খেলাধুলা
হাসানের জোড়া শিকারে দিনের শেষটাও রাঙাল বাংলাদেশ
লিটন দাসকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে অপরাজিত থেকে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস শেষ করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানের দুই উইকেট নিয়ে তৃতীয় দিনের শেষটা রাঙিয়ে দিয়েছেন হাসান মাহমুদ।
১২ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা পাকিস্তান তৃতীয় দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগে ৩.৪ ওভারে ৯ রান করতে গিয়েই ২ উইকেট হারিয়েছে। ফলে ২১ রানে এগিয়ে থেকে আগামীকাল চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করবে তারা।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় পাকিস্তান। প্রথম ইনিংসে উইকেটশূন্য থাকলেও দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের উইকেটের খাতা খুলেছেন হাসান।
এরপর নিজের দ্বিতীয় ও ইনিংসের চতুর্থ ওভারে হাসান মাহমুদ খুররাম শাহজাদকেও ফিরিয়ে দিলে তৃতীয় দিনের মতো খেলার সমাপ্তি ঘোষণা করেন আম্পায়ার।
আরও পড়ুন: অবশেষে ভাঙল লিটনের প্রতিরোধ, ২৬২ রানে থামল বাংলাদেশ
এর আগে, বৃষ্টির কারণে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন ভেসে যাওয়ার পর দ্বিতীয় দিন টস জিতে স্বাগতিকদের শুরুতে ব্যাটিংয়ে পাঠান টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। শুরুতে ব্যাটিং করে ৮৫.১ ওভার খেলে তিনটি হাফ সেঞ্চুরিতে ২৭৪ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান।
১০ রান উইকেটশূন্য থেকে দ্বিতীয় দিন শেষ করলেও তৃতীয় দিন নেমেই চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ২৬ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। সেখান থেকে লিটন দাসের ১৩৮ ও মেহেদী হাসান মিরাজের ৭৮ রানে ভার করে দিনের শেষভাগে এসে ২৬২ রানে গুটিয়ে গেলে ১২ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিং শুরু করে পাকিস্তান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান প্রথম ইনিংস: ২৭৪/১০ (৮৫.১ ওভার; সাইম ৫৮, মাসুদ ৫৭ ও সালমান ৫৪; মিরাজ ৫/৬১ ও তাসকিন ৩/৫৭)।
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: (আগের দিন ১০/০) ২৬২/১০ (৭৮.৪ ওভার; লিটন দাস ১৩৮, মেহেদী মিরাজ ৭৮; শাহজাদ ৬/৯০, হামজা ২/৫০, সালমান ২/১৩)।
পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংস: ৯/২ (৩.৪ ওভার; সাইম আইয়ুব ৬*, আব্দুল্লাহ শফিক ৩; হাসান মাহমুদ ২/৩)।
৪৮৩ দিন আগে
হালান্ডের টানা দ্বিতীয় হ্যাটট্রিকে সিটির তিনে তিন
গত কয়েক মৌসুমের মতো এবারও লিগে দুর্দান্ত শুরু করেছে ম্যানচেস্টার সিটি। স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে প্রথম ম্যাচে চেলসিকে ২-০ ব্যবধানে হারানোর পর ইপসউইচকে হারিয়ে এবার ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেডের বিপক্ষেও তুলে নিয়েছে দারুণ এক জয়।
শনিবার (৩১ আগস্ট) লন্ডন স্টেডিয়ামে হ্যামারদের ঘরের মাঠে ৩-১ গোলে হারিয়ে টানা তৃতীয় জয় তুলে নিয়েছে পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা।
এদিন ম্যাচের সবটুকু আলো কেড়ে নিয়েছেন ২৪ বছর বয়সী নরওয়েজিয়ান ফুটবলার আর্লিং হালান্ড। ইপসউইচের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করার পর টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছেন এই স্ট্রাইকার। আর রুবেন দিয়াসের আত্মঘাতী গোল থেকে একমাত্র গোলটি পায় ওয়েস্ট হ্যাম।
এদিন ম্যাচের দশম মিনিটেই বের্নার্দো সিলভার পাস ধরে দ্রুতগতিতে এগিয়ে গিয়ে দলকে এগিয়ে নেন হালান্ড। তবে ৯ মিনিট পর গোল পেয়ে সমতায় ফেরে ওয়েস্ট হ্যাম।
