বিশ্ব
কাশ্মীরে অভিযান চালিয়ে ৬৬৮ বই জব্দ করল পুলিশ
ভারতশাসিত কাশ্মীরে কয়েক ডজন বুকস্টোরে অভিযান চালিয়ে সাড়ে ৬০০ বই জব্দ করেছে পুলিশ। এসব বইয়ের বেশির ভাগই জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা আবুল আলা মওদুদীর লেখা।
গেল শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) কাশ্মীরের প্রধান শহর শ্রীনগরে অভিযান শুরু করেছে ভারতীয় পুলিশ। সম্প্রতি অঞ্চলটিতে ব্যাপক ধরপাকড় চলছে। ২০১৯ সালে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করেছে ভারতীয় সরকার। ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান এমন খবর দিয়েছে।
এক বিবৃতিতে শ্রীনগর পুলিশ জানিয়েছে, ‘একটি নিষিদ্ধ সংগঠনের মতাদর্শ প্রচারে গোপনে এসব সাহিত্য বিক্রি ও বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানতে পারি। পরে অভিযান চালিয়ে ৬৬৮টি বই জব্দ করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: জব্দ অ্যাকাউন্ট থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকা উদ্ধারের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএফআইইউ
বইগুলোর বেশিরভাগেরই প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লিভিত্তিক মারকাজি মাকতাবা ইসলামী পাবলিশার্স। জামায়াতে ইসলামীর ভারতীয় শাখার সঙ্গে এই প্রকাশনীর সম্পর্ক রয়েছে।
পুলিশ বলছে, ‘এসব বইয়ে আইনগত বিধিবিধান লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। যাদের কাছে এগুলো পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে জামায়াতে ইসলামীকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। ওই একই বছরে কাশ্মীরের আংশিক স্বায়ত্তশাসনও বাতিল করে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার। এরপর থেকে অঞ্চলটিতে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে।
এই বই জব্দকে মানবাধিকার লঙ্ঘন আখ্যায়িত করে জামায়াতে ইসলামীর নেতারা বলেন, ‘এটা অন্যায় ও অসাংবিধানিক। ভারতে বৈধভাবেই এগুলো প্রকাশ করা হয়েছে।’
‘যদি সরকারের কোনো নিরাপত্তাসংক্রান্ত উদ্বেগ থাকে, তবে যেকোনো তদন্তে সহযোগিতা করতে আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত,’ বলেন তারা। এই বই জব্দকে স্বেচ্ছাচারী ও অন্যায় পদক্ষেপ বলে আখ্যায়িত করেছে জামায়াতে ইসলামী।
সংগঠনটি জানিয়েছে, ‘পুলিশ যদি কোনো বৈধ তদন্তও করে, এই বই জব্দের ঘটনা, সেটার মধ্যেও পাড়ে না; বরং আমাদের কোণঠাসা করতেই তারা এমন পদক্ষেপ নিয়েছে।’
এই বই জব্দের নিন্দা জানিয়েছেন কাশ্মীরের প্রধান ধর্মীয় নেতা ওমর ফারুক। তিনি বলেন, ‘এটা খুবই হাস্যকর। কারণ বর্তমান সময়ে এসে যখন ভার্চ্যুয়াল জগতে সব তথ্য পাওয়া যায়, সেখানে তারা অভিযান চালিয়ে বই জব্দ করছেন। এটা অদ্ভুত ঘটনা।’
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত থেকে জব্দ ৩৫ কোটি টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই কাশ্মীর সংঘাত চলছে। পুরো অঞ্চলটিকে নিজেদের বলে দাবি করছে ভারত-পাকিস্তান। এদিকে স্বাধীনতাকামীরাও ভারতীয় শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রেখেছেন।
৩১২ দিন আগে
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্প-জেলেনস্কি দ্বন্দ্বে
ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানে দ্রুতই আলোচনার টেবিলে বসতে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে হুঁশিয়ারি করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জেলেনস্কিকে ‘অনির্বাচিত স্বৈরশাসক’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘শান্তি নিশ্চিত করতে হয় তাকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে অথবা তার দেশকে হারানোর ঝুঁকি নিতে হবে।’
দুই নেতার এই দ্বন্দ্ব ইউরোপীয়দের মধ্যে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। মার্কিন বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) খবর বলছে, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু করার জন্য ইউক্রেনকেই দায়ী করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যাতে হাজার হাজার ইউক্রেনীয়কে জীবন দিতে হয়েছে।
ট্রাম্প বলেন, ‘ভোটারদের মধ্যে তার (জেলেনস্কির) জনপ্রিয়তা তলানিতে চলে গেছে।’ আর বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জেলেনস্কি বলেন, ‘রাশিয়ার ছড়ানোর ভুল তথ্যের জগতেই বাস করছেন ট্রাম্প।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের হাত ধরেই কী ইউক্রেন জয়ের পথে রাশিয়া?
