চলতি মাসেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫ বছর পূর্ণ করতে যাওয়া মুশফিক বৃহস্পতিবার ডেইলি ক্রিকেট ফেসবুক পেজে এক ঘণ্টার দীর্ঘ লাইভ আলোচনায় তার এ আশার কথা বলেন।
বিকেএসপি থেকে শুরু করে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’ হয়ে উঠা মুশফিক এ লাইভে তার যাত্রার পুরো সময়টা নিয়ে কথা বলেন।
টাইগাররা এখনও ক্রিকেটের শীর্ষ ছয় দলে আসা থেকে কিছুটা দূরে অবস্থান করছে। বর্তমানে একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে (ওয়ানডে) সাত নম্বরে এবং টি-টোয়েন্টি অষ্টম অবস্থানে থাকলেও টেস্ট ক্রিকেটে তাদের অবস্থান এখনও নবম স্থানেই রয়ে গেছে।
তবে আফগানিস্তানের বিষয়টি বিবেচনায় নেয়া হলে টেস্টে বাংলাদেশের অবস্থান আরও হতাশার (দশম)। যদিও আফগানিস্তান সর্বশেষ আইসিসি র্যাংকিংয়ের জন্য বিবেচিত হয়নি কারণ তারা প্রয়োজনীয় সংখ্যক টেস্ট খেলতে ব্যর্থ হয়েছে।
মুশফিক অবশ্য মনে করেন, জুনে (স্থগিত) অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে, আগস্টে নিউজিল্যান্ড এবং পরের বছরের জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নির্ধারিত হোম সিরিজ দিয়ে টেস্ট র্যাংকিংয়ে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের।
তিনটি সিরিজই আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ। তবে চলমান করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক সংকটের কারণে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজ ইতোমধ্যে স্থগিত করা হয়েছে এবং বাকি দুটি সিরিজের ভাগ্যও এখনও অনিশ্চিত।
তবুও মুশফিক আশাবাদী যে সবগুলো ম্যাচ শেষ পর্যন্ত হবে এবং টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ও র্যাংকিংয়ে দরকারি কিছু পয়েন্ট পেতে বাংলাদেশ ঘরের মাটিতে অতীতের মতো দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করতে পারবে।
মুশফিক বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি আমরা ছয় নম্বর অবস্থানে উঠে আসতে পারব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগামী দিনগুলোতে আমরা ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলব। এর আগে ঘরের মাঠে আমরা অস্ট্রেলিয়াকে পরাজিত করেছি, ভালো খেলে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ড্র করেছি। ওয়েস্ট ইন্ডিজকেও আমরা পরাজিত করেছি। আমাদের সে (ছয় নম্বরে) অবস্থনে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।’