আরও পড়ুন: রাফিনিয়ার হ্যাটট্রিক, ৭-০ ব্যবধানে জিতল বার্সেলোনা
এরপর ৩০তম মিনিটে রিকো লুইসের পাসে ডান পায়ের ছোঁয়ায় ফের সিটিকে এগিয়ে নেন হালান্ড। দ্বিতীয়ার্ধে নেমে ম্যাচের ৮৩তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণে উঠে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করে দলের জয় নিশ্চিত করে ফেলেন এই নরওয়েজিয়ান।
এর ফলে সিটির জার্সিতে ১১টি হ্যাটট্রিক করে ফেললেন তিনি। আর ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে তার হ্যাটট্রিকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪টিতে।
ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে এখন পর্যন্ত প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১০২ ম্যাচ খেলে ৯৭টি গোল করেছেন হালান্ড। এর মধ্যে প্রিমিয়ার লিগে তার গোলের সংখ্যা ৭০টি, যার ৭টিই হয়েছে চলতি মৌসুমের প্রথম তিন ম্যাচে।
টানা তিন জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষ উঠেছে সিটি। দিনের অপর ম্যাচে ব্রাইটনের বিপক্ষে ঘরের মাঠ এমিরেটস স্টেডিয়ামে ১-১ ড্র করে হোঁচট খেয়েছে আর্সেনাল। এর ফলে ৭ পয়েন্ট করে নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাইটন ও আর্সেনাল।
আরও পড়ুন: ভিলাকে হারিয়ে আর্সেনালের দুইয়ে দুই
তবে আগের দুই ম্যাচের দুটিই জিতে ছয় পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে লিভারপুল। আজ রাত ৯টায় ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মুখোমুখি হবে তারা। এই ম্যাচে এরিক টেন হাগের শিষ্যদের হারাতে পারলে টেবিলের দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে আসার সুযোগ রয়েছে তাদের সামনে। তবে শীর্ষে উঠতে হলে ইউনাইটেডকে অন্তত তিন গোলের ব্যবধানে হারাতে হবে আর্নে স্লটের শিষ্যদের।
দুই ম্যাচের একটি হেরে ৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের মাঝামাঝি অবস্থান করছে রেড ডেভিলরা।
৪৮৩ দিন আগে
অবশেষে ভাঙল লিটনের প্রতিরোধ, ২৬২ রানে থামল বাংলাদেশ
উইকেটে আসা-যাওয়ার মিছিলে লিটন দাস যখন ক্রিজে আসলেন, তখন বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৬ রান, ৬ উইকেটের বিনিময়ে। এমন বিপর্যয়কালে মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে চোয়াল শক্ত করে খেলে গেলেন তিনি। এরপর পাকিস্তানের প্রথম ইনিংস থেকে সামান্য পিছিয়ে থেকে ভাঙল তার প্রতিরোধ।
লিটনের অনবদ্য শতক ও সপ্তম উইকেটে ১৬৫ রানের সুবাদে ৭৮.৪ ওভারে ২৬২ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। ফলে ১২ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসের খেলা শুরু করেছে পাকিস্তান।
এদিন ব্যাট হাতে লিটন করেছেন সর্বোচ্চ ১৩৮ রান, আর মিরাজ ৭৮ রান করে ফিরে যান। বাকি ব্যাটারদের কেউই বলার মতো রান স্কোরবোর্ডে তুলতে পারেননি। তবে লিটনকে শেষ পর্যন্ত ভালো সঙ্গ দিয়ে গেছেন হাসান মাহমুদ।
এর আগে, ধ্বংস্তুপে মুষ্টি শক্ত করে দাঁড়িয়ে একে একে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন লিটন ও মিরাজ। তাদের জুটিতে আশার আলো দেখতে শুরু করে বাংলাদেশ। এরপর ১৬৫ রানের জুটি গড়ে বিদায় নেন মিরাজ। এর আগে অবশ্য রেকর্ডও করে ফেলেন তারা।
টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে পঞ্চাশের নিচে ৬ উইকেট পড়ার পর এই প্রথম কোনো জুটি দেড় শতাধিক রান করল। এর আগের কীর্তিটি ছিল অবশ্য পাকিস্তানের। ২০০৬ সালে করাচিতে ভারতের বিপক্ষে ৩৯ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর ১১৫ রানের জুটি গড়েছিলেন আব্দুর রাজ্জাক ও কামরান আকমল।
আরও পড়ুন: মিরাজের ঘূর্ণিতে ২৭৪ রানে থামল পাকিস্তান