যদিও যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার নিজস্ব বয়ানের বাইরেও এসব এসব তথ্য ছড়িয়েছে বলে দাবি করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। জেলেনস্কিকে উদ্দেশ্য করে ট্রাম্প বলেন, ‘আপনি তিন বছর ধরে এই যুদ্ধের মধ্যে আছেন, আপনার এটা বন্ধ করা উচিত...আপনার এটা শুরু করা উচিত হয়নি, আপনার উচিত ছিল একটি চুক্তিতে পৌঁছানো।’
পশ্চিম ইউক্রেনে রুশভাষীদের রক্ষায় ও ইউক্রেন যাতে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দিতে না পারে, সে জন্য ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ সামরিক অভিযানের মধ্য দিয়ে এই যুদ্ধ শুরু হয়েছে।
জেলেনস্কিকে নিয়ে ট্রাম্পের বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন মার্কিন ডেমোক্র্যাটদলীয় আইনপ্রণেতারা। কয়েকজন রিপাবলিকানকেও তাতে যোগ দিতে দেখা গেছে। কংগ্রেসে দ্বিদলীয় সমর্থনেই এই যুদ্ধে ইউক্রেনকে সমর্থন দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।
ট্রাম্প ‘রাশিয়ার বিভ্রান্তিকর তথ্যের ফাঁদে’ পড়েছেন বলে অভিযোগ করেন জেলেনস্কি। তিনি বলেন, ‘এসব অপতথ্য দেখেছি, আমরা জানি এগুলো রাশিয়া থেকে এসেছে।’ এ সময়ে প্রকাশ্যে ট্রাম্পকে এভাবে সমালোচনার বিপদ সম্পর্কেও সতর্ক করে দিয়েছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স।
ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ডেইলি মেইলকে তিনি বলেন, ‘জেলেনস্কি ট্রাম্পের যে সমালোচনা করছেন, তা এই ঘটনায় সহায়ক হবে না। সংবাদমাধ্যমে বাজে ভাষা ব্যবহার করে মার্কিন প্রেসিডেন্টের মন গলানোর চেষ্টা করছেন জেলেনস্কি। সবাই জানেন যে প্রেসিডেন্ট বলেছেন, এই প্রশাসনকে মোকাবিলার জন্য এটা একটি জঘন্য উপায়।’
এদিকে যেসব শর্তে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের চেষ্টা করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, সেগুলো রাশিয়ার জন্য অনেক বেশি অনুকূলে বলে দাবি করেছে কিয়েভ। কিন্তু সামাজিকমাধ্যম ট্রুথে ট্রাম্প বলেন, ‘একটু ভেবে দেখুন তো, একজন মাঝারি সফল কৌতুকাভিনেতা, ভলোদিমির জেলেনস্কি, এমন একটি যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে জড়াতে বলছেন, সাড়ে ৩০০ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করতে বলছেন, যেটাতে জয়ী হওয়া যাবে না, কখনোই এই যুদ্ধ শুরু করা উচিত হয়নি, যুক্তরাষ্ট্র ও ট্রাম্পকে ছাড়া এই যুদ্ধের অবসানও করতে পারবে না।’
এছাড়া এই যুদ্ধঘিরে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে যে সহায়তা দিয়েছে, জেলেনস্কি সেগুলোর অপব্যবহার করেছেন বলেও অভিযোগ করেন ট্রাম্প। এরইমধ্যে যুদ্ধ বন্ধে মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে বৈঠক করেছেন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার শীর্ষ কর্মকর্তারা। এতে ইউক্রেন ও ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের ডাকা হয়নি।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের আলোচনায় নেই ইউক্রেন
ট্রাম্প বলেন, ‘জেলেনস্কের উচিত ছিল আগেই একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে কাজ করা। দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়াই তার জন্য ভালো, নতুবা তিনি তার দেশকে হারাতে যাচ্ছেন। রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধে আমরা সফলভাবে আলোচনা করছি। সবাই এটা স্বীকার করবেন যে ট্রাম্প ও ট্রাম্প প্রশাসনই এটা পারে। ইউরোপ শান্তি আনতে ব্যর্থ হয়েছে, জেলেনস্কি সম্ভবত এই অপচেষ্টা অব্যাহত রাখতে চাচ্ছেন।’
৩১২ দিন আগে
হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি: চলতি সপ্তাহে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা
চলতি সপ্তাহে গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায় নিয়ে ‘পরোক্ষ’ আলোচনা শুরু করবে ইসরায়েল ও হামাস। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইসরায়েল প্রশাসন।—খবর আল জাজিরার
এদিকে হামাসের নেতা খলিল আল-হায়া বলেছেন, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ইসরায়েলের বিবাস পরিবারের সদস্যসহ চার জিম্মির মরদেহ ফেরত দেওয়া হবে। এরপর শনিবার জীবিত ছয় জিম্মিকে হস্তান্তর করা হবে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। তারা জানায়, বৃহস্পতিবার চার জিম্মির মরদেহ, শনিবার ছয় জীবিত জিম্মি ও এরপর আরও চারজনের মুক্তি নিশ্চিত করতে মিসরের কায়রোতে একটি চুক্তি হয়েছে।
তবে জিম্মিদের পরিচয় প্রকাশে অস্বীকৃতি জানিয়েছে নেতানিয়াহুর কার্যালয়। মৃত জিম্মিদের নাম প্রকাশের আগে তাদের শনাক্তকরণের বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: পশ্চিমতীরে এক হাজার অবৈধ বসতি নির্মাণ করবে ইসরায়েল
যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা গত ৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও আনুষ্ঠানিকভাবে তা শুরু হয়নি বলে জানায় কাতার। ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিয়ন সার জেরুজালেমে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘এটি (দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা) এ সপ্তাহেই হবে।’
তিন ধাপের যুদ্ধবিরতির পরবর্তী ধাপের আলোচনায় অংশগ্রহণের বিষয়ে ইসরায়েল গত কয়েক সপ্তাহে মিশ্র সংকেত দিয়েছে।
উল্লেখ্য, গাজায় ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ কার্যকর হয়। চুক্তি অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ ৪২ দিন স্থায়ী হওয়ার কথা রয়েছে। এ ধাপে ৩৩ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে ফিরিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে আটক কয়েক শ ফিলিস্তিনি ও বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে।
চুক্তি লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগে বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হলেও মিসর ও কাতারের মধ্যস্ততায় এখনো চুক্তিটি কার্যকর রয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজায় ‘জাহান্নামের সব দরজা’ খুলে দেওয়ার হুমকি ইসরায়েলের
দ্বিতীয় ধাপে ৬৪ ইসরায়েলি জিম্মি মুক্তির কথা রয়েছে, বিনিময়ে মুক্তি পাবেন কয়েক শ ফিলিস্তিনি। তবে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা কঠিন হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এ ধাপে চুক্তির শর্তে যুদ্ধ পরবর্তী গাজার প্রশাসনের রূপ কেমন হবে, সে বিষয়টি রয়েছে।
এ বিষয়ে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে বড় মতপার্থক্য রয়েছে। গাজায় হামাসের অস্তিত্ব মেনে নেবে না বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের কর্মকর্তারা।
৩১৩ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্রের হাত ধরেই কী ইউক্রেন জয়ের পথে রাশিয়া?
হয়ত এই মুহূর্তটির জন্যই অপেক্ষা করছিল রাশিয়া! ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরপরই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, ‘যুদ্ধ বন্ধে আলোচনায় বসতে রাজি তিনি।’ যার সূত্র ধরে দুই প্রেসিডেন্টের দীর্ঘ ফোনালাপ এবং অবশেষে সৌদি আরবের রিয়াদে উচ্চ পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক।
২০২২ সালে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর প্রায় হাজারখানেক নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও টলানো যায়নি যে পুতিনকে, সেই তিনি কেন হঠাৎ সমাধান চাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের থেকে?
এই প্রশ্নের সহজ উত্তর মিলবে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনার চিত্র থেকে।
ইউক্রেন আক্রমণের পর এই প্রথম রাশিয়ার উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কর্মকর্তারা। যে ইউক্রেনকে ঘিরে এতকিছু তাকেই রাখা হয়েছে আলোচনার টেবিলের বাইরে। আর যেখানে ইউরোপের নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে আলোচনা সেই ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত কোনো দেশকে আমন্ত্রণ জানায়নি ট্রাম্প প্রশাসন।
আরও পড়ুন: রুশ-মার্কিন বৈঠক: যুদ্ধ বন্ধ ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়নে গুরুত্ব
যুদ্ধ চলছে ইউরোপে, বোমার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত কিয়েভ- কিন্তু আলোচনার টেবিলে মুখ্য বিষয় ছিল রাশিয়াকে সর্বোচ্চ লাভ নিশ্চিত করে যুদ্ধ বন্ধ করা এবং চলমান সব নিষেধাজ্ঞা তুলে দিয়ে রুশ-আমেরিকান বাণিজ্যকে আবারও বিস্তৃত করা।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসসহ (এপি) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেরগেই লাভরভের নেতৃত্বে অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে দুই দেশের মধ্যে। ট্রাম্প-পুতিনের দীর্ঘ ফোনালাপের পর যত দ্রুত সম্ভব এবার দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মুখোমুখি বৈঠকের ব্যবস্থার ওপরে জোর দেওয়া হয়েছে দুই পক্ষ থেকেই।
চার ঘণ্টার আলোচনা শেষে মার্কো রুবিও জানিয়েছেন, শুধু রাজনৈতিক না, রাশিয়ার সঙ্গে সমাধান করা হবে সব ধরনের অর্থনৈতিক টানাপোড়েন। অন্যদিকে সেরগেই লাভরভ বেশ খোশ মেজাজে বলেছেন, এতদিন পর রাশিয়ার দিকটাও বুঝতে পারছে যুক্তরাষ্ট্র।
দুপক্ষের বার্তা থেকে কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার বিজয়ের প্রথম স্বীকৃতি হয়ত যুক্তরাষ্ট্রের হাত ধরেই আসতে চলেছে।’
