসার খবর পেয়ে কৃষকরা দ্রুত পেঁয়াজ তুলে বাজারে বিক্রি শুরু করেন। ফলে বাজারে সরবরাহ বেড়েছে এবং পেঁয়াজের দামও কমেছে।
রাজধানীর শ্যামবাজারের আমদানিকারক ও পেঁয়াজ ব্যবসায়ী নারায়ণ সাহা বলেন, ‘বর্তমানে যথাসময়ে বাজারে এসেছে মৌসুমি পেঁয়াজ। এর প্রভাব পড়েছে বাজারের দামে। কৃষকদের রক্ষায় এখন আর পেঁয়াজ আমদানির প্রয়োজন নেই।’
নারায়ণ আরও বলেন, এখন সঠিক উপায়ে পেঁয়াজ সংগ্রহ এবং ভবিষ্যতে বাজারের চাহিদার জন্য সাবধানে সংরক্ষণের উপর জোর দেওয়া দরকার।
বাজারে আসা পেঁয়াজ সঠিকভাবে সংরক্ষণ করলে বছরের বাকি সময়ে দাম স্বাভাবিক থাকবে বলে তিনি মনে করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশসহ ৬ দেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি ভারতের
তিন সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ৫০ টাকা
২৯ পণ্যের মূল্য নির্ধারণের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি দোকান মালিক সমিতির
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের (ডিএএম) নির্ধারিত ২৯টি পণ্যের নির্ধারিত দাম প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন দাবি করেন, এই মূল্য নির্ধারণ অযৌক্তিক ও আত্মঘাতী।
তিনি বলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতিতে দাম নির্ধারণ করা যায় না।
আরও পড়ুন: একীভূত করলেও পদ্মা ব্যাংকের কোনো কর্মচারী চাকরি হারাবেন না: এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান
তিনি আরও বলেন,‘এখন ২৯টি পণ্যের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আমরা ডিএএমকে এই দামে বিক্রি করতে বলছি এবং তাদের কর্মচারীদের বেতনের সঙ্গে মুনাফার অংশটি দিতে বলেছি।’
তিনি দাবি করেন, ‘হয় তারা নির্ধারিত দামে পণ্য বিক্রি করবে অথবা সার্কুলার প্রত্যাহার করবে। আমরা এই দামে পণ্য বিক্রি করতে পারছি না। মূল্য নির্ধারণ অবাস্তব ও অর্থহীন।’
সংবাদ সম্মেলনে সমিতির মহাসচিব জহিরুল হক ভূঁইয়াসহ ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর কাছে ৭ দফা দাবি উত্থাপন করেছে দোকান মালিক সমিতি। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ২৯ পণ্যের মূল্য নির্ধারণের প্রজ্ঞাপন স্থগিত করা, অন্যথায় তাদের ব্যবসা বন্ধ করা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না। আমদানি ও উৎপাদনের সঠিক পরিসংখ্যান নিশ্চিত করতে হবে, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) সক্ষমতা বাড়াতে হবে, বাজার ব্যবস্থাপনা সংস্কার করতে হবে, ভোগ্যপণ্য একই মন্ত্রণালয়ের আওতায় আনতে হবে, বাজারের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে, ব্যবসায়ীদের চাপমুক্ত পরিবেশে ব্যবসা করার সুযোগ দিতে হবে, ভোগ্যপণ্যের ওপর আরোপিত সব ধরনের কর সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনতে হবে।
আরও পড়ুন: বুধবার থেকে স্বর্ণের ভরিতে কমবে ১৭৫০ টাকা
বুধবার থেকে স্বর্ণের ভরিতে কমবে ১৭৫০ টাকা
আগামীকাল বুধবার থেকে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৭৪৯ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