এদিকে, মিরাজকে ফিরিয়ে নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম ফাইফারের দেখা পেয়েছেন খুররাম শাহজাদ। শুধু তাই নয়, একাই ৬ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের টপ অর্ডার গুঁড়িয়ে দেন তিনি। এছাড়া দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মির হামজা ও আগা সালমান।
মিরাজ ফিরে যাওয়ার পর তাসকিনকেও বিদায় করেন খুররাম। তবে লিটনকে যোগ্য সঙ্গ দেন হাসান মাহমুদ। লিটন অবশেষে ২২৮ বলে ১৩টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ১৩৮ রান করে ফিরে যাওয়ার দুই বল পর লেগ বিফোরের ফাঁদি পড়ে আউট হন নাহিদ রানাও। তবে ৫১ বল মোকাবিলা করে ১৩ রানে অপরাজিত ছিলেন হাসান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান প্রথম ইনিংস: ২৭৪/১০ (৮৫.১ ওভার; সাইম ৫৮, মাসুদ ৫৭ ও সালমান ৫৪; মিরাজ ৫/৬১ ও তাসকিন ৩/৫৭)।
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: (আগের দিন ১০/০) ২৬২/১০ (৭৮.৪ ওভার; লিটন দাস ১৩৮, মেহেদী মিরাজ ৭৮; শাহজাদ ৬/৯০, হামজা ২/৫০, সালমান ২/১৩)।
৪৮৩ দিন আগে
লেভারকুজেনের অপরাজেয় যাত্রা থামাল লাইপসিগ
হারতে যেন ভুলেই গিয়েছিল বর্তমান বুন্দেসলিগা চ্যাম্পিয়ন বায়ের লেভারকুজেন। গত মৌসুমে অপরাজিত লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর চলতি মৌসুমেও তাদের সে ধারা অব্যাহত ছিল। তবে শাবি আলোনসোর উড়তে থাকা দলকে অবশেষে মাটিতে নামিয়েছে লাইপসিগ।
বুন্দেসলিগায় শনিবার লেভারকুজেনের বে আরেনায় স্বাগতিকদের ৩-২ গোলে হারিয়ে জয় নিয়ে ফিরেছে লাইপসিগ। এর ফলে লিগে টানা ৩৫ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর প্রথম হারের তেতো স্বাদ পেয়েছে তারা।
এদিন ম্যাচের ৩৯ মিনিটে জেরেমি ফ্রিম্পংয়ের গোলে ম্যাচে প্রথম এগিয়ে যায় লেভারকুজেন। এর ছয় মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন অপর প্রান্তের উইং ব্যাক আলেক্স গ্রিমালদো। তবে প্রথমার্ধে যোগ করা সময়ের শেষ মুহূর্তে কেভিন ক্যাম্পলের নৈপুণ্যে এক গোল পরিশোধ করে বিরতিতে যায় লাইপসিগ।
ফিরে এসে ৫৭তম মিনিটে দলকে সমতায় ফেরান লাইপসিগের লুইস অপেন্দা। এরপর ৮০তম মিনিটে অপেন্দার দ্বিতীয় গোলে ম্যাচের প্রথমবারের মতো এগিয়ে যাওয়ার পর লেভারকুজেনকে আর শেষের চমক দেখাতে দেয়নি সফরকারীরা। ফলে হার মানতে হয় শাবির শিষ্যদের।
আরও পড়ুন: ১০ জন নিয়ে খেলেও শিরোপা জিতে মৌসুম শুরু লেভারকুজেনের
এর ফলে বুন্দেসলিগায় ৪৬২ দিন পর হারল চ্যাম্পিয়নরা। গত মৌসুমের অপরাজিত দলটি সর্বশেষ হারে তার আগের মৌসুমের শেষ রাউন্ডের ম্যাচে বোখুমের বিপক্ষে।
তবে এটিই বুন্দেসলিগায় সর্বোচ্চ অপরাজিত থাকার রেকর্ড নয়। লেভারকুজেনের ঠিক উপরে রয়েছে হামবুর্গ। ১৯৮২-৮৩ মৌসুমে টানা ৩৬ ম্যাচ অপরাজিত ছিল তারা। তবে ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত টানা ৫৩ ম্যাচে অপরাজিত থেকে এই রেকর্ডে সবার অনেক উপরে রয়েছে পেপ গার্দিওলার বায়ার্ন মিউনিখ।
গত মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৫১ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর ইউরোপা লিগের ফাইনালে আতালান্তার কাছে হেরে যায় লেভারকুজেন। তবে লিগে তাদের অজেয় যাত্রা এরপরও অব্যাহত ছিল। অবশেষে সে যাত্রার ইতি টেনে দিল মার্কো রোজের লাইপসিগ।
আরও পড়ুন: যে ৬ কারণে স্বপ্নযাত্রা থামল লেভারকুজেনের
৪৮৩ দিন আগে
রাফিনিয়ার হ্যাটট্রিক, ৭-০ ব্যবধানে জিতল বার্সেলোনা
হান্সি ফ্লিকের ছোঁয়ায় নতুন দিনের স্বপ্ন দেখা শুরু করেছে বার্সেলোনা সমর্থকরা। আর্থিক সংকটের কারণে চাহিদামতো খেলোয়াড় কিনতে না পারা এবং চোটজর্জর দল নিয়েও লিগের প্রথম চার ম্যাচে জয় পেয়েছে ক্লাবটি। তবে চতুর্থ ম্যাচে বিরাট জয়ে ভক্তেদের প্রত্যাশা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে তার দল।
