খেলাধুলা
প্যারিস জয় করে কি ফাইনালে যেতে পারবে ডর্টমুন্ড
রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে প্যারিসের মাঠে খেলতে নামছে ১৯৯৬-৯৭ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। জিগনাল ইদুনায় নিজেদের সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে ১ গোলে এগিয়ে থেকে রাতে পিএসজির বিপক্ষে মাঠে নামছে এদিন তেরজিকের শিষ্যরা। তবে পিএসজির দুর্দান্ত আক্রমণভাগ সামলে শেষ পর্যন্ত তারা ফাইনালে উঠতে পারবে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়ে যায়।
এ সংশয়ের কারণের বেশিরভাগটা ডর্টমুন্ড নিজেরাই। চলতি মৌসুমে লিগে তাদের পারফরম্যান্স একেবারেই যাচ্ছেতাই। আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফরম্যাট পরিবর্তন হওয়াতে পঞ্চম দল হিসেবে ইউরোপ সেরার এই আসরে জায়গা করে নিয়েছে তারা। তা না হলে ইউরোপা লিগে অবনমন হতো ডর্টমুন্ডের।
আরও পড়ুন: এবার লোপেতেগির দিকে নজর বায়ার্নের
অন্যদিকে, প্রথম লেগে ঘরের মাঠে ৩-২ গোলে হেরেও বার্সেলোনার মাঠে গিয়ে দক্ষতা, গতি ও কৌশলে ন্যু ক্যাম্প থেকে ৪-১ গোলের জয় নিয়ে সেমিফাইনালে ওঠে লুইস এনরিকের পিএসজি।
সেমিতেও প্রথম লেগে ১-০ গোলে হেরে পার্ক দে প্রান্সে ম্যাচ শুরু করবে তারা। এ দিন এমবাপ্পে-দেম্বেলেরা ডর্টমুন্ডের ‘ইয়েলো ওয়াল’ ভেঙে ফিরে আসার আরেকটি গাঁথা রচনা করতে পারেন কি না তা দেখার অপেক্ষায় ফুটবল বিশ্ব।
আজকের ম্যাচের কৌশল নিয়ে আলোচনা করতে গেলে লুইস এনরিকের দলের কথাই আগে বলতে হয়। বার্সেলোনাকে ২০১৪-১৫ মৌসুমে ট্রেবল জেতানো এ কোচের খেলোয়াড়ি দর্শন সম্পর্কে সবারই জানা। পজেশনাল ফুটবলের আদর্শ এ কোচের দলকে তাই জয়ের পাল্লায় কিছুটা ভারী করে রাখতে হয়।
সেক্ষেত্রে ভিতিনিয়া, জাইরে এমেরি, মার্কো আসেনসিও, ম্যানুয়েল উগার্তে ও ফ্যাবিয়ান রুইজদের কারণে মাঝমাঠ নিয়ে খানিকটা স্বস্তিতেই থাকবেন এনরিকে। মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারলে উসমান দেম্বেলে, কিলিয়ান এমবাপ্পে ও ব্র্যাডলি বারকোলারা যে কী ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারেন, তা আর নতুন করে বলে দিতে হয় না।
তাছাড়া লুকা এরনান্দেস ইনজুরিতে ছিটকে গেলেও জিয়ানলুইজি দোন্নারুমার সামনে আশরাফ হাকিমি, মারকিনিয়োস ও নুনো মেন্দেসের মতো রক্ষণভাগও পিএসজি সমর্থকদের দুশ্চিন্তা কমাতে ভূমিকা রাখবে।
আবার কাউন্টার অ্যাটাক হোক কিংবা লং শট, সব ধরনের আক্রমণের সামর্থ্যই রয়েছে প্যারিসের দলটির। তার ওপর আবার নিজেদের ঘরের মাঠে ‘আল্ট্রা’র সামনে যে প্রাণশক্তি নিয়ে খেলবে পিএসজি, এগুলোই ম্যাচের ভাগ্য তাদের পক্ষে গড়ার জন্য যথেষ্ট।
তবে শক্তি, কৌশল, পরিবেশ- সব পিএসজির পক্ষে থাকলে দলগত খেলায় ডর্টমুন্ডকে পিছিয়ে রাখার সুযোগ নেই। প্রথম লেগে তুলনামূলক ভালো পারফর্ম করেও ডর্টমুন্ডের টিম ওয়ার্কের কাছে বারবার হতাশ হয়েছেন এমবাপ্পেরা।
ওই ম্যাচে মাট হুমেলসের নেতৃত্বে ইয়ান মাটসেন, নিকলাস জুলেরা যে সামর্থ্যের প্রমাণ দেখিয়েছেন, তাতে আজও পিএসজির আক্রমণভাগ নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়লে ম্যাচ শেষে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। প্রথম লেগে ১৪টি শট নিয়েও গোলের দেখা পায়নি পিএসজি।
আরও পড়ুন: প্যালেসের মাঠে ধরাশায়ী ইউনাইটেড
আবার মাঝমাঠে এমরে চান, মার্সেল জাবিৎসারদের মতো অভিজ্ঞ অস্ত্র রয়েছে তেরজিকের হাতে। তাদের সঙ্গে বাড়তি পাওনা হিসেবে আছেন জেডন স্যানচো। গত ম্যাচের পুরোটা আলোই কেড়ে নিয়েছিলেন তিনি। সেদিন ম্যাচজুড়ে তিনি কী না করেছেন! গোলটাই কেবল পাননি। ওই ম্যাচে মোট ১৩টি সফল ড্রিবল করেন স্যানচো, ২০১৫ সালে নেইমারের (১৫) পর যা সর্বোচ্চ।