মঙ্গলবার(১৯ মার্চ) বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য মনিটরিং স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি মাসুদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাজুস জানিয়েছে, প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ১ দশমিক ৫ শতাংশ কমিয়ে ১ লাখ ১১ হাজার ১৫৮ টাকা করা হবে, যা ছিল দেশে সর্বোচ্চ।
আরও পড়ুন: স্বর্ণ চোরাচালানে বছরে ৭৩ হাজার কোটি টাকা পাচার হচ্ছে: বাজুস
নতুন দর অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ লাখ ১১ হাজার ১৫৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬ হাজার ১৪২ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৯০ হাজার ৯৮৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির পরিমাপে স্বর্ণ ৭৫ হাজার ৮১৬ টাকা।
গত ২৪ আগস্ট দাম বাড়ার পর দেশের বাজারে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১ হাজার ২৪৪ টাকায় পৌঁছায়।
তবে স্বর্ণের দাম বাড়লেও রুপার দাম স্থিতিশীল রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে প্রতিদিন ২০০ কোটি টাকার স্বর্ণ চোরাচালানের মাধ্যমে আসে: বাজুস
মান অনুযায়ী, বর্তমানে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেট ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির পরিমাপে রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।
বৈদেশিক মুদ্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে গত কয়েক বছরে স্বর্ণের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
এছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি এবং অভ্যন্তরীণ বাজারে এর সরবরাহে অস্থিরতার প্রভাব ছিল।
বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য পরিমাণ স্বর্ণ আমদানি না করলেও এর দাম আন্তর্জাতিক প্রবণতার সঙ্গে প্রায় সম্পৃক্ত।
বাংলাদেশে স্বর্ণের বার্ষিক চাহিদা ২০ থেকে ৪০ টন।
আরও পড়ুন: স্বর্ণ শোধনাগার শিল্পে ১০ বছরের কর মওকূফ চায় বাজুস
চাকরির ইন্টারভিউয়ে প্রত্যাশিত বেতন নিয়ে যেভাবে কথা বলবেন
পেশাগত জীবন গঠনের সব থেকে সংবেদনশীল পর্যায়টি হচ্ছে চাকরির ইন্টারভিউ। যেখানে মাত্র ১০ থেকে ১৫ মিনিটের ওপর নির্ভর করে পুরো ক্যারিয়ার, বিশেষ করে চাকরিটি যদি হয় খুব প্রয়োজনীয় অথবা বহু প্রত্যাশিত। নিয়োগকর্তার সঙ্গে এই আলাপচারিতায় প্রতিটা বাক্য তাৎক্ষণিকভাবে গড়ে দেয় চাকরি পাওয়ার মাইলফলক।
এই আলাপের শেষ পর্বে থাকে বেতন সম্পর্কিত কথোপকথন, যে মুহূর্তটি চাকরি প্রার্থীদের জন্য আরও উত্তেজনার। প্রত্যাশিত বেতন নিয়ে কথা বলার এই ছোট্ট পর্বটি কীভাবে সফলভাবে সম্পন্ন করা যায়, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
প্রত্যাশিত বেতন বলতে আসলে কী বোঝায়
কোনো সুনির্দিষ্ট কাজের জন্য সম্মানী হিসেবে নিয়োগর্কতার কাছে প্রার্থীর যে পরিমাণ অর্থের দাবি থাকে সেটিই প্রত্যাশিত বেতন নামে অভিহিত। কাজের ধরন ও ক্ষেত্র, দেশ, ও সময়ের ভিত্তিতে এই সম্মানী পরিবর্তিত হয়। আর প্রত্যাশার সঙ্গে মৌলিকভাবে জড়িয়ে থাকে প্রার্থীর দক্ষতা, যার পরিপূরকভাবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় অভিজ্ঞতা। এর সঙ্গে প্রভাবক হিসেবে কাজ করে কাজটির চাহিদা, উপলব্ধতা এবং দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা।
আরও পড়ুন: চাকরির জন্য সিভি তৈরিতে যে বিষয়গুলো পরিহার করবেন
এই সব উপাদানের সাপেক্ষে যে পরিমাণ অর্থ দাবি করা হচ্ছে প্রার্থী আসলেই তার প্রাপ্য কি না তা প্রমাণ করা জরুরি। আর তারই যাচাই-বাছাই চলে চাকরির ইন্টারভিউতে।