শনিবার (৩১ আগস্ট) বার্সেলোনার অলিম্পিক স্টেডিয়ামে রিয়াল ভায়াদোলিদের বিপক্ষে ৭-০ গোলের বিশাল জয় পেয়েছে কাতালুনিয়ার ক্লাবটি।
এই ম্যাচে ক্যারিয়ারের প্রথম হ্যাটট্রিক করেছেন বার্সার ব্রাজিল ফরোয়ার্ড রাফিনিয়া। এছাড়া শুরুতেই পিচিচির দৌড়ে থাকা রবের্ট লেভানডোভস্কি, দানি অলমো, ফেররান তোরেস ও জুল কুন্দে পেয়েছেন একটি করে গোলের দেখা। তবে গোল না পেলেও এদিন দুটি অ্যাসিস্ট করে নিজের প্রতিভার সাক্ষর রেখেছেন লামিন ইয়ামাল।
আরও পড়ুন: বার্সার দায়িত্ব নিয়ে শিরোপা জিততে বদ্ধপরিকর ফ্লিক
এদিন ম্যাচের ২০তম মিনিটে রাফিনিয়ার গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর ৩-০ ব্যবধান গড়ে বিরতিতে যায় বার্সেলোনা। বিরতির পর তারা প্রতিপক্ষের জালে আরও চারবার বল পাঠায়।
ম্যাচের দশম মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত বার্সেলোনা, কিন্তু অফসাইডের কারণে দানি অলমোর গোলটি বাতিল হয়ে যায়।
বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া রাফিনিয়ার বুলেট শট প্রতিহত করলেও তা ধরে রাখতে ব্যর্থ হন ভায়াদোলিদ গোলরক্ষক কার্ল হাইন। বল তার কাছ থেকে সামনে চলে আসলে এগিয়ে গিয়ে তা জালে জড়িয়ে দেন অলমো, কিন্তু ভিএআর রিভিউতে রেফারির অফসাইডের সিন্ধান্ত বহাল থাকলে হতাশ হয় বার্সার সমর্থকরা।
চতুর্দশ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে রবের্ট লেভানডোভস্কির শট ঠেকিয়ে দেন হাইন। ষোড়শ মিনিটে তার আরও একটি হেডার পোস্টের বাইরে বেরিয়ে যায়। তবে ২০তম মিনিটে রাফিনিয়ার চমৎকার এক গোলে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা।
মাঝ মাঠ থেকে রাফিনিয়ার দৌড় দেখেই শূন্যে ভাসিয়ে লং পাস দেন পাউ কুবারসি। এরপর প্রতিপেক্ষের বক্সের বেশ বাইরে থেকে বুক দিয়ে বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কোনাকুনি এগিয়ে গিয়ে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ২৭ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড।
৪৮৪ দিন আগে
জোড়া সেঞ্চুরিতে কুককে ছাড়িয়ে একাধিক রেকর্ডে রুট
শ্রীলংকার বিপক্ষে চলমান লর্ডস টেস্টের প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরির দেখা পেয়ে রেকর্ড ছুয়েছিলেন ইংল্যান্ডের হালের ব্যাটিং লাইন-আপের অন্যতম আস্থার নাম জো রুট। এবার দ্বিতীয় ইনিংসেও সেঞ্চুরি করে সেই রেকর্ড ভাঙার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি রেকর্ডে নিজের নাম লিখিয়েছেন তিনি। ভেঙে দিয়েছেন রেকর্ড।
টেস্টে ইংল্যান্ডের হয়ে মোট ৩৪ সেঞ্চুরি করেছেন এই ব্যাটার। এর ফলে স্যার অ্যালিস্টার কুককে ছাড়িয়ে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি করা ইংলিশ ব্যাটার হয়ে গেছেন তিনি।
প্রথম ইনিংসে ১৪৩ রানের ইনিংস খেলার পথে ৩৩তম টেস্ট সেঞ্চুরি করে নিউজিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসনকে ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সেইসঙ্গে ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ টেস্ট সেঞ্চুরিতে কুকের পাশে বসেন তিনি। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে সবাইকে ছাড়িয়ে চূড়ায় উঠেছেন এই ব্যাটার।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরে মালান
শুধু তা-ই নয়, এক যুগের টেস্ট ক্যারিয়ারে এর আগে কখনোই টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরির দেখা পাননি তিনি। এবার তা করে ইংল্যান্ডের এমন কীর্তি করা দ্বাদশ ক্রিকেটার বনে গেলেন তিনি। তবে লর্ডসে এই রেকর্ড আছে তিনি ছাড়া কেবল তিনজনের; ওয়েস্ট ইন্ডিজের জর্জ হেডলি এবং ইংল্যান্ডের গ্রাহাম গুচ ও মাইকেল ভন দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করেছেন এই মাঠে।