ধারণা করা হচ্ছে, আজকেও তাকে মাঝমাঠে খানিকটা স্বাধীনতা দেবেন কোচ। সেক্ষেত্রে মাঝমাঠে ৪ জন খেলাতে পারেন তেরজিক। আবার এনরিকের পজেশনাল ফুটবলের কারণে মূল লড়াইটা হবে মাঝমাঠেই। তাই বল দখলের লড়াইয়ে সমানে সমান টক্কর দিতে পারলে ওপরে থাকা ইউলিয়ান ব্রান্ডট ও স্যানচোর পায়ে বল বেশি যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে। আর তাতে কারিম আদেয়ামি ও নিকলাস ফুলক্রুগরা গোলকিপারের ঠিকমতো পরীক্ষা নিতে পারবেন।
চরম বৈরী পরিবেশে স্নায়ু ধরে রেখে নিজেদের কতটা মেলে ধরতে পারবেন মার্কো রয়েসরা, তার ওপরই নির্ভর করবে ম্যাচে তাদের ভাগ্য। অন্যদিকে, মাঠের সব সুবিধা নিতে যদি ব্যর্থও হন, তারপরও শুধু কদাচিৎ আসা সুযোগগুলো কাজে লাগিয়ে ফল পাল্টে দেওয়ার সামর্থ্য রাখেন এমবাপ্পে-দেম্বেলেরা।
সবকিছুর ওপরে ম্যাচের কলকাঠি নাড়বেন ডাগআউটে থাকা দুই কোচ। রসদে ভরপুর দলের সঙ্গে এনরিকের কৌশলকে ভিন্ন কৌশল দিয়েই মাত করতে হবে তেরজিকের। তা না হলে বিশ্লেষকদের ধারণা সত্যি করে দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে উঠে যাবে পিএসজি।
সম্ভাব্য একাদশ
পিএসজি: দোন্নারুমা, হাকিমি, মার্কিনিয়োস, বেরালদো, নুনো মেন্দেস, ভিতিনিয়া, উগার্তে, ফ্যাবিয়ান রুইজ, দেম্বেলে, এমবাপ্পে, বারকোলা। (৪-৩-৩)
ডর্টমুন্ড: কোবেল, মাটসেন, জুলে, হুমেলস, ভল্ফ, চান, জাবিৎসার, আদেয়ামি, ব্রান্ডট, স্যানচো, ফুলক্রুগ। (৪-২-৩-১)
প্রেডিকশন: পিএসজি ৩-১ ডর্টমুন্ড।
আরও পড়ুন: শেষ লগ্নেও মায়া ছড়িয়ে চলেছেন মেসি রোনালদো
৬০০ দিন আগে
বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়েও অসন্তুষ্ট নন ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক
দুটি চমক রেখে গত বুধবার (১ মে) আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। ঘোষিত স্কোয়াডে নেই স্টিভেন স্মিথ এবং ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের উদীয়মান বিধ্বংসী ব্যাটার জেক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে স্মিথের না থাকাটা মেনে নিলেও ফ্রেজার-ম্যাকগার্কের বাদ পড়াটা মানতে পারছেন না ক্রিকেট ভক্তদের অনেকে। এ নিয়ে গত কয়েকদিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়।
চলবে না কেন? আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার ক্যাপ এখনও মাথায় না উঠলেও ইতোমধ্যে ঘরোয়া এবং ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে দানবীয় আবির্ভাব হয়েছে ফ্রেজার-মাকগার্কের।
গত অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া টুর্নামেন্ট মার্শ কাপে ২৯ বলে সেঞ্চুরি হাঁকান ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক। একদিনের ম্যাচের স্বীকৃত ক্রিকেটে এটিই দ্রুততম সেঞ্চুরির বিশ্বরেকর্ড। এরপর বিগ ব্যাশে ১৫৮.৬৪ স্ট্রাইক রেটে তিনি করেন ২৫৭ রান। চলমান আইপিএলেও তাণ্ডব চালাচ্ছেন তিনি। দিল্লি ক্যাপিটালসের জার্সিতে মাঠে নেমে ২ ম্যাচে মাত্র ১৫ বলে ফিফটি পার করেছেন ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক, যার একটিতে করেন ২৭ বলে ৮৪ রান। আসরে এখনও পর্যন্ত ৬ ইনিংসে তিন ফিফটিতে ২৫৯ রানের সংগ্রাহক এই তরুণ। আইপিএলে তার স্ট্রাইক রেটের গড় ২৩৩.৩৩।
আরও পড়ুন: ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশ্বকাপ দলে শামার জোসেফ
এত তাড়াতাড়ি ক্রিকেটে এতসব পরিসংখ্যান তৈরির পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও তার ব্যাটিং ঝড় দেখতে মুখিয়ে ছিলেন ভক্তরা। অথচ দলেই তাকে না রাখায় মন ভেঙেছে অনেকের।
তবে এসবের মাঝেও নির্ভার রয়েছেন ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক। তার মতে, অস্ট্রেলিয়ার মতো দলে হুট করেই যে জায়গা আদায় করা কঠিন, সেটা ভালোভাবেই বোঝেন তিনি।
এ বিষয়ে ‘উইলো টক’ পডকাস্ট-এ তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় না যে, আমি এমন অবস্থান তৈরি করেছি যার জন্য আমাকে (অন্য কারো জায়গায়) দলে নেওয়া হবে।
