১৬ রানে দুই ওপেনার লিটন দাস (৯) এবং ইমরুল কায়েস (০) ফিরে যাওয়ার পর ব্যর্থ হন অভিষেক হওয়া মোহাম্মদ মিঠুনও (০)। দলীয় স্কোর তখন ২৬। তিনজন ব্যাটসম্যানের বিদায়ে বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ।
সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন টেস্ট খেলোয়াড়ের তকমা পাওয়া মুমিনুল হক ও সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।
দলের বিপর্যয় সামাল দেয়ার পাশাপাশি স্কোরবোর্ডটাও সচল রাখেন এ দুই ব্যাটসম্যান। দুজনে মিলে ২৬৬ রানের দুর্দান্ত এক জুটি উপহার দেন। মুমিনুল ও মুশফিক দুজনেই তুলে নেন দুর্দান্ত শতক।
ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে দুর্দান্ত খেলা মুমিনুল হককে তুলনা করা হতো ডন ব্রাডম্যানের সাথে। সাম্প্রতিক সময়ে নিজের নামের প্রতি খুব একটা সুবিচার করতে পারছিলেন না এ লিটল জিনিয়াস।
তবে ঢাকা টেস্টে রবিবার ডাবল সেঞ্চুরির আশা জাগিয়েছিলেন এ বামহাতি ব্যাটসম্যান। কিন্তু দিনের খেলা শেষ হওয়ার কয়েক ওভার আগে সবাইকে হতাশ করে সাজঘরের পথ ধরেন মুমিনুল।
আউট হওয়ার আগে খেলেন ২৪৭ বলে ১৬১ রানের এক দুর্দান্ত ইনিংস। তার ইনিংসটি ১৯টি চারের মারে সাজানো।
মুমিনুলের আউটের পর নাইটওয়াচ ম্যান হিসেবে মাঠে নামেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। তবে তিনি ৪ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। পরে মাঠে নামতে হয় অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে।
অবশ্য তাকে কোনো বল মোকাবেলা করতে হয়নি। শেষ পর্যন্ত মুশফিকুর রহিম ১১১ রানে অপরাজিত থেকে প্রথম দিনের খেলা শেষ করেন।
দিন শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৫ উইকেটে ৩০৩ রান।
এর আগে সকালে মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ।
দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথমটি জিতে ১-০ তে এগিয়ে আছে সফরকারী জিম্বাবুয়ে।