এর সঙ্গে আরও একটি দারুণ ব্যাপার ঘটেছে রুটের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে। ক্রিকেটের তিন সংস্করণ মিলিয়ে শতকের হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন তিনি।
লর্ডসে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির (৭টি) রেকর্ডও এখন রুটের। আজকের সেঞ্চুরিতে তিনি টপকে গেছেন গুচ ও ভনকে (৬টি করে)। পাশাপাশি এই মাঠে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক গুচের ২ হাজার ১৫ রান ছাড়িয়ে গেছেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসের ১০৩ রানে বর্তমানে লর্ডসে তার রান বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২২-এ।
দ্বিতীয় ইনিংসে শেষ ব্যাটার হিসেবে রুট আউট হলে ২৫১ রানের পুঁজি পায় ইংল্যান্ড। এতে প্রথম ইনিংসের ২৩১ রানের লিড মিলিয়ে লঙ্কানদের ৪৮৩ রানের লক্ষ্য দিয়েছে থ্রি লায়ন্স।
আরও পড়ুন: ক্রিকেট ইতিহাসের সফলতম বাঁহাতি স্পিনার এখন সাকিব
৪৮৪ দিন আগে
মিরাজের ঘূর্ণিতে ২৭৪ রানে থামল পাকিস্তান
পাকিস্তানের রানের খাতা খোলার আগেই প্রথম ওভারে উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় টেস্টে যে শুভ সূচনা করেছিলেন তাসকিন আহমেদ, দিনের শেষে এসে তাতে পূর্ণতা এনে দিয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। একাই পাঁচ উইকেট নিয়ে স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ে ধ্বস নামিয়েছেন তিনি।
বৃষ্টির কারণে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের প্রথম দিন ভেসে যাওয়ার পর দ্বিতীয় দিন টস জিতে স্বাগতিকদের শুরুতে ব্যাটিংয়ে পাঠান টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। শুরুতে ব্যাটিং করে ৮৫.১ ওভার খেলে তিনটি হাফ সেঞ্চুরিতে ২৭৪ রান সংগ্রহ করেছে পাকিস্তান।
পরে দুই ওভারে উইকেট না হারিয়েই ১০ রান সংগ্রহ করে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে বাংলাদেশ। ওপেনার সাদমান ইসলাম ৯ বলে একটি চারের সাহায্যে ৬ রানে অপরাজিত রয়েছেন। অন্যপ্রান্তে তিন বল মোকাবিলা করে রানের খাতা খুলতে পারেননি জাকির হাসান।
এর আগে, প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেন ওপেনার সাইম আইয়ুব। এছাড়া তৃতীয় ব্যাটার শান মাসুদ ৫৭ এবং সাত নম্বরে নেমে ৫৪ রানের কার্যকর ইনিংস খেলেন আগা সালমান।
অপরদিকে, বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ পাঁচ উইকেট নিয়েছেন মিরাজ। এছাড়া, তাসকিন তিনটি এবং সাকিব ও নাহিদ রানা একটি করে উইকেট তুলেছেন।
আরও পড়ুন: বৃষ্টিতে ভেসে গেল দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন
এদিন, প্রথম ওভারটি মেইডেন দিয়ে শেষ বলে পাকিস্তানি ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিকবে বোল্ড করে দেন তাসকিন। এরপর অধিনায়ক শান মাসুদের সঙ্গে ১০৭ রানের জুটি গড়ে দারুণভাবে ম্যাচে ফেরে পাকিস্তান। তবে দুই ব্যাটারই ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পর বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে ব্যর্থ হয়েছেন।
মধ্যাহ্ন বিরতির পরই পাকিস্তানকে বড় সংগ্রহের পথ দেখানো জুটিটি ভাঙেন মিরাজ। মাসুদকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে সাজঘরে পাঠানোর পর সাইমকেও বিদায় করেন তিনি। মিরাজের বলে এগিয়ে এসে ব্যাট চালাতে গিয়ে মিস করলে তড়িৎ গতিতে উইকেট ভেঙে দেন লিটন দাস। ফলে ১০৭ রানে দ্বিতীয় ও ১২২ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় পাকিস্তান।