‘দেখুন বিশ্বকাপ ক্রিকেট আইপিএল বা ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের চেয়ে একদম আলাদা।’
অস্ট্রেলিয়ার তারকায় ঠাসা ব্যাটিং লাইন আপের মধ্যে ফাঁকা জায়গা খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি নিজেও। তার কথায়, ‘এটাও বুঝতে হবে যে দলে জায়গা বের করা সজহ নয়। ওপেনার হিসেবে সেখানে আছেন ডেভিড ওয়ার্নার। তিন সংস্করণেই তিনি আমাদের সর্বকালের সেরা ওপেনার। আছেন ট্র্যাভিস হেডও; আইপিএলে তিনি জ্বলে উঠেছেন। শুধু আইপিএল কেন, গত দেড় বছর ধরে তিনি কী করে চলেছেন, তা সবাই দেখেছে।
‘এরপর ধরুন মিচেল মার্শ। তিনি আমাদের অধিনায়ক। আবার ব্যাটিংয়েও সমানভাবে আলো ছড়িয়ে চলেছেন।’
তিনি বলেন, ‘পাঁচ ছয় নম্বরেও নিজেকে রাখতে পারছি না আমি। কারণ, টিম ডেভিড, ক্যামেরন গ্রিনদের মতো খেলোয়াড়রা এই পজিশনে মোটামুটি থিতু হয়ে গেছেন।
‘আমি বিষয়টি এভাবে দেখছি। স্কোয়াড ঠিকই আছে। দলে জায়গা পেতে আমার হাতে সময়ও তো রয়েছে অনেক।’
আরও পড়ুন: আইপিএল থেকে মুস্তাফিজের শেখার কিছু নেই: বিসিবি’র জালাল ইউনুস
তবে যে কোনোভাবে বিশ্বকাপে দলের সঙ্গে থাকতে পারলে যে মন্দ হতো না, সেটিও অকপটে স্বীকার করলেন এই তরুণ।
তার ভাষ্য, ‘আমাকে যদি কোনোভাবে ট্রাভেলিং (রিজার্ভ) প্লেয়ার হিসেবেও দলের সঙ্গে রাখা হয়, তাহলে ব্যাপারটি আমার জন্য এক দারুণ সুযোগ হবে। অনেক কিছু শেখা হবে আমার।’
তবে বিশ্বকাপ স্কোয়াড নিয়ে একেবারেই হতাশ নন তিনি। বলেন, ‘বিষয়টি আমাকে একেবারেই ভাবাচ্ছে না। কারণ আমি সেটি এখনও অর্জন করেছি- তা আমার একেবারেই মনে হচ্ছে না।’
৬০১ দিন আগে
প্যালেসের মাঠে ধরাশায়ী ইউনাইটেড
ওল্ড ট্রাফোর্ডের সোনালী দিন ফেরাতে এরিক টেন হাগকে দায়িত্ব দিয়েছিল ক্লাবটির মালিকপক্ষ। শুরুতে কিছুদিন নতুন দিনের স্বপ্ন দেখালেও দ্বিতীয় মৌসুমে এসেও উন্নতির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না দলটির। বরং দিন দিন খেই হারিয়ে ফেলছেন টেন হাগ।
সোমবার রাতে লিগ টেবিলের ১৪তম অবস্থানে থাকা ক্রিস্টাল প্যালেসের কাছে ৪-০ গোলের ব্যবধানে হেরেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এ নিয়ে চলতি মৌসুমে প্যালেসের বিপক্ষে দুই লেগেই হারল তারা।
আরও পড়ুন: শেষ লগ্নেও মায়া ছড়িয়ে চলেছেন মেসি রোনালদো
২৫ হাজার দর্শকের সামনে ঘরের মাঠে যে উজ্জীবিত ফুটবল খেলেছে প্যালেস, তার সামনে কোনো প্রতিরোধই গড়তে পারেননি টেন হাগের শিষ্যরা। প্রথমার্ধে ২ গোল করে প্যালেস, দ্বিতীয়ার্ধেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করে তারা।
ম্যাচের ১২তম মিনিটে বক্সের মধ্যে ঢুকে বাঁ পায়ের কোনাকুনি শটে দলকে এগিয়ে নেন প্যালেসের ফরাসি মিডফিল্ডার মিকেল ওলিস। এরপর ৪০তম মিনিটে আরেক ফরাসি জ্যঁ-ফিলিপ মাতেতার গোলে ২-০তে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় প্যালেস।
দ্বিতীয়ার্ধেও একই চিত্র। ম্যাচ পুনরায় শুরু হওয়ার ১৩তম মিনিটে ডিফেন্ডার টাইরিক মিচেল ফের ব্যবধান বাড়ান। এর ৮ মিনিট পর অসাধারণ দক্ষতায় ইউনেইটেডের জয়ের সম্ভাবনার কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন ওলিস।
আরও পড়ুন: এবার লোপেতেগির দিকে নজর বায়ার্নের
এ নিয়ে সবশেষ ১০ ম্যাচের ৪টিতেই হারল ইউনাইটেড। এছাড়া চার ম্যাচে করেছে ড্র, জিতেছে মাত্র দুটিতে।
গতরাতের হারে আগামী মৌসুমে উয়েফা কনফারেন্স লিগে খেলার সম্ভাবনাও ফিকে হয়ে গেছে টেন হাগের দলের। ৩৫ ম্যাচে ১৬ জয় ও ৬ ড্রয়ে ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ৮ নম্বরে আছে ইউনাইটেড। তাদের সমান পয়েন্ট নিয়ে ১৪ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থেকে সপ্তম অবস্থানে চেলসি।
