রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালের আইসিইউতে করোনাভাইরাসের সাথে ১৩ দিনের লড়াই শেষে সোমবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন খ্যাতিমান এ স্ট্রাইকার।
মৃত্যুকালে ৭২ বছর বয়সী এ ফুটবলার স্ত্রী, এক ছেলে ও এক কন্যা এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
মঙ্গলবার সকালে নওশেরের মরদেহ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আনা হয় এবং যেখানে দেশের ক্রীড়াবিদ, আয়োজক এবং ক্রীড়া প্রেমীরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
বঙ্গবন্ধুর জাতীয় স্টেডিয়ামে তার প্রথম জানাজা শেষে সকাল ১০টার দিকে মরদেহ মুন্সিগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে থেকে পরে চাঁদপুরের মতলবের গ্রামের বাড়িতে আসরের নামাজের পর তৃতীয় ও শেষ জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হবে।
এর আগে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে গত ৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় তাকে আইসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।
নওশেরুজ্জামান বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল, ঢাকা মোহামেডান, ভিক্টোরিয়া এসসি, ঢাকা ওয়ান্ডার্স ক্লাব, ওয়ারী ক্লাব, ফায়ার সার্ভিসেস এবং ওয়াপদার হয়ে খেলেছেন। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এ সদস্য মুক্তিযুদ্ধেও অংশগ্রহণ করেছিলেন।