মূলত দ্বিতীয় উইকেট জুটি ভাঙার পর থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে পাকিস্তান। এই ধারাবাহিকতায় ১৫১ রানের মাথায় সৌদ শাকিলকে (১৬) বোল্ড করে দেন তাসকিন। এরপর মোহাম্মদ রিজওয়ানকে নিয়ে আরেকটি বড় জুটির গড়ার চেষ্টা করলেও ১৭৯ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৩১ রান করে ফিরতে হয় বাবর আজমকে। সাকিবের ঘূর্ণিতে বিভ্রান্ত হয়ে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন তিনি। পরে আগা সালমানের সঙ্গে ৩২ রানের জুটি গড়ে শান্তর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন রিজওয়ান। নাহিদের বলে ২৯ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় টেস্ট স্কোয়াডে শক্তি বাড়াল পাকিস্তান
তবে ব্যাটিংয়ে এসে থিতু হওয়ার চেষ্টা করেন সালমান। রিজওয়ান ফিরে গেলেও পরবর্তী ব্যাটারদের সঙ্গে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন তিনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে ব্যক্তি অর্ধশতক তুলে নেন তিনি। মাঝে মিরাজের বলে খুররাম শেহজাদ (১২) ও মোহাম্মদ আলী (২) আউট হয়ে ফেরার পর ৫৪ রান করে অবশেষে তাসকিনের বলে তিনি ফিরে গেলে ইনিংস গোটানো ছিল সময়ের অপেক্ষা। তবে সময় একেবারেই নষ্ট করেননি মিরাজ। ৮৫তম ওভারের শেষ বলে সালমান আউট হলে পরের ওভারের প্রথম বলেই আবরার আহমেদকে ফিরিয়ে দিয়ে নিজের দশম ফাইফার পূর্ণ করেন তিনি।
এর মাধ্যমে মোহাম্মদ রফিকের পর পাকিস্তানের মাটিতে ৫ উইকেট নেওয়া দ্বিতীয় বাংলাদেশি বোলার বনে যান মিরাজ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান প্রথম ইনিংস: ২৭৪/১০ (৮৫.১ ওভার; সাইম ৫৮, মাসুদ ৫৭ ও সালমান ৫৪; মিরাজ ৫/৬১ ও তাসকিন ৩/৫৭)।
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ১০/০ (২ ওভার) (সাদমান ৬* ও জাকির হাসান ০*)।
৪৮৪ দিন আগে
‘বিবর্ণ’ এমবাপ্পেকে নিয়েই নেশন্স লিগে ফ্রান্স
লা লিগায় রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে একেবারেই অপ্রত্যাশিত শুরু হয়েছে কিলিয়ান এমবোপ্পের। লিগের প্রথম তিন ম্যাচে গোলের দেখা পাননি এই স্ট্রাইকার, যার প্রভাব পড়েছে ক্লাবটির দলীয় পারফরম্যান্সেও। মাত্র তিন ম্যাচে খেলেই ৪ পয়েন্ট খুইয়েছে লস ব্লাঙ্কোসরা। তবে ক্লাব ফুটবলে নিষ্প্রভ সময় কাটালেও জাতীয় দলের স্কোয়াডে প্রভাব ফেলতে পারেনি তার সাম্প্রতিক ফর্ম।
সেপ্টেম্বরে উয়েফা নেশন্স লিগের গ্রুপপর্বের দুই ম্যাচের জন্য ফ্রান্স জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন ২৫ বছর বয়সী এই তারকা ফুটবলার।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) নেশন্স লিগের স্কোয়াড ঘোষণা করেন ফরাসি কোচ দিদিয়ের দেশম।
এমবাপ্পে ছাড়াও স্কোয়াডে ঠাঁই হয়েছে সদ্য বায়ার্ন মিউনিখে নাম লেখানো ইংলিশ বংশোদ্ভূত ফরাসি উইঙ্গার মাইকেল অলিজের। এছাড়া সদ্য অনুষ্ঠিত অলিম্পিক স্কোয়াড থেকে মূল দলে ডাক পেয়েছেন বরুশিয়া মনশেনগ্লাডবাখের তরুণ মিডফিল্ডার মানু কোনে।
এই দুই নতুন মুখ ছাড়াও ইউরোর বাছাইপর্বে অভিষিক্ত ওয়েসলে ফোফানাকেও দলে ফিরিয়েছেন দেশম। বাছাইপর্বে খেললেও ইউরোর মূল পর্বে ছিলেন না চেলসির এই ডিফেন্ডার।
আরও পড়ুন: রোনালদোকে নিয়ে নেশন্স লিগে পর্তুগালের স্কোয়াড ঘোষণা
তবে নেশন্স লিগের দল থেকে ছিটকে গেছেন ইউরোর স্কোয়াড থাকা ইন্টার মিলান ডিফেন্ডার বেঞ্জামিন পাভা, বায়ার্ন মিউনিখ উইঙ্গার কিংসলে কোমান ও সদ্য ইউভেন্তুসে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়া আদ্রিয়েঁ রাবিও।
এছাড়া, ইউরোর সেমিফাইনালে হারের পর জাতীয় দলকে বিদায় বলে দেওয়ায় অলিভিয়ে জিরুকে পাচ্ছেন না দেশম।
