চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চার খেলোয়াড় ও কোচকে বিভিন্ন ম্যাচে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে জরিমানা করেছে বিসিবি।
খুলনা টাইগার্সের প্রধান কোচ খালেদ মাহমুদ, রংপুর রাইডার্স জুটি শেখ মেহেদী হাসান ও নিকোলাস পুরান এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মোসাদ্দেক হোসেনকে ক্রিকেট সরঞ্জামের অপব্যবহার এবং পোশাকের বিধি লঙ্ঘনসহ খেলার নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য শাস্তি দেয়া হয়েছে।
বিসিবির আচরণবিধির ধারা ২.২০ লঙ্ঘনের জন্য মাহমুদকে তার ম্যাচ ফি’র ৩০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে এবং দুটি ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালের জন্য বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি ঘোষণা
মাহমুদের শাস্তির কারণ উল্লেখ করেনি বিসিবি। তবে খুলনা টাইগার্সের ড্রেসিংরুমে ধূমপানের কারণে তাকে জরিমানা করা হয়েছে, যা টেলিভিশনের লাইভে ধরা পড়েছে।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে (এসবিএনসিএস) খুলনা টাইগার্স ও ফরচুন বরিশালের মধ্যকার ম্যাচ চলাকালীন এ ঘটনা ঘটে।
এসবিএনসিএস -এ ১২ ফেব্রুয়ারি ফরচুন বরিশালের বিরুদ্ধে এলিমিনেটর ম্যাচের সময় বিসিবি আচরণবিধির ধারা ২.২ লঙ্ঘনের জন্য মেহেদীকে তার ম্যাচ ফির ২৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছিল এবং একটি ডিমেরিট পয়েন্ট পান।
একই ম্যাচ চলাকালীন বিসিবির আচরণবিধি ধারা ২.২২ লঙ্ঘনের জন্য পুরানকে তার ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছিল এবং দুটি ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছিল। তার হেলমেটে অননুমোদিত লোগো থাকায় তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল।
এসবিএনসিএস -এ ১২ ফেব্রুয়ারি সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে প্রথম কোয়ালিফায়ারের সময় বিসিবির আচরণবিধি ধারা ২.২২ লঙ্ঘনের জন্য মোসাদ্দেককে তার ম্যাচ ফি’র ২৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছিল এবং একটি ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছিল। তার হেলমেটে একটি অননুমোদিত লোগো ছিল।
মাঠের আম্পায়ার, থার্ড আম্পায়ার এবং সংশ্লিষ্ট ম্যাচের চতুর্থ আম্পায়াররা অভিযোগ করেছেন। খেলোয়াড় ও কোচ তাদের অপরাধ স্বীকার করেন এবং আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজনীয়তা এড়িয়ে ম্যাচ রেফারিদের প্রস্তাবিত নিষেধাজ্ঞা মেনে নেয়।
আরও পড়ুন: ১ ডিসেম্বর বাংলাদেশে আসবে ভারত: বিসিবি