সেই সঙ্গে ৫৪ টেস্ট ম্যাচ খেলে সবচেয়ে দ্রুততম ৩ হাজার রান ও ২০০ উইকেটের ‘ডাবল’ অর্জন করলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। এর মধ্য দিয়ে ইংলিশ কিংবদন্তী ক্রিকেটার ইয়ান বোথামকে ছাড়িয়ে গেলেন সাকিব।
দ্রুততম ৩ হাজার রান ও ২০০ উইকেটের ডাবল পূরণ করা বিশ্বসেরা ক্রিকেটারদের তালিকায় সাকিবের পরে আরও রয়েছেন ইংল্যান্ডের ইয়ান বোথাম (৫৫ টেস্ট ম্যাচ), নিউজিল্যান্ডের ক্রিস কেয়ার্নস (৫৮ টেস্ট ম্যাচ), ইংল্যান্ডের অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ (৬৯ টেস্ট ম্যাচ), ভারতের কপিল দেব (৭৩ টেস্ট ম্যাচ)।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ইতিহাসে নাম লেখানোর অপেক্ষায় ছিলেন চোট থেকে দুই মাস পর দলে ফেরা সাকিব।
শুক্রবার ১৯৯ উইকেট পূরণ হয় দেশসেরা স্পিনারের। অপেক্ষা ছিল আর মাত্র ১ উইকেটের।
শনিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামলে, তৃতীয় ওভারে কিরণ পাওয়েলকে আউট করে সেই বহুল আকাঙ্খিত মাইলফলক স্পর্শ করেন সাকিব। টেস্ট ২০০ উইকেট আর তিন হাজার রানের ‘ডাবল’ অর্জনকারীর তালিকায় চলে যান বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক।
চট্টগ্রাম টেস্টে ১৮ বারের মতো ৫ উইকেট শিকার করেন সাকিব। ক্যারিয়ারে এ পর্যন্ত দুইবার ১০ উইকেট শিকার করেন তিনি।
ছয় বছর আগে ২০১২ সালে এই দিনে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলে ১০০ উইকেট শিকারীর তালিকায় মোহাম্মদ রফিকের পর নিজের নাম লেখান সাকিব।
এক ইনিংসে সাকিবের সেরা বোলিং ফিগার ২০০৮ সালে চট্টগ্রামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৬ রানে ৭ উইকেট শিকার।