বাংলাদেশ ৩১ জুলাই একই মাঠে শেষ ম্যাচ খেলতে নামবে। লক্ষ্য থাকবে সম্ভাব্য হোয়াইটওয়াশ এড়ানো। এ সিরিজের প্রথম ম্যাচ থেকেই প্রতিটি বিভাগে টাইগারদের দুর্বলতা ছিল চোখে পড়ার মতো।
রবিবার টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন তামিম। তবে তার সিদ্ধান্তকে যৌক্তিক প্রমাণ করতে পারেননি টাইগারদের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। ৮৮ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে সফরকারীরা। তামিম ১৯, সৌম্য সরকার ১১, মোহাম্মাদ মিঠুন ১২, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৬ ও সাব্বির রহমান ১১ রান করে সাজঘরে ফেরেন। এদিনও ব্যর্থ হন মোসাদ্দেক হোসেন (১৩)।
তবে স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে দলকে একাই টেনে নিয়ে যান সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। সঙ্গী ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তাদের জুটিতে আসে ৮৪ রান। মিরাজ ৪৯ বলে ৬টি চারের সাহায্যে ৪৩ রান করে ফিরে গেলেও সেঞ্চুরির স্বপ্ন জাগান মুশফিক। ৪৮তম ওভারে ৮০ রান থেকে ৪৯তম ওভারে একই ১৫ রান নেন তিনি। তবে শেষ ওভারে নিজের ব্যক্তিগত ৫ রান নিতে পারেননি। ৩ রান করতে পারায় ২ রানের আক্ষেপ নিয়েই মাঠ ছাড়েন এ টাইগার ব্যাটসম্যান। ১১০ বলে খেলা তার অপরাজিত ইনিংসটি ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় সাজানো।
৫০ ওভার শেষে আট উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৩৮ রান।
জবাব দিতে নেমে ১৭ ওভারেই ১০০ রান তুলে ফেলে শ্রীলঙ্কা। আগ্রাসী ওপেনার অভিষ্কা ফার্নান্দো ৯টি চার ও ২টি ছক্কার মারে ৭৫ বলে করেন ৮২ রান। তাদের প্রথম জুটি ভাঙে ৭১ রানের মাথায়। মুস্তাফিজুর রহমান দুই উইকেট পেলেও লঙ্কানদের কাছে দ্বিতীয় হার এড়াতে তা যথেষ্ট ছিল না। স্বাগতিকরা তিন উইকেট হারিয়ে ৪৪ ওভার ৪ বলে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়। তুলে নেয় ২৪২ রান।