ইউনাইটেডের এমন বিব্রতকর হারের রাতে দারুণ এক কীর্তি গড়েছে প্যালেস। প্রিমিয়ার লিগে এবারই প্রথম তারা ইউনাইটেডকে দুই লেগেই হারাল।
৬০১ দিন আগে
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ এগিয়ে থাকলেও জাতীয় দলের ব্যাটিং নিয়ে অসন্তুষ্ট বিসিবি সভাপতি
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দুর্দান্ত জয়ের পরও জাতীয় দলের ব্যাটিং পারফরম্যান্স নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিসিবি সভাপতি ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান।
জয় নিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করলেও বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং পারফরম্যান্স নিয়ে উদ্বেগের কথা তুলে ধরেন তিনি।
মিরপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, 'জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আমরা দুটি ম্যাচ জিতেছি এটা সত্যি, কিন্তু ব্যাটিং আমার ভালো লাগেনি।’
তুলনামূলকভাবে দুর্বল প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধেও প্রতিযোগিতামূলক লক্ষ্য ছুঁড়ে দিতে বা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ব্যাটিং লাইনআপের সংগ্রাম করতে হয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বিসিবি সভাপতি বলেন, 'টি-টোয়েন্টি ও আইপিএল নিয়ে আমাদের অ্যাপ্রোচের মধ্যে তফাত রয়েছে। এমনকি ২৫০-২৬০ রানও জয়ের নিশ্চয়তা দেয় না, আবার ১৪০-১৪৫ রানের লক্ষ্যে পৌঁছাতেও কঠিন লড়াই করতে হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: অভিষেকে তানজিদের ফিফটি, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সহজ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ
বোলারদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেন নাজমুল হাসান। এ সময় মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের প্রত্যাবর্তন এবং মেহেদী হাসান ও তাসকিন আহমেদের অবদানের প্রশংসা করেন। এছাড়াও আইপিএলে মুস্তাফিজুর রহমানের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সেরও প্রশংসা করেন তিনি।
আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সমালোচকরা। এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে নাজমুল হাসান বলেন, সিরিজটি বিশ্বকাপ প্রস্তুতির জন্য বিশেষভাবে খেলা হচ্ছে না। ‘আইসিসি ফিউচার ট্যুরস প্রোগ্রাম’- এর অংশ ছিল এটি।
বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে যাওয়ার আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে জয় দিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করতে চায় বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালের আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ
৬০১ দিন আগে
২০২৪ সালের আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ
আগামী ৩ থেকে ২০ অক্টোবর বাংলাদেশে অনুষ্ঠিতব্য নবম আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচি প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।
বিশ্বব্যাপী ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য দারুণ রোমাঞ্চকর এক আসর নিয়ে আসছে ১০টি দেশের নারী দলের ২৩টি ম্যাচের এই টুর্নামেন্টটি।
১৮ দিনের এই প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটের উদ্বোধনী ম্যাচে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে ২০২৩ সালের রানার্সআপ দক্ষিণ আফ্রিকা।
স্বাগতিক বাংলাদেশ উদ্বোধনী দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ঘরের মাঠে কোয়ালিফায়ার-২ এর বিপক্ষে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে।
দ্বিতীয় দিন ৪ অক্টোবর সিলেটে কোয়ালিফায়ার ১-এর বিপক্ষে এই বিশ্বকাপে যাত্রা শুরু করবে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া।