বাইডেন আমলে রাশিয়ার ওপর যুদ্ধাপরাধের দায় চাপানো, পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি; সব ছাপিয়ে ট্রাম্প চাচ্ছে রাশিয়ার সঙ্গে নিরঙ্কুশ সুসম্পর্ক। এতদিন মার্কিনিরা ইউক্রেনকে দেদারসে অস্ত্র দিয়ে আসলেও এবার অন্য নীতি নিবে যুক্তরাষ্ট্র।
নিষেধাজ্ঞার কারণে বড় বড় আমেরিকান কোম্পানি রাশিয়া ছাড়ায় ৩০০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের করপোরেট খাতে। এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে মরিয়া ট্রাম্প প্রশাসন।
আরও পড়ুন: যুদ্ধ বন্ধে ‘কার্যকর আলোচনায়’ থাকবে ইউক্রেন ও ইউরোপীয়রা
এদিকে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উদ্ভ্রান্ত দশা। রিয়াদের আলোচনায় রুশদের সঙ্গে এক টেবিলে বসতে না পারায় ক্ষোভ ঝেড়েছেন তিনি। তিনি জানান, নিজেরা নিজেরা আলোচনা করে ইউক্রেনের ওপর কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া যাবে না।
যুদ্ধ বন্ধে তিন ধাপে কাজ করবে রাশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যার প্রথমটিই হচ্ছে মস্কো এবং ওয়াশিংটনের সম্পর্ক উন্নয়ন। মার্কো রুবিও জানান, মস্কোর ওপর সব ধরনের অযাচিত চাপ প্রত্যাহার করা হবে। বিনিময়ে ওয়াশিংটনের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেবে পুতিন সরকার।
রুবিও বলেন, যুদ্ধ বন্ধে ইউক্রেন-ইউরোপের সঙ্গে আলোচনা হবে। তবে রাশিয়া এগিয়ে না এলে কোনোদিনও এ যুদ্ধ বন্ধ সম্ভব না। তাই রাশিয়ার দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়াকেই যথোপযুক্ত মনে করছে ট্রাম্প সরকার।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে, রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নে যা কিছু করা দরকার; সবকিছুই করা হবে বলে জানান এ পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ব্যবসায়িক সুসম্পর্কের ব্যাপারে বৈঠক শেষে রুশ সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কিরিল দিমিত্রিভ বলেন, ‘কোনো কাটখোট্টা আলোচনা হয়নি। দুপক্ষই বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন সময় ভেঙে যাওয়া সম্পর্ক এবং বিশ্বাসের পুনঃনির্মাণের।'
মার্কিন সংবাদ মাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে জেলেনস্কির পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে বেশ মজার ছলে। প্রতিবেদনে বলা হয়, জেলেনস্কি ভালো করেই বুঝতে পেরেছেন- এত এত সংগ্রামের পর শেষমেশ আমেরিকার বলির পাঁঠা হতে যাচ্ছেন তিনি। বিশেষত এতদিনের বড় ভরসা যুক্তরাষ্ট্রই এবার পিঠ দেখাচ্ছে ইউক্রেনকে।
এর বাইরে ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড কেনার খায়েসে ইউরোপের বাগড়া দেওয়া এবং ন্যাটো নিয়ে ঝামেলার ঝাল পুরোটাই তুলল যুক্তরাষ্ট্র। সৌদিকে কেন্দ্রে রেখে ইউরোপকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ায় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো এক রকমের হতবাকই হয়েছে।
৩১৩ দিন আগে
রুশ-মার্কিন বৈঠক: যুদ্ধ বন্ধ ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়নে গুরুত্ব
ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ও রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে সৌদি আরবে প্রথমবারের মতো বৈঠকে বসেছেন দুই দেশের শীর্ষ কর্মকর্তারা। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তনের দিকে ইঙ্গিত দিচ্ছে এই বৈঠক। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সৌদির দিরিয়াহ প্রাসাদে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
দ্বিপাক্ষিক এই বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধ বাদে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যে স্নায়ুযুদ্ধ চলছে দেশদুটিতে; সেখানে আসতে পারে পরিবর্তন। তাছাড়া এই আলোচনা ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে সাক্ষাতের পথও সুগম করবে বলেও মনে করা হচ্ছে।
রিয়াদে শীর্ষস্থানীয় মার্কিন ও রুশ কর্মকর্তাদের নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকটির আয়োজন করেছে মধ্যপ্রাচ্যের তেল সমৃদ্ধ দেশ সৌদি আরব। তবে মঙ্গলবার শুরু হওয়া এই বৈঠকে ইউক্রেন বা ইউরোপের কোনো দেশের প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, যা চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে ইউরোপীয় নেতাদের কপালে।
বৈঠকের পর ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ‘এই আলোচনাকে তারা রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের সূচনা হিসেবে দেখছেন।’ আলোচনার অগ্রগতি হলে ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে দুই দেশের প্রেসিডেন্টের মধ্যে বৈঠক আয়োজিত হবে বলে জানান তিনি।
