রবিবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমে শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে মাঠে নামবে বাংলাদেশের যুবারা।
যুব বিশ্বকাপের পরিসংখ্যানে বাংলাদেশের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে রয়েছে ভারত। সাতবারের মতো ফাইনাল খেলতে যাওয়া ভারত চারবার শিরোপা জিতেছে। যেখানে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো ফাইনাল খেলতে যাচ্ছে।
যুবাদের বা বড়দের ভারতের বিপক্ষে মুখোমুখি হওয়া বিভিন্ন টুর্নামেন্টের ফাইনালে খুব একটা সুখ স্মৃতি নেই বাংলাদেশ দলের। গত বছর যুব এশিয়া কাপের ফাইনাল ও ইংল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে প্রতিবেশী দেশটির বিপক্ষে হেরে শিরোপা স্বপ্ন ভেঙেছিল বাংলাদেশের।
তবে অতীত স্মৃতি বা পরিসংখ্যান যাই হোক না কেন, তাতে মাথা ঘামানো আপাততো বন্ধ। কারণ এবারের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে মাহমুদুল হাসান জয়, তৌহিদ হৃদয়, তানজিদ হাসান তামিমরা রান করছেন নিয়মিত। চারের নিচে ইকোনমিতে বোলিং করছেন রকিবুল হাসান, শামীম হোসেন ও শরিফুল ইসলামরা।
ফানাইলে আসার আগে টুর্নামেন্টে ইতিমধ্যে খেলা পাঁচ ম্যাচে চার জয় বাংলাদেশের। পাকিস্তানের বিপক্ষের অপর ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়েছে। অপরদিকে পাঁচ ম্যাচের পাঁচটি জিতে এখনও অপরাজিত ভারত। ফলে টুর্নামেন্টে যে দলের হাতেই ট্রফি উঠুক না কেন, তারা হবে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন।
ম্যাচটি ফাইনাল হলেও কোনো অতিরিক্ত চাপ নিচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক আকবর আলী! নিজেদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে ম্যাচটিকে তারা ফাইনাল হিসেবে ভাবছেন না। ভারতকে হারিয়ে ইতিহাস গড়তে দৃঢ় প্রত্যয়ী তার দল।
আকবর বলেন, ফাইনাল ম্যাচ হলেও এটাকে আমরা ফাইনাল বা বিশ্বকাপের ম্যাচ হিসেবে ভাবছি না। এরকম চিন্তা করলে হয়তোবা চাপ আমাদের দিকে চলে আসতে পারে। পুরো টুর্নামেন্ট আমরা যেভাবে সাধারণ খেলা হিসেবে নিয়েছি, ফাইনালটাকেও সেভাবেই নেয়ার চেষ্টা করব।’
বাংলাদেশ স্কোয়াড: তৌহিদ হৃদয়, শরিফুল ইসলাম, তানজিদ হোসেন তামিম, রাকিবুল হাসান, শাহাদত হোসেন, শামীম হোসেন, আকবর আলী (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক) মাহমুদুল হাসান জয়, পারভেজ হোসেন ইমন, তানজিম হাসান সাকিব, হাসান মুরাদ, অভিষেক দাস, প্রান্তিক নওরোজ নাবিল, শাহীস আলম এবং মেহেরাব হাসান।
ভারত স্কোয়াড: প্রিয়ম গার্গ (অধিনায়ক), কার্তিক তিয়াগি, জস্বভী জায়সাওয়ালম তিলক ভার্মা, দিভ্যান্স সাক্সসেনা, রভি বিষ্ণা, ধ্রভ জুরেল (উইকেটরক্ষক), সিদ্দেশ ভির, আকাশ সিং, অথর্ভ আঙ্কেলোকার, সুশান্ত মিশ্রা, ভিদ্যার প্যাটিল, শুভাং হেজ, শাসওয়াত রাওয়াত ও কুমার কুশাগ্রা।