৬ অক্টোবর সিলেটে অনুষ্ঠিত হবে বহুল কাঙ্ক্ষিত ভারত ও পাকিস্তান ম্যাচ।
ঢাকার শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এবারের আসর বসতে যাচ্ছে।
২০ অক্টোবর মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পর্দা নামবে এই আয়োজনের।
আইসিসির প্রধান নির্বাহী জিওফ অ্যালারডাইস বলেন, 'নবম আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণা করতে পেরে আমরা আনন্দিত।’
এ সময় বাংলাদেশে নারী ক্রিকেটকে বদলে দিতে এবং বিশ্বব্যাপী নতুন প্রজন্মের ভক্তদের অনুপ্রাণিত করতে টুর্নামেন্টের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন তিনি।
এই আয়োজন করতে পেরে গর্ব প্রকাশ করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেন, 'বাংলাদেশে আইসিসি বিশ্বকাপ ফিরিয়ে আনা সত্যিই রোমাঞ্চকর। নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দেশ ও দেশের বাইরে নারী ক্রিকেটকে এগিয়ে নেওয়ার একটি গৌরবময় সুযোগ এনে দিয়েছে।’
বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা এবং ভারত অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর উভয়ই আসন্ন টুর্নামেন্টের জন্য তাদের উত্তেজনা এবং দৃঢ়তা প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি ভক্তদের কাছে সমর্থন চেয়েছেন তারা।
হরমনপ্রীত বলেন, 'এ বছরের শেষদিকে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিতব্য আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে আমি রোমাঞ্চিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত কয়েক বছরে নারী ক্রিকেটের উন্নতি হয়েছে, বিশেষ করে নারী বিশ্বকাপগুলো অবিশ্বাস্য। আমি নিশ্চিত প্রতিযোগিতামূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ক্রিকেটের মতো বিশ্বকে আনন্দ দেওয়ার ক্ষেত্রে এই আসর আলাদা হবে না।’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মতো মর্যাদাপূর্ণ আসর আয়োজন করতে পারাটা বাংলাদেশের জন্য সম্মানের বলে জানান বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার।
তিনি বলেন, 'নবম আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণায় আমরা রোমাঞ্চিত। দেশের জন্য, এমন একটি মর্যাদাপূর্ণ আসর আয়োজন করা সম্মানের, যেখানে আমাদের উৎসাহী ভক্তরা আন্তর্জাতিক নারী ক্রিকেটের সেরা অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে।’
৬০২ দিন আগে
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের সাক্ষাৎ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেটারদের একটি প্রতিনিধি দল। আসন্ন আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (আইসিসি) অংশ নিতে যাচ্ছেন তারা।
রবিবার গণভবনে এ সাক্ষাৎকালে প্রতিনিধি দলে ছিলেন- যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জিওফ্রে জন অ্যালারডাইস, বাংলাদেশ নারী জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা এবং ভারতের জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর।
এ সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম সাখাওয়াত মুন।
এ সময় নারী ক্রিকেটারদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আগামী ৩ থেকে ২০ অক্টোবর বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
টুর্নামেন্টে স্বাগতিক বাংলাদেশ, বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও ভারতসহ মোট ১০টি দেশ অংশ নেবে।
দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশ এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করছে।
এর আগে ২০১৪ সালে প্রথমবারের মতো আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ।
৬০২ দিন আগে
শেষ লগ্নেও মায়া ছড়িয়ে চলেছেন মেসি রোনালদো