আগামী ৬ সেপ্টেম্বর ইতালির বিপক্ষে নেশন্স লিগ অভিযান শুরু করবে ফ্রান্স। এরপর ৯ সেপ্টেম্বর বেলজিয়ামের মুখোমুখি হবে ২০২০-২১ মৌসুমের চ্যাম্পিয়নরা।
‘এ’ লিগের গ্রুপ-২ এ তাদের অন্য প্রতিপক্ষ ইসরায়েল। অক্টোবরের আন্তর্জাতিক বিরতির সময় তাদের মোকাবিলা করবে দিদিয়ের দেশমের দল।
আরও পড়ুন: অভিজ্ঞদের বাদ রেখে বেলজিয়ামের নেশন্স লিগের স্কোয়াড ঘোষণা
ফ্রান্স স্কোয়াড
গোলরক্ষক: আলফোন্স আরেওলা (ওয়েস্টহ্যাম), মাইক মেইনিয়ঁ (এসি মিলান), ব্রাইস সাম্বা (লঁস)।
ডিফেন্ডার: জনাথন ক্লোস (নিস), ওয়েসলে ফোফানা (চেলসি), থেয়ো এরনান্দেস (এসি মিলান), ইব্রাহিমা কোনাতে (লিভারপুল), জুল কুন্দে (বার্সেলোনা), ফেরলঁ মেন্দি (রিয়াল মাদ্রিদ), উইলিয়াম সালিবা (আর্সেনাল), দায়োত উপামেকানো (বায়ার্ন মিউনিখ)।
মিডফিল্ডার: ইউসুফ ফোফানা (এসি মিলান), এন’গলো কন্তে (আল ইত্তিহাদ), মানু কোনে (বরুশিয়া মনশেনগ্লাডবাখ), অরেলিয়ঁন চুয়ামেনি (রিয়াল মাদ্রিদ), ওয়ারেন জাইরে-এমেরি (পিএসজি)।
ফরোয়ার্ড: ব্রাদলে বার্কোলা (পিএসজি), উসমান দেম্বেলে (পিএসজি), অন্তোয়ান গ্রিজমান (আতলেতিকো মাদ্রিদ), রান্দাল কোলো মুয়ানি (পিএসজি), কিলিয়ান এমবাপ্পে (রিয়াল মাদ্রিদ), মিকেল অলিজ (বায়ার্ন মিউনিখ), মার্কুস থুরাম (ইন্টার মিলান)।
৪৮৫ দিন আগে
নেশন্স লিগ চ্যাম্পিয়নদের স্কোয়াডে নতুন দুই মুখ
ফুটবল অঙ্গনে দারুণ সময় পার করছে স্পেন। পুরষ, নারী কিংবা বয়সভিত্তিক, যে দলই খেলতে নামছে দুর্দান্ত পারফর্ম করে শিরোপা জিতে চলেছে দেশটির ফুটবলাররা। মেয়েরা ২০২৩ বিশ্বকাপ জেতার পর সম্প্রতি ইউরো এবং অলিম্পিকের স্বর্ণ জিতেছে স্পেনের যুবারা। এরই মাঝে উয়েফা নেশন্স লিগের স্কোয়াড ঘোষণা করেছেন স্পেন কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্ত।
ইউরোরর শক্তিশালী স্কোয়াডকে প্রায় অপরিবর্তিত রেখেই নেশন্স লিগের শিরোপা ধরে রাখার মিশনের জন্য দল ঘোষণা করেছেন স্পেন কোচ।
চোটের কারণে দল থেকে ছিটকে গেছেন ফরোয়ার্ড আলভারো মোরাতা এবং এক নম্বর গোলরক্ষক উনাই সিমোন।
তবে ইউরোর স্কোয়াডে না থাকলেও নেশন্সে লিগের স্কোয়াডে ফিরেছেন আলেইক্স গার্সিয়া, পাউ তোরেস, ইয়েরেমি পিনো ও গোলরক্ষক রবের্ত সানচেজ।
এছাড়া নতুন দুই ফুটবলারকেও জাতীয় দলের জার্সিতে অভিষেকের সুযোগ দিতে চলেছেন দে লা ফুয়েন্তে। তারা হলেন- সেল্তা ভিগোর রাইট ব্যাক অস্কার মিঙ্গেসা এবং ভালেন্সিয়ার মিডফিল্ডার পেপেলু।
আরও পড়ুন: রেকর্ড চতুর্থবার শিরোপা জিতে নবযুগের সূচনা করল স্পেন
আগামী ৫ সেপ্টেম্বর সার্বিয়ার বিপক্ষে নেশন্স লিগ ধরে রাখার অভিযান শুরু করবে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। এরপর ৮ সেপ্টেম্বর সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে তারা। ‘এ’ লিগের গ্রুপ-৪ এ তাদের অন্য প্রতিপক্ষ ডেনমার্ক।
স্পেন স্কোয়াড
গোলরক্ষক: দাভিদ রায়া (আর্সেনাল), আলেক্স রেমিরো (রিয়াল সোসিয়েদাদ), রবের্ত সানচেজ (চেলসি)।
ডিফেন্ডার: মার্ক কুকুরেইয়া (চেলসি), দানি কারভাহাল (রিয়াল মাদ্রিদ), অস্কার মিঙ্গেসা (সেল্তা ভিগো), রবিন লে নরমান্দ (আতলেতিকো মাদ্রিদ), দানি ভিভিয়ান (আথলেতিক বিলবাও), আয়মেরিক লাপোর্ত (আল নাসর), পাউ তোরেস (অ্যাস্টন ভিলা), আলেহান্দ্রো গ্রিমালদো (বায়ের লেভারকুজেন)।
মিডফিল্ডার: রদ্রি (ম্যানচেস্টার সিটি), মার্তিন জুবিমেন্দি (রিয়াল সোসিয়েদাদ), পেপেলু (ভালেন্সিয়া), ফাবিয়ান রুইস (পিএসজি), আলেইক্স গার্সিয়া (লেভারকুজেন), দানি অলমো (বার্সেলোনা), পেদ্রি (বার্সেলোনা)।
ফরোয়ার্ড: লামিন ইয়ামাল (বার্সেলোনা), ফেররান তোরেস (বার্সেলোনা), নিকো উইলিয়ামস (আথলেতিক বিলবাও), ইয়েরেমি পিনো (ভিয়ারিয়াল), আয়োসে পেরেস (ভিয়ারিয়াল), মিকেল ওইয়ারসাবাল (রিয়াল সোসিয়েদাদ), হোসেলু মাতো (আল গারাফা)।