ওয়াশিংটনের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেছেন, মঙ্গলবারে বৈঠক সমঝোতা আলোচনা শুরু করার জন্য নয়; বরং ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে রাশিয়া ‘আন্তরিক’ কি না, সেটা বোঝার জন্য আয়োজন করা হয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানিয়েছেন, ওয়াশিংটন ও মস্কোতে দূতাবাসকর্মীদের ফিরিয়ে সেগুলো সচল করার বিষয়ে একমত হয়েছে দেশ দুটি। পারস্পরিক সম্পর্কোন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো দুই পক্ষ খতিয়ে দেখবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের আলোচনায় নেই ইউক্রেন
অন্যদিকে, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেছেন, যত দ্রুত সম্ভব দেশ দুটিতে অবস্থিত নিজেদের দূতাবাসে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দেবেন তারা। দূতাবাসগুলোতে ব্যাংক লেনদেন বাধা অপসারণসহ কূটনৈতিক মিশনের প্রতিবন্ধকতা দূর করা হবে।
এর আগে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন শেষে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সৌদি বৈঠকে কিয়েভকে আমন্ত্রণ না জানানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধের এই আলোচনায় খোদ ইউক্রেনকে আমন্ত্রণ না জানানোতে উদ্বেগ প্রকাশ করে কিয়েভ। তিনি বলেন, ইউক্রেনকে ছাড়া আয়োজিত বৈঠকের কোনো সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া হবে না।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ওভাল অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সরাসরি বৈঠক করতে একমত হওয়ার কথা জানায় ট্রাম্প। তাদের মধ্যে ফোনালাপের বিষয়টিও নিশ্চিত করা হয়।
ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপে ইউরোপীয় দেশগুলো আশঙ্কা করেছে, তাদের বাদ দিয়েই হয়তো এমন একটি শান্তি চুক্তি হতে যাচ্ছে, যা তাদের নিজেদের নিরাপত্তার ওপরও প্রভাব ফেলবে। বিশেষত সেটি যদি রাশিয়ার অনুকূলে হয়।
আরও পড়ুন: যুদ্ধ বন্ধে ‘কার্যকর আলোচনায়’ থাকবে ইউক্রেন ও ইউরোপীয়রা
তবে তাদের এই আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি জানান, সৌদিতে যুদ্ধ বন্ধের আলোচনার কেবল সূত্রপাত হতে যাচ্ছে। অগ্রগতি হলে অবশ্যই ইউক্রেন ও ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোকে আলোচনায় আমন্ত্রণ জানানো হবে।
রুবিও সঙ্গে সুর মিলিয়ে একই কথা বলেছেন মুখপাত্র ব্রুস। তিনি নিশ্চিত করেছেন, ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে আলোচনার শুরু হয়েছে কেবল। ক্রমান্বয়ে ইউক্রেন ও ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করবে ওয়াশিংটন।
৩১৩ দিন আগে
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের আলোচনায় নেই ইউক্রেন
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে বৈঠক শুরু করেছেন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার কর্মকর্তারা। যদিও এই বৈঠকে অংশীদার হিসেবে রাখা হয়নি ইউক্রেনকে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সৌদির দিরিয়াহ প্রাসাদে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এতে মার্কিন প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও, আর রাশিয়ার সের্গেই লাভরভ।
বৈঠকে রুবিওর সঙ্গে যুক্ত আছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ ও হোয়াইট হাউসের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ। রাশিয়ার পক্ষে সের্গেই লাভরভ ছাড়াও ক্রেমলিনের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ আছেন।
ধারণা করা হচ্ছে, রাশিয়াকে কোণঠাসা করে রাখতে দীর্ঘদিন ধরে যে নীতি অবলম্বন করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র, এই বৈঠকের মধ্য দিয়ে সেখান থেকে সরে এসে এসেছে দেশটি। এই আলোচনা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে সাক্ষাতের পথও সুগম করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন শেষে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সৌদি বৈঠকে কিয়েভকে আমন্ত্রণ না জানানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ইউক্রেনকে ছাড়া আয়োজিত বৈঠকের কোনো সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া হবে না।
তবে সৌদির এই বৈঠককে ‘সম্পূর্ণ দ্বিপাক্ষিক’ হিসেবে দেখেছেন উপদেষ্টা উশাকভ। এ কারণেই ইউক্রেনকে যুক্ত করা হয়নি বলে জানান তিনি। সৌদির মালিকানাধীন স্যাটেলাইট চ্যানেল আল আরবিয়াও এই বৈঠককে মস্কো ও ওয়াশিংটনের মধ্যে একটি স্বাভাবিক আলোচনা হিসেবেই নিশ্চিত করেছে।
রাশিয়া ২০২২ সালে ইউক্রেনে অভিযান শুরু করলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছায়। প্রায় তিন বছর পর এই বৈঠকের মধ্য দিয়ে দেশ দুটির সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: যুদ্ধ বন্ধে ‘কার্যকর আলোচনায়’ থাকবে ইউক্রেন ও ইউরোপীয়রা
ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধের এই আলোচনায় খোদ ইউক্রেনকে আমন্ত্রণ না জানানোতে উদ্বেগ প্রকাশ করে কিয়েভ। এর পাশাপাশি আলোচনায় ইউরোপকে অর্ন্তভুক্ত না করায় তাদের পাশ কাটিয়ে শান্তি চুক্তির আলোচনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন ইউরোপীয় নেতারা।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় সময় সোমবার প্যারিসে ইউক্রেনে শান্তি ফেরানোর লক্ষ্যে ইউরোপের নেতাদের জরুরি বৈঠকে ডাকেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাকরন।
এছাড়াও মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন তিনি।
৩১৪ দিন আগে
চীন-মার্কিন বাণিজ্যযুদ্ধ: ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক শি জিন পিংয়ের
মার্কিন শুল্কারোপ মোকাবিলাসহ অর্থনীতিকে আরও জোরদার করতে দেশের প্রযুক্তিখাতের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং। বৈঠকে বেশ কয়েক বছর পর জনসমক্ষে দেখা গিয়েছে আলীবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা-কে।
স্থানীয় সময় সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) চীনের অন্যতম প্রধান কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার ও খ্যাতনামা ব্যবসায়ীদের সাথে শি বৈঠক করেন। এ সময়ে সরকারি খাতের পাশাপাশি বেসরকারি প্রযুক্তি খাতগুলোর বিকাশে প্রয়োজনীয় সহায়তা ও নির্দেশনা দেওয়া হবে বলে নিশ্চিত করেন তিনি।
অনেকদিন ধরেই মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুর কারণ দেখিয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ (এআই) চীনের প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগসহ নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।
দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরপরই চীন থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর বাড়তি ১০ শতাংশ শুল্কারোপ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যা কার্যকর হয়েছে ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে।
আরও পড়ুন: মেক্সিকো-কানাডা ও চীনা পণ্যে ট্রাম্পের শুল্কারোপ, বাণিজ্যযুদ্ধের শঙ্কা
জবাবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে কয়লা আমদানির ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ এবং অপরিশোধিত তেল, খামারের সরঞ্জামাদি ও কিছু যানবাহন আমদানির ওপর শুল্ক আরোপ করে বেইজিং।
পাল্টাপাল্টি এসব পদক্ষেপের ঘটনা নতুন কিছু নয়। দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলা বাণিজ্যিক বিরোধের জেরে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ২০১৮ সাল থেকেই দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে শুল্ক আরোপের মতো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালেও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন শি জিন পিং। সে সময় তিনি কর ছাড়সহ আর্থিক প্রণোদনা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ব্যবসায়ীদের।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও উন্নতি ঘটেছে এ খাতে। যার সর্বশেষ সংযোজন ডিপসিক। মুক্তির মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই এর মোবাইল অ্যাপটির ২৬ লাখ ডাউনলোড হয়। বর্তমানে বিশ্বে সর্বাধিক ব্যবহৃত কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার প্লাটফর্মগুলোর মধ্যে রয়েছে এটি।এ কারণে বিশ্বের বৃহৎ দুই অর্থনীতির চলমান উত্তেজনার মধ্যে চীনের প্রেসিডেন্টের এই উদ্যোগ দেশটির বেসরকারি প্রযুক্তি নির্মাতাদের নিয়ন্ত্রণের নীতির মোড় ঘুরিয়ে দেবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বৈঠকে আমন্ত্রিত ছিলেন, আলীবাবার জ্যাক মাসহ ডিপসিক, হুয়াই, বিওয়াইডির মতো বড় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নির্মাতারা।
আরও পড়ুন: মার্কিন পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ চীনের, গুগলের বিরুদ্ধে তদন্তের ঘোষণা
এ বিষয়ে, হংকংয়ের গেভিকল ড্রাগোনোমিকস কোম্পানির উপ-গবেষণা পরিচালক ক্রিস্টোফার বেদ্দর বলেন, ‘প্রতিপক্ষ যুক্তরাষ্ট্রকে মোকাবিলা করতে হলে চীনকে অবশ্যই বেসরকারি প্রযুক্তি খাতে মনোনিবেশ করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই চীন সরকারের।’
চীনের সরকারি হিসাব অনুযায়ী, চীনের অর্থনীতিতে বেসরকারি প্রযুক্তির অবদান দেশটির মোট রাজস্ব আয়ের অর্ধেক। এছাড়াও অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রায় ৬০ শতাংশ ও প্রযুক্তির উদ্ভাবনে বেসরকারি খাতের অবদান ৭০ শতাংশ।