এক যুগ আগে শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু করেছিলেন ফুটবলের দুই বরপুত্র লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ক্যারিয়ারের গোধুলি লগ্নে তা থেকে অনেকটাই বের হয়ে গেছেন তারা; দুজনের পথ গেছে দুদিকে বেঁকে। তারপরও জাদুকরি ফুটবল দক্ষতায় যেসব কাজ তারা প্রতিনিয়ত করে চলেছেন, তাতে সেই পুরনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা ফের টেনে আনতে বাধ্য হন ভক্ত-সমর্থকরা।
শনিবার সৌদি প্রো লিগের ম্যাচে ঘরের মাঠে আল ওয়েহদাকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দেয় আল নাসর। এই ম্যাচে আরও একটি হ্যাটট্রিক নিজের ঝুলিতে পুরেছেন পর্তুগিজ সুপারস্টার।
এ নিয়ে ৭ ম্যাচে তৃতীয়বার হ্যাটট্রিক করলেন রোনালদো। আল নাসরের হয়ে সব মিলিয়ে তার হ্যাটট্রিক হলো ৬টি। গোটা ক্যারিয়ারে ৬৬টি।
অসামান্য পারফর্ম্যান্স দিয়ে যখন মরুর সন্ধ্যা আলোকিত করছেন রোনালদো, তখন অন্যপ্রান্তে যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামিতে মায়াবী ফুটবলের প্রদর্শনী চালাচ্ছেন ফুটবলের আর্জেন্টাইন মায়েস্ত্রো লিওনেল মেসি।
মায়াবীই বটে। টানা ছয় ম্যাচে অপরাজিত থাকা নিউ ইয়র্ক রেড বুলসকে গোলের বন্যায় ভাসিয়ে দিল ইন্টার মায়ামি। একটি মাত্র গোল করেছেন মেসি। কিন্তু তার চেয়েও বেশি কিছু তার পারফর্ম্যান্স।
রেড বুলসকে ৬-২ গোলে হারানোর ম্যাচে পাঁচটি গোলই তৈরি করে দিয়েছেন মেসি। নিজে করেছেন বাকি গোলটি। বন্ধু সুয়ারেজকে দিয়ে করিয়েছেন হ্যাটট্রিক।
এক গোলে পিছিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করা মায়ামিকে যখন আরও একটি হার চোখ রাঙাচ্ছিল, ঠিক তখনই জ্বলে ওঠেন এ ক্ষুদে জাদুকর। দ্বিতীয়ার্ধে একের পর এক জাদুর ছোঁয়ায় দর্শকদের মোহাচ্ছন্ন করে রাখেন তিনি। অসাধারণ সব ড্রিবলিং, ওয়ান টু ওয়ান আর বক্সে মাপা পাস বাড়িয়ে যখন সতীর্থদের দিয়ে একেকটি অনিবার্য গোল করাচ্ছিলেন, তখন মন্ত্রমুগ্ধের মতো হাততালি দিচ্ছিল প্রতিপক্ষের দর্শকরাও।
এক ম্যাচে পাঁচ অ্যাসিস্টের ঘটনা মেজর সকার লিগে এটিই প্রথম। আর সেটা যেন ফুটবলের কাছ থেকে সবকিছু পাওয়ার পর মেসির কৃতজ্ঞতা প্রকাশের একটি ভঙ্গি মাত্র।
এ নিয়ে চলতি মৌসুমে ১১ ম্যাচে ১২ গোলের পাশাপাশি ১১টি অ্যাসিস্ট, অর্থাৎ ১১ ম্যাচে ২৩ গোলে অবদান রাখলেন মেসি।
অন্যদিকে, চলতি মৌসুমে ৫২ ম্যাচ খেলে ৫২ গোল ও ১৪টি অ্যাসিস্ট, অর্থাৎ ৬৬টি গোলে সরাসরি অবদান রোনালদোর।
ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে এসেও প্রদীপ্ত প্রদীপের মতো উজ্জ্বল অথচ মায়াবী আলো ছড়িয়ে চলেছেন ফুটবল ভক্তদের মাঝে আসা ঈশ্বরের দুই আশীর্বাদ।
৬০২ দিন আগে
বিপিএল ফুটবল: ঢাকা আবাহনীকে হারিয়ে পঞ্চম শিরোপার কাছাকাছি বসুন্ধরা কিংস
বসুন্ধরা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ফুটবলে ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী লিমিটেডকে ২-১ গোলে হারিয়ে পঞ্চম শিরোপা জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস।
শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যায় বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় বসুন্ধরা কিংস তাদের নিজের মাঠে এই সাফল্য পায়।
প্রথমার্ধে ২-০ গোলের ব্যবধানে আধিপত্য বিস্তার করে তারা।
২০১৮-১৯ আসর থেকে ২০২২-২৩ আসর পর্যন্ত টানা চতুর্থবারের মতো বিপিএল শিরোপা জেতা কিংস (কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ২০১৯-১০ আসরে (বিপিএল পরিত্যক্ত) ১৪ ম্যাচে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম বিপিএল শিরোপা জয়ের জন্য প্রস্তুত। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডান এসসির চেয়ে ৯ পয়েন্ট এগিয়ে এবং তৃতীয় স্থান অর্জনকারী ঢাকা আবাহনী লিমিটেডের চেয়ে ১২ পয়েন্ট এগিয়ে।