৪৮৫ দিন আগে
অভিজ্ঞদের বাদ রেখে বেলজিয়ামের নেশন্স লিগের স্কোয়াড ঘোষণা
বিশ্বকাপ বাছাইয়ের আগে দলের ভবিষ্যৎ গঠনের কথা মাথায় রেখে নতুন প্রজন্মের ফুটবলারদের খেলার সুযোগ দিয়ে নেশন্স লিগের স্কোয়াড ঘোষণা করেছেন বেলজিয়াম কোচ দমেনিকো তেদেস্কো। ঘোষিত স্কোয়াডে অধিনায়ক কেভিন ডি ব্রইনে ছাড়া অভিজ্ঞ ফুটবলারদের কেউ নেই বললেই চলে।
পুরনোদের রেখে নতুনদের সুযোগ দিতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়ে তেদেস্কো বলেন, নতুন এই পরিকল্পনায় ডি ব্রুইনের থাকাটা অপরিহার্য।
আগামী ৬ সেপ্টেম্বর নেশন্স লিগের গ্রুপপর্বে ইসরায়েলের বিপক্ষে মাঠে নামবে ২০১৮ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালিস্টরা। ‘এ’ লিগের গ্রুপ-২ এ তাদের অন্য দুই প্রতিপক্ষ ফ্রান্স ও ইতালি। প্রথম ম্যাচের তিন দিন পর দ্বিতীয় ম্যাচে ফ্রান্সের মুখোমুখি হবে রবের্ত মার্তিনেসের শিষ্যরা।
আরও পড়ুন: রোনালদোকে নিয়ে নেশন্স লিগে পর্তুগালের স্কোয়াড ঘোষণা
স্কোয়াড ঘোষণার পর সংবাদ সম্মেলনে তেদেস্কো বলেন, ‘বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের খেলা শুরু হতে আরও প্রায় ছয় মাস রয়েছে। এর আগেই আমরা নতুন ফুটবলারদের খেলিয়ে দেখতে চাই। তারা যদি প্রত্যাশা পূরণ করতে পারে, তবে অবশ্যই তাদের (বড় মঞ্চে) সুযোগ দেওয়া হবে।’
এই পরিকল্পনার কারণে জাতীয় দলের নিয়মিত মুখ ইয়ানিক কারাসকো, লিয়ান্দ্রো ত্রোসা ও আক্সেল ভিতসেলের মতো অভিজ্ঞ ফুটবলারদের বাদ দিয়েই স্কোয়াড ঘোষণা করা হয়েছে।
তেদেস্কো বলেন, ‘আমি ওদের সঙ্গে কথা বলে আমার পরিকল্পনার বিষয়ে ব্যাখ্যা করেছি। তবে যদি প্রয়োজন হয়, তবে ভবিষ্যতে তাদের ডাকা হবে।’
কেভিন ডি ব্রুইনেকে দলে রাখার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘কেভিন ব্যতিক্রম। সে আমাদের অধিনায়ক। আমি মনে করি, তার সাহচার্যে তরুণ ফুটবলাররা বেড়ে ওঠার ভালো সুযোগ পাবে।’
স্কোয়াড থেকে আরও বাদ পড়েছেন সম্প্রতি চেলসি থেকে নাপোলিতে পাড়ি জমানো ফরোয়ার্ড রোমেলু লুকাকু। তবে দলদবলের পর লুকাকু নিজেই ছুটি চেয়েছিলেন কলে জানিয়েছেন কোচ।
আরও পড়ুন: চেলসি ছেড়ে নাপোলিতে লুকাকু
এছাড়া তেদেস্কোর কোচিংয়ে খেলবেন না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন রিয়াল মাদ্রিদ গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া। ফলে অভিজ্ঞ এই গোলরক্ষককেও পাচ্ছেন না বেলজিয়াম কোচ।
তবে স্কোয়াডে নতুন করে ডাক পেয়েছেন বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের ১৮ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড জুলিয়েন দুরানভিল।
বেলজিয়াম স্কোয়াড
গোলরক্ষক: কোয়েন কাস্তিলস (আল কাদসিয়া), থমাস কামিনস্কি (লুটন টাউন), মাটস সেলস (নটিংহ্যাম ফরেস্ট)।
ডিফেন্ডার: তিমোথি কাস্তানিয়া (ফুলহ্যাম), জেনো দেবাস্ত (স্পোর্তিং লিসবন), মাক্সিম দে কুইপার (ক্লাব ব্রুজ), কোনি দে ভিন্তার (জেনোয়া), ভাউট ফায়েস (লেস্টার সিটি), থমাস ময়নিয়ের (লিল), আর্থুর থিয়াতে (ফ্রাঙ্কফুর্ট)।
মিডফিল্ডার: কেভিন ডি ব্রুইনে (ম্যানচেস্টার সিটি), জুলিয়েন দুরানভিল (ডর্টমুন্ড), আর্নে এঞ্জেলস (আউগসবুর্গ), ওরেল মাঙ্গালা (অলিম্পিক লিওঁ) আমাদু ওনানা (অ্যাস্টন ভিলা), আলেক্সিস সায়লেমায়কার্স (এসি মিলান), ইউরি তিলেমানস (অ্যাস্ট ভিলা), আর্থুর ভেরমিরেন (লাইপসিগ)।
ফরোয়ার্ড: ইয়োহান বাকায়োকো (পিএসভি আইন্দহোভেন), চার্লস দে কেতেলায়রে (আতালান্তা), জেরেমি দোকু (ম্যানচেস্টার সিটি), দদি লুকেবাকিয়ো (সেভিয়া), লইস ওপেন্দা (লাইপসিগ)।
৪৮৫ দিন আগে