এ কারণে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কারোপে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতির ওপর যে চাপ তৈরি হয়েছে , তা লাঘব করতে বেসরকারি খাতকে দেশের সরকার উৎসাহ দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
চীনের বেসরকারি প্রযুক্তিখাত এরইমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর আধিপত্য বিস্তার শুরু করেছে উল্লেখ করে ডিপসিকের নির্মাতা লিয়াং ওয়েনফেং বলেছেন, ‘চীনের ডিপসিক যুক্তরাষ্ট্রের ওপেনেএআইয়ের জন্য হুমকি হিসেবে গণ্য হচ্ছে।’
বেইজিংয়ের সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি অধ্যাপক শিয়াওয়ান ঝাং বলেছেন, ‘সোমবারের বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল বেসরকারি খাতের গুরুত্ব তুলে ধরা এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করা।
তিনি বলেন, ‘এই বৈঠকের মূল লক্ষ্য হল সরকারের সমর্থনের বিষয়ে ব্যবসায়ীদের নিশ্চিত করা। চীনের প্রযুক্তিগত উন্নয়নে বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের ভূমিকা রাখা প্রয়োজন বলেও মত দেন তিনি।
বিশ্লেষকদের মতে, বৈঠকে বিশেষত জ্যাক মা-এর উপস্থিতি বিনিয়োগকারীদের আস্থাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে।
এক সময়ের বিখ্যাত এই উদ্যোক্তা ২০২০ সালে তার ফিনটেক কোম্পানি অ্যান্ট গ্রুপের আইপিও বাতিল হওয়ার পর থেকে অনেকটা আড়ালে চলে যান। সে সময় চীনের নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থার সমালোচনা করায় সরকারের ব্যাপক চাপের মুখে পড়েছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন পরে তার উপস্থিতি চীনের ব্যবসাজগতে পরিবর্তনের দিকেই নির্দেশ করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
৩১৪ দিন আগে
টরন্টোতে উল্টে পড়ল বিমান, বেঁচে গেলেন যাত্রীরা
কানাডার টরন্টোর পিয়ারসন বিমান বন্দরে অবতরণের সময় একটি বিমান উল্টে গেছে। তবে সৌভাগ্যক্রমে বিমানে থাকা ৮০ জন যাত্রীর সবাই প্রাণে বেঁচে গেছেন।
এক প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটড প্রেস (এপি) জানায়, স্থানীয় সময় সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ডেল্টা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট এই দুর্ঘনায় পড়ে।
মিনিয়াপোলিস থেকে ৭৬ জন যাত্রী ও চারজন ক্রু নিয়ে বিমানটি যাত্রা করেছিল। স্থানীয় সময় দুপুর সোয়া ২টার দিকে তুষারপাত ও ঘণ্টায় ৪৫ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়ার মধ্যে শুকনো রানওয়েতে অবতরণের চেষ্টা করছিল। তবে দুর্ঘটনার কারণ খুঁজে বের করতে এখনো তদন্ত চলছে। বিমানবন্দরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নিশ্চিত করেছেন যে, যাত্রীরা তুলনামূলকভাবে কম আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: অ্যারিজোনা বিমানবন্দরে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ৩
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া দুর্ঘটনার ভিডিওতে দেখা যায়, একটি মিতসুবিশি সিআরজে-৯০০এলআর উল্টে গেছে। বিমানটির কাঠামো অনেকাংশেই অক্ষত রয়েছে। যাত্রীরা বিমান থেকে বেড়িয়ে টারম্যাক দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় দমকলকর্মীরা বাকী আগুন নেভানোর কাজ করছেন।
এই দুর্ঘটনায় যাত্রীরা সামান্য আহত হওয়া ছাড়া কোনো প্রাণহানি না হওয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন গ্রেটার টরন্টো বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ডেবোরাহ ফ্লিন্ট।
টরন্টো পিয়ারসন ফায়ার চিফ টড আইটকেন জানিয়েছেন, ১৮ জন যাত্রীকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এর আগে, অর্ঞ্জ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স একজন শিশু রোগীকে সিককিডস হাসপাতালে এবং দু'জন প্রাপ্তবয়স্ককে অন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রানওয়ে শুরু হওয়ার খুব কাছেই বিমানটি রানওয়ে ২৩ এবং ১৫এল এর সংযোগস্থলে পড়ে রয়েছে। নিয়ন্ত্রকরা দুর্ঘটনায় সহায়তা করার জন্য আসা একটি মেডিকেল হেলিকপ্টারের ক্রুদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ফেরত পাঠিয়েছেন। সেই সময়ের আবহাওয়ায় তুষারপাত এবং বাতাসের দমকা হাওয়া ছিল। তাপমাত্রা প্রায় ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট (-৮.৬ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড) ছিল।
সেফটি অপারেটিং সিস্টেমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জন কক্স এই ঘটনাকে বিরল বলে অভিহিত করেছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন, মাঝে মাঝে অবতরণের সময় বিমান উল্ডে যেতে দেখা গেলেও এই জাতীয় ঘটনাগুলো অস্বাভাবিক।
তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, সিআরজে-৯০০ একটি উন্নত বিমান, যা দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় চলতে সক্ষম। তবে তিনি নিখোঁজ ডান পাখা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, যা বিমানটির উল্টে যাওয়ার কারণ হতে পারে।
পিয়ারসনে সর্বশেষ বড় দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল ২০০৫ সালের আগস্টে। সেসময় একটি এয়ার ফ্রান্স এয়ারবাস এ৩৪০ ঝোড়ো আবহাওয়ার কারণে রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়েছিল। তবে বিমানের ৩০৯ জন আরোহীর সবাই বেঁচে গিয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ডের সহায়তা নিয়ে কানাডার ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড এই সর্বশেষ ঘটনার তদন্ত করছে।
আরও পড়ুন: নতুন এয়ারফোর্স ওয়ান পেতে দেরি, বোয়িং বিমান পরিদর্শন করলেন ট্রাম্প
গত এক মাসে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা, ফিলাডেলফিয়ায় একটি বিমান দুর্ঘটনা এবং আলাস্কায় আরেকটি বিমান দুর্ঘটনার পর উত্তর আমেরিকায় এটি চতুর্থ উল্লেখযোগ্য বিমান দুর্ঘটনা।
অন্টারিওর প্রিমিয়ার ডাগ ফোর্ড কোনো প্রাণহানি না হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি বিমান সংস্থার পক্ষ থেকে সহানুভূতি জানিয়েছেন ডেল্টা সিইও ইডি বাস্তিয়ান।
৩১৪ দিন আগে
বলিভিয়ায় বাস খাদে পড়ে ৩১ জনের মৃত্যু
বলিভিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় মহাসড়ক থেকে একটি বাস খাদে পড়ে ৩১ জনের মৃত্যু হয়ছে। এতে আহত হয়েছেন আরও ১৫ জন।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দেশটির পোটোসি ও ওরুরো বিভাগের মধ্যে সংযোগকারী মহাসড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে।
পোটোসির বিভাগীয় পুলিশ কমান্ডের মুখপাত্র কর্নেল লিমবার্ট চক স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এ ঘটনায় ৩১ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আমরা এখনও মৃতদেহগুলো উদ্ধার করছি।’
পুলিশের প্রাথমিক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সোমবার চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে গণপরিবহনটি মহাসড়ক থেকে ছিটকে ৮০০ মিটার গভীর একটি খাদে পড়ে যায়।
আরও পড়ুন: বলিভিয়ায় ভারী বৃষ্টিপাতে মৃত্যু বেড়ে ২৮
লিমবার্ট চক বলেন, সড়কটির দুর্ঘটনাস্থলে তীক্ষ্ণ বাঁক এবং খাড়া ঢাল রয়েছে, যা দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলেছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আহতদের মধ্যে চারজন শিশু রয়েছে—তাদের মধ্যে দু'জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং নিবিড় পরিচর্যা চলছে। আর আহত বাকী ১১ জন প্রাপ্তবয়স্ক— যাদের মধ্যে দু'জনের গুরুতর জখম হওয়ায় অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।
৩১৪ দিন আগে
আইরিশ পর্যটককে ধর্ষণ-হত্যার দায়ে ভারতে ১ জনের যাবজ্জীবন
প্রায় আট বছর আগে জনপ্রিয় একটি পর্যটন রিসোর্টে এক আইরিশ নারীকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে ৩১ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ভারতের একটি আদালত।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় গোয়া রাজ্যের একটি আদালত এই আদেশ দেন।
২০১৭ সালের মার্চে গোয়ায় ছুটি কাটাতে আসা ২৮ বছর বয়সী ড্যানিয়েল ম্যাকলাফলিনের লাশ পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় সমুদ্র সৈকতে এক কৃষক দেখতে পান। একটি ময়নাতদন্তে দেখা গেছে, মস্তিষ্ক ও ঘাড়ের আঘাতের কারণে তার মৃত্যু হয়েছিল।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ওই হত্যাকাণ্ডের জন্য দোষী সাব্যস্ত হন বিকাশ ভগত।
রায়ের পর ম্যাকলাফলিনের পরিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা এবং তার বন্ধুরা ‘ন্যায়বিচারের জন্য পাবলিক প্রসিকিউটর এবং তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে কৃতজ্ঞ।’
সাধারণত ভারতীয় আইনে ধর্ষণের শিকার নারীর নাম প্রকাশ করা হয় না। এক্ষেত্রে নির্যাতিতার পরিবার মামলার বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন।
আরও পড়ুন: শতাধিক অবৈধ অভিবাসীকে ভারতে পৌঁছে দিল মার্কিন উড়োজাহাজ
২০১২ সালে নয়া দিল্লিতে বাসে গণধর্ষণের শিকার এক তরুণীর মৃত্যুর পর যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে কঠোর আইন পাস করে ভারত। এর পরও দেশটিতে নারীদের বিরুদ্ধে অব্যাহত সহিংসতা বন্ধ হয়নি।
গোয়া ভারতের পর্যটকদের কাছে একটি জনপ্রিয় গন্তব্য। প্রতি বছর লাখ লাখ পর্যটক এর অসংখ্য সমুদ্র সৈকতের রিসোর্টগুলো পরিদর্শন করেন।
৩১৫ দিন আগে