আরও পড়ুন: ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিং: বাংলাদেশের অবস্থান ১৮৪তম
দিনের খেলা শেষে ঢাকা আবাহনী লিমিটেড ১৪ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে শিরোপা জয়ের দৌড় থেকে ছিটকে পড়েছে এবং ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন ঢাকা মোহামেডান এসসি ১৪ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে তাদের সামান্য আশা বাঁচিয়ে রেখেছে। এছাড়া সব দলেরই চারটি করে ম্যাচ বাকি রয়েছে।
দিনের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে স্থানীয় ফরোয়ার্ড রাকিব হোসেন ম্যাচের পঞ্চম মিনিটে কিংসের হয়ে প্রথম গোল করেন (১-০) এবং ৩৫ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার মিগুয়েল ফিগুয়েরা জয়সূচক ব্যবধান দ্বিগুণ করেন (২-০)।
৫০তম মিনিটে সেন্ট ভিনসেন্ট ফরোয়ার্ডে কর্নেলিয়াস স্টুয়ার্ট একমাত্র গোল করে ব্যবধান কমিয়ে আবাহনীকে এগিয়ে দেন (২-১)।
আরও পড়ুন: বিপিএল ফুটবল: শেখ রাসেল কেসিকে ১-০ গোলে হারাল ঢাকা আবাহনী
৬০৩ দিন আগে
এবার লোপেতেগির দিকে নজর বায়ার্নের
রালফ রাংনিকের কাছ থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়ে কোচ অনুসন্ধানের নতুন মিশনে নেমেছে বায়ার্ন মিউনিখ। ক্লাবটি পরবর্তী কোচ হিসেবে এবার ইউলেন লোপেতেগিকে টার্গেট করেছে বলে গোল ডটকমের খবরে বলা হয়েছে।
চলতি মৌসুম শুরুর আগমুহূর্তে উলভারহ্যাম্পটন থেকে বরখাস্ত হন লোপেতেগি। তারপর থেকে বেকার বসে আছেন এই স্প্যানিশ কোচ। তবে ডেভিড ময়েসের স্থলাভিষিক্ত করতে সম্প্রতি লোপেতেগির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে ওয়েস্ট হ্যাম। এর মধ্যেই বায়ার্ন মিউনিখের আগ্রহের কথা জানা গেল।
স্কাই স্পোর্টসের বায়ার্ন মিউনিখ ও দলবদল প্রতিবেদক ফ্লোরিয়ান প্লেটেনবেয়ার্গ এক্স পোস্টে জানিয়েছেন, ৫৭ বছর বয়সী সাবেক এ রিয়াল মাদ্রিদ কোচ বায়ার্নের পছন্দের তালিকার শীর্ষে না থাকলেও তার ব্যাপারে খোঁজ নিয়েছে ক্লাবটি। অন্যদিকে, ফুটবলে ফিরতে মুখিয়ে রয়েছেন লোপেতেগি।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে টমাস টুখেলের সঙ্গে চলতি মৌসুম শেষে চুক্তি শেষ করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর থেকেই নতুন কোচের খোঁজে রয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ।
শুরুতে চলতি মৌসুমে বায়ের লেভারকুজেনকে নিয়ে চমক দেখানো কোচ শাবি আলোনসোর সঙ্গে বায়ার্ন চুক্তিবদ্ধ হতে চাইলেও শেষ পর্যন্ত লেভারকুজেনেই আরও অন্তত এক বছর কাজ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শাবি। এরপর নিজেদেরই সাবেক কোচ নাগেলসমানকে ফের ফেরানোর চিন্তা করে বায়ার্ন কর্তৃপক্ষ। তবে ইউরোর আগে জার্মানির জাতীয় দল ছেড়ে আসতে চাননি তিনিও। এরপর রাংনিকের দিকে নজর যায় ক্লাব কর্তাদের। শেষমেষ তিনিও খালি হাতে ফেরালেন ক্লাবটিকে।
চলতি মৌসুমটি সাম্প্রতিককালের সবচেয়ে বাজেভাবে কাটছে বায়ার্নের। বুন্দেসলিগায় তাদের টানা ১১ বছরের আধিপত্য শেষ করে বেশ কয়েক ম্যাচ হাতে রেখেই প্রথমবারের মতো লিগ শিরোপা নিজেদের ঘরে তুলেছে লেভারকুজেন। জার্মান কাপেও তাদের পারফরম্যান্স ছিল হতশ্রী, টুর্নামেন্টে তাদের থামতে হয় দ্বিতীয় রাউন্ডেই। মৌসুমে এখন তাদের সম্ভাবনা টিকে আছে শুধু চ্যাম্পিয়ন্স লিগে। সেখানেও সেমিফাইনালের প্রথম লেগে নিজেদের মাঠে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ২-২ গোলের ড্র করেছে তারা। আগামী বুধবার সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে ফিরতি লেগে মাঠে নামবে বায়ার্ন।
৬০৩ দিন আগে
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশ্বকাপ দলে শামার জোসেফ
আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য স্কোয়াড ঘোষণা করেছে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৫ জনের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে এবার চমক হিসেবে রয়েছেন টেস্ট ক্রিকেটে আলো ছড়ানো পেসার শামার জোসেফ। বিশ্বকাপের মাধ্যমেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষেক হতে চলেছে এই উদীয়মান ক্রিকেটারের।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথভাবে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করছে ক্যারিবিয়ানরা। এ উপলক্ষে শুক্রবার নিজেদের দল ঘোষণা করে উইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড।
আরও পড়ুন: অভিষেকে তানজিদের ফিফটি, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সহজ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ
ফ্লাইট মিস করে গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল থেকে বাদ পড়া শিমরন হেটমায়ারকে আরেকবার সুযোগ দিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সবশেষ গত ডিসেম্বরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জাতীয় দলের হয়ে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেন হেটমেয়ার। এরপর একেবারে বিশ্বকাপের মাধ্যমে দলে ফিরছেন বিধ্বংসী এই ব্যাটার।
বর্তমানে আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলছেন হেটমেয়ার। এবারের আইপিএলে ব্যাটিংবান্ধব পিচ নিয়ে সমালোচনা হলেও সেখানে রানখরায় ভুগছেন তিনি। অর্থাৎ, ব্যাট হাতে ফর্মে নেই এই ক্যারিবিয়ান। আইপিএলে সাত ইনিংসে তার সংগ্রহ মাত্র ৮৩ রান।
অন্যদিকে, এ বছরের জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লাল বলের ক্রিকেটে অভিষিক্ত হন শামার। অভিষেক ম্যাচেই পাঁচ উইকেট নিয়ে প্রতিভার সাক্ষর রাখেন তিনি। পরের ম্যাচে চোট নিয়ে খেলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৮ রান খরচায় ৭ উইকেট শিকার করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে অভাবনীয় জয় এনে দেন তরুণ এ পেসার।
আরও পড়ুন: আইপিএল থেকে মুস্তাফিজের শেখার কিছু নেই: বিসিবি’র জালাল ইউনুস
এর পর থেকে সাদা বলের ক্রিকেটে তাকে খেলানোর জন্য মুখিয়ে আছেন দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারা। চোটের কারণে অনেকদিন মাঠের বাইরে থাকলেও তাই আসন্ন বিশ্বকাপ আসরের দলে তাকে রেখেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বর্তমানে আইপিএলে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের হয়ে খেলছেন তিনি।
রভম্যান পাওয়েলকে অধিনায়ক ও আলজারি জোসেফকে সহ-অধিনায়ক করে এবারের বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণা করেছে ক্যারিবিয়ানরা। তরুণদের পাশাপাশি দলে আছেন নিকোলাস পুরান, আন্দ্রে রাসেল ও জেসন হোল্ডারদের মতো অভিজ্ঞরা।
অবসরে যাওয়া সুনিল নারাইনকেও দলে ফেরানোর চেষ্টা করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে শেষ পর্যন্ত তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে ব্যর্থ হয়েছে বোর্ড।
আসন্ন বিশ্বকাপের ‘সি’ গ্রুপে রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাদের গ্রুপসঙ্গী পাপুয়া নিউগিনি, উগান্ডা, নিউ জিল্যান্ড ও আফগানিস্তান। পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আগামী ২ জুন ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে বিশ্বসেরার লড়াইয়ে মাঠে নামবে তারা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপ দল: রভম্যান পাওয়েল (অধিনায়ক), আলজারি জোসেফ (সহ-অধিনায়ক), জনসন চার্লস, রোস্টন চেইস, শিমরন হেটমায়ার, শামার জোসেফ, ব্রেন্ডন কিং, নিকোলাস পুরান, শাই হোপ, আন্দ্রে রাসেল, রোমারিও শেফার্ড, জেসন হোল্ডার, আকিল হোসেন, গুডাকেশ মোটি, শেরফেইন রাদারফোর্ড।
৬০৪ দিন আগে