বিষয়টি সম্পূর্ণ প্রার্থীর ঐচ্ছিক বিষয় হলেও অঙ্কটি নির্ধারণের ক্ষেত্রে যথাযথ গবেষণার প্রয়োজন। নতুবা খুব কম দাবি করার ফলে প্রার্থী সঠিক আর্থিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে পারেন। শুধু তাই নয়, এটি দীর্ঘ মেয়াদে তার ক্যারিয়ারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং একই সঙ্গে সেই কাজের বাজার নষ্ট করে। অন্যদিকে খুব বেশি দাবি করার মাধ্যমে চাকরির সুযোগটাই হাত ছাড়া হয়ে যেতে পারে।
কীভাবে প্রত্যাশিত বেতন নির্ধারণ করবেন
আত্ম-মূল্যায়ন
নিজের বাজার মূল্যটা ঠিক কত তা বুঝতে হলে নিজেকে একটি পণ্য বা সেবা হিসেবে চিন্তা করতে হবে। একটি পণ্য চূড়ান্ত ভাবে বিক্রিযোগ্য হওয়ার পূর্বে কাঁচামাল সংগ্রহ এবং প্রক্রিয়াকরণ পর্যায়ের মধ্যে দিয়ে যায়। এ সময় তার যাবতীয় খরচের সঙ্গে লাভের পরিমাণ যোগ করে তারপর ঠিক পণ্যের দাম। একজন ব্যক্তির পারদর্শিতার মূল্য নির্ধারণের ব্যাপারটিও ঠিক একই। এখানে যাচাই করতে হয় একটি কাজের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যেতে কতটা শ্রম এবং সময় দেওয়া হচ্ছে। শারীরিক শ্রম অপেক্ষা মানসিক শ্রমের মূল্য বেশি।
আরও পড়ুন: ফুড ব্লগার বা ভ্লগার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার উপায়
অপেক্ষাকৃত কম রসদে তুলনামূলক কম সময়ের মধ্যে গুণগত মান অক্ষুন্ন রেখে কাজটি সম্পন্ন করা। মুলত এর উপর ভিত্তি করেই প্রতিযোগিতাপূর্ণ হয়ে ওঠে কোনো কর্মচারী বা কর্মকর্তার বাজার মূল্য।
এই মূল্য যাচাইয়ের জন্য প্রার্থীকে প্রথমে দেখতে হবে বাজারে তার পারদর্শিতার চাহিদা কতটুকু। এই নিরীক্ষায় উতড়ে গেলে তারপরেই আসবে দক্ষতার বিষয়টি। কাজের ইন্ডাস্ট্রি ভেদে এই বিষয়টিকে বিশেষায়িত করে উচ্চ শিক্ষা, পেশাগত ট্রেনিং এবং সরাসরি কাজের অভিজ্ঞতা। ব্যবহারিক বা প্রযুক্তিগত কাজগুলোতে প্রায় ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার উপর হাতে-কলমে কাজের অভিজ্ঞতা গুরুত্ব পায়। আবার যে পারদর্শিতাগুলো খুব কম দেখা যায়, কিন্তু বাজারে চাহিদা প্রচুর, এগুলোর সম্মানী নিলামের মত বাড়তে থাকে।
নেটওয়ার্কিং
বেতন কত হওয়া উচিৎ তা জানার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো একই ইন্ডাস্ট্রির লোকদের সঙ্গে নেটওয়ার্কিং করা। ক্যারিয়ারের শুরুতে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র এবং শিক্ষকগণ এই নেটওয়ার্কিংয়ে ব্যাপক অবদান রাখে। তাদের মধ্যে যারা বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন পদের বেতনের ব্যাপারে ধারণা পাওয়া যায়।
স্বভাবতই তথ্য সংগ্রহের জন্য এটি খুব স্বল্প মেয়াদী উপায় নয়, কেননা বেতন নিয়ে কথা বলতে কেউই প্রস্তুত থাকেন না। দীর্ঘ দিন সম্পর্কের সুবাদে এরকম তথ্য পাওয়া সম্ভব। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরুর দিন থেকেই বিভিন্ন ক্লাব, সিনিয়র ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সান্নিধ্য অর্জনের চেষ্টা শুরু করতে হবে। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে বিভিন্ন অনলাইন গ্রুপ ও ফোরামের দৌলতে নেটওয়ার্কিং অনেকটা সহজ হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: উবার ড্রাইভার অ্যাকাউন্ট সক্রিয় করবেন যেভাবে